দুঃখবিলাস : সাইজ ডোন্ট ম্যাটার চপিং উড!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি
লিখেছেন অতন্দ্র প্রহরী (তারিখ: বুধ, ১৯/১১/২০০৮ - ১২:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উৎসর্গ: মুশফিকা মুমু, পাগলকে যিনি সাঁকো নাড়াতে বলেছিলেন!
________________________________________________________


উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি বইয়ে, অথবা অন্য কোথাও, আ মাদার ইন ম্যানভিল গল্পটি পড়ার সুবাদে ‘সাইজ ডোন্ট ম্যাটার চপিং উড’- লাইনটির সাথে হয়ত অনেকেই পরিচিত। মারজোরি কিনান রওলিংস-এর এই কালজয়ী ছোটগল্পটির কথা বললে, অনেকের মনেই সবার আগে চলে আসে বিখ্যাত এই লাইনটি। এর কারণ সাধারণত দু’টো- (এক) এতে জেরী নামের সেই ছোট্ট বালকের অসাধারণ মনের জোর প্রকাশ পায়, (দুই) মনের না, বরং অন্য কিছুর জোর বোঝাতে অনেকেই ব্যবহার করেন লাইনটি- এটা একটু বড়দের ব্যাপার, বুঝতেই পারছেন নিশ্চয়ই!

প্রস্থে ইদানিং অনেকটা বাড়লেও, দৈর্ঘ্যে আমি এখনো বলতে গেলে ছোটখাট একটা মানুষ। বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে, বিভিন্ন প্রসঙ্গে এই বিষয়টার কারণে আমাকে কত যে কথা শুনতে হয়েছে, তার কোন হিসাব নেই। শুধু তাই নয়, মেনে নিতে হয়েছে অনেক নাম আর প্র্যাকটিক্যাল জোকস। তাই এটা নিয়ে যে আমার মনে একদমই কোন দুঃখ নেই, এমনটা জোর গলায় দাবি করব না মোটেও। তবে সত্যি বললে, সচেতনভাবে আমি কখনোই এটা মাথায় রাখি না, আর মজার ছলে হলেও, বরাবরই প্রেরণা পাই রওলিংস-এর ওই লাইনটি থেকে, হোক না ‘আঙ্গুর ফল টক’!

উচ্চতার কারণে প্রথম যে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় আমাকে, তা হল- আমি ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারিনি। ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে ন্যূনতম যে উচ্চতা থাকতে হয়, যতদূর মনে পড়ে, আমি ছিলাম তার চেয়ে প্রায় ইঞ্চিখানেক ছোট। তাই পরীক্ষা দিলেই মোটামুটি নিশ্চিত চান্স পাব জেনেও, শুধুমাত্র উচ্চতার কারণে পরীক্ষাই দিতে না পারাটা যত না কষ্টের, বেশি আফসোসের।

তবে আমার চেয়ে বোধহয় আমার বাবা’র কষ্ট ছিল বেশি। তিনি আমাকে লম্বা হবার জিন দিতে না পারার দুঃখ হয়ত ভুলতে চাইলেন আমাকে রিং-এ ঝুলিয়ে। কিন্তু বাঁদরের মত ঝোলাঝুলিতে আমার কোনই আগ্রহ ছিল না, ভুলেও ও পথে পা বাড়াইনি তাই। হাল আমলের ‘কমপ্ল্যান’ বা ‘হরলিক্স’-এর বিজ্ঞাপন দেখলেই আমার সেই কথা মনে পড়ে যায়, মনে মনে হাসি, লম্বা হওয়া বুঝি এতই সোজা!

বেশ কয়েক বছর আগে, ফার্মগেটে ‘লম্বা হওয়ার সহজ পদ্ধতি’ বই-টা দেখে, সাথের বন্ধুকে মজা করে বললাম সেটা কিনে আমাকে গিফট করতে। আমি আসলেই লম্বা হতে চাই কি না সেটা সম্পর্কে আমার আগ্রহ ভালভাবে যাচাই করে নিল ও প্রথমে। তারপর ওর মেজো ভাইয়ের সাথে দেখা করতে বলল। ওকে বেশ সিরিয়াস মনে হল। আমিও তাই শুরুতে মজা করলেও, পরে উৎসাহের সাথে ভাবলাম, হয়ত ওর বডি-বিল্ডার মেজো ভাই লম্বা হওয়ার ব্যাপারে কোন টিপস দিবেন আমাকে। কিন্তু তখনই ‘মেজো ভাইয়ের কাছে যায়ো, পিটায়া তোমারে লম্বা বানায়া দিবে’ শুনে মুখ কালো হয়ে গেল আমার, আর ইচ্ছা না থাকলেও, ওর গা-জ্বালানো হাসিটাও সহ্য করতেই হলো।

অস্বীকার করব না- ছোটখাট, আর একই সাথে শান্তশিষ্ট হওয়ার কারণে, স্কুলের শিক্ষকরা, বাবার বন্ধু বা কলিগরা, মায়ের পাড়াত ভাবীরা, দোকানের আঙ্কেলরা, এরকম অনেকের কাছ থেকেই ছোটবেলায় আদর পেয়েছি অনেক। কিন্তু বিব্রতকর অবস্থায় যখন পড়তে হত, তখন কী আর এসব মাথায় থাকে? এরকম এক অভিজ্ঞতার কথা বলি। হাইস্কুলে থাকতে নিয়মিত শিশু প্রতিযোগিতা, মৌসুমি প্রতিযোগিতা, এইসবে অংশ নিতাম। একবার বিতর্ক প্রতিযোগিতায়, জেলা পর্যায়ে আমাদের প্রতিপক্ষ ছিল মেয়েদের একটা দল। আমাদের দলে আমি ছিলাম প্রথম বক্তা। স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা নার্ভাস লাগছিল- একে তো ছিলাম সবচেয়ে ছোট (ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন), আর তার উপর আবার সেটাই ছিল আমার প্রথম অংশগ্রহণ। বিতর্কের বিষয় ছিল ‘গ্রাম্য জীবন বনাম শহুরে জীবন’- এই টাইপ কিছু একটা। ঘোষণায় নিজের নাম শুনে যেই না ডায়াসের সামনে গেছি, বিশাল এক লজ্জায় পড়ে গেলাম! কারণ ডায়াসের পেছনে দাঁড়ালে আমাকে কেউ দেখতে পাচ্ছিল না। কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না, একদমই বোকা বোকা লাগছিল নিজেকে। ওদিকে বিচারক আর প্রতিপক্ষ দলে ততক্ষণে হাসির হিড়িক পড়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত এক বিচারক আমাকে বললেন ডায়াস ছেড়ে সামনে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে। লজ্জায় তো আমার মাথা কাটা যাবার মত অবস্থা। কোনরকমে পার করলাম সে যাত্রা।

বিতর্ক শেষে বাইরে যখন ফলাফলের জন্য দুই দল আমরা বসে ছিলাম, তখন ওই আপুরা বেশ মজা করছিল আমাকে নিয়ে। হলামই বা খাটো, কিন্তু এই সুবাদে আপুদের সাথে আড্ডা দিয়ে আমার সাথের ভাইয়াদের ভেতর যে হিংসা জাগাতে পেরেছিলাম, তাতেই মনের দুঃখ কিছুটা প্রশমিত হয়েছিল। তবে শেষ হাসি কিন্তু আমিই হেসেছিলাম, কারণ সেই বিতর্কে ওরা জিততে পারেনি।

