এটা আমরা স্বীকার করি আর না করি ক্রিকেটে বাংলাদেশে সম্ভবত পাকিস্তানের সাপোর্টারই সবচেয়ে বেশি। স্বাধীনতা যুদ্ধ ও তার আগেকার সময়কার ঘটনা বিচারে এটা একটা অস্বাভাবিক ঘটনা। কারণ, যুদ্ধের সময়কার আবেগ, পরিস্থিতির তীব্রতা এবং বাঙালির জানবাজি রেখে লড়াই - ইতিহাসের এই অংশটুকু ফ্লুক নয়, একেবারেই জলজ্যান্ত বাস্তব। তারপরেও আমাদের এই পাকিপ্রেম কেন?
খুব ছোটবেলায় আমিও পাকিস্তানকে সাপোর্ট করতাম, স্কুল লাইফেই সেই লুপ থাকে বেরিয়ে আসি। এজন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়; কিন্তু বিপুল সংখ্যক মানুষ সেই লুপেই অনবরত ঘুরপাক খায়। এর মধ্যে সাধারণ তথাকথিত নিরীহ মানুষও যেমন আছে, উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেটধারী মানুষও আছে। "পাকিস্তান আমাদের ওপর এত অত্যাচার করার পরেও পাকিস্তানকে সমর্থন করেন কেন?" - এই প্রশ্ন শুনলে এই বিশাল সংখ্যক মানুষ সাধারণত একটু অসহিষ্ঞু হয়ে যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করেন -
ক) খেলাকে রাজনীতির সাথে মিশাবেন না।
খ) পাকিস্তান ভালো খেলে তাই সাপোর্ট করি।
গ) তারা আমাদের মুসলমান ভাই।
আচ্ছা, এই বিষয়গুলোর ওপর একটু আলোকপাত করা যাক।
ক) খেলাকে রাজনীতির সাথে মিশাবেন না।
এই কারণটার ওপরে সাধারণত সার্টিফিকেটওয়ালা উচ্চশিক্ষিতরা বেশি জোর দেন। রাজনীতি এবং আন্ত্রজাতিক সম্পর্ক থাকবে রাজনীতির যায়গায়, খেলাধুলা ইজ জাস্ট ফ' ফান। এটা একটি স্বতন্ত্র বিষয়। ফুলস্টপ। আমার কাছে বিষয়টাকে এত সরল সমীকরণ মনে হয় না। সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে প্রত্যেকটা মানুষই রাজনৈতিক জীব। বাংলাদেশের জন্ম হওয়া এবং না হওয়া দ্বারা যেহেতু আমার ব্যক্তিজীবনও প্রভাবিত হয়, আমার বোনকে ধর্ষণ করলে তার প্রভাব যেমন আমার ভাবনা ও জীবনে এসে পড়ে, আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলে হত্যাকারীর প্রতি ঘৃণাকে যেহেতু এড়াতে পারি না, সেহেতু ব্যক্তিজীবন, খেলাধুলার ফান এবং রাজনৈতিক জীবন বিচ্ছিন্ন জিনিস নয়, পরস্পর অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। খেলার মাঠে আমরা যখন একটি দলকে সমর্থন করি, সেই দলের পিছনের দেশটির নামও তখন তাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। "খেলাকে রাজনীতির সাথে মিশাবেন না" - কথাটি তাই আমার কাছে খেলো মনে হয়, জুতসই কারণের অনুপস্থিতিতে শর্টকাটে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা মনে হয়।
খ) পাকিস্তান ভালো খেলে তাই সাপোর্ট করি।
এই যুক্তি (?) সাধারণত স্কুল-কলেজের পোলাপান লেভেলে বেশি চলে। এটা অবশ্য একটু চানাচুর টাইপ কথা। হালকা চাপ দিলেই গুঁড়া হয়ে যায়। পাকিস্তান ঠিক কোনদিক দিয়ে ভালো খেলে তা সহজে বোধগম্য নয়। রেজাল্ট হিসেব করলে আইসিসি rankingএ ৬ নম্বর দলটি পছন্দের লিস্টে আসার কথা না, স্কিল হিসেব করলে অস্ট্রেলিয়া-সাউথ আফ্রিকা-বর্তমান ইন্ডিয়া এরা আগে চলে যায়, সাহস হিসেব করলে ওয়েস্ট-ইন্ডিজ ১ নম্বরে। সবচেয়ে বড় কথা 'ভালো খেলা'টা ডায়নামিক ব্যাপার। ভালো খেলার সূচক যা-ই হোক, কোন নির্দিষ্ট টীম বছরের পর ধরে ভালো খেলে না, অবস্থান পালটায়। কিন্তু এই সমর্থক গোষ্ঠীর সমর্থন তাতে পালটায় না। বেশি চাপাচাপি করলে যথারীতি উষ্মাসহকারে "আমার যাকে ইচ্ছা তাকে সাপোর্ট করি, তোমার কি?" লেভেলে কথা চলে যায়। 'কেন?'র উত্তরের সমাধা আর হয় না।
গ) তারা আমাদের মুসলমান ভাই।
এই কারণটা বেশি কাজ করে তথাকথিত সরলমনা ধর্মভীরু(?) আমজনতার মধ্যে। আমজনতার কতভাগ সরলমনা আর কতভাগ প্রকৃতপক্ষে ধর্মভীরু তা ভিলেজ পলিটিক্স সম্পর্কে অবগত মানুষ ভালো করে জানে, সে বিষয়ে কথা না বাড়াই। কিন্তু যে কোন সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরই বুঝা উচিত, পাকিস্তান এবং ইসলাম সমার্থক নয়। পাকিস্তানী শাসকদের দৃষ্টিতে আধা মালাউন বাঙালিদেরকে সাচ্চা মুসলমান বানাতে তাদের মেয়েদেরকে রেপ করে ইসলামের বীজ বপন করা, নিরস্ত্র মানুষকে লাইন দিয়ে গুলি করে হত্যা করা, গ্রামের পর গ্রাম আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া, এটা ইসলাম নয়। এই কাজ যারা করে, তারা কিভাবে 'ইসলামী' ভাই হয়? এটা বুঝতে সার্টিফিকেট লাগে না, উচ্চশিক্ষা লাগে না, যেকোনো সুস্থ মানুষই মাথাটা খাটালেই বুঝতে পারে। আমরা মাথাটা খাটাই না।
আচ্ছা, তাহলে তো কোনো যুক্তিতেই পাকিস্তানকে সমর্থন করা যায় না। এরপরেও এত বিশাল সংখ্যক মানুষ পাকি সমর্থক কেন? ব্যাপারটি নিয়ে অনেক ভেবেছি। আমি সমাজবিজ্ঞানী নই, মানুষের বিশ্বাস, মোটিভেশন নিয়ে পড়াশুনাভিত্তিক জ্ঞানও নেই। কিন্তু এর কারণ বলে যা মনে হয়, তা হলো, মানুষের পক্ষভিত্তিক অবস্থান গ্রহণের প্রবণতা। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ শাসনামলে আমাদেরকে ধর্মভিত্তিক বায়াস করা কৌশলটার প্রভাব আমরা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারি নি। ধর্মভিত্তিক রায়টগুলোর প্রভাব অনেক সুদূরপ্রসারী, চেতনে হোক, অবচেতনে হোক - আমাদের জিন এখনো সেই প্রভাব বয়ে বেড়ায়। সুতরাং ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে কোনো একপক্ষকে ভালো, অন্য পক্ষকে খারাপ - এই সরল সমীকরণে ফেলার প্রবণতা খুব শক্তভাবে বিরাজ করে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত আমাদেরকে সাহায্য করেছে যতোটা না বাংলাদেশের জনগণের প্রয়োজনে, তারচেয়ে বেশি তাদের নিজের প্রয়োজনে। এটাই বাস্তব, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূলভিত্তিও এটাই, এক্ষেত্রে দয়াদাক্ষিণ্য বলে কিছু নেই, সম্পর্কটা কেবলই বৈষয়িক। কিন্তু এই জিনিসটা বুঝতে আমরা প্রায় পুরোপুরিই ব্যর্থ হই। আমরা ভাবতে ভালোবাসি আলাদিনের চেরাগের দৈত্যের মত কোনো এক দেশ আমাদেরকে উন্নত করে দিয়ে যাবে। স্বাধীনতা যুদ্ধের বন্ধু ভারত যখন যুদ্ধোত্তর বাস্তবতায় আর আলাদিনের দৈত্যের মত এগিয়ে আসে না, বাংলাদেশ পরিণত হয় তাদের পণ্যের বাজারে, তখন আমাদের অনেকে এমনও মনে হয়, আহা! মালাউনদেরকে বিশ্বাস করাটাই ভুল, পাকিস্তানই ভালো ছিলো! তারা অন্তত 'এই' করতো না, 'সেই' করতো না, বাবরী মসজিদ ভাঙতো না, বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমকে অবজ্ঞা করতো না।
সুতরাং, ইন্ডিয়া খারাপ। "অতএব, পাকিস্তান ভালো!"
এটা একটা ভুল অ্যাপ্রোচ। আমাদের দেশকে আমাদেরকেই গড়তে হবে। ভারত হোক, পাকিস্তান হোক, চীন হোক, আমেরিকা হোক, স্বার্থ না থাকলে কেউ আমাদেরকে এক পেনি দিয়েও সাহায্য করবে না। আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ভিক্ষা; কিংবা দয়াদাক্ষিণ্যনীতি একেবারেই অচল।
এখন আসা যাক, একাত্তরে যুদ্ধের ঘৃণা আমরা এখনো বয়ে বেড়াবো কি না, বয়ে বেড়ালে আমাদের লাভ কি - সেই প্রসঙ্গ। এই বিষয়ে আপনার যুক্তি আপনার। যেমন, রাজাকারদের সাথে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার নীতি যদি আপনার কাছে, বাস্তব সম্মত মনে হয়, তাহলে পাকিস্তানের (ইনডিভিজুয়াল পাকিস্তানী বলছি না, কনসেপ্টটা সমগ্রর) প্রতি ঘৃণা না রেখেও আপনি অনায়াসে জীবন-যাপন করতে পারেন। আমার কাছে ব্যাপারটা ভিন্ন। অভিজ্ঞতা এবং ব্যক্তিগত অনুধাবন থেকে আমি বিশ্বাস করি, দেশের জন্মের বিরোধিতা করা রাজাকার কখনোই দেশের উন্নতির জন্য কিছু করবে না, তার পুরোটাই ধান্দা, সুযোগ পেলেই দেশের পাছা মেরে লাল করে সে হো হো করে হেসে আমাকে আপনাকে দেখাবে একাত্তরে তার ভূমিকাই ঠিক ছিলো। একইভাবে আমার ভাইকে হত্যাকারী, আমার বোনকে ধর্ষণকারীর প্রতি ক্ষমাশীল হওয়াটা আমার কাছে তীব্র অপমানের মনে হয়। আপনার যদি সেই অপমানের অনুভূতি না থাকে, আমি কি করতে পারি? আপনার অনুভূতি, আপনার আত্মমর্যাদাবোধ আপনারই!
