মাঝে মাঝে এরকম অযথা টেনশন ভর করে। মনে হচ্ছে - চাকরীর ইন্টারভিউ হবে একটু পর। সরণ বারবার ঘড়ি দেখে। চেয়ার থেকে উঠে বুমার্সের পেছনে কাঁচের জানালায় বাইরে তাকায়। ডাচ বাংলা ব্যাংকের অফিস দেখে মনে হচ্ছে গুছানো কোনো ডুপ্লেক্স বাড়ী। শনিবারে অনেক অফিস বন্ধ থাকে তাই রাস্তায় ভীড় নেই তেমন। গুলশান-মীরপুর রুটের রাইডার ছুটে যাচ্ছে, পেছনে ফুকফুক করে কালো ধোঁয়া বেরুচ্ছে। সরণ ক'দিন আগে বিবিসি-তে দেখছিল, বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট। সম্ভবত: নারায়ণগঞ্জ কিংবা গাজীপুরের ইটের ভাটার ভিডিও দেখাচ্ছিল। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে হয় পেছনে কে যেন দাড়িয়ে আছে। সরণ পাশ ফিরতেই
- এক্সকিউজ মী! আপনি সরণ?
- হ্যাঁ, আপনি - - -
- আমি বেলা।
- কেমন আছেন?
- এই তো
খুব ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে গিয়েছি জুমার নামাজে । হুজুর বয়ান করছেন তার দরদীকন্ঠে । বয়ানের বিষয় যথারীতি বিশ্বব্যাপী মুসলিম নির্যাতন । সে সময়ের হট আইটেম ছিল প্যালেষ্টাইন । মুসলমানদের প্রতি ইহুদী ও নাসারাদের বিদ্বেষের উদাহরন টানতে গিয়ে হুজুর ফরমান " নোবেল আসলে নজরুল ইসলামের পাওয়ার কথা ছিলো । মুসলমান বলেই তাকে না দিয়ে কাফির রবীন্দ্রনাথ কে দিয়েছে নাসারা'র দল '
জুম্মা থেকে বের হবার পর বাবা বললেন 'হুজুরের কথা ভুলে যাও । এসব মিথ্যে । রবীন্দ্রনাথ যখন নোবেল পান, নজরুলের বয়স তখন মাত্র ১৪ বছর '
হুজুরেরা আছেন এখনো । বহাল তবিয়তেই আছেন । রোশনাই আর চেকনাই আরো বেড়েছে । মসনদের স্বাদ ও পেয়ে গেছেন । ইদানিং হুজুরেরা দেখছি ব্লগিং ও করেন ।
ব্লগের পাতায়
আজ ২৬ মে। ১৯৭১ সালের এই দিনে সিলেটের বালাগঞ্জে পাক বাহিনী ও তাদের দালালরা মেতে উঠেছিল হত্যাযজ্ঞে।
১৯৭১ সালের ২৫ মে একটি জীপে করে পাকবাহিনী ও রাজকাররা বালাগঞ্জের বুরুঙ্গা বাজারে প্রবেশ করে। লোকজন ভয়ে পালাতে থাকলে বলা হয় ভয়ের কোনো কারন নেই ২৬ মে স্কুল মাঠে কার্ড দেওয়া হবে। আপনারা উপস্থিত থাকবেন। এ আহবানে অনেকেই স্বস্থিবোধ করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মে লোকজন বুরুঙ্গা হাইস্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকেন। পাক ক্যাপ্টেন নূর উদ্দিন রাজাকার ছাদ উদ্দিন ও আবদুল খালিকের নেতৃত্বে সকাল ১০ টায় পাকসেনারা স্কুল মাঠে অবস্থান নেয়। তারপর উপস্থিত লোকজনকে ২ ভাগে ভাগ করে গাছের নিচে বসানো হয়।
চারদিক থেকে পাকসেনার সশস্ত্র ভাবে ঘিরে রাখে স্থানটিকে। তারপর ক্যাপ্টেন নূর উদ্দ
নির্যাতন নিপীড়ন ছিলো, আছে ।প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও ছিলো, আছে । সময়ে দুটোরই প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিতে বহুমুখীতা এসেছে । সেই বৃটিশরা হত্যা করেছে সাধু,কিনুদের- পাকিস্তানীরা নাচোলের সাঁওতালদের, স্বাধীন দেশের সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্রগ্রামের আদিবাসীদের । নিহত হয়েছেন আলফ্রেড সরেন । নিহত হয়েছেন চলেশ রিচিল ।
নিপীড়ন আর রাষ্ট্রীয় সীমানায় সীমাবদ্ধ নেই । আমেরিকা , পাকিস্তান সুদান থেকে তুলে নিয়ে গেছে অনেক তরুন কে । শুধু পাকিস্তানেই গত কয়েকবছরে নিখোঁজ হয়েছে হাজার পাঁচেক তরুন । ধারনা করা হয় জর্দান কিংবা কাতারের মতো তৃতীয় কোনো দেশে এদের আটকে রাখা হয়েছে ।
প্রতিবাদ ও এখন আর কেবল দেশীয় নয় । প্রতিবাদ ও ছড়িয়ে পড়ে দেশ থেকে দেশে, সারা পৃথিবীতে । প্রতিবাদের ধরনে ও এ
১.