তবে হাইট কম হবার কারণে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা মনে হয় খেতে হয়েছে কলেজের প্রথম বর্ষে। আমাদের পাঁচজনের একটা গ্রুপ ছিল, এদের মধ্যে দুইজন মেয়ে- যার একজন ছিল অসম্ভব সুন্দরী, সামনাসামনি আমার জীবনে দেখা সেরা সুন্দরীদের একজন। শুধু যে দেখতেই সুন্দর ছিল, তা না, প্রচন্ড স্মার্ট আর পড়াশুনাতেও ভাল ছিল। তবে যেটা বলা দরকার সবার আগে, তা হল- ও ছিল আমার চেয়েও লম্বা। অস্বীকার করব না, খুবই ভাল বন্ধু যেমন ছিলাম আমরা, তেমনি ওর যে কোন কিছুই আমি মুগ্ধ হতাম, (নিয়ন্ত্রণযোগ্য) হালকা দূর্বলতা ছিল তো বটেই। একবার ওকে জিজ্ঞেস করলাম বিয়ের জন্য ওর কেমন ছেলে পছন্দ। ও জবাব দিল, ‘ছেলেকে হতে হবে শান্ত-ভদ্র, পড়াশুনায় ভাল, কথাবার্তা-ব্যবহার ভাল হতে হবে...’ এসব শুনে আমি যেই না আশায় বুক বাঁধলাম, সাথে সাথেই ফাঁটা বেলুনের মত চুপসে যেতে হল ওর পরের কথায়, ‘তবে ছেলেকে অনেক লম্বা হতে হবে, আমার চেয়েও, কমপক্ষে ছয় ফুটের কাছাকাছি তো হতে হবেই। জানো, আমার এক কাজিন ওর চেয়ে খাটো এক ছেলেকে বিয়ে করেছে, এখন ও যত ফ্ল্যাট স্যান্ডেলই পড়ুক না কেন, বরের পাশে কেমন যেন বেমানান লাগে, তাই আমি এই ভুল কখনো করব না।’ মোক্ষম জায়গায় বাঁশটা খেলেও, মুখের হাসিটা ধরে রাখতেই হল, আর মুগ্ধ হয়ে ভাবলাম, ‘আহা, এমন দারুনভাবে বাঁশ আর কেউই মারতে পারে না!’

আমার সেই বাঁশ-খাওয়া ভাগ্য এখনো বদলায়নি। অফিসে এক কলিগ আছে, হাফ রাশান-হাফ চাইনিজ, মহাসুন্দরী, একদম মডেলদের মত লাগে- আর যখন হাঁটে, মনে হয় যেন চারপাশ কাঁপছে। কিন্তু আফসোস, আমার চেয়ে প্রায় আধ-হাত লম্বা তো হবেই। তাই ফেইসবুকে ওর সাথে আমার ছবি দেখে এক বন্ধুর বউ (মানে, গার্লফ্রেন্ড) কমেন্ট করল, ‘আচ্ছা, তুমি এত লম্বা কেন?’ আমি মনের দুঃখ মনে রেখেই বললাম, ‘আমি বেশি লম্বা না, মেয়েটাই বেশি খাটো!’

কথা প্রসঙ্গে সেদিন রায়হান আবীর-কে বলছিলাম ক্যাডেটে আমার ভর্তি পরীক্ষা না দিতে পারার ব্যাপারটা। তখন ও আমাকে যা শোনাল, তাতে আমার আফসোস রীতিমত বেড়ে গেল বহুগুণ। ও বলল, ক্যাডেট কলেজে নাকি এমন অনেক উদাহরণ আছে যে, অনেক কম উচ্চতার ছেলেও শেষ পর্যন্ত বের হওয়ার সময় নাকি ছয় ফুটেরও বেশি লম্বা হয়ে গিয়েছিল; আর কেউ কেউ, যারা এমনিতে বেশ লম্বা ছিল, পরবর্তীতে নাকি বের হওয়ার সময় তারা আরো খাটো হয়ে গিয়েছিল! এই অদ্ভুত ব্যাপারটা কেন বা কিভাবে ঘটল, অথবা ক্যাডেট কলেজেই কেন এমনটা ঘটে, তা আমি বলতে পারব না, এটা রায়হান বা অন্য ক্যাডেটিয়ানরাই ভাল বলতে পারবেন।

তবে ওর কথা শুনে মনে হল, তখন যদি ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতাম, তাহলে এতদিনে হয়ত অনেক লম্বা হয়ে যেতাম। আর সেটা যেহেতু এখন আর সম্ভব না, তাই লম্বা মেয়ে বিয়ে করা ছাড়া আর কোন উপায়ই দেখছি না! আফটার অল, নেক্সট জেনারেশনের প্রতি আমার যে একটা দায়িত্ব আছে সেটা তো আর অস্বীকার করতে পারি না, আমার মত ওদের যেন টক আঙ্গুর না খেতে হয়!


মন্তব্য

রায়হান আবীর এর ছবি

* ক্যাডেটে যান নাই একদিক দিয়ে ভালো হইছে। ক্যাডেট পোলাপাইনরে বাইরের মানুষ দেখতে পারে না খুব একটা। খাইছে আমার কথা অবশ্য আলাদা, আমারে সবাই দেখতে পারে (অন্ধকার ছাড়া) দেঁতো হাসি

* সেই লম্বা হওয়ার বই আমাদের সুমন নামে একজন কিনেছিল ২০০ টাকা দিয়ে। ২০ টাকার বই, ২০০ টাকা গছাইছে ওর কাছে, কি পরিমাণ ডেসপারেট ছিল চিন্তা করে দেখেন। তবে কামের কাম হয় নাই ওর, ওই বই অনুসারে কাজ কাম করে মাসেল ফুলে গেছে। জীবনেও আর কোনদিন লম্বা হতে পারবে না।

* ডিবেটিং ডায়াসের বিড়ম্বনা নিয়ে হতাশ? তাহলে একবার আমাদের জামির কথা ভাবুন। বেচারা অডিটরিয়ামের চেয়ারে বসলে ডেস্কটার একদম সামনে রাখা প্রশ্ন দেখতে পারেনা। উচুঁ হয়ে দেখতে হয়। অভিনয় করে দেখাইতে পারলে ভালো হতো।

* সবশেষে আমিও বলি, সাইজ ডোন্ট ম্যাটার চপিং উড! চোখ টিপি

=============================

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

* সবশেষে আমিও বলি, সাইজ ডোন্ট ম্যাটার চপিং উড!

কে চপ করছে, এতো কিছু থাকতে উড চপ করছে কেন, এবং কার উড চপ করছে এইসব ব্যাপারে কোন প্রশ্ন করলাম না। খাইছে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বেশি প্রশ্ন না করাই ভাল, পাছে না আবার থলের বেড়াল বেরিয়ে পড়ে! দেঁতো হাসি

রায়হান আবীর এর ছবি

ইশতি ভাই, আপনি ছোটদের মতো করে বললাম, আর আপনি কিনা বড়দের মতো করে বুঝে নিলেন? খেলুম না। মন খারাপ

=============================

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

* ক্যাডেটের পোলাপানরে দেখতে পারে না বাইরের লোকে, কিন্তু তোমারে দেখতে পারে- রহস্যটা কী?! চিন্তিত
আর এখন তো এই কথা বলবাই, নিজে লম্বা হইসো, অন্যের দুঃখ কী আর বুঝবা? চোখ টিপি

* হা হা হা, আমি অবশ্য জীবনেও ওই বই কিনতাম না, জাস্ট ফান করসিলাম ফ্রেন্ড-এর সাথে। কারণ ইচ্ছা থাকলে পরে নিজেই কিনতে পারতাম। কিন্তু ওইসব টুটকা বইয়ে যে কোন কাজই হয় না, তা বুঝতাম।

* জামি'র মত ছেলেরা আছে জন্যই তো নিজের দুঃখ ভুলে থাকা যায়! (ব্যাড জোক হয়ে গেল) হাসি

* ইয়েস! দ্যাট'স দা স্পিরিট! দেঁতো হাসি

নিবিড় এর ছবি

তবে ওর কথা শুনে মনে হল, তখন যদি ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতাম......... থাক যা চলে গেছে তা নিয়ে আফসোস না করাই ভাল । মনে হয় সচলে আপনার দলে ও কিছু লোকজন আছে তাই চিন্তা কইরেন না চোখ টিপি চোখ টিপি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তা ভাই, এই দলে আপনিও আছেন নাকি? চোখ টিপি

বলে ফ্যালেন, লজ্জার কিছু নাই, এই দেখেন না আমার কথা আমি ঢাক-ঢোল পিটায়া বলে দিলাম সবাইকে! আপনাকেও নিজের দলে পাইলে ভালই লাগবে! দেঁতো হাসি

নিবিড় এর ছবি

আরে সব প্রশ্ন সরাসরি করতে নাই । মন খারাপ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

উত্তর পেয়ে গেছি চোখ টিপি
আসেন হাত মেলাই দেঁতো হাসি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ভালৈছে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কী, বস? আমি যে লম্বা হই নাই, এইটা? চোখ টিপি
থ্যাংকু হাসি