মন্তব্য
(ক), (খ), (গ)
যারা উপরের তিনটিকেই সমর্থন করেন তাদের জন্য কোনো বুঝ পরামর্শই কাজে আসবে না। যে লোকটি (হাবুল সাহেব) এ কথা বলছে- কোনো কারণে যদি তার মেয়ে চিনিকে লাল্টু তালাক দেয়, তাহলে লাল্টুর বন্ধু টুটুল, কমরুল, আবিদ, বল্টু যত ভালো আর ভদ্র হোক না কেন- চিনির বাপ (হাবুল সাহেব) বলবেন- বদমাশের বন্ধুরাও বদমাশ! ঠগের বন্ধুরাও ঠগ! সবগুলোই পাজি! আবার তিনিই দেখা যায় পাকিস্তানের ঘোর সমর্থক! খুবই বিচিত্র চিন্তাভাবনার মানুষ এই হাবুল সাহেবরা।
অচ্ছুত্ বালাই- (বালাইষাট্!) পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
এক্ষেত্রে আমি একটু কম কনজার্ভেটিভ। যারা বাংলাদেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে, তাদের মধ্যে এ বিষয়ে উপলব্ধি সৃষ্টি করা সম্ভব। শুধু দরকার তাদেরকে 'চিন্তা' করতে প্রভাবিত করা। একটু ভাবলে এই ধরনের কেউ পাকিস্তানকে সমর্থন করবে এটা খুব টাফ। তবে যাদের মনেপ্রাণে বাংলাদেশের স্থান নাই, তাদেরকে নিয়ে আমি আশাবাদী না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
Khela k rajnitir sathe sottie misien na. Because dhorun ami-
1. Pakistan support kori na because of 1971.
2. India k support kori na because of 1972-2011( er sathe bohut karon ache)
3.England k support kori na mone ache 200 bochor ki koreche?
4.South Africa k support kori na tader boronobadita'r jonno.
Tahole support korbota kake vai? Tobu ami mone kori anyone shouldn't support Pakistan cricket team if one of them supports/think there was a misunderstanding/think there is no guilty in what they have done to us in 1971. Er je kono ekta holei karoi r pakistan cricket team k(manush cricket team kei support kori pakistan k na) support kora uchit hobe na. Amra chiro kal tader ghrina korle tara konodine onutopto hobe na karon ghrina sudhu ghrinai jonmo dey. Asa kori amar moter birodhirao ei kothata nischoy poreche je "Pap k ghrina koro, papi k na." Jodi ei kothata chirokalin sotto bole bissas koren tobe thanks, na korle ami puropurie bartho!
"(manush cricket team kei support kori pakistan k na)"
এই ধরণের হাস্যকর কথা ও শুনতে হয়। ভাই, আপনারা আরো অনেকদিন বেঁচে থাকুন।
অছ্যুৎ বলাই: ভাই, লেখা টা অনেক বেশী মাইল্ড হইয়া গেলো। রক্ত ঠাণ্ডা হইতেসে না।
যখন যেটা দরকার ভাই। এই লেখাটা এই টপিকে সুশীল ভার্সন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
Shawon584,
খেলা অবশ্যই মানুষের রাজনৈতিক পরিচয়ের ওপর নির্ভর করে। এজন্যই আপনি বাংলাদেশকে সমর্থন করেন (যদি করেন আর কি, না করলে আমার মন্তব্য পুরোটা ইগনোর করেন, আপনাকে বুঝানোর সময় বা সামর্থ্য আমার নাই), আপনি চাইলেও অন্য কোনো দেশের পক্ষে খেলতে পারবেন না, যদি আপনার নাগরিকত্ব (যেটা একটা রাজনৈতিক পরিচয়) সেটা সাপোর্ট না করে। পাকিস্তানী ক্রিকেট দল পাকিস্তানী পতাকার তলে একত্র হয়ে খেলে, খেলার আগে পাকিস্তানেরই জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। খেলার সাথে রাজনীতির সম্পৃক্ততার কি আরো উদাহরণ দেখাতে হবে?
আপনার যদি কাউকেই সমর্থন করার না থাকে, তাহলে জোর করে সমর্থন করার দরকার কি? আমার মতে, পাকিস্তানের সাথে অন্য দেশের তুলনা হয় না। তাদের মতো গণহত্যা আর গণধর্ষণ আর কেউ কি আমাদের ওপর করেছে?
ঢাকার মাঠে পাকিস্তান তাদের সর্বশেষ খেলার পরে বাংলাদেশের দর্শকদেরকে ধন্যবাদ পর্যন্ত জানায় নি। কাজটা একজন না, তাদের ক্যাপ্টেন এবং ম্যান-অফ-দ্য-ম্যাচ দুইজনই করেছে।
গণহত্যা এবং গণধর্ষণের কাজটা শুধুমাত্র তাদের আর্মির একার করা কোনো বিচ্ছিন্ন আকাম না। পুরো পাকিস্তানের সিংহভাগ মানুষই এটাকে কোনো-না-কোনোভাবে সমর্থন করেছে। আমার জানা কয়েকটা পয়েন্ট এখানে তুলে ধরি (এরকম অনেক ঘটনাই পাওয়া যাবে খুঁজলে):
১। তাদের নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো আর্মি ডেপ্লয়মেন্টকে সরাসরি সমর্থন করেছে।
২। ভুট্টোর জনসভায় পাকিস্তানী জনতা আমাদের মতো 'শুয়োরের বাচ্চা'দেরকে জাহান্নামে পাঠিয়েছে:
৩। ১৯৭১ এ বাংলাদেশে গণহত্যা চলাকালে পাকিজনতা জোর প্রতিবাদ করেছে বলে আমার জানা নেই; বরং যুদ্ধে হারার পরে যুদ্ধে হারের জন্য, বাঙালি নিধনের জন্য নয়, সেনাবাহিনীকেই দোষারোপ করেছে।
৪। পাকিস্তানী আর্মি অবশ্যই পাকিস্তানী জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী, ওখানেও জাতীয় পরিচয়টাই মূখ্য। শুধু আর্মি না, তাদের প্রতিনিধিত্বকারী ভুট্টোর দলও সমানতালে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বাঙালি দমনে অংশ নিয়েছে।
৫। পাকিস্তান তাদের গণহত্যা এবং গণধর্ষণের জন্য ক্ষতিপূরণ দূরে থাক, এমনকি ক্ষমাও চায় নি।
কথা সত্য, তবে পাপীর যথোপযুক্ত সাজা হওয়া দরকার। এজন্যই দেশে দেশে জেলখানা আছে, নাহলে খুন করার পরে খুনীকে জামাই আদর করে ছেড়ে দেয়া হতো। ক্ষমা একটি মহৎগুণ; কিন্তু কনটেক্স্টনির্ভর। একজন না বুঝে একটা অন্যায় কাজ করার পরে যদি আসলেই অনুতপ্ত হয় এবং তাকে ক্ষমা করলে সে কাজটা পুনরাবৃত্তি করবে না এটা নিশ্চিত হওয়া যায় এবং অন্যায়টা যদি আপনার একার সাথে করা হয়, তাহলে তাকে ক্ষমা করা আপনার ওপরে নির্ভর করে।
পাকিস্তানের আকামের ক্ষেত্রে এর একটা শর্তও পূরণ হয় না। তারা জেনেবুঝেই গণহত্যা করেছে, এ নিয়ে তাদের কোনো অনুশোচনাও নেই, এই গণহত্যা আমার-আপনার বা শেখ মুজিবের কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয় - এজন্যই এক্ষেত্রে ক্ষমা কোনোভাবেই মহানুভবতা নয়; বরং ক্ষমা করাটাই অপরাধ।
আশাকরি বুঝাতে পারলাম। না বুঝলে আমার পোস্টে আপনার আর মন্তব্য করার দরকার নেই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
লাইক দিয়া গেলাম
সেইরকম জবাব হৈসে, তয় উনি বুঝি সুশীল ছাগুছানা!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
i support ur opinion
ভাই এখন যদি আপনি নিজে পাকিস্তানিদের বরবরতার শিকার হতেন তাহলে আপনার মুখ দিয়ে এতো জ্ঞ্যানের কথা বের হতনা । যাদের সাথে সেই জগন্ন অনন্যাই হয়েছিলো তারাই কেবল বুজতে পারবে এর বাথা, আপনার মত লোকেরা নই । ভালো থাকবেন ।
আচ্ছা আমরা নিজেদের দেশকে সমর্থন করি কেন? একটা ব্যাপারতো হল আমাদের আশেপাশের সবাই সমর্থন করে বলে তাই। কিন্তু নিজের দেশকে সমর্থনটাও রাজনৈতিক নয় কি? কারণ নিজের দেশের খেলাই আমার সবথেকে ভাল লাগে এমন নাও হতে পারে (আমার তো অনেকসময়েই মনে হয়)। তা সত্ত্বেও আমরা নিজের দেশকে কেন সমর্থন করি? এটা আমাদের সুপ্ত রাজনৈতিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ নয় কি?
তবে রাজনৈতিক চেতনার পুনর্মূল্যায়ন করার যে অনুরোধ রেখেছেন তার সাথে আমি একমত। বাংলাদেশের জন্য নিরপেক্ষ মতামত নিতে হবে সেটাও ঠিক।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
হ্যাঁ, নিজের দেশকে সমর্থন করাও তো রাজনৈতিক! তাইলে খেলাকে রাজনীতির সাথে না মিশিয়ে তো পারছি না।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওপর আমি তিতিবিরক্ত। আশরফুল গাধাটার স্টকে যে পরিমাণ শট আছে, ওই পরিমাণ শট থাকলে আমি বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের টপ থ্রি ব্যাটসম্যানের একজন হতাম। অথচ তার ব্যাটিং অ্যাভারেজ ২০। ৯০% সময়ই খেলে একেবারে হাবার মত। এই বলদামি দেখে মেজাজ খারাপ হয়। খেলা দেখবো না বলে ধনুক ভাঙ্গা পণ করি। তারপরেও ঠিকই বাংলাদেশের খেলা থাকলে ফলো করা এড়াতে পারি না।
আমাদের রাজনৈতিক চেতনার মূল্যায়ন করা সকলেরই উচিত। এতে সবচেয়ে বড় বাধা তথাকথিত শিক্ষিত (সার্টিফকেটধারী) সুবিধাবাদীরা। এরা শিক্ষিতের তকমা পরে দেশকে বাঁশ দিয়ে যায়, নিজের দুই পয়সার লাভের জন্য দেশের মানুষের দুই লাখের ক্ষতি করতে এদের আটকায় না, এই শিক্ষিত(?) আগাছাগুলা কেউ ভালো কাজ করতে গেলেও নিজস্ব অবস্থানের সুবিধা নিয়ে তার বারোটা বাজিয়ে দেয়। অথচ শিক্ষা অর্জন করে দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা তো এদেরই বেশি হওয়ার কথা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হ্যাঁ, নিজের দেশকে সমর্থন করাও তো রাজনৈতিক! তাইলে খেলাকে রাজনীতির সাথে না মিশিয়ে তো পারছি না।
আলবত তাই।
আমাদের রাজনৈতিক চেতনার মূল্যায়ন করা সকলেরই উচিত।
বলাইদা, চেতনা যার থাকে, তার সব কাজেই থাকে, যার থাকে না তারা সব বেলায় সুবিধাবাদী, নিজের সুবিধামতো যুক্তি সাজায়।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অসাধারণ ভাই ! আপনাকে সালাম।
এইকথা গুলো আমার পাকি সাপোর্টার পরিচিত দের বলতে গেলে তার কিছুটা শুনতেই এড়িয়ে যায়।
ঠিক মনে কথা গুলো বলে দিয়েছেন।
একদম !
