ব্লগ

জল জঙ্গলের গল্প - ২ ঃ বুদবুদ

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৭/২০১৯ - ৩:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি পুকুর। সুন্দর সবুজ পানিতে টলোমলো পুকুর। মৃদুমন্দ দখিনা বাতাসে ছোট ছোট ঢেউ খেলে যাওয়া পুকুর। সূর্যের সোনালী আলোয় ঝিলমিল ঝিলমিল স্বপ্নিল পরিবেশের এক পুকুর।


ব্লেনারহ্যাসেট দ্বীপের কাহিনী

অবনীল এর ছবি
লিখেছেন অবনীল (তারিখ: শুক্র, ০৫/০৭/২০১৯ - ৯:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভটভট শব্দ করতে করতে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে আমাদের স্টীমার ওয়াইও নদীর বুক চিরে। কোন অত্যাধুনিক জলযান নয়, সেই ১৯শতকের শুরুর দিকে ব্যবহৃত স্টীমইঞ্জিন চালিত প্যাডল হুইলবিশিষ্ট স্টিমবোটেরই এক নব অনুরূপ । কিন্তু একি স্টেয়ারিং হুইল এ কার হাতে ছেড়ে দিয়েছেন ক্যাপ্টেন ? স্বয়ং এই নাদানের হাতে! নিজেকে ত পপাই দা সেইলরম্যান মনে হচ্ছে! শুধু মুখে পাইপ আর নাবিকদের টুপিটাই পড়া বাকি। কিন্তু সাথে স্পিনাচ না থাকায় সেই বিশাল কাঠের স্টিয়ারিংটাকে ফ্যানের মত ঘুরান্তি দিতে পারলাম না। সত্যি বলতে গেলে দুহাতে খুব জোর দিয়ে স্টিয়ারিং কিছুটা ঘুরিয়ে সামান্য ডানে-বায়ে করতে পারলাম স্টীমারটাকে। ঠিকমত এগিয়ে নিতে পারবো তো ?

small
ছবিঃ ব্লেনারহ্যাসেট ম্যানসন।


নীল নয়না

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৭/২০১৯ - ২:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক জোড়া নীল চোখ সমুদ্রের বিশাল ঢেউ তুলে সুনামির মতো আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। ঘটনার শুরু দু'মাস আগে।

রাত এগারোটায় আমার কাজ শেষ হয়। তার দশ মিনিট পরই আমার রুটের বাস এসে থামে। আমার কাজ থেকে ঠিক দুই স্টপ পরেই মেয়েটিও উঠে নিয়ম করে।

তার মাথায় দীঘল সোনালী চুল। তার অদ্ভুত কমনীয় ত্বকে ঝর্ণার পানির সতেজতা। সে যখন হেটে এসে আমার সামনের সিটটায় বসে তখন তার সোনালী চুলগুলো আরব দেশীয় ঘোড়ার কেশরের মত ঢেউ খেলতে থাকে। আর তার সুগভীর অয়াত নীল চোখে মহাশুন্যের কালো গহ্বরের গভীরতা। কে জানে সেখানে হারিয়ে গেছে কত পুরুষ!


রাইনের তরল স্ফটিক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৩/০৭/২০১৯ - ৩:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জার্মানী, অস্ট্রিয়া আর সুইটজারল্যান্ড তিন দেশকে উপকূল দিয়েছে লেক কনস্ট্যান্স; পশ্চিম ইউরোপের দীর্ঘ নদী রাইনের তরল স্ফটিক। মাসুদ রানা থেকেই লেক কনস্ট্যান্স নামের সাথে আমার প্রথম পরিচিতি। মাসুদ রানা থেকেতো কত জায়গার গন্ধই পেয়েছি। কিন্তু এই হ্রদের জন্য কি এক অদমনীয় টানে অজান্তেই বশীভূত হয়ে আছি অনেককাল। ইচ্ছে ছিল জীবনে কখনো ইউরোপে যাওয়ার সুযোগ হলে যাবই যাব। এসেছি তাও বেশ ক বছর হয়। এবারের গ্রীষ্মে সুয


রাষ্ট্রপতি জেনারেল এরশাদ: মানুষটার একজন সুন্দর মানুষ হওয়ার লোভ হয়েছিল

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: বুধ, ০৩/০৭/২০১৯ - ১২:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মরে যাওয়া মানুষের লোভ থাকে না।
এজন্য মৃত মানুষদের নিয়ে বাজে কথা বলতে নেই।
হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ মারা যান নি,
কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি তিনি চলে যাচ্ছেন।
প্রতিটি মানুষ একটা সময়।
আমরা বুঝতে পারছি একটা সময় চলে যাচ্ছে।
সেই সময়। রূপকথার গল্পের মতো সেই ছোটবেলার সময়...

