টিভি-ফেসবুক দেখে জানলাম, তেল খেয়ে মরে
গেছে মিলিয়ন লোক।
তাছাড়া প্রায়ই ঘরে কারেন থাকে না
ফেসবুকে হাজার তরুণী করে দিন রাত স্বীয় ছবি আপ।
গরম গরম লাগে।
তাই এক চৈত্রের সকালে উঠে আড়মোড়া ভেঙ্গে মাখি ব্রাশে টুথপেষ্ট
ও বলি হৃদয়েশ্বরী বিবি হোসনে আরাকে গিয়া
তেলছাড়া পরটা বানাও।
হোসনে আরা পাকঘরে হেলেদুলে গুনগুন করে আর ময়দা বেলে গুটি গুটি
দুই কানে গুজিয়াছে আইফুনের বিচি দুটি
কৃত্রিম মানুষ কি তৈরি করা সম্ভব? ব্যাপারটা আমার-আপনার মতো অনেককে ভাবাতে বাধ্য। বিজ্ঞানীদেরও ভাবিয়েছে। সেই ভাবনা, প্রশ্ন, কৌতুহল থেকে বেশ কিছু গবেষণায় অগ্রগতি ঘটেছে। মানুষকে ক্লোন করা, বা নতুন করে শুধুমাত্র একটি কোষ থেকে তৈরি করার সম্ভাবনা জাগিয়েছে নিধিকোষ গবেষণা। সেসব নিয়েই আজকের আলোচনা।
ছেলের বয়স আসছে জুনে ১২ হবে। গিয়েছিলো একঝাঁক উচ্ছল সমবয়সীদের সাথে স্কুল ক্যাম্পিং-এ। তিনদিনে ওরা শিখেছে কিভাবে চেনা গণ্ডীর আরাম-আয়েশ ছেড়ে জীবনেকে জানতে হয়। যে বাসে করে ওদের ক্যাম্পিং-এ নিয়ে যাওয়া হয় সে পর্যন্ত গিয়েছিলাম ওকে এগিয়ে দিতে, ছেলেমেয়েরা লাইন ধরে যারযার বাক্স-পেট্রা, বিছানা-বালিশ লাগেজ স্টোরেজে দিয়ে মা-বাবাকে জড়িয়ে ধরে আদর করে বাসে নিজের সিটে গিয়ে বসল, ব্যস!
এক।
যদি ব্যাংকারই বোঝে ডাক্তারি, আর
ডাক্তার সব খেলা।
যদি হো মো এরশাদ নিজেকেই ভাবে
নেলসন ম্যান্ডেলা।
যদি মনোবিদ বোঝে অর্থের নীতি
ইন্টারনেট ঘেঁটে।
কাল যতিহীন, তবুও।
নিজের একটা কুকুর থাকবে
কোলে বসে চাটবে টাটবে
লেজ নাড়বে-
লাথি দিলেও ছুটে আসবে
হাসবে টাসবে, কৃতজ্ঞতায় সারাটাদিন
চোখে রাখবে-
যা বলবো তাই শুনবে
সহস্রবার বল ছুড়লে লুফে আনবে
মাংস ছাড়া হাড্ডি দিলেও
প্রভূ মানবে-
গন্ধ চিনবে, অনেক দূরে গেলেও
কাছে খুঁজে আনবে, মান ভাঙবে;
মোদ্দা কথা আমি ছাড়া আর সব সে
বৃথা জানবে-
মিনু, টিনু কিংবা তুমি
একটা নামে আয় বললেই ঝাঁপিয়ে ডাকবে,
১৭
কুলাউড়া-সিলেট রেলযাত্রায় অলৌকিক এক ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা পাই সাগোতোর ডায়েরিতে। ১৯২০ সালের জানুয়ারির এক শীতের রাত্রে সিলেট থেকে কুলাউড়া ফেরার পথে কোন এক স্টেশনে রেল থামে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে। ব্যাখ্যাতীত কোন কারণে তিনি নেমে আসেন নির্জন স্টেশনে।
[আইজাক আসিমভের "সিলি অ্যাসেস" গল্পের অনুবাদ]
অনুবাদ: সামিনা কায়সার
দীর্ঘ আয়ুর রিগেলিয়ান জাতির নারন তার বংশের চতুর্থ লোক, যার কাঁধে ছায়াপথীয় ইতিহাস টোকার দায়িত্ব এসে পড়েছে।
বিউটি তুমি ধানক্ষেতে শুয়ে থাকা লাশ থেকে ধোঁয়া হয়ে বেড়ে ওঠো
নতুন পিশাচী হয়ে।
পদ্মা সেতুর এক একটি স্প্যানে তুমি পা দুলিয়ে বসে থেকো দিনমান,
ঢাকা থেকে কালকিনি রাজৈর বা আলফাডাঙার
বাসে যারা ঘুমঘুম বসে থাকে, তাদের বুকপকেটে
তোমার মেছো গা থেকে এক একটি শল্ক খুলে দিও স্মরণিকা
উন্নয়নের এই সৌধে সারাটি দিন কোরো পায়চারি।
যে যুবক মোটর সাইকেলে এই স্বপ্নের সেতু দেবে পাড়ি,
ঠিক কোন ক্লাসে মনে নেই, কিন্তু স্কুলে থাকতে বাংলা বইয়ে পড়েছিলাম -" আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে"। রবীন্দ্রনাথের লেখা, সে বয়সে এসব মারফতি কথা বার্তা তেমন বুঝতাম না। এখনো যে খুব বুঝি,তা নয় কিন্তু হালকা পাতলা বুঝতে শিখেছি। বয়স পঁয়ত্রিশ পেরিয়ে গেছে, জুলফিতে পাকা চুল উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে (কবির ভাষায় জুলফি উঠল সাদা হয়ে)- কিছুটা মারফতি এখন ধাতে সয়, মাঝেসাঝে করতেও ইচ্ছে করে।