আজ সকালে সবজান্তার লেখা টা দেখে এই কথা গুলোই ভাবছিলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। আমি বাংলাদেশ ছাড়া আর কাউকেই সাপর্ট করতে পারিনা। ইন্ডিয়া পাকিশ্তান আর্জেন্টিনা ব্রাজিল সব দলই কেন যেন পর পর লাগে।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
স্পর্শ ভাই, অনেক ধন্যবাদ। আপনার পরিচিতদেরকে একটু মাথা খাটাতে বলেন। মাথা খাটালে তাদের অনেকের মধ্যেই পরিবর্তন আসবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দারুন লিখেছেন ভাই। আমার কাছে একদম জলবত্ তরলং এর মত ফকফকা হয়ে গেল। আপনারে পাঁচ তারা তো দিতে পারবো না তবে একটা লাল সালাম দিয়ে গেলাম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আপনাকে একটা সবুজ ওয়ালাইকুমুসসালাম।
বাংলাদেশ দীর্ঘজীবি হোক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণা রাজনৈতিক হবে কেন? এইটা আমাদের জন্মগত। নিজের দেশকে ভালোবাসলে পাকিস্তানকে ঘৃণা করতেই হবে(সামগ্রিক কনসেপ্টে)। খেলার মাঠেও ঘৃণা আমার সহজাত মনে হয়। কিন্তু মাঠে দ্বিতীয় দল সমর্থনের যখন ব্যাপার, তখন তার পিছনে সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক কারণ মুখ্য নয় বলে আমার ধারণা। খেলার উত্তেজনাই বড় মনে হয়। আমার কাছে যেমন ক্রিকেটে ছয় দেখতেই মজা লাগে। সেটা ভীরেন্দর সেওয়াগই মারুক কিংবা শহীদ আফ্রিদি। এই ধরনের সাপোর্টের জন্য পাকি লেবেল গায়ে লাগায় দেওয়াটা ভালো লাগে না। আরেকটা যুদ্ধের প্রয়োজনে গ্যালারীর এইসব সাধারণ মানুষেরাই কিন্তু আগে ছুটে যাবে অস্ত্র হাতে। বাঙ্গালী হিসেবে জন্ম নিয়েছি এটা আমার শত জনমের ভাগ্য। আর সে কারণেই দেশের মানুষের উপর বিশ্বাস হারাতে ইচ্ছা করে না একটুও। কাউকে পাকি বলার চাইতে ঘৃণ্য কোন গালি আমার কাছে নাই অন্ততঃ।
অফটপিকঃ
সেইদিন পাকিস্তানের সাথে খেলায় ইউনিস খানকে শেষ ওভার দিয়েছিলো দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে গেছিলো। সাহস কত!! আশরাফুলের ব্যাটিং এ আমি এমনিতেই বিরক্ত ছিলাম। কিন্তু শেষ ওভারের পর আমার তার পিঠ চাপড়ে দিতে ইচ্ছে করছিলো। ইউনিস খানের লাস্ট ওভারে সে স্পষ্ট বুঝায়ে দিসে he doesn't give a fuck ! আশরাফুলের সামর্থ্য সম্পরকে সবাই ওয়াকেবহাল; যে কোন দলের বোলারকেই ছাতু বানায় দেওয়ার ক্ষমতা সে রাখে! পরদিন পেপারে আশরাফুলের ব্যাটিং নিয়ে রমিজ রাজার হতাশার খবরে আমি হেসে উঠেছিলাম, হু গিভ আ ফাক!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
তারেক ভাই,
এই মাত্র টানা পাঁচ ঘন্টা ক্রিকেট খেলে আসলাম। যাদের সাথে খেলেছি, তাদের মধ্যে আফগান ছিলো, পাকি ছিলো, ইন্ডিয়ান ছিলো। আপনি খেলার উত্তেজনার যে কথা বললেন, তার সাথে আমি প্রায় একমত। বাকি যেটা থাকে, সেটা হলো 'কোন পরিচয়ে খেলছে', সেটা। আইপিএল-এর শোয়েব আখতারের গুড বোলিং দেখে আমি হাততালি দিতে পারি; কিন্তু'পাকিস্তান'-এর জার্সি পরা শোয়েব আখতার প্রতি বলেই বাউন্ডারি দিক, যার বিপক্ষেই হোক না কেন, আমি সেটাই চাইবো। বীরেন্দর শেভাগ বা আফ্রিদির ছক্কার পার্থক্যটাও এখানেই। কারণ, 'পতাকা'র ব্যাপারটা এড়ানো যায় না কিছুতেই।
আমার অভিজ্ঞতা বলে, আপনি যে শ্রেণীর দর্শকদের কথা বললেন, তাদের সংখ্যা একেবারেই হাতে গোণা। ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ম্যাচে আফ্রিদির ছক্কায় যে হাততালি দেয়, শেভাগের ছক্কায় সে মুষড়ে পড়ে - বাস্তবতা এরকমই বেশি। ডাইহার্ড পাকি সাপোর্টাররা পাকিস্তানকে সাপোর্ট করে দেশটা পাকিস্তান বলে, ছক্কা (ইকুয়াল টু ভালো খেলা) যে মানদন্ড না, তা পোস্টেই বলেছি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
খেলার সঙ্গে রাজনীতি মেশাবেন না, এই ভুয়া তত্ত্ব দিয়ে বহু মানুষকে ভোলানোর চেষ্টা নতুন কিছু নয়। কিন্তু একটা দল - হোক তা ক্রিকেট বা ফুটবল বা কাবাডিতে - যখন নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে, তারা সেই দেশের ইতিহাস, কৃষ্টি, ঐতিহ্য, রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি সবকিছুকেই ধারণ করে। এইটুকু বোঝার জন্যে বিশাল জ্ঞানী হওয়ার দরকার হয় না, সাধারণ বুদ্ধিতেই বোঝা সম্ভব। দক্ষিণ আফ্রিকার কথা ভাবলে এই কিছুদিন আগে পর্যন্ত তাদের বর্ণবাদী রাজনীতির ঐতিহ্য কি মনে পড়ে না? বাংলাদেশের কথা শুনলে বাইরের পৃথিবী কি একটি রুগ্ণ, দরিদ্র ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ঐতিহ্যের দেশের কথা ভাবে না?
খুব সরলীকরণের মতো শোনালেও বাংলাদেশেরই এক কবি একদা বলেছিলেন, "দালান ভাঙছে তা-ও রাজনীতি, দালান উঠছে তা-ও রাজনীতি"। আমাদের জীবন বা আমাদের কোনো কর্মকাণ্ডই রাজনীতির আওতার বাইরে নয়, বাইরে থাকে না। রাষ্ট্রের নীতি শয়নকক্ষে মশারির ভেতর পর্যন্ত বিস্তৃত।
আমেরিকা ১৯৮০ সালে মস্কো অলিম্পিক বর্জন করেছিলো। সেটাও বিশুদ্ধ রাজনীতি ছিলো। ২০০৮-এ বেইজিং অলিম্পিক নিয়েও রাজনীতি কিছু কম হলো?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জুবায়ের ভাই, অনেক ধন্যবাদ। আমার মতে, সমস্যাটা চিন্তার দৈন্যতায়। আমাদের চিন্তার সামর্থ্ আছে ভালোভাবেই; কিন্তু চিন্তা করি না যে!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমার স্কুলজীবনের এক পাকিস্থানপন্থী বন্ধু কৈছিল পাকিস্থানীদের দেখলে নাকি বাহাদুর মনে হয়। তার্মানে একরকম বীরপূজার জায়গা থিকা সে পাকিস্থান ভক্ত। পরে নব্বুই দশকে যখন পাকিস্থান চোদা খাওয়া শুরু করলো তখন তারে আর খুইজা পাইনা। ১৯৯৯ এর ফাইনালে ১২০ রানে অলআউট ফাকিস্থানরে দেইখা রীতিমতো ইন্টেলেকচুয়াল অর্গাজম পাইছিলাম।
আমি আসলেই রেসিস্ট।
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
দেশপ্রেমও এক ধরনের রেসিজম। কিছু করার নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কেডা রেসিজমের বাইরে বস? সব মাছেই ঘু খায়, খালি ... ....
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
(বিপ্লব) (বিপ্লব) (বিপ্লব) (বিপ্লব) (বিপ্লব) (বিপ্লব) (বিপ্লব) (বিপ্লব) (বিপ্লব) (বিপ্লব) (বিপ্লব) (বিপ্লব)
---------------------------------
জটিল কম্বিনেশন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একদম ঠিক। যেদিন মুক্তিযুদ্ধের সাধারণ মানুষের মাঝে ধর্মভিত্তিক বায়াসিং এর থেকে বড় হয়ে উঠবে সেদিনই বোধহয় সমাধান হবে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
এটা খুব দরকার। এজন্য প্রথমেই দরকার প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তার। মকসুদুল মোমেনীন আর বেহেশতী জেওরের সাথে সাঈদীর ওয়াজ মিশাইয়া যে জগাখিঁচুড়ী হয়, সাধারণ মানুষ তাতে প্রথমেই বিভ্রান্ত হয়। দেশের পীরগুলারে পিটাইয়া আস্তানা ছাড়া করা দরকার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
১৯৯২ এর বিশ্বকাপ থেকে কখনো পাকিস্তানকে সমর্থন করি নাই, কখনো করতে পারবো বলে মনেও হয় না।
ক্যান, পাকিস্তান তারপরে আর 'ভালো খেলে' নাই?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আসলেই কিন্তু আর খেলে নাই। পোস্ট ইমরান আমলটা ওদের পুরা গজবের উপর দিয়া গেছে।(অফ টপিক
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
যে ঘুমিয়ে থাকে, তাকে জাগানো সম্ভব, কিন্তু যে ঘুমের ভান করে থাকে, তাকে জাগানো সম্ভব না।
পাকিপ্রেমীরাও ঘুমের ভান করে থাকে।
এরা চরম নির্লজ্জ এবং ঘাওড়া।
এরা কুকুরের লেজের মত, যারা কখনো সোজা হবে না।
কয়লা ধুলে ময়লা উঠতে পারে, কিন্তু পাকিপ্রেমীরা কখনও পাকিপ্রেম ছাড়বে না।
তাদের জন্য বরাদ্দ ঘৃণা, ঘৃণা, ঘৃণা।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ঘাউড়ামি তো থাকবেই।
তাদেরকে চিন্তা করতে বলেন এবং ডিসিশান তাদের হাতে ছেড়ে দেন। চিন্তাভাবনার পরেও যদি পাকিপ্রেম থাকে, তাইলে বাংলাদেশের কথা কইতে আসলে মুখে থুথু দিতারেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একই কথা আবারও বলিঃ
পাকিস্তানী মাত্রই মাদারচোদ আর তাদের সাপোর্ট যে করে সেও মাদারচোদ।
কি মাঝি? ডরাইলা?
