প্রবাস জীবন যত দীর্ঘ হচ্ছে, ততই মনে হচ্ছে আমার জন্মভূমিতে নতুন প্রজন্ম এক অদ্ভুত, আত্মঘাতী আশকারার ভিতর দিয়ে বড় হচ্ছে।
এই আশকারার ফল, সন্ধ্যা আর রাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণরত বিমানের ককপিটে বসা পাইলটের চোখে লেজার মারা। এই কাজ এখন একটি সান্ধ্য বিনোদনে পরিণত হয়েছে। কুর্মিটোলার আশেপাশের উচ্চ ভবনের ছাদে বসে কিশোর যুবক মধ্যবয়স্ক লোক এই 'খেলা' খেলে অথবা খেলতে দেখে মজা নেয়।
তার নাম রফিক। পাশের যে জন তারও নাম রফিক। একই বাসায় তাদের বাস। তারা ঘরবন্ধু।
তবে তাদের ভেতর বেজায় মালিন্য। তাদের চলে নিত্য নৈমত্তিক বিরতিহীন বচসা। হাতাহাতি। তবুও কোন এক কারণে তারা ভাগাভাগি করে থাকে। বাড়ি বদলায় না। এই একটা জায়গায় তাদের অকথিত বোঝাপড়া।
রোজকারের মতো সেদিনও চলছে তাদের নিরন্তর বাহাস।
এক রফিকঃ শালা কুত্তা কোথাকার! মাত্র তেরো বছরের মেয়ে! তেরো!! কিভাবে পারলি??
অন্য রফিকঃ চুপ শালা! চুপ! একদম চুপ! তাতে তোর কি রে! আমি তোর খাই না পরি?
এক রফিকঃ তুই মানুষ না। তুই জানোয়ার।
অন্য রফিকঃ হ্যাঁ, আমি জানোয়ার।
এক রফিকঃ তুই ইতরেরও নীচের ইতর। মরে যাস না কেন?
১
কত ভাষায় কত অসাধারণ সব লেখা আছে পৃথিবীতে। সেসব পড়েই তো একটা জীবন পার করে দেওয়া যায়। তাহলে নতুন কিছু আর লিখব কেন?
এ প্রশ্নের উত্তর কি হয়? এ প্রশ্নের উত্তর কী হয়?
লেখালিখি শুরু করা যায় কৌতূহলবসত। দেখি তো পারি কী না? দেখি তো লিখতে কেমন লাগে? বা, লোকে কী বলে পড়ে? কিন্তু লেখালিখি চালিয়ে যাবার জন্য উপরের প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান জরুরী।
ঢাকাতে বিভিন্ন সময়ে সরকারী বা বেসরকারী উদ্যোগে বেশ কিছু আবাসিক এলাকা ডিভেলপ করা হয়েছে। যেমন ধানমন্ডি , গুলশান, নিকেতন , পল্লবী, বনশ্রী , বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা বা বিভিন্ন ডিওএইচএস। সবগুলোই প্লট ভিত্তিক অর্গানাইজেশন। অর্থাৎ একটা বেসিক রোড নেটওয়ার্কের আওতায় কোনো এলাকাকে প্রথমেই ছোট ছোট ব্লকে ভাগ ক'রে নিয়ে তাতে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন আকার এবং আয়তনের প্লট তৈরী করা হয়। তারপর সেই প্লটগুলোকে এক বা একাধিক
লিয়ানা
বাংলাদেশের-বিজয়ের-৫০-বছর-পূর্তিতে-জীবনের-পয়লা-বছর দেখনিয়াসু,
আসসালামু আলাইকুম,
কত কত দিন ধরে তোমাকে লিখি না। সেই যেদিন শতকে পা পড়ল তখন লিখেছিলাম, তারপর এই এখন! মন খারাপ কর না, কেমন?
মাঝে মাঝে এমন হয়। লেখা-কথা'র চেয়ে কথা-কথাই বেশি। লেখা-কথাও ফিরে ফিরে আসবে মাঝে মাঝে, আজকের মত করে।
আজকের দিনটা কেন বিশেষ জান?
