তবু বেঁচে আছি, দ্যাখো তবু বেঁচে আছি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: রবি, ১৯/১০/২০০৮ - ৯:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

আমি নিজের প্রফেশনাল লাইফ নিয়া কিছু লিখি না, না সচলে, না অন্য কোথাও। প্রফেশনাল লাইফ বলতে এখনও সেই চিরাচরিত স্টুডেন্ট লাইফ। নিয়মিত পরীক্ষার দায়টা এখন আর নেই, পাস-ফেলের সমীকরণটা একটু অন্যরকম, তবুও ঠুটো জগন্নাথের মত ছুটে চলা ক্যারিয়ারের পেছনে, সময়ের আগে আগে। এই জীবনটা কখনও ভালো লাগে নাই। গত ত্রিশ বছরের অভ্যাসেও ভালোলাগায় হেরফের আসে নি। ক্রিকেটের মাঠে ঘামে ভেজা শরীরে ক্লান্তিকে জয় করে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নিতে যতোটা উৎসাহ, ঠিক ততোটাই নিরুৎসাহ পড়ার বইয়ের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকায়। জ্ঞানার্জনের অতি উৎসাহ তাই কখনোই ভর করে নি আমার ওপর, সখ্যতা জমে নি নিউটনের ফর্মূলার সাথে। এইম ইন লাইফের মারপ্যাঁচে জীবনের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া জীবনেও আগ্রহ পাই নি কখনও।

তবুও জীবন কাউকে ছাড়ে না হয়তো। হয়তো কোনো অদৃশ্য লোভ, কোনো অদৃশ্য ভয়, কোনো অদৃশ্য ক্লান্তির নিরাশা, কোনো সহজলভ্য প্রেমের স্বপ্ন জীবনকে চালিয়ে নেয়, জানা-অজানায় জীবনের দাস হয়ে যাই, দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান শেকলে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো বাঁধন মুক্ত হতে হতেই জীবনের চলায় সমাপ্তি আসে। বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হয়, জিপিএর অর্থহীন সংখ্যাটা সাফল্যের সূচক হয়, নামের আগে অর্থহীন বিশেষণ যোগ করার অনিয়ন্ত্রিত শ্রমের কাছে দাসখত লিখে দিতে হয়।

২.

গত এপ্রিলে প্রফেসর একটা কল-ফর-পেপারের ইমেইল ফরোয়ার্ড করেছিলেন, গুরুত্ব দেই নাই। জুলাইতে আবার ফরোয়ার্ড করে বললেন, ওখানে পেপার জমা দিতে। এমনিতে কামলার কাজ করতে করতে জান শেষ, এর মধ্যে পেপার লেখার ধৈর্য্য নাই। কিন্তু কনফারেন্স খুলনায়, ডিসেম্বরে। ডিসেম্বরে দেশে যাওয়ার প্লানের সাথে মানিয়ে যাওয়ায় সপ্তাহ দুয়েক খেটেখুটে একটা ম্যানুস্ক্রিপ্ট দাঁড় করিয়ে ফেলি। যথাসময়ে জমা দিয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচি।

কনফারেন্সের উদ্যোক্তা KUET, সাবেক খুলনা বিআইটি। যথারীতি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স। প্রোগ্রাম কমিটির হেড ডঃ এম এ করিম। ভদ্রলোকের সম্পর্কে কোথাও কোনো ব্লগে পড়েছিলাম, তিনি কোনো একটি বিশাল জিনিস আবিষ্কার করেছেন। খুবই ভালো সংবাদ। বিদেশে বাংলাদেশী ছাত্র এবং প্রফেশনালদের সাফল্য বাংলার মুখ উজ্জ্বল করে। প্রত্যেকটা প্রবাসী বাঙালিই এক একজন অ্যাম্বাসেডর। করিম সাহেবের সম্পর্কে আরেকটু খোঁজ নিয়ে জানা গেলো রিসার্চে ভদ্রলোকের সম্পৃক্ততা দারুণ। ওডিইউতে তিনি 'Vice president for research'.

