বদিউল আলম বদুর সাথে আমার প্রথম ক্যাচাল লাগে শবে বরাত নিয়া। বদি খুব নরম-সরম ছেলে, ভার্সিটিতে একলগে পড়তাম, বেশি যোগাযোগ ছিলো না। আমার উঠাবসা প্রায়ই খারাপ ছেলেদের সাথে, যারা বাজে কথা বলতে পারে, তবে উপরে ভদ্রতার মুখোশ দিয়া পিছন থেকে পিঠে ছুরি মারে না। ক্রিকেটের মাঠে 'নো বলে উইকেট' ক্যাচাল নিয়া রক্তারক্তি মাইরপিটের পর আবার পক্সের রোগী আমাকে জড়িয়ে ধরতে দুইবার চিন্তা করে না। সেই দিনগুলা নাই, বন্ধুগুলা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, মাঝখানে যোগসূত্র এক ইয়াহু গ্রুপ; আর সেই ইয়াহু গ্রুপে এক শবে বরাতের আগে আগে দুইখানা অ্যাটাচমেন্টসহ বদির ইমেইল।
আমি ব্যাপক অলস মানুষ। চোখের দুই ইঞ্চি সামনে পিছন দিয়া ঘটনা চইলা গেলেও আমি অলস একটা ভঙ্গি লইয়া চক্ষু বন্ধ কইরা আকাশ পাতাল ভাবার ভান করে আসলে মাথার ভিতর থিকা কাজের কোনো চিন্তা থাকলে তাও ফাঁকা করে দেই। তবে কখনো সখনো কোনো ব্যাপারে আগ্রহ দেখাইলে আজন্ম গোঁয়ার আমি আবার একটু বেতাল হইয়া যাই। বদির ইমেইল দুর্ভাগ্য বা সৌভাগ্যক্রমে আমার ভিতর সেই আগ্রহের জন্ম দিলো। তার অ্যাটাচমেন্ট খুলিয়া পড়িতে লাগিলাম। ইসলামের নামে গাঁজাখুরি বক্তব্য পড়িতে পড়িতে মেজাজ বিলা হইতে লাগিলো। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্ষোভের স্থলে কৌতুক বোধ করিতে থাকিলাম। ছাগ সম্প্রদায় যদি এই অ্যাটাচমেন্ট খানা পড়িতো, তাহা হইলে এমনকি তাহারাও দন্ত বিকশিত করিয়া অট্টহাসি দিতো।
কুরআন-হাদিসে শবে বরাত নাই, এ কথা কেউ বলিলেই সে কাফের, পবিত্র শবে বরাত পালন করা খাছ সুন্নত, শবে বরাত নিয়া ইহুদীরা ব্যাপক ষড়যন্ত্র করিতেছে, হালুয়া-রুটি ও গোশত রুটি খাওয়া সুন্নত, খ্রিস্টানদের সমস্ত অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে জৌলুশের সাথে শবে বরাত পালন না করলে মুসলমানের খাতা থিকা নাম কাটা, সর্বোপরি "বাংলাদেশ সরকার যদি নিজেদেরকে মুসলমান সরকার হিসেবে প্রমাণ করতে চায়, তবে তাদের উচিত মুসলমান তথা সমগ্র মানবজাতির এহেন মহাপবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে কমপক্ষে তিনদিন সরকারীভাবে ছুটি ঘোষণা করা।"
অথচ মজার ব্যাপার হলো, কোরআনে শবে বরাত বলে কিছুই নাই। তারা যে আয়াতের ইচ্ছামতো অপব্যাখ্যা দিছে, সেইটা আসলে শবে কদরের রজনীর আয়াত, যাতে কুরআন নাযিল হওয়ার কথা বলা আছে। তাই বদিরে জিগাইলাম, শবে বরাত বলে কিছু যে ইসলামে আছে, এইটা সে কই পাইলো। আমি যে ইহুদীদের দালাল এই কথা ভালোভাবে বুঝাইয়া সে অনেক আয়াত টায়াত ঝাড়িলো যাতে আমার মতো ইহুদীর দালালের জন্য কি সাজা হওয়া উচিত; কিন্তু আসল কামের কাম কিছুই হইলো না, শবে বরাত নিয়া স্বভাবতই সে কোরআনের কোনো রেফারেন্স খুঁজিয়া পাইতে ব্যর্থ হইলো। আলোচনা হাদিসের মাহাত্মে গিয়া মুখ কালাকালির ভিতরে গিয়া ইসলামের কল্যাণে আমার মত ইহুদীর দালালের ধবংস কামনা করিয়া ক্ষান্ত হইলো। আমার আরেক শান্তশিষ্ট বুজুম দোস্তও ফরমাইলো, ধর্মীয় আলোচনার কন্টেক্সটে আমার ধবংস কামনা করা একেবারে অনুচিত হয় নাই!