সহমত
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
হাহাহাহা ... কমেন্টটা ভাল্লাগসে
: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: :
'Cinema is over' - Master Godard
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
দ্রোহীদা'র জবাব নাই।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
এতোগুলা মন্তব্যের মিশ্রনটাই হইল আমার অনুভূতি... তাই আলাদা কইরা কিছু কইলাম না।
অতি উত্তম।
দৃশা
তারপরেও আলাদা করে ধন্যবাদ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ঘৃনার এই ফোয়ারা যেন কোনদিনও বন্ধ না হয়, চলছে চলুক।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ঘৃণারও দরকার আছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- পাকিস্তানরে সাপোর্ট করা নিয়ে এই পর্যন্ত বচসা তো কম হয় নাই। যখনই বুঝানো হইছে পাকিরে সাপোর্ট করা কোনোদিক দিয়াই যুক্তিতে ফেলানো যায় না, তখনই আমাদের দেশের আবালগুলা কানে আঙুল দিয়া বইসা থাকে। আমি অপটিমিস্ট মানুষ, কিন্তু এইক্ষেত্রে আশাবাদ ধরে রাখতে পারি না। অই আচোদা পাবলিকগুলা জীবনেও লাইনে আসবো না বলাই ভাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লাইনে না আসার কারণ কি? যুদ্ধের সময় তো এই মানুষগুলাই জানবাজি রাখছে। সেই অনুভব তো ফ্লুক ছিলো না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পোস্টে জাঝা,
দরকার ছিলো এটার।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
অমিতের পোস্টটাও আরেকবার পড়লাম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দুরন্ত ব্যস্ততার মধ্যেও লগ-ইন করলাম অন্তপ্রাণ পাকি-বিরোধীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করার জন্যেই শুধু। দুর্ধর্ষ পোস্ট।
আরও অনেক কথা লিখতে চাই। সময় পেলে লিখবো। পোস্টের জন্য (বিপ্লব) জাঝা
@ জুলিয়ান সিদ্দিকী
দেখলেন তো, আপনি একা নন। একবার কোথায় যেন লিখেছিলাম, "মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে আমার আপন মনে হয়"। এখন তাতে যোগ করতে ইচ্ছে আরও দুটো শব্দ: "মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে এবং পাঁড় পাকি-বিরোধীদের আমার আপন মনে হয়"।
@ দ্রোহী
মন্তব্যের জন্য
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
লেখেন। সচেতনতা তৈরি করতে পারলে এই লোকগুলার একটা বৃহৎ অংশ ঐ লুপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমার মনে হয় চিন্তার এই দৈন্যতার জন্য আমাদের রাজনীতিই অনেকটা দায়ী । আওয়ামী লীগ এর ভারত প্রীতি, বিএনপি'র ভারত ভীতি আবার পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এর বিপরীত - এরকমই ধরে নেয়া হয় । যে চেতনাটা জাতীয় হওয়া উচিত ছিল.. তা হয়ে গেছে দলীয় । যেমন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ।
এজন্য পাকিদের সাথে সাথে আমার ঘৃণা সেসব রাজনীতিকদের প্রতি ..যারা এই বিভাজনে রসদ জুগিয়েছে বারবার ।
পলিটিশিয়ানরাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এদের প্রতি একরাশ ঘৃণা। কিন্তু এ অবস্থা থেকে তো বেরোতে হবে আমাদেরকেই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অসাধারণ, অতি উত্তম একটা পোস্ট। কিছুই বলার নাই। যা বলার ছিল তা আপনার লেখা আর বাকিদের কমেন্টে চলে এসেছে। পুরো সহমত প্রকাশ করছি।
ধন্যবাদ। দেশের এবং মানুষের কল্যাণে অতন্দ্র প্রহরা অব্যাহত থাকুক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমার সব কথাগুলোই বলে দিয়েছেন সবাই।
এই জটিল বিষয়টাকে জলবত্ তরলং করে দেয়ার মতো এই দুর্ধর্ষ লেখায় বলাইদাকে কী দিয়ে যে অভিনন্দন জানাব বুঝতে পারছি না! তারও চেয়ে বড়কথা ঘাড়ের ওপর বসে থাকা পাকিস্তানী ভূতের বিপক্ষে এত বন্ধু যে আমার এখানেই ছিল, এই পরিচয় ভারী জানা দরকার ছিল আমারও।
সাবাস বাঙ্গালি!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
মৃদুল ভাই,
আপনার চমৎকার মজাদার লেখাগুলো পড়ি, মন্তব্য তেমন করা হয় না আলসেমির কারণে। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আমাদের দারিদ্র্য আছে, সিডর আছে, ঘূর্ণিঝড় আছে; কিন্তু বুকের রক্ত দিয়ে অর্জন করা স্বাধীনতার অহঙ্কারও আছে। এই অহঙ্কারটাও যদি না থাকে, আমরা তাহলে যে নিঃস্ব হয়ে যাই। এত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াই কি করে? এই মানুষগুলো কেন এই সহজ কথাটা চিন্তা করে না!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাই দা
তারা দেওনের ক্ষেমতা ত হয় নাই এখনও তাই
*********************************
**********************************
***********************************
এমনেই দিলাম
বাংলাদেশি পাকি প্রেমিদের লাইগা আরো একটা কথা যোগ করতে পারেন।
পাকিস্তানিরা বাংলাদেশিদের কখনও ভালো চোখে দেখতে পারে না যদি আমার কথা বিস্বাস না করেন।
নেট এ পাকি ফোরামগুলিতে একটা চক্কর লাগাইতে বইলেন
দেইখেন বাংলাদেশিদের তেনারা কি ভাবেন ।
বেশিদুর না জনপ্রিয় ইউটিউব এ পাকি গ আপলোড করা ভিডিও আর কমেন্ট গুলান দেখলেই বাংলাদেশ এর ব্যাপার এ তারা কত টা ভালো !!ধারনা পোষন করেন দেখতে পাইবেন ।
আপনি যেমনটা বলেছেন
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত আমাদেরকে সাহায্য করেছে যতোটা না বাংলাদেশের জনগণের প্রয়োজনে, তারচেয়ে বেশি তাদের নিজের প্রয়োজনে। এটাই বাস্তব, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূলভিত্তিও এটাই, এক্ষেত্রে দয়াদাক্ষিণ্য বলে কিছু নেই, সম্পর্কটা কেবলই বৈষয়িক। কিন্তু এই জিনিসটা বুঝতে আমরা প্রায় পুরোপুরিই ব্যর্থ হই।
এখন নেটেও পাকিদের প্রচারনার বিপক্ষে ভারতীয়রা বাংলাদেশের হয়ে প্রচার চালায়।
পলাশ ভাই,
বাস্তবতা চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। তবে অনেক ফোরামে আমি অনেক ভারতীয়কেও দেখেছি, তাদের মনোভাবও আলাদা কিছু না। ভারতীয়রা হিসেবী, পাকিরা একটু বেশি আবুল।
চমৎকার কিছু লেখা দিন, শীঘ্রই সচল হোন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
খুব ভালো লেখা।
তবু পাকিস্তানের পক্ষে যাদের 'যুক্তি' খোঁজার তারা
তারপরও হয়তো যুক্তি খুঁজে নেবেন।
তারপরও খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
বহুল আলোচিত একটি প্রসংগ। বহু বছর ধরেই চলে আসছে।
আমার পর্যবেক্ষণে বাস্তবতা হল -
এই আলোচনার মাধ্যমে কোন একজন পাকিস্তান-ক্রিকেট সমর্থককেও পাকিস্তান-ক্রিকেট বিরোধী করা যায়নি। উল্টোটা হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। সুতরাং, এই আলোচনার মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণা পোষণকারীরা তাদের ঘৃণার অনলে কেবল কিছু ঘৃত মিশিয়ে চলেছে।
আমার পর্যবেক্ষণ যদি এখানেই শেষ হয়ে যেত, তাহলে আমার এই মন্তব্য লেখার প্রয়োজন হত না। কিন্তু আমি আবিষ্কার করলাম যে, পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণাটা কেবল পাকিস্তানেই সীমাবদ্ধ নেই। তা সরাসরি আমার উপরেও এসে পড়েছে। আমি শুধু কয়েকটা কথা যোগ করে দিতে চাই। হয়ত এটা আরো হাজার-খানেক তথাকথিত বাং-পাকি দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
১। যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে পাকিস্তান-ক্রিকেট বিরোধীদের সাথে আমার কোন দ্বিমত নেই।
২। আমি পাকিস্তান ক্রিকেটের ঘোরতর সমর্থক। ইমরান, ওয়াসিম, জাভেদ মিয়াদাদ, ইনজামাম, আফ্রিদি এদের খেলা থেকে আমি যে বিনোদন পেতাম এবং পাই তার সাথে তুলনীয় খুব অল্প জিনিসই আছে।
কন্ট্রাডিকটরি শোনাচ্ছে নিশ্চয়ই! তাহলে একটা প্রশ্ন করি। আমরা কি বুকে হাত রেখে বলতে পারব, আমাদের মানসিকতায় কোন কন্ট্রাডিকশন নেই, সজ্ঞানে কিংবা অজ্ঞানে! আজকে যদি আমার মাতৃভূমি কোন কারণে বিপন্ন হয়, হোক সেটা পাকিস্তান, ইন্ডিয়া, মায়ানমার কিংবা মার্কিন সাম্রাজ্য দ্বারা; আমার বিবেক, আমার দেশপ্রেম কী আমাকে ঠিকপথে চালিত করবে না! নাকি, ইমরানের ক্যাপ্টেন্সি কিংবা আফ্রিদির অলরাউন্ড পার্ফরমেন্স আমাকে দ্বিধান্বিত করে তুলবে?
