[লেখালেখি নিয়ে ভাবাভাবির কী আছে? সুমন চৌধুরী জার্মান কিছু পত্রিকা থেকে আমাদের জন্য অনুবাদ ধরনের লেখা পোস্টাতে চাচ্ছে। মনে শংকা, একে না আবার ফ্লাডিং বলা হয়। তার এই শংকাগ্রস্ততা নিয়ে আমার এই পোস্ট]বেশি লেখালেখিকে অনেকেই তেরচা চোখে দেখেন। বিশেষ করে বাংলা সাহিত্যের ছাত্ররা। সুতরাং অনিবার্যভাবে বাংলা সাহিত্য থেকে পাশ করা ছাত্র বা বাংলার শিক্ষকেরা কলম খুলেন কদাচিৎ। (বাংলা সাহিত্যের সেবা করেছেন এমন বেশিরভাগ লেখক অন্য বিভাগের ছাত্র। আর সাহিত্যের যদি হন
পুষ্প-তান্নুদের বাসায় সবাই এক হচ্ছি ঈদ উপলক্ষে। দুধের স্বাদ নিশ্চয়ই ফিরনিতে মিটবে। বিদেশের ঈদ নিয়ে ভাসমানের আক্ষেপে নড়েচড়ে বসলাম, ভাসমানের গলায় এত কষ্ট কেন? ঈদ-তো সবসময় একরকম ছিল না জীবনে। সময়ের সাথে সাথে এর উপযোগ বদলে যায়। আমার জীবনে তো বদলেছে অবশ্যই। ছোটবেলার নতুন পাজামা-পাঞ্জাবির সত্দর পেরিয়ে এসে কৈশোরে নতুন বাংলা সিনেমা দেখতে সিনেমা হলে হলে ঢুঁ মারা আর রাতে বিটিভির আনন্দমেলার জন্য অপেক্ষা। আরো বড় হয়ে দুপুরে ঘুম আর টানা তিনদিনের ছুটিতে গোটা দ
পুষ্প-তান্নুদের বাসায় সবাই এক হচ্ছি ঈদ উপলক্ষে। দুধের স্বাদ নিশ্চয়ই ফিরনিতে মিটবে। বিদেশের ঈদ নিয়ে ভাসমানের আক্ষেপে নড়েচড়ে বসলাম, ভাসমানের গলায় এত কষ্ট কেন? ঈদ-তো সবসময় একরকম ছিল না জীবনে। সময়ের সাথে সাথে এর উপযোগ বদলে যায়। আমার জীবনে তো বদলেছে অবশ্যই। ছোটবেলার নতুন পাজামা-পাঞ্জাবির সত্দর পেরিয়ে এসে কৈশোরে নতুন বাংলা সিনেমা দেখতে সিনেমা হলে হলে ঢুঁ মারা আর রাতে বিটিভির আনন্দমেলার জন্য অপেক্ষা। আরো বড় হয়ে দুপুরে ঘুম আর টানা তিনদিনের ছুটিতে গোটা দ
পমি রহমান সিনে সাংবাদিক হলেও সে মাঝে মাঝে কাজের খবরের কাগজও পড়ে। গাব্রিয়েল মগাদিশু চৌরাসিয়া কয়েকটা খবরের কাগজ রাখেন, রহস্যভেদীদের সবসময় চারপাশের হালহকিকত সম্পর্কে ওয়াকি রাখতে হয়, তাই পমি রহমান চৌরাসিয়ার বাড়িতেই এসে খবরের কাগজটা পড়ে যায়। নিজের বাড়িতে তার কেবল সৌজন্য সংখ্যা সিনেপত্রিকা আসে। ওখানে সেন্টারফোল্ড পোস্টারগুলিকে সে কেটে দরজায় লাগায়, আর বাকিটা পত্রিকা অন্যান্য কাজে লাগায়, পড়ে না মোটেই।আজ খবরের কাগজে এসেছে অদ্ভূত শিরোনাম। "টয়লেট দানবের
আমাদের ভার্সিটি কালে যখন যাযাদি কমপ্লেক্স ছিলো না, ইস্টার্নপ্লাজার মত দোকান-পাটে সসত্দা ভিসিডি-ডিভিডির (এসব ফরম্যাটের প্রযুক্তিই আসেনি) রমরমা বাজার ছিল না তখন ছবি দেখার জায়গা ছিল বিভিন্ন দূতাবাসের ইনফরমেশন সেন্টারগুলো। সবাই সোৎসাহে ফিল্ম সোসাইটি করতো যাতে মেম্বারশিপের সুবাদে মুফতে ভালো বিদেশি ছবি দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। রাশান কালচারাল সেন্টার, ইন্ডিয়ান ইনফরমেশন সেন্টার, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, গ্যোয়েটে ইন্সটিটিউট, ব্রিটিশ কাউন্সিল, ফিল্ম আর্কাইভ এবং কালে