হিমু এর ছবি

উচ্চতার সাথে জিনের সম্পর্ক ঠিক পাটীগাণিতিক না। মানে, সন্তানের উচ্চতা বাবা বা মায়ের উচ্চতার গড় না-ও হতে পারে।

ধরা যাক, তোমার প্রপিতামহের উচ্চতা ছয় ফুট ছিলো। প্রপিতামহীর উচ্চতা ছিলো পাঁচ ফুট। কিন্তু পিতামহ, পিতা, পিতৃব্য, তুমি নিজে, কেউই কিন্তু ঠিক ছয় ফুট বা ঠিক পাঁচ ফুট লম্বা হবে না। এই উচ্চতার ইনফরমেশনবাহী জিনটি শরীরে থাকলেই যে এর ম্যানিফেস্টেশন হবে, এমন কোন কথা নেই। এমনও হতে পারে, যে তোমার নানার উচ্চতা অনেক বেশি, নানীর উচ্চতাও অনেক বেশি, কিন্তু তোমার মায়ের উচ্চতা অনেক কম, আবার তোমার উচ্চতাও অনেক কম, কিন্তু তোমার সন্তানের শরীরে সেই জিনটির প্রপার ম্যানিফেস্টেশন ঘটায় সে অনেক লম্বা।

তাছাড়া উচ্চতা বৃদ্ধি অনেক কিছুর ফাংশন। ঘুম তার মধ্যে একটা। বাচ্চাদের একটা নির্দিষ্ট বয়সে অনেক ঘুমাতে দিতে হয়, কারণ গ্রোথ হরমোন শরীরে ছড়ায় ঘুমের সময়। সেটা ডিস্টার্বড হলে উচ্চতা বাড়বে না, বাপ মা যতোই তালগাছ হোন না কেন।

লম্বা খাটো নিয়ে বিচলিত হয়ো না। ঝড়াক করে লম্বা মেয়ে বিয়ে করে ফেলো। নিন্দুকেরা মন্দ কথা বললে জানিয়ে দিও, যে বউকে ভার্টিকাল থাকতেই দাও না, হরাইজোন্টাল করে রাখো বেশির ভাগ সময় দেঁতো হাসি ...।


হাঁটুপানির জলদস্যু

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ওরে হিমুরে কেউ থামা। জ্ঞানের ঠেলায় কান্না আসে আমার।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- থামায়ো না, ও বলুক। নতুন নতুন শাদী করছে, দুইদিন পর বাপ-দাদা হবে। এখন পুলাপানকে "প্রোপার স্লিপিং টাইম" দেওয়া নিয়ে কোর্স করতেছে। গোপন সূত্রমতে ওর ঘরে নাকি ঐ টাইপের এক জার্মান ভাষার বইও পাওয়া গেছে যার বাংলা রূপান্তর করলে দাঁড়ায়, "বাচ্চাদের বাড়তে দিনঃ বাবা মা'র করণীয়!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হিমু এর ছবি

কেঁদে হালকা হ দেঁতো হাসি ...

গোধূলির তথ্যবিকৃতির বিরুদ্ধে জানাই তীব্র পেতিবাদ। বইটা আমিই লিখছি, প্রথম দুই চ্যাপ্টার লেখা শেষ। বাংলায় লিখলে বছর দুয়েক আগেই মক্সুদুল মুমেনিনের মত করে ছাপতে দিতে পারতাম।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হিমু ভাই, বইটা বহুত কাজের মনে হচ্ছে। লেখা শেষ হলে, অবশ্যই বাংলায় অনুবাদ করবেন, আর এক কপি এই দিকে পাঠায়া দিবেন দেঁতো হাসি

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

শেষের লাইনটা পড়ে আহেম আহেম !

--------------------------------------------------------

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে, তাই নাকি! এতকিছু তো জানতামই না! তবে আমার ঘুম খুবই কম হয়, অনেক আগে থেকেই, গড়ে সাড়ে চার/পাঁচ ঘন্টা-ও ঘুম হয় না, আর যেটুকু হয় সেটাও হয় অনেক ছাড়া-ছাড়া। কে জানে, হয়ত এটারও হালকা প্রভাব পড়ে থাকতে পারে আমার উপর।

বাহ্, দারুন বললেন তো! ঠিকাছে, ভালমত মনের মধ্যে গেঁথে নিলাম কথাটা, সুযোগ পেলেই নিন্দুকদের বলতে হবে এটা দেঁতো হাসি

থ্যাংকু হিমু ভাই হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ঠিক কথা। পাল্টাপাল্টি পোস্টের ব্যাপারটা তিক্ততার দিকে গড়ানোর আগেই সর্তক হওয়া ভালো।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মুর্শেদ ভাই, এটা ঠিক পাল্টাপাল্টি পোস্ট না, অরূপ'দা'র মন্তব্যেই উল্লেখ করেছি। তবুও সতর্কতা থাকবে সবসময়ই, যাতে কোন তিক্ততার দিকে ঘটনা না গড়ায়। থ্যাংকু বস হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অরূপ'দা, লেখাটা কিন্তু সচলা মুমু আপুকে নিয়ে নয়, শুধুমাত্র উৎসর্গ করা হয়েছে তাকে, কারণ এর আগের এক পোস্টে উনি তার মন্তব্যে ওই ধরণের আরো কিছু লিখতে বলেছিলেন। এই লেখাটা এমনিতেও লিখতাম হয়ত, তবুও পোস্টের সময় হঠাৎ করেই মনে পড়ল সেই মন্তব্যের কথা, তাই আর কী মুমু আপুর নাম উল্লেখ করা। এ ছাড়া, ভেতরে কিন্তু সচলা সম্পর্কিত কোন আপত্তিকর কিছু লিখিনি বলেই আমার বিশ্বাস।

সতর্কতা অবলম্বনের কথাটা কেন বললেন, তা বুঝতে পেরেছি। আমি নিজেও এই বিষয়ে সবসময় সতর্কই থাকি- তা সে সচল হোক বা সচলা। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো সেভাবে সচল-সচলা আলাদা করে দেখি না, সবার প্রতিই আমার রেসপেক্ট আছে।

এত কথা বলার উদ্দেশ্য, কাউকে আঘাত করবে- এমন কোন কিছুই সাধারণত চেষ্টা করি না লেখার, আর ইয়ার্কি-ফাজলামি করলেও সেটা মানুষ বুঝে, সীমা রেখেই করার চেষ্টা করি।

তাই ওই ধরণের ভুল হবে না আশা করি। ধন্যবাদ বস হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

জ্বী বস, আপনার পয়েন্ট-টা বুঝতে পারলাম। সহমত। আসলে সবাই যদি একটু সতর্ক থাকে, বা কোনকিছু করা বা বলার আগে একটু হলেও চিন্তা করে নেয়, তাহলেই এই ধরণের সমস্যা কিন্তু আর হয় না। অহেতুক বিতর্ক দেখলে ভাল লাগে না একদমই।

