জামায়াতি মুখোশ খোলাতে তত্ত্ব সরকারকে ধন্যবাদ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০১/২০০৮ - ৫:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম আলোতে জামায়াতি মস্করা
....
অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিগত নির্বাচিত এবং সামরিক সরকারগুলো যা করতে পারেন নি, তত্ত্ব সরকার জামায়াতিদের প্রতি স্নেহের আঁচল বিছিয়ে দিয়ে তা করে যাচ্ছেন সূচারুভাবে। স্বাধীনতা যুদ্ধে এদেশের সাথে, এদেশের মানুষের সাথে বেঈমানী করে যারা পাকিদোসরদের সাথে হাত মিলিয়ে অত্যাচার করেছে বাঙালির ওপর, তাদেরকে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে জিয়া-এরশাদ-হাসিনা-খালেদারা বিভিন্ন মাত্রায় তৎপরতা দেখালেও তাদের লজ্জাজনক কাজকে ডিফেন্ড করতে এগিয়ে আসার সাহস তারা কখনোই পায় নি। প্রকারান্তরে ধর্মের কথা বলে, সৌদি পয়সায় এনজিও খুলে জনসেবার মুখোশে এরা এতদিন এদেশের মানুষের মনজয়ে ব্যস্ত ছিলো।

সময় অনেক ক্ষতের তীব্রতাকে ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়। জামায়াতি মুখোশে তাদের প্রতি মানুষের ঘৃণার তীব্রতাও গত সরকারগুলোর আমলে তেমন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেনি। স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেই, বিশেষ করে যাদেরকে জনগণের কাতারে গিয়ে দাঁড়াতে হয় নাই প্রতিদিনের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য, জামায়াতের এই মুখোশকে তেমন পাত্তা দেয় না। হাসিনা-খালেদার সাথে আঁতাত করে তারা ভোট পায়, সংসদে যায়, রাজাকার নিযামীর গাড়িতে ৩০ লক্ষ শহীদকে ব্যঙ্গ করে জাতীয় পতাকা ওড়ে। সে ব্যঙ্গের তীব্রতা সুতীব্রভাবে অনুভব করেনি বৃহৎ জনগোষ্ঠী।

এরূপ পরিস্থিতিতে জামায়াতি মুখোশ খুলে দেয়ার কাজটি দরকার ছিলো খুব। সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ আর সুশীল ধামাধরাদের টুপাইস কামানোর ধান্দার দৌরাত্মে এ কাজটি সাধারণ মানুষের জন্য ছিলো অত্যন্ত কষ্টকর। কেউ জামায়াতের বিপক্ষে বললেই তাকে আওয়ামী ট্যাগ লাগিয়ে মূল বিষয় এড়িয়ে যাওয়া যেত খুব সহজেই। এর দায়ভার অবশ্য সবচেয়ে বেশি পড়ে বঙ্গবন্ধুর একান্ত অযোগ্য এবং ভুদাই কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদের ওপর।

সুতরাং কিছুতেই যখন জামায়াতি হিংস্রতা এবং ভন্ডামির মুখোশ খোলা যাচ্ছিলো না, তখনই তারা নিজেরাই এগিয়ে আসলেন। তাদেরকে এগিয়ে আসার সুযোগ করে দেয়ার জন্য অবৈধ তত্ত্ব সরকারকে আবারও ধন্যবাদ। তাদের স্নেহের নিরাপত্তায় একের পর এক দুর্ণীতিবাজ পাকড়াও হলেও জামায়াতিরা রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে, রাষ্ট্রীয় কার্যে 'বিশেষ অবদানের' জন্য প্লট পান জামায়াতি নেতারা, তত্ত্ব সরকারের অভয়ারণ্যে জামায়াতি উচ্ছৃঙ্খলার একের পর এক বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে।

'বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই' দিয়ে শুরু, এরপর আসে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে রাজাকার হত্যার অভিযোগে মামলা, যদিও রাজাকারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রাষ্ট্র নাকচ করে দেয়। জামায়াতিরা তাদের পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া কথাটি জোর গলায় স্বীকার করতে চায় নি এতদিন। মুক্তিযুদ্ধকে গৃহযুদ্ধ বলতেই বেশি তৎপর ছিলো তারা। স্বাধীন বাংলাদেশকে 'স্বীকৃতি' দেয়ার কথাও অনেকবার শুনেছি রাজাকারদের ছাওপোনাদের মুখ থেকে। কেউ কেউ বলেছে তারা আসলে নিরপেক্ষ ছিলো, কেউ কেউ আবার বলেছে, পাকিস্তানীদের সঙ্গে ছিলো পাকি সৈন্যরা যাতে এদেশের মানুষকে হত্যা করতে না পারে, সে জন্য। মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখানোর প্রয়াস ছিলো, আরো প্রয়াস ছিলো সেই তথাকথিত ইসলামের পক্ষে অবস্থান নেয়ার সাফাই।

এগুলো সবই ছিলো অনেকটাই চুপে চাপে, সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের কথা ভুলিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা ছিলো, ৩৭ বছরের পুরোনো ইতিহাসকে পিছনে ফেলে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার আহবান ছিলো।

কিন্তু ইতিহাস বলে, পরাজিত শত্রু, তার ক্ষতের যন্ত্রণা ভুলে না। ৭১-এ পরাজিত পাকিস্তান আর তাদের এদেশীয় কুলাঙ্গার দোসর রাজাকারের চৌদ্দগুষ্ঠি যে তাদের গোয়ামারা খাওয়ার যন্ত্রণা এখনও ভুলে নাই, মনে মনে ঠিকই পুষে রেখে স্বাধীন বাংলাদেশকে, মুক্তিকামী মানুষকে বাঁশ দেয়ার পায়তারা করছে, এটা সবার সামনে আসার দরকার ছিলো। তাদের মুখোশ তারা এখন নির্লজ্জভাবে নিজেরাই খুলে দিয়েছে। আমি কয়েকটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করি:

১। যুদ্ধাপরাধী প্রসঙ্গ: যুদ্ধে পক্ষ-বিপক্ষ থাকে এবং পরাজিত পক্ষকে সবসময়ই ক্ষতিস্বীকার করতে হয়। তারা ন্যায়ের জন্য, না অন্যায়ের জন্য যুদ্ধ করেছে, সে বিবেচনাকে একেবারেই থোড়াই কেয়ার করে। মানবতার নীতি যুদ্ধ ক্ষেত্রে খাটে না। শত্রুকে ধবংস এবং ক্ষতিগ্রস্ত করাই যুদ্ধের একমাত্র নীতি। এ নীতি অনুসারে বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত পক্ষে অবস্থান কারী রাজাকার-আলবদরেরা সবাই যুদ্ধাপরাধী।

২। ন্যায়-অন্যায় প্রসঙ্গ: এবার দেখা যাক, জামায়াতি রাজাকারেরা কি ন্যায়ের পক্ষে ছিলো, না অন্যায়ের পক্ষে। ৪৭-এ দেশ বিভাগের পর পশ্চিম পাকিস্তানীরা এদেশের মানুষের ওপর বৈষম্যের স্টীমরোলার চালিয়েছে। সামরিক, অর্থনৈতিক প্রতিটি সেক্টরেই বাঙালিরা ছিলো বৈষম্যের শিকার। ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নি তারা। উপরন্তু ২৫শে মার্চে অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। এখন আমাকে বলুন, সেই পরিস্থিতিতে কোনটা ন্যায়ের পক্ষ ছিলো, আর কোনটা অন্যায়ের পক্ষ?

