ও মন তারে কোথায় ফেলে এলে?
মাত্র ২৭ বছর বয়সে কিংবদন্তীতে পরিণত হওয়া জেন, তারপরো আরো আবিস্কার উপহার দিয়েছেন। শিম্পাঞ্জীরা নিরীহ নিরামিষভোজী বলে আমাদের যে ধারনা ছিলো সেটাকে ভুল প্রমান করেছেন। তারা সর্বভোজী, আমাদের মতই। আর দূঃখজনকভাবে যুদ্ধবাজ। সেই ২২ বছর বয়সে, প্রবল উৎসাহ নিয়ে জেন যখন এস এস কেনিয়া ক্যাসেল-এ উঠেছিলো কেনিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ী দেবার জন্য, সে জানত না তার কাজ একদিন শুধু শিম্পাঞ্জীদের সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে না, উপরোন্তু, প্রাণীর চেতনার জটিলতা সম্পর্কেও আমাদের ধারণা লাভ করতে একদিন সাহায্য করবে।
ছবিঃ ন্যাট জিও-তে অন্যান্য বিজ্ঞানীদের তুলনায় সর্বাধিকবার প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে জেন গুডালের কর্মজীবনের উপর।
তাঁর কবিতার এত প্রসারে হুইটম্যান হয়তো খুশীই হতেন কিন্তু আমি জানি যে কবিতার কাছে পৌঁছাতে শুধু একটি বই আর মোটেলের কক্ষই যথেষ্ট না। আমার একজন ইংরেজি শিক্ষকের দরকার ছিল, ১৯৮৯ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্র Dead Poet’s Societyর রবিন উইলিয়ামসের মত একজনকে, যে তার ছাত্রদের নিজস্ব চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করতে বলে কবিতার বইয়ের সূচনা কথা ছিঁড়ে ফেলতে বলে কবিতার রোমান্সে হুইটম্যানের প্রবল অস্তিত্বকে ব্ল্যাকবোর্ডে ধরার চেষ্ট
ওয়াল্ট হুইটম্যানে উপরে পারিবাহিক আবহের প্রভাব ছিল খুব সামান্য। মা মূলত ধর্মীয় বইপত্র পড়তেন। বাবা ছিলেন পোড় খাওয়া শ্রমিক (!) ও মদে আসক্ত। তাদের ৭ সন্তানের মধ্যে ৩ জনই কোন না কোন মানসিক সমস্যায় ভুগতেন। বিদ্যালয় তাদের কাছে কোন সময়ই গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিল না, ওয়াল্ট ১১ বছর বয়সেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন, যদিও সুযোগ পেলেই বই ধার করে পড়তে থাকতেন আরব্য রজনী, জেমস ফেনিমোর কুপার আর স্যার ওয়াল্টার স্কটের
"তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা , তুমি আমার সাধের সাধনা,
মম শূন্যগগনবিহারী।
আমি আপন মনের মাধুরী মিশায়ে তোমারে করেছি রচনা--
তুমি আমারি, তুমি আমারি, মম অসীম গগন বিহারী॥"
খনাকে নিয়ে বহুদিন থেকে কৌতূহল। সেই ছোটোবেলা থেকে খনার বচন আর খনার বিষয়ে নানারকম কিংবদন্তী শোনার সময় থেকেই। খনার বচন নামে প্রচলিত ছোটো ছোটো দ্বিপদী কবিতা, যা নাকি আবহাওয়া, চাষবাস, শুভযাত্রার গণনা ইত্যাদি নানাধরণের ব্যাপারের সঙ্গে জড়িত, সেই দ্বিপদীগুলো খুব চমৎকার লাগতো।
