বাঙালী জাতির জন্য আজ একটি বিশাল তাৎপর্যপূর্ণ দিন। আজ মহান বিজয় দিবস। আজকের দিনটি সচলায়তনের জন্যও একটি আনন্দময় দিন। কারণ দেশী-বিদেশী সচলদের নিয়ে (আরো) একটি সচলাড্ডার আয়োজন করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
আগামী কয়েক ঘন্টায় ব্লগটি নিয়মিত আপডেট করা হবে। বিভিন্ন মানুষ লিখবেন। তাই আপনারা আমাদের সাথেই থাকুন
ইতিমধ্যেই উপস্থিত হয়েছেন- শিক্ষানবিস, তারেক, আহমেদুর রশীদ, মাহবুব লীলেন, রণদীপম বসু, পান্থ রহমান রেজা, রায়হান আবীর, কল্পনা আক্তার, তানবীরা তালুকদার, নজরুল ইসলাম, নূপুর ভাবী, পিচ্চি নিধি....
এরই মাঝে এক প্রস্থ চা হয়ে গেল। আনিস মাহমুদ এসে গেছেন। নিধির দখল লীলেন নিয়েছে। -
আহমেদুর রশীদ
তানবীরা তালুকদার এসেই "রাজনীতি" শুরু করে দিয়েছেন। তার কথা ছিল তিনি আমাকে (প্রহরী) একটা হ্যান্ডিক্যাম দিবেন। সাথে থাকবে অনেক অনেক চকলেট আর আমেরিকা যাওয়ার "টিকেট"
[এখানে বলে রাখা ভাল, তার ননদ আমেরিকা থাকেন, যিনি এক ডাক্তার কন্যার মা]
আশঙ্কা করা হচ্ছিল তিনি তার কথা রাখবেন না। লীলেন'দা আমাকে আগে থেকেই সাবধান করেছিলেন এবং চোখ-কান খোলা রাখতে বলেছিলেন। শেষে এসে সেই আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হল! ভাঙাচোরা একটা হ্যান্ডিক্যাম এনেছেন বটে তিনি, কিন্তু প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তিনি দেশের টিপিক্যাল রাজনীতিবিদদের মতো আচরণ করছেন!
এইমাত্র পান্থ রহমান রেজা "চাঁদাবাজ" হিসাবে আখ্যায়িত হলেন কল্পনা আক্তারের কাছ থেকে! কারণ তার উপর দায়িত্ব পড়েছে ঘুরে ঘুরে সবার কাছ থেকে চাঁদার টাকা তোলা। বেচারা কাঁচুমাচু মুখে ঘোরাফেরা করছে।
আমাদের মধ্যে জলিল ভাই এসে পৌঁছুলেন এইমাত্র।
দেখা যায়, আনিস মাহমুদ ভাইয়েরও ফটোগ্রাফির নেশা কম না! আর তাঁর ক্যামেরাটা আমার পছন্দ হল খুব। আগে জানলে এটাও বুকিং দিয়ে রাখতাম!
যোগী রণদীপম'দা এইমাত্র একটি মহান বাণী দিলেন- "পৃথিবীর সমস্ত মেয়ে তার স্বামীকে সবচেয়ে গাধা, অপদার্থ এবং নির্বোধ মনে করে..."
ঋষি আনিস মাহমুদ ভাই এর মোক্ষম জবাব দিয়েছেন- "এইটা যদি মনেই না করে, তাহলে বিয়েটা করবে কেন?"
তাঁদের দুইজনের জন্যই সমবেত করতালি!
তবে নূপুর ভাবী উক্তিটি শোনামাত্রই তার স্বামী সম্পর্কে দ্বিমত জানিয়েছেন!
জলিল ভাইয়ের যে ক্যাসেটটা বেরোবে, সেটার গান এখন শোনা হচ্ছে, আহমেদুর রশীদ ভাইয়ের কল্যানে।
আরো চলে এসেছেন স্পর্শ, এনকিদু, সাইফুল আকবর খান, জি. এম. তানিম...
