ডঃ ইউনুসের চিঠিগুলো আবার পড়লাম। ইচ্ছে ছিলো একটু গভীর বিশ্লেষণের (মানে আমার পক্ষে যতোটা গভীরতায় যাওয়া সম্ভব আর কি)। তবে চিঠিগুলো পড়ে আর গাম্ভীর্য বজায় রাখা সম্ভব হলো না। আড়াই বছর আগে যা ছিলো ব্যাপক আলোচনার বিষয়, আজ কালের বাস্তবতায় তাতে খালি মজা আর মজা। গত পোস্টে একজন পাঠক মন্তব্য করেছিলেন, পোস্ট মজার হয় নি। দেখি, এই পোস্টে সেটা পুষিয়ে দেয়া যায় কিনা!
-----------------------------
এই বঙ্গদেশে গুণীর কদর নাই, বিশেষত সবকিছুই যখন রাজনীতির খপ্পরে পড়ে বেড়াছেড়া অবস্থা তখন নির্দ্বিধায় বলা যায়, কেউ আছাড় খেয়ে হাড্ডিগুড্ডি ভেঙ্গে হাসপাতালে গেলে তা থেকে যদি কিছু ডাক্তার-নার্সের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়, তাইলে সেইডা বিনপির আমল হইলে চামেচিকনে জিয়ার খালকেটে উন্নয়নের ধারা ৩ এর ঞ উপধারা অনুসারে শহীদ জিয়ার ক্রেডিট; আবার কেউ বায়ুত্যাগ করলে তার গন্ধে যদি পকেটমারের অগ্রসরমান হাতটি কাজ সমাধার পূর্বেই নাকে আঙুল দিয়ে পশ্চাদপসরণ করে, তাইলে সেইডা শেখ মুজিবের স্বপ্ন নং ১৩, তারিখ ২৯ শে জুলাই, ১৯৭১, স্থান করাচী জেলখানা।
এইসব ননসেন্স রাজনীতিকরণের স্টান্টবাজির চুড়ান্ত নিদর্শনস্বরূপ আজ ক্ষমতাসীন দল যখন 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' বলে চেচাঁচ্ছে, তখন আমি বাংলাদেশের প্রকৃত ডিজিটাল স্বপ্ন দেখা ক্ষণজন্মা পুরুষ, অনেক মেডেলের অধিকারী ডঃ ইউনুসকে তার প্রাপ্য ক্রেডিট দিতে চাই। ইন্টারনেটে জাঙ্ক চেইন মেইলের অত্যাচারে যখন মেজাজের সূঁচক এগারো বারো পার হয়ে আড়াইটায় গিয়ে ঠেকেছে, তখনই ফাস্ট ফরোয়ার্ড হিসেবে নাম জানা, না জানা ব্যক্তি ও ফোরাম থেকে একই বিষয়ের ওপর একই মেইল একের পর এক আসতে থাকলো। দিনক্ষণ ১১ই ফেব্রুআরি, ২০০৭ থেকে শুরু এবং শেষ কবে হয়েছে, সে হিসাব রাখা সম্ভব হয় নাই। হট নিউজ হলো, সদ্য নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ইউনুস রাজনীতিতে নামবেন। আরেক পরিচিত প্রফেসর গোলাম আযমের সাথে ইউনুসের চকির তলা-আগরতলা সম্পর্ক। সুতরাং পাবলিক গোলাম আযমকে যেমন তীব্রভাবে হেইট করে, তেমন তীব্রভাবেই আলোড়িত হলো প্রফেসর ইউনুসের রাজনীতিতে আসা নিয়ে। এ আলোড়ন পজিটিভের আশায়, চেইন মেইলের বন্যায়ও সে আশায় কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয় নাই। ইন্টারনেটকে সফলভাবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ডঃ ইউনুসও একটি মাইলফলক হিসেবে র'বেন।
অত্যন্ত সম্মানের সাথে 'সালাম' দিয়ে ডঃ ইউনুস জনগণকে বলতে চেয়েছেন যে, তত্ত্ব সরকারের সংস্কার দেশের অন্যান্য মানুষের সাথে তাকেও আশাবাদী করে তুলেছে।
এ অবস্থায় আমি অন্তর দিয়ে অনুভব করছি যে, দেশের মানুষ আমার কাছ থেকে যা আশা করছে তার প্রতি বিনীত সম্মান দেখিয়ে জাতিকে তার যথাযোগ্য মর্যাদায় নিয়ে যাওয়ার কর্মযজ্ঞে আমার যথাসাধ্য অংশগ্রহণ করা উচিত।
এ বিষয়ে আসলে একটি ভুল ধারণা আছে যে, তিনি রাজনীতি করবেন কিনা, তা দেশের মানুষের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন। ফ্যাক্ট হলো, তিনি দেশের মানুষের অন্তরের খবর রাখেন, সেই অন্তরের খবরকে সম্মান দিতে চান। সুতরাং রাজনীতিতে আসবেন কিনা, সেই প্রশ্ন তিনি 'নাগরিক'দেরকে করেন নি; বরং সকলের অংশগ্রহণ তার প্রয়োজন বলে কিভাবে অগ্রসর হলে ভালো হয়, তা জানতে চেয়েছেন। প্রথম চিঠিটি লেখার সময়ই তিনি জানেন, রাজনীতিতে জড়িত হওয়া মানে বিতর্কিত হওয়া এবং এতে তার আপত্তি নেই; কারণ,
