কাশ্মীরের শালের খ্যাতি সারা জগত জুড়ে, সাধারণ পশমিনা চাদর নয়, সান্তুষ নামের সেই অতি সুক্ষ পশমের বয়নের শৈল্পিক কারিগরি, যা আরাধ্য অনেকের কাছেই। ইতিহাস বলে মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের বর্ণনায় জানা যায় তাঁর বাবা আকবরের একটি সান্তুষ শাল ছিল, যেটা নিয়ে বিখ্যাত ফরাসী রত্ন ব্যবসায়ী ট্যাভার্নিয়ের বেশ ক’লাইন লেখার সাথে সাথে উল্লেখ করেছিলেন যে এটা তিব্বতের এক ধরনের বুনো ছাগলের পশম, মোঘলরা একে বলত টূজ। নেপোলিয়ন
উজবেকিস্তানে রুটি ছুরি দিয়ে কাটা হয় না। হাত দিয়ে ছিঁড়ে নেয়া হয়। রুটির উপর ছুরি বা চাকুর ব্যবহার ভালো চোখে দেখা হয় না। এমন কি রুটি ছিঁড়ে নেয়ার পর উল্টো করে বা উপুর করে প্লেটে বা টেবিলে কেউ রাখে না। এটা দৃষ্টিকটু এবং রুটির প্রতি অবমাননাকর, অসম্মানজনক।
আপনার সবাই ইতিমধ্যেই জানেন, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের বহুল আলোচিত যেই কিট তৈরি হয়েছে সেটার প্রধান গবেষক [b]ড.
আমাদের স্কুল ছিলো এক আজব মজার জায়গা। শিক্ষকদের মাঝে বৈচিত্রপূর্ণ চরিত্রের যেমন অভাব ছিল না। ছাত্ররাও ছিল তেমনি রঙিন বাহারের। তাদের মেধাদীপ্ত কর্মকান্ড লিখতে গেলে সপ্তকান্ড রামায়ণের প্রায় সমান হয়ে যাবে। তাই বিস্তারিত প্রসঙ্গ থাক। আজ শুধু মোটাদাগে স্কুলের কিছু বিষয়ের টুকিটাকি।
স্কুলভবনের সারল্য
[ সুকুমার সমগ্রতে লিখেছে - 'সন্দেশ' পত্রিকার অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল সমসাময়িক ঘটনাবলী এবং যাবতীয় সাংস্কৃতিক বৈজ্ঞানিক সংবাদকে সহজবোধ্য ভাষায় উপস্থিত করা। প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক উপেন্দ্রকিশোর এ ধরনের রচনা লিখেছেন, পরবর্তীতে সম্পাদক সুকুমার রায় তৎকালে এবং তার আগে যে-সমস্ত বৈজ্ঞানিক ও ঐতিহাসিক আবিস্কার হয়েছে, আধুনিক সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যেসব উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে - সেসব তথ্যবহুল সংবাদ 'সন্দেশ' পত্রিকায় নিয়মিতরূপে, অত্যন্ত সরসভাবে পরিবেষণ করতেন। বিজ্ঞানের তথ্য নিয়ে লেখার মুশকিল এই যে, এককালের প্রতিপাদ্য পরবর্তী কালে বদলে যায়; বিভিন্ন ইওরোপিয় গ্রন্থ বা পত্রপত্রিকা থেকেও এসব তথ্য আহুত হয়েছে। কিন্তু এই রচনার মূল্য অন্যত্রঃ সেটি হচ্ছে লেখকের বলবার ভঙ্গী এবং এই ভঙ্গী সুকুমারের সম্পূর্ন নিজস্ব। তাছাড়া, উনিশ শতাব্দের মধ্যভাগে আর বিশ শতাব্দের প্রথমাংশে পাশ্চাত্ত্য জগতে বিজ্ঞান ও সভ্যতার অগ্রগতি নিয়ে যে বিস্ময় ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল - এ দেশে শিক্ষিতজনের মধ্যেও তার আলোড়ন লেগেছিল। এই লেখাগুলিতে অন্তর্নিহিত রয়েছে সেই একই আগ্রহ ও উদ্দেপনাঃ সুকুমার কিশোর মনে তাকে সঞ্চারিত করতে চেয়েছিলেন। এই সমস্ত গদ্যরচনা কবি এবং কথাকোবিদ্ সুকুমার রায়ের অন্য পরিচয় উদঘাটন করবে।
এর মধ্যে থেকে একটি প্রিয় প্রবন্ধ বেছে নিয়ে সচল পাঠকের সামনে পরিবেশন করা হলো। ]
বাংলায় লেখা সর্বশ্রেষ্ঠ বইগুলোর একটি ‘ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না।‘ লেখক ১৯৮৫ সালে তাঁর বড় মেয়ে মৌলির উদ্দেশ্যে অপূর্ব মূর্ছনায় বাঙময় সুরে লিখেছিলেন নিজের শিশুকাল ও গ্রামের কাব্যগাথা, ৫৬ পাতার সেই কাব্যিক স্মৃতিকথা যেন এক পাহাড়ি ঝিরির মতো বয়ে চলা কবিতা, যার শুরুর দিকে তিনি বলেছেন,
১৩ বছরের অ্যামি সড়ক দুর্ঘটনায় মাকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড থেকে চলে আসে পৃথিবীর অপর প্রান্তে কানাডার অন্টারিওতে তার বাবার সাথে থাকার জন্য। সদ্য মা-হারা বিষণ্ণ কিশোরী কারো সাথেই ঠিকমত আর মানিয়ে চলতে পারে না, নতুন বন্ধুত্বও হয় না কারো সাথে। তার বাবা আবার একজন শখের বৈমানিক ও ভাস্কর। এর মাঝে তাদের বাড়ীর কাছে নির্মাণকর্মীরা একটা ছোট বন ধ্বংস করে ফেলে বুলডোজার দিয়ে গাছ উপরে ফেলে, এবং সেখানে ঘুরতে যেয়ে ছোট্ট
আমি রাবণের বাড়ি গেছিলাম রামের বার্তা নিয়া। সে কথা শোনে নাই; মরছে। তার আগে আমি বালির বিষয়ে সুগ্রীবের দূতিয়ালি করছি রামের কাছে; বালিও মরছে। এইবার রামের দূত হইয়া আমি আপনেরে এই কথা বলতে আসছি যে; রাম তার পিতৃসিংহাসনে রাজা হইতে চান; যদিও এইখানে মারামারির কোনো কথা নাই; কারণ ভাইয়ে-ভাইয়ে রক্তারক্তি বড়োই ঘিন্না করেন রাম…