বদির সাথে মুখ কালাকালির সেই ঘটনাই শেষ না। মোটামুটি আগ্রহহীন মানুষ হইলেও অবস্থা বিশেষে আমিও মহা ঘাউড়া। বদি এরপরেও নানা ফতোয়া নিয়ে হাজির হয়েছে - বাংলা নববর্ষ সেলিব্রেট করা কুফরী, খালি চোখে ঈদের চাঁদ দেখা ওয়াজিবে কেফায়া, সর্বশেষ আয়েশা (রাঃ ) কে নিয়ে বাজে বই লেখা শয়তানের অনুসারী জাহান্নামের কীঁট শেরি জোন্সের মুন্ডু কাটার জন্য আমেরিকা প্রবাসী দ্বীনদার ভাইদের প্রতি আহবান ও পুরস্কার ঘোষণা। আমিও ইহুদী ইজরাইল থেকে আমেরিকার দালাল হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবাদ করে গেছি।
বলাকা ভাস্কর্য ভাঙ্গার ঘটনায় হঠাৎ আবছাভাবে মনে পড়লো আল-বাইয়্যিনাত শব্দটা কোথাও পড়েছি, কোথাও শুনেছি। স্মৃতির ব্যাপারেও আমি খুব সিলেক্টিভ। খুব দরকারী মনে না করলে মাথায় কিছু ঢুকাই না। তবুও মনে পড়ে, হ্যাঁ, তাইতো বদির ইমেইলেই তো ঘটনাটা ছিলো, আনজুমান-ই-আল-বাইয়্যিনাত এর পক্ষ থেকেই শেরি জোন্সের মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিলো। আর বদি বিভিন্ন সময়ে যেসব চমৎকার, অনেক সময়ই কালারফুল পিডিএফ অ্যাটাচমেন্ট দিতো, বা শবে বরাতের মত ব্যাপক ফজিলতপূর্ণ অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিতো, তাতে একটা লিংক প্রায়ই থাকতো, www.al-ihsan.net
----------
পুনশ্চ: আল বাইয়িন্যাত কিন্তু জামাতের ঘোর বিরোধী। তবে সেইটা ফকিরের দুশমন ফকির ফর্মূলায়।
মন্তব্য
তবে সেইটা ফকিরের দুশমন ফকির ফর্মূলায়।................. মজা পাইছি ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এই ধর্মের নামে উগ্রগোষ্ঠী যে কতোটা অ্যাটাকিং হতে পারে, তা সম্ভবত এদেরকে সামনা-সামনি ফেস না করলে বোঝা টাফ। ফতোয়ার পরে ফতোয়া, কথায় কথায় এর মুসলমানিত্ব খারিজ হওয়া, ওর মাথার মূল্য ঘোষণা করা - শুধু যে মাদ্রাসা ছাত্ররা এদের টার্গেট তা না, এই গল্পের নায়কের মত ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীরাও এই সংগঠনের জন্য জানবাজি দিতে প্রস্তুত। এই সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে প্রকৃত ধর্মশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
জামাত লাইমলাইটে আসে অপেক্ষাকৃত বড়দল হিসেবে; কিন্তু বাকি প্রত্যেকটা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বা এরকম সন্ত্রাসী সংগঠনই বেসিক্যালি ইসলামের অবমাননা করছে। ইনফ্যাক্ট, ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করতে হলে রাজনীতি করে দেশশাসন করতে হবে, কুরআনে এরকম কোনো নির্দেশই নাই। সবই এদের ক্ষমতা দখলের লড়াই। পীর, মাজার-ব্যবসায়ী, ধর্মভিত্তিক রাজনীতিবিদ সবই এক গোয়ালের গরু। সুতরাং এদের মধ্যেও গুঁতাগুতি থাকবেই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনের এই কথার সাথে একমত হতে পারলাম না। ইসলাম আসলেই একটা পলিটিক্যাল রিলিজিয়ন, এতে আমার কোনই সন্দেহ নাই। ইনফ্যাক্ট, আমার মনে হয় সংগঠিত রাষ্ট্রযন্ত্র ছাড়া ইসলামের অস্তিত্বই নাই। কুরআনে হাজারো জায়গায় রাষ্ট্রযন্ত্র আর রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বলা আছে। কুরআন পড়ে আমি দেখছিলাম, ইসলাম কায়েম মানে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম, মুহাম্মাদের আরব রাষ্ট্রের মতো। এজন্যই আমি স্বয়ং কুরআনকে বর্জন করেছিলাম। কারণ দেখেছিলাম কুরআনের এইসব রাষ্ট্রনীতি ভয়ংকর রকম সাম্প্রদায়িক আর উগ্র। এইসব ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের দোষ যতটা স্বয়ং ইসলাম ধর্মের দোষও ততটা।
ইসলাম ধর্ম আসলে ঠিকই আছে, ইসলামী দলগুলার কারণে তার বদনাম হইতেছে- এই কথাটা আমি মানি না। দোষ একেবারে গোড়াতেই, অর্থাৎ ইসলামের মধ্যেই।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
খুব ইন্টারেস্টিং তথ্য। কুরআনের কিছু আয়াতের রেফারেন্স দিতে পারেন?
(ইসলাম কায়েম মানে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হলে অন্তত বাংলাদেশের মুসলমানরা একটু বিপাকেই পড়ে যাবে। হয় মুসলমানিত্ব যাবে, নাহয় সন্ত্রাসী বা দেশবিরোধীদের পক্ষে কাজ করতে হবে।)
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কয়েকটা আয়াতের রেফারেন্স কি দেব! সমগ্র কুরআনটাই এই পন্থী। ভুলে যাবেন না, কুরআন এমন একজন ব্যক্তির উপর অবতীর্ণ হয়েছিল বলে মনে করা হয় যে কিনা একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছিলো। পুরো কুরআনটাই এজন্য এসেছে যেন ইসলামী রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠা করা যায়। কুরআন প্রকৃতপক্ষে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নির্দেশিকা গ্রন্থ। এক্কেবারে বাকারা থেকে পড়তে শুরু করেন। প্রতিটা আয়াতের অবতরণের (?) কারণ দেখতে থাকেন। দেখবেন সবকিছুই একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। যেখানে মুহাম্মাদের আরব রাষ্ট্রের মত রাষ্ট্র নেই সেখানে কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ী চলার কথা ভাবাই যায় না।
