ছয়।।
কটেজের ভেতরে ঢুকে মন ভরে গিয়েছে মিরাজের। অদ্ভুত সুন্দর একটা গন্ধ চারিদিকে। আলো আঁধারিতে যতটুকু চোখে পড়ে তাতে বোঝা যায় বিশাল একটা ঘরের সীমান্তে দাঁড়িয়ে সে। এটি সম্ভবত বসবার ঘর। ঘরের একটা অংশের উপরটা খোলা, উঠে গিয়েছে অনেক উঁচুতে, কটেজের ছাঁদ বরাবর। আরেকটা অংশে, হাত দশেক উচ্চতায় যেন ঝুলে রয়েছে শোবার ঘরগুলো।
দু অংশের মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে বেশ মোটাসোটা একটা পিলার।
[justify]এক কালে রান্নার আয়োজনের সময় গ্রামের অতিদরিদ্র সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারের বৃদ্ধা বিধবারা সবজির ফেলে দেয়া অংশ থেকে খাদ্যোপযোগী অংশগুলো খুঁটিয়ে আলাদা করতেন। এতে দুয়েক মুঠো হরেক রকম সবজির একটা মিশ্রণ পাওয়া যেতো। যেহেতু তিনি বিধবা তাই মাছ-মাংস-ডিম খাবার ব্যাপার নেই। কেউ কেউ পেঁয়াজ-রশুনটা পর্যন্ত খেতেন না। বাড়ির সবার রান্না হয়ে গেলে উনুনের আগুন আরও কিছুক্ষণ ধিকিধিকি করে জ্বলতো। সেই আঁচে একটা বা
এপার ওপার কোন পারে জানি না
ওহ আমি সবখানেই আছি...
দুজন মানুষ আসলে দুই পারের মতো। মাঝখানে নদী বইছে। দূরত্বের নদী। মতের। চিন্তার। ধর্মের। দেশের। ভাষার। আদর্শের। কত যে নদী। আমরা নিজের পাড় ধরে হেঁটে যাই। ঐ পাড়কে মনে হয় আমাদের শত্রু। ধর্মের নামে। মতের নামে। দেশের নামে। ভাষার নামে। রঙের নামে। এমন এমন আমাদের মধ্যে হাজারো নদী বয়ে চলেছে বয়ে চলেছে। আমরা আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছি।
একাধারে তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যলেখক, নাটক রচয়িতা, প্রবন্ধকার, কলামিস্ট। মানুষটির অনেকগুলো পরিচয়। যেকারণে তাঁকে সব্যসাচী লেখক হিসেবে অভিহিত করা হয়। কিন্তু তিনি নিজে ঠিক কোন পরিচয়ে স্বস্তিবোধ করেন? উত্তরটা সৈয়দ শামসুল হক নামের সব্যসাচীর মুখেই শুনে নেয়া যাক "কবিতা হচ্ছে ভাষার সর্বোত্তম, সর্বোচ্চ, সবচে' সাংকেতিক প্রকাশ। কাজেই যিনি কবিতা লিখেন তাঁকে কবি-ই বলতে হবে, এবং তাঁর অন্য সব লেখা ঐ কবি কাঠামো থেকেই ওঠে আসে।" আগাগোড়া কবিতায় মগ্ন সৈয়দ হকের স্বগোতক্তি," আমাকে যদি আরেকটা জীবন দেয়া হয় আমি শুধু কবিতাই লিখতাম" বোঝা যাচ্ছে, তিনি নিজেকে একজন কবি হিসেবে ভাবতে সবচে' স্বস্তিবোধ করেন। আর স্বস্তি যেখানে, সুখের মতো সৃষ্টিশীলতাও সেখানে বসত গড়ে। দু'হাতে তাই লিখে গেছেন সৈয়দ হক 'সৃষ্টি সুখে উল্লাসে', অজস্র অজস্র কবিতা। চিত্রকল্পের দৃশ্যগত ও ইন্দ্রিয়গম্য দুটি ধারা সৈয়দ হকের কবিতাকে পাঠকের কাছে করে তোলে হৃদয়গ্রাহী, জীবন্ত।
"কিপ রোয়িং ফরওয়ার্ড!" পেছন থেকে চাক চেঁচিয়ে উঠলো। ডানে বসে থাকা লীও অস্ফুটস্বরে চিনা ভাষায় কি জানি বলে উঠলো, মনে হয় "ইয়াল্লা" জাতীয় কিছু। ভেলার ঠিক সামনে বসে বৈঠা বাইছি আমি। আমার ঠিক পেছনে বামে ফিল , আর ডানে লীও। সবার পেছেন হাল ধরে চাক। চোখের সামনে ফেনিল জলরাশি, তার ভেতর জেগে আছে বিশাল বিশাল ভয়ালদর্শন পাথর, সেই সাথে কানে তালা লেগে যাওয়া পানির গর্জন। পানির গতি বেড়ে চলেছে। কারন সামনেই নদী কয়েক ফিট
[justify]আকাইশি পর্বত মালার সীমান্ত ঘেঁষে বিস্তীর্ণ কিসো উপত্যকার অপূর্ব এক গ্রাম সুমাগো। সবুজ পাতার ঝিরিঝিরি, নাম না জানা পাখী, পাহাড়ী রাস্তায় নীল সাদা মেঘের ভেলা, আর নারাই নদীর ঢেউ খেলানো হাসি- সব মিলিয়ে সেখানকার লোকের মনে দারুন শান্তি।
জীববিজ্ঞান হালখাতা
২ আশ্বিন, ১৪২৫
সচলে এই সিরিজটি লিখছি পাঠককে জীববিজ্ঞানের নতুন নতুন গবেষণার হালনাগাদ জানাতে। প্রতি মাসে একটা পর্ব লেখার অভিপ্রায় আছে, লেখাগুলি হবে আগের মাসের প্রকাশিত আবিষ্কারগুলি নিয়ে। বঙ্গাব্দের হিসেবে হালখাতায় আবিষ্কারগুলি ধরা থাকবে।
দেবতা ও অসুরগণ:
পুরাণ কাহিনীতে অসুর ও দেবতাগণকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে তাঁরা পরস্পর বৈমাত্রেয় ভাই। আদিতে ইরানি আর্য আর ভারতীয় আর্য একই গোষ্ঠীভুক্ত ছিলেন।
আর্য: পণ্ডিতগণের মত সাপেক্ষে এ কথা বলা যায় যে, প্রায় ৫০০০ বছর আগে রুশ দেশের উরাল পর্বতের দক্ষিণে তৃণাচ্ছন্ন শুষ্ক সমতলে একটি ভাষা-সংস্কৃতিভিত্তিক জাতিগোষ্ঠী গড়ে উঠেছিল।
৭।
দিন গুনতে গুনতে একদিন এসে গেল দিনটা। রওনা দিলাম আমরা। এখান থেকে আমি আর কাশ্মীরা। আমাদের সহকর্মী ও বন্ধু জহীর আমাদের সঙ্গে যাচ্ছে। সে ওর গ্রাম থেকেই রওনা হচ্ছে। কিছুদিন