তারেকের মুখে দন্তবিকশিত হাসি। সে আমার আর এনকিদু ভাইয়ের পরিচয়পর্বে বিশাল মজা পেয়েছে।
- আমি এনকিদু। আপনি?
- আপনি এনকিদু! আমি প্রহরী
এইমাত্র তানবীরা'পু ঘোষণা দিলেন তিনি নাচবেন! তার প্রস্তুতি চলছে এখন।
লীলেন'দা বললেন তানবীরা'পু থেকে সাবধানে থাকতে! কারণ তিনি যে কোনো সময় ব্লগ থেকে সব ডিলিট করে দিতে পারেন! হুঁশিয়ার!
রণদীপম'দা আরেকটি বাণী দিলেন- "আড্ডাতে কেউ একবার পঁচলে দ্বিতীয়বার পঁচার আর কোনো সম্ভাবনা নাই"!
আমরা সবাই নিচে আড্ডা মারছি... কিন্তু একজনকে কোনোভাবেই পাওয়া যাচ্ছে না। খোঁজ খোঁজ খোঁজ... পরে দেখা গেলো সে ছাদে একা একা উদাস ভাব নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে... ভাবলাম বুঝি তার গার্লফ্রেন্ডকে মিস করছে... ওমা... তা তো না... পাশের বাড়ির এক বালিকাকেও দেখা গেলো একই অবস্থায়... রায়হান আবীরটা জীবনে মানুষ হইলো না... টাঙ্কিবাজই রয়ে গেলো... -
নজরুল ইসলাম
মুমু আসলেন এই মাত্র। এক ঝুড়ি লজেন্স-মিমি বিলি করলেন, এদিকে লীলেন দশ টাকা দরে চকোলেট বিক্রি শুরু করে দিয়েছেন। এই মাত্র ভাস্কর আসলেন গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে (আমার ছবি না তুললে খবর আছে)
বিডিআর আমাকে মোটামুটি ঘোল খাইয়ে "শিশির"-এ হাজির করেছেন। ভবিষ্যতে একে রাস্তা-ঘাট চেনানোর দ্বায়িত্ব দেয়া যাবে না। একে বর্ডারে রাখাই ভালো। - ষষ্ঠ পাণ্ডব
এ সম্পর্কে বিডিআর-এর বক্তব্য: পান্ডব'দা, আপনার দেরী দেখে আমি নজরুল ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম পথ ভুল করলেন নাকি। আর তিন তিনটা রিকশাওয়ালা আপনাকে একই দিনে একই জায়গায় ভুল দিকনির্দেশনা দিলে আমি কী করতে পারি বলেন। নজরুল ভাই যেভাবে লোকেশন বুঝিয়েছেন, আমিও সেভাবেই আপনাকে বুঝিয়েছি। আপনার দাদা কপালটাই মন্দ। ঠিক করে বলেন তো, রিকশাওয়ালাদের বাংলাতেই জিজ্ঞেস করেছিলেন নাকি চাইনিজে?
"কবি" মাহবুব লীলেন যে এতবড় ব্যবসায়ী, জানা ছিল না। মুশফিকা মুমুর দেয়া চারটে চকোলেটের তিনটি সে বিক্রি করেছে পাঁচ টাকা করে, দশ টাকা করে বিক্রি না হওয়ায়। একটি সে দান করেছে উপস্থিত এক শিশুকে, করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির নিদর্শন হিসেবে। এখানেই শেষ নয়, এইমাত্র কানে এল, স্বর্গে অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির জন্য নগদ বুকিং-এ বিশেষ ছাড়ের অফার দিয়েছে। -
আনিস মাহমুদ
মুমু আসার সাথে সাথে একটা পরীক্ষা নেয়া হয়ে সে সত্যি সত্যি মুমু কি না
হাতের চারটা আঙুল দেখিয়ে যখন তাকে বলা হলো- এখানে কয়টা পা?
