ব্লগ

নোবেলচি

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বুধ, ১৮/১০/২০০৬ - ৭:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুক্কুরবার মোবাইলে কোন এক হতভাগা জানি বার্তা পাঠাইলো, "ইউনুস শান্তিতে নোবেল জিতিয়াছে! হুররে!"মনে মনে হাসিলাম। রোসো বৎস, অত ফূর্তির কিছু নাই। নো বেল, এই নোবেলের কোন বেল নাই। টাইপিং মিশটেকে হয়তো নোবেল কমিটি ভুল করিয়া এরূপ কীর্তি করিয়া বসিয়াছে। নইলে শান্তিতে ইউনুস কী করিয়া নোবেল জয় করিবে? নিশ্চয়ই কোন গলদ রহিয়াছে। অচিরেই শুদ্ধিপত্রে বাহির হইবে, ইউনুস নহে, ইউনান প্রদেশের মেয়র ইউ নুং নোবেল লভিয়াছে, তাহার প্রদেশে ছান্তিছিঙখলা বজায় রাখিবার জন্য। বাঙ্গালি জিতিবে নোবেল, তবেই হইয়াছে। ছোহ!কিন্তু কয়েক ঘন্টা কাটিয়া গেলো, শালার ব্যাটারা শুদ্ধিপত্রে কিছু কহিলো না। আমার বেজায় রাগ হইতে লাগিলো। নরওয়ের নরকূল এমন ছাগুপনা করে কিভাবে? এ-ও কী সহ্য করা যায়? বাঙ্গাল


&#২৪৪০;&#২৪৮৬;&#২৫০৯;&#২৪৭৬;&#২৪৮০;&#২৫০৩;&#২৪৮০; &#২৪৭৪;&#২৪৯৯;&#২৪৬৯;&#২৪৯৫;&#২৪৭৬;&#২৪৯৬;&#২৪৮০; &#২৪৭৬;&#২৪৯৪;&#২৪৩৯;&#২৪৮০;

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ১৭/১০/২০০৬ - ৫:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থে মানুষ ও ঈশ্বরের সম্পর্কের এক পৌরাণিক ব্যাখ্যা আমরা পাই। মূল গল্প ওল্ড টেস্টামেন্টের। আরব অঞ্চলের ধর্মগুলো সে গল্প নিজেদের মত করে পরে অদল-বদল করে নিয়েছে। সেই গল্পকথার সূত্র ধরে আমরা জানি, স্বর্গোদ্যানে মহাসুখে বিচরণরত আদমকে বেআদব শয়তান কেবলি ফুঁসলাত। আদম সেই ধান্দায় পড়ে জ্ঞানবৃৰের ফল খায়। তারপর এই অপরাধে স্বর্গ থেকে আদম ও হাওয়ার পপাৎ ধরনীতল। ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞানের জন্য নাকি অনেক ইশারা আছে কিন্তু কিভাবে আদম


সবে কি হবে ভবে ধর্মপরায়ন?

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: মঙ্গল, ১৭/১০/২০০৬ - ৩:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সাঁইজি কে নিয়ে একটা ভিডিও ক্লিপ পেলাম ।

সুমন মুখার্জীর নির্দেশনায় সুদীপ্ত চ্যটার্জীর একক পরিবেশনা । অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ বছর এপ্রিলে নিউইয়র্কে ।

লিংক


আর্চিস গ্যালারী পেরিয়ে...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: সোম, ১৬/১০/২০০৬ - ১:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


মাধবী কখনো সিডিউল মিস করে না। তপুই বরং মাঝে মাঝে দেরী করে। কিন্তু আজ উলটো ঘটনা। তপু পনের মিনিট আগে এসে অপেক্ষা করছে। এ সময়টায় আর্চিস গ্যালারীর ভেতরে ভীড় হয়। তপু-মাধবী ঈদকার্ড কিনবে, কিন্তু শর্ত হলো ঈদের সকাল ছাড়া খোলা যাবে না। ঈদের সকালে ফোনে 'ঈদ মোবারক' বলতে বলতে খাম খুলতে হবে। গত কয়েকটা ঈদে এমন হচ্ছে।একটু পর মাধবীর রিকশা এসে থামে।- উঠ, রিকশায় উঠ...।- কোথায় যাবি? এখানেই তো আসার কথা ছিল।- আহ্! উঠ তো, তারপর দেখবি কই যাই। মাধবী তাড়া দেয়।তপু উঠে ব