একেবারে খাঁটি কথা। প্রকৃত ইসলাম দেশের কেউই পালন করে না। প্রকৃত ইসলাম পালন করতে হলে আসলেই ঐ মৌলবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা ভাবতে হবে। ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এক গোঁড়া ও অসম্পূর্ণ রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই আপামর মানুষের সামনে দুইটা পথ খোলা আছে:
১। ইসলাম ত্যাগ করতে হবে
২। সমগ্র ইসলামটা না মেনে ইসলামের যেই জিনিসটা ভাল লাগে কেবল ঐটা মেনে বাকিটা ত্যাগ করতে হবে।
প্রকৃতপক্ষে দ্বিতীয়টা যারা করবেন তারাও মুসলিম থাকবেন না। কারণ, কুরআনে বলাই আছে যারা এর কিছুটা মানে আর কিছুটা মানে না তারা মুসলিম না।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
তারপরেও কষ্ট করে কয়েকটা স্পষ্ট আয়াত দেন যেখানে বলা আছে ইসলাম কায়েম মানে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল বা ইসলামী রাষ্ট্র (?) কায়েম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ওকে। শুরু করা যাক।
কুরআনে একটি শব্দ বারবার ব্যবহৃত হয়েছে। শব্দটা হল দ্বীন। কুরআনের অধিকাংশ স্থানেই এর অর্থ করা হয়েছে, "একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা"। এটা এমন ব্যবস্থা যেখানে একজনকে (আল্লাহ) সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী ধরে নিয়ে তার সবকিছু মেনে নেয়া হয় এবং তার আদেশ মতো জীবন পরিচালনা করা হয়। আরব সমাজে আধুনিক কালের মতো রাষ্ট্রের ধারণা ছিল না। সে সমাজে দ্বীন বলতে রাষ্ট্রকেই বোঝানো হয়েছিল। কারণ রাষ্ট্রেরও চারটি গুণ থাকে যার একটি হচ্ছে সার্বভৌমত্ব। সাধারণ রাষ্ট্রে সার্বভৌমত্ব থাকে রাষ্ট্রের তথা জনগণের। আর ইসলামী রাষ্ট্রে সার্বভৌমত্ব থাকে আল্লাহ্র। তাই ইরানে দেখবেন, সংসদের উপরে মজলিশে শূরা থাকে। জনগণ চাইলেই একটি আইন পাশ হয়ে যায় না। শূরা সবকিছু মিলিয়ে দেখে এই আইন কুরআনসম্মত কি-না, তারপরই সেটা পাশ হয়।
এবার এই দ্বীন নিয়ে কুরআনের একটি আয়াত দেখা যাক:
এখানে লক্ষ্য করেন দ্বীনে-হক বলে একটা কথা আছে যার সাধারণ অর্থ "সত্য জীবন ব্যবস্থা"। এই ব্যবস্থা যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে যতক্ষণ না তারা জিযিয়া কর দেয়। উল্লেখ্য জিযিয়া করও ইসলামী রাষ্ট্রের একটি বিশেষ কর আদায় পদ্ধতি। সুতরাং আপনাকে এই যুদ্ধের মাধ্যমেই ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে এবং সে রাষ্ট্রে যত বিধর্মী থাকবে তাদেরকে অবশ্যই জিযিয়া দিতে হবে। শুধু এই না পৃথিবীতে যতদিন পর্যন্ত একটিও বিধর্মী দ্বীন টিকে থাকবে ততদিন আপনার যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। এই যুদ্ধ মানেই মারামারি-কাটাকাটি তা বলছি না। এই যুদ্ধ যেকোন কিছুর সাহায্যেই হতে পারে, অর্থনৈতিকও হতে পারে। অবশ্য সূরা তাওবা তাবুকের যুদ্ধের সময়ের, তার মানে এতে সম্মুখ যুদ্ধের কথাই বলা হচ্ছে। যে যুদ্ধই বলি না কেন, আপনাকে তা চালিয়ে যেতে হবে। এটা ফরয। কারণ কুরআনে সরাসরি উল্লেখিত সবকিছুকে ইসলামের বিধানে ফরয বলা হয়। আপনি ভেবে দেখুন, এই আয়াত আপনি পালন করছেন কি-না।
দ্বীন শব্দ দ্বারা যে রাষ্ট্রীয় আইনকেও বোঝানো হয়েছে তারও প্রমাণ আছে। দিচ্ছি:
আরও হাজার হাজার প্রমাণ আছে। ভাবছি এ নিয়ে আলাদা পোস্ট দেব।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
শিক্ষানবিস ভাই, আপনার এই রেফারেন্সগুলো দিয়েই ধর্মব্যবসায়ীরা পলিটিক্স করে।
আপনার লিংক ফলো করি: ইসলামে আল্লাহকে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী ধরা হয় -> রাষ্ট্রেরও চার গুণের একটি সার্বভৌম ক্ষমতা -> অতএব, ইসলাম (দ্বীন) মানে রাষ্ট্র!? ইরানের উদাহরণ টানলেন, ইরানের মজলিশে শুরা কি ইসলামে চলে? শরীয়া আইন কি ইসলাম? শরীয়া আইন কি কুরআন? রাষ্ট্রে যেসব আইন দরকার হয়, কুরআনে তার কাভারেজ কতটুকু? চুরি করার জন্য হাত কাটা, সেক্সের জন্য ১০০ চাবুক, খুনের বদলে খুন, সম্পত্তি ভাগ, নেক্সট?
এবার আসি, আপনার দেয়া আয়াতের প্রসঙ্গে:
আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা আল্লাহকে মানে না, শেষদিন আল্লাহ-রাসুল যেসব জিনিসকে হারাম করেছেন, তাকে হারাম বলে স্বীকার করে না, দ্বীনে-হক কে নিজের দ্বীন হিসেবে স্বীকার করে না তাদের সাথে যুদ্ধ করো, যতক্ষণ না তারা নিজেদের হাতে জিযিয়া দান করে এবং ছোট হয়ে বসবাস করে। (সূরা তাওবা - ২৯)
আপনার কাছ থেকে এটার ব্যাখ্যা এসেছে:
অর্থাৎ পুরা দুনিয়া দখল করে ফেলার আগে থামাথামি নাই!?
আমার কাছে আপনার ব্যাখ্যাকে এক্সট্রাপোলেশন মনে হয়েছে। আমি এই সূরার শানে নুযূল পড়ি নাই, তবে শুরু থেকে পড়ে মনে হলো, কোনো চুক্তি ভঙ্গের প্রেক্ষিতে এই সুরার কথাগুলো বলা হয়েছে। শুধু ওই এক আয়াতেই না, এ সূরার শুরু থেকেই ছত্রে ছত্রে যুদ্ধের কথা। অর্থাৎ একটা যুদ্ধাবস্থার প্রক্ষিতে কথাগুলো এসেছে। আর আপনি এটাকে ব্যাখ্যা করছেন, 'সর্বজনীন'ভাবে আহলে কিতাবদের বশ্যতা আদায়ের আদেশ হিসেবে! আপনার ব্যাখ্যা এসেছে এক্সট্রাপোলেশন থেকে। অথচ কোরআনে সরাসরিই বলা আছে,
"দ্বীনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নেই। ... " (বাক্বারা-২৫৬)
সর্বজনীনভাবে অন্যদের বশ্যতা আদায়ই যদি ইসলাম হয়, তাহলে এত স্পষ্টভাবে ধর্মের স্বাধীনতার কথা আল্লাহ বলবেন কেন? যেখানে স্পষ্টভাবে কোনো বিষয়ে একটা জিনিস বলা আছে, সেখানে এক্সট্রা পোলেশনের দরকার আছে কি?