সে অনেক্ষণ চিন্তা করে গুণে গুণে শেষে বলল- চারটা পা
বাংলাদেশে এসে মুমু তাতায়িত (তাতা=তানবীরা তালুকদার) হয়ে গেলেও আড্ডায় দেখা গেলো আবার মুমুয়িত (সবাই স্বীকার করে নিয়েছে) - মাহবুব লীলেন
মুমু লীলেন ভাই কে দারুন ভাবে ঘোল খাইয়েছেন। মেয়ে কাজিন আনার কথা বলে অনেক আশা দিয়ে, ছেলে কাজিন নিয়ে সে উপস্থিত!
মুজিব মেহেদী লালনের গান ধরেছেন। আশেপাশে সবাই তাল মিলাচ্ছেন।
এই মূহুর্তে রণদীপম বসু নাচছেন সেই গানের সাথে সাথে।
গান শেষ, মুশফিকা মুমুকে মাহবুব লীলেন গানের জন্য আবার জোরাজুরি শুরু করেছেন। স্পর্শ কোথাও বেল না পেয়ে মুমুর পাশে বসে আছেন।
এখন আবার গান শুরু হয়েছে, এখন স্পর্শকে দেখা যাচ্ছে ষষ্ঠ পান্ডবের কাছে সামান্য বেল পেয়েছেন।
মুজিব ভাইয়ের গান শেষ, পানি পানের বিরতি।
গানবাজনা শেষে এখন আবার আড্ডা চলছে। লীলেন ভাই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি আখিরাতে ফ্ল্যাট বেচার কাজ করবেন। আগ্রহীরা তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন
রায়হান আবার উধাও। ওর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মনে হয় ও আবার ছাদে গিয়ে পাশের বাড়ির ললনাদের সাথে টান্কিবাজি করছে। শিক্ষানবিস চুপচাপ বসে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে। অনেকটা নির্বাচনের সময় যেমনটা দেখা যায়- আমেরিকা বা অন্যান্য দেশ থেকে পর্যবেক্ষক দল এসে করে থাকেন
তারেক একটা কবিতা লিখবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। তবে এবারের কবিতাটা মোটেও মর্ষকামী হবে না, বরং উচ্ছ্বাসে ভরপুর হবে
আরেক দফা গান হয়ে গেল।
এইমাত্র কীর্তিনাশা ভাই এবং সস্ত্রীক আখতারুজ্জামান ভাই এলেন। কবি ভাইয়ের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে তিনি কতজনকে চিনতে পারেন। দেখা গেল তিনি পরীক্ষায় বিপুল বিক্রমে ফেল করলেন!
শেষ পর্যন্ত পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন লীলেন ভাই। সেটা নিয়েও এক বিশাল কারবার। অনেকটা এরকম-
রায়হান আবীরকে তিনি পরিচয় করালেন স্বপ্নাহত হিসাবে। তার পাশে বসেছিল "তারেক" যাকে বলা হল "হিমু", এভাবে "এনকিদু" হয়ে গেল "মাহবুব মুর্শেদ", "কল্পনা আক্তার" হয়ে গেল "নিঘাত তিথি", "তানবীরা" হল "স্নিগ্ধা", এভাবে ধীরে ধীরে "কনফুসিয়াস" এল, এল আরো অনেকে। ষষ্ঠ পান্ডব'দা হয়ে গেল "সংসারে এক সন্ন্যাসী"!
পরিচয়পর্ব শেষে এখন আবার আড্ডা চলবে...
জানা গেল, গানবাজনার আসর আরো জমতে যাচ্ছে। আনিস ভাই লীনা ফেরদৌসকে আনতে গেছেন। সাথে আসবে হারমোনিয়াম। একটু আগে আনিস ভাই, রণ'দা, মুজিব ভাই গান গাইলেন।
হঠাৎ করেই সবকিছু ছাপিয়ে নুরুজ্জামান ভাইয়ের নারীপ্রীতি লক্ষ্য করা গেল! তিনি কোথাও বসেন না, অথচ যেখানে দুইজন নারী আছেন, দেখা যায় ঠিক তার মাঝে গিয়ে তিনি বসে পড়েছেন!