সাল্লু, আমি কিন্তু মনে করি, পাকিস্তানের পতাকা বাতাসে উড়তে পারে, এমন যে কোন ঘটনারই বিরোধিতা করা উচিত আমাদের। পাকিস্তান তার পতাকাকে এখনও বাঙালিনিধন আর বাঙালিধর্ষণের প্রতীক বানিয়ে রেখেছে। তারা ক্ষমা তো চায়ইনি, উল্টো রাজাকারদের বিচারে এসে বাগড়া দিচ্ছে, সম্পর্ক শীতল হবার ভয় দেখাচ্ছে।
অনেকে তো পর্ন দেখেও আনন্দ পায়। সে কি পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে বাঙালি নারীকে গণধর্ষিত হবার ভিডিও দেখেও অতুলনীয় আনন্দ পাবে? যদি পায়, তাহলে সে পাকিস্তানী ক্রিকেটের যোগ্য ভক্ত।
তাইলে আপনার এক্সপেরিয়েন্সের খাতায় অছ্যুৎ বলাইয়ের নাম যোগ করতে পারেন। বছর আঠেরো আগে আমিও পাকিস্তানের ভক্ত ছিলাম। ইতিহাস বইতে যুদ্ধের কথা পড়েছি, পরীক্ষার হলে গিয়ে বমি করে দিয়েছি, খেলার সময় ইমরান খানের কারিশমায় মুগ্ধ হয়েছি, 'মালাউন' ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে জাভেদ মিয়ানদাদের বাউন্ডারী মেরে নাঁচনে মজা পেয়েছি। এখন সেই নাচ ইউটিউবে দেখলে বানরের লাফ মনে হয়। আর সবচেয়ে বড়ো কথা, আর কয়টা লোকের পাকিপ্রীতি দূর হলো কিনা, সেটা না দেখে নিজের দিকে তাকান। আপনার যদি উপলব্ধিতে জাগে, যে এই পাকিরা যাদের ধর্ষণ করে যৌনাঙ্গে বেয়নেট ঢুকিয়ে কিংবা দু'পা দুইদিকে টেনে ছিড়ে ফেলে কিংবা স্তন কেটে ফেলে যাদেরকে হত্যা করেছে, তারা আপনার মাবোন, এবং সেই অনুভূতি পুরোনো হওয়ার নয়, তাহলে বাংলাদেশের সবগুলো লোক আফ্রিদিকে চুমু খেলেও আপনি তাকে লাথি মারবেন। আর আপনার অনুভূতিতে যদি ওটা না পৌঁচায়, তাহলে আফ্রিদি মেরি মাই সিস্টার বলতে আপনার চরম পুলক অনুভূত হবে। তারপরেও হয়তো আমি বলবো, 'এটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়'।
হুম, যুদ্ধাপরাধী বিষয়টি রাজনৈতিক আর খেলা হলো স্পোর্টিক। তাহলে ক্রিকেটে বাংলাদেশকে কখনো সমর্থন করবেন না যেন। খেলা যেহেতু অরাজনৈতিক বিষয়, সেহেতু বাংলাদেশের সাথে পাকি, ইন্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়া যারই খেলা হোক, তারা যেহেতু বেটার ক্রিকেট খেলে, সেহেতু তাদেরকেই সমর্থন করা উচিত।
মানুষ কখন কিসে বিনোদন পাবে, বোঝা ভার। আপনি বিনোদন পান, হয়তো আপনার বিনোদন পাওয়া দেখে আমরাও বিনোদিত হবো।
আমার মধ্যে সজ্ঞানেই কন্ট্রাডিকশন আছে। যেমন ধরেন, আমি অনেককে নিয়মিত ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়েও নিজে জিমে যাই না রেগুলার, ভুঁড়ির সাইজ বাড়ে, তবু ভাত খাই, মশলাযুক্ত খাবার খাই। এখন কথা হলো, আমি ব্যায়াম করি না বলে, ব্যায়াম না করে ভুঁড়ি বাগানো ভালো জিনিস হয়ে যায় না। আমি ঘুষ খাই বলে আরেকজন এসে আমাকে বলতে পারে না যে ঘুষ খুব ভালো খাদ্য, তাতে আমিষ, ভিটামিন দুইটাই আছে।
দেশপ্রেম কাউরে চালায় না ভাই, দেশপ্রেমকে চালানোর দায়িত্বও নিজেদের। আফ্রিদির বাপে আমার মাকে রেইপ করে যাওয়ার পরে আফ্রিদির ছক্কায় আমি যদি হাততালি দিতে পারি, তাইলে আফ্রিদি এসে আমার উহা মেরে গেলেও আমি বিনোদিতই হবো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনার দুর্লভ রুপান্তর লিস্টে তাইলে আমি আরো কয়েকজনের নাম যোগ করে যাই।
১। আমি নিজে প্রাইমারী পর্যন্ত পাকিস্তানি ক্রিকেটের ঘোর সমর্থক ছিলাম। এখন যে নাই সেইটা বোধহয় ধরতে পারসেন। নাকি?
২। আমাদের ব্যাচে পাকিস্তানের সবচে ঘোর সমর্থক ছিল ইমন। কালকে পর্যন্ত তাই জানতাম। খেলা দেখতে গিয়ে কালকে দেখি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চিল্লাচিল্লি করতেসে। প্রথমে ভাবসিলাম ফান করতেসে। কিন্তু পরে জিজ্ঞেস করে শিওর হইলাম ও আসলেই পাকিদের চোদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করতেসে। এই রুপান্তরের পিছনে অন্যতম প্রধাণ নিয়ামক হচ্ছে আমাদের ভার্সিটির পাকিদের পাকিসুলভ আচরণ।
৩। আমারই আরেক বন্ধু হাসনাইন। জানতাম ওও সাপোর্ট করে। কালকে খেলার আগে জিগাইলাম - কিরে তোর পাকিস্তান আজকে কি করবে? হাসনাইন কি বললো জানেন? মুখটা শক্ত করে শুধু বললো - আই হেট দেম!
৪। আপনার যদি আরো নাম জানার আগ্রহ হয় তাইলে আমি পরে আরো এসে যোগ করতে পারবো। এবং আপনাকে কথা দিচ্ছি এই লিস্ট অন্তত দশ ছাড়াবে। আপনার কথামত এই দুর্লভ রুপান্তরে দশ সংখ্যাটা বেশ বড়সড়ই মনে হওয়া উচিত, তাইনা?
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ভুল .... ...খুব দ্রুত উপসংহার টানবেন না ভাই। এটা ঠিক না। আমি নিজে এরকম অনেক রুপান্তরের সাক্ষী। আপনি নিজে বদলাবেন না বলেই আরে কেউ বদলাবে নাম সেটা ভাবা উচিৎ না।
১৯৯২ সালের রাতে ফাইনালে যখন পাকিস্তান ইংল্যান্ডকে হারায় তখন ঢাকার রাস্তায় মিছিল নামে - "পাকিস্তান জিন্দাবাদ!!" এই স্লোগানে উচ্চকিত হয় ঢাকার রাজপথ। আপনি কি জানেন সেই রাতটা কোন রাত? সেদিন ছিলো ২৫ শে মার্চের রাত! এখনও মনে করেন আপনার মাতৃভূমি বিপন্ন হয় নাই!!???!
ভাবুন।
যেই পাকি সমর্থক বানচোতরা পাকি কইয়া লাফায়, তাগোরে ঘাড়ে ধইরা এই ভিডিও টা দেখানো দরকার, তারপর কওয়া দরকার, দেখ, ওই যে মারা গেল, ঐডা তোর বাপ হইতে পারতো, ঐডা তোর চাচা হইতে পারতো, দেখুমনে তারপর কেমনে পাকি পাকি কইয়া ফাল পারে, তার পরেও যদি না শোধরায়, তাহলে পাকি পাচার কইরা দেওয়া দরকার হেগোরে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
স্কুল জীবনে আমিও ছিলাম ঘোর পাকিস্তান সমর্থক। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চিন্তা করার শক্তিটাও বেড়ে যাওয়ায় বদলে গেছি।
আমি একবারেই বাংলাদেশ প্রেমিক নই। চট্টগ্রামের আদিবাসীরা স্বাধীনতা চাইলে আমি তা দিয়ে দেয়ার পক্ষে। বাংলাদেশের শিশুরা কাঁদলে আমার যেমন লাগে, আমেরিকার শিশুরা কাঁদলেও আমার ঠিক তেমন লাগে। অথচ কেন জানি খেলা হলে মনে মনে চাই বাংলাদেশ জিতুক।
আমার মা-বোনের দিকে কেউ খারাপ নজরে তাকাইলেও তো তার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করতে ছুটবো আমি। পাকিরা ৭১ এ যা করছে তার জন্য ক্ষমার প্রশ্ন কিভাবে আসে! সাধারণ পাকিরা রেপ করেনি বুঝছি, কিন্তু যারা করেছে তাদের বিচার কর, তাদের জন্য ক্ষমা চা, অন্ততঃ তাদের বিচারের জন্য আন্দোলন কর। তাইলে বুঝবো সাধারণ পাকিদের দোষ নাই, যা করছে আর্মিরা, ওরা এইগুলা জানতোও না।
পাকিস্তান T20 ম্যাচ জেতায় কিছু নব্য-রাজাকারের আস্ফালন দেখে এত মেজাজ খারাপ হচ্ছিল! এই লেখাটি পড়ে কিছুটা শান্তি পেলাম। ধন্যবাদ বলাই'দা।
I cannot understand one thing yet and that is why even after 38years, we are talking about the liberation war!!!
In addition, the Pakistani soldiers raped Bangladeshi women, but what about the BDR and Army massacre where the BDR soldiers raped and killed innocent people and if not completely, but somehow to some extent got away with it as the report published by the govt. was not sufficient enough to find out the main culprits.
Guys, think about our current Bangladesh, rather than arguing over the minority of people who support pakistan.
I still believe in Bangladesh, we have got more people supporting our own team rather than supporting Pakistan.
We should live in the present while planning for the future, not in the past.
Please don't think that I am a Pakistan supporter. I love my country and I only support Bangladesh, if not Bangladesh being present, I support West Indies.
So, I hope, now the so called anti-pakistan and for-pakistan argument should be over as this is just a topicwhicch doesn't keep any value.
thanks
ভাই আমি কিছু বুঝি নাই। বাংলায় বলেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমিও কিছু বুঝি নাই... বাংলা বলতে সমস্যা কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এখানে আপনি অতীতকে বাদ দেয়ার কারণ বুঝলাম না। অতীত মানে কি অর্থহীন? অতীতের কি কোনো ভূমিকা নাই বর্তমান বা ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনায়? আপনাকে আমি যদি গতকাল খুব কষে একটা থাপ্পড় দেই এবং তার জন্য ক্ষমা না চেয়ে আজ এসে এমন ভাব করি কিছুই হয় নি, আপনার অনুভূতি কেমন হবে?
বিডিআররা তাদের ৫৮ জন অফিসারদের হত্যা করা আর আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত একটি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র ৩০ লাখ মানুষ মারা এক জিনিস? আচ্ছা ধরলাম এক জিনিস। এখন একটা অন্যায় কি আরেকটা অন্যায়ের ছাড়পত্র দিবে? ২০০৯ সালে বিডিআররা ৫৮ জন অফিসারকে হত্যা করবে, এই ভবিষ্যত জেনেই কি ৩৮ বছর আগে পাকিস্তানী সৈন্যরা হত্যাকান্ড চালিয়েছিলো?