সূরা নুরের যে আয়াত দিয়েছেন, সেটাকে আইনও যদি বলা হয়, তাহলেও তাকে রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন কিভাবে বলা যায়, তা বুঝতে পারছি না। সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে প্রত্যেক মানুষই কিছু নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য। আপনি তো শুধু ১০০ চাবুকের আয়াত দিলেন, চুরির জন্য হাত কাটার আয়াতও আছে। এগুলোর ব্যাখ্যা বা প্রয়োগের ক্ষেত্র অনেক রকম হতে পারে, তবে কখনোই এগুলোকে রাষ্ট্রের আইন বলে মনে হয় নি। কারণ, এরকম প্রত্যেকটা বিষয়েরই শেষে এসেছে ক্ষমার কথা, তওবার কথা, আল্লাহকে ভয়ের কথা। অন্যদিকে রাষ্ট্রের আইন মানে 'ফাইনাল'। সর্বোপরি, কুরআন যদি মানুষের আত্মশুদ্ধি নয়; বরং আইনের বই হিসেবে ব্যবহারের ইচ্ছা থাকতো, তাহলে এরকম ঘটনা বলার ঝামেলায় না গিয়ে আইনের ধারা হিসেবেই আয়াতগুলো থাকতো।
যাহোক, আমি আপনার কাছ থেকে যা চাচ্ছি, তাহলো একটি স্পষ্ট আয়াত, যাতে আল্লাহ সরাসরি বলে দেন যে, ইসলাম কায়েম মানে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম না হলে আর মুসলমান থাকা যাবে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমি তো শানে নুযুল বলেই দিয়েছি। তাবুক যুদ্ধের সময় এই আয়াত লেখা হয়েছিল। কিন্তু এই আয়াতের মধ্যেই একটা সার্বজনীনতা আছে। আপনি যদি শানে নুযুলের কথাই বলেন তাহলে কুরআনের কিছু সদুপদেশমূলক আয়াত বাদে বাকি সব আয়াতই বরবাদ হয়ে যায়। কোনটাই আর এই যুগে খাটে না। কিন্তু এটা ভ্রান্ত ধারণা। কুরআনে সদুপদেশমূলক আয়াতের চেয়ে রাষ্ট্র ও অর্থনৈতিক দিকনির্দেশনামূলক অসম্পূর্ণ আয়াতই বেশী আছে। মক্কী ও মাদানী সূরাগুলোর পার্থক্যও তো জানেন। মাদানী সূরার বৈশিষ্ট্যই হলো এতে মদিনা রাষ্ট্রের আইন ও নীতি প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। মুহাম্মাদ আর তার খলিফাদের কর্মকাণ্ডের পরও কি আপনার মনে হয় ইসলামে রাষ্ট্রীয় বিষয়াদি বলে কিছু নাই। আপনি কিন্তু ১৩০০ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামী রাষ্ট্রের পুরো কাঠামোটাকেই এড়িয়ে যাচ্ছেন।
এই আয়াতগুলো দিয়েই ধর্মব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে। এটা ঠিক। কিন্তু এই ব্যবসা করার স্কোপ কুরআনেই আছে। বর্তমানে পৃথিবীর বিখ্যাত আলেমদের অধিকাংশই ইসলামী রাষ্ট্র ছাড়া ইসলামের অস্তিত্ব নেই বলেই মানেন। এমনকি তাবলীগ পন্থীরাও কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্রের কথা মানে। তারা মনে করে ব্যক্তিগত পর্যায়ে দাওয়াত দিতে থাকলে একদিন এমনি এমনিই ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হয়ে যাবে। যেভাবেই হোক এই রাষ্ট্র কায়েমই মুসলিমদের গন্তব্য, এতে কিন্তু খুব বেশী দ্বিধা নেই।
আমার কাছে আপাতত এর চেয়ে স্পষ্ট আয়াত নেই। আপনি যেহেতু এই আয়াত এখনও খণ্ডন করেননি সেহেতু এটাই থেকে যাচ্ছে। আপনি শানে নুযুলের কথা বলে আয়াতের সার্বজনীন গন্ধটা এড়িয়ে গেছেন। এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা না করলে কিন্তু হচ্ছে না।
এ নিয়ে পোস্টে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে।
আপনি আবারও ভুলে যাচ্ছেন। কুরআনে আত্মশুদ্ধি সহ সবকিছুর চূড়ান্ত উদ্দেশ্য ছিল মক্কা থেকে কাফেরদের শাসন নস্যাৎ করে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা। কুরআন আর কিছুই না, মুহাম্মাদ যেভাবে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন তার বিবরণ। এখন এটা থেকে আইন বিষয়ক সব আয়াত বাদ দিয়ে শুধু সদুপদেশ আর সুন্দর সুন্দর কথাগুলো রাখতে চাইলে আর কিছু বলার নাই। অথচ, কুরআনে সুন্দর আয়াত যতগুলো অসুন্দর আয়াতও ঠিক ততগুলোই আছে।
পরিশেষে আমি আবারও অবাক হয়েছি সূরা তাওবার এই আয়াতের সার্বজনীনতাটাকে এড়িয়ে গেছেন দেখে। এরকম করলে তো সদুপদেশমূলক আয়াতগুলোকেও শানু নুযুলের নাম করে উড়িয়ে দেয়া যায়। "দ্বীনের ব্যাপারে কোন বাড়াবাড়ি নাই"- এটা কোরআনের শত-সহস্র পরষ্পরবিরোধী কথাবার্তাগুলোরই একটি। এটার শানে নুযুলটা ব্যাখ্যা করাও কিন্তু প্রয়োজন। দেখি পারলে জানাবো।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
বস, নিচের দিকে আলাদা করে রিপলাই দিলাম। এই ট্রির প্রস্থ ছোট হয়ে গেছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ধন্যবাদ আল-বাইয়িন্যাতের লিঙ্কটা দেবার জন্য। কয়েকদিন ওদিকে একটু পড়াশোনা করি।
...........................