৩। গৃহযুদ্ধ বনাম পাকিস্তান ভারতের যুদ্ধ: যেকোনো ধান্দাবাজিরই মূল শর্ত তেনা প্যাঁচানো। তেনা প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে অবশ্য একসময় ঠিকই স্ববিরোধিতার প্রমাণ নিজেরাই দিবে। জামায়াতি রাজাকারেরা মুক্তিযুদ্ধকে একবার বলে গৃহযুদ্ধ, একবার বলে পাকিস্তান-ভারতের যুদ্ধ। গৃহযুদ্ধ কাকে বলে? নিরস্ত্র মানুষকে তাদের অধিকার বঞ্চিত করে রাতের অন্ধকারে তাদের ওপরে আধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া গৃহযুদ্ধ? বাঙালি মাবোনকে গণহারে ধর্ষণ করা গৃহযুদ্ধ? ধর্মের নামে মানুষকে জবাই করা গৃহযুদ্ধ? যদি গৃহযুদ্ধ হয়, তাহলে সেই যুদ্ধের কুলাঙ্গার কারা? যারা অত্যাচারীর পক্ষ নিয়ে নিজের মাবোনকে ধর্ষিত হতে পাকি দোসরদের হাতে তুলে দিয়েছে, তারা, নাকি যারা সেই অত্যাচারের প্রতিবাদ করেছে, বুকের রক্ত দিয়ে প্রতিরোধ করেছে?

যারা মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তান-ভারতের যুদ্ধ বলে চালাতে চান, তাদেরকে আমার বদ্ধ উন্মাদ মনে হয়। ২৫শে মার্চে পাকি সৈন্যরা কাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করেছে? মাসের পর মাস কাদেরকে পাকিসৈন্যরা ধর্ষণ করেছে? তারা ভারতীয় ছিলো? এই পাকি বীরপুঙ্গব এবং তাদের পাচাটা কুত্তাগুলো কতজন ভারতীয়কে হত্যা করেছে, কতজন ইন্ডিয়ান নারীর সম্ভ্রম হানি করে হত্যা করেছে? মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ইনভলভমেন্ট কবে থেকে?

জানি জারজেরা এ প্রশ্নগুলোর সরাসরি উত্তর দিতে যাবে না। একবার গৃহযুদ্ধ, একবার ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বলে স্ববিরোধী তেনাই পেঁচিয়ে যাবে।

৪। অপকর্ম হালাল করতে ধর্মকে ব্যবহার: জামায়াতি রাজনীতির সবচেয়ে জঘন্য দিক হলো ধর্মকে ব্যবহার করা। ৭১-এ তাদের অপকর্মকে ধর্মের সাফাই গেয়ে তারা হালাল করতে চায়। এটা করতে গিয়ে তারা ইসলামেরই বারোটা বাজিয়ে ছাড়ে। ধর্মের অপব্যাখ্যা সম্পর্কে আল্লাহ নিজেই কোরআনে সাবধান করে দিয়েছেন। সেই অপব্যাখ্যার সাহায্য নিয়ে তারা ধর্মের লেবাসে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা জায়েজ করে, লাখ লাখ মাবোনকে ধর্ষণ এবং হত্যা জায়েজ করে। অথচ শান্তির ধর্ম ইসলাম বলে পুরা অন্য কথা।

মুক্তিযুদ্ধ কোনো ধর্মযুদ্ধ ছিলো না। ধর্মযুদ্ধ হয় প্রতিরোধের জন্য, আগ বাড়িয়ে আক্রমণের জন্য নয়। আর আক্রমণকারী শত্রু অস্ত্র ফেলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করলে আর তাকে হত্যা করা যাবে না - কোরআন এটাই বলে। অথচ কি হয়েছিলো একাত্তরে? প্রথমত, বাঙালি কি মুসলমান ছিলো না? "উহু, মুসলমান থাকলেও সাচ্চা মুসলমান ছিলো না।" আচ্ছা, কে সাচ্চা মুসলমান, আর কে নয়, তা বিচারের ভার তোমাকে কে দিয়েছে? রাজাকারেরা এখানে নীরব হয়ে যাবেন, অথবা মওদুদীয় কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে কে সাচ্চা মুসলমান আর কে নয়, তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব তারা আল্লাহর কাছ থেকেই পেয়েছেন - জাতীয় ফতোয়ার অবতারণা করবেন। অথচ, সত্য হলো, ধর্মের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। কে সাচ্চা মুসলমান আর কে নয়, তার এক্তিয়ার একমাত্র আল্লাহরই হাতে! আর এতগুলো হত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণ এগুলো জায়েজ হলো কি করে? তাহলে ইসলামের লঙ্ঘন আসলে কারা করেছে? নিশ্চিতভাবেই সেই পাকিস্তানী এবং তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস-শান্তিকমিটির হত্যাকারীরা।