আলাহর অসীম রহমতে আমি এক অতিশয় ভাগ্যবান মানুষ। আমার পাওয়ার আর কিছু অবশিষ্ট নেই।
দেশের মানুষের ভালো করতে তিনি ধনুকভাঙ্গা পণ করেছেন। স্পষ্টতই অনেকেই তার চিঠি না বুঝে তাকে রাজনীতিতে আসতে নিরুৎসাহিত করলেন। তিনি সে কথা শুনলেন না, মাত্র ১১ দিনের মাথায় ফেব্রুআরি ২২, ২০০৭ এ নোতুন অহী নাজিল হলো।
মানুষের প্রত্যুত্তর পেয়ে তিনি যারপরনাই উদ্বেলিত, আবারো সালাম দিয়ে শুরু করা চিঠিতে আল্লাহর রহমতের কথা স্বীকার করে মোটামুটি 'যার যা আছে, তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া' নীতিতে পার্টির রূপরেখা নিয়ে হাজির হলেন। একটু মন ভুলানো মিথ্যাচারও হয়তো করলেন,
In light of your enthusiasm, I have decided to take part in your efforts for creating a new politics. I will join politics and establish a new party. Please pray, so that I can fulfill your wishes and so that Allah’s blessings are with me, as always.
পলিটিক্সে জয়েন করার জন্য তিনি মানুষের কাছ থেকে উৎসাহের আশায় বসে আছেন, এমনটা প্রথম চিঠিতে পাওয়া যায় না। পার্টির নাম বিষয়েও তিনি অনেকের কাছ থেকে অনেক উপদেশ ও প্রস্তাব পেয়ে শেষেমেষ 'নাগরিক শক্তি' নাম হিসেবে গ্রহণ করেছেন। নাম বিষয়ে পাবলিকের ফিডব্যাক তাকে কতোটা প্রভাবিত করেছে, সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। কারণ, প্রথম চিঠিতে 'প্রিয় নাগরিক' সম্বোধন দলের নাম নির্বাচনের বিষয়ে কিছু আগে থেকেই ঠিক করে রাখা সিদ্ধান্তেরই ইঙ্গিত দেয়। যাহোক, এটা বিজনেস ওয়ার্লডের নীতি। অনেক সময়ই বিচারের পূর্বেই ফাঁসির আদেশ হয়ে যায়, পাবলিক ফিডব্যাককে এ নাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করেছে - এরকম বক্তব্যকে নির্দোষ হিসেবে ধরে নিতে আপত্তি নেই।
এ চিঠিতেই তিনি পার্টির রূপরেখা বর্ণনা করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বপ্নের বাস্তবায়নই হবে এ দলের রাজনীতি করার নিয়ামক। অবশ্য সে স্বপ্নে যুদ্ধাপরাধী বলে কিছু নাই; বরং ইউনাইটেড বাংলাদেশই মূলকথা। দারিদ্র্যকে যাদুঘরে পাঠানোই হলো আসল ব্যাপার। আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, তার বক্তব্যের আগ পর্যন্ত একটু টেনশনে থাকলেও দলের কর্মপন্থা শোনার পরে দারিদ্র্য নিজেই মুচকি হেসেছে। যেমন, প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন দলে-উপদলে কর্মী-নেতা ও সমর্থক তৈরির যে প্রক্রিয়া তিনি বাতলে দিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে খুব মজার। এতে তার নিজের পকেট থেকে একটাকাও খরচ হবে না। উৎসাহী ব্যক্তিরা নিজেরাই সবকিছু করবেন, আইপিএলে হাবিবুল বাশারের ক্যাপ্টেন্সির মতো তিনি এসে সবাইকে ধন্য করবেন।
নিজ নিজ এলাকায় সবাই ২০ জনের দল গড়ে তুলবেন। আপনি অন্য এলাকায় কাজ করেন? নো প্রবলেম। এক সপ্তাহের ছুটি নিন, এলাকায় যান, যতোগুলো সম্ভব গ্রুপ বানান, তারপরে ফিরে আসেন। As simple as that! এইখানে আরো একটা কাজ করতে হবে, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও চেয়ারম্যানদেরকে ওয়ার্ড-লেভেলের গ্রুপ তৈরিতে উৎসাহ দিতে হবে। (তারা করাপ্টেড হোক আর যা-ই হোক, ক্ষমতা বলে কথা!)
