রিয়েল লাইফে কখনও কাউরে শালা বলি নাই। কিন্তু ভার্চুয়াল লাইফে অর্থাৎ ব্লগে আইসা বহুৎ গালি দিতে হইছে। খাইছি কম। একামে কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হয় নাই। যারা পালটা দিতে দুয়েকবার টেরাই দিছে, তারা অল্পেই রণেভঙ্গ দিয়া অনেকটা পারো তো খালি মারতের লাহান 'গালিবাজ' কইয়াই ভাগা দিছে।
তো, এই স্বল্প অভিজ্ঞতা থাইকা কইতে পারি, গালি জিনিসটা খুবই উপভোগের বিষয়। আই মীন, আপনি যদি উপভোগ করতে পারেন, তাইলে দেখবেন গালি দিতেও মজা, খাইতেও মজা। এমুন শাঁখের করাতী জিনিস দুইখান পাইবেন না। তবে, এই বিষয়ে কিছু নিয়ম-কানুন মাইনা চলতে হইবো। কয়েকটা নিয়ম-কানুন দিয়া আমিই ইনিংস উদ্বোধন করি। ভয় নাই। এইডা টেস্টের ফার্স্ট ডে। আপনেরাও যাতে ঠিকঠাক ব্যাটিং করতে পারেন তার জন্য পিচে সহায়তা নিশ্চিত বলেই কিউরেটরের মত।
রুল ওয়ান: গালির প্রাকটিক্যাল লাভ-ক্ষতির দিকটা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিন
মনে করেন, আপনারে কেউ পুরা যাইচ্ছা, যা অনিচ্ছা সবকিছু বইলা ধুইয়া পুইছা গালি দিয়া বেড়াঁছেড়া কইরা ফালাইলো। একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন তো, এতে আপনার ক্ষতিবৃদ্ধিটা কি হইলো? কিছুই না। সামনা-সামনি গালি হইলে তবু শব্দ দুষণের মুখোমুখি হইতেন; কিন্তু ইন্টারনেটের ওপারে সেই চান্সও নাই। মাঝখান থাইকা যে গালি দিলো, তার কী-বোর্ড ক্ষয় হইলো, ২০০ টাকা কেজি গরুর মাংস আর ৪৫ টাকা কেজি দরে চাউল খাইয়া যে শক্তি সঞ্চয় করছিলো, কীবোর্ড টিপাটিপিতে সেই শক্তির অপচয় হইলো। আপনার হইলো, ঘোড়ার আন্ডা। অতএব, গালি গ্রহণ করার সময় সারফেসে রাখবেন, কখনো সেইটাকে প্রেস্টিজ ইস্যু ভাইবা ভিতরে ঢুকতে দিবেন না।
রুল টু: রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন
এইডা মনে করেন, যুক্তিবিদ্যার পরথম ফর্মূলা। তয় গালিবিদ্যায় এইডা এক্কেরেই ধন্বন্তরি মন্ত্র। রুল নাম্বার ওয়ান ঠিকমতো মানলে রেগে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে। তবে এরপরে আরো কিছু ব্যাপার থাকে। যেমন ধরেন, প্রতিপক্ষ এক্কেরে আবালটাইপ হইলে তার নির্বুদ্ধিতাও আপনাকে রাগিয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রাখুন। প্রতিপক্ষ নিব্বোধ হইলে সেইডা তার ব্যক্তি-স্বাধীনতা, আপনার কোনো অধিকারই নাই সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার। সো, জাস্ট ইগনোর।
রুল থ্রি: নিজেকে নো বডি ভাবুন
আগের ২ রুল ফলো করলে এইকাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। তারপরেও অ্যাক্সিডেন্ট যাতে না ঘটে, এজন্য বাড়তি সতর্কতা। নো বডি আইডিয়া মূলত কোয়ান্টাম মেথড না কী যেন মেডিটেশন থেকে ধার করা। ওখানে এক পর্যায়ে আপনাকে পাথরের মত জমাট বেধে তারপর গুঁড়া গুঁড়া হয়ে ধুলিকণা স্তর পেরিয়ে একেবারে 'নাই' হয়ে যেতে হবে। মানুষ তো আলটিমেলটি 'নাই'ই। আজ মরলে কাল দুইদিন। এই হইলো গিয়া জীবনের ফিলোসোফি। সো, কেউ গালি দিলেই বা কি, না দিলেই বা কি!