আচ্ছা, আপনাকে বুঝতে সাহায্য করার চেষ্টা করি। মনে করেন, আপনার কিশোরী আম্মাকে ৩৮ বছর আগে রেইপ করলাম এবং তার ফলে আপনার জন্ম হলো। ৩৮ বছর পরে এসে আপনার সাথে আমার দেখা হলো, আপনি কি ৩৮ বছর আগের সেই ঘটনা ভুলতে পারবেন?
বর্তমান বাংলাদেশের জন্যই অতীত কালপ্রিটদের সম্পর্কে চিন্তা করা দরকার। একবার যে রাজাকার, সে হাজার বছর ধরে রাজাকার। আপনি যদি ৭১ এ রাজাকারদের অবস্থান সমর্থন না করেন, তাহলে এখনকার পাকিপন্থীরা যে সুযোগ পেলেই আবার বাংলাদেশকে বাঁশ দেয়ার চেষ্টা করবে, সেটাই স্বাভাবিক। আপনি কি ইতিহাসবিস্মৃত হয়ে তাদেরকে সেই সুযোগ দিতে চান?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভাইজান, বাংলা বুঝেন? না বুঝলে কন, আপনার লাইগাও "ডিক"সুনা"রি নিয়া আসি আর আমার দেয়া ভিডিও টাও দেখেন, তারপরে ঈমানে কন দেখি, পাকিস্তানের কোন কিছু আপনার ভালো লাগে, আর ভাইজান, BDR এর নাম দিয়া শিবির একখান কাম করসে, যার জন্যে আপনে নিজের গায়ে থুক মারতেসেন। ১১ জনের একটা মোল্লা টিম আইসা ৫৮ জন আর্মি মারলো, আর আপনে এই ফাকে আফ্রিদির ছক্কা দেইখা বগল বাজাইলেন!! একবারো কইলেন না, এই রাজাকার গুলারে ম্যানহলে ফালায় গু খাওয়াইয়া মারা দরকার, অথচ পাকিগো গালি দিলে ইংরেজী বাইর হয় ফটফট কইরা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নামটা ঠিক লিখেছেন তো? শেষটা হোসেন হবে না?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ভাই,
অামার একটা কথা ছিল।
অামরা যেন তাহলে ফুটবলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ না দেখি, বা ইংল্যাণ্ডকে সাপোর্ট না করি; তারা তো পাকিস্তানের বাপ।
তারা পাকিস্তানের বাপ কিনা, জানি না, তবে এখন পর্যন্ত কোনোকিছুতে ইংল্যান্ডকে সমর্থন করেছি বলে মনে পড়ে না। ভারতীয় উপমহাদেশ তাদের সাম্রাজ্যবাদের শিকার, যদিও রাজাকারদের ভূমিকায় তখন ছিলো মীরজাফররা। একটু পার্থক্য হলো, ব্রিটিশরা যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলো, পাকিরা হেরেছে। আজ স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিরা জয়ী হলে রাজাকারেরা থাকতো টপফর্মে।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ নীতির সাথে পাকিদের একাত্তরের কর্মকান্ডে নীতিগত পার্থক্য আছে। ব্রিটিশরা পাকিদের চেয়ে হাজারগুণে ইনটেলিজেন্ট; তাই যথাসম্ভব কম রক্তপাতে গিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছে, অন্যদিকে পাকিরা রক্তপাতকেই শাসনের প্রধান নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। ব্রিটিশ প্যাঁচ বুঝতে একটু বেশি মাথা খাটানো লাগে; কিন্তু পাকিকৃত হত্যা, গণধর্ষণ বুঝতে যে সামান্য মাথা খাটাতে হয়, সেটার অভাব যখন অনেকের মধ্যে দেখি, তখন বড়ো করুণা হয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
"আজ স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিরা জয়ী হলে রাজাকারেরা থাকতো টপফর্মে।"
পাকিরা জয়ী না হয়েও তো রাজাকারেরা এদেশের প্রধান্মন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি-মন্ত্রী-এম,পি সবই হয়েছে! তাই নয় কি?
দাদা, শাক দিয়া মাছ ঢাকবার চেষ্টা কেন?আর আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, ব্রিটিশ ক্রিকেট, ফুটবল, নায়ক নায়িকা, অন্যান্য (যেমন ডেভিড কুল্টহার্ড, লুইস হ্যামিল্টন) সবি আমার অসহ্য
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এই পোস্ট আগেই পড়ছিলাম... তখন কিছু বলি নাই। এসব নিয়ে এতোটাই বিরক্ত, আর কথা বলতে ভালো লাগে না।
আমি কোনোভাবেই বুঝে পাই না, একজন সুস্থ বাঙ্গালী কিভাবে পাকিস্তান নামক পতাকাবাহী দলটারে সাপোর্ট করতে পারে?
ধরে নেই যে পাকিস্তান ভালো খেলে, ভালো কথা... তো তারচেয়ে ভালো খেলুড়ে দেশ তো পচুর আছে... ভালো খেলা যদি মানদণ্ড হয় তাইলে অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকারে সাপোর্ট করুক, পাকিস্তান কেন?
ছেলেদের সৌন্দর্যে আমি কখনো মোহিত হই না। তবু ধরে নিলাম শহীদ আফ্রিদি অনেক সুন্দর। কিন্তু তার চেয়ে সুন্দর তো বহুত আদম আছে পৃথিবীতে। তবু কেন আফ্রিদির ............. খাইতেই হবে? কেন তারেই বিয়া করতে হবে?
মুসলমান প্রশ্নে আসলে কী বলার থাকে? পাকিস্তান কি মুসলমান দেশ? আমি মানি না। সেখানে মৌলবাদ প্রবল, ইসলাম কই? যারা এটা বলে, তারা জানেই না ইসলাম কী জিনিস।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজুদা, ঠিকই বলসেন, ইসলাম দেখে যদি নাচবে, তাহলে আর পাকিস্তান কেন? সৌদি যাওয়া উচিত, ঠিক না?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মন্তব্যে নজু ভাইকে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ইসলামে তো খেলাধুলাই জায়েজ নাই!! সুতরাং 'মুসলিম দেশ' নামক আলবালছাল যুক্তি পুরাই হুদাই!!!! তারা আসলে মননে পাকি। 'ফুলিস্টপ' (ফুল স্টপ)
সুবোধ অবোধ
আমার ডিপার্টমেন্টের ছাত্রগুলোকে আমি কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাংলা শিখাই। ওরা যখন হাগা করতে টয়লেটে যায় তখন বাংলায় বলে, "পাকিস্তান গেলাম।"
দ্রোহী দাদা অলয়েজ রকস্!!!!
সুবোধ অবোধ
বলাই'দার প্রতিটা মন্তব্যের সাথে শতভাগ একমত।
ব্রিটিশদের সাথে পাকিদের অনেককেই তুলনা করতে দেখি। এই দুইয়ের তুলনা আসলে হয় না। ব্রিটিশরা উড়ে এসে জুড়ে বসেছিলো। সাধারণ মানুষের সমর্থন তাদের ছিলো না। ভারতবর্ষ তাদের দেশও ছিলো না, একদম শেষ দিকে সরকারী কিছু দলিল ছাড়া ভারতবর্ষের মানুষ ভারতীয়ই ছিলো। ব্রিটিশরা নিজের দেশের স্বার্থে আমাদের শোষণ করেছে। পাকিস্তানের জন্মের পর পরে সবার মাঝে এক পাকিস্তান জাতীয়তাবাদই ছিলো। ওরা প্রথম থেকেই যে বৈষম্য তৈরি করেছে, সেই হিসেবে সেটা তাদের দেশের মানুষের সাথেই। তাই আমার কাছে পাকিস্তানকে যতোটা নোংরা মনে হয় ব্রিটিশদের ততোটা না। পাকিস্তানের সাথে ব্রিটিশদের খেলা হলে আমি কোনো দ্বিধা ছাড়াই ব্রিটিশদেরকে সমর্থন দেবো।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
অলস সময়
একদম উচিত না খেলা আর রাজনীতি মেশানো। তাই তো আমি সবসময় আমেরিকা সমর্থন করি, এমনকি বাংলাদেশের সাথে খেলাতেও। বলতে কি, বাংলাদেশ কখনোই সমর্থন করি না
দেশ আপনাকে কী দিয়েছে, দেশ আপনাকে খাওয়ায় না পরায়......????
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
অসাধারন....!!
সম্মান জানাই পোস্টটির লেখককে এবং স্বপক্ষে যারা কমেন্ট করেছেন তাদেরকে।
কিছু বলারই নেই কারণ মনের সব কথা গুলো আপনারা বলেই দিয়েছেন। শুধু এটুকুই বলব, ধন্যবাদ আপনাদেরকে দেশাত্ববোধ অন্তরে লালন করার জন্য।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
onk beshi valo laglo....... apnr moto guchiye bolte pari na bole onk kei ai kotha gula bujhate pari na...... tai share dilm.
স্পোর্টিং স্পিরিটের কথা বিবেচনায় আনলেও পাকিস্থান কে ঘৃণা করা উচিত।
কি করেনি এই দেশটা - ঘুস কেলেংকারি, ড্রাগ কেলেংকারি, উইকেট কিপারকে হুমকি দিয়ে দলছাড়া করা, শ্রীলংকা দলের উপর সন্ত্রাসী হামলা, বল ডক্টরিং , বলকে আপেল ভেবে কামড় দেয়া, কোচের ...রহস্যময় মৃত্যু - যেটার কারণে টিমের প্লেয়াররা সন্দেহভাজন ছিলো পর্যন্ত।
পাকিস্তান নাকি আনপ্রেডিক্টিবল দল - আমার মতে পাকিস্তান সবচে আনডিসিপ্লিনড, আনঅর্গানাইজড দল।
স্পিরিটের কথা বিবেচনা করেও পাকিস্তান সাপোর্ট করা যায় না। (collected)
@ দ্রোহী
সহমত
চরম.................
মীর তাজবিনূর শরীফ
আমাদের এক্জন আরেক্জনের পিছনে লাগার অভাস টা গেলো না।
We should respect others freedom and not try to impose our choices on them. I respect your opinion but you should respect others opinion as well. Let's all work together and not try to find each others fault. Thanks.