Every Picture Tells a Story
দোজাহানের অশেষ নেকী হাসিল হবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
khekz!! বসের পোস্টে পাঁচ তারা দেওয়া ছাড়া উপায় নাই। দিলাম।
ঈদের চাঁদ দেখনের পর কি জানি একটা সুরা তিনবার পড়তে হয়। ছোটবেলায় আম্মাজান আমারে জোর কইরা পড়াইতো সেই জিনিস। আমিও নাদান বাচ্চার মতো চাঁদ না দেইখাই সেই মোটামুটি দীর্ঘ সুরা মন বেজার কইরা পড়তাম।
আপনি যেই লিংকটা দিসেন সেইটা বেশ পরিচিত। নীলক্ষেত থেকে আজীমপুরের উদ্দেশ্যে হাঁটা দিলে সেই লিংক এখনও চোখে পড়ে। তবে দেয়ালে লেখা লিংক টিপ দেওয়ের উপায় নাই, আর দিলেও সেই সাইটে যাওনের উপায় নাই...তাই কোনদিন যাওয়া হয় নাই...
=============================
হা হা হা! দেয়ালের লিংক টিপি দেয়া যাইতে পারে। বলা তো যায় না আল্লার খাস বান্দাদের ব্যাপার। চিকার লিংক থেকেই হয়তো ওয়াইড স্ক্রীনসহ ইন্টারনেট পাওয়া যাবে।
(ঈদের চাঁদ দেখার দোয়া (সুরা না) সম্ভবত - আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ। খুব ছোটবেলায় মুখস্ত করেছিলাম, এখন আর চাঁদ দেখা হয় না।)
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
না না সুরাও আছে একটা। কালকে আম্মুর কাছে জিজ্ঞেস করে বলবো। তবে সুরাটা খুব সম্ভবর যেকোন নতুন চাঁদ দেখে পড়ার জন্য প্রযোজ্য।
=============================
আচ্ছা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সব ব্যাপারে সূরা , হাদিস আছে। সূরা মনে নাই তবে ছোট থাকতে আমিও দাদুর সাথে পড়েছি ঈদের চাদ দেখার পর।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আল-বাইয়িন্যাত যে জামাতের এন্টি এইটা আজকে টের পাইছিলাম, আজকে আমাদের সকলের নয়নের মনি প্রসিদ্ধ টেকি ছাগুরামের একখানা পোস্ট পড়িয়া।
শালার, এক জামাতে শান্তি নাই, আইছে আরেক বাইয়িন্যাত !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এরকম জঙ্গী সংগঠন আরো অনেকগুলো আছে। সরকারের মন্ত্রীরা আবার এসব পীরদের মুরিদ। এরশাদের সময় আটরশির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- এইটা একটা জটিল রোগ।
প্যাচানো ডাবল বেত নাইলে মাঁদার গাছের সুপুষ্ট ডাল হইলো একমাত্র মহৌষধ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মাইরের উপরে আসলেই ওষুধ নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
রমনা বটমূলের বোমা হামলার উস্কানিদাতা হিসেবে এদের বিরুদ্ধে মামলা করে দেয়া যায় না?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
এদের ওয়েবসাইটে যেসব উগ্র কথাবার্তা আছে, তাতে মামলা করা কেন, এদেরকে পিটিয়ে দেশছাড়া করা দরকার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
যে সব মওলানা টিভি প্রোগ্রাম করে, .... দেয়ালে দেয়ালে চিকা মারত এই বাইয়্যিনাত। এখন জোদনারা ইমেইলে স্প্যামিং করে।
এই সন্ত্রাসীরা নেটে অনেক তৎপর। ইউটিউবে এদের যে পরিমাণ ভিডিও পাওয়া যায়, তা দেখলে অবাক হতে হয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
যে সব মওলানা টিভি প্রোগ্রাম করে, .... তারা উলামায়ে ছু অর্থাত,দুনিয়াদার মওলানা...
দীর্ঘদিন ধরে নীলক্ষেতের দেওয়ালে দেখে দেখে মুখস্ত হয়ে গিয়েছে...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
কী আর বলবো... এগুলা দেখে হুদা কামে মেজাজ খারাপ করে আয়ু কমাই। ভাল লিংক, পড়ে দেখতে হবে।
সওয়াব হাসিল হবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- চ্যানেল আইয়ের খবরে প্রকাশিত ফলোআপ। পুরাটা নেয়া সম্ভব হয় নাই টেকনিক্যাল কারণে (একই কারণে অডিও'র অবস্থাও কাহিল)। ভিডিওটার একদম শেষে দেখেন পীর ছাহেবের মজলিশ হইতে এক মুরিদান কারে উদ্দেশ্য কইরা জানি ইট-পাটকেল মারতাছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইট পাটকেল মারা দেখলাম, আতঙ্কের সাথে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমারো চোখ শেষ লাইনে আটকায় গেছে।
ফকিরের শত্রু ফকির।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এজন্যই দুই পীরের মুরিদদের মাঝে যুদ্ধ হয়। তাদের ফতোয়া হলো, শেষ জমানায় (তারা বুইঝাই ফেলছে এইটা শেষ জমানা) মুসলমানদের মধ্যে ৭২ দল সৃষ্টি হবে, ১ দল ছাড়া বাকি সব বিপথে, আর প্রত্যেক পীরের মুরিদই ভাবে তারাই সেই সঠিক পথে থাকা দল।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ব্যাপক মজা পাইলাম
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একমত, সরকার করেটা কি??
