ব্লগ

১৯৭০-এর নির্বাচন পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে পাকিস্তানী মিথ্যাচার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ০৫/০১/২০১৯ - ৪:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ডিসেম্বর মাস আসলে পাকিস্তানের মিডিয়াগুলোতে ‘১৬ই ডিসেম্বর’ প্রসঙ্গে মৃদু নড়াচড়া শুরু হয়। এই সময়ে ‘Dhaka Fall’ নামে ‘ভারতের কাছে যুদ্ধে পরাজয়’ অথবা ‘দেশ ভাঙা’ অথবা ‘পূর্ব পাকিস্তান হারানো’ প্রসঙ্গে কিছু পাকিস্তানী বক্তা টকশো বা সাক্ষাতকারে গরম গরম কথা বলার বা পাকিস্তানী লেখক পত্রিকার কলামে বা ব্লগে গরম গরম লেখার চেষ্টা করেন। বিষয়টা তাদের কাছে গৌরবের না বলে এইসব গরম বক্তা-লেখকগণ চেষ্টা করেন


১৯৭৬-এ খুনিদের প্রত্যাবর্তন, তোয়াবের মিশন এবং সমন্বয়ের রাজনৈতিক দর্শণ।

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/০১/২০১৯ - ৮:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের পরপরই অন্য দুই বাহিনী প্রধানের সাথে তখনকার বিমান বাহিনীর প্রধান এ কে খন্দকার খুনিদের সামনে নতজানু হলেও বেশিদিন নিজের পদ ধরে রাখতে পারেননি।


অক্ষয় মালবেরি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ৩১/১২/২০১৮ - ২:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মণীন্দ্র গুপ্ত, 'অক্ষয় মালবেরি' নামে যে জীবনী গ্রন্থটি লিখেছিলেন তাকে সচরাচর লিখিত জীবনী গ্রন্থের নিয়মিত ছাঁচে ফেলার উপায় তিনি রাখেন নি। এই আকরগ্রন্থটি আক্ষরিকই আকর। ম্যাজিকের তুকতাকের মতো বিশেষ কিছু। এর গাম্ভীর্যে, এর অঙ্গসৌষ্ঠবে কোনো ভারিক্কি ভাব নেই রয়েছে পীতচন্দনের মতো শোভা, যেটি বড়োই মনোহর।


শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়ার ভবিষ্যত ইতিহাস

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: রবি, ৩০/১২/২০১৮ - ২:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
ভবিষ্যত দেখার ইতিহাস
.................................
‘‘মানুষ সবসময় যা বলছে, তা নিজেরাই সব বলছে- তা কিন্তু নয়।
সময় তার কথাগুলো অনেক সময় আমাদেরকে দিয়ে বলিয়ে নেয়।
আমাদের অজান্তেই। “
ইতিহাসবীদ সালাহউদ্দীন আহমেদ বলে হাসলেন। কথা শেষ।
উঠে দাঁড়ালাম। তখনও জানা নেই, এই শেষ দেখা। আর দেখা হবে না।
তিনি বিদায় দিতে দরজা পর্যন্ত আসলেন।


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আমার পূর্বাভাস

ফাইয়াজ জামাল এর ছবি
লিখেছেন ফাইয়াজ জামাল [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৯/১২/২০১৮ - ৪:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যেকোনো নির্বাচনের সঠিক প্রেডিকশন করা সত্যিকার অর্থেই একটা প্রচন্ড দুরূহ কাজ। খোদ আমেরিকাতে, যেখানে পুরো নির্বাচনকালীন সময়ে সারা দেশজুড়ে হাজারখানেক জনমত জরিপ হয়, সেখানেও গত প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের প্রায় সকল জরিপের ফলাফল হিলারির পক্ষেই ছিল। আর বাংলাদেশের এই নির্বাচনের জন্য, যেখানে কোনোই নিরপক্ষীয় সাম্প্রতিক জরিপ নেই, সেখানে যেকোনো প্রেডিকশনই আসলে সার্বিক পরিস্থিতির ব্যক্তিগত ধারণামূলক আন্দাজ ছাড়া


লিখুন বই নিয়ে

সন্দেশ এর ছবি
লিখেছেন সন্দেশ (তারিখ: শুক্র, ২৮/১২/২০১৮ - ৫:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় সচল, অতিথি লেখক, ও পাঠকবৃন্দ,


গুজবে কান দেয়া কি আমাদের লোকসংস্কারের প্রবণতা ?