এরশাদের মুখটা মনে পড়ছে।
আমাদের ছোটবেলায় টিভির পর্দায়
রাষ্ট্রপতি জেনারেল এরশাদের মুখ দেখে আমরা বড় হয়েছি।


আমার রোপণকথাটি – ১

দময়ন্তী এর ছবি
লিখেছেন দময়ন্তী (তারিখ: শনি, ২৯/০৬/২০১৯ - ৬:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পুণে শহরে জলাভাব বরাবরই। সেই কবে ব্রিটিশরা এসে খড়গওয়াসলা বাঁধ ও জলাধার বানিয়েছিল, সেই জলাধারই বহুবছর পুণের মানুষজনকে গৃহস্থালীর কাজকর্ম ও খাবার জলের যোগান দিয়ে গেছে। তারপর আস্তে আস্তে এলো পানশেত, পওনা, মুলশি, কাসারসাই ইত্যাদি জলাধারগুলো। যতবেশী জায়গা জুড়ে তোলা জল নল বেয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছাতে লাগল ততই মানুষের থেকে দূরে সরতে লাগল মুঠাই, নীরা, মুলা নদীরা।


ভোর হয়ে এলো

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/০৬/২০১৯ - ১:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাত হলে ঘুমিয়়ে পড়ি, সকাল হলে ঘুম ভেঙ্গে যায়। নিত্য দিনের অভ্যাস -- খুব সহজ বোধ আমাদের। জন্মাবার তিন মাসের মধ্যেই এই নিয়মে অভ্যস্থ হয়ে যাওয়া। এই দিন-রাতের বেলাকে আমরা ভেঙ্গে নেই আরও বেলায়। বিষন্ন দুপুর, ফুরফুরে বিকেল , গোধুলী সন্ধ্যা, সোনালী ভোর।


মহাসমুদ্রের বাঁকে বাঁকে- টরকি (দ্বিতীয় পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/০৬/২০১৯ - ১:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]রৌদ্রজ্জ্বল একটি দিন, একপাশে সবুজ পাহাড়ের গা ঘেঁষে আঁকাবাঁকা রাস্তা, অন্যপাশে বিস্তীর্ণ সৈকত ছুয়ে নীলে রঙের সাত আটটা শেড তৈরি করতে করতে সমুদ্র মিশেছে গাড় নীল দিগন্তে। ভয়ংকর সুন্দর বুঝি একেই বলে!


বুয়েটের বিস্মৃতপ্রায় এক হত্যাকাণ্ড

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০৬/২০১৯ - ২:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ’৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান হাবিব রুমনের “[url=https://www.prothomalo.com/opinion/article/1598125/%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0...


মহাসমুদ্রের বাঁকে বাঁকে - ভূমিকা (প্রথম পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২২/০৬/২০১৯ - ১:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]১০৬ মিলিয়ন বছর আগেকার কথা,। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ পূর্ব উপকূলের অটওয়ে সমুদ্রতট। সেসময় এই উপকূলের তাপমাত্রা আজকের চেয়ে অনেক কম, কারন অস্ট্রেলিয়া ছিল এন্টার্কটিক সাইকেলের ভেতরে। সুবিস্তীর্ণ সমুদ্রের সুনীল জলরাশি নিরন্তর আছড়ে পড়ছে অনাদিকালের নিরবতা কে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে। যেন প্রতিমুহূর্তে সগৌরবে মহা কালকে মুচকি হেসে বলছেঃ "তুমি একাই প্রাচীন নও, হিসেব করে দেখো, আমিও ছিলাম; আছি; আর থ