আমাদের পাড়ার সোবহান সাহেব একবার হজে গেলেন। ফিরে আসবার পর তিনি বহু হিতকর কর্মে নিজেকে নিমজ্জিত করলেন, পাড়ার টিনশেড মসজিদটি পাকা করে দিলেন, এলাকায় সবাই মধ্যবিত্ত বিধায় সাহায্য করবার জন্যে গরীব দুখী খুঁজে পেলেন না বটে; কিন্ত প্রতি জুম্মাবারে নামায শেষে তাঁর দান খয়রাত এলাকাবাসীর দৃষ্টি এড়ালো না। বছর ঘুরে কোরবানি ঈদ এলে পেল্লাই সাইজের আটটি গরু জবেহ দিয়ে মহল্লার বাড়ী বাড়ী গোশত পাঠালেন। আরো কয়ে
একবার আমাদের গ্রামের ইস্কুলের এক মাস্টার মশাই নারীশিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে মেয়েদের ইস্কুলে পাঠানোর জন্যে বাড়ী বাড়ী ধরনা দিলেন। ইস্কুলটি যদিও শুধু মাত্র ছেলেদের শিক্ষা দানের জন্যে নয়, তবু ইস্কুলের সর্বমোট ১৪১ জন ছাত্রের মাঝে কোনো লিঙ্গ বৈষম্য ছিল না। ঘরে ঘরে গিয়ে ভবিষ্যতে স্বাবলম্বী হবার ক্ষেত্রে মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বুঝাতে বুঝাতে মাস্টার মশাইয়ের সবেধন নীলমণি এক জোড়া চটির তলা ক
সংবাদ - খোকার দাবি, হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার মধ্যরাতে হামলা চালিয়েছে। এটিকে তিনি ‘গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মানবতাবিরোধী যে অপরাধ হয়েছিল, রোববার দিবাগত রাতের ঘটনা তাকেও হার মানিয়েছে।
প্রতিক্রিয়া-
বাচ্চা ছেলে 'খোকা'
পক্কতাহীন, বোকা।
কি বলতে কি বলে
ধরলে কি সব চলে?
মুখ ভর্তি দাড়ি
চশমাটাও ভারী;
ঐ মুখেতে যতই থাকুক বার্ধক্য আঁকা
বাংলার পল্লী গাঁয়ে সিঁদেল চোরদের নাম বেশ শোনা যায়। রাতের অন্ধকারে চুপি চুপি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সিঁদকাটি (এক ধরনের ছোট শাবল বিশেষ) দিয়ে মাটি কেটে গর্ত করে ঘরে ঢুকে সব সাবার করে দেয় এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ঘরের মানুষজন কেউ কিছুই টের পায় না। এ এক কঠিন শিল্প বটে!
প্রাইভেট অফিসে ‘অফিস টাইম’ বলে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই, তবে ঢাকা শহরের প্রতিটি রাস্তাতেই বাধ্যতামূলক জ্যাম যে থাকবেই তা এখন ধরাবাঁধা এক নিয়ম হয়েই দাঁড়িয়েছে । কোনোদিনই তাই রাত ন’টার আগে বাড়ী ফেরা হয় না উজ্জলের। অফিস গুলশানে আর বাড়ী শ্যামলীতে, পথে হুজ্জৎ কম নয়; তবু রাত ন’টা পার হয় না কখনও। উজ্জলের বৌ মিথিলা দশ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ডাক্তার বলেছেন পরের সপ্তাহেই প্রত্যাশিত তারিখ। এ সময়টা সত্যিই বিপজ্জনক, মিথিলাকে সব সময় চোখে চোখে রাখতে হয়।
যখন একটি বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় তখন দুটি ভিন্ন লিঙ্গের অবিবাহিত মানুষ (অধুনা অবশ্য কোথাও কোথাও সম লিঙ্গের মাঝেও এমনটি ঘটছে) বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নুতন পরিচয়ে পরিচিত হয়, যার নাম ‘বিবাহিত’; পাশ্চাত্যে এমন রীতির চল না থাকেলও আমাদের এই অঞ্চলে উক্ত বিশেষ প্রক্রিয়াটি সংঘটিত করতে ক্ষেত্রবিশেষে একজন তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন পড়ে, যাকে আমরা ঘটক বলে জানি। এই ‘ঘটক’ ব্যক্তিটি
বর্তমানে বাংলাদেশের একটি মানুষও আর হরতাল চায় না। গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী, নাশকতা-নেশাগ্রস্তকে এই তালিকায় রাখছি না। আমার ধারণা যারা বিএনপি কিংবা জামাত সমর্থন করে তারাও এই ‘হরতাল’ নামক বিভীষিকা হতে মুক্তি চায়। আমিও আর একটি হরতালও চাই না। যদিও হরতাল একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারা, তবু আধুনিক হরতাল এখন কেবল গণতন্ত্র আর স্বাধিকার আদায়ের শানিত অস্ত্র নয়, এখন হরতাল মানেই জ্বালাও-পোড়াও আর ককটেল উৎ
সারারাত উৎকণ্ঠা, ঘুম হয়নি একটুও। না, হয়েছে বোধহয় সামান্য; ভোরের দিকে। উচাটন মনও কখনও কখনও হার মানে ক্লান্ত শরীরের কাছে। আধো তন্দ্রায় ফজরের আযান শুনেছি। এরপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম অল্প কিছুক্ষনের জন্যে। কি যেন আবোল তাবোল স্বপ্ন দেখলাম, মনে করতে পারছি না। এখন ক’টা বাজে, সাতটা?