বিজ্ঞান শিক্ষা বন্ধ করা হোক

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: রবি, ১৪/০৯/২০০৮ - ২:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কয়দিন আগে ইত্তেফাকে দেখলাম, কচি নামে একজন জ্বালানি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদনের সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছেন। রিপোর্টার লিখেছেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ ট্রান্সফর্মারের একদিক দিয়ে ঢুকে আরেকদিক দিয়ে বের হয়ে যায়। সমস্যা বের হয়ে যাওয়া নয়। সমস্যা হলো, বের হয়ে যাওয়ার পথে এনার্জি লস করে ফেলে। ডায়নামো ঘুরাইতে তো তখন বাইরে থেকে শক্তির সাপলাই, আকা জ্বালানি সাপলাই দেওয়া দরকার। কিন্তু কচি মিয়ার সিস্টেমে বিদ্যুতের এই সমস্যা নাই। সে (বিদ্যুৎ) একদিক দিয়া ঢুকে আবার চক্রাকারে ঘুরতে থাকবে (কিভাবে ঘুরবে এটা বিস্তারিত বলা নাই, আমি নিজেই ঘুরার সিস্টেমটা পুরা বুঝি নাই। তবে ইত্তেফাকের রিপোর্টারের কথা ভুল হইবে না নিশ্চয়ই।) এবং এভাবে ঘুরতে ঘুরতে ২০% বিদ্যুৎ থেকে ৮০% বিদ্যুৎ নতুন করে তৈরি হবে। কোনো একজন হর্তাকর্তা টাইপ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (এক্সিকিউটিভ) আবার সেই প্রজেক্ট পর্যবেক্ষণ করে এসে হেবি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ডায়াগ্রাম টায়াগ্রায় তৈরি হচ্ছে, অচিরেই জাতিসংঘ আর কোন কোন কোম্পানি শত কোটি টাকা দিয়া পেটেন্ট কিনবে।

যাহোক, কচির জ্বালানিবিহীন বিদ্যুৎ তৈরি সিস্টেম নতুন হইলেও একেবারে নতুন না। পানি দিয়া গাড়ি চলার টেকনোলজি আমাদের আয়ত্তে অনেক আগে থিকা আর কে যেন পাম্প বানাইছিলো যাতে বাইরে থেকে গুতাগাতা না দিলেও অনাদিঅনন্তকাল ধরে ভূগর্ভ থিকা জলোত্তলন চলতেই থাকবে। কয়দিন আগে আরো দেখলাম, কে যেন পানি(নাক বায়ু?)চালিত বিমানও বানিয়ে ফেলেছে। সুতরাং আমাদের বাংলা টেকনোলজির জগতে এটা ঠিক পাইওনিয়ার না। সেই বিষয়ে আমি কথাও বাড়ামু না।

কথা হইলো অন্যখানে। মহাবিজ্ঞানী কচির মোটিভেশনটা খুব মনকাড়া, অনেকেরই দৃষ্টি এড়ায়া গেছে, অনেকের এড়ায়া যায় নাই, তবে ব্যাপারটা এখনতক ঠিকঠাক ফোকাস পায় নাই। এই যুগান্তকারী, মতান্তরে শতাব্দান্ত্তকারী কিংবা সহস্রাব্দান্তকারী আবিষ্কারের পিছনে প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাহীনতা। কচি যদি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হইতেন, তাইলে কার্শফ আর ওহম আর ম্যাক্সওয়েলের ফর্মূলার আবর্তে ঘুরপাক খাইতেন, বিদ্যুৎ যে ঘুইরা ঘুইরা স্ব-উৎপাদন করতে পারে, এই জিনিস তার মাথায় আসতোই না।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মানুষের সৃজনশীলতাকে নষ্ট করে দেয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে যত দূরে থাকা যাবে, মাথা ততোই খুলবে, ততোই নতুন নতুন আবিষ্কারে নিয়োজিত হবে আমাদের মেধা।

