ভ্যাপসা গরম রাত। এইরকম রাতে রাস্তাঘাটে, অলিতে গলিতে বাজে গন্ধ পাওয়া যায়। মানুষের গায়ের ঘামের গন্ধ, তরকারি পচা গন্ধ, মাছ পচা গন্ধ সব মিলেমিশে একটা বোটকা গন্ধ ছড়ায়। সেইরকম একটা রাত। গিজ গিজ করছে মানুষ। কেউ কারো দিকে তাকাচ্ছে না। অথচ নির্বিবাদে ধাক্কা খাচ্ছে, ধাক্কা দিচ্ছে একে অন্যের কাঁধে, পিঠে, হাতে, পায়ে। এলোমেলো রিকশার ঝাঁক। রাস্তার এখানে সেখানে গর্ত। দুইপাশে সারি সারি দোকান। সেগুলোর সামনে রাস্তা ঘেঁষে কেউ কিছু মাছ নিয়ে বসেছে, কেউ সামান্য সবজি। বাসার কাছে পৌঁছে গেছি। বাসস্ট্যান্ড থেকে আমাদের বাসা ১৫ টাকা রিকশা ভাড়া। আমি হেঁটেই আসি। এই এলাকায় কারেন্ট নাই এখন। কারো কারো বাসায় সাদা আলো জ্বলে। কারো কারো বাসায় টিমটিমে হলুদ আলো। রাস্তায় বাতির আলোয় অন্ধকার হয়েছে আরো গাঢ় । সেই অন্ধকারে হাঁটতে আরাম পাচ্ছিলাম। গলির মুখে একটা জটলা। জটলা পেরিয়ে আরো কয়েক মিনিট। তারপরে আমাদের বাসা। সিঁড়িতে আলো নাই। আমাদের বাসা চারতলায়। মোবাইলের আলোয় চারতলায় উঠলাম। আমার মোবাইলটা ভেঙে গেছে। টেপ দিয়ে আটকে রেখেছি।
গোসল করতে অনেক সময় নিলাম আজ। মাথার তালুতে পানির ধারা অবিরাম আঘাত করলো যখন, আমি অনির্বচনীয় তৃপ্তি পেলাম। শীতল জল ঈষদুষ্ণ হয়ে গড়িয়ে পড়ছিল আমার মুখ, হাত, পিঠ বেয়ে। আমি শীতল হচ্ছিলাম; বহুবছর পর।
একটুকরা ড্রইংরুমের কোণায় পাতা একচিমটে বিছানায় আশ্রয় নিলাম গোসল শেষে। এটা আমার দৈনন্দিন ঠিকানা। এটাকে ড্রইংরুম বলা ভুল হচ্ছে আমার। দুইটা খোপমত ঘর আর একফালি রান্নাঘর ঘেরা ফাঁকা জায়গা। অর্ধেকটায় টেবিল পাতা। টেবিল ঘিরে খানচারেক চেয়ার। বাকি অর্ধেকটায় ভাঙা, আধভাঙা বেতের সোফা। দেয়াল ঘেঁষে খাট পাতা। এখানে শুয়ে, বসে সবাইকে দেখি। না চাইলেও দেখতে হয়। সবার কথা শুনি। না চাইলেও শুনতে হয়। আমাকেও সবাই দেখে। লুকিয়ে রাখার আড়াল নাই।
আজকের পত্রিকা পড়ছিলাম। আমি এপাশটায় কখনো আলো জ্বালাই না, সামনের খাবার জায়গাটার থেকে আলো এসে পড়ে এ কোণে, রাজীবের ঘর থেকেও সাদা আলোর খানিকটা এসে পড়ে এখানে। ওই আলোতেই হয়ে যায় আমার। পেপারটা অবশ্য চোখের একেবারে কাছে ধরতে হয়, চোখ কুঁচকে তাকালে ছোট অক্ষরগুলো ভাল পড়া যায়। অসুবিধা হয়না। আমার কারেন্ট বিল বাড়ানোর অধিকার নাই। আমি এইরকমই ভাবি। আর সবাই কী ভাবে আমি জানিনা। তবে এ জায়গাটার বাতি বেকারই ঝুলে থাকে বেশিরভাগ সময়। আজকে হঠাৎ অক্ষরগুলো আলোয় ভেসে গেলে আমি চমকে দেখি মা আলো জ্বেলে দিয়েছে এপাশে। এর পরে পেপারটা আবার মুখের সামনে ধরলেও আর পড়ার আগ্রহ পেলাম না।