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
সরকার পলাতক আসামী মুজাহিদের সাথে বৈঠক করে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এই পরজীবীর দল দেশের কোন সংকটে রা কাড়ে না, চুপচাপ বসে বসে খেইল দেখে, আর সবচেয়ে তুচ্ছ সব ঘটনায়া দা-কুড়াল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমাদের পুলিশও বড় চালু, তারা লাঠি চার্জ করলে সাংবাদিক গুরুতর আহত হয় আর এই কুত্তার বাচ্চাদের কিছুই হয় না।
হাঁটুপানির জলদস্যু
বাংলাদেশে অনেক পুলিশ আছে আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার দিলে তারা বীর্যহীন হয়ে পড়ে। তবে পুলিশকে যেভাবে বলা হয়, সেভাবেই তারা অ্যাকশনে যায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
শুধু পুলিশ কেন, আম-জনতার বড়ো একটি অংশও।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
বাংলাদেশীদেরকে ওরা মনে হয় দুই ভাগে ভাগ করে - বাঙালি আর মুসলমান। সাইট ঘুরে দেখলাম। সাত ভাষায় সংবাদ পরিবেশন করে! কবিতা আছে কয়েকটা। পড়ে আমোদ পাইলাম। আবার রাগও উঠলো। বেটারা যে জামাতের বিপক্ষে সেটা সাইট দেখলেই বোঝা যায়।
পোস্টের জন্য জাঝা।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
২ ভাগ না, মুসলমানেরই তো ৭২ ভাগ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
৮৫ জানতাম। ৭২ হয়ে গেছে নাকি?
ইশ্, পরিবার পরিকল্পনা নামক ষড়যন্ত্রটা জনবল কমিয়ে দিচ্ছে।
নাকি লুগজন্সব প্রাচ্যে-প্রচীত্যে মাইগ্রেট করতেছে?
আয় হায়! এই ভাগাভাগি ফতোয়ারও আবার ভাগাভাগি আছে!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পোস্ট পড়ে ব্যাপক মজা পাইলাম
আল্লাহ্পাক আপনার দোস্ত বদু আর আল-বাইয়্যিনাতের সকল মুমিন ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে বেহেস্ত নসিব করুন। আমীন
শেষের লাইনটা বেশি জোস লাগসে, মাথায় থাকল
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
আমীন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হানাফি মজহাবের ইমাম সাহেবের যুগে পহেলা বৈশাখ ছিল নাকি যে উনি স্পেসিফিকলি পহেলা বৈশাখের কথা বললেন ।
ডিম দেয়া নিষেধ জেনে ভালো লাগল ।
"ডিম থেরাপি"রে সবাই দেখি ভয় পায় ।
হানিফ মিয়া বেঁচে না থাকলে কি হবে, তার উত্তরসূরীরা আছে না? ফতোয়া দেয়ার জন্য তারাই তো যথেষ্ট। শ্রদ্ধেয় বুখারী সাহেব যদি মোরাক্বাবার মাধ্যমে রাসূল (সাঃ ) এর সাথে বাতচিত করতে পারেন, ইমাম সাহেবরাও অবশ্যই 'হাদিসে কুদসী'র মাধ্যমে 'আল্লাহর' কথাকে ফতোয়ার মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন।
এইগুলারে আসলেই ডিম দেয়া দরকার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
শিক্ষানবিস ভাই,
এখানে আপনাকে বোধহয় বুঝাতে সক্ষম হইনি। আমি শানে নুযূলের দোহাই দিয়ে কিছু এড়িয়ে যাই নি। কিন্তু যুদ্ধের সময়ের একটা দিক নির্দেশনাকে আপনি সর্ব সময়ের জন্য অ্যাপলাই করলে প্রবলেম। এখানে প্রশ্ন আপনি যুদ্ধ করবেন; কিন্তু কার বিরুদ্ধে? যে আপনাকে আক্রমণ করে, নাকি পথ দিয়ে এক অমুসলিম হেঁটে যাচ্ছে, তার মাথায় গিয়ে বাড়ি দিতে বলেছে ইসলাম? অমুসলিমরা যখন একটা চুক্তি খেলাপ করে, তখন এই যুদ্ধের কথাগুলো আসে। কুরআনের আরেক অতি পরিচিত আয়াত "তাদেরকে যেখানে পাও হত্যা করো ... " দিয়েও কেউ কেউ বুঝাতে চায় সর্ব অবস্থায় ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদেরকে হাতের কাছে পেলেই মেরেকেটে সাফা করাই ইসলাম! কিন্তু আসলেই তাই কি? যদি তাই হয়, অর্থাৎ পরিস্থিতি যা-ই হোক, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদেরকে হাতের কাছে পেলেই বশ্যতা স্বীকারের জন্য যুদ্ধে লাফ দেয়াই ওখানে বলা হয়েছে বলে আপনি মনে করেন, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আর এরকম অর্থ আপনার কাছে অ্যাক্সেপ্টেবল মনে হলে আপনার আয়াত খন্ডানো আমার সাধ্যের বাইরে।
কুরআনেই বলে দেয়া আছে, এতে দুরকম আয়াত আছে। কিছু স্পষ্ট এবং স্পষ্ট আয়াতগুলাই মূল অংশ। আর কিছু আয়াত অস্পষ্ট এবং অস্পষ্ট আয়াতগুলোর অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না (এমনকি নবীও না)। ধর্মের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই - আপনি এই পুরাপুরি স্পষ্ট কথাকে পরস্পরবিরোধী বলে উড়িয়ে দিলেন অন্য একটি আয়াতের আপনার এক্সট্রাপোলেট করা ব্যাখ্যা দিয়ে!