আশার কথা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের - প্রজাদ্রা নির্বাচিত হোক আর 'প্রজার স্বার্থে' স্বনির্বাচিত হোক - শিক্ষাবোর্ড এই ব্যাপারে অধুনা খুব সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছেন। একমুখী শিক্ষাপ্রকল্প কতোগুলো ঝামেলাসৃষ্টিকারীর ঝামেলার মুখে ঝামেলায় পড়ে অকালে অক্কা পেলেও শিক্ষাবোর্ডগুলো দমে যান নি। ছাত্ররা যেন পড়াশুনা করে করে তাদের মেধার সৃজনশীলতা নষ্ট না করে, সেজন্য তাদেরকে অল্পচাপের ওপরে পাশ করিয়ে সৃজনশীল কাজের জন্য বেশি সময় ব্যয়ের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। এখন ৩ সাবজেক্টে ৪ পেয়েও জিপিএ ৫ উঠানো যায়। কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অ্যাডমিশন টেস্টের ক্যাচাল দূর করা হয়েছে। ভর্তিপরীক্ষার জন্য পড়াশুনা না করে ছাত্ররা যেন চিল্লায় যাইতে পারে, চিল্লায় গিয়া ধর্মীয় আবেশে মন শান্ত করে জ্বালানীবিহীন শক্তি নিয়া চিন্তা করতে পারে তার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়।

চীনদেশে ১৯৮০ সাল থিকা এক সন্তান আইন চালু হয়েছে। তারপরেও অনেক ক্যাচাইল্যা পাবলিক একাধিক সন্তান নেয়। সন্তান একবার নিয়া ফেললে আর কি করা? তবে রাষ্ট্র আর্থিক শাস্তির নিশ্চয়তা বিধান করে। আমাদের চোখ একটু বড় হতে পারে; কিন্তু আমরা বাঙালিরাও চীনাদের থেকে কম যাই না। এই যে এত চেষ্টা করা হচ্ছে পোলাপান যাতে পড়াশুনা করে সময় এবং সৃজনশীলতার অপচয় না করে, তারপরেও কিছু বেয়াড়া পোলাপান ডিম থিকা ফুইটা বাইরাইয়াই বইপত্র হাতে নিয়া এবিসিডি শুরু করে দেয়। দেখা যায়, সাবালক হওয়ার আগেই এসএসসি পাশ দিয়া ফেলছে। এদেরকেও সময়মতো ধরার সিস্টেম বের হয়েছে। কলেজে ভর্তির সময় কমবয়সী আকাইমাদেরকে লোপ্রায়োরিটি ব্ল্যাকলিস্টে রাখা হয়।

ইউনিভার্সটিগুলা এতদিন একটু ঝামেলা করতেছিলো। বাঙালি আধুনিক হইতে পারে না। তবে সরকার থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে আধুনিকীকরণের। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলা এক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তারা ছাত্রদের সৃজনশীলতার মূল্য দেয়। অ্যাডমিশন টেস্ট নিয়া ঝামেলা করে না অনেকেই। কিন্তু পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলা বরাবরই বেয়াড়া। এগুলারে টাইট দিতে মাশাআল্লাহ জিপিএ৫ এর বাম্পার ফলন করা হয়েছে। এবার বাচাধনেরা যাইবা কই? হাজার দশেক জিপিএ ৫ একই রেজাল্ট নিয়া অ্যাডমিশন টেস্ট দিতে চাইলে তোমাগো কম্ম কাবার হয়া যাইবো। তার চাইতে বয়স সিস্টেমে আসো, ভাইবা সিস্টেমে আসো। পোলাপাইনরে মাস ছয়েক ধইরা কোচিংয়ে দৌড়াদৌড়ি করাইয়া বইপত্র গিলাইয়া সৃজনশীলতা নষ্ট করার পায়তারা কেন?

তাও মানবিক বিভাগ হইলে কোনো কথা নাই। হরতাল, রাজনীতি, খুনাখুনি, ছিনতাই, রেইপজাতীয় মানবিক বিষয়গুলায় আমাদের সৃজনশীলতা মাশাআল্লাহ আন্তর্জাতিক লেভেল থিকা অনেক উপরে। এইগুলায় পোলাপান বই পইড়া টাইম লস করলেও ক্ষতি নাই। কিন্তু বিজ্ঞান আর টেকনোলজিতে আমরা যে এখনও শিশু। এই ফিলডে উন্নতি করতে হইলে আমাদের সৃজনশীল হইতে হবে আর সৃজনশীল হওয়ার জন্যই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পিছনে টাইম লস করে সময় নষ্ট করা জাতির জন্য বিশাল ক্ষতিকর ব্যাপার। সৃজনশীল বিজ্ঞানী কচি তা হাতেকলমে দেখিয়ে দিয়েছেন। এরপরেও বসে থাকা কেন? টাইম ইজ মানি। স্কুল-কলেজ ইউনিভার্সটিগুলাতে অনতিবিলম্বে বিজ্ঞান শিক্ষা বন্ধ করা হোক।