এমনকি পূর্ণমুঠি প্রকাশনা অনুষ্ঠানেও নাকি এমনটা লক্ষ্য করা গিয়েছিল।
লীলেন ভাইয়ের সাইবার ক্যাফে: লীলেন ভাই আর রণদা শেয়ারে সাইবার ক্যাফে ব্যবসা শুরুর চেষ্টা করেছিলেন। রায়হানের ল্যাপিতে বসে দর হাঁকছেন লীলেন ভাই: পোস্ট পড়ার জন্য ২ টাকা আর মন্তব্য করার জন্য ৫ টাকা
মুমু গান শুরু করে দিয়েছে। পাশে বসে তবলা বাজাচ্ছেন আনিস ভাই। "ঐ ঝিনুক ফোটা" গানের শেষে তীব্র করতালি, দুটি গান শেষ। আরও হবে। ওয়ান মোর-ওয়ান মোর শুরু হয়ে গেছে। একটু আগেই হারমোনিয়াম মিলল। নয়তো আরও আগেই গান শোনা যেত।
লীলেন ভাই এখনও তানবিরা'পুর নাচ দেখার ব্যাপারে আশাবাদী। এই মুহূর্তে তিনি বললেন, "হ্যাঁ মুমু, শুরু করো আবার। এর পরই আমরা নাচ দেখব।"
তখন সবে আড্ডা জমতে শুরু করেছে। সবেমাত্র এসেছেন ক্যামেলিয়া আলম। কোন কিছু নিয়ে তীব্র হাসিতে ফেটে পড়েছেন আনিস ভাই, আহমেদুর রশীদ ভাই আর রণদা। জলিল ভাই অতোটা না হলেও আছেন।
মুমুর পর এবার আনিস ভাই গান গাইলেন। একটি গান শেষ। শিক্ষিত শ্রোতাদের জন্য তার পরবর্তী গান চলছে।
তানবীরা'পু কাউকে না পেয়ে অবশেষে নিজের মেয়েকে পঁচাচ্ছেন। প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে লাভ হয়নি। লীলেন ভাই এখনও তানবীরা'পুকে ছাড়েননি। আজ বোধহয় নাচ না দেখিয়ে গতি নেই।
নজরুল ভাই মাঝে অধম প্রহরীকে হোস্ট হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করেছিলেন। লাভ হয়নি। উপস্থিত সচলের সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়ে গেছে। অতিথির চাপে ভীত-সন্ত্রস্ত হোস্ট নজরুল ভাই।
আনিস ভাই একের পর এক গেয়েই চলেছেন। গান শোনার পর এখন নজরুল ভাই শান্ত। অতিথির ভয়ে আর ভীত নন। আনিস ভাইয়ের গান শুনিয়েই সবাইকে বিদায় দেয়ার মতলব আঁটছেন নাকি?
খাওয়া দাওয়া শুরু হয়ে গেছে। অতি পেটুকেরা এরই মধ্যে টেবিলে চলে গেছেন। আর আমার মতো মিতভোজীরা এখনও আনিস ভাইয়ের গানে মত্ত। নজরুল ভাই কি করলেন সেটা দেখার সৌভাগ্য এখনও হলো না।
উল্লেখ্য, রায়হান আবীরকে মাঝখানে পাওয়া যাচ্ছিল না। সবাই ধরেই নিয়েছিল ছাদে টাঙ্কিবাজি করছে। কিন্তু আসার পর সে দাবী করছে, সে নাকি নজরুল ভাইয়ের সাথে মেহমানদারীর কাজে ব্যস্ত ছিল। আমার বিশ্বাস হয় না... -
শিক্ষানবিস
অনেককেই দেখা যাচ্ছে। রণ'দা একটু আগেই বলেছিলেন, প্রমাণিত হয়েছে, সচলের সবাই ফুটপাথে হাটা পাবলিক। প্রমাণ হিসেবে তিনি নাটক বাসার বিভিন্ন ধরণের চেয়ারের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। দেখা গেল, সবাই সোফা বাদ দিয়ে কাঠের চেয়ারে বসেছে। তার সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত করে এবার সবাই সোফায়।
