বেলাদির মাথায় একরাশ ঘনকালো চুল ছিল। রাজের বিস্ময় মাখানো একজোড়া চোখ ছিল তার। তখন অবশ্য অতটা বুঝতামনা। শুধু চোখ গুলো দেখতে আমার ভিষন ভালো লাগত।
আমাদের বাড়ির উত্তর সীমানায় ছিল একসারি কদম গাছ। তার পরই শুরু বেলাদিদের বাড়ি। সীমানা থেকে ঘর অবধি যেতে বেশ লম্বা একটা ফাঁকা যায়গা ছিল। মখমলের মত বিছানো সবুজ সবুজ সেই ঘাসের মাঝখানে ছিল বেশ বড় একটা পাথর। অনেকটা বেদীর মত। সাদা রঙের সেই পাথরে বসে রোজ বিকেলে বেলাদি রবীন্দ্রনাথের বই পড়ত। মাঝে মাঝে সুনীল।
2001 সালের কথা।হায়দার নামের আমার এক বন্ধু একটি ফ্ল্যাট কিনে ফেলেছে! এই নিয়ে আমাদের বন্ধু মহলে বিরাট হৈ চৈ পড়েছে।আমরা তখনও মাত্র শুরু করেছি,ভাগে জোকে সিগারেট খাই,ডেটিংয়ে যেতে হলে এর ওর কাছ থেকে ধার করি,আর আমাদের মদনা বন্ধুটি এক্কেবারে ফ্ল্যাট কিনে ফেলল!চার বেড রুমের ফ্ল্যাট ,পুরোটা টাইলস দেয়া,ছাদে সুইমিংপুল!! গর্বে আমাদের বুক ফুলে যায়।ফ্ল্যাট টা এখনও নাকি শেষ হয় নি,হায়দার তাই জাকির রোডে আমাদের মেসের পাট চুকাতে পারছে না ।
তো বার বার আমরা হায়দারকে তার ফ্ল্যাট দেখানোর জন্য অনুরোধ করলেও ,সে দেখাচ্ছি দেখাবো করে পিছিয়ে যায়। আমরাও তখন বিভিন্ন কাজে খুব ব্যস্ত তাই খুব জোরালো ভাবে ফ্ল্যাট দেখতে যেতে পারি না।
একদিন অনেকটা নিজের মন আর হায়দারের
বিভিন্ন সময়ে এমন ভাবে বিষ্যটাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হয়েছে, এমন কি সাহিত্যেও বিষয়টা এমনভাবে উপস্থাপিত হয়েছে যেনো মুক্তিযুদ্ধ একটা হৈ হৈ রৈ রৈ বিষয়।হঠাৎ একদিন 26 শে মার্চ সকালে কেউ বলে গেলো তোমরা স্বাধীন। গনহত্যা হলো সারা রাত, বর্বরতায় মেরুদন্ড কুঁচকে যাবে ভয়ে এমন প্রত্যাশার রাত শেষে বেতারে ইয়াহিয়ার ভাষণ। মুজবিকে রাষ্ট্রোদ্রোহী ঘোষণা, আওয়ামীলিগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা।
ইতিহাসের সরল নির্মাণে আমরা নিশ্চিত ভাবেই ধরে নেই মুক্তিযোদ্ধা মানেই ধোয়া তুলসি পাতা পুতপবিত্র মানুষ না, পাকিস্তানপন্থি মানেই ববর্র নীচ চরিত্রের মানুষ। বিষয়গুলো কোনো যুদ্ধেই এমন না। মানুষের মানবিকতার সবটুকু যুদ্ধ নষ্ট করে দিতে পারে না। তবে সরল নির্মাণের ফলেই হয়তো ম
মহান কবিতা ছাড়া আর কিছুই মনে পড়েনা। পড়েছি অনেকবার, আবারও পড়লাম আজ। বার বার পড়া যায় বলেই আমার বিশ্বাস। সমমনাদের জন্য
শামসুর রাহমান এর কবিতা
স্বাধীনতা তুমি
স্বাধীনতা তুমি
রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান।
স্বাধীনতা তুমি
কাজী নজরুল, ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো
মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল-াসে কাঁপা-
স্বাধীনতা তুমি
শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা
স্বাধীনতা তুমি
পতাকা-শোভিত শে-াগান-ম
বাংলাদেশ সুপার এইটে উঠে গেলো ।
সুপার এইটে উঠলে কি হয়? ক্ষুধা দারিদ্্র কমে? সুশাসন নিশ্চিত হয়? ঘাতক দালালের বিচার হয়? কিছুই হয়না । তবু এক অদ্ভূত ব্যখ্যাহীন আবেগে চিৎকার করে উঠি-- জয় বাংলা
এই সেই দিন যেদিন শুরু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রক্তাক্ত জন্ম যুদ্ধ । কয়েক হাজার বছরের পরাধীন বাংগালীর স্বাধীনতার সংগ্রাম?