রুল ফোর: প্রতিপক্ষের দুর্বলতা বের করুন
এইডা অ্যাটাকিং অ্যাটিটিউডের প্রথম ফর্মূলা। একটা স্কেলকে চাপ দিলে দেখবেন দুর্বল অংশটা আগে ভাঙছে। প্রতিপক্ষের দুর্বল অংশে হালকা করে চুলকানি দিয়ে মজা দেন, তারপর আলতো করে সোডিয়াম ক্লোরাইডের বাটিটা উপুড় করে দিন।
রুল ফাইভ: টু দ্য পয়েন্টে থাকুন
আপনাকে গালি দিতে হবে সহজ ভাষায় টু দ্য পয়েন্টে। যদি এমনই প্যাচালো ভাষায় গালি দেন যে, প্রতিপক্ষ সেটা বুঝতেই মাথা চুলকায়, তাইলে গালির ইফেক্ট অনেক কমে যায়।
রুল সিক্স: সাবলীল হোন
গালি দেয়ার সময় শব্দচয়ন নিয়ে বেশি ভাববেন না। ন্যাচারাল ইন্সটিংক্টের ওপরে নির্ভর করুন। যে শব্দ মুখে আসে, ঝেড়ে দিন। গালি এমন একটা শিল্প, সাবলীলতাই যার প্রাণ। ভাষার কারসাজি নিয়ে বেশি মাথা ঘামানোর দরকার নেই।
রুল সেভেন: প্রতিপক্ষকে রাগান
এটা রুল টু এর পরিপূরক। আসলে অধিকাংশ মানুষই যারা নিজেদেরকে একটু চালাক চতুর ভাবে, তারা এই রুল ফলো করে। তবে আমার অভিজ্ঞতামতে, এটা তেমন আহামরি কোনো বিষয় নয়। প্রতিপক্ষকে রাগানোর জন্য বাড়তি চিন্তা আসলে আপনার এফোর্টের অপচয়। আপনি গালিতে টু দ্য পয়েন্ট হতে পারলে প্রতিপক্ষ কেন, প্রতিপক্ষের বাপ-চাচাও রাগতে বাধ্য হবে।
রুল এইট: প্রতিপক্ষকে আন্ডার এস্টিমেট করবেন না
ওভার কনফিডেন্স সবকিছুর জন্যই খারাপ। অতএব, প্রতিপক্ষকে ছাড় দিবেন না, সুযোগ পেলেই চেপে ধরুন। একবার দয়া করে ছাড় দিলে সে-ই আপনার ঘাড় মটকাবে। এক্ষেত্রে একটু ছলচাতুরীর আশ্রয় নিতে পারেন। যেমন, প্রতিপক্ষের কাছে নিজেকে রেগে গেছেন দেখিয়ে উইকনেস প্রকাশ করতে পারেন। বিশেষ করে, প্রতিপক্ষ সমানে সমান হলে এ পদ্ধতি কাজ দেয়। তখন আপনাকে বালছাল ভেবে সে একটু ঢিলামি দিবে, আপনি সুযোগটা নিবেন।
রুল নাইন: গালিকে উপভোগ করুন
এতটুকু ছোট মানুষের জীবন। তার মধ্যে গালির মত একটা বায়বীয় বিষয়কে গায়ে লাগানোর কোনো মানে নেই। গোবর গন্ধ ছড়ালে যেমন তা থেকে বায়োগ্যাস প্লান্ট বানাতে পারেন, গালি থেকেও পজিটিভ কিছু আহরণের চেষ্টা করুন। গালিকে উপভোগ করুন। গালি একজন মানুষের ক্রিয়েটিভিটিকে প্রকাশ করে। আর ক্রিয়েটিভিটিই তো মানব সভ্যতার মূলকথা। গালি নিজে উপভোগ করুন, দর্শকদেরও উপভোগ করতে দিন।
মন্তব্য
সেইডা দিয়া e-Book ও হতে পারে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অভিজ্ঞতা ১