মানিক ভাই চলে যাবেন বলছেন। কারণ তার বাবা অন্ত:প্রাণ ছেলে তাকে ছাড়া একদন্ডও ঠিকমত থাকতে চায় না।
এইমাত্র কবিদের একটা ছোট্ট আড্ডা হয়ে গেল। ক্যাকটাস-খ্যাত "ঝরাপাতা", ব্লগর-ব্লগরীয় কবি তারেক ও কর্পোরেট কবি আখতারুজ্জামান ভাই। সেই আড্ডায় অংশ নিয়ে আমিও ব্যাপক মজা পেলাম। বেশ কিছু সময়ের জন্য সাথে এনকিদু ও রায়হান আবীরও ছিল।
ফোনে কথা হল মৃদুল ভাইয়ের সাথে। সচলের প্রিয় ছড়াকার আকতার ভাই এবং তিনি এখন সপরিবারে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। মৃদুল ভাইয়ের মন প্রচন্ড খারাপ এবং তিনি সব্বাইকে অনেক মিস করছেন। তাঁকে মিস করছি আমরা সবাই, ছড়াকার ভাইকেও। আড্ডায় এই দুইজন মানুষ থাকলে, তাতে আরো অনেক ভিন্ন মাত্রা যোগ হত, সুনিশ্চিত।
অতন্দ্র প্রহরীকে প্রায় দুই ঘন্টা যাবত বাথরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলো। কিন্তু আফসুস!!!
ভেতরে যদিও কেউ ছিল না- তবুও বেয়াদপ দরজাটা যে নিজে নিজেই শক্ত হয়ে আটকে ছিল- এইটা উনার জানা ছিলনা। এই যন্ত্রণায় খেতে যেতে দেরী হলো বেচারার!!
খাওয়া দাওয়া হচ্ছে সমানে।
মেন্যু:
* সরিষা ইলিশ
* মুরগীর সালুন
* গুড়া মাছ (নাম না জানায় তানবীরা আপু মাছটিকে গুঁড়া মাছ বলে চালিয়ে দিয়েছেন।)
* গলদা চিংড়ি
* ভেজা ডাল ও শুকনা ডাল (নামকরণ: রশীদ ভাই)
* সবজি।
কেক কাটা হয়নি এখনও। খেখের অপেক্ষায় বসে আছি আর তানবীরা আপুর সিলেটি ভাষায় ররীন্দ্র সংগীত শোনা হচ্ছে। দুনিয়াজুরা পচুর গিয়ানজাম।
খাওয়া-পর্ব শেষ হল। দারুন খাবার, সবাই হাত চেটেপুটে খেয়েছে। সর্ষে-ইলিশটা যা ছিল না!
এখন কেক কাটা হচ্ছে! গাধার মতো বসে বসে লিখছি কেন! যাই, কেক খেয়ে আসি...
সবাই এখন যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ অনেকে চলেও গেছেন। খুব মজার হয়েছে আড্ডাটা। যাওয়ার সময় আরেকবার মিস করব মৃদুল ভাইকে। কারণ গত আড্ডা শেষে তাঁর গাড়িতেই বাড়ি ফিরেছিলাম। তবে এবার মিরপুরবাসীর সংখ্যা বেশি। যেতে যেতেও মাস্তি করা যাবে, কোনো সন্দেহ নাই।
ফেরার পথে ট্যাক্সিক্যাবে রণ'দার ইয়োগা চর্চার সুফল পাওয়া গেল। পেছনে আমি, রায়হান, তিনি আর মুহাম্মদ বসেছিলাম। রণ'দা তাঁর ইয়োগী-শরীরটা বাঁকিয়ে-চুরিয়ে প্রমাণ করে দিলেন কেন আমাদের সবার ইয়োগা-চর্চা করা উচিত! অবশ্য কিছুদূর পর শিক্ষানবিস নেমে যাওয়ার পর, আরামে বসা গেল এবং বলাই বাহুল্য, ইয়োগা-চর্চার চিন্তাও মাথা থেকে দূর হয়ে গেল!