ঘিলুর হর্সপাওয়ারের কথাটা পছন্দ হল খুবই দেঁতো হাসি

আবারও থ্যাংকু বস হাসি

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আহা আপনার এ লেখায় আসলেই মন খারাপ হয়ে গেল, মন খারাপ
হিমুভাইয়ের এ ঘুমানো থিউরি জানতাম না, তবে অবশ্যই উনি যা বললেন জিনে থাকলে বাবা-মা'র হাইট কত ম্যাটার করেনা এটা ঠিক। আমার মনেহয় ছেলেমেয়েরা সাধারনত বাবা-মার মাঝামাঝি হাইটের হয় বা বেশি হয়। আমার মা খাটো তাই আমাকে আর বিশেষ করে আমার ভাইকে নিয়ে বেশি চিন্তা করত। খালি বলত ইসস ছেলেটা যদি আমার হাইট পায় তাইলেতো সর্বনাশ। আমার মনেপরে আমি ছোট বেলায় শুধু আম্মুর সাথে নিজেকে মাপতাম বলতাম আম্মু আমিতো প্রায় তোমার সমান হয়ে গেলাম, তারপর আস্তে আস্তে আম্মুকে ছারিয়ে গেলাম। আর এখন হিল পরে আব্বুর সাথে মাপি হিহিহি। ছোটবেলায় সিডনী আসার পর ছোটমামার সাথে কথা হলেই আমাকে বলতেন "কি ব্যাপার লম্বা টম্বা হচ্ছো নাকি খালি সাইড বারছে"। আমার ছোট মামা-মামী দুজনই বেশ খাটো তাই এখন ওনাদের চিন্তা আমার ছোট মামাত ভাইটিকে নিয়ে। তাই মন খারাপ করবেন না সবাই কম বেশি এমনই।
একবার এক ফাংশনে এক ভাইয়ার গান শুনে আমি প্রায় প্রেমে পরেই গিয়েছিলাম। কি নাম কি করে সব শুনে আরো ইম্প্রেসড। নেটে যোগাযোগ হল গানের ব্যপারেই। তারপর যখন সামনা সামনি দেখা হল আরেক ফাংশনে দেখি উনি আমার চেয়ে বেশ খাটো। কিযে মন খারাপ হল। মন খারাপ সাধারনত সব মেয়েরাই চায় তাদের পার্টনার তাদের চেয়ে লম্বা হবে। প্রেমে হাবুডুবু না হলে সাধারনত কোন মেয়ে তাদের চেয়ে খাটো কাউকে বিয়ে করতে রাজি হবেনা। তবে আপনি মন খারাপ করবেন না, আমি অনেক সাংঘাতিক রকমের সুন্দরী আর খাটো মেয়ে দেখেছি। আপনি নিশ্চয়ই পেয়ে যাবেন হাসি
সবশেষে লেখা উতসর্গ করায় আমি ফ্ল্যাটারড, মন খারাপ হলেও লেখা খুব ভাল লাগল, মন খারাপের কান্ডগুলো বেশ মজা করে লিখেছেন। আর আসলেই খাটো লম্বায় কি বা আসে যায়, মনটাই আসল। যে ছেলের মন নিচু বা খারাপ তার লম্বাতেই কি আর খাটোতেই কি। লম্বা না হওয়াতে মন খারাপ না করে হাসি খুশি থাকুন যে আপনি একজন সুস্থ ভালো মনের মানুষ হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

একবার এক ফাংশনে এক ভাইয়ার গান শুনে আমি প্রায় প্রেমে পরেই গিয়েছিলাম। কি নাম কি করে সব শুনে আরো ইম্প্রেসড। নেটে যোগাযোগ হল গানের ব্যপারেই। তারপর যখন সামনা সামনি দেখা হল আরেক ফাংশনে দেখি উনি আমার চেয়ে বেশ খাটো। কিযে মন খারাপ হল।

যাক বাবা, মুমু'র নিজে নিজে ছ্যাঁকা খাওয়ার কাহিনী জানা গেল অবশেষে।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হাহাহা ভালই বলসেন নিজে নিজে ছ্যাঁকা খাওয়া, তবে ছ্যাঁকা খাওয়া ঝুলি যে খালি তা না খাইছে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হায় হায়, আপনার মন খারাপ করে দিলাম? এমনটা কিন্তু উদ্দেশ্য ছিল না ইয়ে, মানে...

আন্কেল তো অনেক লম্বা, আপনিও। ছবিতে মনে হইসে তা-ই। আর আপনার ছোট মামা-মামীকে বলবেন, "সাইজ ডোন্ট ম্যাটার চপিং উড" দেঁতো হাসি

হা হা হা, শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ। আসলে সুন্দরী খাটো মেয়ে পাওয়া একটু টাফ-ই বটে, আর আজকাল সব মেয়েকেই কেমন যেন লম্বা-লম্বা লাগে। হাসি
খাটো মেয়ে বিয়ে করলেও দেখে নিতে হবে মেয়ের পরিবারের বাকিরা কেমন- লম্বা না খাটো। লম্বা হলে তো কথাই নাই, হিমু ভাইয়ের থিওরী-তে সাহস পেলাম খাইছে

একদম শেষে যে কথাগুলো বললেন, খুবই ভাল লাগল। আসলেই, মনটাই আসল। আর যা আমার হাতে নাই, তা নিয়ে বেশি মন খারাপ করে, যা হাতে আছে সেগুলোও যদি নষ্ট করি, তাহলে তো সেটা খুব একটা কাজের কথা হল না হাসি

যদি কখনো মন ভাল করা সুন্দর কিছু লিখতে পারি, তাহলে আপনাকে আবার উৎসর্গ করব হাসি
আপনি বেশি বেশি গিফট আর চকলেট কিনতে থাকেন চোখ টিপি

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হাহাহা আমি একটুও লম্বা মেয়েনা, সরি আমার কমেনটে যদি তাই মনেহয়ে থাকে, আমাকে এভারেজ হাইট ধরা যায় মনেহয় হাহাহা
আর আপনাকে যে ৩টা বড় বড় লাগেজ ভর্তি গিফট পাঠালাম সেগুলো পাননি এখনো? নাকি ভুল ঠিকানায় পাঠিয়েছি চোখ টিপি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থাক থাক, আর বিনয় করতে হবে না দেঁতো হাসি
আর আপনাকে লম্বা বললাম নিজের হাইটের সাথে তুলনা করে হো হো হো

কী বলেন! এখনো পাইনি তো! অ্যাঁ
দাঁড়ান, ঠিকানাটা ভালভাবে দিবোনে আবার, এইবার আশা করি নিশ্চয়ই ভুল হবে না চোখ টিপি

খালি গিফটে কিন্তু হবে না, চকলেটও লাগবে খাইছে

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আপনার স্মৃতি সেই ৮-৯ বছর পুরানো, আপনিকি মনে করসেন আমি আর বারি নাই নাকি? আমি একটুও লম্বা না কিন্তু আপনি সাড়ে চারফুট বা পৌণে পাঁচফুট এমনকি পাঁচ ফুট হইলে আমি আপনার চেয়ে লম্বা। খাইছে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মুমু'পু'র মন্তব্যগুলো আসলেই দিন-কে-দিন দুর্ধর্ষ থেকে দুর্ধর্ষতর হয়ে যাচ্ছে! হো হো হো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, ব্যাপার্না আমি আছি আপনার দলে। উচ্চতা পৌণে পাঁচফুট। সাড়ে চারফুটও হৈতারি দেঁতো হাসি

নেন ঘটা করেই জানান দিলাম। এইবার 'কুল' হন বস চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ধুরো বস, সকালে কন পাঁচ ফুট, বিকালে কন পৌণে পাঁচ / সাড়ে চার ফুট, দেখা যাবে রাতে বলবেন আপনি "লিলিপুট"! হো হো হো

পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে মশকরা করতাসেন... আপনারে এই গরীবের খাস বন্ধু ভাবসিলাম, কিন্তু আপনিও... মন খারাপ

আমি বস কুলী ('কুল'-ই) আছি দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, এই গরীবের বন্ধুরে (ডায়লগটা পছন্দ হৈছে। গ্রাম পরিষদ নির্বাচনে খাড়াইলে এইটা ইউজ করুম) ভুল বুঝলেন? আরে মিয়া মাপুনী ডিফারেন্ট রিডিং দিলে আমি কী করুম? মন খারাপ

যেইহারে রিডিং কমতাছে, লিলিপুট হওয়াটাও খালি সময়ের ব্যাপার।

কুলী (কুল-ই) থাইকেন না বস। এইবার হট হন। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অবশ্যি বস অবশ্যি... আপনে "গরীবের বন্ধু" নামে নির্বাচনে খাড়াইলে 'মাষ্ট' জিতবেনই জিতবেন! কিন্তু তখন আবার এই "গরীব"-রে ভুইলা যায়েন না কইলাম দেঁতো হাসি

নির্বাচনী ওয়াদাগুলা ঠিক করসেন তো? চোখ টিপি

আপনে মিয়া কী দিয়া হাইট মাপতেসেন? গজ-ফিতা, নাকি "কেঁচো"? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনে মিয়া খালি অন্যসব জিনিষে নির্ভর করেন। আপনারে আমার স্টাইলে মাপোনের সিসটেম শিখায়া দেই।

প্রথমে খাড়াবেন দুই পায়ের ওপর। তারপর হাতের তারা দিয়া মাথার তালু ছুইবেন। অতঃপর হাত হরিজন্টালী সামনে নিয়া যাবেন। তারপর অন্য হাত দিয়া থুতনী চুলকাবেন আর নিজের মতো করে হাইট= (ইচ্ছামতো) প্যারামিটার বসাবেন।

