মাঝে মাঝে ফেলে আসা ছেলেবেলার দিকে তাকালে একটা জিনিস খুব করে মনে পড়ে- তা হলো, গ্রামে যাওয়া। সে সময় গ্রামে যাওয়া মানেই ছিল একটা উৎসব-উৎসব আমেজ। ঈদ ছাড়াও, বিভিন্ন ছুটি-ছাটায়, বিশেষ করে শীতের ছুটিতে গ্রামে যাওয়ার স্মৃতি এখনো মনে ভাসে। যাওয়ার দু’একদিন আগে থেকেই তোড়জোর শুরু হয়ে যেত। আগের রাতেই ব্যাগ গুছিয়ে রাখতাম। কাপড়-চোপড়ের সাথে পছন্দের কিছু সেবার বইও ব্যাগে ভরতাম। যদিও গ্রামে গিয়ে বইগুলো পড়ার সুযোগ খুব কমই পেতাম, বলতে গেলে ব্যাগেই পড়ে থাকত, নিজেও জানতাম যে পড়া হবে না, তারপরও না নিলে মনে হতো কিছু একটা বুঝি ফেলে গেলাম! এরপর বিছানায় শুয়ে অপেক্ষা, রাত ফুরানোর। উত্তেজনায় ঘুম আসতে চাইত না সহজে। পাশের রুমে খুটখাট আওয়াজ পেতাম, বুঝতাম আম্মাও ব্যাগ গুছাচ্ছে, শেষ বারের মত দেখে নিচ্ছে যাতে কোন কিছু ছাড়া না পড়ে। মাঝে মাঝে শুনতে পেতাম আব্বুর রাগী কন্ঠস্বর, “এত বলি, তবুও এই কাজগুলো আগে কেন কর না! ঘুমানোর সময় খালি যতোসব ডিস্টার্ব!”।
বের হতে হতো খুব ভোরে। ব্যাগগুলো সব ঠিকমত নেওয়া হলো কী না, দরজার তালাটা ঠিকমত লাগলো কী না, জানালাগুলো ভালোমত বন্ধ করা হয়েছে কী না, এসব দেখে নিয়ে আব্বু বেরিয়ে পড়ত রিকশার খোঁজে। কখনো যেতাম আমি। রিকশা নিয়ে মাঝে মাঝে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হতো। অতো সকালে বেশিরভাগ রিকশাওয়ালাই বের হতো না, হলেও খালি পাওয়া মুশকিল হতো। কপাল খুব ভালো হলে, বাসার সামনে দাঁড়িয়েই খালি রিকশা পাওয়া যেত, না পেলে কিছুটা এগিয়ে খুঁজতে যেতে হতো মেইন রোডে। বাসা থেকে বের হয়ে মিনিটখানেকের হাঁটা পথে মেইন রোড। ওখানে রাস্তার মোড়ে সারি ধরে দাঁড়িয়ে থাকত সাধারণত রিকশাগুলো, আবার কখনো কখনো অপেক্ষা করতে হত বেশ অনেকটা সময়। সেখান থেকে বাসার সামনে রিকশা ডেকে আনা হতো। দুই রিকশাতেই হয়ে যেত। একটায় আমরা দুই ভাই-বোন, আরেকটায় আব্বু-আম্মা। গন্তব্য ট্রেন স্টেশন।
বাসা থেকে ট্রেন স্টেশন কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে। রাস্তা কোথাও ইট বিছানো, কোথাও পাকা, আবার কোথাও বা মাটির পথ। অনেকখানি পথ রিকশার ঝাঁকি খেতে খেতে যেতে হয়। স্টেশন-মুখে রিকশা থেকে নেমে কিছুটা পথ ব্যাগ হাতে নিয়ে হাঁটতেও হয়। শীতের সকালগুলোতে কুয়াশায় ঢাকা থাকত চারপাশ। প্ল্যাটফর্মে এখানে-সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে থাকত অভাবী মানুষরা। কেউ বা আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করত। চা-স্টলের টিমটিমে আলোতে লোকজনকে দেখতে পেতাম আড্ডা দিতে দিতে চা খেত, অথবা উল্টোটা। কখনো বা দেখা হয়ে যেত পরিচিত কারো সাথে। কে কোথায় যাচ্ছি, কবে ফেরা হবে, এ নিয়ে কথা বিনিময় হত খানিকক্ষণ। তবে আমার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল স্টেশনের বুকস্টলটা। ওটার আশেপাশে ঘুরঘুর করে, বইয়ের সারিতে চোখ বুলিয়ে সময় কাটিয়ে দিতে পারতাম বেশ। মাঝে মাঝে শুনতে হত আম্মার বকা—তার কথামত কেন মাফলার বা কান-ঢাকা টুপি পরিনি। স্টেশন মাস্টারের সাথে আব্বুর বেশ ভাল পরিচয় থাকায় সরাসরি তার রুমে ঢুকে যেতে পারতেন উনি। বেশিরভাগ সময়েই দেখা যেত ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে আসত। গোলাপী রঙের চারকোণা টিকিট হাতে নিয়ে অপেক্ষা করতাম আমরা প্ল্যাটফর্মে। চারপাশে আমাদের মতই আরো অনেক লোকজন, কারো সাথে বা ছোট বাচ্চা, কান্নাকাটি-হৈ হুল্লোড়, চারপাশে নানান সব আওয়াজ। সবকিছুর পরও, সবার উদ্দেশ্য একটাই। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা!
