দিনের শুরু।
ভোর। বন্ধ কাঠের দরজার চিকন ফাঁক গ’লে, বন্ধ কাচের জানালা ঢাকা ক্লিপ আঁটা পর্দার কোণ গ’লে তরতাজা, নতুন আলো এসে ঘরের ঘন, চাপা অন্ধকার এখন পাতলা। ভেতরটা গুমোট। ক্ষীণ বাসি গন্ধ। মুখোমুখি দুই খাটে আর মেঝেতে - মোট তিনজন ঘুমন্ত এখনও। সাড়ে ছ’টা বাজল। আর সেই সাথে কর্কশ সুরে বাজলো অ্যালার্ম।
রাবেয়া সুলতানা।
অ্যালার্ম বন্ধ করে বিছানায় উঠে বসে চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ ঝিমান রাবেয়া সুলতানা। কিছুটা সময় টলমল পায়ে, অতঃপর চোখেমুখে পানি লাগায় কিছুটা সতেজ, গ্যাসের চুলা দুইটা পরপর জ্বালিয়ে, একটায় চায়ের পানি আর একটায় দুধ জ্বাল দেবার জোগাড় হলে কিছুটা নিশ্চিন্ত। রান্নাঘরটা ছোট, খোলা জানালার মুখোমুখি ওপাশের বাসাটার পর্দার ফাঁক দিয়ে বাচ্চা মেয়েটাকে দেখা যায়। এরই মধ্যে উঠে পড়েছে।
আরিফুর রহমান এই সাতসকালেও গোসল না করে কাজে বের হতে পারেন না। অনেকদিনের অভ্যাস। তাঁর গোসল শেষ। দুইটা নোন্তা বিস্কিট আর চা পর্ব শেষে, টিফিন বক্সে খাবার নিয়ে বেরিয়ে গেলেও রাবেয়া সুলতানা বিশ্রাম নেবার সাহস করেন না। ছেলে উঠে যাবে একটু পরেই, আর তার পরপরই মেয়ে। কাজের মেয়েটাকে ঠেলা দিয়ে ঘুম থেকে তুলতে হয়। তাকে আলু কাটতে বসিয়ে, রুটি বেলতে বেলতে রাবেয়া সুলতানার মনে পড়ে তাঁর বৃদ্ধা মায়ের কথা। মা-টা আর নিজে নিজে কিছুই করতে পারে না। ভুলে যায় সবকিছু। বড় আর মেজো ভাইটা মা-কে দেখেনা, ছোটটার বউয়ের মনটা নরম হওয়ায় রক্ষা। সে-ই মুখে ভাতটা, তরকারিটা তুলে দেয়, কাপড় কেচে দেয়। আবার মুখঝামটাও দেয়।
এসব ভাবতে ভাবতে জমে থাকা দুয়েকটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস তাঁর অজান্তেই বুক চিরে বেরিয়ে এলেও রুটি বেলা হাতের গতি কমেনা একটুও। প্রায় প্রতিদিনকার মতো আজকেও, এই সকালে, যখন কাজের ভীড়ে এখনও ডুবে যাননি; একটা ছেলেমানুষি ইচ্ছা জাগে প্রবল। সকাল এগারোটার বাস ধরে বাপের ভিটায়, মা-র কাছে চলে গেলে কেমন হয় ! সারাজীবন শ্বশুর-শ্বাশুড়ী, স্বামী আর এখন ছেলে-মেয়ের দেখাশোনা করে মা-র সেবা করার ফুরসতই হলো না তাঁর। সে না হয় না হলো। কিন্তু এখন যে মা-র তাঁকে খুব দরকার ! এই শেষ বয়সে মুখঝামটা না খেয়ে একটু শান্তিতে মরার আশা কি করতে পারে না তাঁর অসহায় মা-টা ! তাঁর নিজেরও তো সময় হয়ে এলো প্রায়। কী আছে কপালে কে জানে ! মেয়েটা কি এমন করে ভাববে তাঁর কথা !
রাবেয়া সুলতানা আলুভাজির কড়াইয়ে ঢাকনা চাপিয়ে ভাবেন, তাঁর স্বামী বা চাকরিজীবি ছেলে-মেয়ে, কেউই তো রাজি হবে যদি তিনি বাড়ি যেতে চান এখন। ঘরের কাজ সামলাবে কে ? কিন্তু তিনি যদি বাসে উঠে ফোন করে জানিয়ে দেন তো কেমন হয় ! তখন তো আর তাঁকে ফেরানোর আর কোনো উপায় থাকবে না। একটা মাস কী দুইটা সপ্তাহ কী নিদেনপক্ষে কয়েকটা দিন কি কষ্ট করে চালিয়ে নিতে পারবে না তাঁর ছেলে মেয়েরা !