আমাদের ভার্সিটি কালে যখন যাযাদি কমপ্লেক্স ছিলো না, ইস্টার্নপ্লাজার মত দোকান-পাটে সসত্দা ভিসিডি-ডিভিডির (এসব ফরম্যাটের প্রযুক্তিই আসেনি) রমরমা বাজার ছিল না তখন ছবি দেখার জায়গা ছিল বিভিন্ন দূতাবাসের ইনফরমেশন সেন্টারগুলো। সবাই সোৎসাহে ফিল্ম সোসাইটি করতো যাতে মেম্বারশিপের সুবাদে মুফতে ভালো বিদেশি ছবি দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। রাশান কালচারাল সেন্টার, ইন্ডিয়ান ইনফরমেশন সেন্টার, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, গ্যোয়েটে ইন্সটিটিউট, ব্রিটিশ কাউন্সিল, ফিল্ম আর্কাইভ এবং কালে
দেশের নেতৃত্বের কথা উঠলে, ভবিষ্যতের কথা উঠলে প্রায় সবাই বলে, ভুল লোকগুলো ভুল জায়গায় বসে আছে। তাতে কি? এসব ছুটকো কারণে গদি থেকে নিতম্ব সরানোর কথা তারা ভাবেন না । চেয়ার দখলে থাকায় আর টেন্ডলদের হাম্বারবে বরং তারা একসময় ভাবতে থাকে দক্ষতা তাদের থাকুক না থাকুক জনসমর্থন তাদের পেছনেই আছে। গদিনশীন তাদেরকে সালাম ঠুকতে ঠুকতে জনগণ অভ্যসত্দ হয়ে যায় এরকম ছায়াছবিতে আর ভাবতে থাকে বিষয়টা পরদাদাদের আমল থেকে এরকমইতো ছিল। সুতরাং কোনো অদল-বদলের দাবী ওঠে কদাচিৎ। দর্জ
দেশের নেতৃত্বের কথা উঠলে, ভবিষ্যতের কথা উঠলে প্রায় সবাই বলে, ভুল লোকগুলো ভুল জায়গায় বসে আছে। তাতে কি? এসব ছুটকো কারণে গদি থেকে নিতম্ব সরানোর কথা তারা ভাবেন না । চেয়ার দখলে থাকায় আর টেন্ডলদের হাম্বারবে বরং তারা একসময় ভাবতে থাকে দক্ষতা তাদের থাকুক না থাকুক জনসমর্থন তাদের পেছনেই আছে। গদিনশীন তাদেরকে সালাম ঠুকতে ঠুকতে জনগণ অভ্যসত্দ হয়ে যায় এরকম ছায়াছবিতে আর ভাবতে থাকে বিষয়টা পরদাদাদের আমল থেকে এরকমইতো ছিল। সুতরাং কোনো অদল-বদলের দাবী ওঠে কদাচিৎ। দর্জ
আজ কোন মিটিং সমাবেশ নেই।
দর্শনার্থী নেই।
দফতরের কাজকর্মও স্থগিত করা হয়েছে। তবুও সকাল থেকে তার মনটা খুব ভার হয়ে আছে। আহ্! পাঁচ বছর কেটে গেলো! মনে হলো এই তো সেদিনের ঘটনা। সবাই মিলে কি হৈ হুল্লোড় করে এ বাড়ীতে উঠেছিল। আজ বাড়ীটা ছেড়ে দিতে হবে। বিশাল লন, খোলা বারান্দা, চাকর-বাকর-খানসামায় সয়লাব। চা-য়ের কেটলী চুলা থেকে নামতো মাঝরাতে। কত লোক এর আসা যাওয়া! কতো দেন-দরবার, শলা পরামর্শ, কতো স্মৃতি! এরকম লোকে গমগম এই বাড়ীটা আজ থেকে বেশ কয়েক মাস খাঁ খাঁ
শিল্পের মুক্তি কিংবা শিল্পের অবলুপ্তি কোন অভিধা দেওয়া যায় উত্তরাধুনিকতাকে। অতিরিক্ত বানিজ্যিকরণের প্রভাবে যখন বক্তব্য আর ভঙ্গির মাঝের সম্পর্কগুলো খুলে পড়ে যাচ্ছে, যখন পরিচিত আবহগুলোকে খুঁজতে গিয়ে হয়রান হতে হয়, আমাদের উচ্চারনগুলো প্রাত্যহিকতার পর্যায় থেকে শিল্পের জগতে ঢুকে যাচ্ছে কোনো রকম আড়ালের আবশ্যকতা না রেখে, আমাদের ভাবনার স্ফুরণের সবকটা পর্যায়ই সাহিত্য-শিল্প হিসেবেপ্পরিচিত হচ্ছে সেইসব তাৎক্ষণিকতার সাথে শিল্পের সম্পর্ক কতটুকু?আমাদের স্বাধীনতা দিচ্ছে, আমাদের কোনো নির্দিষ্ট ধারায় চলাচলের কোনো প্রয়োজন নেই এখন। আমরা কাব্যিক ভাবপ্রবণতাকে আধুনিকতার সাথে সম্পর্কিত করে ফেলছি, আমরা রুপকের প্রয়োজনীয়তাকে অস্ব ীকার করছি সচেতন ভাবে। সহজবোধ্যতাই একমাত