ট্রেন আসছে! এমনটা জানামাত্রই সবাই নড়েচড়ে উঠত। আমরাও। প্ল্যাটফর্মের কোণায় দাঁড়িয়ে আমি অদূরে ট্রেন দেখার চেষ্টা করতাম। অতি উৎসাহী কেউ কেউ আবার নেমে পড়ত প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে। আম্মার সতর্কবাণী শুনতে হতো বার বার, যেন বেশি কিনারায় না যাই। এক সময় চোখে পড়ত ট্রেন। মনে হতো এতো ধীরে কেন আসে! মৌমাছির গুঞ্জনের মতো কানে আসত ট্রেনের আওয়াজ। ধীরে ধীরে তা বাড়ত, বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে রুপ নিত তা গর্জনে। মোটামুটি কাছাকাছি চলে আসলে পিছিয়ে আসতাম কিনারা ছেড়ে। বিরাট আকারের সেই দানবের সামনে নিজেকে খুব ক্ষুদ্র আর অসহায় মনে হতো তখন।
ট্রেন আসত চারপাশ কাঁপিয়ে। সাপের মত বিশাল ট্রেনটা যখন ঢুকে পড়ত প্ল্যাটফর্মে, মনে হত যেন প্ল্যাটফর্মটাও, আমাকে বা সাথে দাঁড়ানো সবাইকে নিয়ে পেছন দিকে চলা শুরু করত। অদ্ভুত লাগত এই অনুভূতি। অজান্তেই আম্মার হাত শক্ত করে ধরে থাকতাম। ঘট-ঘট-ঘটাং বিকট আওয়াজ করে সামনে এগোতে এগোতে, এক পর্যায়ে হিসসসসস শব্দ তুলে ট্রেন থামত। থামার পর খুব বেশি সময় পাওয়া যেত না। একগাদা লোকের ভীড় ঠেলে, নির্দিষ্ট বগিতে উঠতে প্রায়ই বেশ বেগ পেতে হত। তবে একবার উঠে গেলে আমাকে আর পায় কে! সোজা জানালার পাশের সিটে বসে পড়তাম। তুলে দিতাম জানালার কাঁচ। তারপর ট্রেন চলতে শুরু করলে, আম্মার বকা খেয়েও, হিম হিম বাতাস মুখে মেখে তাকিয়ে থাকতাম বাইরের দিকে। দুই চোখে থাকত অবাক দৃষ্টি।
সে সময় নিজের সাথেই একটা খেলা খেলতাম। তা হলো, কোন স্টেশন পার হলাম বা এরপর কোনটা আসবে, সেটা মনে রাখা। ভাল লাগত খেলাটা খেলতে। তবে মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করতাম সাপের মত পেঁচানো রেলপথ ধরে যখন ট্রেনটা ছুটে চলত ফসলের ক্ষেত বা নদীর ধার ঘেষে। জীবনের অস্তিত্ব ধরা পড়ত চোখে, উল্লাস বা সংগ্রাম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে, সকালের সোনালী কাঁচা রোদে অপার্থিব লাগত চারপাশ। কৃষকদের মাঠে কাজ করতে দেখতাম... ছোট্ট বাচ্চা কোলে নিয়ে মায়েদের দেখতাম উঠোনে মেলে দেওয়া ধান পা দিয়ে ছড়িয়ে দিত... কেউ বা সেই সকালেই নদীর ঘাটে