(সহস্রাব্দান্তকারী আবিষ্কারগুলোর রেফারেন্সগুলা পরে যোগ করা হবে)


মন্তব্য

আরিফ জেবতিক এর ছবি

বিজ্ঞান শিক্ষা বন্ধের আহ্বানে ঐক্যমত ।

তবে আলোচ্য পোস্টে অচ্ছুৎ বলাই বিজ্ঞান শিক্ষা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শুধুমাত্র মানবিক বিভাগের লেখা পড়া জারি রাখার পরোক্ষ ইন্ধন দেয়ায় তার নিন্দা জানাই । দেশ ও জাতির সেবায় মানবিক বিভাগেরও অনেক করণীয় আছে । সুতরাং হালকা পাতলা পড়ার পরে তাদেরকেও দেশ সেবার সুযোগ দেয়া উচিত ।

যেমন ধরেন গ্রাজুয়েট কোর্সে ইসলামী শিক্ষা , ইসলামের ইতিহাস এ ধরনের কিছু জ্ঞানী সাবজেক্ট আছে ( আমার কোন একটা জানি ছিল সাবসিডিয়ারি ) সেই সাবজেক্টে ৭টা প্রশ্ন পড়লে ( শিখলে নয় , একবার পড়লেই ) ৫টা কমন পড়ে । আনসার করার সময় শুধু একটা ফর্মুলা মেনে চলতে হয় যে প্রত্যেক ৪ নাম্বারের জন্য এক পৃষ্ঠা বরাদ্ধ । ২০ নম্বরের জন্য ৫ পৃষ্ঠা কমপক্ষে লিখতে হয় । সময় থাকলে আরো বেশি লিখতে পারেন ।
খাতার ওজনের উপর নম্বর নির্ভরশীল , লেখার উপরে নয় ।

সুতরাং এইচএসসি পরীক্ষার বন্ধের সময় এ বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে । এবং এইচএসসির সাথে একই সাথে রেজাল্ট দেয়া যেতে পারে । তাহলে অল্প সময়ে ছেলেরা গ্রাজুয়েট হয়ে বিসিএস দিয়ে আমলা হয়ে দেশের কাজে নিয়োজিত হতে পারবে ।

পলিটিক্যাল সায়েন্স নামে যে সাবজেক্ট আছে সেটা না পড়ে ডিগ্রীগুলো বিদ্যমান ছাত্রসংগঠনের নেতাদের মাঝে বিলিবন্ঠন করে দেয়া যেতে পারে । যে সংগঠনের প্রভাব বেশি তারা ফার্স্টক্লাসগুলো পাবে । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির , ঢাকায় ছাত্রলীগ ছাত্রদলের মাঝে ফার্সটক্লাসগুলো বিলি বন্ঠন করে দেয়া হবে । এদের রেকমেন্ডেশনে অন্যরা ডিগ্রী পাবে ।

কারন বাংলাদেশে অন্য দেশের পলিটিক্যাল সায়েন্সের মতবাদগুলো পড়ানো অবান্তর । আজীবন প্রেসিডেন্ট খালেদা জিয়ার কাছে কোন ফর্মুলাই কাজে আসবে না , মুলা হিসেবেই ঝুলে থাকবে । তার চাইতে দেশী ফর্মূলা প্রয়োগ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে ।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

খাঁটি কথা ... বিজ্ঞান পইড়া কি হবে ... তার চেয়ে ধর্মশিক্ষার সেকেন্ড পেপার আনা হোক দেঁতো হাসি
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

শিক্ষানবিস এর ছবি

ইক্কিবারে ঠিক কথা। সহস্রাব্দান্তকারী আবিষ্কারের পরিমাণ বাড়ানোর জইন্য ক্লাশে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় আরাধনার ব্যবস্থাও রাখা উচিত। দিল ঠিক থাকলে এইরম আবিষ্কার ফুঁ দিলেই বাইর হবে। দেঁতো হাসি
সেইরম লেখছেন ভাই.....