তবে আলুভাজি নাড়তে নাড়তে রাবেয়া সুলতানার চিন্তাভাবনার গতিপ্রকৃতি বদলে যায় - ’নাহ্ ! কী হবে ছেলেমানুষি করে ! মেয়েটার কষ্ট হবে। সারাদিন বাইরে কাজ করে এসে আবার রান্নাবান্না ! কী দরকার ! ’
কড়াই নামিয়ে ছেলের ঘরের দরজার ধাক্কা দেন রাবেয়া সুলতানা। আ্যালার্মের শব্দেও ঘুম ভাঙে না তাঁর ছেলের।
তারিন।
ঘুম থেকে উঠেই তারিনের চোখ ঘড়িতে, মুহূর্তেই এক লাফে বাথরুমের দরজায়, বড়জোর বিশমিনিট সময় পাওয়া যাবে ব্যাঙ্কের স্টাফ গাড়িটা ধরার জন্য, দশমিনিটের মাথায় সম্পূর্ণ রেডি।
খাবার টেবিলে অর্ধেক বসা - অর্ধেক দাঁড়ানো অবস্থায় ডিমভাজির বড় একটা টুকরা মুখের ভেতর চালান করে দিতে গিয়ে নিজেকে প্রায় রোজকার মতন একবার কষে গালি দিলো তারিন, আজকেও মা-কে সাহায্য করা গেলো না। ইনসমনিয়া ! সব দোষ এই অসুখটার । ঘুম আসে না সারারাত। কিন্তু ফজরের নামাজের পর না চাইলেও ঘুম এসে দস্যুর মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই চোখে।
গাড়িটা আসেনি এখনও। বাস, সিএনজি’র ধোঁয়ায় বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে নিতে তারিন মহাখালী-গামী বাসগুলিকে লক্ষ্য করে; সিএনজি’র যাত্রীদের ভাড়া দরাদরিতে কান পাতে - কোথায় যেতে চায় ওরা ? মহাখালীতে কী ?
মহাখালীতে অনুপমের অফিস। তারিনের পায়ের তলা শিরশির করে ওঠে। এক লাফে একটা বাসে উঠে পড়লেই তো হয়। মহাখালী-গামী বাসে। অনুপমকে যদি বলে, ’ চলো, আজই আমরা বিয়ে করবো!’ - কী বলবে অনুপম ? রাজী হয়ে যাবে - তারিন নিশ্চিত। স্টাফ বেসে ছেড়ে অন্য বাস - এরপর অনুপমের অফিস - এরপর ! এক মুহূর্তে বদলে যাবে জীবন। কিন্তু তারপর ?
প্রবল প্রচেষ্টায় সংযমী পা দুটোকে টেনে স্টাফ বাসে উঠে পড়লেও তারিন অন্ধের মতো ধাক্কা খায় একটা সীটের হাতলে।
লাঞ্চ ব্রেকে খাওয়ার আগে মোবাইল ফোনটা হাতে নিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত তারিনের - মাথার ভেতরের ভূতটাকে তাড়ানো কঠিন। ’ অনুপমকে ফোন করবো একটা ?’ এই এত বছর পর অনুপম কি এখনও আগের মতো আছে ! কী বলবে আব্বা - আম্মা ?! মনে তো আছে সেই বিকালটা আর আম্মার রক্ত-চোখ - ’ হিন্দু ছেলে বিয়ে করলে কিন্তু আমাদের মরা-মুখ দেখবি তুই’। - কিন্তু যত হুমকিই দিক না কেনো শেষ পর্যন্ত কি মেনে নেবে না বাবা-মা ! নেবে কী ! শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত আরো । জীবন-মরণ একটা ঝুঁকি নিয়েই ফেলবে নাকি ! প্রবল উত্তেজনায়, আশংকায়, আশা-নিরাশায় দম আটকে যাবে যেন - এরকমই মনে হয় তারিনের। কিন্তু অনুপম ! আগের মতো আছে কী আর ! ভুল বুঝে ছিলো যে শেষবার দেখার সময়টায়। একটু অবিশ্বাস, বিন্দু পরিমাণ ঘৃণা জমেছে কি ওর মনে ? বিশ্বাস এবার একটু টলে যায় ! চোখে ভাসে মা-র রক্ত-চোখ।
আর কতদিন কাটবে এভাবে! শরীরের প্রতি কোষে কোষে জড়ানো কষ্ট। হাতের মুঠি শিথিল এখন - ফোন নেমে যায় টেবিলে।
তারেক।
প্রেস ক্লাবের সামনে বাসের জটলা। জটলার পাশে সারি সারি বিশৃংখল মানুষ। মানুষের ভীড়ে তারেক। একা। একটা অপেক্ষাকৃত খালি বাসের অপেক্ষায়। অফিস থেকে আজকে একটু তাড়াতাড়িই বের হওয়া গেল। শান্তি ! অফিসে সারাটা দিন দমবন্ধ লাগে একদম। যন্ত্রের মতো কাজ আর অনুভুতিহীন কথাবার্তা, হাসিঠাট্টায় কতক্ষণ আর নিজেকে ভুলিয়ে রাখা যায় !