পেপার অ্যাক্সেপ্টেড নাকি রিজেক্টেড হলো, সেই আমলনামার ডেডলাইন ছিলো গত ১০ তারিখ। দেখি কোনো ইমেইল নাই। এদিকে কনফারেন্স সাইটে লিখা আছে, এই কাম উনারা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছেন। অর্গানাইজারদের একজন খুব করিৎকর্মা, ভালো লোক, উনাকে ইমেইল করলাম। উনি নিজে এই সম্পর্কে কিছু জানেন না, করিম সাহেব শুধু অ্যাক্সেপ্টেড পেপারগুলোর একটা লিস্টই উনাদেরকে পাঠিয়েছেন। তার পরামর্শে করিম সাহেবকে ইমেইল করি।

করিম সাহেবের রিপলাইটা সংক্ষিপ্ত। পেপার রিজেক্টেড হয়েছে এবং সে অনুযায়ী নাকি নোটিফিকেশন পাঠানো হয়েছে। আমি তা না পেয়ে থাকলে উনি দুঃখিত। খুবই ভালো জবাব। এরপরে ফিরতি ইমেইলে আমি রিভিউ কমেন্টগুলো পাঠিয়ে দিতে রিকোয়েস্ট করি। পেপার অ্যাক্সেপ্টেড না হওয়া কোনো বড় বিষয় নয়; কিন্তু রিভিউ কমেন্টগুলো দেখলে আমি বুঝতে পারবো উইকনেসটা কোথায়।

উনার এবারের রিপলাইটায় একটু আশ্চর্য হই। রিভিউয়াররা নাকি লেখকের জন্য কোনো কমেন্ট বরাদ্দ করেন নাই, তাদের কমেন্ট শুধু প্রোগ্রাম কমিটির জন্য। সুতরাং পেপারের অথোর হিসেবে আমার জানার কোনো অধিকার নাই কেন পেপার রিজেক্টেড হলো!

গত ৪ বছরের অভিজ্ঞতায় এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় নি। নিজেও সংখ্যায় অল্প হলেও ২০+ পেপারের রিভিউ করেছি। সাধারণত প্রত্যেক পেপারের জন্য কয়েকটি বিষয়ের ওপরে স্কোরিং করতে হয়, যেমন, পেপারের টেকনিক্যাল কন্টেন্ট কেমন, কনফারেন্সের সাথে মানানসই কেমন, লেখার কোয়ালিটি কেমন ইত্যাদি। শুধু স্কোর দিয়েই খালাস পাওয়া যায় না। স্কোরের সপক্ষে যথোপযুক্ত যুক্তি দেখাতে হয়। পেপারের স্ট্রং এবং উইক সাইডগুলো মোটামুটি টু দ্য পয়েন্টে দেখিয়ে দিতে হয়। পেপার অ্যাক্সেপ্টেড হোক বা রিজেক্টেড, ওই মন্তব্যগুলো লেখকের উদ্দেশ্যেই যায়। অন্তত ২ বা ৩ জন রিভিউয়ারের স্কোরের ওপর ভিত্তি করে পেপার অ্যাক্সেপ্ট করা হবে, না রিজেক্ট করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওভারঅল রিজেক্টেড হলে লেখক মন্তব্য থেকে উইক পয়েন্টগুলোর ওপর কাজ করে অন্য কোথাও সাবমিট করে আর অ্যাক্সেপ্টেড হলে লেখক উইক পয়েন্টগুলোর ওপরে কাজ করে ওই কনফারেন্সেই ফাইনাল ভার্সন জমা দেয়।

সুতরাং অবাক হই ডঃ করিমের উত্তরে। তার রিভিউ প্রসেসের ভ্যালিডিটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা রিকোয়েস্ট করি। তিনি এবার খুব মজার তথ্য দেন। ৫৩৮ টি পেপারের জন্য তার রিভিউয়ার আছে মাত্র ৫০ জন। প্রতি পেপারে ২ জন করে রিভিউয়ার ধরলেও প্রত্যেককে ২২ টি করে পেপার রিভিউ করতে হয়। সুতরাং রিজেক্টেড পেপারে রিভিউয়াররা স্কোর দিলেও কোনো মন্তব্য দেন নাই।