[মুখপাঠ: এটি চট্টগ্রামের ইতিহাস বিষয়ক একটি প্রশ্নবোধক পোস্ট। চট্টগ্রামের ইতিহাসটা বাংলার মূল ইতিহাস থেকে একটু আলাদা এবং গোলমেলে। আদিকাল থেকেই চট্টগ্রাম বাংলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্নভাবে শাসিত হয়েছে বিভিন্ন পরদেশী শাসকদের হাতে। হাজার বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রাম বহুবার শাসিত/দলিত/মথিত হয়েছে আরাকান, ত্রিপুরা, সুলতান, পাঠান, মোগল ইংরেজ ইত্যাদি নানান শক্তির হাতে। গত ৫০০ বছরের শাসনকালের মধ্যে ষোড়শ শতকের প্রায় পুরোটা চট্টগ্রাম নিয়ে ত্রিমুখী কাড়াকাড়িটা এত বাড়াবাড়ি ছিল যে এই অঞ্চলটা কখন কার দখলে কতদিন ছিল কেউ শতভাগ নিশ্চিত করতে পারেননি। এর মধ্যে সবচেয়ে অস্পষ্ট সময়কালটা হলো ১৫৪০-১৫৮৬। এই সময়টাতে বারবার হাতবদল হয়েছে চট্টগ্রাম। একের পর এক আরাকান, পাঠান ও ত্রিপুরার মধ্যে যে বিচিত্র রকমের যুদ্ধ বিগ্রহ হয়েছে সেই ইতিহাসের সত্যিকারের চেহারাটা খুঁজে বের করা পাঠকের জন্য দুরূহ কাজ। শুধু পাঠকই নন গবেষকরা ও বিভ্রান্ত। উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদদের দেয়া তথ্যের মধ্যেও প্রচুর ফারাক দেখা যায়। তাই এই সময়কালকে অস্পষ্ট বা বিভ্রান্তিকর সময় মনে হয়েছে আমার। তবে আমার বিশ্বাস এখানে কেউ না কেউ এই বিপুলায়তনের প্রশ্নবোধক লেখাটি পড়ে কোথাও কোথাও আলোর নিশানা দিতে পারবেন। লেখার মধ্যে তথ্য বিভ্রাট থাকলে সেটি শোধরানোর পরামর্শ দিতে পারেন। তাহলে তা হবে পোস্টের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।]
যে মুক্তচিন্তার অধিকারী, দেশপ্রেমিক, স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ও বিপ্লবী জানান দিয়েছিলেন দেহ অতি পবিত্র এক জিনিস এবং এর চাহিদাগুলো কবিতায় আনার অতি উপযুক্ত, সেই কবি ওয়াল্ট হুইটম্যান এক সমতার রাজ্যে বাস করেন, মুদি দোকানী থেকে রাষ্ট্রপতি সকলেই তাঁর ভক্ত। ‘লীভস অফ গ্রাস’ তাঁর শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি যা কিনা তাঁর যুগে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল, কিন্তু শতবর্ষ পরে আজও হুইট্ম্যানের শব্দেরা ভীষণ ভাবে সগৌরবে তাদের অস্তিত্ব জান
এখন পর্যন্ত এ বছরে আমার পড়া সবচেয়ে চমৎকার বাংলা বই এর নাম- ‘বানিয়ালুলু’। ইচ্ছে হচ্ছে লোকেদের ডেকে এনে ধরে ধরে পড়াই বইটা।
অগ্নিকাণ্ডে বা ভূমিকম্পে
পুড়লে ভবন কাঁপলে ভূতল
ধ্বসলে দালান মরলে মানুষ
গোল হয়ে দ্যাখো, গোল হয়ে দ্যাখো
ঐ ভোঁভোঁ শোনো আসছে পুলিশ
দমকল গাড়ি পানির যোগান
জায়গা দিও না, ভিড় করে থাকো
ওরা কি তোমার চেয়ে বেশি বোঝে?
ককখোনো না গো, ককখোনো না গো
গোল হয়ে দ্যাখো
ফোন উঁচু করে ছবি তুলে নাও
দৃশ্য বাগাও বা ধারাভাষ্য
ফেসবুকে দাও গরমাগরম
বুড়ো আঙুলের স্তুপ জমা করো
অ্যাম্বুলেন্সে কী বা যায় আসে