কাল রাতেও ঘটনাটা ঘটল। আমি খেতে বসতেই অনন্যা এসে হাজির। হিস হিস করে বলে, ‘ ভাবী তোমার লজ্জা করেনা? নিজের বুঝ ঠিকই বুঝ, আর অন্যের কিছু পেলে হুলস্তুল বাঁধিয়ে দাও!’ আমি আর খেতে পারলামনা। গলায় কষ্ট দলা পাকিয়ে ব্যাথা শুরু হল। চব্বিশ ঘন্টা আগের ঘটনাটা বলতে গিয়েও রুপার গলাটা ধরে আসে। কেঁদে ফেলে। জহির বউকে শান্তনা দেয়। আহা কেঁদনাতো। ঠিক হয়ে যাবে সব। কালই আমি বকে দেব অনন্যাকে। রুপার মন অন্যদিকে ফেরাতে চেস্টা করেন। তবু সে ফুঁপাতে থাকে। বলে যায়, মা-ও কিছু বল্লেন না। যেন আমি মহা অন্যায় করেছি। তারইতো মেয়ে। কিছু যদি হয়, আমার থেকেতো তারই বেশি কষ্ট হবে। কিন্তু তার ভাব দেখে মনে হল অনন্যা যা করছে ঠিক করছে। আমি এ নিয়ে কথা বলে অন্যায় করেছি! আর এমন কি
একটি সত্য ছবি:
তারুণ্যে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এই দেশ ঘুরে গিয়েছিলেন ৬৯ সনে।তারপর বোকা মহিলাটি আবার এদেশে ফিরে এসেছিলেন ৭২ সালে।রক্তাক্ত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের ফিজিওথেরাপি দিতে ।কেউ তাকে ডেকে আনেনি।তবু তিনি চলে এসেছিলেন।পাগলী আর ফিরে যাননি।
৭৯ সনে অনেক চেয়ে চিন্তে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিত্যক্ত গুদাম ঘরখানি পেলেন।ঝেড়েমুছে শুরু করলেন একটা ছোট,খুবই ছোট ফিজিওথেরাপির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।সি.আর.পি।
তারপর সেই বোকা মেয়েটি তার সীমিত সাধ্যে একখান সাইকেল চেপে ঘুরতে লাগলেন দুয়ারে দুয়ারে।মাথা নিচু করলেন,হাত পাতলেন,অপমানিত হলেন,গঞ্জনা সইলেন,হতাশ হলেন তবু হাল ছাড়লেন না।নিজের জন্য নয়,সেই বোকা মানুষটি সব করলেন আমাদের জন্য।মেরুদন্ড ভেঙ্গে প
নাইট শিফটে কাজ করা ঝামেলা। দিনে না ঘুমালে রাত জাগা কষ্ট। বারবার কফি খেয়ে চোখ খোলা রাখতে হয়। ব্যস্ততা তেমন নেই। এর মাঝে সুপারভাইজর রায়হান ভাই চক্কর মেরে গেছে দু'বার। সরণ ভাবছে - ডিসেম্বরের মাঝে চাকরীটা পার্মানেন্ট হয়ে যাবে। রায়হান ভাই কয়দিন আগে হাল্কা পাতলা ইঙ্গিত দিয়েছে। সরণের ইচ্ছে ডিপার্টমেন্ট চেঞ্জ করবে। ইন্টারন্যাশনাল রোমিংয়ে কল করেছে। ওখানে হয়ে গেলে ভালো হয়। কল সেন্টারে আর ভালো লাগছে না। নানান লেভেলের লোক ফোন করে, কথা বুঝতে চায় না। তবুও মাথা ঠান্ডা রেখে কথা বলতে হয়। একটেল কাস্টমার সার্ভিসের ভয়ানক মহিলার গালাগালির অডিও ফাইল কাহিনী এখনো মানুষের স্মৃতি থেকে মুছেনি---! এসব ভাবার সময় কল আসে-