কাপড় ধুতো... গোসল করত... গরু নিয়ে রাখাল চলতো মাঠের দিকে... বেত দিয়ে বোনা গোলাকৃতির জাল কাদায় গেঁথে উপরের খোলা-মুখ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে মাছ ধরত কেউ কেউ... সাইকেল চালিয়ে কেউ বা যেত বাজারের উদ্দেশ্যে... যতদূর চোখ যায় হলদেটে চাদর বেছানো সর্ষের ক্ষেত... গাঁয়ের ঝিলে রোদ পোহাতে ব্যস্ত কয়েকটা অলস বক... মাটিতে দাগ কেটে মার্বেল খেলায় মগ্ন কয়েক শিশু... ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা দূর থেকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকত ট্রেনের দিকে, হাত নাড়ত... জানতাম আমার দিকে না, তবুও ভাবতে ভাল লাগত, নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হতো... সেইসময় বালক মনে সেটাই ছিল আমার জন্য এক আনন্দময় অনুভূতি... আর দূর থেকে হাত নাড়া সেই নাম-না-জানা বালক বা বালিকা হয়ে উঠত খুব আপন কেউ...
বাসে বা ট্রেনে, সাধারণত কোথাও যাওয়ার পথেই আমি কিছু খাই না, খেতে ইচ্ছা করে না। তাই মাঝে মাঝে কোন স্টেশনে থামলে, আব্বু যখন কলা-পাউরুটি কিনে আনত, অথবা আম্মা বাসা থেকে বানিয়ে আনা রুটি-ডিম ভাজি বের করত, আমি খেতাম না। অনেক জোরাজুরির পর হয়ত সামান্য কিছু মুখে তুলতাম। তবে একটা জিনিসের প্রতি আমার বিশেষ আগ্রহ ছিল- তা হলো ট্রেনের খাবার। মাঝে মাঝে খাবার-ভর্তি ট্রলি যখন বগিতে বগিতে ঘুরে বেড়াত, খেতে যে ইচ্ছে হতো না, তা না। কিন্তু মুখ ফুটে আর খেতে চাওয়ার কথা বলা হতো না, কেমন যেন লজ্জা লাগত!
খুব ভাল করে খেয়াল করলে বোঝা যায়, ট্রেন চলার সময় অদ্ভুত একটা ছন্দময় শব্দ হতে থাকে। ছন্দবদ্ধভাবে কাঁপতে থাকে বগিটাও, সাথে ভেতরের সবাই। আমি কান পেতে শুনতাম এই শব্দটা। ভাল লাগত খুব। মাঝে মাঝে হঠাৎ হঠাৎ করে ট্রেন যখন কোন ব্রীজ পার হতো, তখন বদলে যেত শব্দটা। কেমন ফাঁপা শোনাত। ব্রীজ থেকে নেমে যাওয়ামাত্রই আবার আগের মত শব্দ। সেই একই ছন্দ... সেই একই দুলুনি... সেই একই ফাঁপা শব্দ... আবার সেই একই ছন্দ...
[চলবে...]
মন্তব্য
হুম! ট্রেনের দুলুনি চলছে চলুক! আমিও সেই দুলুনির সঙ্গে ঝিমোই!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
বুঝিনি... স্যরি...