আমি কাউকে গালি দিলে পরে দেখি নিজেরই কেমন যেন হাসি পায়। কারণ গালিতে আমি ঠিকমতো এ্যাকসেন্ট ব্যবহার করতে পারি না। খালি শব্দটাই ব্যবহার করি। কিন্তু গালিতে শব্দের চেয়ে এ্যাকসেন্ট বেশি গুরুত্বপূর্ণ
অভিজ্ঞতা ২
মাঝে মধ্যে এক মাইয়া আমারে শালা কইয়া গাইল দেয়
আমি কই মাইয়াগো তো শালা হয় না। হয় দেবর
কিন্তু সে আমারে দেবরের পদ দিতে রাজি না কারণ তাতে আমার সুযোগ সুবিধা বাইড়া যায়
অভিজ্ঞতা ৩
আমাদের একটা ফ্রেন্ড আছে। তারে গালি দিলে গালির অর্থ বুঝিয়ে দিতে হয়
কাউরে গালি দিয়া আবার তার অর্থ বুঝাইয়া দেওনের মতো ইরিটেটিং কোনো কাম আছে কি না আমার জানা নাই
তখন মনে হয় গালিগুলা একশো গুণ শক্তিশালি হইয়া নিজের উপরই ফিরা আসাতে আছে
অভিজ্ঞতা ৪
আমার এক সাবেক সিনিয়র লিডার। কথায় কথা গালি দেয়া তার অভ্যাস। আর তার মতে আমাদের মতো নাদানদের ঠিকঠাক রাখার জন্য গালাগালির কোনো বিকল্প নেই
একদিন তিনি আমাকে ফোনে গালি দিলেন- বোকা চোদা
আমি আধা ঘন্টা পরে তাকে ফোন করে বললাল- ভাই আমি একটা জিনিস বুঝতে পারিনি
(কেউ কিছু বুঝতে না পারলে তিনি আবার বুঝিয়ে দিতে খুবই উৎসাহী)
তিনি বললেন- কী বুঝিসনি বলতো?
আমি বিনীতভাবে বললাম- আচ্ছা যে বোকারে চোদে তাকে বোকা চোদা বলে নাকি বোকায় যারে চোদে তাকে বোকা চোদা বলে?
তিনি অনেক্ষণ ফোনের অন্যপাশে ঝিম মেরে থেকে ফোন রেখে দিলেন। এবং এর পর থেকে আজ পর্যন্ত তিনি আর কাউকে কোনো গালাগালি করেননি
অভিজ্ঞতা ৫
কেউ যদি ফুল ইমোশন নিয়ে গালি দেয় তবে তাকে পাল্টা টেক্কা মারার সবচে সহজ উপায় হলো একেবারে ইনোসেন্ট চেহারা নিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করা- আমি ঠিক বুঝতে পারি নি; কী যেন বললেন?
ইয়ে মানে ফিটার লীলেন ভাই, ঐ শব্দটার আসল অর্থ কি ? ঐ যে বোকাচো না কি যেন বললেন ?। আরও একটা গালির অর্থ আমি জানতে ইচ্ছুক, সাহস দিলে জিজ্ঞেস করেও ফেলতে পারি।
বলে ফেলেন
কোনো সমস্যা নেই
গালিতে হাফেজ আমার দুইটা ফ্রেন্ড আছে
একটা মিলন আরেকটা সুমন
বেশি বেকায়দায় পড়লে ওদেরকে ভাড়া করে নিয়ে এসে বয়ান করাবো
বোকাচো এর আসল অর্থ কি দাড়াইলো ?
চু_মারানি মানে কি ?
অবশেষে সচলে মন ভাল মাস শুরু হইল।
রিটন ভাইয়ের ওই ফাইল। তারপর এইটা। আজকে হাস্তে হাস্তে মরা লাগবে...