তারেকের দৃষ্টি সোজা সরলরেখা হয়ে এগিয়ে যেতেই সামনে দোতলা লাল বাসটা দাঁড়ায় বাধা হয়ে। যদি ধরে নেওয়া যায় যে তার দৃষ্টি কোনো প্রতিবন্ধকতায় বাধা পায় না, তো পিছু নিলে দেখা যাবে তা দোতলা বাস ভেদ করে সামনে এগিয়ে যেতে যেতে, রাস্তাটা পার হয়ে ওপাশের গলিতে ঢুকে সেগুনবাগিচায়; রিকশা, ঠেলাগাড়ি, মানুষ ভেদ করে আবার সোজা সামনে যেতে যেতে হঠাৎ বামে থেমে গেল। ওখানে শিল্পকলার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল। আনিস ভাইকে মনে পড়ে - তারেক একটু আনমনা এখন। ওদের গ্র“পের নাটকের প্রদর্শনী আছে নাকি আজকে ! রাহাত , মীরা, সবুজ, ওরা সবাই - ওরা কি তাকে মনে করে এখনও !
তারেক হঠাৎই ভীষণ ক্লান্ত বোধ করে। ’গোল্লায় যাক সব !’ এইরকম ভাবতে ভাবতে ওর মনে হয় এই ফুটপাতে, মানুষের ভীড়ে, ধূলাময়লার মধ্যে বসে পড়া গেলে ভালো হতো। কিংবা কোনো দূর, নির্জন, বিশাল পাহাড়ের চূড়ায় বসে থাকা যেতো ! একদম একা একা।
ঘন্টার পর ঘন্টা।
দিনের পর দিন।
মাসের পর মাস।
বছরে পর বছর।
কিংবা খালি হাতে, সেল ফোনটা বন্ধ করে এলোমেলো, উদ্দেশ্যবিহীন হাঁটা যেতো, হাঁটতে হাঁটতেই বিকাল শেষ। সন্ধ্যা শেষ। রাত শেষ। ইচ্ছা করলেই কি এমন করা যায় না ! কে আর কী বলবে ! একটা কিছু বলে আব্বা-আম্মাকে কাটিয়ে দেয়া যাবেই। প্রতিদিন তাকে বাসায় ফিরতেই হবে কেন ! এই সব ভাবে তারেক। ভাবতে ভাবতেই একটা গেইটলক বাসে উঠে পড়ে। পেছনের তিনটা সীট খালি আছে এটার।
আরিফুর রহমান।
রাত নয়টায় আরেকবার চা-য়ের তৃষ্ণা পায়। এই সময়টায় সালেহাই চা দিয়ে যায়। রাবেয়া সুলতানা আর আসেন না। বেডসাইড টেবিলে চায়ের কাপটা রেখে আরিফুর রহমান মন খারাপ করে বসে থাকেন। দিন দিন কি তাঁর আর রাবেয়া সুলতানার দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে না ! অথচ এই বয়সে এর উল্টোটাই তো হওয়ার কথা ছিলো। তাঁর স্ত্রী - রাবেয়া সুলতানা - ছোটোখাটো, শান্ত, নরম, অল্পশিক্ষিত একজন মানুষ - দিন দিন এমন জেদী আর দুর্বোধ্য হয়ে উঠবেন - কে ভাবতে পেরেছিলো !