আপনি কর্মী না হলেও প্রবলেম নাই, সমর্থক হোন। সমর্থকগোষ্ঠী গড়ে তুলুন। দেশে নাই, বিদেশে আছেন? নো প্রবস! সমর্থক গ্রুপ বানান। তার অফিস বানান আপনার কর্মস্থল (!) কিংবা বাসাকে। (আপনার বস কিং বা বউ আপনারে লৌড়াইলে আপনার রিস্ক ) তবে (সেই রিস্ক থেকে মুক্ত হয়ে) সম্ভব হলে দুয়েক সপ্তাহের জন্য দেশে আসুন। (প্লেনের ভাড়া আপনার, দারিদ্র্য যাদুঘরে রাখতে হইবো), নিজের এলাকায় যান, সমর্থক গ্রুপ সৃষ্টি করুন। সমর্থকদেরকে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিন। (এইবার বুঝলাম দারিদ্র্য কেমনে যাদুঘরে যাইবো। আপনি বিদেশে এসিডিসি করুন আর গবেষণা করে টাকা কামান, নাশের সমর্থকদের টাকা দেয়ার দায়িত্ব সূচারুরূপে পালনের দায়িত্ব আপনার।) তবে এসবের বাইরেও ইনুইচ্চ্যাকে আপনার কাজকর্মের রিপোর্ট করতে হবে। নির্বাচনের সময় আপনাকে কাজকর্মকে ছুটি দিয়ে দেশে আসতে হবে।
আপনি ফেয়ারসেক্সের লোক হইলে আপনার জন্য স্পেশাল ট্রিটমেন্ট। কারণ,
Half of the country’s people are women. But, your role in the decision-making process is ignored.
সম্ভবত, হাসিনা-খালেদার আর কোনো বেইল নাই, ক্ষমতায় তত্ত্ব সরকার। অথবা হাসিনা-খালেদা মাইয়া মানুষ না, তারা Caster Semenya র মতোই লিঙ্গ জোচ্চুরী করেছে।
পুরোদমে কাজ এগিয়ে চলেছে। পাড়ায় মহল্লায় সুশীল সমাজ, গ্রামে গঞ্জে 'এগিয়ে চলো, বাংলাদেশ', শহরে বন্দরে হৈচৈ, দেশে বিদেশে ডঃ ইউনুস সমর্থক গোষ্ঠী কিংবা ফ্যানক্লাব, ইয়াহু কিংবা গুগোল গ্রুপে 'নাশ' দলের আশার বেলুন, গ্রামীনের সুদের হার কতো কম, ইউনুস গ্রামীনের কোনো উচ্চপদে নাই, নিতান্তই গরীব ও সৎ মানুষ - কতোসব আলোচনা!
নিতান্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে জাতির সুশীল সমাজকে কাঁদিয়ে ২০০৭ ঈসায়ী সনেরই ৩রা মে তারিখে প্রফেসর ইউনুস তার তৃতীয় ওহীতে দল গঠনের নিজের অপরাগতা প্রকাশ করে বাণী নাজিল করলেন। বড়োই হৃদয় বিদারক সে বাণী!