আমি মেজাজ খারাপের মধ্যেও হো হো করে হাসি। স্কোর দিতে হলে রিভিউয়াররা পেপার অবশ্যই ভালো করে পড়ে দেখেছেন। আর তাই স্কোর দিতে পারলে তার সাপোর্টে কয়েক লাইন মন্তব্য লেখা এমন আহামরি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার না। আরেকটা বিষয় করিম সাহেব লক্ষ্য করেন নি। একটি পেপারের রিভিউয়ের কাজটা যেখানে একাধিক লোক করেন, সেখানে কেউ একজন একা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, যে তা গৃহীত হবে, না বর্জিত হবে। সুতরাং পেপারের আপডেটেড ভার্সনের জন্য একজন রিভিউয়ার মন্তব্য দিতে অনেকটাই বাধ্য। সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল ব্যাপার হলো, পেপার অ্যক্সেপ্ট করা ইজি; কিন্তু কোনো পেপার রিজেক্ট করতে হলে সাধারণত খুব ভালো কারণ দেখাতে হয়, না হলে রিভিউয়ের মান নিয়ে টানাটানি পড়ে। সর্বোপরি, একজন লেখক হিসেবে অর্গানাইজারদের লোকবলস্বল্পতার অজুহাত ঠিক আমার কনসার্ন না।

আমার মন খারাপ হয়, ভীষণ মন খারাপ হয়। পেপার রিজেক্ট হওয়ার কারণে নয়। ডিগ্রীর জন্য পর্যাপ্ত পাবলিকেশন এখনই আছে আর সাবমিট করা পেপারের সীমাবদ্ধতাও আছে কিছু। সুতরাং রিজেকশান জাস্টিফায়েড হতেই পারে। এটা কোনো বিষয় নয়। বিষয় হলো যে প্রক্রিয়ায় এরকম একটা কনফারেন্স ম্যানেজ করা হলো, তা যথেষ্ট হতাশার। এই হতাশাটা বুয়েটের অনেক শিক্ষকের প্রতিও আছে। বিদেশ থেকে পিএইচডি ডিগ্রী নিয়ে গিয়েও তারা দেশে গিয়ে প্রফেশনালিজমটা বোঝেন না, ছাত্রদের সাথে কিভাবে কম্যুনিকেট করতে হয়, সেটা বুঝেন না। ডঃ করিমের মত একজন অভিজ্ঞ মানুষ যখন একটা জিনিস এভাবে হ্যান্ডেল করেন, তখন খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করি, আমরা হয়তো আসলে বদলাই না।

৩.

ইদানিং ব্লগ লিখতে ভালো লাগে না। অসম্ভব ব্যস্ততায় সময়ের সাথে প্রতিযোগিতার বিষয়টা আছে। তার বাইরে কাজ করে এক বড় আক্ষেপ; ঠিক হতাশা নয়; আক্ষেপ। শুয়োরের বাচ্চারা আমার নাকের ডগায় আমার পতাকায় হাগু করে যায়, আমি কিছু বলতে পারি না। হায়েনার বংশধরেরা আমার অস্তিত্বে হিসু করে যায়, আমি চিৎকারও করতে পারি না। কিছু কুত্তার বাচ্চা অবৈধভাবে বছরের পর বছর ক্ষমতার চেয়ার আঁকড়ে ধরে, কিছু খানকির ছেলে সেই কুত্তার বাচ্চাদের জন্য প্রশস্তিগাঁথা রচে যায় পত্রিকার পাতায়, ব্লগের পাতায়, আজিজের আড্ডায়। আর এই কুত্তা এবং খানকির ছেলেরা মিলে শুয়োরদের জন্য খোঁয়াড় সাজায় আমার আঙ্গিনায়। ব্লগ লিখতে ভালো লাগে না আর। এখন চাই অস্ত্র। এখন সময় আবার যুদ্ধের।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