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!
আপনারা সবাই কেমনে জানি একজন আরেকজনরে বিপ্লব দেন...আমি এখনও শিখি নাই বিপ্লব দিতে। তবে এটা বলতে পারি, হালার ঘরের হালা, তুমি গালির গ ও জানো না!
~রেনেট
~রেনেট এর মন্তব্যে (বিপ্লব)
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বিপ্লব দার কাছ থেকে বিপ্লব পেয়ে খুশি খুশি লাগছে ।
~রেনেট
দুনিয়াতে যে কত রকমের পীর দরবেশ আছে তা সচলে না আসলে বুঝার উপায় নাই। গালি যায়েজ করার জন্য অছূ্ৎবলাইয়ের কায়দা দেখে রীতিমত অবিভূত। আর সেরা মন্তব্য করার জন্য যদি সচলে কোন দিন পদকের ব্যবস্থা করে তাহলে সেটা মাহবুব লীলেন ভাইকে না দিয়া উপায় নাই।
আপনারা চা লা ন আমরা উপভোগ করি।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
আপনি তো একজন গবেষক এবং সাংবাদিক মানুষ
(সাংবাদিক= সাং+ বাঁ দিক= যারা মানুষের বামপাশে সাং [= বাঁশ] ঢোকায়)
আমর পুরানা একটা সমস্যার সমাধান হয়তো আপনি করতে পারবেন
তা হলো-
বাঘও পশু- কুত্তাও পশু
কিন্তু পাবলিকরে বাঘের বাচ্চা বললে খুশি হয় আর কুত্তার বাচ্চা বললে কেন ক্ষেপে যায়?
(বিবর্তবাদনী বন্যার কাছে ব্যাখ্যা চাইতে যাবেন না প্লিজ। তাহলে তিনি আবার বইপত্র ঘেটে ফতোয়া দিয়ে বসবেন যে বাঘ আর কুত্তা দুটোই মূলত বিলাই বাচচা)
এই যে ফিটার লীলেন ভাই, হু হু, আপনাকেই বলছি:
জনাব, সাংবাদিকদের নিয়ে এসব হচ্ছেটা কী, অ্যাঁ?
---
বলাই দার সঙ্গে গালি নিয়ে শেষে কী না আপনিও গলাগলি শুরু করলেন!! আচ্ছা এবার বলেন তো, সিটিএন মানে কী?
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
সিটিএন= ডট ডট এর টাইম নাই?
এইবার আপনি বলেনতো দেখি
বি.বি.এইচ.পি এবং সি.বি.এ মানে কী?
না বলতে পারলে আপনি নিজেই একটা বিবিএইচপি এবং সিবিএ
মজা পেলাম। নতুন আরকটা রুল যোগ করে দেই।
রুল টেন: প্রতিদিন একবার করে একটেল গালি শোনা
যে কোন গালি শেখার প্রথম পাঠ হচ্ছে একটেল গালি। বেশ আগে সম্ভবত সুমন রহমানের একটা পোষ্ট এ দেখেছিলাম আডিও ফাইল ছেড়ে তার সাথে কবিতা পড়ার একটা পোষ্ট। সেরকমভাবে একটেল গালি শুনতে শুনতে এই লেখাটা পড়তে মনে হয় আরো বেশী ভাল লাগবে, তাই লিঙ্ক দিলাম .... .
http://www.youtube.com/watch?v=hMm07RAlCW4
কিংবা অফুরন্ত গালি সম্ভার
~রেনেট
বলাইদা,
লীলেন ভাই রে জাঝা-বিপ্লব। বস্, আপ্নে কী বস্?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
এরে..
ইকটা কিন্তু গাইলোর ইসকুল
আমারে বাদ কুন্তা কইলে কিন্তু লাউয়া-চুতরা লাগাইয়া চেনা ডালি দিমু
এক্কেবারে সংবিধান
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
গালিবিষয়ক সকল নিয়ম কানুন মাথায় রাখিলাম।
তবে গালি খাইয়া কিছুই না বুঝিয়া ড্যাবড্যাব করিয়া তাকাইয়া থাকিয়া উহার ভাবার্থ জানিতে চাওয়া...