রাজীব অফিস থেকে ফিরেছে। মা'কে দেখলাম রাজীবের নীল মগ নিয়ে রাজীবের ঘরে যাচ্ছেন। মগের গায়ে শীতল জলের বিন্দু। রান্নাঘর থেকে নুডলস এর ঘ্রাণ পেলাম। অগত্যা মনকে ব্যস্ত রাখলাম জানালার বাইরে কালো ঝুল ময়লা মাখা পাশের বাড়ির দেয়ালে। দেয়ালে কালো কালো ঝুল ময়লা। ওগুলি আমাকে চেনে। জানে আমি কী চাই। তাই আমি তাকাতেই তারা এঁকেবেঁকে বানিয়ে ফেললো একটা চারকোণা কাঠের টেবিল। তারপর টেবিলের দুই মুখোমুখি চেয়ারে আঁকলো দুইটা ছেলে। একটা ছেলে বড়সড়। মোটাসোটা। এটা আমি। আরেকটা ছেলের গায়ে মাংস নাই। ছোটখাটো। বাঁশপাতার মত হালকা পাতলা। ওইটা রাজীব। টেবিলে রকমারি খাবার। ওদের মা'কেও আঁকলো চিকন সুতার মত ঝুলকালি। মা আমার পাশে। খাবার বেড়ে দিচ্ছেন। কী খাবার? নুডলসই হবে! আজ সারাদিন খাইনি। পেটের ভেতর মোচড় দিচ্ছে। বমি বমি লাগছে। আমার জন্য এক বাটি নুডলস এলো। মা'ই নিয়ে এলেন। আমি নুডলস এর বাটিতে চোখ রাখতে এর পরিবর্তন টের পেলাম। বড় বাটি। ভর্তি নুডলস। মা অকারণে আমার সামনে বসে থাকলেন আবার। আমি অস্বস্তিতে খেতে পারলাম না। পানির গ্লাসটা শেষ করলাম। ক্ষুধা রয়ে গেল।
ছোটবেলার কথা আমার মনে পড়ে; আমি মনে রাখতে চাইনা তবুও মনে পড়ে। আমাদের দুই ভাইয়ের একটা ঘর ছিল। দুইটা খাট ছিল। আমারটা বড়। রাজীবেরটা ছোট। রাজীব একা শুতে ভয় পেত তাই আমার সাথেই আমার বিছানায় ঘুমাতো। আমার টেবিলে, আমার পাশে একটা চেয়ার পেতে বসে কমিকসের বই পড়তো। মা রাজীবকে বকা দিতেন। 'রাজীব, ভাইয়াকে বিরক্ত কোরোনা, পড়তে দাও।' ফাঁকে ফাঁকে মা এসে অকারণে দাঁড়িয়ে থাকতেন আমার পাশে, মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন। আমি বিরক্ত হবার ভান করতাম। আমার জন্য লম্বা গ্লাসে দুধ নিয়ে আসতেন মা। গরুর ঘন দুধ। রাজীবের হাতলওয়ালা ছোট মগ। আমি গ্লাসটা ওকে দিয়ে দিতাম। মগটা আমি নিতাম। রাজীব দুধ খেতে পছন্দ করে। আমি ছোটবেলার কথা মনে করতে চাইনা। তবুও মনে পড়ে।
রাতে খেতে বসলাম। আমি আর রাজীব। টেবিলের একটা স্ট্যান্ড আধভাঙা। আমাদের সাবধানে খেতে হয়। আমি আজ টাকা দিয়েছি। এ থেকে টেবিল সারাই হতে পারে। খাবারের বাটিগুলো রোজ রাজীবের নীল ফুলতোলা প্লেট ঘিরে থাকে। আজ আমার হালকা হলুদ প্লেট আর রাজীবের নীল ফুলতোলা প্লেট এর চারদিকে ছড়ানো, ছিটানো। রাজীব একটু থমকালো। আমি হাত গুটিয়ে বসে রইলাম। মা তাড়া দিলেন। খাবার ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। মা আজ মাছ রেঁধেছেন। ফুলকপি আর আলু দিয়ে। মা রাঁধেন বড় ভালো। মা'র রান্না খাবারে আমি একটা সুন্দর ঘ্রাণ পাই। এই ঘ্রাণ আর কোনো খাবারে আমি পাইনি কখনো। এই ঘ্রাণ না পেলে সেই খাবার আমার ভাল লাগেনা খেতে। তাই আমি বাইরে কোথাও খেয়ে এলেও বাসায় ফিরে কিছু না কিছু খাই। সবসময়। একটা রুটি আর সাথে খানিক আলুভাজি বা একচাকা ভাজা বেগুন। একচামচ ভাত আর ঝাল ঝাল ছোট মাছের চচ্চড়ি। ছোট এক বাটি সেমাই। যাহোক একটা কিছু। কী যে তৃপ্তি!