হিমু এর ছবি

দেশের শিক্ষাব্যবস্থার এমন চিকিৎসা বাতলে দেবার জন্যে বলাইকেও চিকিৎসায় নোবেল দেবার তীব্র দাবি জানাচ্ছি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি তো শতকোটি টাকার অফারের কথা পড়ে ভাবছিলাম কচি ভাই কিছু একটা হয়তো সত্যিই করেছেন। পত্রিকাগুলো এমনভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে তা বুঝতে পেরে অবাকই হচ্ছি। এই রিপোর্টারকে অভশ্যই একটা পুরস্কার দেয়া দরকার।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমিও নুবেল চাই। কমেন্ট সিস্টেমে নুবেলের প্রথা চালু নাই ক্যান জবাব চাই নুবেল কমিটি।
বলাই ভাইকে জাঝা
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হিমু এর ছবি

আমি রসায়নে চাই। কারণ কোন ধরনের রাসায়নিক আবিষ্কার করে আলফ্রেড নোবেলকে টপকানোর অপচেষ্টা আমি করছি না। এই যে রাসায়নিক গবেষণা থেকে বিরত থেকে পৃথিবীর একটা উপকার করে চলছি, এর একটা স্বীকৃতি তো চাই।

আমি এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে নোবেল পাওয়ার সাথে সাথে আমি রাজনীতিতে নামবো এবং চালনা বন্দরকে উন্মুক্ত করার জন্য জান লড়িয়ে দিবো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দোস্ত , বন্দর কি তুই একলাই খুলবি, আমারে দিবি না?
আমি নুবেল পাইলে কি তাইলে বন্দর বাণিজ্য করতে পারুম না? আমারে ঐ রমের একটা বন্দরের নাম ধার দে না, মাথায় তো মংলা ছাড়া আর কিছুই আসে না। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হিমু এর ছবি

নিশ্চয়ই ধার দিবো দোস্ত। আফটার অল আমি তোর গুরুজন। লোকাল গার্জেন। তোর বিপদে যদি আমি পাশে না দাঁড়াই, পোঁদে দুইটা লাথি না মারি, হবে?

জলবন্দর নিয়ে খামাখা টানাহ্যাঁচড়া করিস না। স্থলবন্দরে হাত দে। ম্যাপে দেখ। বামে বেনাপোল, ডানে টেকনাফ। উপরে ওঠ। বুড়িমারি, চিলমারি, হিলি ... বন্দরে বন্দরে গিজগিজ করতেসে। যেকোন একটা বর্গা দেয়ার অঙ্গীকার কর। একদিন না একদিন নোবেল তো জরুর মিলবে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রেনেট এর ছবি

আমি অর্থনীতিতে নোবেল চাই। কোন অর্থ না থাকার পরেও কত বুদ্ধি খাঁটিয়ে আন্ডারগ্রেড শেষ করে ফেললাম...
আমাকে নোবেল দেতেই হবে, দেতেই হবে, দেতেই হবে
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মজা পাইলাম। হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দ্রোহী এর ছবি

হ! বিজ্ঞান শিক্ষা বন্ধ করা হউক।

আমি আর পড়তাম চাই না।


কী ব্লগার? ডরাইলা?

শামীম এর ছবি

অত্যন্ত দরকারী পোস্ট। পেপারে পড়েই একচোট হাসি ... এর আগেও এটা নিয়ে রিপোর্ট হয়েছিল।

নোবেলটা ফিজিক্সে হতে পারে। কারণ ওটার মূলসূত্রই এখানে প্রশ্নের সম্মুখিন ... এছাড়া সাংবাদিককেও ফিজিক্সে অনারারী ডিগ্রী দেয়ার প্রস্তাব করলাম।

(বিপ্লব)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমি ছোটবেলা জ্বালানি এবং ইঞ্জিন ছাড়াই একটা জাহাজ আবিষ্কার করে ফেলেছিলাম
কাগজ দিয়ে জাহাজ বানিয়ে তার ভেতরে একটা চুম্বক ঢুকিয়ে দিয়ে খালের পানিতে ছেড়ে দিতাম
তারপর একটা লোহার তার হাতে নিয়ে খালের পাড় ধরে হেঁটে যেতাম আর বিনা তেলে- বিনা ইঞ্জিনে সেই জাহাজ আমার পেছন পেছন আসতো...

এখন মনে হচ্ছে তখন আমার একটা পুরষ্কার দাবি করা উচিত ছিল...

nodi এর ছবি

ঠিক কথাই বলেছেন।

বিজ্ঞান শেখার কোন দরকার নাই|কেবল ঝাঁড়ফুক দিলেই সব সমস্যার সমাধান|কয়েক বছর আগে এক রাজনৈতিক হুজুর নেতা বলেছিলেন, "চাইলে আমরাও চাঁদে যাইতে পারি"|তবে বলেন নাই- কিভাবে? সম্ভবত
ঝাড়ফুক technology দিয়ে| আসুন আমরা "ঝাঁড়ফুক university" উদ্বোধন করি|ভয়ের কোন কারন নাই - শিক্ষকের কোন অভাব হবেনা | আমাদের Technical আর non-Technical সব university-তেই কমবেশী ঝাঁড়ফুক শিক্ষক আছেন| আর specialist distinguist visiting শিক্ষক হিসাবে বৈজ্ঞানিক রাজনৈতিক হুজুর নেতারা তো আছেন-ই|কাজেই "ঝাঁড়ফুক university" উদ্বোধনের প্রথম "ফু" দিয়ে রাখলাম| প্রথম "ফু"র জন্য নোবেল পাওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে?