'মনিকা আবার কবে আসবেন?' : : অভিনন্দন হে বাবুরাম সাপুড়ে

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: শনি, ১৪/১০/২০০৬ - ৯:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


।1।
তিনি এসেছিলেন ।
জ্যাম জট,ধূলো, শ্যাওলা-ময়লার এই নারকীয় ম্যানহোলে ।
মার্কিন মুলুকে তিনি অনেক নাম কামিয়েছেন , অপেরাতে নাকি বাদ্য-বাজনা করেন ।
এই নারকীয় ম্যানহোলের জাতীয় মঞ্চে ও তিনি পিয়ানো বাজিয়েছিলেন । আমাদের মন্ত্রী-যন্ত্রী, আমলা-গামলা,বুদ্ধিজীবিরা সে বাজনায় বিমোহিত হয়েছিলেন । আমরা অভাজনরা টিভির পদর্ায় আর খবরের কাগজের পাতায় তার ছবি দেখে ই ধন্য হয়েছিলাম ।

তিনি ফিরে গিয়েছিলেন তাদের স্বর্গে ।
আহা তার বিদায় বেলায় বেদনায় সবথেকে কা


অভিনন্দন মুহাম্মদ ইউনুস

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শনি, ১৪/১০/২০০৬ - ৮:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুহাম্মদ ইউনুস নোবেল শান্তি পু রস্কার পেলেন, আমার অনুভুতি মিশ্র, এর আগে আমরা যেভাবে অমর্ত্য সেন বাংলাদেশে জন্মেছে বলে একটা সান্তনা খুঁজছিলাম এই বৈশ্বিক গর্বে বাংলাদেশকে আত্তিকরনের জন্য এই হাহাকারটা কমে গেলো। একেবারে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের একজন নাগরিক বৈশ্বিক স্ব ীকৃতি পেয়েছে। একজন বাংলাদেশি হিসেবে এই গর্বের অংশীদার আমি। তবে অন্য একটা প্রশ্নও মাথায় ঘুরছে। আমার অনুভুতি বলতে হলে আমি বলবো, একজন ব্রেইন সার্জন যদি তার নখ কাটার দক্ষতার জন্য পুরস্কৃত হয় যেমন লাগবে আমারও তেমন লাগছে। পুরস্কারের জন্য ভালো লাগছে তবে পুরস্কারটা আসলে সম্মানিত করলো নাকি অসম্মানিত করলো মুহাম্মদ ইউনুসকে এটা বুঝলাম না।মুহাম্মদ ইউনুসের মাইক্রোক্রেডিট প্রকল্প যত বড় সাফল্যজনক


নাকের বদলে নোবেল পেলাম

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শনি, ১৪/১০/২০০৬ - ১:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ড. ইউনুস আর গ্রামীণ ব্যাঙ্ক নোবেল শান্তি জিতে নিয়েছেন। বাংলাদেশ এখন দস্তুরমতো নোবেলজয়ী দেশ।দারিদ্র্য ঘোচানোর জন্য ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার বৃহৎ যজ্ঞের আয়োজন করেই ইউনুস বাংলাদেশের ললাটে এই নোবেলতিলক এঁকে দিলেন। আগামীকাল বাংলাদেশের তিনকোটি ভুখানাঙ্গা মানুষ ঘুম থেকে জেগে উঠবে শূন্য উদর, গৌরবপূর্ণ বক্ষ, নোবেলজয়ের আনন্দে হাসিভরা মুখ, আর ক্ষুদ্র ঋণের প্রতিশ্রুতিতে ভরপুর হৃদয় নিয়ে।আমি চোখ মুছি। আনন্দে, বেদনায়। দাতারাও হাসেন। কেন কে জানে।কত লজ্জা, কত দুর্নাম, কত কিছু রটে আমাদের নামে। আমরা, লড়তে লড়তে যাদের সবকিছু ফুরিয়ে আসে, হঠাৎ যেন ঝপ করে রাজকন্যার খোঁপায় বাঁধা পারিজাতের মালা এসে আমাদের হাতে পড়েছে। এ নিয়ে কী করবো আমরা ঠাহর করতে পারি না। লজ্জায় কাটা পড়া ন


