ছত্রাকের দৃশ্যমান অংশ দেখে টের পাওয়া যায়, আক্রান্ত অংশের কোথায় কতটুকু পুষ্টি আছে, কিংবা কোথায় নিয়মিত রোদ পড়ে। ভাষাও তেমনই, যেখানে তার পুষ্টির সংস্থান হয়, সেখানে সে বাড়ে, আর প্রবল বাধার মুখে শুকিয়ে যায়। আজ মহাকাশে নভোযানে চরিত্রদের গুঁজে দিয়ে জমজমাট কোনো কল্পবিজ্ঞান গল্প লিখতে গেলে কয়েক চরণ লেখার পরই হাত বাড়াতে হবে ইংরেজির ভাঁড়ারের দিকে, একটা দুটো শব্দ টোকানোর জন্যে। মহাকাশে বাংলা ভাষার পুষ্টির অভা
ঘুম ভেঙ্গে চোখ মেলতেই ব্যাচেলার মেসের হেলাল মিয়ার দুমড়ানো মোচড়ানো কোলবালিশ খানা লাজুক গলায় তাকে বলল,"অ্যাই শোন......তুমি না বাবা হতে চলেছ।"
দেশে ফোন করে পরবর্তী প্রজন্মের মানুষের সাথে বাংলায় (অথবা ইংরেজিতে) কথা বলতে গেলে দুটি সমস্যা (আমার চোখে সমস্যা) কানে ঘা মারে। প্রথমত, বাংলা বাক্যের গঠন নিয়ে আমার ভাতিজা, ভাতিজি, ও ভাগিনাদের ধারণা অস্পষ্ট; সোজা কথায় তাদের বাংলা অসুন্দর। দ্বিতীয়ত, ওরা ইংরেজি মোটামুটি ভালোই পারে, কিন্তু শব্দচয়ন সীমিত বলে সবকিছুই হয় 'ফেন্টাস্টিক', নয়তো 'ডিসগাস্টিং'। যে ব্যাপারটা বারবার বলেও কোনো লাভ হয় না সেটি ভয়ানক:
প্রথমে ফেললাম বইগুলো। অনেক কষ্টে সংগ্রহ করেছিলাম। জ্যারেড ডায়মন্ড, রিচার্ড ডকিন্স, চেনা অচেনা অনেক ফিকশন। বুকে পাথর বেঁধে অনুজপ্রতীম খানসাপকে বইগুলো পাঠিয়ে দিলাম।
নীতুকে খুন করতে যতোটা কষ্ট হবে ভেবেছিল রাতুল, তা হলো না।
আজ হ্যালোইন। জানেনই বোধ হয়, ৩১ অক্টোবর দিনটাতে উত্তর আমেরিকায় হ্যালোইন বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়। এই উৎসবে যেমন খুশি তেমন সাজোর মতো করে বিশেষ করে শিশুরা সেজে বিভিন্ন বাসায় গিয়ে চকোলেট চায়, গৃহস্থরাও সানন্দে বিভিন্ন কায়দার চকলেট কিনে রাখেন বাচ্চাদের জন্য। তবে উৎসবটা শুধু ছোটদেরই নয়, বড়রাও সেজেগুজে বেরোয় এই দিনটায়। হ্যালোইনের সাজাগোজের একটা বড় অংশ হলো ভুত, প্রেত, পেত্নী, জোম্বি বা বেতাল ইত্য
ঘ.
নিজের মধ্যে কাদায় আটকে পড়া ট্রায়াসিক যুগের স্টেগোসোরাসের মত একটা নির্লিপ্ততা এসে গেছে। প্রাগৈতিহাসিক আলকাতরায় খুব ধীরে ধীরে তলিয়ে যেতে যেতে চারপাশে শুধু নিজের বিলুপ্তি দেখে যাই।
গ.
...
Shadows are fallin' and I've been here all day
It's too hot to sleep and time is runnin' away
Feel like my soul has turned into steel
I've still got the scars that the sun didn't heal
৯। দু'দিন পর । ডক্টর আদিত্যদের হোটেলে আমাদের মিটিং । ডক্টর আদিত্যের ঘরেই। ঘরটা বেশ বড়ো, চমৎকার সাজানো । আমরা সবাই কেউ চেয়ারে, কেউ তেপায়ায়, কেউ টুলে, কেউ সোফাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসেছি ।
ছুটির দিন সকালবেলা আমি সাধারণত লেখাটেখা নিয়ে ঘুটঘাট করি। মেয়েটাকে নিয়ে সকালে বাজার করেছি, তারপর নাস্তা নিতে থেমেছিলাম পথে। সেই নাস্তা খেতে খেতে মেয়েটা ঘুরঘুর করছে পায়ের কাছে। আমি আধাশোয়া হয়ে মোগল রাজপুত গুঁতাচ্ছি, অনেকদিন লেখা নামানো হয়না। অলস ছুটির দুপুর, পাশে জানালা দিয়ে দেখা যায় এক পরিবার বাড়ি পাল্টাচ্ছে, বিশাল চারকোণা একটা বিছানা দুই তিনজনে মিলে ট্রাকে ওঠাতে ব্যাপক কারিকুরি। ওপরে ছয় তলায় বারান্দায় এই ঠাণ্ডার মধ্যেও হাফপ্যান্ট পরে কফি খাচ্ছে এক দাড়িওলা যুবক। নিচে রিসেপশনের কাছে মোটা রঙচঙে জামা পরে এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছে কয়টা ছোট বাচ্চা, পাশে বয়স্ক দুইজন কি কি আলাপ করছে।
এসবের মধ্যে খুটখাট টাইপ করতে করতে তবু মনে পড়ে গেল আইয়ুব বাচ্চু আর নাই।