পাড়ায়-মহল্লায়, দেশে-বিদেশে এত লোক এত কিছু করার পরেও ইউনুসের মন ভরে নি। যে তিনি বলেছিলেন জীবনে আর নোতুন করে তার কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই, সে তিনিই অন্যদেরকে গাছে তুলে দিয়ে ভাবলেন, 'নাহ! মইটা এখনো আমার দরকার।'
সব দোষ অন্যদের। তৃতীয় চিঠির শুরুটা অবশ্য মিথ্যাচার দিয়ে,
I wrote the first letter on February 11 seeking your opinions whether I should join politics. I wrote the second letter on February 22 declaring the decision to join politics and form a political party following your encouragements.
আগেই বলেছি, তার প্রথম চিঠিতে রাজনীতি করবেন কিনা, এই প্রশ্ন নাই। তবে তৃতীয় চিঠিতে একটু ব্যতিক্রম আছে দেখলাম। (যে অনলাইন ভার্সনের ওপর বেইজ করে এই পোস্ট) তিনি এবার আর সালাম-টালামের ধার ধারেন নি। বোধহয়, এই ২ মাস ৮ দিনে পাবলিকের ওপর তিনি তিতিবিরক্ত। পাবলিকের ওপর তিনি বিরক্ত হতেই পারেন, তবে আল্লাহর নাম না নেয়াতে অবাক হলাম। সেকুলারিজমের ধারক-বাহক একটি পার্টি পরিকল্পনায় তিনি বারবার আল্লাহর রহমতের ওপর যে জোর দিচ্ছিলেন, তাতে আল্লাহর ব্যাপারে তাকে খুব নিবেদিতপ্রাণই মনে হচ্ছিলো!
'কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ!' দেশের জরুরী অবস্থা চলাটাকেই ডঃ ইউনুসের কাছে মনে হয়েছে বিরাট সুযোগ,
A great sense of hope has prevailed in the country following the declaration of the state of emergency and the formation of a new caretaker government.
অবশ্য এক্ষেত্রে তার সত্যবাদিতার প্রশংসা না করে উপায় নেই। জরুরী অবস্থায় যখন সব দলেরই রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত, তখন ইউনুসেরই ছাড়পত্র রয়েছে এমনকি নোতুন করে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের! তত্ত্ব সরকার জিন্দাবাদ!
তবে দুর্ভাগ্যক্রমে শেষরক্ষা হলো না। যে লোকগুলো তাকে উৎসাহিত করছিলো, তারা নাকি রাজনীতিতে আসবে না। আল্লাহ মালুম তিনি কতো কোটি লোককে সরাসরি তার দলের কর্মী বা সমর্থক হিসেবে হিসেব করে রেখেছিলেন। এত এত ইউনুস ফ্যানক্লাবের কি কোনোই মূল্য নাই? নাকি, দুই মাস ৮ দিনে কমপক্ষে ১০ কোটি লোক তার দলে না ভিড়লে তিনি 'যাহ শালা, দলই করুম না' বলে ভাগা দিবেন?
তবে আসল মজা হলো তার দর্শানো এর পরের কারণে,
And those who are in political parties will not leave their parties, at least, now.
ওরে মামু, এতক্ষণে মনের কথা কহিলা খুলিয়া! অন্য রাজনৈতিক দলের লোকজন, যারা সব পঁচা-গান্ধা, তারা কি নাশে ঢুকলে আতরের খুশবু বিলাইতো? তারা নিজস্ব দল ত্যাগ করে নাশে ঢুকবে - নাশের অস্তিত্ব কি এইটার ওপর এতোটা নির্ভরশীল?
স্বভাবতই ডঃ ইউনুস সমর্থক গোষ্ঠীর মুখে তখন রসগোল্লা আর করোল্লা ভাজির স্বাদে পার্থক্য নাই। গ্রে এরিয়ায় যারা ছিলো, যারা একটা দীর্ঘশ্বাস ছাইড়া ভাবলো, "দূর বেটা, ভন্ড!"