ভাল্লাগেনারে দাদা।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অসহায়ত্বের অনুভূতি খুব খারাপ। মন খারাপ
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রাফি এর ছবি

দেশের বাইরে যাওয়ার ধান্দায় আছি তো তাই বৈদেশী পোস্ট বেশ আগ্রহ সহকারে পড়ি। আপনার লেখাটা পড়ে মন খারাপ হল।

আর শেষ প্যারাটা পড়ে আফসোস ছাড়া আর কিছুর সংগী হতে পারলাম না; আমাদের সময় এখন যুদ্ধের।
কিন্তু শত্রুকেই চিনতে পারছি না আমরা!!! এই হতাশা রাখব কোথায়।
*****

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মন খারাপ করবেন না। এখানে হয়তো খারাপ দিকটা উঠে এসেছে, তবে এর বাইরে ভালো দিকের উদাহরণও অনেক। যার শেখার, সে শেখে।

শত্রুকে একটু চোখ-কান খোলা রাখলেই হয়তো চেনা যায়। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আলমগীর এর ছবি

বলাই দা
করিম সাহেব খুবই বড় লোক। ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সের সবচেয়ে ভাল বইটা তার লেখা। তার পেশাদার ক্যারিয়ারের সাফল্য নিয়ে কোন প্রশ্ন নাই।

এবার আইসিসিআইটি:
কেবল এই কনফারেন্সটাই রেগুলার আমাদের দেশে হয়। রাউন্ড-রবিন ফ্যাশনে এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। আয়োজনে যুক্ত ছিলাম একবার, আরেক বার মাত্র পেপার দিয়েছিলাম। কী বলব। কেবল পাবলিকেশন করতে হবে, অমুক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অতটা পড়ছে, আমাদের অন্তত এতটা সাবমিট করতে হবে- এই হল হিসাব। একবার এক্সেপটেন্সে নাকি কোটা চালু করছিল কোন এক আয়োজক (রাগিবের মতে)।

কিছু কনফারেন্স আছে, পেপার রিজেক্ট হলে কোন কমেন্ট দেয় না। অধিকাংশই দেয়। এবং অধিকাংশ রিভিউয়ার একটু সময় ব্যয় করেই রিভিউ করে।

আমার আক্ষেপ অন্যত্র। ইদানিং রেজিস্ট্রেশন ফি এত বেড়ে গেছে যে, এখন কনফারেন্স আয়োজন অনেকটা ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বড় লোকের রেস্পন্সিবিলিটি আর কমনসেন্সও বড় হওয়া উচিত। আমাদের এই জিনিসটার অভাব খুব।

আসলে কোটা সিস্টেম চালু করলেও (অ্যাক্সেপ্টেড পেপারের লিস্ট দেখলে সেরকমটাই মনে হয়) আমার তেমন আপত্তি নেই। কিন্তু সেটা জানিয়ে দিতে হবে কল-ফর-পেপারেই। দেশের ছাত্রদেরকে অগ্রাধিকার দিলে, তা যদি তাদেরকে রিসার্চ ওয়ার্লডের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, আপত্তি নেই। কিন্তু সেই কোটা সিস্টেমটা চোরাই পদ্ধতিতে হলে প্রবলেম। সাব-স্ট্যান্ডার্ড 'নো রিসার্চ' পাবলিশড হলে সেটা শিক্ষার মানোন্নয়নে কোনো কাজে আসে না।

রিভিউয়ার কোয়ালিফায়েড এবং নিজের রিভিউয়ের ওপর কনফিডেন্ট হলে অবশ্যই সেটা লেখককে বলবে। এটা না বললে বুঝা যায়, কোথাও ঘাপলা আছে।

