অনেক অনেক যুগ পরে একটা ব্লগ লিখতে গিয়ে দেখি A,S ,D, W, Q, E, R, স্পেসবার, লেফট শিফট ইত্যাদি , মানে গেম খেলতে যেইসব কি লাগে, সেগুলো বাদে বাকি কিবোর্ড বিকল হয়ে বসে আছে। তাই বলে কি ব্লগরব্লগর বন্ধ থাকবে? কখনোই না। তাই এসে গেলো গুগল ভয়েস টাইপিং এ লেখা এই টাটকা তাজা ভ্রমন্থণ!
_________________
১৯৮৬ সালে শ্রীমঙ্গলে পাখি দেখা
-পল থমসন
১৯৮৬র শুরুর দিকে আমি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসেছিলাম। যদিও আমার অধিকাংশ সময়ই পিএইচডি গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহের পিছনে যাচ্ছিল তবুও সেই সময় আমি শ্রীমঙ্গলে প্রথম পাখি দেখার জন্য যেতে সক্ষম হই যা সেখানে পরবর্তীতে অসংখ্য ভ্রমণের প্রথমটি হিসেবে মনে আছে।
লেখার শিরোনাম দেখে আমি আপনার সম্ভাব্য দুটো প্রতিক্রিয়া কল্পনা করতে পারছি। একটাতে আপনি ভাবছেন যে এটা কোন ট্রেন এক্সিডেন্ট ফ্যাক্সিডেন্ট নিয়ে লেখা, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে আপনি বুঝে গেছেন যে এটা ৪৭ এর দেশভাগ কিংবা সেটার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নিয়ে লেখা। খুশবন্ত সিং এর 'ট্রেন টু পাকিস্তান ' যদি আপনার পড়া থাকে, আপনি সম্ভবত দ্বিতীয় দলে পড়েছেন। বইটি যদি না পড়ে থাকেন এবং পড়ার ইচ্ছে পোষন করেন, তাহলে একটা স্পয়লার এলার্ট দিয়ে রাখলাম, কারন বইয়ের শেষ পৃষ্ঠার চমকটা কিন্তু আমি এখানে ফাঁস করে দেব! অবশ্য বইটা এত দারুণ যে সেটার পরেও এই বই পড়ে আপনি মুগ্ধ হবেন, শতকরা নব্বই ভাগ গ্যারান্টি।
মাঝ-দুপুরে এক অতি গভীর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে একা যাচ্ছিল নয়ন। বেলা যে মাঝ-দুপুর তা কে বলবে? বড় বড় ঘন গাছের কারণে পুরো জঙ্গলে গা ছমছমে অন্ধকার। যেন সন্ধ্যা ঘনিয়েছে। দুরু দুরু ভয় আর শঙ্কা নিয়ে নয়ন জোর কদমে হাঁটতে থাকে। আর মনে মনে নিজেকে সাহস দেয় – ভূত-প্রেত বলতে দুনিয়ায় কিছু নাই। সব দুর্বল মনের কল্পনা।
এই গল্পটা আপনি বিশ্বাস করবেন না এবং হেসে উড়িয়ে দেবেন তা প্রায় নিশ্চিত। তবু যেহেতু কোন এক কবি বলেছিলেন, “পৃথিবী ও স্বর্গে এমন কিছু ঘটে যার সবটুকু আমাদের আয়ত্বের মধ্যে নেই….” সেহেতু আমি ঘটনাটা বলবো। কাহিনীটা বিচিত্র খামখেয়ালীপূর্ণ একটি ঘড়ি নিয়ে।
ঘড়িটা কিভাবে আমার কাছে এলো সেই ঘটনায় যাবার আগে দুনিয়ার ঘড়ি জাতির চরিত্র বিষয়ে দুটো কথা বলে নেই।
পৃথিবীতে সাধারণত দুই জাতের ঘড়ি আছে। প্রথম জাতটা হলো সে দিনের পর দিন ভুল সময় দেখিয়ে যাবে, সে জানে সে হদ্দ ভুল- তবু তাতে কোন লোকলজ্জা নেই তার, বরং ভুল সময়ের কাঁটা ঘুরিয়ে সারা দুনিয়াকে কাঁচকলা দেখিয়ে যাবে। এদের আমি বলি ‘ফটকা ঘড়ি’। দ্বিতীয় জাতের ঘড়ি হলো, সে চিরকাল সঠিক সময় দেবে শুধু যেদিন তার উপর ভরসা করবেন সেদিনটা বাদে। এই জাতের ঘড়িদের আমি ‘সাধু ঘড়ি’ বলি।
“তোমার সাথে দাবা খেলে হারতে হারতে আমি শেষ হয়ে গেলাম, তুমি মাঝে মধ্যে একটু খারাপ খেলে আমাকে জিততে দিতে পারো না? তোমার কি কোন ভদ্রতা জ্ঞান নাই?”, চিংকু ওর বিরক্তি প্রকাশ করল।
“নিজের ইচ্ছায় জোর করে আমি হারতে পারি না, কিভাবে জেনে বুঝে হারতে হয় সেটাও আমি জানি না, কাজেই তোমাকে আমার চেয়ে ভালো খেলেই জিততে হবে”, এলিসের সোজাসাপ্টা জবাব।
আশ্চর্য নয় কিছু,
নিতান্ত প্রাকৃতিক।
১৮৭৭ সালে স্ট্যাটিসটিক্যাল একাউন্ট অফ বেঙ্গলে লেখা হয়েছিল - পাবনা জেলার বড় প্রাণীদের মধ্যে মহিষ এবং হরিণ বিরল তবে বাঘ, চিতাবাঘ এবং বুনো শুয়োর সবখানে প্রচুর পরিমাণে আছে। পাবনা অঞ্চলের বুনো শুয়োরেরা সংখ্যায় অনেক বেশি এবং আকারে বড় ছিল যে কারণে এখানে বসবাসকারী এবং ঘুরতে আসা ইউরোপিয়ানদের মাঝে শুয়োর শিকার অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।
অভিবাদন, আমার প্রেসিডেন্ট কেন ইউলিয়ামসন।
তোমাকে কেন আমার প্রেসিডেন্ট বলছি, অনেকে অবাক হলেও তুমি জানো
কেন তোমাকে আমার প্রেসিডেন্ট বলছি।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই,
লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনালে
ইংল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের পর
তুমি পৃথিবীকে দেখিয়েছিলে, সত্যিকারের মানুষ কেমন হয়।
তোমার মধ্যে এই এই মানুষের রূপ দেখে
সারা পৃথিবীই সেদিন তোমাকে ভালবেসেছিল।
সে সময় রাহুল দেশাই নামে একজন টুইট করেছিলেন