৫। ধর্মীয় রাজনীতি: মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের বলি হওয়ার জন্য মানুষ নয়। প্রায় প্রত্যেক ধর্মীয় উদ্ভাবকই একএকজন বুদ্ধিমান মানুষ। ধর্ম ঈশ্বর থেকে আসুক আর মানুষের সৃষ্টি হোক, তাতে মানুষের জীবন কিভাবে চালানো উচিত সে নির্দেশনা থাকে। নির্দেশনায় ভিন্নতা থাকে আর তা গ্রহণ বা বর্জন করার অধিকার থাকে প্রত্যেকটি মানুষের। মানুষ হিসেবে আমি ইসলামে বিশ্বাসী হতে পারি, হিন্দুত্বে বিশ্বাসী হতে পারি; কিংবা বুদ্ধ বা যীশুর অনুসারী; কিংবা আত্মশুদ্ধির জন্য আমার এগুলোর একেবারেই দরকার নাও হতে পারে। আমার বিশ্বাসকে আমি অন্যের ওপর জোর করে চাপিয়ে দিতে পারি না, একইভাবে অন্যেও পারে না, তার বিশ্বাসকে আমার ওপর চাপিয়ে দিতে। হ্যাঁ, এটাই ধর্ম।

একটি রাষ্ট্রে বিভিন্ন বিশ্বাসের মানুষ থাকে। আল্লাহতে বিশ্বাসী যেমন থাকে, ভগবানে বিশ্বাসী থাকে, তেমনি থাকে, যাদের ভালোমানুষ হতে এসব স্রষ্টা কনসেপ্ট একেবারেই দরকার হয় না - এসব মানুষ। সবাইকে নিয়েই রাষ্ট্র। একটি রাষ্ট্রে কোনো ধর্মই তাই অন্য ধর্ম থেকে শ্রেয়তর হতে পারে না, একইভাবে রাষ্ট্রের বিধান হবে 'মানুষ'-এর বিধান, কল্পিত ঈশ্বরের বিধান নিয়ে রাষ্ট্রের মাথাব্যথা না থাকাই স্বাভাবিক। ঈশ্বরের বিধানও যেহেতু মানুষের জন্য, তাই তার কিছু কিছু ধারা রাষ্ট্রের বিধানের সাথে মিলে যাওয়াটাও স্বাভাবিক। কিন্তু ঈশ্বরদের বিধানে যেহেতু ভিন্নতা আছে এবং রাষ্ট্রে ঈশ্বর নিয়ে মাথা না ঘামানো লোকও আছে, তাই রাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট ঈশ্বরের বিধানকে 'রাষ্ট্রের বিধান' হিসেবে কখনোই মেনে নিবে না, মেনে নিলে তা হবে মানুষের ওপর অত্যাচারের শামিল।

এখন দেখি, যে ইসলাম নিয়ে আমাদের ধর্মভিত্তিক রাজনীতির পক্ষে দাবী তোলারা গলা ফাটিয়ে ফেলে সেই ইসলাম কি বলে? নাহ! কুরআনকে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও একটা আয়াত বের করা গেলো না, যেখানে বলা আছে ইসলামকে কায়েম করতে গেলে 'রাষ্ট্রক্ষমতা' দরকার!