মাহবুবুল হক এর ছবি
লিখেছেন মাহবুবুল হক (তারিখ: শুক্র, ২৮/১২/২০১৮ - ৩:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৬ দিনের ভারত ভ্রমণ শেষে ২৫ ডিসেম্বর অপরাহ্নে বাংলাদেশে পা দিয়েই চা-বিক্রেতার মাধ্যমে নির্বাচনী হালচালের প্রথম যে তথ্য কানে এলো তা হলো, নির্বাচনের আগের ৩ দিন সারাদেশে গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকবে এ নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। ঢাকায় এসেও অটো-চালকের কাছে এই কথাই শুনলাম কিছুটা দ্বিধান্বিত কণ্ঠে। যুক্তি, অভিজ্ঞতা, বিশ^াস সবগুলোতেই খটকা লেগে গেল, এমনটি তো কখনও দেখিনি এবং তা অবিশ^াস্যও বটে। প্রাথমিক প্রতিবাদ জানিয়ে


সিংহ, শকুন, এবং মৃত্যুদূত

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/১২/২০১৮ - ১২:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যত দূর দৃষ্টি যায় শুধু ধূ ধূ বিরান ভূমি। তাতে যত্রতত্র দ্বীপের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রোদে পুড়ে খাক হওয়া দুর্বাঘাস। এই এলাকায় কতকাল ধরে বৃষ্টি হয় না কে জানে। হাল্কা বাতাসেই ধূলি ঝড় উঠে।

এর ভেতরেই পাতাবিহীন এক নাম না জানা রুগ্ন গাছ দাঁড়িয়ে আছে। গাছের কংকালসার ছায়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল তার চাইতেও জীর্ণ এক সিংহ। তার পেছনের এক পা ক্ষত-বিক্ষত। অতীতের কোন এক যুদ্ধে সেখান থেকে এক খাবলা মাংস কামড়ে নিয়ে গেছে তারই কোন এক সতীর্থ। ক্ষত জুড়ে কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়েছে অসভ্য মাছির দল। তাদেরকে তাড়ানোর মত শক্তি কিংবা উৎসাহ কোনটিই ছিল না হাড্ডিসার প্রবীণ পশুরাজের। এক ছিলিম শ্বাসের জন্যই তার চলছে প্রাণান্তকর সংগ্রাম। কতকাল তার পেটে দানা পড়েনি তাইবা কে জানে।

গনগনে সূর্যকে পিছু রেখে আকাশে চক্কর দিচ্ছিল এক শকুন। তার দৃষ্টি নিবদ্ধ নীচে পড়ে থাকা প্রায়মৃত সিংহের দিকে। অধীর আগ্রহে সময় গুনছিল সে। তার পেটেও দানা পড়েনি বহুকাল।


বজ্রনিনাদী জলরাশির ইতিকথা

অবনীল এর ছবি
লিখেছেন অবনীল (তারিখ: রবি, ২৩/১২/২০১৮ - ৯:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চোখের সামনে বিস্তৃত একটা অর্ধচন্দ্রাকৃতির খাড়া পাহাড়ের দেয়াল। যেন সত্যজিৎ রায়ের একশৃঙ্গ অভিযান গল্পের ডুংলুং-ডো। আশ্চর্য কোন জগত অপেক্ষা করে আছে তার ওপাশে। শুধু ংমুং লেপা জুতো পড়ে ফাইন্ডিং নেভারল্যান্ডের বাচ্চাদের মত ভেসে ভেসে প্রাচীর পাড়ি দেবার অপেক্ষা। কিন্তু দেয়ালটা স্থির নয়। প্রবল গর্জনে প্রতি সেকেন্ডে হাজার টন পানির ধারা ঝড়ে পড়ছে এর গা বেয়ে। প্রায় দেড়শ ফিট নিচে এসে আছড়ে পড়ে পানির উপর তৈরী করছ


সুন্দরপুরে সন্দেহ (প্রথম কিস্তির পর)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২১/১২/২০১৮ - ৬:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছয়।।

উড়ানবিবির খালের গভীরতা বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেবার মতো। নড়বড়ে সাঁকোটায় পা রেখে থমকে দাঁড়ালো শামসুল। নাহয় নেবেই হারান মাঝি পাঁচটা টাকা। নিক, টাকা আজকে কোন সমস্যা নয়। হরি নারায়ণের দুইশ তিরিশ তো লুঙ্গির ভাঁজে আছেই। আজকে সাঁকোর চেয়ে নৌকাই ভালো। শামসুল জোর গলায় ডাক ছাড়লো,

“ও হারান কাহা, এই পারে আও।”

“কেলা, শামসুইল্লা নি?”

“হ গো কাহা। হুসেনপুর যাইবাম।”