বাঃ চমতকার অতন্দ্র প্রহরী
পারাবাত জয়ন্তিকা চোখের সামনে এনে দিলেন
কতবার ভেবেছি দেশে গিয়ে ট্রেন চড়বো।
পরে সময়ের কথা ভেবে বাসেই যেতে হয়েছে।
তারওপর এখন সিলেট ঢাকা ট্রেন নাকি আখাউড়া থামেনা।
আরে ওটাই তো সবচেয়ে মজার ছিল।
আখাউড়ার ডাবের মতো মিষ্টি ডাব আর কোথাও পাইনি।
ইয়ে মানে... আমার না ট্রেনে উঠলে প্রচন্ড ক্ষিদে পেয়ে যেতো। সারাক্ষণই পেতো আর সারাক্ষণই খেতাম।
ডাব পেয়ারা কলা চানাচুর মুড়ি সেদ্ধ ডিম কমলা আপেল
(দীইইইইইইইর্ঘশ্বাস)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
- সেকি! আখাউড়া থামে না? আমি ক'বছর আগে যেবার গেলাম সেবারও থামলো তো! অনেকক্ষণ ছিলো। ওখানে এক বন্ধুর জোরাজুড়িতে ডিমসেদ্ধ খাবো না খাবোনা করেও খেলাম। এবং তারপর আরেকটা খেলাম, তারপর আরেকটা। এমন করে দু'জনে বোধহয় কয়েক হালি সাবাড় করেছিলাম সে রাতে। সাথে আবার নিয়েও এসেছি ট্রেনে, আরেক বন্ধু আর তার বোনের জন্য। নিয়ে এসেছি আমাদের জন্যও পথে যেতে যেতে খাবো বলে।
এরকম উড়াধুড়া জিনিষ জীবনে খুব কমই খেয়েছি বটে!
স্টেশনে আবার কয়েকজন কাইজ্যাও করছিলো। আমরা আবার গ্রাম্য মোড়লের মতো সেই কাইজ্যা মিটিয়েও এসেছি ডিমসেদ্ধ খেতে খেতে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো'দা, ডিম সেদ্ধ আসলেই চরম একটা জিনিস! আপনি তো আমার এক বন্ধুর কথা মনে করায়া দিলেন... ও বিশাল পেটুক... ওকে নিয়ে কোথাও বের হওয়াই মুশকিল... ওকে নিয়ে দশ পা-ও আগানো যায় না... এর মধ্যে যতো ধরণের টুটকা জিনিসের দোকান পড়ে... সবই ওর খাওয়া চাই! একবার খুবই তাড়াহুড়ায় এক জায়গায় যাওয়ার কথা... এর মধ্যেও ও এমন জেদ ধরলো যে ডিম সেদ্ধ না খাওয়ায়া উপায় থাকলো না আর কোন... খালি তাই না, তারপর মুড়ি মাখা... চানাচুর মাখা... আমড়া... বিস্কুট...
কাইজ্জ্যা মেটানোর কাহিনী শুনতে চাই...
@ রানা মেহের
অনেক ধন্যবাদ আপু... এরপর দেশে আসেন... আপনার সাথে একটা ট্রেন জার্নি পাওনা থাকলো কিন্তু তাহলে... আখাউড়ায় দরকার হলে শিকল টেনে ট্রেন থামানো হবে... ডাব খেতে হবে না! আর যা যা পাওয়া যায়, সবই খাওয়া হবে ওইদিন...
[হয়তো সত্যি হবে না... তারপরও ভাবতে কিন্তু ভালোই লাগলো... দীর্ঘশ্বাস!]
সত্যি হবে না কেনো? সেদিন ছোট ভাইয়ের সঙ্গে এই নিয়ে কথা হচ্ছিলো যে দেশে আন্তঃনগর ট্রেনের শেকল টেনে দিলে জরিমানার পরিমান কতো হতে পারে? সে জানালো, খুব বেশি হলে হাজার খানেক হয়তো হবে!
এই কাজটা করার অনেক অনেক দিনের শখ আমার। এখানেও হাত নিশপিশ করে, কিন্তু প্যাদানী খাওয়ার ভয়ে করি না। কিন্তু দেশে এই কাজটা করার একটা বিশাল চান্স আছে। টাকার অংকটাও হয়তো খুব বিশাল কিছু না। শখ বলে কথা! লোকজন গালাগালি দিবে নির্ঘাৎ, তাতেও কিছু যায় আসে না। রানা মেহেরের মিষ্টি ডাব আর আমার সেদ্ধডিম না খেলেই তো না।
আর-রে ধুগো'দা! আপনারে আবার "কাউয়া-ঝিমানী" রোগে কবে থেকে ধরলো!