এবার আমি ছবি তুলিনি বেশি। ব্লগ আপডেট নিয়ে কিছুটা ব্যস্ত ছিলাম। রায়হানকে বললাম তুলতে, কয়েকটা তুলেই সে প্রত্যাশিতভাবে পিছলায়া গেল। তাই এইবার আমার ক্যামেরায় ছবি কম, আসলে তোলার সময় ছিল না। তারপরও কয়েকটা ছবি দিলাম। পরে আরো কিছু গ্রুপ ফটো যোগ করে দেব।
আনিস দাদা এবং নজরুল ভাই
তাতায়িত লেকচার (বসা- শিক্ষানবিস, দাঁড়ানো- পান্থ'দা)
লীলেন'দা শঙ্কিত, নজু ভাই মহাখুশি, রণ'দা মাঝে, পেছনে ছোট্ট খোকা পান্থ
রেনেট ভাই আর তানবীরা'পু
মেয়েধরা লীলেনদা'র কোলে নজু ভাই-য়ের মেয়ে "নিধি"
"এনকিদু" এবং প্রিয় কবি তারেক
রণ'দা, সবুজ বাঘ (কেউ কেউ বলতে পারেন- নীল বাঘ!), নজু ভাই আর ষষ্ঠ পান্ডব'দা
দুষ্টু ছেলে, মিষ্টি মেয়ে- প্রেম পর্ব
বাম থেকে- তানবীরা'পু, ক্যামেলিয়া'পু, জি. এম. তানিম, ষষ্ঠ পান্ডব'দা, স্পর্শ, মুশফিকা মুমু, কল্পনা আক্তার, আনিস ভাই
আরিফ জেবতিক ভাই এবং তাঁর পরিবার
কল্পনা আপু ও নিধি, শেখ জলিল ভাই, মানিক ভাই, রশীদ ভাই এবং "কাজিন"
তানবীরা'পু'র বোন সুমি আপুর ছেলে, এনকিদু, পান্ডব'দা, স্পর্শ
রেনেট ভাই, পান্থ'দা, রায়হান, তারেক
ষড়যন্ত্রের ছক কষছেন "কল্পনা আক্তার"
গান শুরু করছেন মুশফিকা মুমু। পাশে সুমি আপু, তানবীরা'পু
গান শুরুর আগে ওস্তাদ আনিস মাহমুদ
গান গাইছেন আনিস ভাই
আনিস ভাইয়ের গান:
১. মুরালী মধুর কাহে বাজে
২. কথোপকথন
৩. শতেক বরষ পরে বধূয়া মিলন তরে
৪. স্বপন দেখিছে রাধারাণী
৫. সেই বৃন্দাবনের লীলা অভিরাম সবই
৬. জনম মরণ কে সাথী
৭. বাণী মোর নাহি
৮. কুঞ্জন বন
৯. কে যাস রে
রণদীপম'দা'র গান:
১. তুমিও কি একটুও হারোনি?
মুমুর গান:
গলাব্যথা নিয়েও মেয়েটা কী মিষ্টি করেই না গাইল! আমি আজ সারাদিন মাথা থেকে "ওই ঝিনুক ফোটা" গানটা নামাতে পারিনি, যেমনটা পারিনি আনিস ভাইয়ের "কে যাস রে"। আমার কাছে আনিলার গলা সবচেয়ে মিষ্টি মনে হয়। কিন্তু সুইট সিক্সটিন মুমুর গলাও যে খুবই সুইট, সেটা বুঝলাম ওর গান শুনে।
গলাব্যথা ও বাজে রেকর্ডিং-এর কারণে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না প্লিজ।
১. ওই ঝিনুক ফোটা
২. এত বড় আকাশ
মুজিব ভাইয়ের গান:
১. ধন্য ধন্য, প্রেম রসিয়া
২. জাত গেল + আড্ডা
আড্ডা:
মন্তব্য
যাক শেষ পর্যন্ত চিনলেন তাইলে আমারে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
- হেহ হেহ হেহ
দেলাম তিনশ কইরা
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনের জন্যই আমরা অয়েইট করতেছেলাম গুরু
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
যাক, শেষ পর্যন্ত আসলেন তাইলে! আর আইসাই ট্রিপল সেঞ্চুরী! ধূগো'দা বড়ই কামিল বান্দা
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
নাহ্, এইখানে এইবার একটু রেস্ট না নিলেই না! পরে আসব আবার
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
তবে এইখানে একটা কথা না বললেই না।
এই আড্ডা নিয়া আসল ব্লগারই তো ব্লগাইলো না। মানে কইতাছিলাম নজু ভাই'র কথা। তার তো কিছু একটা পোস্টান উচিৎ এই আড্ডার ব্যাপারে। কি বলেন প্রহরী ভাই?