সব বিষয়ে ফ্রিডম অফ স্পীচ চলে না। ২ আর ২ যোগ করলে সবসময়ই ৪ হয়, কোনো ফ্রীডম অফ স্পীচের জোরে সেটা ৫ হয় না। ৩০ লাখ মানুষের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ফ্রীডম অফ স্পীচ দেখিয়ে খুনিদেরকে কোনো বিষয়েই সমর্থন করা যায় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমি পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের সাপোর্টার।ছোট থেকেই।লেখকের মত লুপ থেকে বের হয়ে আসার সৌভাগ্য হয়নি। এ নিয়ে আমার কোন আক্ষেপ নেই। ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে কেন সহায়তা দিয়েছে, সেটা হয়ত উচ্চারিত হয়না, রাহুল গান্ধী প্রকাশ্যে বললেও আমরা বলতে লজ্জা পাই । সাহস নেই কথাটা স্বীকার করতে অসুবিধা, তাই বলি 'অপ্রিয় সত্যি কথা বলে মানুষের মনে আঘাত দিতে নাই। খেলাধুলা, গানবাজনার সাথে গ্ল্যামারের একটা সম্পর্ক আছে। ভারতীয় সিনেমা জগতের তারকারা গ্ল্যামার দিয়ে বিশ্ব মাতাচ্ছেন।আমরা ভারতীয় ছবি এবং নায়কনায়িকার মায় হিন্দী সিরিয়ালের পর্দাগুলোর ভক্ত। ইমরান খান যুগের সময় থেকেই, এই উপমহাদেশে পাকিস্তানী ক্রিকেটাররা এই জায়গাটায় এগিয়ে ছিল সবসময়ই। আজ বাংলাদেশের কথা বলছি, কিছুদিন আগেও কিন্তু ভারতীয় নায়িকারা নিজ দেশের চাইতে পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের নিয়ে দরজা বন্ধ করতে বেশী ভালবাসত। পাকিস্তান ক্রিকেট টীমের প্রতি এই সাপোর্টে, গ্ল্যামার, পাকিস্তান প্রীতি, ধর্ম প্রীতি, ভারতবিদ্বেষ অনেক ফ্যাক্টরই কাজ করে।জাতি হিসেবে আসলে আমরা যতখানি না উঁচুতে উঠতে পেরেছি, তার চাইতে ভাব অনেক বেশী। ব্লগের পাঠকরা নিজেদের মাপে গোটা জাতিকে মাপতে চান।আসলে তো আমরা এখনো সেই শ্রমিকের জাতি, আগে ছিলাম কৃষি শ্রমিক, এখন আমরা আরও অনেক শিল্পতে সেই শ্রমিক হিসেবেই সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছি।লেখকের ভাবনার সাথে একমত।খুব দ্রুত কিছ পরিবর্তন আশা করে লাভ নেই।ইন্ডিয়ানরা শান্তিবাহিনীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে আমাদের কম ক্ষতি করেনি।বহু রক্তপাত হয়েছে। অপেক্ষা করুন, একদিন আমাদের ছেলেরা এতটা ভাল খেলবে যে, আমাদের নতুন প্রজন্ম, অন্য কোন টিমকে সাপোর্ট করার কথা চন্তা করবেনা। তবে, উপমাহাদেশের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির বিবেচনায়, যে ম্যাচে বাংলাদেশ থাকবেনা, সেই ম্যাচে হয় পাকিস্তান নয়ত ভারতকে বেছে নেবে।
আপনার কাছে পাকিস্তান ক্রিকেটের গ্ল্যামারের বিষয়গুলো কি কি? টেন্ডুলকার, মুরালিধরনরা কি খুব পানসে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এই বিশুদ্ধ ইডিয়টিক কথাটা শুনতে শুনতে কানটা পচে গেছে। আমার প্রশ্ন - কেন, আলোচিত হবে না কেন ? আমিতো দেখি দিব্যি আলোচিত হয়। এখানে সাহসের অভাব আসছে কোথা থেকে আর এর সাথে ফাকিস্তানীদের গনহত্যা আর বাংফাকিদের জিগোলোপনার কি সম্পর্ক ? বাতুল রাহুল কি ফাতুল কথা বল্লো না বল্লো তার ফুটা পয়সাও দাম নাই - ঐ ইডিয়টটার জন্মও হয় নাই তখন।
একটা সোজা কথা শুনে রাখেন - দুনিয়াতে কোন রাশট্রই সেধে সেধে নিঃস্বার্থভাবে আরেক রাষ্ট্রের উপকার করে না। বিশেষ করে যুদ্ধবিগ্রহ - যেখানে নিজ নাগরিকের রক্ত ঝরাতে হয়, বিশাল রাষ্ট্রিক তোলপাড়ের মধ্যে যেতে হয় (এটাতো আর পিকনিক না!) সেখানে কার এমন ঠ্যাকা পড়েছে যে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে গিয়ে হাজারে-হাজারে স্বদেশের মানুষের রক্ত স্যাক্রিফাইস করবে অন্য দেশের জন্য ? কোন বালের মুসলিম দেশ যাচ্ছে আজকে লিবিয়ার 'মুসলমান ভাইদের' বাঁচাতে, উলটে বাগড়া দেয়া ছাড়া ? যাচ্ছে তো ঐ চিরশত্রু 'ইয়াহুদী-নাসারারাই' ! আর লিবিয়ার জনগনও তাদেরই চাচ্ছে - ওদের অন্যতর স্বার্থ থাকতে পারে এটা খুব ভালো করে জেনেও। অবশ্য কিছু মুসলিম দেশ অবশ্য যাচ্ছে বাহরাইনে - কিন্তু যাচ্ছে নিজেদেরই স্বার্থে এবং সেটা 'মোছলমান ভাইদের' উপর দমন-পীড়ন আরো জোরদার করতেই - তাদের বাঁচাতে নয় ! ৭১-এও কোন বালের মুসলিম দেশ এসেছিল আমাদের সাহায্য করতে ?
একটা সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য সবার আগে নিজ দেশের ও নাগরিকের স্বার্থ দেখা ও নিশ্চিত করা - এজন্যেই সভ্য গণতান্ত্রিক দেশগুলিতে তাদের নির্বাচিত করা হয় বিশ্বব্যাপী (ফাকিসরকার আর বাংফাকিরা অবশ্য এর ব্যতিক্রম)। এটাই আন্তর্জাতিক রাজনীতির চিরন্তন রীতি ও বাস্তবতা, এটাই স্বাভাবিক, সর্বোপরি - এটাই সম্পূর্ণ সঠিক ও নৈতিক অবস্থান। আমার ধারনা, একদম গজভুক্তকপিত্থবৎ-খুলিবিশিষ্ট ব্যক্তি ও বাংফাকি ছাড়া আর যে কেউই এটা বুঝবে। সুতরাং ভারতিয়দের স্বার্থ ছিল নিশ্চয়ই (ইস্টার্ন-ফ্রন্টের হুমকি থেকে দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়া, ইত্যাদি) , কিন্তু তার চেয়েও অনেক অনেক বড় সত্য হচ্ছে ভারতীয় সহযোগিতার কারনে মৃত্যু ৩০ লাখে সীমাবদ্ধ থেকেছে। ঐটা না পেলে আরো কত লক্ষ-কোটি বাঙালির মৃত্যু হতো, আরো কত লক্ষ মা-বোন-শিশু ধর্ষিত ও বেয়নেটবিদ্ধ হতেন, আরো কতকোটি বাংফাকির জন্ম হতো, আরো কত দশক গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হতো (যদি তা আদৌ সম্ভব হতো। এল্টিটিই ২৭ বছর চেষ্টা করেও পারে নাই শ্রীলঙ্কায়। মিসমার হয়ে গেছে), কি অকল্পনীয় একটা সর্বগ্রাসী জ্বলন্ত কেয়ামতের ভিতর দিয়ে পুরো জাতিকে যেতে হতো হয়তো আরো বহু দশক, সেই 'অপ্রিয় সত্যটা' স্বীকার করার মত সৎসাহস, বিবেক, নৈতিকতাবোধ, মেরুদণ্ড বা মনুষ্যত্ব আছে আপনার ? নাই মনে হয়, কেননা থাকলে এই জাতির এত বিশাল, অতুলনীয় উপকার যারা করেছে রীতিমত অস্তিত্ব-অনস্তিত্বের ক্রাইসিসে - তাদের সেই তুলনাহীন অবদানকে আপনি একটা গনহত্যাকারী, গনধর্ষনযজ্ঞকারী, পৈশাচিক দেশ বা বাহিণীর বীভৎস, অশ্লীল, দানবিক কীর্তিকলাপের সাথে তুলনা করতে পারতেন না বা এক নিশ্বাসে একই পংক্তিতে মাপতে পারতেন না, স্রেফ একটা অনুমিত প্রচ্ছন্ন রাজনৈতিক স্বার্থের কারনে - যে স্বার্থটা বোধহয় আবার অনেকাংশে আমাদের স্বার্থের সাথেও মিলে গিয়েছিল সে সময়।
আরেকটা কথা, বাংলাদেশ যাচ্ছে বার্মা থেকে তাদের মুসলমান রোহিঙ্গা 'ভাই'দের উদ্ধার করতে ? বরং পারলে সবকটা (২-৩ লাখ?) রোহিঙ্গা রিফিউজি মুস্লিম 'ভাইবোনকে' ঠেলে হায়েনার মুখেই আবার ফেরৎ পাঠিয়ে দেয়। দিচ্ছেও। সেখানে ভারতের 'বিধর্মী', 'কাফের', 'মালাউন'রা প্রায় ১ কোটি বিদেশি বীরপুরুষকে আশ্রয় দিয়েছিল, সেটা স্বীকার করার মেরুদণ্ড আছে আপনার ?
আর হ্যাঁ, শান্তিবাহিণীর কথা তুলে লাভ নেই। ৭১-এ এত বড় সাহায্য করার পরও, মাত্র ৪ বছরের মাথায় জিয়াউর রহমান গং-তো ঐ উপকারিদেরই উলটা বাঁশ দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে নাই। আপনি কি মনে করেন, এত কিছুর পর ওরা আপনাকে চুমা খাবে? শান্তিবাহিণীর ব্যপারটা বাঁশের বদলা বাঁশ হতে পারে। আর আমরাও তো উলফা নিয়ে একই কাজ করেছি... করি নাই ? সাত ট্রাকের মত আরো অনেক ট্রাকে আমাদের সুসন্তানদের হাত দিয়ে পার হওয়া অস্ত্রে ভারতীয়দের 'রক্তপাত" হয় নাই ? নাকি ওই সব বন্দুকের নল দিয়ে গুলির বদলে ফুল বেরোতো আর গোলা ফাটলে বেরোতো লাফিং গ্যাস ? আসলে এসব ফাত্রামি কথা বলে কোন লাভ নাই। এইসব ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি/বর্ডার-ক্ল্যাশ পৃথিবীর বহুস্থানেই আছে প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে। চিরকাল ছিল এবং আরো বহুকাল থাকবে - এবং এগুলি উপেক্ষণীয়ও নয়। কিন্তু ফাকিস্তানিরা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে একটা সম্পুর্ণ জাতিকে চিরকালের জন্য নিশ্চিহ্ন, নয়তো জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে জীবন্মৃত ভস্মে পরিণত করতে চেয়েছিল। এ দুইয়ের মধ্যে যে আসমান-জমিন প্যারাডাইমিক পার্থক্য সেটা কি আপনার বোঝার ক্ষমতা নাই ?