ব্যস হয়ে গেলো। এবার আপনি যে ফলাফলটা পাইলেন সেটা জনসন্মুখে প্রকাশ করে ফেলবেন। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এইটা আবার কিমুন সিষটেম! চিন্তিত
আপনার নিয়মানুযায়ী আমি তো "পাঁচ ফুট এগারো ইঞ্চি" লম্বা! চোখ টিপি
তা বস্, আপনার খবর কী? লিলিপুট হওয়ার পথে কতদূর আগাইলেন? দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- যথেষ্ট কসরত কর্তাছি। এনশাল্লাহ খুব শীঘ্রই তিনফুটে নাইমা আসবো বইলা আশা রাখি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এনশাল্লী (কপিরাইট: আনিস দাদা) দেঁতো হাসি

বস্, এখন কয় ফুটে আটকায়া আছেন? কসরত চালায়া যান, থাইমেন না চোখ টিপি

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

দেঁতো হাসি
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সহ- দেঁতো হাসি

[মন্তব্যের কপিরাইট: সন্ন্যাসী'দা]

রানা মেহের এর ছবি

বড় হয়ে আপনি ধুসর গোধুলী দুজনেই লম্বা হোন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাংকু আপু। আমিও বলি- আমীন দেঁতো হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আরে ব্যাপার না... আমার বউ আমার চেয়ে দুই ইঞ্চি লম্বা...
আর আমি খাটো বইলা একসময় তো ঢাকা শহরে মেয়েদের ফ্ল্যাট স্যান্ডেলের ঘাটতি দেখা দিছিলো... চোখ টিপি (আবার ভাইবেন না যে আমারে জুতা মারার জন্য... চোখ টিপি

আমি যখন এই কমেন্ট করতেছি... তার কিছুক্ষন পরেই আপনে আমার চোখের প্রায় সামনে দিয়া বাড়ি থেকা বাইর হইবেন। গত দুইদিন ধইরা আমি আপনের প্রতিবেশি... দেঁতো হাসি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আবার ভাইবেন না যে আমারে জুতা মারার জন্য...
গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সবার কপাল কী আর মিয়া আপনার মত নাকি? আমরা ভাই গরীব, আমাদের জন্য কেউ ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিতে চায় না, কেউ আমাদের মাতাল অবস্থায় দেখতে চায় না বা কথা বলতে চায় না... দেঁতো হাসি

এইজন্যই বস আমি সবসময় বলি- "বড় হয়া আমি নজু ভাই হইতে চাই" আর "আমি আপনারে খুউব হিংসা করি" চোখ টিপি

আপনে কমেন্টটা করার আরো প্রায় চল্লিশ মিনিট পর আমি আপনারে ক্রস করসি। কিন্তু এইটা তো মিয়া খুব খারাপ কাজ করলেন। দুই'দিন থাকলেন বাড়ির পাশে, অথচ আপনার দরজার সাথে লাগোয়া চাইনীজ রেস্টুরেন্টে খাওয়াইলেন না! মন খারাপ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নাম লেখাইয়া গেলাম আমিও আপনার দলে।
আবার এর সাথে আমার বালক বালক চেহারা আরেক ঝামেলা বাঁধাইয়া দিয়া গেছে। লোকে বলে স্কুল গোয়িং পোলা। :S। অথচ দেখেন, বিয়া করার সময় আইসা পড়ছে। লইজ্জা লাগে লইজ্জা লাগে তয় ব্যাপার না, এগুলা নিয়া ভাবি না।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ওয়েলকাম টু আওয়ার ক্লাব দেঁতো হাসি

আসলেই কিন্তু- আপনারে দেখলে বস, এখনো স্কুল-গোয়িং পোলা মনে হয়। আমার একাধিক বন্ধু আছে, যাদেরও একই অবস্থা। এইদিক দিয়ে অবশ্য আমার কোন সমস্যা নাই।

ব্যাপার না বস, বিয়ার টাইমে বিয়া হয়া যাবে। আমিও আপনার মতই, এইসব নিয়া ভাবি না হাসি

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ব্যাপার না। তবে আমি ঠিক করছি আমার থেইকা লম্বা মেয়ে বিয়ে করুম। (কিছু করার নাই। সিলেটের মেয়েরা নাকি লম্বা হয়।)
লম্বা বউ থাকলে একটা সুবিধা আছে। দেঁতো হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমারও তো ভাই একই ইচ্ছা। কিন্তু লম্বা মেয়েরও কিন্তু আবার আমাদের মত খাটো মানুষরে বিয়া করার ইচ্ছা থাকতে হবে! তাই খুব খিয়াল কইরা! দেঁতো হাসি

তুমি সিলেটী মেয়ে বিয়া কইরো, আমি করব বগুড়ার। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলতেসি, বগুড়ার মেয়েরা অনেক সুন্দর হয় হাসি

লম্বা বউ থাকলে "একটা" সুবিধা? আমি তো ভাবতাম "অনেক" সুবিধা! চোখ টিপি

হিমু এর ছবি

তোমার হাইট কতো আসলে? কানে কানে বলো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হাইট যে আসলে কত- তা নিজেও ভুলে গেছি! তবে ৫′ ৪″ এর বেশি যে না, এটা নিশ্চিত দেঁতো হাসি

কানে কানে শুধু আপনাকেই বললাম কিন্তু, আর কেউ যেন না জানে চোখ টিপি

রেনেট এর ছবি

এ যে দেখি পাত্রী চাই বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নয়া তড়িকা চিন্তিত
---------------------------------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে রেন্টু ভাই, আপনি দেখি বুইঝা গেছেন ব্যাপারটা! চিন্তিত
ভাবলাম কেউ ধরতে পারবে না, এই সুযোগে চুপিচুপি প্রচারনা চালায়া যাব, কিন্তু তা আর হইতে দিলেন কই! মন খারাপ
তা বস্, হাতে ভাল পাত্রী-টাত্রী আছে নাকি? দেঁতো হাসি

কীর্তিনাশা এর ছবি

বি ডি আর এর বিয়ের সময় হইসে বোঝা যাচ্ছে। দেঁতো হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

জ্ঞানীগুণীরা বলে গেছেন- "সময় এবং নদীর স্রোত কাহারো জন্য অপেক্ষা করে না" দেঁতো হাসি

আপনার অফিসে তো অনেক সুন্দরী ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রীরা চাকরি করে, দেন না কারো সাথে পরিচয় করায়া! চোখ টিপি

অনেক কীর্তি-ই তো "নাশ" করসেন, এইবার গড়েন কিছু খাইছে

হিমু এর ছবি

বেছে নাও, কোনটা লাগবে।

ক. সুন্দরী
খ. ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রী
গ. কীর্তিনাশার অফিসে কর্মরতা
ঘ. ক ও খ
ঙ. ক ও গ
চ. খ ও গ
ছ. ক, খ ও গ

দেঁতো হাসি


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ক্রাইটেরিয়া আরো বেড়ে গেছে- মেয়েকে বগুড়ার অথবা ইউক্রেনের হতে হবে। চোখ টিপি

আর কীর্তিনাশা ভাইয়ের উপর শেষ পর্যন্ত বেশি ভরসা করতে পারলাম না, কারণ তার অফিসে কিছুদিন আগে সিডি (যেটা শুধু ডিসপেনসারী-তে পাওয়া যায়!) সম্পর্কিত যে ঘটনা ঘটে গেল... কোনও গ্যারান্টি নাই...

দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

বগুড়ার মেয়ে চিনি না, তবে ইউক্রেনের কয়েকজনকে চিনি। তাদের সাথে দেখা হলেই সন্ন্যাসীর প্রতি একটা গান্ধীমারা হিংসা জন্মায় মনে!

বগুড়া সম্পর্কে সাবধান। কথিত আছে যে বগুড়া নামের উৎপত্তি "বউগুঁড়া" থেকে। প্রবাদে আছে, এ অঞ্চল থেকে উৎপন্ন বউরা তাঁদের স্বামীদের রীতিমতো গুঁড়া করে ফেলেন। বাকিটা বুঝে নাও।

অফিসের কাজে খুলনা যাওয়া হয় না হাসি ?