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
সত্যি কথা বলতে, সচলাড্ডা নিয়ে "লাইভ ব্লগিং"-য়ের যে আইডিয়া, এইটা নজরুল ভাইয়ের। কিন্তু পরে দেখা গেল, উনাকে কোনোভাবেই পিসির সামনে বসানো যায় না লেখার জন্য, খালি পিছলা মারে! কতবার যে বললাম তাঁকে! তবে আমিও মনে করি, আড্ডা সম্পর্কে নজু ভাইয়ের কিছু লেখা উচিত
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
ট্রিপল সেঞ্চুরী হইলো নাকি!!!!
............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
জ্বি আপু, আপনাদের বদৌলতে
আপনি কিন্তু তারপরেও খালি পড়েই গেলেন, লিখলেন আর না...
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
৩০০
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শাবাশ প্রহরী রেকর্ড কইরা ফেলল। এখন বিদায়!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এই রেকর্ডটা আমার নিজের না রে ভাই, এইটা আসলে সবার। এইটা সচলাড্ডার পোস্ট। সবার পোস্ট।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। আড্ডা দুইদিন আগে হয়ে গেলেও, আড্ডার আমেজটা এখন পর্যন্ত আছে এইসব মন্তব্যের কারণেই। খুব উপভোগ করলাম। সচলের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
এই দ্যাহো- আবার ভদ্রতা করে লাজুক হাসি দিয়া!
আরে মিয়া, কইসে প্রশংসা, একটু শোনেন না পরানডা ভইরা! সবার কথা সবসময় কওয়াই লাগবো?!
কিন্তুক, আমরা কি অহনে টেট্রা-সেঞ্চুরির টেরাই মারুম না কি? না, ক্ষ্যান্ত দিমু?! আমার তো এই দুইদিন আর কোনো পোস্টাপুস্টির দিকে চোখ দেওয়াই হইলো না!
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
কি করব সাইফুল ভাই বলেন, অভ্যাস হয়ে গেছে
তারপরও, শুনতে যতই ডিপ্লোম্যাটিক লাগুক, এইটা কিন্তু সবারই পোস্ট। কৃতিত্বও তাই সবারই
না রে ভাই, টেট্রা সেঞ্চুরী বহুত দূরের পথ। ওইদিকে না আগানোই ভাল। এই পোস্ট ওপেন করলে, এই অবস্থা দেখলেই মাথা ঘোরে!
স্যরি, মন্তব্য দেরিতে দেখলাম জন্য জবাব দিতেও দেরি হল। আমার "ভেজাল ছড়মাণু" পোস্টেও আপনার কমেন্ট অনেক দেরিতে দেখে দেরিতেই জবাব দিছিলাম। বারবার খালি আপনার ক্ষেত্রেই এমনটা হচ্ছে!
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই
ব্যাপার্না। যাইতেছি ভেজাল ছড়মাণুর রিপ্লাই দেখতে।
ভালো থাইকেন।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হায় আল্লাহ !!!
নন্দিনী
যেইভাবে সচলরা উৎক্ষিপ্ত বিক্ষিপ্ত প্রক্ষিপ্ত হইলো, ইহাদের জন্য ইয়োগা ছাড়া শান্ত হইবার অন্য কোন উপায় দেখিতেছি না !
এইবার সবাই প্রয়োজনমতো শবাসনে বিশ্রাম নিন।
শুভরাত্রি !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হায় রে ! কোন ভাগাড়ে পচছিলাম তখন ?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নতুন মন্তব্য করুন