হ্যাঁ, সেজন্যেই হয়তো আপনি ফাকি সাপোর্টার। আমার জানামতে পৃথিবীর আর কোন দেশের মানুষ বাংফাকিদের মত বিচ্ছিন্ন বর্ডার-ক্ল্যাশ বা মিটমাট হয়ে যাওয়া ফ্রিঞ্জ ইন্সারেকশনের (যেখানে নিজেদের দোষও কম ছিল না) জিদ তুলতে নিজেদের মা-বোন-বাপ-ভাইদের উপর পৈশাচিকভাবে জাতিগত শোধনযজ্ঞ, গনধর্ষনযজ্ঞ ও গনহত্যা চাপিয়ে দেওয়া জাতির কাছে গিয়ে নিতম্ব-উম্মোচন করে না। আমার মনে হয় দুনিয়াতে এত চশমখোর, বেশরম, বিশ্ববেহায়া চরিত্রহীন কেবল বাংফাকিদের পক্ষেই হওয়া সম্ভব। তাই আমার পরামর্শ হচ্ছে, আপনার এইসব মিঠি মিঠি বাতের কুম্ভীরাশ্রু কোন জামাতি ব্লগে গিয়ে ঝাড়ুন, কিম্বা আরো ভালো হবে কোন ফাকি ব্লগে গিয়ে লিখলে। ওখানে হাততালি পাবেন।
মনমাঝি
বেচারা, অন্ধ পাকিস্তান বিরোধী, তাই বলে তেন্ডুলকার আর মুরালি'র মধ্যে গ্ল্যামার খুঁজতে যাবেন ভাবিনি।
কৌতূহলবশত জানতে চাচ্ছি, আপনি কি পাকিস্তান সাপোর্ট করেন খেলোয়াড়দের চেহারা দেখে? -রু
হ, রিযোয়ান সাব, আমারই ভুল, গ্ল্যামার বলতে খেলায় দক্ষতা বুঝেছিলাম, পায়ুকামে দক্ষতা বুঝতে পারি নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
রিযোয়ান মনে হয় অপেক্ষায় আছে, কবে ভারতীয় নায়িকাদের ফেলে তারে বগলে নিয়ে পাকিস্তানী খেলোয়াড়রা দরজা বন্ধ করবে। কামরান আকমল দিয়ে চোদানো উচিত রিযোয়ানের মত লোকজনরে। আশা করি কামরান আকমলের গ্ল্যামার নিয়ে রিযোয়ানের কোনো আপত্তি নাই।
যাদের নিজেদের এইটুকু আত্মসম্মান বোধ নাই তাদের কে বুঝাবে??
মাহবুব বাবুই
ইতিহাস নিয়া বাইচলামি করার ফল এইটা। সবাই জানে পাকিস্তানীরা আমাদের খুন করসে, ধর্ষন করসে। তারা জানে না কি রকম নিষ্ঠুর ভাবে তারা তা করসে। ৭১ এ যেই ডোম আর সুইপাররা লাশ উঠানোর কাজ করসে তাদের বর্ণনা পড়লে মাথা ঠিক রাখা যায় না। জার্মান রাও এতটা করেনাই। সবাইরে জানতে দিতে হবে। তাইলে হয়তো বুঝ আসবে অবুঝ বাঙ্গালীর।
আলু মিয়া
সম্পূর্ণ ভাবে একমত ...
সাম্প্রদায়িকতার বীজ অনেক চিন্তা ভাবনা করে এই ভারতীয় উপমহাদেশে বোনা হয়েছে যা পর্যায়ক্রমে এই উপমহাদেশের অধিবাসীদের মজ্জার ভেতরে প্রবেশ করেছে... সঠিক ভাবে চিন্তা করলে বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তান এই তিনটা দেশের একমাত্র সমস্যা এই সাম্প্রদায়িকতা .. এটাকে বাদ দিয়ে যদি চিন্তা করা যায় তাহলে আজও পৃথিবীর সবথেকে ঐশ্বর্যপূর্ণ অংশ হছে উপমহাদেশ ...পরিকল্পিত ভাবে এই দেশগুলোর উন্নতি আটকে রাখার জন্য এদের মানসিকতাকে বিকৃত করে দিয়ে গেছে ব্রিটিশরা ..আর দুক্ষজনক হলেও সত্যি আমরা আজও তাদের দেখানো নোংরা পথেই চলেছি ....
আর তাই নিজের আত্মসম্মান বিলিয়ে দিতেও চিন্তা করছিনা ...
বিডিনিউজের ক্যামেরায় গ্ল্যামারভক্ত পাকমনপেয়ারু
সম্ভবত, এরই কথা বলছিলেন সালেহা রিয়াজ।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
I cannot understand one thing yet and that is why even after 38years, we are talking about the liberation war!!!
জনাব রুবায়েত ৩৮ বছর কি এতই লম্বা আপনার কাছে? বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, এ্কটা বাঙ্গালীও যতদিন থাকবে ততদিন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হবে। মনে রাখবেন, সেটা ৩৮ হোক আর ৩৮০ বা ৩৮০০ বছরই হোক।
আর এইখানে সবাই বাংলায় ব্লগ লিখে, মন্তব্য করে। বাংলা লিখতে বা বলতে কি শরম করে আপনার??
আলু মিয়া
আমি ১০ টাকা মানত করছি যাতে ভারত হারে এবং আমি সিধুর কুত্তা মার্কা চেহারাটা ওই দিন দেখতে পারি।
এই ২০১১ সভ্য যুগে এসে যদি দেখতে হয় ফেলানির লাশ ,নিরীহ কিশোরী কে গুলি করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয় কাটা তারের বেড়ার সাথে যা এখন ও চোখের সামনে ভাসে, এই অবস্থায় আমি কি করে ভারত সমর্থন করি,একটু উত্তর দিবেন কি ??
আমি পাকিস্থান এর সমর্থক না কিন্তু বাংলাদেশ কে নিয়ে যে bojjad sing shidu যা বলছে ওই জন্য অবশ্যই ভারত এর হার চাই সেদিন আর সিধুর কুত্তা মার্কা চেহারাটা ওই দিন দেখতে চাই। লেখক আপনি এ বেপারে নিশ্চয় একমত আমার সাথে????
শুধু একদেশের সমর্থনে কখনো টেষ্ট মর্যাদা পাওয়া সম্ভব নয়..দক্ষিন এশিয়ার সবদেশ বাংলাদেশকে ভাল সমর্থন করেছে.... পাকিস্তান বাংলাদেশকে সমর্থন করেছে বলে অতীত ইতিহাসকে আমরা ভুলে যেতে পারিনা .... আমার পরিবারের কেউ মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হয়নি তাই আমার কাছে খেলা আর যুদ্ধ এক নাউ হতে পারে... কিন্ত যে সব পরিবার হয়েছিল নিঃস, যারা হারিয়েছিল মা,ভাই,বোন,সন্তান তাদের মধ্যে জীবিত কেউ যদি দেখে ঐ সমস্ত হানাদারদের উত্তরসুরিরা এ দেশের মাটিতে ক্রিকেট খেলে আকুন্ঠ সমর্থন পেয়ে...তাদের নিশ্চয় কষ্টে বুক ফেটে যায়... তাই পাকিস্তানকে সমর্থন সাপেক্ষে 'খেলার সাথে রাজনীতির সম্পর্ক নেই' ' এ কথা বলা একরকম আত্তঘাতীপুর্ন ।
ক্রিকেট খেলায় কোন দলকে সাপোর্ট করার অক্রিকেটীয় যুক্তি মূল্যহীন। কোন দলকে সাপোর্ট করে নিজেকে দেশপ্রেমিক অথবা ভালো মুসলিম ভাবার কোন কারণ দেখি না। যার খেলা ভালো লাগে তাকে সাপোর্ট করা সবচেয়ে যুক্তিগত। যাই হোক না কেন ক্রিকেট জীবনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় এমনকি সাধারণ বিষয় ও নয় নিছক বিনোদন ব্যাতীত। এটা নিয়ে এত মাতামাতি করে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না ।
আমাদের ভাঙ্গাচোরা জাতিকে আফ্রিদীর মতো তাগড়া পাকিস্তানি দিয়ে সংকরায়ন করা যেতে পারে। এই জন্যই আমাদের মেয়েরা অর জন্য এতো পাগল। এহ! ম্যারি মি আফ্রিদী। আমরা কি অকেজো হইয়া গেলুম নাকি রে...
যারা আফ্রিদি ম্যারি মি বলে, তারা 'আমাদের' না, তারা পাকি, শুধু এদেশে পড়ে আছে তাদের দেহটা, কিন্তু মন পাকিস্তানে। চাঁদা তুলে এদেরকে পাকিস্তানে হিজরত করতে সাহায্য করা হোক। এই বাঙ্পাকিদের জন্য 'আমাদের' মেয়েদেরকে অপমান করার কোনো যুক্তি নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
লেখাটা অনেক আগেই পড়েছিলাম, সম্ভবত ফেসবুকে কারো শেয়ার থেকে। আমি ছোটবেলা থেকে পাকিস্তানবিদ্বেষী, শেজান ম্যাংগো জুস খেতাম না, পাকিস্তানি ওড়না পড়তাম না, পাকিস্তানি মেহেদিও হাতে দিতাম না। ক্রিকেট খেলার সময় সোজাসোজি বলতাম-- পাকিস্তান ১৯৭১ সালে যা করেছে তার জন্য আমি কোনদিনই ওদের সমর্থন করব না। একবার মনে আছে চ্যাটরুমে একজনের সাথে খুব জমেছিল কথা, তখনো তার পরিচয় জানিনি। কিছুক্ষণ পর সে তার লোকেশন পাকিস্তান বলার পর আমি সেই চ্যাট উইন্ডোটা বন্ধ করে দিলাম।
ভার্সিটিতে উঠে যখন সব অনিভূতির যুক্তি খোঁজা শুরু করলাম, তখন এ পাকিস্তান বিদ্বেষ এর প্রতি যুক্তি খুঁজে পেতাম না। অনেকের অভিজ্ঞতা হয়তো ভিন্ন, কিন্তু আন্তর্জাতিক এক সংগঠনের মাধ্যমে দু-একজন পাকিস্তানির সাথে পরিচয় হল যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্বন্ধে জানে এবং সহমর্মিতা প্রকাশ করে। তখন থেকেই পাকিস্তান বিদ্বেষ কমতে লাগল। ভাবলাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের আমাদের আর্মিও তো কম অত্যাচার করেনি, সে জন্য যদি সব পাহাড়ী আমাদের ঘৃনা করে, তাহলে কেমন লাগবে?
এখন আর সরাসরি বলিনা ১৯৭১ এর জন্য সকল পাকিস্তানিদের ঘৃনা করি। কিন্তু মন থেকে কখনো পাকিস্তান টিম বা পাকিস্তানি পণ্য নিয়ে মাতামাতি করতে পারি না। সব অনুভূতির মনে হয় যুক্তি হয় না।
ছয় বছর আগের লেখা। পরিস্থিতি এখনো তেমন একটা পরিবর্তন হয় নাই। এক হিসেবে আপনার লেখা কালোত্তীর্ন হয়ে যাচ্ছে বলাইদা। পরিবর্তন হয় নাই আমরা পারিনাই বলে। এটা আমাদেরই ব্যর্থতা। তাই এখনও ওদের শীৎকার শুনতে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন