এবং অবশেষে এসেই পড়লাম, সবার মাঝে। অন্তত যাদের লেখা পছন্দ করি। সামহোয়ার - এর গুমোটে থাকা এক ঘেয়ে আর গালাগালির চর্চার থেকে এযেন এক স্বস্থির নিশ্বাস।
অরুপ মিয়া না কইলে তো জানতামই না যে পিছনে পিছনে কিছু একটা চলতাছে, এক কথায় জট্টিল! যাক্কাস!! উড়াধুড়া!!! আইয়া দেখি হক্কলতেই আছে, মাশীদে তো দেখি ক্যায়া কালার লাগায়ে হ্যায় ... ভাগ্যিস পকেটে পয়সা কম ছিল, নাইলে তো আগুনই লাগায় দিতো।
সংযত থাকো সন্তাপে
আর শাকান্ন থেকে বৈরাগে
সুচতুর কিছু উত্তাপে
যার চুড়ান্ত কিছু নেই ভাগে
মাত্রার থেকে মাত্রাতে চল
শংকর থেকে অ্যালকোহল
যাত্রার প্রতি ঘাটে ঘাটে বল
ওংকারমতি দেয় টহল?
সদর্থ দেখো ঝাপসা তামাকে
ধূলিঝড় থেকে কালাপাহাড়
প্রিজমিক চোখে চেনোতো আমাকে
হরিহর থেকে চোরাখামার
(এটা সামহোয়ারইনে ...
সে যখন সমুদ্রের লোনা পানিতে পা ডুবিয়ে তীরে এসে নামলো তখন আকাশ নীল হতে শুরু করেছে। মাটিতে দাড়িয়েই সে চারদিকে তাকায়। দ্বীপটাকে সমুদ্রেরই একটা অংশ মনে হয়, বালিয়ারীতে ঢেউ খেলতে খেলতে গোটা কয়েক নারকেল গাছের ঝোপে গিয়ে শান্ত হয়ে বসেছে। এখনও সবকিছু স্পষ্ট নয় কেবল আবছা আবছা আলোয় ঘুমন্ত গ্রামটাকে বড্ড বেশি শান্তু দেখায়। বেশ কিছু দিন এখানে থাকা যাবে আপনমনে খুশি হয়ে ওঠে লোকটা।
জেবতিক আরিফ মূলত একটা পোস্টে এই ভাবনা উসকে দিয়েছেন। সচলায়তনের এই একটা ব্যাপার আশা করি আমাদের আরো উপকারে আসবে। সামহোয়্যারে উঠতে বসতে ছাগু তাড়ানোর জন্য সময় দিতে হতো, রিসোর্স ব্যয় হতো, সচলায়তনে কিছু আলাদা ভাবনার সময় ও সুযোগ ব্লগারুরা নিজেরাই করে নিতে পারবেন।
একটু দূরে থাকা, একটু আড়াল রাখা--কেন জানি ভালো লাগে সব সময়। নতুন মানুষ, নতুন পরিবেশকে সহজে আপন ভাবতে পারাটাও আমার চিরায়ত অপারগতা। প্রজাপতি আমাকে আড়াল দিয়েছিলো তার ডানার ভেতরে, অনেক নতুনের মাঝে। একটা বছর! এই এক বছরে সেই নতুন মানুষগুলোকে ভেবেই আমি গাইতে পারি,
চেনা দুঃখ চেনা সুখ
চেনা চেনা হাসি মুখ
চেনা আলো চেনা অন্ধকার
চেনা মাটি চেনা পাড়া
চেনা পথে কড়া নাড়া
চেনা রাতে চেনা চিতকার!