অসাধারণ !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পোস্ট এবং মন্তব্য দুটোই উপভোগ করলাম। পরে পড়ার এ এক দারুণ সুবিধা।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আমি কোন গালি দিতে জানি না।
আমি ভালো ছেলে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
কখনো সুযোগ হলে বলাইদার কাছে একটা লাইফ স্কিল কোর্স করে নেবো। মিসেস রেহমানের সঙগুলার চেয়ে এরকম পোস্টেকনিক শেখা দরকার বেশি।
লীলেন ভাইয়ের কমেন্টে জাঝা
এই পোস্টে মন্তব্যগুলোর উত্তর দেয়া হয় নি। আপাতত জ্বরের সাথে লড়াই চলছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েই ভাগা দেই। সবাই ভালো থাকেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সুস্থ হয়ে উঠুন ।
খেষ্টে (খাইষ্টার প্রমিত রূপ, স্বপ্রণীত) কথা আর বললাম না!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কিছু কিছু শব্দে মানুষের এলার্জি আছে। প্রথমটা আসলে শব্দের কারণেই।
দ্বিতীয়টাও শব্দের কারণে। অর্থ বিচারের আগেই সবাই ভাবে মা-বাপ তুলে গালি দিচ্ছে। আসলে ঘটনা যে অত খারাপ না, এতদূর কেউ যায় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হগলের গালি হুইনা অনেক অনুপ্রাণিত হইলাম । একদিন রিকশা দিয়া যাইতাসিলাম, স্মানের একটা রিকশা আমারটার সাথে লাগায়া দিসে, আমার রিকশাওয়ালা অরে কয় " হালায় ইলাস্টিকের বাচ্চা! দিলি ত হান্দায়া !! " । আরেকবার বেবী ট্যাক্সির সময়এর ঘটনা, এক বেবী একবার ডাইনে একবার বামে যাইতেসিল, পিছন থিকা এক রিকশাওয়ালা কয় " অই হাউয়ার পো, বাউলী চোদাস ক্যা !! ঠিকমত চালা !! "
- খেকশিয়াল
কাঁদলে মনের দুঃখ কমে, আর গালি দিলে মাথা ঠান্ডা হয়...আমি আগে কখনও গালি দিতাম না, কিন্তু আমেরিকায় আসার পর সমানে বাংলা গালি (কারণ আমার ত্রিসীমানায় কুনু বাঙ্গালি নাই )
~রেনেট
এইগুলান তো খুবই সোজা:
১) ুদির ভাই হইলো - ইউ আর দ্য ব্রাদার অফ দ্যাট পারসন যারে আমি ুদি। এইখানে একটা হাইপোথেসিস আছে - সাধারণ অর্থে পুরুষ গালি দিলে অই 'দ্যাট পারসন'কে মহিলা অনুমান করা হয়। তবে জ্যামিতিক ভালবাসার কাঙাল হইলে 'পুরুষ-পুরুষ'।
২) তোর মায়রে বাপ - এইটা "তোর মায়েরে বাপ ডাকবি"র সংক্ষিপ্ত রূপ। একরকম ধমক বলা যায়। পুরা লাইনটা হইলো, এমন ধোলাই দিমু তোর মায়েরে বাপ (ডাকবি)।
স্টকে আরো আছে। খালি মিসকল দিয়েন, আওয়াজ দিমু। তার আগে সচল করে দেন প্লিজজজজজজ।
-
নায়েফ
সচলে এই প্রথম মনে হয় একটা শিক্ষামূলক লেখা পড়লাম। ব্যক্তিগত জীবনে 'হস্ত থাকিতে মুখে কেন কথা' নীতিতে বিশ্বাসী হলেও ভার্চুয়াল লাইফে 'সৌহার্দপূর্ণ আলাপচারিতা'র বিকল্প নাই। অনেক কিছু শিখলাম আজকে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
নতুন মন্তব্য করুন