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তাহলে এখন সব বাদ, টার্গেট- ইউক্রেনের মেয়ে বিয়ে করা! সন্ন্যাসী'দা-কে ভাবতেছি ঘটকালি করতে বলব না-কি! অবশ্য উনি যে রমণীমোহন মানুষ, দেখা যাবে ইউক্রেনের সব মেয়েই কোন না কোন আমলে তাঁর বান্ধবী ছিল! হো হো হো

বগুড়ার মেয়ে সম্পর্কে সবই জানা, ওদেরকে আবার "গোল-মরিচ" বলেও ডাকা হয়, কেন- বুঝে নেন চোখ টিপি

নাহ্, খুলনা যাওয়ার দরকার পড়ে না। কিন্তু কেন? ওখানকার কোন মহাসুন্দরী কাউকে চেনেন? পরিচয় করায়া দিবেন? দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

তোমার টার্গেটের ল্যাটিচ্যুড লঙ্গিচ্যুড পাল্টানোর অ্যাটিচ্যুড প্রশংসনীয়! আমিও ভাবছি "বল কেলাডা চারলে" ইউক্রেইনের মেয়ের জন্যেই "চারবো" দেঁতো হাসি

না, খুলনার কোন মহাসুন্দরীকেই তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো না চোখ টিপি । ওরা সব আমার দেঁতো হাসি


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমার তো এখুনি সব ছেড়ে-ছুড়ে ইউক্রেন যাইতে ইচ্ছা হচ্ছে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

কী নির্দয় মনোভাব! ধূগো'দা দখল করসে দুনিয়ার সব "শালী"-রে, সন্ন্যাসী'দা ইউক্রেনের সব ললনা-কে, আর এখন আপনি যদি "রিমোট অ্যাসিস্ট্যান্স"-এর সুযোগে রিমোট লগইন করে, জার্মানী থেকেই খুলনার সবগুলারে এইভাবে কব্জা করে রাখেন, তাহলে আমাদের কী হবে! মন খারাপ

নাহ্, আন্দোলন একটা ডাকতেই হবে ভাবতেছি। "সুন্দরী ললনা বাঁচাও" আন্দোলন হো হো হো

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আপনি "সুন্দরী ললনা বাঁচাও" আন্দোলন শুরু করুন।
এদিকে আমি "সুন্দরী ললনাদের খুশি ও তৃপ্ত রাখুন" আন্দোলন তো চালিয়েই যাচ্ছি হো হো হো

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনার ছড়মাণুর মতো করেই বলি-

শুরু হলো আন্দোলন! দলে-দলে করব এবার বিক্ষোভ!
কি বলবেন একে? ছেলেমানুষি? নাকি মানবিক ক্ষোভ?
হো হো হো

আপনি তো সন্ন্যাসী! আমাকে একটু বোঝান তো- এই আন্দোলনে আপনি কি করেন?! অ্যাঁ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

এই আন্দোলনে আপনি কি করেন?!

ভণ্ড সন্ন্যাসীরা যা করে চোখ টিপি

বেবাকেই দেখি ছড়মাণু লেখায় দক্ষ হয়া যাইতেসে! অ্যাঁ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হায় রে কপাল, এ কোন গোপাল! সন্ন্যাসী এক ভন্ড!
আসলো তেড়ে, টেবিল ছেড়ে! করতে যে সব পন্ড!

আরে ভাই, বেবাকেই 'দক্ষ' হইলে 'অদক্ষ' হবে কে? আমি পরের দলেই আছি, থাকব- এইটা আমার কাছ থেকে নিতে আইসেন না, লাভ নাই! দেঁতো হাসি
জানেনই তো- 'কোথায় লিভারপুল, আর কোথায় চাংখারপুল!' হো হো হো

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হৈ মিয়া, 'লিভারপুল'-এর বাসিন্দা হয়া আপনে চানখারপুল চিনলেন ক্যাম্নে! চিন্তিত


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

@ অতন্দ্র প্রহরী

আপনার আর হিমুর আলোচনা পড়ে নিচের সিদ্ধান্তে এলাম।

আমার নিজের শহর বগুড়া সুন্দরীময়!
আমার বর্তমান বসতি ইউক্রেন রূপসী-বালিকাআকীর্ণ!
মনে যাচ্ছে, আমার গুডলাকের সৌভাগ্য খুবই ভালো হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনি বগুড়া কিনে নিলেন কবে? না-কি আপনি বগুড়ার মেয়র? অ্যাঁ

ইউক্রেনের মেয়ে বিয়ে করব বলে ঠিক করলাম, এখন এমন কাউকে কিভাবে পাই, যার সাথে আপনার সখ্যতা নাই? ওঁয়া ওঁয়া

কথিত আছে, আমি বদ দোয়া দিলে নাকি মানুষজনের আরো সৌভাগ্য খুলে যায়। যদি চান তো আমি মন খুলে কিছু বদ দোয়া দেই আপনাকে, তাহলে আপনার গুডলাকের সৌভাগ্য আরো বাড়বে। তবে, যদি ব্যাকফায়ার হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু পস্তাবেন, আপনার ব্যাডলাক-টা তখন খুবই খারাপ হয়ে যাবে বলে দিলাম! চোখ টিপি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সন্ন্যাসী'দা, আপনে তো আমার অতি আপন মানুষ। আপনেই বলেন তাইলে এই কোথায় যাবো প্রথমে। বগুড়া হয়ে ইউক্রেইন আসবো নাকি ইউক্রেইন ঘুরে তারপর বগুড়া যাবো? চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

আমার ব্যাক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতায় ছোটখাটো মানুষদেরকেই অধিক বুদ্ধিমান, জ্ঞানী ও বিচক্ষণ পেয়েছি। আর কাউকে হেয় করতে চাইনে কিন্তু ঐযে কথায় আছেনা "লম্বুদের বুদ্ধি থাকে হাঁটুতে"। কিছুটা সত্যতার প্রমাণও পেয়েছি এই প্রবাদের। ছেলে বলুন আর মেয়ে বলুন উভয়ের ক্ষেত্রেই আরকি ! তাই বলি যে মনের সঙ্কীর্ণতাকে ঝেড়ে ফেলুন। আর বেশ ভাল করেই জানা আছে যে বিয়ে করলে আপনি আপনার সাইজের কাউকেই করবেন। অবশ্যই এমন কাউকে নয় যার পাশে আপনাকে দেখতে দৃষ্টিকটু লাগে।তাই দৈহিক উচ্চতা ব্যাপার নয়, জ্ঞানের উচ্চতাই মূখ্য !

--------------------------------------------------------

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা একদম ঠিক! (একটু ভাব নিয়ে নিলাম এই সুযোগে) চোখ টিপি

সুন্দর কথাগুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। তবে হাইট নিয়ে সবসময় যে হীনমন্যতায় ভুগি, এমনটা কিন্তু একদমই না। এজন্যই তো একটু মজা করে লেখার চেষ্টা করলাম পোস্টটা।

কিন্তু ভাই ভূঁতের বাচ্চা, আপনার নতুন কোন লেখা অনেকদিন থেকে দেখছি না। খুব ব্যস্ত থাকেন বুঝি? হাসি

মুস্তাফিজ এর ছবি

পান্থ রহমান রেজা লিখেছেন:
নাম লেখাইয়া গেলাম আমিও আপনার দলে।
আবার এর সাথে আমার বালক বালক চেহারা আরেক ঝামেলা বাঁধাইয়া দিয়া গেছে। লোকে বলে স্কুল গোয়িং পোলা। :S। অথচ দেখেন, বিয়া করার সময় আইসা পড়ছে। লইজ্জা লাগে লইজ্জা লাগে তয় ব্যাপার না, এগুলা নিয়া ভাবি না।

আমি তখন অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ি, পলিটিক্স করি, জেলায় জেলায় বক্তৃতা দিয়া বেড়াই, রাস্তায় বেরুইলে লোকজন হাত তুলে, সাথে সবসময় ১০/১২ জন থাকে, বিরাট ব্যাপার। সে সময় নেত্রকোনা থেকে ট্রেনে ফেরার সময় একবার সিগারেট টানছিলাম দেখে এক মেয়ে (পরে দেখেছি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার) জিজ্ঞেস করলো "এই ছেলে কোন ক্লাসে পড়?"