রেজিস্ট্রেশন ফি'র ধাক্কাটা অবশ্য আমাকে এখনও পোহাতে হয় নি। পরফেসর ভালা লুক, প্রোজেক্টের বাজেট থেকে ম্যানেজ করে ফেলে। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বাংলাদেশে কনফারেন্সে যতদুর মনে পড়ে আয়োজক ইউনিভার্সিটিকে যেমন-ইচ্ছে-তেমন সুবিধা দেয়া হয় পেপার পাবলিশ করার ক্ষেত্রে। অর্থাৎ এইটা KUET এর একটা প্রোমোশনাল ইভেন্ট। শুধুমাত্র KUET এর নাম দেখলেই পাবলিশ হবে এরকম ব্যাপার অনেকটা।

আপনার স্কোর কি দিয়েছে তারা? আমার তো মনে হয় না দেখেই ট্র্যাশে ফেলে দিয়েছে পেপারটা।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

স্কোর দেয় নাই। করিম সাহেবের ইমেইলে লোকবল ঘাটতির ইকুয়েশন দেখে ট্রাশে ফেলে দেয়ার বিষয়টাই সম্ভাব্য মনে হয়।

বলতে পারবে, ৫৩৮টা পেপার থেমে মাত্র ১০০ সিলেক্ট করা হয়েছে। সিলেক্টেড পেপারের কোয়ালিটি তাই মারাত্মক!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সৌরভ এর ছবি

বেঁচে আছি এইভাবেই।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই দিন দিন না, আরো দিন আছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে বাঙালি খুব সুবিধার না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মূলত পাঠক এর ছবি

অ্যাকাডেমিক জগতে এই জাতীয় ঘটনা ভারতেও কিছু সুদুর্লভ নয়, হয়তো সত্যিই আমাদের প্রফেশনালিসম আসেনি পুরোপুরি। উপমহাদেশের লোকেদের একটা গুণ এই যে আমরা খুব ফ্লেক্সিবল ও অ্যাডাপটিভ (ইংরেজি শব্দই লিখলাম, দু:খিত)। এ হয়তো তার একটা খারাপ দিক, আমরা বিলেত আমেরিকায় থাকতে ওদের মতো প্রফেশনাল হই, আবার দেশে ফিরে গেলে পুনর্মুষিক ভব।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এটা একটা ভালো অবজার্ভেশন। দেশের বাইরে উপমহাদেশীয় কোনো প্রফেসরের আন্ডারে কাজ করলে সম্ভবত পার্থক্য খুব ভালো বুঝা যায়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কী আর করা যায়?
রাতটা কাটায়া দিই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সকালের প্রস্তুতি দরকার।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আরিফ জেবতিক এর ছবি

স্কুলে ধর্মশিক্ষা স্যার বলতেন , যাই করিস না কেন , গোটা গোটা হরফে লিখবি আর কয়েকটা লুজ শিট লাগিয়ে দিবি । মনে রাখবি , ধর্মশিক্ষায় খাতা দেখে মার্ক হয় না , ওজন দেখে ।
আমাদের স্যার খুব বিজ্ঞ ছিলেন , স্কুলের প্রায় সবাই ধর্মশিক্ষায় লেটার পেয়েছিলাম ।

পোস্টের সাথে এই মন্তব্যের কোন সম্পর্ক নেই , তবু হুদাই মনে পড়ে গেল ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মন্তব্যের সম্পর্ক তো আছেই। চোখ টিপি
তবে ঘটনা হলো, ওখানে পেপার জমা দিতে বলা হয়েছিলো অ্যানোনিমাস হিসেবে। বজ্র আঁটুনি, .....

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন সুপান্থ এর ছবি

এখন সময় আবার যুদ্ধের

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বাঙালির দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে কিছুতেই আটকে রাখতে পারে না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সবজান্তা এর ছবি

জীবনের কোয়ার্টার সেঞ্চুরি পর্যন্ত আসতে না আসতেই সার সত্য বুঝে গিয়েছি, জীবন আসলে অর্থহীন, বেঁচে থাকা আসলে কায়িক পরিশ্রম আর সবুজ বাঘের ভাষায় পৃথিবীটা আসলে ভ্রান্ত ধারণা।

জীবনকে আর আগের মত ভালোবাসি না হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