এই সময়টায়, যখন তিনি দ্বিতীয়বার খবরের কাগজে চোখ বুলাতে বুলাতে চা-য়ে চুমুক দেন, রাবেয়া সুলতানা এসে খুঁটিনাটি সাংসারিক কথা বলেন। সাত-আট দিন আগে, কী কারণে মনে নাই, মন মেজাজ বোধহয় খারাপ ছিল, ’এখন যাও তো, পেপার পড়ার সময় কথা বললে বিরক্ত লাগে’ বলতেই রাবেয়া সুলতানা এ পর্যন্ত আর নয়টার দৈনন্দিন গল্পগুজবের চেষ্টা চালান নি। নিজেই স্ত্রীকে ডাকবেন কী ? কিন্তু এ কাজ তো তিনি সাধারণত করেন না। তাঁর স্ত্রীই তো এগিয়ে এসে মিটমাট করেন। এবারও নিশ্চয়ই করবে। কিন্তু অধৈর্য হয়ে যাচ্ছেন আরিফুর রহমান। বয়সের জন্য কী ! দেরী হচ্ছে কেন এতো !
বাড়িটা কেমন আশ্চর্যরকম চুপচাপ ! মেয়েটা নিজের ঘরে। কী করে কে জানে ! বিয়ে করতে কি রাজী করাতে পারবেন কখনো ! বিশ্বাসে চিড় ধরে গেছে। ছেলেটা আবার কোথায় বেরিয়ে গেল। ইদানীং কথাই বলে না কারো সাথে। কত অভিমান আর রাগ জমে আছে ওর মনে ?
রাবেয়া সুলতানা বসার ঘরে, টিভির সামনে। আর নিজের ঘরে তিনি, চা-য়ের কাপ সামনে। ভাবছেন। একটু কথা বলার জন্য, কথা শোনার জন্য অস্থির লাগে তাঁর। ডাকবেন কি স্ত্রীকে ! হয়তো অবাক হবেন রাবেয়া সুলতানা, কিন্তু খুশিও হবেন না কী ! ভাবতে ভাবতে চায়ের কাপ হাতে বারান্দায় চলে আসেন তিনি, তাকিয়ে থাকেন বাইরে। চুপচাপ।
দিনের শেষ।
দরজায় ভালো করে তালা আটকে, গ্যাসের চুলা বন্ধ আছে কিনা দেখে নিয়ে মেয়ের ঘরে আসেন রাবেয়া সুলতানা। কিছুদিন ধরে এ ঘরেই শুচ্ছেন তিনি। তাঁর ঘরটায় বাতাস ঢোকে না বললেই চলে। আজকাল ঘন ঘন ব্লাডপ্রেশার বেড়ে যাওয়ায় বাইরের বাতাস না পেলে স্বস্তি পান না।
ঘর অন্ধকার। মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। অথবা ঘুমায়নি এখনো। চুপচাপ শুয়ে আছে হয়তো। দরজার পাশের বিছানায় বসে আছেন তিনি। দরজা খোলা। তার বাইরে নিকষ অন্ধকার। বাতাস বইছে মৃদু। মিটমিট করে জ্বলছে তারা। রাবেয়া সুলতানা বাইরে তাকিয়ে দেখেন এসব। দেখতে দেখতেই চোখ বন্ধ হয়ে আসে তাঁর, নিজের অজান্তেই নুয়ে পড়ে শরীরটা। ক্লান্ত, বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত মাথাটা আশ্রয় নেয় বালিশের এক কোনে; বালিশ ছুঁতেই একটু সচেতন - এলোমেলো হাত বাড়িয়ে দরজাটা টেনে বন্ধ করে দেন। বাইরের আঁধার আর ভেতরের আঁধারের মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় বন্ধ কাঠের দরজা। সময় গড়িয়ে যায় মসৃণ গতিতে, মৃদু বাতাস হয়তোবা একটু জোরদার এখন, কালচে নীল আকাশে তারারা জ্বলছে আগের মতোই, নিস্তব্ধ ঘুমন্ত চরাচর।
ক্রমশ গভীর থেকে গভীরতর হয় রাত। আরেকটা দিনের অপেক্ষায়।
মন্তব্য
খালাম্মা ইজ ব্যাক, ভালো লাগল
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাকে কি পার্মানেন্ট খালাম্মা বানিয়ে দিলেন !
