এক.
সাংবাদিক জীবনে কী দুর্বিপাকে যেন আমি একবার এফ.ডি.সি বিটের দায়িত্ব পেলাম।সম্ভবত:২০০০ সাল অথবা তার আগের ঘটনা।এফ.ডি.সি.তে তখন খুল্লামখুল্লা সিনেমার উৎসব।সেই এফ.ডি.সি তে সাংবাদিক হিসেবে ঢুকে তো আমার মহা আনন্দ।যা দেখি,তাতেই চোখ টাটায়।
নায়িকা ময়ূরী কিংবা মুনমুনের লগে ঘনিষ্ট হয়ে বসে ইন্টারভিউ নেই,শট দেয়া থেকে মুনমুন উঠে এসেছে,তার পরনে কোন কাপড় নেই (মানে যতোটুকু আছে,তাকে কাপড় বলা না বলায় কিছু যায় আসে না।)তার বিশাল বক্ষের দিকে তাকিয়ে আমি আমার প্রশ্নটশ্ন ভুলে যাই।সপ্তাহান্তে প্রডিউসারদের পার্টিতে গেলে একস্ট্রা খাতির,চাইলে সিনেমার এক্সট্রা নায়িকা ফ্রি এরকম প্রকাশ্য ইঙিত,যথেচ্ছা পান করার সুযোগ,বগলদাবা করে বোতলটোতল কিংবা বিয়ারের ফ্রি কেস যাতে বা
প্রথমে বামে, তারপর ডানে। সামনে দিকটায় উপর-নিচ করে করতে হবে। ম্যাটাডোর থ্রি এঙ্গেল টুথব্রাশ দিয়ে উপরের পাটির হার্ড-টু-রিচ এরিয়ায় যখন ঘষাঘষি করছি তখন সাত্তার মামা খবরটি দিলো। মুখে টুথপেস্টের ফেনা জমে উঠলে আমি কিছুক্ষণ মুখ বন্ধ করে চুপচাপ থাকি, বড় বড় করে নি:শ্বাস নিই। কিন্তু সাত্তার মামার কথা শুনে চুপ থাকতে পারলাম না। ফুচ্চক করে কলগেটের ফেনা বেসিনে ফেলে চমকে গিয়ে বলি - 'কী বলো মামা? আসলেই?'
সাত্তার মামা তখন গরম গরম পরোটা ছিড়ে মুরগীর গিলা-কলিজার ঝোলে চুবিয়ে ডান হাতে মুখে তুলে দিচ্ছে, চোখ তীক্ষ্মভাবে বাম হাতে ধরে রাখা কাগজের উপর। বেসিনের পাশে ঝুলানো তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে আমি আবছা দেখতে পাই - মামার হাতের কাগজে ছক করা ঘর। পাশে গিয়ে বসলে মা