স্বাধীন হয়ে কি হয়? কি হয়েছে? ক্ষুধা-দারিদ্্র কমেছে? মানুষে মানুষে বৈষম্য কমেছে? সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে? কিছুই
ক্ষমতাবান সম্রাটরা আদিকালে নিজেকে ঈশ্বরই দাবী করতেন। জগতে সকল ক্ষমতা যার, প্রশংসা যার একক অধিকার, সিংহাসনে বসে মানব-উধর্্ব ক্ষমতার কল্পিত আস্বাদ পাওয়ার সাধ সেই পরাক্রমশীল নৃপতির হতেই পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যনত্দ পৃথিবীর অনেক জাতি-গোষ্ঠী-দেশে সম্রাট/রাজাধিরাজরাই ঈশ্বরের চরিত্রে অভিনয় করে গেছেন। নিরীহ প্রজা সাষ্ঠাঙ্গে প্রণাম করে নিজেদের ধন-প্রাণ নিবেদন করেছে সেইসব ঈশ্বরদের পদতলে। কিন্তু মানুষের সাকার দেহ, মরণশীল জীবন, আর সীমাবদ্ধ ক্ষমতা নিয়ে
রাইসুডাঙা আর ডটরাসেলপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রপিতামহের কাল হইতে কোন্দল বিরাজমান। তাহারা একে অন্যের প্রপিতামহীকে লইয়া অসম্মানজনক উক্তি করে, ক্ষণে ক্ষণে নিজেদের গুপ্তকেশের রেফারেনস টানিয়া আনিয়া শ্লেষোক্তি করে, এবং একে অন্যের কীর্তি লইয়া বিদ্রুপের শেল হানে। যদিও হাটবারে বাকিবিল্লারহাটে উভয় গ্রামের মানুষই সমবেত হয়, গুড় দিয়া মুড়ি খায় আর চা পান করে, মৃদুমন্দ তর্কাতর্কিও হয়, কিন্তু স্ব স্বগ্রামে ফিরিয়া তাহারা একে অন্যের মুন্ড চিবাইয়া খায়। দুই গ্রামের মাঝে খরস্রোতা পিয়াল নদী বহমান, তাহারা নদীর দুই কূলে দাঁড়াইয়া মাঝে সাঝে একে অন্যের দিকে মধ্যমা প্রদর্শন করিয়া থাকে, এমনও দেখা গিয়াছে। সাক্ষাতে অহিংস হইলেও আবডালে তাহারা বড় মারকুটিয়া।
তবে বিশ্ব
মীমাংসিত বিষয় নিয়ে 'বিতর্ক' হয় কী-না সেটা এক বিরাট প্রশ্ন। তবুও কিছু কিছু বিষয়ে 'বিতর্ক' জিঁইয়ে রাখা হয়। পেছনে থাকে স্বার্থের সুনিঁপুন ছলা। তেমনি একটি বিষয় - বাংলাদেশের 'স্বাধীনতার ঘোষক' বিতর্ক। মসনদ দখলের জন্য আরোপিত এ চেষ্টা দেশের ইতিহাস বিকৃতির একটি অংশ মাত্র। এভাবেই হয়তো নতুন নতুন বিষয় আসবে সামনের দিনগুলোয়। নতুন প্রজন্মের কাছে ঝাপসা প্রশ্ন ছুঁড়ে প্রমাণ করা হবে - 30 লাখ নয়, 3 লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল 1971-এর 'গন্ডগোলে'। 3 লাখকে ভুলে 'থ্রি মিলিয়
দানব রাষ্ট্র পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে বড় বেলুচিস্তান । শুধু আয়তনে বড় তা নয়, বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ প্রদেশ, তেল ও গ্যাস যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ।
তবে দানবরাষ্ট্রের নিয়ম মতেই বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে দরিদ্্র ও অবহেলিত প্রদেশ । জাতিগত বেলুচদের শিক্ষার হার সবচেয়ে কম । বেলুচিস্তানের তেল, গ্যাস ও অন্যান্য খনিজে সমগ্র পাকিস্তানের উন্নয়ন ঘটলে ও কেন্দ্্রীয় সরকারের কোনো অনুদান পায়না বেলুচিস্ত
সময় বড় সংক্ষিপ্ত এখন
বামুন-বনসাই জামানা।
উদ্যানে বিপনী বিতান
পেটের ভেতর মিনি চিড়িয়াখানা।
প্রকৃতির উৎসবে মুঠোফোন
বাণিজ্য। শর্ট ম্যাসেজ;
ঘন্টা বাজে: চিঠির মৃত্যু।
এখন আধুনিক রিমিক্স হাছন,
কান ঝালাপালা করে ডিজিটাল ফিউশন।