আপনার লেখার ওজন খালাম্মা বয়সি লেখিকাদের মতন , আমার কি দোষ? খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুললেন মধ্যবিত্ত একটি পরিবারের টানা পোড়নের ছবি। কেউ কারো বলয় ছেড়ে বের হতে রাজি না, কিন্তু সবসময়ই চিন্তা করছেন, কিন্তু বের হতে পারছেন না। আমার খুব ভালো লেগেছে আরিফুর রহমানের ইগো ভিত্তিক চিন্তাভাবনা, রাবেয়ার সআঠে অন্তরঙ্গ হতে চান, কিন্তু কোন পদক্ষেপ নিবেন না। আর অন্যদিকে, রাবেয়াও যেটা চান, সেটা পাচ্ছেন না, তাই আরিফুর রহমান যা চাচ্ছেন তা না দিয়ে তাকেও নিজের কষ্ট কিছুটা উপলব্ধি করানোর চেষ্টা করছেন। নেন, গান শুনেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ঠিকাছে, আমি নাহয় খালাম্মা হয়েই থাকলাম ! সমস্যা নাই ! বেশ একটা মুরব্বী মুরব্বী ভাব আসে !
চমৎকার গানটার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই ভালো লাগলো।
কেমনে যে আপনারা এতো সুন্দর করে গুছিয়ে লেখেন, বুঝিনা। পুরা ছচল হইলে তারা মারতাম।
=============================================
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। গুছিয়ে কতটা লিখতে পারি জানিনা, তবে চেষ্টা করি।
আপনি যে তারা দিতে চাইলেন এতেই আমার তারা পাওয়া হয়ে গেল।
ভুল করে করা মন্তব্য মুছে দিলাম।
ভীষণ রকমের ভালো লাগলো। আপনার লেখা আগে বিশেষ পড়া হয় নি তাই কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই শুরু করেছিলাম। পড়ে মন ভরে গেলো, এমন সহজ সরল কথা, সাবলীল ভঙ্গি। এই রকম দৈনন্দিনতার থিম নিয়ে আরো লিখুন।
পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো অধ্যায়ভাগ না করলেও হতো, একজনের কথা আরেকজনের মধ্যে মিলেমিশে গেলেও মন্দ হতো না।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
অধ্যায়ভাগ করবো না, এরকমটা আমিও একবার ভেবেছিলাম। কিন্তু তাতে সবার অনুভূতি ফুটিয়ে তুলতে পারবো না, এমন আশংকা হচ্ছিলো। তাই অধ্যায়ভাগের নিরাপদ পথ বেছে নিলাম।
খুব খুব ভালো লাগলো।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল লাগল এই দৈনন্দিন জীবনের সহজ সরল গল্প
অফটপিকঃ অনেকদিন পর ফেরত আসলেন মনে হয় আফামনি
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
নিবিড়ের দেখা পেয়ে ভালো লাগলো ! গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
হুম, মাঝে বেশ কিছুদিন কিছু লেখা হয়নি, তবে মাঝে মাঝে এসে আর সবার লেখা পড়ে আর মন্তব্য করে যেতাম।
খুব কাছাকাছি থেকে দেখা কিছু সাধারন গল্প,প্রাত্যহিক জীবনের খুটিনাটি কিছু ছবি-সবই চেনা চেনা লাগল। কিন্তু সাধাসাধি ভাষা্য় এত সুন্দর ভাবে বললেন যে সেটাই অসাধারন লাগল।
ধন্যবাদ আপনাকে, কিন্তু আপনার নামটা জানা হলো না।
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ধন্যবাদ সুহান।
সুন্দর।
কয়েকটা কাল্পনিক তারা নিন, মুগ্ধতা অবশ্য কাল্পনিক না।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
নিলাম তারা ! ধন্যবাদ আপনাকে।
একই পরিবার এর সবার একটা দিনের গল্প, নিজস্ব চিন্তা আলাদা করে তুলে ধরলেন বলেই খুব ভাল লাগলো আপু!
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
তারা! তারা ! তারা !
ধন্যবাদ ! ধন্যবাদ !
চমৎকার
ধন্যবাদ।
দারুণ একটি গল্প এটি। পড়তে ভীষণ ভালো লাগলো আপু।
অভিনন্দন এই সৃষ্টির জন্য
-------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
অনেক ধন্যবাদ, মউ।
ভাল লাগলো
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ধন্যবাদ আপনাকে।
- লেখাটা পড়ছিলাম তো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কোথায় পড়েছিলেন !! এখানেই তো, নাকি !!
ভালো থাকবেন।
নতুন মন্তব্য করুন