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ঠিক কইছেন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সৌরভ এর ছবি

ধর্মশিক্ষা চালু করা হোক।
বাথরুমে যাওয়ার দোআ, ঘুমানোর দোআ - এগিলি ভুলে গেছি।
মকসুদুল মোমেনিন পাঠ্যবই বানানো হোক।



২৭. বেহেস্ত যাওনের খায়েশ হগ্গলের, আপত্তি শুধু মরনে


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

রায়হান আবীর এর ছবি

এই জন্যই আমি পড়ালেখা বাদ দিয়া খালি ঘুম পাড়ি। আমারে দিয়াই হবে...

বলাইদা লেখা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ।

=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

সবজান্তা এর ছবি

০১

আমার প্রচন্ড খারাপ লেগেছিলো ওই আবিষ্কারের পর। যদিও সাংবাদিকদের জানা উচিত যে, এটা ধাপ্পাবাজি কি না, তবুও তাদের না হয় মাফ করে দিলাম। কিন্তু চট্টগ্রাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক কিভাবে বলতে পারেন,ব্যাপারটা বিস্ময়কর। ঠিক বুঝতে পারছি না কি ভাবে হচ্ছে।

একজন শিক্ষক হয়ে কিভাবে তিনি এমন একটা অবাস্তব, অযৌক্তিক আর অবৈজ্ঞানিক কাজকে পরোক্ষ কম্পলিমেন্ট দিলেন ? যারা বিজ্ঞানের ছাত্র নন, তাঁদের কেউ যদি ভেবে বসেন যে সত্যি তাহলে বিচিত্র কিছু ঘটেছে, তাঁকে কি দোষ দেওয়া যাবে ?

০২

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞান এবং কমন-সেন্স দুটোই কমে শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে।

বাথরুমে ফ্ল্যাশের লাইন দিয়ে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি, কিংবা রাগিব ভাই এর দেওয়া উদাহরণগুলি তো এখন বিখ্যাতই। তবে সবচেয়ে মজা পেয়েছি গত শুক্রবারের দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ক্রোড়পত্র পড়ে। ক্রোড়পত্র ছিলো ক্যারিয়ার বিষয়ক। সেখানে ক্যারিয়ারের জন্য একটি লেখাতে সাইবার ক্যাফে ব্যবসাকে উৎসাহিত করা হয়েছে - খুব ভালো কথা। পত্রিকাটা ফেলে দিয়েছি, তবে একটা ইন্টারেস্টিং লাইন এখনো খেয়াল আছে। যেমনঃ

" এ ব্যবসার জন্য কম্পিউটার এর পাশাপাশি লাগবে হার্ডডিস্ক, প্রসেসর,র‌্যাম, মাদারবোর্ড, ইন্টেল ........."

সাংঘাতিক ভাইকে জিজ্ঞেস করা দরকার, কম্পিউটারের পাশাপাশি যদি এগুলো লাগে, তাহলে কম্পিউটার জিনিশটা আসলে কী ? শুধু মনিটর মানেই কম্পিউটার ? আর সবচেয়ে অবাক করা প্রশ্ন, ইন্টেল টা কোন যন্ত্রাংশ ?

নূন্যতম জ্ঞান না নিয়ে আবজাব সাংবাদিকতা করতে আসার ফল কি আজকাল তা ভালোই বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশের পত্রিকা পড়লে।


অলমিতি বিস্তারেণ

সুমন চৌধুরী এর ছবি

বিজ্ঞান শুটিংক্লাব খোলা হোক।



অজ্ঞাতবাস

পুতুল এর ছবি

হক কতা!
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই পোস্টটা লিখছিলাম সুমনের বাসায় দাওয়াত খাইতে গিয়া। সবাই যখন রান্নায় বিজি, তখন ফাঁকতালে মিনিট বিশেকের ছুটি নিয়া, সেই যে লিখলাম আর এদিকে মনোযোগ দেয়া হয় নাই।

সবার সচেতন মন্তব্য ও আলোচনা ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।