...........................
Every Picture Tells a Story

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই তো তাইলে দেখি ভার্সিটি লাইফে পুরা "ভাই লোক" ছিলেন! হাসি

হা হা হা, আপনার অবস্থা তো আমাদের পান্থ'দা'র মতই ছিল মনে হচ্ছে! তা, কী জবাব দিসিলেন মেয়েটাকে? দেঁতো হাসি

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমার কিসু বলা লাগেনাই, সাথে পোলাপান ছিলোনা?

যাহোক মেয়েটা ভালো, এখনও মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয়। রোমে থাকে।

...........................
Every Picture Tells a Story

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

জার্মানী-প্রবাসী আমার এক বাঙালি বন্ধু তার চেয়ে আধা বিঘত লম্বা ইউক্রেনীয় স্ত্রী নিয়ে পরম সুখে-শান্তিতে আছে। তিন-তিনখানা সন্তান তার। সে প্রমাণ করে দিয়েছে এই অঞ্চলে প্রচলিত প্রবচন: মূল কথা আকারে নয়, দক্ষতায় চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলাম, বগুড়ার মেয়ে বিয়ে করব। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ইউক্রেনীয় মেয়ে বিয়ে করতে হবে! কী করি- বলুন তো? চিন্তিত

আপনার কথা শুনে মনে হলো- যাদের সন্তান নাই (তা বিয়ে না করার কারণে হলেও), তারা 'দক্ষ' নয় চোখ টিপি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আরে ধুর! দক্ষতা মানে বউকে/সঙ্গিনীকে তৃপ্ত রাখার ক্ষমতা!
পুলাপান এইটাও বুঝে না! রেগে টং

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ব্যাখ্যা-টা পাইলে আমারে কানে কানে পরে জানায়া দিয়েন চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@সন্ন্যাসী'দা

আসলেই ভাই, কলিকালের পুলা তো, তাই সবকিছু বুঝি না। ইশ্, কবে যে আপনার মত বড় হব! সেইদিন সব বুঝব এনশাল্লাহ্, দু'আ কইরেন দেঁতো হাসি

তবে আপনি যে খুউব 'দক্ষ' সেটা বুঝতে পারসি, মানে- পয়েন্টে কথা বলতে। চোখ টিপি

আর আপনার 'ক্ষমতা'-ও প্রশংসার দাবিদার, মানে- কোনও কিছু বোঝানোর হো হো হো

তানবীরা এর ছবি

প্রহরী, ডাচেরা এই পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা জাতি, এরা খুব মিল্ক প্রোডাক্ট গিলে। মিল্ক প্রোডাক্টে নাকি নম্বা বানায়। বাঙ্গালী মেয়েনুযায়ী আমি ঠিক থাকলেও ডাচ দেশে আমি জিসকি বিবি নাটি সাইজে পড়ি। এর অনেক অসুবিধার মধ্যে প্রেধান হলো কোন সময় সেলে আমার সাইজ নাই, আমাকে কাপড় জুতা কিনতে হয় সবচেয়ে প্রথমে ফুল প্রাইজ দিয়ে কারন ওরা ছোট সাইজ ভদ্রতার খাতিরে দুইটা রাখে, বের হওয়ার সাথে সাথে শেষ। যখন এশকটাকার জিনিস বিশ টাকায় আসে, সব্বাই ঝুড়ি ভরে ভরে কিনে তখন আমি হাপুস নয়নে কাদি যে আমি এই বিশ টাকার কাপড় মাত্র তিনমাস আগে এশক টাকায় কিনছি। তুমি একা না ..................।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এখানে প্রতিটা শপিং মলেই "কিণ্ডার আবটাইলুং" বলে একটা জিনিষ আছে। আগি নিশ্চিত হল্যাণ্ডেও আছে। তো ওখানে গিয়ে ট্রাই দিতে পারেন স্বাতী আপা। বিশ্বাসে সাইজ মিলিলেও মিলিতে পারে। হো হো হো
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বস্, "কিন্ডার আবটাইলুং" মানে কি? চিন্তিত
স্বাতী আপার সমস্যা কি আপনাকেও ফেস করতে হয়? চোখ টিপি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কিণ্ডার আবটাইলুং মানে হলো কঁচিকাঁচা সেকশন।

এখনো পর্যন্ত তো হয় না, তবে বলা যায় না কী হয়! দুনিয়া যে হারে এগিয়ে যাচ্ছে, কতোদিন সাইজ পাওয়া যায় কে জানে! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

"কিন্ডার" দেখে এমন কিছুই আন্দাজ করসিলাম হাসি

আপনে না কইলেন আপনে 'সাড়ে চার' / 'পৌণে পাঁচ' ফুটি! তাইলে? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কৈ রে ভাই, প্যাঁচাইতেসি কই, বরং প্যাঁচ ছাড়ানোর চেষ্টা করতেসি! চোখ টিপি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@তানবীরা'পু

এখন তো তাইলে আমার ডাচ মেয়ে বিয়া করতে ইচ্ছা করতেসে, কী যে করি, কই যে যাই! চিন্তিত

হা হা হা, ব্যাপার না। আমারও অনেকটা একই অবস্থা হয় ফর্মাল শার্ট কিনতে গেলে। আমি যে কলার সাইজ দেখে শার্ট কিনি, ওইটা সবচেয়ে ছোট, আর ওইটা মাত্র দুই/তিন পিস আসে দোকানে, তাড়াতাড়ি শেষও হয়ে যায়। অনেকবারই দেখসি, যে শার্ট আমার পছন্দ, সেটার সাইজ পাইনি। একবার তো একটা শার্ট এতই পছন্দ হয়ে গেল যে আমি পুরা ঢাকা শহরের 'ক্যাটস আই'-য়ের সব ক'টা শো-রুম খুঁজলাম, কিন্তু তারপরেও পাইনি মন খারাপ

আসেন তাইলে, হাত মেলাই... দেঁতো হাসি

[ওইখানে চকলেট কিনতে গেলে তো এমন সমস্যা হয় না, নাকি বলেন?] চোখ টিপি

স্নিগ্ধা এর ছবি

হায়রে প্রহরী, তুমি এখনও এসব তুশ্চু ব্যাপারে মাথা ঘামাচ্ছো ??!!

নাহ, তোমাকে আসলে আরও লম্বা একটা বক্তৃতা দেয়া দরকার ছিলো।

যাও তো, অনেক ফ্যাদা প্যাচাল পাড়া হইসে, এবার একশনে নামো রেগে টং

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মাথা 'ঘামাচ্ছি' না তো, মাথা 'খাটাচ্ছি'! হো হো হো

নেক্সট টাইম আরো অনেক লম্বা-চওড়া বক্তৃতা শুনব, আপনার চকলেট খেতে খেতে অবশ্যই শুনব দেঁতো হাসি

অ্যাকশনে নাইমা শহীদ হওয়ার আগে, প্রিয়জনদের সাথে শেষবারের মত ভাল কিছু সময় কাটায়া নিচ্ছি চোখ টিপি

সবজান্তা এর ছবি

রণপা ব্যবহার শুরু করেন ভাই...


অলমিতি বিস্তারেণ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এই না হলে "সবজান্তা"! আমি জানতাম, আর কারো কাছে না হলেও, আপনার কাছ থেকে একটা না একটা সলিউশন পাওয়া যাবেই! দেঁতো হাসি
থ্যাংকু।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি, পরিচালক সুমন আনোয়ার আর অভিনেতা রওনক...
আমরা তিনজনে একসময় প্রায় সারাদিন একসাথে থাকতাম। সুমনের হাইট ৬ ফিট আর রওনকের ৫.১১
এই দুইটার মাঝখানে থাকতাম আমি... আর গান গাইতাম... দুই পাহাড়ের মাঝে আল্লায় মসজিদ বানাইছে। দেঁতো হাসি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুই পাহাড়ের মাঝে আল্লায় মসজিদ বানাইছে।
হা হা হা। ব্যাপার না বস, মসজিদ তো ভাল জিনিস, ইবাদতের জায়গা চোখ টিপি

আমার অফিসের দুই কলিগ- যাদের সাথে রিলেশন বেশ ভাল... আমাদের তিনজনের ছবি আছে দুই-তিনটা। অফিস প্রোগ্রামের। বেশ কয়েক মাস আগের কাহিনী। সবচেয়ে লম্বুটা মাঝে, দুইপাশে আমরা দুইজন দাঁড়ায়া। এই ছবি দেইখা একজন ফেইসবুকে তাতে কমেন্ট দিল- "শহীদ মিনার"- আমি যতই বলি "থ্রী কমরেডস"- কোনভাবেই কাজ হয় না। শেষ পর্যন্ত শহীদ মিনারই রয়ে গেল নামটা। হো হো হো

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ধুরো মিয়া !
এইসব হাইট, চেহারা, রঙ নিয়ে আক্ষেপ করার দিন এখনো আছে নাকি?
জাস্ট বি কনফিডেন্ট। সব এমনিতেই ধরা দেবে। হাসি
তবে, প্রহরীর সাহস আছে বলতে হবে।
বগুড়ার মেয়েদের কথা শুনলে অনেকেরই হাত-পা কাঁপা শুরু হয়, জনাব।
আর আপনে...চোখ টিপি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে নাহ্, আক্ষেপ করব কেন, তবে মাঝে মাঝে হালকা আফসোস যে হয় না- তা না, আর এইটা তো মনে হয় কমন হিউম্যান সাইকোলজী। এইটুকু বলতে পারি- নেগেটিভলি কখনো চিন্তা করি না এইসব নিয়ে (মন খারাপ করার জন্য দুনিয়ায় আরো বহুত বিষয় আছে!) হাসি

হুমম, আমার অনেক সাহস! আর জানেনই তো, শেক্সপীয়র বলে গেছেন, 'কাওয়ার্ডস ডাই মেনি টাইমস বিফোর দেয়ার ডেথস, দা ভ্যালিয়ান্ট নেভার টেস্ট অভ ডেথ'বাট ওয়ান্স'! তাই মরবই যখন, সাহসের সাথে একবার মরাই ভাল (এই মরণের মানে কিন্তু মারা যাওয়া না! হা হা হা) দেঁতো হাসি

বলেন কী আপামনি! আমার জানামতে, বগুড়ার মেয়েরা তো এত ঠান্ডা না যে এদের কথা ভাবলেই ঠক ঠক করে কাঁপতে হবে! চোখ টিপি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমি যখন কলেজে ভর্তি হই, তখন উচ্চতা টেনেটুনে ৫ ফুট। এক মেয়েকে পছন্দ হলো, তারও উচ্চতা ৫ ফুট। এখন বুঝতে পারছি সাইজের কারণেই মার খেয়ে গেছি। মন খারাপ

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বলাইদা, ঐ মাইয়ার কনটাক্ট নাম্বারটা যদি ইকটু দিতেন। ছোট টোট বইন টইন থাকলেও তো থাকবার পারে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ক্যান কী করবেন? মুড়ি খাওয়াবেন? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় আমি তাইলে আপনার চেয়ে অল্প একটু লম্বা ছিলাম দেঁতো হাসি

কলেজে আমার যাকে ভাল লাগল, সে আমার চেয়ে ইঞ্চি দু'য়েক লম্বা ছিল, আর আমাকে যার ভাল লাগল, সে ছিল আবার আমার চেয়ে ইঞ্চি দু'য়েক খাটো। তাইলে বলেন, কেমন জটিল সমীকরণ! চিন্তিত

স্বপ্নাহত এর ছবি

আমার দুই মামী বগুড়ার। তাদের চাপে মামা দুইজন ছয়ফুটী হৈয়াও পাঁচফুটী বালকের মত দিনযাপন করে। কাজেই আমি ঐ ভুল করতেসি না। আশা করি আপনেও করবেন না। দেঁতো হাসি

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বগুড়ার মাইয়াগো নামে বদনাম করার হীন প্রচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। রেগে টং
(পোলাপাইন মানুষ। নাদান। এখনো ভালো-মন্দ বুঝতে শিখে নাই। কি কইতে কি কয়...)
...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমিও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। রেগে টং এই জিহাদকে ধইরা মাইর দেনতো আপু
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মুমু'পু, আমিও আছি আপনাদের দলে, চলেন জিহাদরে মাইর লাগাই সবাই মিলে! মাইরা তক্তা বানায়া ওকে পাঁচফুটী বানায়া দেই, তারপর মুড়ি খাওয়াই ওরে! হো হো হো

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আসেন, ওর মাইর আসলেই ওভারডিউ হয়ে গেসে। দেখা যাবে জিহাদ তোমার ভাগ্যে কি বৌ আছে আর তখন সে তোমার কয় ফুট কমায়
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কই জিহাদ, কই গেলা, আসো তো, তোমার সাথে দেখা করতে লোকজন আসছে হো হো হো

আমার মনে হয়, জিহাদকে না মাইরা, ওকে আমরা বগুড়ার একটা মেয়ে বিয়া করায়া দেই, তাইলে ও নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারবে হাসি

তাও যদি না বোঝে, তাহলে এমন কারো সাথে বিয়ে দেই যে ওকে একদম তিনফুটী বানায়া দিবে দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@ স্বপ্নাহত

আমার চাচীও তো বগুড়ার। অনেক বান্ধবীও তাই। কথা হইল, এরাও তো মানুষ, বাঘ তো আর না- ঠিকমত ট্রিট করলেই হয়। যাই হোক, তোমার দুই মামার জন্য সমবেদনা দেঁতো হাসি

আর ভুল! কী কও মিয়া! ভুল কেন হবে? তুমি বগুড়ায় গিয়ে কয়দিন কাটায়া আসো, দেখবা তুমিও সিদ্ধান্ত বদলাইতে টাইম নিবা না চোখ টিপি

আর এরপরেও ভুল যদি হয়-ও, দার্শনিকের মত করে বলব তখন- "সাম মিসটেকস আর ওয়ার্থ মেকিং টোয়াইস" হো হো হো

আর জনমত কিন্তু তোমার বিরূদ্ধে চলে যাচ্ছে, মাইর খাওয়ার আগেই কথা পাল্টায়া ফেল, নাইলে কিন্তু মাইর একটাও মাটিতে পড়বে না! দেঁতো হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ঠিক কথা।
পুলাপাইন বিধায় ধোলাই খাওয়ার আগে আরো একখান সুযোগ জিহাদ মিয়ারে দেওয়া হইলো। নাইলে কইলাম...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ঠিক। একদমই বাচ্চা ছেলে- শেষ আরেকটা সুযোগ মনে হয় দেওয়া উচিত। না হইলে, এরপর রামধরা ধরা হবে ওকে, তখন ও বুঝবে, হাউ মেনি প্যাডি-তে হাউ মেনি রাইস দেঁতো হাসি

রেনেট এর ছবি

এবং সেঞ্চুরী দেঁতো হাসি
---------------------------------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এবং দেখে-শুনে (সজোরে ব্যাট হাকিয়ে) একটা সিঙ্গেল নিয়ে ফেললাম দেঁতো হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আপনাকেই আবার বলি- "সাইজ ডাজন'ট ম্যাটার, অ্যাট লিস্ট চপিং উড"। হাসি
ছোটবেলায় এমন অনেক দুঃখ আর বিব্রতি আমারও ছিল। যেটুকুও হয়েছি (মাত্র অবশ্য ৫ ফুট ৬" চোখ টিপি), তা-ও বেশ দেরিতে, বেশ বুড়ো হয়ে পরেই।
মন খারাপ রাখবেন না। জানি রাখবেন না। হাসি
মুমু তার মন্তব্যের শেষে যা বলেছেন- সেটাও সত্যি। মনের আকার ঠিক থাকুক। "নাথিং এল্স ম্যাটারস"। হাসি
লেখা ভালো হয়েছে অপ্র।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। হাসি

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনি তো ভাই এখন আমার চেয়ে "অনেক" লম্বা! চোখ টিপি

মুমু'পু-র বলা কথাটা আসলেই ভাল, কথাটা সবসময়ই বিশ্বাস করি। আর বাহ্যিকভাবে কোনও মানুষকে বিচার করাটা চরম নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক। আমি বরাবরই চেষ্টা করি একজন মানুষকে তার মন-মানসিকতা বা আচার-ব্যবহার দিয়ে বিচার করতে। মনের সৌন্দর্যটাই আসল... হাসি

ধন্যবাদ সাইফুল ভাই। দেরিতে মন্তব্যটা দেখলাম, তাই জবাব দিতেও দেরি হল।

আপনিও ভাল থাকবেন। হাসি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।