সত্যি একটা কথা বলি, ট্রেনের চেইন ধরে টানার এক গোপন বাসনা মনের মধ্যে পুইষা রাখসি সেই আদ্যিকাল থেকে! কিন্তু কখনোই কেন যেন করা হয় না কাজটা! আল্লায় বাঁচায়া রাখলে একদিন না একদিন এই (অ)কাম করবোই! দু'আ রাইখেন! তারচেয়েও ভালো হয়, আপনে আসেন দেশে, দুইজন মিলেই না হয় করবোনে
আর "সত্যি হবে না" বলার কারণ রানা'পু দেশে কবে আসবেন না আসবেন... এলেও আমার সাথে ট্রেন-জার্নিতে তিনি যাবেন কী না যাবেন... এই জন্যই বলা...
হুম...... আপনার ছোট বেলার গ্রামে যাওয়ার কাহিনির সাথে দেখি আমার কাহিনির দারুণ মিল ।
নিবিড়
তাই নাকি! আপনিও লিখে ফেলুন না তাহলে!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
দারুণ বর্ণনা দিলেন ভাইয়া। একেবারে ছবির মত ভেসে ওঠে।
মিলে গেল অনেক কিছু।
এখন অবশ্য ট্রেনে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো- যখন ইচ্ছা তখন সিগারেট খাওয়া যায়।
লেখা ফাটাফাটি। পরের পর্বের অপেক্ষায়... যদিও সিরিজ লেখা আমার ক্যাম্নে ক্যাম্নে জানি ছুটে যায়।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তোমার ভাল্লাগসে জেনে খুবই প্রীত হইলাম
আমার সব সিরিজই (যেগুলা শেষ করসি) দুই পর্বের.. আমি ভাই মেগা সিরিয়াল লিখতে পারি না...
আসলে লিখতে চাইসিলাম গ্রামের কথা... শেষ পর্যন্ত গ্রামে যাওয়া নিয়াই বিশাল কাহিনী ফাইন্দা বসলাম... দেখি, পরের পর্বেই শেষ করে দেব... থ্যাংকস মহিব... প্রিয় মানুষদের মন্তব্য পেলে ভালো লাগে...
ছোটবেলায় ট্রেনে চড়ার কোন স্মৃতি নাই । আমার সব স্মৃতি বড় বেলার । কী যে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতাম ট্রেনের দিকে গ্রাম থেকে শহরে যাবার সময় কখনো ট্রেন দেখলে !
দুর্দান্ত বর্ণনা আপনার.. একদম ছবির মত চোখের সামনে হাজির হলো সব কিছু । সিরিজ চলুক..
প্রিয় ছড়াকারের মন্তব্য পেয়ে আমি যার-পর-নাই আনন্দিত। অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা
বর্ণনা খুব সুন্দর লেগেছে। অবশ্য নিজের জীবনের সাথে মেলাতে পারি নাই। কারণ জীবনে প্রথম ট্রেনে উঠেছি ১২-১৪ বছর বয়সে তাও ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য।
তারপরেও ছবির মত দেখতে পেলাম। বিশেষ করে ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য ও বাইরের মানুষজনের কাজ কারবার দেখাটা।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
তোমার ভালো লাগসে জেনে আমারও খুব ভালো লাগলো। আর নিজের বর্ণনার উপর আমার নিজেরই কোন আস্থা নাই, তারপরও এই লেখা পড়েই কল্পনা করে নিতে পারসো সব, জেনে খুবই আনন্দ লাগলো...
বর্ননা খুবই ভালো হয়েছে প্রহরী। তোমার গ্রামে যাওয়ার সাথে আমার গ্রামে যাওয়ারও প্রচন্ড মিল আছে, বর্ননা পরিবেশ আর অনুভূতিতে শুধু আমরা যেতাম লঞ্চে চড়ে। খুব ভালো লাগলো হারানো ছোটবেলার এক ঝলক ফিরে পেয়ে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অনেক ধন্যবাদ তানবীরা'পু... আপনাকে ছোট বেলার এক ঝলক ফিরিয়ে দিতে পেরেছি... এইটাই আমার জন্য এক বিশাল পাওয়া... লেখাটা তাহলে সার্থক হয়েছে...
আমি লঞ্চে কখনো সেভাবে যাইনি কোথাও... খুব ছোটবেলায় মনে হয় একবার চড়েছিলাম... স্মৃতিতে সেটা তেমন একটা নাই... আপনি লিখে ফেলুন না আপনার লঞ্চ ভ্রমণের কাহিনী...