আজ খাবার টেবিলে পরিবর্তন এসেছে কিছু। আমার ছোট বাটি নেই কোথাও। আমার প্লেটের কাছে একটা বড় বাটি দেখলাম। বড় এক টুকরা মাছ। কয়েকটা বড় বড় ফুলকপির টুকরা আর আলু অনেকটা ঝোলে ডুবুডুবু। আচমকা মা'র ঘ্রাণ পেলাম, তেলে-ঝোলে মেশানো ঘ্রাণ। আমার চেয়ারের পাশে। অস্বস্তি হলো আবার। অস্বস্তি তাড়াতে গিয়ে ভাতের একটা শুকনো দলা মুখে পুরে চিবুতে চিবুতে ঝোলের বাটিতে হাত রাখলাম। একটুকরো আলু আর খানিকটা ঝোল নিয়ে ভাত মাখিয়ে বসে রইলাম। খেতে পারছি না। আমার ছোট বাটিটা কোথায়?
রাজীবের ডান পাশের জায়গাটা ফাঁকা। এ সময় ওখানটা ফাঁকা থাকার কথা না। মা এসে দাঁড়ান। এটা ওটা বেড়ে দেন। আজ নেই। আমার কেমন অস্বস্তি হচ্ছিলো তাই। মা কেন নেই ওখানে? এটাই ভাবছি, এসময় মাথায় মায়ের হাত টের পেলাম। সাথে সাথেই শরীরটা জুড়িয়ে গেল দীর্ঘসময় যাবত অনাস্বাদিত এক আরামে। আহ মা! কয়েকটা সেকেন্ড পরেই টের পেলাম এই আরামবোধ ছাপিয়ে শরীরজুড়ে রাজত্ব করছে তীব্র জ্বলুনি। নিজের ওপরই বিরক্ত হয়ে উঠলাম। 'কীরে, বসে আছিস কেন? খা! ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তো!' অগত্যা আমি আবার হাত রাখি মাছ, ফুলকপি, আলুতে। কিন্তু খেতে পারিনা। গলায় আটকে যাচ্ছিল বারবার। পানি খেয়ে খেয়ে গলার আটকে থাকা দলা সরাবার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। পারছিলাম না। কোনোমতে খাওয়া শেষ করলাম সে রাতে। সত্যি বলতে কী, কিছু খেতেই পারলাম না।
রাতে ঘুম আসছিল না। সারাদিন খাইনি। খাওয়ার টাকাটা বাঁচাই। কাজে লাগে। বাসায় ফিরেও আজ খেতে পারিনি। তীব্র ক্ষুধা ঘুমাতে দিচ্ছিল না। মশার উৎপাতও একটা কারণ হতে পারে, যদিও আমি এতে অভ্যস্ত। বেশ কিছুটা সময় পর টের পেলাম রান্নাঘরের আলো নিভলো। মা ঘরে গেলেন। এবং ফিরে এলেন। আমি মা'র ঘ্রাণ টের পাই। মা আমার পাশেই। মাথায় হাত বুলিয়ে দেন কিনা এই টেনশনে আমি শ্বাস বন্ধ করে তীব্র অনিচ্ছায় শক্ত হয়ে শুয়ে রইলাম। আহ, না! কয়েল জ্বালিয়ে দিলেন মা। আমার চোখ জ্বলে উঠলো। আমি সারারাত ঘুমাতে পারলাম না। ক্ষুধায়।
আর এর পরদিন থেকে বাসায় খাওয়া পুরোপুরি ছেড়ে দিলাম।
আমি একটা নগণ্য, বোকা মানুষ।
১৬/১১/১০
মন্তব্য
এত জীবন্ত যে গল্প বলে মনেই হয় না। কিছু কিছু গল্প থাকে একদমই জীবন থেকে নেয়া, তার স্বাদই আলাদা।
তবে কিছু কিছু জায়গা বুঝতে পারিনি। হয়ত আরেকবার পড়লে বুঝবো।
অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু কোন জায়গা বুঝতে পারেননি! লেখাটা একেবারেই জটিল না তো!