খবরে দেখলাম, প্রয়াত লেখক শেখ আব্দুল হাকিম-কে মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি এবং কুয়াশা সিরিজের ৫০টি বইয়ের স্বত্বাধিকারী বলে ঘোষণা করেছে দেশের কপিরাইট কর্তৃপক্ষ।
মাসুদ রানা, কাজী আনোয়ার হোসেন এবং শেখ আব্দুল হাকিম, এই সবগুলো নামই বাংলাদেশী পাঠকদের আবেগের সাথে এমনভাবে জড়িত যে, এই মামলা, অভিযোগ এবং তা থেকে আসা সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক রকমের মতামত দেখা যাচ্ছে। কেউ বলছেন শেখ আব্দুল হাকিম-ই বইগুলোর ন্যায্য দাবীদার, আবার কেউ বলছেন কাজী আনোয়ার হোসেন এগুলোর প্রকৃত স্বত্বাধিকারী।
স্বল্পজ্ঞানে যতটুকু বুঝি, কপিরাইট কর্তৃপক্ষের ঘোষণায় কোনও ভুল নেই; আইন অনুযায়ী এগুলোর স্বত্বাধিকারী শেখ আব্দুল হাকিম। আবার একই সাথে আমি মনে করি, এই বইগুলোর স্বত্ব আসলে কাজী আনোয়ার হোসেনের হওয়া উচিত, হাকিমের নয়।
কিছুদিন আগে সলিমুল্লাহ খানের মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎপত্তি সম্পর্কিত বক্তব্যের একটি ভিডিও দেখেছিলাম (লিংক নিচে)। ডয়েচেভেলেতে দেয়া ইন্টারভিউতে খান সাহেব বলেছেন, "মাদ্রাসা শিক্ষাকে নকল করে ইউরোপের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে", "অক্সফোর্ড, কেমব্রিজসহ ইউরোপের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা, সিস্টেম, পরীক্ষা পদ্ধতি- সবকিছু এসেছে মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে"। সলিমুল্লাহ খান এ সম্পর্কিত একটি
[justify](অ)
গণমাধ্যমের কল্যাণে তথাকথিত ‘ই-কমার্সের’ নামে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বড় মাত্রার প্রতারণার কথা ইতোমধ্যেই আমরা জানতে পেরেছি। স্বাধীনতার পর দেশি উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় অনেক সফল শিল্প প্রতিষ্ঠিত কিংবা বিকশিত হলেও, তথাকথিত ‘ই-কমার্স-শিল্পের উদ্যোক্তারা’ যাত্রার শুরুতেই এই মাত্রার গণ-প্রতারণার জন্য উদাহরণ হয়েই থাকবেন। মাসখানেক ধরে একটা অনলাইন পোর্টালে দুজন পলাতক ‘উদ্যোক্তা’, ইভ্যালির নিয়োজিত ‘সোস্যাল মিডিয়া সেলেব্রিটি’ এক ব্যারিস্টার, উপস্থাপক এবং কিছু কৈফিয়তদাতার ‘বয়ান’ শুনে এই সেক্টরের দুর্বৃত্তায়নের গভীরতা সম্বন্ধে একটা ধারণা পাওয়া গেল।
এগারো
ডেল্টা, ল্যাম্বডা, মিউ
সব করি পার,
হাতে থাকে করোনা।
বারো
উপরে আছেন বুবু,
জ্বলেপুড়ে সংখ্যালঘু;
ভরসা রাখুন নৌকায়।
তেরো
ফখা ইবনে চখা শুধায়,
'ফাহামবাগ, তুমি কুথায়?'
ডিবেটার কহে, 'আব্বা, কেবলই পায়খানা হয়ে যায়।'
চৌদ্দ
আলাল ও দুলাল;
তাদের আম্মা গুলাবী মেম,
কাশিমপুরে প্যাডেল মেরে পৌঁছে বাড়ি।
পনের
হবু রাজার গবু মন্ত্রী
নাম তার ওকা;