- আমাদের গ্রামের পাশ দিয়েই ছিলো রেললাইন। ট্রেনে চড়েছি সেই লাইনে অনেক, যতোদিন চালু ছিলো। ছোটবেলায় যেটা করতাম তা হলো সিকি বা আধুলি ট্রেন লাইনে রেখে দিতাম। ট্রেন যখন ওটার উপর দিয়ে যেতো বেশ পাতলা একটা ছুরির আকার নিতো সিকি বা আধুলিটা। আমার আধুলি বা সিকি কখনো রুপান্তরিত হয়ে ছুরির আকার নেয়নি, অনেকের নাকি হয়েছিলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তাই নাকি! তবে নিজে কখনো এমনটা করিনি, শুনিওনি... তবে জেনে খুব মজা পেলাম...
ছোটবেলাটা অনেক মজা করে কাটাইসেন বোঝাই যাচ্ছে! দেন না আরো কিছু নমুনা...
হৈ মিয়া, ছোটবেলা মজা করে কাটাইছি মানে? আমি তো এখনো ছোটই, বড় হইছি নাকি?
একেবারে গুড়াগাড়া বেলায় গ্রামে ছিলাম। রেলের পাতে আধুলি-সিকি রাখার কাহিনী তখনকার। তারপর ঐ ট্রেন লাইনের যে শেষমাথা ওখানে পিতৃদেবের পোস্টিং সূত্রে থাকতে হয়েছে। (আমার ছেলেবেলাঃ ডিলিটেড সীনের কয়েকটা ওই জায়গাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে, এবং হবে!)
তারপর একটু ডাগর হয়ে আবার গ্রামে। কিন্তু ততোদিনে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
গুড়াবেলায় যখন রেললাইন দেখতে যেতাম, এখন মনেহয় পথের পাঁচালীর অপুর মতোই দুঃসাহসী ছিলো সে অভিযান। ধরা পড়লে মাইর একটাও মাটিতে পড়ার জো ছিলো না!
ওহ্-হো! ভুল হয়া গেছে বস... মাফ কইরা দিয়েন... বলা উচিত ছিলো "ছোটবেলা খুব মজা কইরা কাটাচ্ছেন"...
আপনার সব লেখা (মানে, পুরানগুলা, আমি সচলে আসার আগে) এখনো পড়া হয় নাই আমার... তবে পইড়া ফেলবো...
ঈমানে কথা কই একটা... দুপুরবেলা যখন আপনার কমেন্টটা দেখসিলাম... সিকি/আধুলির কাহিনী... আমার মনে কেন যেন "পথের পাঁচালী"-র অপু একটা ঝলক (দুরন্তপনার ক্ষেত্রে) দিয়ে গেসিলো! এখন একই তুলনা আপনিও করায়, খুব মজা লাগলো...
ট্রেনের ক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতা ওই স্টেশন... আর জার্নি পর্যন্তই... আপনার মতো এতো কাছ থেকে এইসব করা হয়নি কখনো... গুড়াবেলার আরো কিছু কাহিনী শোনান না বস!
- অতো গুঁড়াবেলায় তো যাইতে পারি না, স্মৃতি বিট্রে করে। ছিঁটেফোঁটা কিছু মনে হয় যখন তখন লিখে ফেলি ফটাফট!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এলএসডি না কী এক ড্রাগ নিলে নাকি মায়ের পেটে থাকাকালীন স্মৃতিও মনে পড়ে! সত্যি কিনা জানি না। টেরাই করবেন নাকি বস?
না রে ভাই, ছোটবেলায় ট্রেনে করে এ রকম বাড়ি যাওয়ার ইতিহাস আমার নাই। ছোটবেলা পুরোটাই আর বড়োবেলারও কিছু অংশ কেটেছে যে গ্রামে। তবে আপনার বর্ণনা শুনে এরকম ছোটবেলা ছিল না বলে শুধু ইর্ষাকাতর হচ্ছি।
ছোটবেলার পুরোটা আর বড়োবেলার কিছু অংশ যার গ্রামেই কেটেছে, সে কী না আমাকে ঈর্ষা করে গ্রামে যাওয়া নিয়ে! আরে ভাই, এখন তো আপনি আমার লিস্টে উঠে গেলেন... যাদের আমি খুব ঈর্ষা করি!
লিখুন না ভাই কিছু গ্রামের কাহিনী... গ্রাম নিয়ে পড়তে বরাবরই আমার খুব ভালো লাগে...