উত্তরাধুনিকতার ব্যাবচ্ছেদ -২

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শুক্র, ১৩/১০/২০০৬ - ৩:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিচ্ছিন্নতার সুতায় গেঁথে মানবজীবন শুধু অনুভবগুলোকে একটা একটা করে তুলে আনা, উপর্যুপরি বিশ্লেষনের পর অবশেষে নিশ্চিত হওয়া আসলে মদ-মাংস এবং চামড়ার আড়ালে যা আছে সবটুকুই নিখাদ অনু-পরমানুর কোলাহল। বিচ্ছিন্নতার মানসিক অভিক্ষেপ পড়ছে, আমাদের প্রতিটা ভ্রমন এভাবেই একেকটা মনের কানাগলিতে গিয়ে থামছে, এই সাংস্কৃতিক বিবর্তনটা এক পর্যায়ে বস্তু এবং চরিত্র থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে একটা ধাঁধাঁ তৈরি ফেলে। সেই স্টেরিওটাইপড আইডিয়াগুলোকে আবার নিরিক্ষা করা, প্রয়োজন আছে কি নেই এসব যাচাই না করে আঙ্গিক এবং ভাষ্যের ক্রমাগত ভাঙচুড়।আমাদের মানসিকতার ভেতরে আড়ালের প্রয়োজন হয়ে গেছে, আমাদের বর্তমান ফ্ল্যাট কালচারের মতো, নাগরিক জীবনের সহাবস্থান এবং আপাতসংলগ্নতা সত্ত্বেও যে বিচ


তাহাদের ঈদী ফোনালাপ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: বুধ, ১১/১০/২০০৬ - ১১:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


রাত বারোটার দিকে হঠাৎ মিসকল।একবার।দুইবার।তিনবার।নাম্বারটির দিকে তাকিয়ে খালেদা মুচকি হাসলো। ভাবলো সেও মিসকল দিবে। কিন্তু কী ভেবে জানি ফোন করে বসলো।ফোন রিসিভ করেই ওপাশে হাসির মাতম। হাসি থামিয়ে হাসিনা বলে- কী গো বইন ডরাইছো?- না, ডরামু ক্যান। তুমি মনে করছো তোমার নম্বর আমি জানি না?- নম্বর জানলে ফোন করো না ক্যান?- এই তো করলাম।- হ করলা... আমি মিসকল দিলাম বইলাই তো করলা।- মিসকল দিলে কী সবাই কলব্যাক করে কও? তোমার নম্বর দেইখাই কল ব্যাক করলাম।-যাউক আর কথা


দুই টাকার সেলিনা পারভীন, কয় টাকার বাংলাদেশ হে?

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: মঙ্গল, ১০/১০/২০০৬ - ৭:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


অতটুকুতেই তাকে নিয়ে গল্প লিখা যেতো ।

1931 এ নোয়াখালীর রামগঞ্জে যে মেয়ের জন্ম হলো, বছর কয়েক পর সে চলে এলো ফেনী শহরে । মেট্টিক পরীক্ষা দিলো । পাশ করতে পারলোনা । একাডেমিক পড়াশোনো আর হলোনা তার ।
সেই মেয়ে, সেই সময়ে কি করে নিজেকে এতোটা স্বশিক্ষিত করে তোললো? রোকেয়া হলের মেট্টন হলো, 'ললনা' নামের পত্রিকার সাংবাদিক হলো, তার পর এক সময় নিজেই সম্পাদনা শুরু করলো সাহিত্য পত্রিকা 'শিলালিপি' । এর ভেতর একবার বিয়ে ও হলো । ভেঙ্গে ও গেলো (বাংগালী পুরুষ অন্যের