তাহলে? তাহলে যারা 'রাষ্ট্রক্ষমতা'র জন্য ইসলামের আশ্রয় নিতে চায়, তারা আসলে কি করে? হ্যা, ইসলামকে বিকৃত করে। ধর্মকে বিকৃত করে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহারের এ রীতি নতুন নয়, প্রত্যেক ধর্মকেই তার 'রক্ষক' নামধারীরা বিকৃত করে নিজস্বার্থে ব্যবহার করেছে, ইসলামকে নিয়েও একই কাজ করে এর 'রক্ষক' নামধারী জামায়াতিসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সমর্থকেরা। কারণ? কারণ, এদেশের বেশিরভাগ মানুষই ধর্মের নামে সফট, ধর্মকে বিস্তারিত না জানায় তাদেরকে অতি সহজেই ধর্মের নামে প্রতারণা করা যায়।

ধর্মের নামে প্রতারক, খুনি রাজাকার-আলবদর-পিসকমিটির প্রকৃত চেহারা মানুষের সামনে তুলে ধরতে অভয়ারণ্য প্রদান করার জন্য অবৈধ তত্ত্ব সরকারের প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা।


মন্তব্য

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

গা জ্বলতেছে।
পত্রিকাটা পড়ার পর থেকেই গা জ্বলতেছে।

বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমার কিছুটা মজা লাগতেছে। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

তাদেরকে তো পাকিস্তানও নিবে না, তারা যাবে কই?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অনেকদিন পর বলাইদা'র লেখা।
বিশ্লেষণ ভালো লেগেছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

শিমুল, থ্যাংক্স।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শামীম এর ছবি

জাঝা

আস্পর্ধা মনে হয় না ... চামড়ায় আগুনের আঁচ লাগতেছে মনে হয় (ডরাইছে) ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হতে পারে, ডরেই আবোল-তাবোল বকতেছে। তবে নাভিশ্বাস উঠছে পাবলিকেরই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আড্ডাবাজ এর ছবি
অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আড্ডা ভাই, কৃতজ্ঞতা। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ইমোটিকনগুলা দেওয়া শিখতে হবে। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরা যারা সাধারন মানুষ, তাদের কি কিছুই করার নাই?
শুধু অনুভোব করছি আমাদের এখানে অনেক কিছু করার আছে
কারো আইডিয়া থাকলে মন্তব্য করুন।

-------------------------------
কবি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সাধারণ মানুষের আসলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। দেখবেন, হঠাৎ করেই রাজাকার ঠ্যাঙ্গানি শুরু হয়ে গেছে। বাঙালির দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তখন আর কোনো বাধা মানে না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

ধামাধরা বাঙালী ।কবে ভাল হবি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বাঙালি গ্রোসলেভেলে ধামাধরা না রে ভাই। কিছু কুলাঙ্গারই ধামাধরা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

কাল খবরটা পড়ে নিজে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। মাথা গরম থাকায় বিস্তারিত কিছু লেখার অবস্থা ছিলো না। বিশ্লেষণ তো আরো দূরে। অবশ্য আপনার মতো এতো সুন্দর গুছিয়ে বিশ্লষণ আমি করতেও পারতাম না। চমৎকার।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ধন্যবাদ এবং লাল হলাম। হাসি
আপনার পোস্ট থেকেই প্রথমে ব্যাপারটি দেখি, তারপর একটানে যা লিখেছি তাকে বিশ্লেষণ না বলে প্রতিক্রিয়া বলাই ভালো।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শেখ জলিল এর ছবি

পয়েন্ট টু পয়েন্ট ডিসকাশন ভালৈছে।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

Shohel Rana এর ছবি

কবে যে এই বান্দির পুত রাজাকারের বাচ্চাদের কোপাইয়া মারা শুরু হবে? সেই দিনের যে কত অপেক্ষা? আর কত?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।