তারপরেও তো জীবন বলে কথা। ভালো না বেসেই বা কি হবে?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তখন খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করি, আমরা হয়তো আসলে বদলাই না।
তাই তো মনে হচ্ছে। তবে দেশে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। সেরকম লিডারের অভাব সবখানেই যারা এসব অতিক্রম করতে পারে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সমস্যা হলো অন্যায়কে রীতিতে পরিণত হতে দেওয়া। দেশে যে স্মার্ট লোকজন নেই, তা না। কিন্তু স্মার্টনেসের চর্চার অভাব অনেক।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কি হইছে?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কবি এর ছবি

আন্দাজ করে মনে হচ্ছে, আপনার পেপার তো মনে হয় রিভিঊ-ই করেনি।
আ করিম সাহেব এর ICCIT এ দেয়া এক লে্কচারে পেপার রিভিঊ নিয়ে লোক স্বল্পতার কথা বলেছিলেন।

Reviewer রা ভলান্টিয়ারি ভাবে দেখেন। সোজা কথা দায়সারাভাবে।

ফলে যা হবার তাই হয়, মানের অবনমন। সেই সাথে আপনার মত লেখকেরা হন সিস্টেমের বলি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পেপার রিভিউটা ভলান্টিয়ারি। কিন্তু রিভিউয়াররা প্রফেশনাল হওয়া উচিত। কোনো অজুহাতেই দায়সারাভাবে রিভিউ গ্রহণযোগ্য সমাধান না।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সচলে এতদিনে একজন 'কবি' পেলাম। আপনার লেখা পড়তে হবে। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

শেষ প্যারাটির জন্য সশ্রদ্ধ অভিনন্দন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সন্ন্যাসীদা, অনেক ধন্যবাদ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

(দীর্ঘশ্বাস)

-

আপনাকে মিস করি বস...।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

জীবন আসলে অর্থহীন, বেঁচে থাকা আসলে কায়িক পরিশ্রম আর সবুজ বাঘের ভাষায় পৃথিবীটা আসলে ভ্রান্ত ধারণা।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

তবুও জীবন বলে কথা!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অমিত আহমেদ এর ছবি

প্রোফেশনালিজম বাংলাদেশে দূর্বলতা হিসেবে দেখা হয়। কোনো অফিসে যান। দেখবেন হাতে কাজ না থাকলেও সে আপনাকে বসিয়ে রাখবে। এতে তাদের দাম বাড়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেগুলেশন মেনে কিছু করতে গেলে আপনি হয়ে যাবেন আবাল। কনফারেন্সের যা গল্প বললেন তা না হলেই অবাক হতাম। বিদেশে গেলে এরাই যে আমূল বদলে যাবে এ কথাটিও ঠিক।

আর ভাইরে। নিজেকে মনে হয় হাত-পা বেঁধে সিন্দুকে ভরে রেখেছে কেউ। কি করবো। কি হবে। ভাবলেই কেমন জানি লাগে... কেমন।

জোর করে হলেও লেখেন। আপনাদের উপস্থিতিতে একটু জোর পাই মনে।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সেইটাই। বসিয়ে না রাখলে 'ওয়েট' বাড়ে না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফ্রুলিক্স এর ছবি

উল্টো মন্তব্য:
চান্সে দেশে যাইবেন?? আ: করিম সাহেব বুঝেই বাতিল করছে হাসি

আমি ৯৬/৯৭ এ ঢাকা ইউনির ICCIT কিছু কাজে অংশ নিয়েছিলাম। পুরোটাই আমার কাছে গাজা মনে হয়েছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ফ্রিলিংক, এই ইনফোটা ২ মাস আগে দিলে আমার অনেক পরিশ্রম বাঁচতো। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রণদীপম বসু এর ছবি

শ্যামল মিত্রের সেই গানটা মনে আছে তো ?
'জীবনখাতার প্রতিপাতায় যতোই করো হিসাব নিকাশ, কিছুই রবে না...'

কোথাও পেলে শুনে নিন। মন ভালো হয়ে যাবে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হুম, আজ মরলে কাল ২ দিন। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।