আপনার স্মৃতি ট্রেন নিয়ে আর আমার যেহেতু বাড়ি বরিশাল তাই আমার স্মৃতি লঞ্চ নিয়ে। কত কত ঘটনা যে আছে এই লঞ্চ ঘিরে। দেখি একদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করা যায় কিনা।
আপনার স্মৃতিকথা ভালো হচ্ছে। চলুক ..........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এই জিনিসটার অভিজ্ঞতা আমার নাই... আপনি অবশ্যই শেয়ার করবেন! অপেক্ষা করবো আপনার লঞ্চ ভ্রমণের কাহিনী পড়ার জন্য
অনেক ধন্যবাদ কীর্তিনাশা ভাই... আগামী পর্বেই শেষ করার ইচ্ছা আছে... দেখি...
রেলগাড়ি ঝমাঝম
পা পিছলে আলুর দম...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
থাক... রেলগাড়ি থেকে পা পিছলানোর কাজ নাই... তাতে আলুর দম না, বরং মাংসের চপ বা কিমা হওয়ার চান্সই বেশি...
ছোটবেলায় আমি যতবার ট্রেনে চড়ছি... চড়ার পরে প্রথম কাজ ছিলো জানালার কাছে বইসা জানালার ডান্ডা ধইরা ঠেলা দেওয়া। আমার ধারনা ছিলো আমি ঠেলা দিতেছি বইলাই ট্রেন চলতেছে।
আর সিলেটের কথা উঠলো... আহারে... সিলেট থেকা ট্রেনে ঢাকা ফেরার দুইটা স্মৃতি আমার জীবনের সেরা কিছু ঘটনার দুইটা।
প্রথমবার শাহজালাল ইউসিভার্সিটিতে আন্দোলন করতে গিয়া শিবিরের দৌড়ানি খায়া ফেরার সময়। পকেটে টিকিট কেনার টাকা ছিলো না। চারজনে কিনলাম তিনটা টিকিট, ভৈরব পর্যন্ত। তাতেই টাকা শেষ... খাওন তো দূরে সিগারেট কিনার পয়সা ছিলো না। তিনজন বসে একজন হাঁটে টাইপ অবস্থা।
তারপর এক বন্ধুর সাথে দেখা, সেও একই আন্দোলনে ডকু বানায়া ফিরতেছিলো গণসাহায্য সংস্থার হয়া। তার বদৌলতে রুটি কলা জুটলো। আর তার কিছু পরে একটা বগিতে গিয়া দেখি লোকগুলারে কেমন চেনা চেনা লাগে!! ভালো কইরা তাকায়া দেখি এইগুলা সবই পরিচিত। নাট্যকেন্দ্র আগরতলা থেকে নাটক করে ফিরতেছে এক বগি দখল কইরা। তারপরে আমরাই সেই ট্রেনের ভিআইপি হয়া গেলাম।
আরেকবারের কাহিনী বড় করুন। সারারাইত শুনতে হইলো এক বালিকার প্রেমালাপ। ভোরবেলা সঙ্গীরা সবাই ঘুমে। আর সে ছুটন্ত ট্রেনের দরজায় দাঁড়ায়া বললো আমি হ না কইলে এখুনি সে ঝাঁপ দিবে। আহারে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- বেচারীর এতো কষ্ট করার দরকার কী ছিলো? আপনে নিজেই বলতেন, "ঠিকাছে তুমি খাড়াও আমিই তোমারে ঠেলা দিয়া ফেলাইয়া দেই!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো'দা, যা কইলেন!
তবে নজু ভাই কিন্তু সুন্দরী মেয়েদের দিলে চোট দিতে পারে না
- ঠেলাটা না দিয়াই তো নজু ভাই বালিকার দিলে চোট দিলো!
আমিও তো কোনো বালিকার দিলে চোট দিবার পারি না। কিন্তু আমার সামনে কেউ লাফ দেবার কথা কইলে তার মনোবাসনা পূরণ করতে আমি 'জান' দিয়া দিতাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনে জানেন না মেয়েরা মুখে যা বলে মনে থাকে তার ঠিক উল্টাটা? ওরা লাফ-টাফ দেওয়ার ডর দেখায়া বালকদের ফিলিংস চেক করে।
আর ওই বালিকা লাফ দেয় নাই... মানে... নজু ভাই-য়ের কেসটা বুজছেন তো?
