ব্রাহ্মণ্য সভ্যতা বা সংস্কৃতি বলতে যা বোঝায় তার সৃষ্টিও একটা চিত্তাকর্ষক বিষয়। প্রথমত সমাজের অস্ত্রধারী যোদ্ধা শ্রেণিই ক্ষমতাবান ও সম্পদশালী হয়ে উঠেছিলো। কিন্তু তাদের সহায় হয়ে দাঁড়ালো পুরোহিত শ্রেণি যারা শুধু পুজো-আচ্চাই করতোনা সেই সাথে সমাজের বিপুল বঞ্চিত শ্রেণিটিকে সংযত রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করতো। তাদের এই কাজটা যোদ্ধা শাসক শ্রেণির জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠতে শুরু করলে এই পুরোহিত শ্রেণিটি নিজেদের সুবি
ঝোপের ভেতর ঘাপটি মেরে বসে আছে দিলু। বেশ কিছুদিন ধরে সে খেয়াল করেছে এই দিক দিয়ে একটা বাঘ যায়। বাঘটা একটু দূর দিয়ে যায় বলে সে কায়দা করতে পারছে না। অনেক দিন বাঘের মাংস খাওয়া হয়নি।
জর্জ সান্টায়ানার অনুবাদের পরের কিস্তিটা এখনো শেষ করে উঠতে পারিনি। এই ফাঁকে আগে করা হুইটম্যানের ‘সং অফ মাইসেল্ফ’-এর একটা অনুবাদ দিচ্ছি। প্রথম ১১টা সেকশন আমার সাইটে রেখেছিলাম, এখানে আরো ২টা যোগ করে মোট ১৩টা সেকশন প্রকাশ করলাম। সৈয়দ আলী আহসান এটা অনুবাদ করেছিলেন, কিন্তু আমার এখনো পড়ার সুযোগ হয়নি। আমি অনুবাদটা করছি
বিদগ্ধজনের প্রশংসা এবং মলাটের উপর বাংলা একাডেমি পুরস্কারের সিল দেখে এক পাঠক বইটা পড়তে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা উপন্যাসটির যাত্রা শুরু হয় একাত্তরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সম্মুখভাগ থেকে। প্রধান চরিত্র মানিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টগবগে তরুণ ছাত্র। পিতা গ্রামের প্রভাবশালী আওয়ামী নেতা। মানিক ভিড় ঠেলে বঙ্গবন্ধুকে এক পলক দেখে উজ্জীবিত হয় কিন্তু ৭ মার্চের ভাষণের পর দেশে গণ্ডগো
এক।।
রাত একটা বাজতেই মোহন মিয়ার চায়ের তেষ্টা পায়। তবে তেষ্টা পেলেই তো আর উঠে যাওয়া যায় না, সব কিছুরই একটা নিয়ম রয়েছে। বিরক্ত মুখে কী বোর্ডের দিকে হাত বাড়ালেন তিনি। টেবিলের উপর একগাদা বই, কিছু খবরের কাগজ, একটি কালির দোয়াত, আর দোয়াতের পাশেই রুপোর মতো ঝকঝকে একটা পার্কার কলম পড়ে। মোহন মিয়া পুরনো দিনের মানুষ, টাইপ করার আগে একবার কাগজে না লিখলে তাঁর চলে না।
[justify]দক্ষিণের জানালায় দাঁড়ালে হিমেল হাওয়ার ঝাপটা লাগে। শীত এলো বলে। আগে এমন সময় শীত প্রায় চলেই আসতো। দূর্গা পূজার সময় থেকেই হালকা কুয়াশা আর শেষরাতে ঠান্ডা ভাবটা শুরু হতো। রাতে পূজো দেখার কিংবা পাড়া ঘুরার সময় সেটা টের পাওয়া যেতো। এখন আর সেরকম হয় না। মাঘ মাসেই শীত আসে কী আসে না।
সেদিন বাড়ির অদুরেই
দেখা হয়ে যায় প্রতিদ্বন্দ্বী বন্ধু কর্কট রাশির
বরকত কবির সাথে, তবে সে
অপেশাদার।
কুশলাদি জানতে চাওয়ার আগেই সে উল্টিয়ে কলার
আমায় বলে, হেরে গেলে ভন্দু।
বিস্ময় ও গোসসায় আমি হয়ে উঠি কাতর
কিন্তু আমায় নিজের পক্ষ সমর্থনের কুন সুযুগই দেয় না নিষ্ঠুর
অপেশাদার কবিটি। বলে, পপিতা এখন আমার ফ্রেন্ড।
হয়ে যাই ভাষাহারা। নায়িকা পপিতা? অস্ফুটে শুধাই
৩। ভোর ভোর গন্তব্যে পৌঁছল বাস। আমি শেষরাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আবার । হঠাৎ শুনি ঝাঁকুনি দিয়ে কে যেন ডাকছে, "আবীর, আবীর, ওঠো। পৌঁছে গিয়েছি আমরা।"
কুয়াশাজড়ানো স্বপ্নের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসি ঝাঁকুনি খেয়ে, কাশ্মীরা আমাকে ডাকছে। জেগে দেখি বাস পৌঁছে গিয়েছে। ঘুমভাঙা চোখে যাত্রীরা সব হাই তুলতে তুলতে চোখ ডলতে ডলতে জিনিসপত্র গুছিয়ে নামছিল। আমরাও।
জীবনেরা হাসপাতালে আইসা বড়ো অদ্ভুত টিটকারি মারে
ন্যাড়া ন্যাড়া ডালে পাতা নড়ে; কেউ বলে নাই তবু নড়ে; বেহুদাই
খামাখাই পাখি উড়ে
কোনো কাম নাই তবু গাভিন লেঙ্গুড় নিয়া মৌমাছি ঘোরে
গাড়িরাও ফুটাঙ্গি করে; জানালার বাইরে; অযথাই…
অথচ ভিতরে কত মহাজন ওষুদের হাতে পায়ে ধরে- কিঞ্চিৎ চাগায়ে দাও;
আরো কিছুদিন খাইয়া হাগার মতো বহুত দরকারি কাম পড়ে আছে মোর…
২০১৮.০২.১৬
আমাদের সেই আদিম যুগের সমাজেও জন্মদানের সাথে পুরুষদের সম্পর্ক আবিস্কৃত হয়নি বলেই মা’ই সব সম্পর্কের কেন্দ্রভূমি হয়ে দাঁড়ায়। বংশধারা মায়ের সূত্রেই প্রবাহিত হতে থাকে। পিতা সম্পর্কিত কোন ধারণাই সে সময় জন্মাবার কথা নয়। সমাজের নেতৃত্ব পুরুষের হাতে থাকলেও সন্তানের রক্ত সম্পর্কিত অধিকারটা মায়ের সাথেই ছিলো। তাছাড়া নারীর সন্তান জন্মদানের ঘটনাতেও নারী বিশিষ্ট হয়েছিলো। পুরুষরা আরেকটা মানুষ সৃষ্টি করতে পারেনা ক