অনিন্দিতা, সে দিন আমাদের ক্লাস ছিলো না। আমি তোমাকে বলেছিলাম "নীলা। চলো, আজ লেকে যাই, তোমাকে ফুচকা খাওয়াব।" তুমি অবাক হয়ে বলেছিলে"এই সময়ে ফুচকা?" আমি বলি "হ্যা সমস্যা কী?" (তুমি সেই দিন শুধু প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে গিয়েছিলে! আর আমি চাচ্ছিলাম বুকের ভেতরে অনেক অ-নে-ক দিন ধরে সাজিয়ে রাখা কথা গুলো বলতে।)সে দিন শেষ পর্যন্ত বলতে পেরেছিলাম। তোমার সেই লাজুক হাসি এখনো আমার চোখে ভাসে। সেদিন প্রথম তোমার হাত ধরেছিলাম। আমি ভাবি নি তুমি এতটা লাজুক! সব সময় তুমিই ছিলে কথা বলিয়ে! অথচ আমি কোনমতে কথাটা বলার পর তোমার মুখ হয়ে গিয়েছিলো সেই রকম!
আমার অনুভূতি কী ছিলো? "আমি তোমাকে পাইলাম,আমি তোমাকে পাইলাম"। সে দিনই প্রথম তোমাকে অনিন্দিতা নামে ডেকেছিলাম!
তোমাকে পাবার, তোমাকে নিজের দেয়া নামে ডাকার গর্বে আমার বুক ভরে গিয়েছিলো।
মাকে যে দিন বলেছিলাম তোমার কথা, মা বলেছিলো "আজকালকার ছেলেমেয়েদের দেখি লজ্জা শরমও নাই!" আমি একটু হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। তাকিয়ে দেখি মা হাসছে! চাকরিতে ঢোকার পর পরই মা নিজেই বলছিলো "নীলুকে ঘরে নিয়ে আসব।" (আচ্ছা মায়ের নীলু ডাকটা তোমার কেমন লাগে?, মা আমাকে ইমু ডাকে তখন আমার একদম ভালো লাগে না! সবার সামনে যখন ইমুসোনা ডাকে তখন তো আরও বিরক্ত লাগে!) বড়পা আর মা মিলে কত্ত কী যে করল! তোমাকে ঘরে নিয়ে আসবে, তাই পুরো বাড়ির চেহারাই বদলে ফেলল। আমি অবশ্য খুশি হচ্ছিলাম! আমার বউ বলে কথা! টুম্পার জ্বালায় বিয়ের আগের সপ্তাহে রাতের ফোনে কথা বলাটাও কষ্টকর হয়ে গিয়েছিলো! টুম্পা আমার রুমে এসে বার বার বলত "ভাইয়া ভাবির সাথে বিয়ের আগে আর কোন প্রেম না! যা হবার বিয়ের পরে!" অদ্ভুদ আনন্দের সব দিন গেছে!
বিয়ের পর আমাদের প্রথম সেই রাতের কথা তোমার মনে আছে? অবশ্যই আছে! শুধু শুধু কেন জিজ্ঞেস করি! আমাদের মাত্র ৩ মাস বিয়ে হয়েছে। সেই রাতটির কথা ভুলি কী করে! নিজেদের মধ্যে অন্যভাবে হারিয়ে যাওয়া! আমি কতবার তোমাকে খুঁচিয়েছি, আমাদের ৬ টা বাবু হবে। আর তুমি কটমট করে তাকাতে! তুমি কী জানো কখন তোমাকে সবচেয়ে সুন্দর লাগে? অনেক বার অনেক কথাই বলেছি, তোমার উত্তর ছিলো "মিথ্যে বলবে না তো! যাই পরি না কেন যাই করি না তাতেই সবচেয়ে সুন্দর লাগে!"আমার কী দোষ বলো? আমি তো মিথ্যা বলতে পারি না! আমার যা মনে হয়েছে তাই বলেছি, আমি তাই বলি।
অনিন্দিতা, নীলা এন্ড ইমরান কোম্পানি এন্ড লিমিটেড এর ৬ টা বাবু আর হচ্ছে না! আমি তোমাকে কথাটা কীভাবে বলি বলো তো? প্রথম মেয়ের নাম সোহা রাখবো,প্রথম ছেলের নাম আলিফ। এই সব আর হচ্ছে না অনিন্দিতা। আমার মেয়েকে আমি আর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার বানাতে পারব না। সেই লেকের পাশে আমাকে ঘামতে দেখেই হয়ত বুঝে ফেলেছিলে আমি কি বলব! আজ আমাকে অন্যভাবে দেখবে। আমাকে দেখলেই বুঝে ফেলবে আমি কী বলতে চাই! আমি চাই না তুমি আজ আমাকে দেখো, অন্তত এই অবস্থায়। আজ আমি রক্তে ভিজে গেছি। সাভারের রোডটিতে... অনিন্দিতা। কাল রাতের কথাই ভাবছিলাম। স্কলারশীপ নিয়ে চলে যাবার কথাটি। বেরসিক ট্রাকটি কেন যে...
"আমি তোমাকে ভালোবাসি অনিন্দিতা। অনেক কথার ভিড়ে হয়ত বলতে পারি নি। তোমাকে সবচেয়ে সুন্দর লাগে নীল শাড়িতে। এখন আমার কথা এলোমেলো হচ্ছে না অনি! ... "
ঠ্যাংনোট
আমার মেয়েকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার বানানোর স্বপ্ন দেখি!(অবশ্য সে যদি হতে না চায় তাইলে কী আর করা!) আমি আপনাদের দোয়া প্রার্থী!