তবে নজু ভাইরে দেইখা শিখেন... ক্যামনে এত্তো এত্তো বালিকা সামলায়া চলতে হয়... আমি তো কোর্স করতেসি!
আমার অফিসে একটা হোয়াইট বোর্ড ছিলো... সেটাতে বড় করে লিখে রাখছিলাম 'আমি সুন্দরীদের ভালোবাসতে ভালোবাসি'
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
"ছিলো", "লিখে রাখছিলাম"... সব পাস্ট টেন্সে কেন? এখন আর সুন্দরীদের ভালোবাসতে ভালোবাসেন না? তবে কথাটা পছন্দ হইলো খুব
হৈ মিয়া, কই ছিলেন এই কয়দিন?
আপনার জীবনে যে এতো এতো সব ঘটনা ঘটসে যে কী আর কইতাম! কী করেন নাই আপনি জীবনে! এতো বৈচিত্রপূর্ণ জীবন খুব কম মানুষেরই দেখসি আমি... মানুষ বটে আপনে একটা!
কিন্তু বালিকার কাহিনী আধাআধি বইলা ঝুলায়া রাখার তীব্র নিন্দা জানাই!
এই কয়দিন ছিলাম দৌড়ের উপরে...
ছোটবেলায় আমার সবচেয়ে প্রিয় বই ছিলো ইয়া মোটা একটা বই... নাম বাংলাদেশের ডায়েরী... সাধারণ জ্ঞানের বই। সেখানে একটা মন্ত্র লেখা ছিলো... এক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হওয়ার চেয়ে সকল বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান উত্তম।
সেই মন্ত্র মাইনা আমি জীবনে কোনোকিছুই ঠিকঠাক করি নাই... সবকিছুই একটু একটু কইরা করছি।
তবে যে কামটা এক্কেবারেই করি নাই তা হইলো লেখাপড়া। আমার দেখা মানুষগুলা জীবনের অর্ধেক সময় শুধু লেখাপড়ার পিছে ব্যায় করে... আমার যেহেতু এইটা করতে হয় নাই আর ছোটবেলা থেকেই ঘরছাড়া তাই অফুরন্ত টাইম ছিলো আমার।
বালিকার কাহিনী বেশি বলা ভালো না। শুধু এট্টুক বলি সে তখন ঝাঁপ দেয় নাই। পরদিনই আমরা আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্ট দেখছি একত্রে। অঞ্জন নচিকেতা যেবার পারফর্ম করছিলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- চাপাবাজী করেন মিয়া?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আংরেজ'রা যে আবার বলে "জ্যাক অভ অল ট্রেডস, মাস্টার অভ নান"! আপনে আবার এই মন্ত্রের কথা বইলা তো পেজগি লাগায়া দিলেন!
সার্টিফিকেটের জন্য পড়েন নাই, খুবই ভালো একটা কাজ করসেন বস। সত্যি! এর বাইরে আপনার যে পড়াশুনা আছে, আর বিভিন্ন বিষয়ে আপনার যে অভিজ্ঞতা, তা অনেক সার্টিফিকেটধারীর কাছেও নাই। আমার কাছে তো এইটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বইলা মনে হয়। ১৬ বছর ধইরা পড়াশুনা কইরা যে কী শিখলাম আর কী কাজ যে করতেছি, মাঝে মাঝে নিজেই বুঝি না! আপনি আসলেই কাজের কাজ করসেন, আপনার লাইফটাই বেশি ভালো
বালিকা ঝাঁপ দেয় নাই বুঝলাম, কিন্তু কী বইলা থামাইসিলেন বলেন না! আবার কনসার্টেও গেসিলেন! হুমম, মামলা তো গড়বড় মনে হইতাসে... বালিকা আপনারে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করসিলো মনে হইতাসে
নাহ্... বালিকা খুব ভালো... তখন বয়স কম ছিলো তাই নানাবিধ কাহিনী ছিলো... এখন বড় হইছে... বুঝদার হইছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার কাছে তো মিয়া সব বালিকাই ভালো তা এই বালিকাই কী সেই বালিকা যে কোন এক মাতালের সাথে কথা বলার জন্য আপনারেই বাইছা নিসিলো?
নতুন মন্তব্য করুন