১৩০০ সাল পর্যন্তের ইতিহাস ইসলাম না। যেমন ইসলাম না হাদিসের নামে ইসলামের বিকৃতি। ১৩০০ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলো ইসলামী হলে এত খুনোখুনি হতো না। ধরলাম, ক্ষমতা দখলের জন্য অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করতে আল্লাহ বলে দিয়েছেন; কিন্তু মুসলমানরা পরস্পরের সাথে যুদ্ধ করেছে, রাষ্ট্রনায়কদের হত্যা করেছে, এগুলোও কি আল্লাহর দোষ? পৃথিবীর বিখ্যাত আলেমরা কি মানে বা তাবলিগরা কি মানে বা বিভিন্ন মাযহাবের ইমামরা কি ফতোয়া দেয় বা বিভিন্ন পীরেরা তাদের মুরিদদের জন্য কি আদেশ দেয়, এগুলো ইসলাম না। ইসলাম আল্লাহ যেটা বলে গেছেন, সেটা। কিন্তু সমস্যা হলো আপনি যেভাবে যুদ্ধাবস্থার একটি আয়াতকে এক্সট্রাপোলেট করে 'অমুসলিম পাইলেই গর্দান ফেলাও' করে ট্রান্সলেট করেছেন, এই আলেমরা অনেকেই এই আকামটা করে, কেউ বুঝে কেউ না বুঝে।
রাষ্ট্র কায়েম না হলে ইসলাম কায়েম হবে না, এটাই যদি ইসলামের মূলকথা হয়, তাহলে আল্লাহকে সরাসরি বলে দিতে হবে, হে মুমিনগণ, হাতে তরবারী নাও, যত অমুসলিম পাও বশ্যতা আদায় করো, তারপর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করে শান্তিতে আমার ইবাদত করো। আল্লাহ সরাসরি নামাযের কথা বলতে পারেন, রোযার কথা বলতে পারেন, সুদ খাইওনা বলতে পারেন আর
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভাই অছ্যুৎ বলাই,
মুসলমানরা যে কেবল আক্রমণিত হলেই পাল্টা আক্রমণ করেছে এটা ঠিক না। আপনি কেবল দুইটা বিষয় নেড়েচেড়ে দেখুন: তাবুক যুদ্ধ এবং সূরা তাওবা। সূরা তাওবা শুরু হওয়ার পরই তাবুক যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয় এবং তাবুক যুদ্ধের পুরোটা সময় জুড়েই সূরা তাওবা লিখা হয়। এখন ভেবে দেখুন তাবুক যুদ্ধের কারণ কি ছিল। মুসলিমরা এর আগে কখনও নিজ উদ্যোগে আক্রমণ করেনি কারণ তাদের সে প্রয়োজন বা ক্ষমতা ছিল না, এতে হিতে বিপরীত হতো। কিন্তু যেই তাদের ক্ষমতা এসে গেল সেই তারা নিজ থেকে আক্রমণের পরিকল্পনা করল, স্বয়ং মুহাম্মাদের নেতৃত্বে। তাবুক যুদ্ধের অক্ষশক্তি কিন্তু মুসলিমরাই ছিল। তারাই আগে আক্রমণ করেছিল। এই যুদ্ধের কারণগুলো একটু ভেবে দেখুন:
১। আহলে কিতাব অর্থাৎ খ্রিস্টান ও ইহুদিদেরকে মদীনা ও এর আশপাশ থেকে বিতাড়িত করা। তাওবার ২৯ নং আয়াতে বলা হল:
আপনি বলেছেন এই আয়াত কোন চুক্তি ভঙ্গের প্রেক্ষিতে এসেছে। আসলে তা না। এই আয়াত এসেছে তাবুক যুদ্ধ শুরু করানোর জন্যই। চুক্তি ভঙ্গের বিষয় থাকলে এখানে তা বলাই হতো। কিন্তু এখানে আহলে কিতাবদের সাথে যুদ্ধের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে:
- তারা আল্লাহ্তে বিশ্বাস করে না
- পরকালে যেভাবে বিশ্বাস করা উচিত সেভাবে করে না
- হারামকে হারাম মনে করে না
- দ্বীনে-হক গ্রহণে তারা অনিচ্ছুক
তার মানে কোন বিধর্মী জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার জন্য এই কারণগুলোই যথেষ্ট।
২। সূরা তাওবায় বলাই হয়েছে: (আয়াত-১২৩)
মুসলিমদের নিকটবর্তী ছিল রোমান সম্রাজ্য আর আহলে কিতাবরা মদীনা ও এর আশেপাশে থাকলে রোমানরা সহজেই আক্রমণ করতে পারে। তাই রোমানদের শক্তি কমিয়ে দেয়ার এটাই ছিল সুযোগ। এগুলো পুরোদস্তুর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এই আক্রমণাত্মক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো কিন্তু কুরআনের আলোকেই হয়েছে।
উল্লেখ্য, সার্বজনীনতা আনার জন্যই "রোমান" ব্যবহার না করে "নিকটবর্তী" ব্যবহার করা হয়েছে।
কুরআনে যদি এভাবে রাজনৈতিক পরিকল্পনা করার কথা বলা না থাকতো তাহলে ওমর কিভাবে সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে রাষ্ট্রের সীমানা বাড়ানোর কাজ শুরু করলেন? তিনি তো অনেক আক্রমণই নিজে থেকে করেছেন। আবার বলা যায় এগুলো রাজনৈতিক। এখানেই তো ইসলামের সাথে রাজনীতির যোগ। ইসলামের সেরা পুরুষেরা সবাই ছিলেন একেক জন চতুর ও ঝানু পলিটিশিয়ান। এটা কি ঠিক না? চার খলিফাকে কি এর প্রমাণ হিসেবে দেখা যায় না। বিশেষত ওমরের আমলে মিশর দখলের কথা বলা যায়। এই মিশর দখল আর আলেকজান্দ্রিয়ার সম্পদ আত্মসাতের ব্যাখ্যা কিভাবে দেবেন? এগুলো তো পরে ইসলাম অনুযায়ী সিদ্ধ হয়েছে। মিশর দখলকারী আমর বিন আস তো সিদ্ধপুরুষেরই মর্যাদা পেয়েছেন। এটাকেও যদি ইসলাম বলা না যায় তাহলে বলতে হবে, মক্কা বিজয়ের সাথে সাথেই ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তবে কিন্তু মক্কা বিজয়ের পরই ইসলামের স্বর্ণযুগ শুরু হয়েছে। আমার ডায়লগ:
অত্যাচার ও নির্যাতনের যুগেই ইসলাম শুদ্ধ ছিল, কিন্তু যে যুগকে মুসলিমরা স্বর্ণযুগ বলে সে যুগে মুসলিমরা কেবলই একটা সম্রাজ্যবাদী শক্তি ছিল, মক্কা বিজয়ের পর থেকে আলী বা মুয়াবিয়ার সময়কাল পর্যন্ত।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
সূরা আত-তাওবার আয়াতগুলো সম্পর্কে-
আমি যতোটা বুঝেছি: এগুলো যুদ্ধ পরিস্থিতির আয়াত। আগ বাড়িয়ে অমুসলিমদের মাথায় বাড়ি দেয়ার জন্য এখানে বলা হয় নাই।
আপনার বক্তব্য (ভুল হলে ধরায় দিয়েন): এগুলোয় নিজে থেকেই যারা ইসলামে বিশ্বাস করে না তাদের বশ্যতা স্বীকারের জন্য সর্বসময় করণীয় একটি ফরজ কাজ। এবং এথেকেই সিদ্ধান্ত টানা যে, ইসলাম কায়েম মানে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম, অন্য নন-মুসলিমদেরকে আইদার মুসলিম করে ফেলা অর তাদের বশ্যতা আদায় করা। এবং যুদ্ধ বলে কথা নয়, প্রত্যেকের আশেপাশে যত অমুসলিম আছে, তাদের সাথে এই আচরণ করাই ইসলাম।
আচ্ছা, সূরা তাওবারই আরো কয়েকটি আয়াত দেখা যাক:
এটা দিয়ে কি বোঝা যায়, চুক্তিভঙ্গের কারণে যুদ্ধের কথা বলা হচ্ছে? নাকি মুসলমানরাই আগ বাড়িয়ে যুদ্ধে চলে যাচ্ছে?
কথাগুলো কি স্পষ্ট, নাকি অস্পষ্ট?
এখানে কি অমুসলিম পেলেই কতলের কথা বলা হয়েছে। আচ্ছা, তাকে একটা সুযোগ দেয়া হলো, ধর্মের জন্য দাওয়াত দেয়া হলো, সেই দাওয়াত গ্রহণ না করলে তারপরে কতল? উহু, তারপরেও তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়া। এতে কি প্রমাণিত হয়? 'ধর্মের ব্যাপারে জরদস্তি নেই' নাকি অমুসলিমদেরকে যেখানে পাও, ডাইরেক্ট গুল্লি?
এবার দেখা যাক, কঠোরতা প্রসঙ্গে। আপনার সাথে যদি কেউ অন্যায় করে যায় আর আপনি যদি অনবরত ক্ষমা করে যান, তার ফল কি দাঁড়ায়? ক্ষমা পরিস্থিতিভেদে মহত্বের, আবার নপুংসতার হতে পারে। কখনো কখনো ক্ষমা একেবারেই অন্যায়।
ওমরের রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে -
আপনি এখানে যে কথাগুলো বলছেন, সেগুলো ইতিহাসের কথা, ঠিক ইসলামের নির্দেশ না। একজন ওমর কিছু একটা করেছেন বলে ইতিহাসবিদেরা লিখলে সেটাকে ইসলামের নির্দেশ হিসেবে ঢুকিয়ে দেয়া যায় না। এজন্যই এক যুগে ইসলাম শুদ্ধ, আরেক যুগে ইসলাম অশুদ্ধ এরকম হয়ে যায় না। এখানে ইসলামকে দেখার মধ্যে আপনার ও আমার দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য আছে। আমার কাছে আল্লাহ যা করতে বলেছেন, সেটা ইসলাম। আপনার কাছে ইসলামের নামে অন্যরা যেটা করেছেন বলে ইতিহাস বলে, সেটাই ইসলাম। কে সুদ্ধপুরুষের মর্যাদা পেলো, তার বাণী দিয়ে তো ইসলাম হবে না। তাই যদি হতো, তাহলে বাংলাদেশের অনেক পীরের ফতোয়াও ইসলাম হতো, এদের প্রত্যেকেরই বিরাট অনুসারী গোষ্ঠী আছে, যারা তাদেরকে সিদ্ধপুরুষ মনে করে।
একজন মুসলমান যেমন কেরানি হতে পারবে, যেমন ইঞ্জিনিয়ার-ডাক্তার হতে পারবে, একইভাবে একজন মুসলমান বিচারকও হতে পারবে, রাষ্ট্রনায়কও হতে পারবে। কিন্তু এর অর্থ এই না যে, ইসলামই তাকে রাষ্ট্রনায়ক হতে বলছে বা ইসলামই তাকে রাষ্ট্রদখল করতে বলছে। সুতরাং কারো আলেকজান্দ্রিয়ার সম্পদ আত্মসাতের সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনার "এগুলো তো পরে ইসলাম অনুযায়ী সিদ্ধ হয়েছে।" কথাটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ থেকে বোঝা যায়, ইসলাম বলতে একটা বিরাট জনগোষ্ঠীর ধারণা কি। ওমরের আমলে অবশ্যই আল্লাহ নতুন কোনো আয়াত নাযিল করেন নি ওমরকে সেফ সাইডে নিতে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আপনারে একবার টিভিতে নিজামীর এ্যাগেইনস্টে বিতর্কে নিতে হবে ... হালায় ছিবড়া হইয়া যাবে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আলোচনা এখানেই থেমে যাওয়া ঠিক না। আরো চলতে থাকুক। মজার মজার বিষয় জানতে পারছি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
শিক্ষানবিশের মত এরকম চরম স্ট্রেচ করে অনেক নাস্তিকই কোরাণ আর ইসলামের বিরুদ্ধে লাগে। আবার একইভাবে স্ট্রেচ করে মৌলবাদীর জেএমবিরাও বোমা মারে। কি মিল! শেষ বয়সে সেজন্য চরম নাস্তিকগুলা বামদিকে হেলতে হেলতে বরবাদ মজহার বা আলমাহমুদের মত জামাতি হয়া যায়।
নতুন মন্তব্য করুন