আহ, কতদিন পর ভিন্ন স্বাদের একটা গল্প পড়লাম। ধন্যবাদ বইখাতা!
একটা অদ্ভূত প্রশ্ন করি?
এই গল্পের প্রোটাগনিষ্টের সাথে তুমি কি নিজেকে মেলাতে পারো? নাকি এইটা সম্পূর্ণ বিযুক্ততা থেকে লেখা?
অনেক ধন্যবাদ অনিকেতদা।
আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলি, নাহ, মেলাতে পারিনা। তবে আমি চেষ্টা করেছি পুরোপুরি বিযুক্ত থেকে না লিখতে। পারিনি বোধহয়। লেখার সময় চেষ্টা করেছিলাম, এই লেখার মূল চরিত্র কীভাবে ভাববে, ছোট ছোট ঘটনার প্রেক্ষিতে তার আবেগ অনুভূতি কেমন হবে এটা আমি নিজে অনুভব করে লেখায় সেটা তুলে আনতে চেয়েছি। আমি জানি, হয়নি। এই লেখার লাইনে লাইনে সেই ব্যর্থতা মিশে আছে।
চরম
-সমুদ্র সন্তান
ধন্যবাদ।
ভাল| খুবই ভাল|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
অনেক ধন্যবাদ দময়ন্তীদি ।
চমৎকার!
ধন্যবাদ পাঠকদা।
আমি বড় অলস পাঠক। সচলে জীবনে কমেণ্ট করা হয়নি। আজ করতেই হল।
আপনি অসাধারণ লিখেছেন।
তাই! তাহলে বলতেই হবে এটা আমার জন্য বড় একটা পাওয়া। আপনাকে ধন্যবাদ।
বাহ চমতকার গল্প
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ নিবিড়। ঈদ ভালই কাটালে আশা করি।
খুব ভালো লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।
ভেতরটা নাড়া দিয়ে দিয়েছে গল্পটা।
ধন্যবাদ আপনাকে এরকম চমৎকার একটা গল্প আমাদের উপহার দেয়ার জন্য।
পাগল মন
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আপনার একটা গল্পসংকলন করা দরকার...
_________________________________________
সেরিওজা
নাহ! কী এমন গল্প! তার আবার সংকলন! তবে আপনাকে ধন্যবাদ অবশ্যই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আরে না!
তুমুল।
আপনাকে ধন্যবাদ।
দুর্দান্ত!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ লেখাটা পড়বার জন্য।
মাথা থেকে গল্পটা ঝেড়ে ফেলতে পারছিনা। খুঁজেপেতে বের করে আবার পড়লাম।
তাই! লেখাটা কিছুক্ষণের জন্য হলেও আপনার মাথায় রয়ে গেছিল জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
চমৎকার লেখার হাত আপনার । ভীষন শক্তিশালী । কিন্তু আমাকে মানতেই হবে গল্পের পরিনতিটা আমি বুঝিনি ।
ঠিক কী বুঝাতে চেয়েছেন? আশা করি ভূল বুঝবেন না । এত সুন্দর গল্পটা না বুঝতে পারার কষ্টটা পীড়া দিচ্ছে তাই জানতে চাওয়া ।
আপনার কাছ থেকে আরো লেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অনেক ধন্যবাদ।
না না, ভুল বুঝিনি। কিন্তু আমি বোধহয় আপনাকে গল্পের শেষটা নিজেও ঠিকমত বোঝাতে পারবো না। লেখাটাকে মনে হয় এভাবে দেখতে পারেন - একজন মানুষের সফল হতে হতে (পড়াশোনায় ভাল, সম্ভাব্য ভাল ক্যারিয়ার) ব্যর্থ হয়ে গিয়ে আবার ধীরে ধীরে সফল হতে শুরু করার (একদম ছোট স্কেলে) সময়গুলোতে তার অতি আপনজনদের (মূলত তার মা) আচরণের পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করা এবং যার ফলাফলস্বরূপ হয়তো তীব্র অভিমানে, বিতৃষ্ণায়(!) আপনজনদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন সুবিধা (এটা শেষের দিকে) প্রত্যাখ্যান করা। এটাকে এক ধরণের বোকামি বলতে পারে কেউ কেউ। তাই সে বলেছে সে একজন বোকা মানুষ। (পুরো বিষয়কে লেখায় দেখানো হয়েছে একেবারে ছোট স্কেলে)। আমি বোধহয় ব্যাপারটাকে আরো জটিল করে ফেললাম। অথবা আমি লিখতে চেয়েছিলাম হয়তো এটাই কিন্তু হয়ে গেছে অন্য কিছু। যাইহোক হয়েছে কিছু একটা।
অনেক ধন্যবাদ বইখাতা । এবারে বুঝতে পেরেছি । এখন আরো ভাল লাগছে গল্পটি ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
খুব ভালো গল্প হয়েছে বইখাতা।
আপনি অনেক ভালো লেখেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। প্রশংসা পেয়ে ভাল লাগলো, তা সে যেমনই লিখি না কেন।
এমনটাই হয়।
গল্পটা ভাল লাগল।
আচ্ছা, বাসায় আর ক'টা দিন খাওয়া চালিয়ে গেলে ভাল হত না?