- সিটিসেল কল সেন্টার, সরণ স্পীকিং। মে আই হেল্প
ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে ওপেন এয়ার কনসার্ট। বাংলালিংকের স্পন্সরশিপ। ভীড়ে গিজগিজ অবস্থা। খানিকটা দূরে দাড়িয়ে সরণ ভাবছিল কোথায় বসা যায়। শিবলী-সাব্বিরদের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। মোবাইলে কল করলেও রিসিভ করছে না। সরণ এসএমএস দিয়ে রাখে। একবার ভাবে - বাসায় চলে গেলে কেমন হয়? এরকম জনসমাগমে একা একা ভালো লাগে না, অস্বস্তি লাগে। সরণের মনে হয় - এখানে শুধু সে-ই একা এসেছে, আশেপাশে আর কেউ একা নেই। তারুণ্যের হৈ-চৈ। উচ্ছ্বল ছেলে-মেয়েদের দল। প্রেমিকা ধরে আছে প্রেমিকের হাত। প্রেমিকের গায়ে পাঞ্জাবী, স্কাই ব্লু জিন্স, প্রেমিকার সাদা শাড়ীতে লাল পাড়। মুহুর্তে মনে হয় - এ হৃদকম্পণের শহর হঠাৎ উৎসবের নগরী হয়ে গেছে। এক তরুণী অনভ্যস্ত হাতে শাড়ী গুছাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। ব
আজকে ব্লগে রেসিপি দেয়ার ধুম পড়েছে।আমিও সাধ্যমতো তাল মিলিয়ে যাচ্ছি।
আমার সাধ্যমতো একটা রেসিপি দিলাম।
মেরি বিস্কুট আর গ্লুকোজ বিস্কুট খাওয়া বেশ ঝঞ্জালের ব্যাপার।চায়ে চুবিয়ে খাওয়া তো আরো জটিল।প্রায়ই অর্ধেক বিস্কুট কাপে রয়ে যায়।তারপর মাঝে মাঝে তলানিতে পড়ে থাকে,মাঝে মাঝে ভাসতে থাকে।ভাসতে থাকলে মুশকিল বেশি।চা খাওয়া যায় না সহজে।
তাই এবার আপনাদেরকে শিখাবো কিভাবে চায়ে চুবিয়ে অক্ষত মেরি বিস্কুট খাবেন।
যা লাগবে:
গরম চা- ১ কাপ (চিনি সহ চা।চিনি ছাড়া চায়ে চলবে না)
মেরি বিস্কুট -প্রয়োজন মতো।
প্রণালী:
প্রথমে বিস্কুটের প্যাকেটের খোসা ছাড়িয়ে ছোট প্লেট অথবা পিরিচে রাখুন।
গরম চায়ের কাপটি কাছে নিয়ে আসুন।
(পেট সমান টেব
আহা আলবাব তুমি আর কত বেচাইন হবে!
নাতাশার নানীর গাড়ীতে বসে বসে তুমি
এইসব উকিল মুহরির দৌড় দেখেই আগামী
দিন কাটানোর জন্য প্রস্তুতি নাও...
আহমেদ নূর বেটা চাঁদাবাজ বটে!
তার আছে আরও অনেক জারিজুরি
তুমি তার কত পাশ টানবে?
তোমার আর কতটুকুনই আছে ক্ষেমতা?
নাতাশার নানী এই গাড়ী কিনেছিল বলে,
তার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দরকার বলেই
আজ এই কাচারির উঠানে তুমি আরামে
বসে আছ আর গেজাতে গেজাতে গিলছ
আমের আচার, গোপালের পান।
বিকেলের নীল প্রিজনভ্যানে দাগী অপরাধীর ভিড়ে
ভাঙ্গা পা টানতে টানতে মৌলির বাবা যখন মিশে
যান, তার আগে পত্রিকায় মোড়ানো মিহিদানা মিস্টি
হাতে পেয়ে লোকটার চোখ কেমন জ্বলজ্বল করে উঠে...
আহা আলবাব তুমি আর কত বেচাইন