নিজের লেখা গল্প, যত দুর্বলই হোক না কেন, উৎসর্গ করতে ভালো লাগে। এই লেখাও উৎসর্গ করার প্ল্যান করেছিলাম, যাকে করতাম তাকে করলে পুলাপান আমারে পচায়া রাখবে না! তাই বাদ্দিলাম! নাহ! মানুষজন বড়ই খ্রাপ! সহজ কথার উলটাপালটা অর্থ করে!
মন্তব্য
লাভ নাই
বিবাহিতরা যে পরকীয়ায় পড়লে বৌরে নিয়া এমন মসল্লামাখা গপ্প লেখে সেইটা এখন সবাই জানে
এই মসল্লায় কাম হইব বইলা মনে হয় না
বাঁচতে চাইলে চোখের মধ্যে বলিপড়া দেওন লাগব
খেক খেক!
আমি কিন্তু বিবাহিত না
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
ডিজিটাল যুগে এই কথার যেমন কোনো দাম নাই তেমনি বিশ্বাসও করে না কেউ
কত পোলারে দেখলাম বিয়া শাদি করে কয়ে বছর সংসার করে আবার ডিজিটাল উপায়ে সব রেকর্ড ডিলিট মেরে নিজেরে ফর্মেট করে আবার ব্যাচেলর বানিয়ে ফেলে
- চমৎকার।
চোখ বন্ধ করে উৎসর্গ করে ফেলেন। উৎসর্গ করার কেউ থাকলে, এই সুযোগ হারানো ঠিক না। কজন পায় এই ভাগ্য, বলেন দেখি! পোলাপান খোঁচাবেই, ঐটাতেই তো বেশি মজা! কারণ পোলাপানের উৎসর্গের কেউ নাই যে! ওরা সব পোড়া কপাইল্যা, আমার মতো।
আপনার মেয়েকে জেনেটিক ইঞ্জিয়ার বানাবেন, এই কামনা কারি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কী যে বলেন ধুগোদা!
বিশাআআল কোম্পানীর CEO হয়ে এই সব বললে কেম্নে কী!
ধন্যবাদ!
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
- ভালো কথা মনে করছেন তো!
"ধুগো ইন্টারন্যাশনাল" এর নতুন ইঞ্চার্জ নিয়োগের মিটিংটা তো ডিউ হয়ে আছে। ঢাকা শাখার ইঞ্চার্জ কই? এই ব্যাটারে ইদানিং খালি বালিকাদের দেয়া চিকা মারা অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়। আসল কামের সময় ব্যাটারে পাওয়া যায় না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আগেই কইছিলাম!! আমারে অন্তত ব্যাকাপ হিসেবে লন!
আমি কিন্তু ভালু লুক! কারো ওয়ালে চিকা মারি না
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
আপনি নির্ভয়ে উৎসর্গ করুন। আমরা উল্টাপাল্টা কিসসু বলবো না। যা বলার সোজাসুজি...
সুমিমা ইয়াসমিন
নাহ! সবাই দেখি গল্পের বদলে ঠ্যাংনোট নিয়েই মন্তব্য করা শুরু করল!!!
ধন্যবাদ সুমিমা ।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
পূর্ণ সহমত!!!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
একজন অবিবাহিত লেখকের বিবাহিত জীবনের গল্প! মন্দ না কিন্তু....
ভাল্লাগলো আবেগের নিয়ন্ত্রিত প্রকাশ।
জহিরুল ইসলাম নাদিম
আপনাকে ধন্যবাদ ।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
-লীলেনদার ভাষ্য অনুযায়ী আপনি পরকীয়ায় মায়ায় আটকে এই লেখা লিখসেন। আমি ডিজিটাল যুগে আর বেশি আগাইলাম না ; তয় গল্প ভালু পাইছি।
-আর উৎসর্গ-টর্গ নিয়া চিন্তা করার দরকার নাই। নিশ্চিন্ত মনে দিয়ে দেন। কারণ সবই ডিজিতাল!
অনন্ত
গল্প লেখার এই ধরণটা আমার খুব ভালো লাগে...আচমকা পাঠক যখন ধাক্কা খাই , তখন লেখার স্বার্থকতা...ঠিক জীবনে আমরা যেমন আচমকা বিপদে পড়ে যাই!
.........আমার খুব কষ্ট হচ্ছে ওদের জন্য।ঃ((
মূল গল্প কষ্টটাকে কেন্দ্র করেই।
তোমার সংবেদনশীলতার জন্য তোমাকে আমি বেশি শ্রদ্ধা করি।
ধন্যবাদ
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
নাম দেখে প্রথমে মনে করেছিলাম প্রেমপত্র টাইপ কিছু হবে। কাজেই পড়ে চমকে গেছি, লেখক বোধ হয় তেমনি চেয়েছিলেন, তাইনা?
আপনার কন্যার জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার আগ্রহ থাকুক, দোয়া রইল!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
শুধু চমকে না, ভাবছিলাম এই ট্র্যাজেডি নিয়েও আমরা একটু ভাবলে ভালো হয়। কিন্তু ঠ্যাংনোট তো সব ডুবায়া দিল!
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
নতুন মন্তব্য করুন