আরো কিছু অবজারভেশান পাওয়া যেত, নাকি?
- নাসির উদ্দিন খান
কী জানি! হয়তো ভাল হতো। আপনাকে ধন্যবাদ।
অসাধারন লাগলো। আমি মুগ্ধ! আপনার লেখনীকে শক্তিশালী বলতেই হচ্ছে।
-- শাহেদ সেলিম
ধন্যবাদ আপনাকে।
অন্যরকম একটা গল্প। ভালো লাগলো ভীষণ।
আর সিরিয়াল নাম্বার দেখে পুলকিত হইলাম।
আসিতেছে নিশ্চয়ই...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভালো লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগছে।
আর সিরিয়াল নাম্বারের ব্যাপারটা কিন্তু ভিন্ন! গল্পের নাম দেয়ার ক্ষেত্রে আমার পারফর্মেন্স খুবই খারাপ। ঠিক করেছি, এখন থেকে যেই গল্পের কোনো নাম খুঁজে পাবোনা সেগুলোর নাম হবে 'অনামা গল্প'। সেই হিসাবে এই গল্পটা প্রথম।
আমি বেশ কয়টা লেখা পড়ব বলে বাঁচিয়ে রেখেছি, পাতাগুলো খুলে রেখেছি, পড়তে চেষ্টা করছি, পারছি না... কিন্তু... এটা... এটা একটানে, এক নিঃশ্বাসে (যদিও সেটা প্রায় অসম্ভব মনে হয়) পড়ে ফেললাম। কী অদ্ভুত! কী আশ্চর্য! সচলায়তনে আমার কিছু প্রিয় লিখিয়ে আছেন, আমার পড়ে ভালো লাগে তাদের লেখা, তবে মাঝে মাঝে কারো কারো কোন কোন লেখা পড়ে রীতিমত হিংসা হয় আমার, ঐভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করতে পারি না কিছুই বলে। আজকে এখন এমন মনে হলো আবার! আপনার প্রত্যক্ষণ ক্ষমতার আর তা ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতাটা ঈর্ষনীয়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এই গল্পটা আপনার এতোটা ভাল লেগেছে জেনে আমার সত্যি ভাল লাগছে।
আসলে ঠিক গল্পের কাহিনিটা ভালো লাগেনি অত, মানে কেমন যেন নেগেটিভ ব্যাপারটা। আমার ভালো লেগেছে আপনার খুঁটিনাটি অব্জারভেশন ক্ষমতা আর তা লিখনির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার দক্ষতাটা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আচ্ছা! ঠিক আছে, বুঝলাম। ভাল লাগা, না লাগা পরিষ্কার করার জন্যে ধন্যবাদ।
আর গল্পের কাহিনী তো কাহিনী, কারো কারো পুরো জীবনটাই অন্যায্যভাবে নেগেটিভ।
উদ্ধৃতি
"আপনার একটা গল্পসংকলন করা দরকার..."
-- সম্পূর্ণ একমত।
--শাহেদ সেলিম
ধন্যবাদ।
এই গল্পটা খুবই খুবই পছন্দ হয়েছিল, জানানো হয়নি।
বিষয়, বলা আর শেষটা পুরোটাই চমৎকার
জেনে আমারো খুব ভাল লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব ভাল লাগল। ভাষা গল্প সব।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ধন্যবাদ আপনাকে।
পড়ে বিষণ্ণ লাগছে। চমৎকার লিখেছেন! নামটাও ঠিক দিয়েছেন
শুভকামনা।
নতুন মন্তব্য করুন