তবে ডঃ ইউনুস প্রচন্ড আশাবাদী মানুষ। তিতা মুখে মিঠা কথা বলতে তার জুড়ি নেই। তৃতীয় চিঠির শেষ পর্যায় জুড়ে তাই কেবলই আশাবাদ। বাংলাদেশ কেমনে গ্রেট পটেনশিয়ালের দোর গোঁড়ায়, পরবর্তী পাঁচ বছরে দেশ কেমনে আগায়া যাইবো, (তিনি কি ২০১২ পর্যন্ত তত্ত্বরাজত্ব কল্পনা করেছিলেন?) আমাদের দেশ কেমনে কয়লা ও গ্যাস সম্পদে টুইটম্বুর, যেখানে সারা বিশ্ব শক্তির দুর্ভিক্ষে আছে (আহেম!), দেশের এত বিশাল খনিজ সম্পদ ব্যবহারের এখনই সময় (!) এবং ইনফোটেক ব্যবহার করে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ (???) হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে (কইছিলাম না, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন কার?)
সমস্যা একটাই, তিনি নিজে এখন এসবে থাকতে পারবেন না। একটা দুর্বল দলে তার ব্যাপক আপত্তি। তার চেয়ে অন্য কেউ আসুক, কাজটা করে দিক, তারপরে দেখা যাবে খন!
Instead of trying to create a new political arena with a weak party, let us wait for someone else to make the effort and succeed.
৬৭ বছরে না বুঝলেও ২ মাস ৮ দিনের অভিজ্ঞতায় তিনি বুঝে ফেলেছেন, এই দেশের মানুষ হারামি, কথা দিয়ে কথা রাখে না। তা তিনি বুঝতেই পারেন। তবে যার আর জীবনে নোতুন করে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই, তিনি ঠিক কিসের ভয়ে পিঠটান দিলেন, তার ইতিহাস কি কখনো লেখা হবে এই পোঁড়ার দেশে?
তথ্যসূত্রসমূহ: ডঃ ইউনুসের প্রথম চিঠি (বাংলায়)
মন্তব্য
অনেক ধন্যবাদ বলাই দা। চিঠি বিশ্লেষণে অবশ্যই আপনার নিজস্ব মতামত প্রতিফলিত হয়েছে। তাতে যেকেউ সহমত কিংবা ভিন্নমত পোষণ করতেই পারে।
আমি বলছিলাম কি, গোটা চিঠিগুলোই যদি পোস্টের নিচে হলেও তারিখসহ অবিকৃতভাবে উদ্ধৃত করে রাখা যেতো তাহলে আগামী দিনের গবেষকদের জন্যেও হয়তো কিঞ্চিৎ সহায়ক হতো। কখন কোন্ লিঙ্কে ক্লিক করলে আবার ব্যাড রিকোয়েস্ট এরর দেথিয়ে আমাদেরকে চিঠিহীন করে দেয় !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বস, কোন লিংক কাজ করে না? আমি অল্পবিস্তর যা খুঁজেছি, শুধু প্রথম চিঠির বাংলা পেয়েছি, বাকিগুলো পেলে যোগ করে দেবো। লিংকে সমস্যা থাকলেও এডিট করে দিবো। বেশ কয়েকটা বানান আর বাক্য ভুল এমনিতেই শুদ্ধ করতে হবে।
বক্তব্যে আসলে সহমত আর ভিন্নমতের স্থান যেমন আছে, তেমনি ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর বিষয়ও আছে। সবকিছুই 'জাস্ট এনাদার ওপিনিয়ন' নয়। অতএব, আমার বক্তব্যের কোথাও আপনার কাছে ভুল মনে হলে নির্দ্বিধায় বলবেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একটা প্রশ্ন মাথায় আসলো, তাকে ফিডব্যাক দিতে পাবলিক যে এসএমএস করেছিলো, তার ব্যয় আনুমানিক কতো হতে পারে? এ থেকে গ্রামীণ কি কোনোভাবে লাভবান হয়েছিলো?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- গ্রামীন ফোনের লাভ হলে কি তাতে প্রফেসর ইউনূসও লাভবান হন? আমি জানি না, তবে এটা জানি যে এই এসেমেস প্রোগ্রামে যদি গ্রামীন ব্যাংক কোনোভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে তাহলে সেটা একটা ব্যাপার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গ্রামীণ লভ করতে চেয়েছিল, করে ফেলেছে লাভ...
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
লাভ জিনিসটা সবসময়ই ক্যাচাইলা, সেটা ইংরেজি হোক আর বাংলা হোক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দরকারী লেখা বলাইদা। চমৎকার এই বিশ্লেষণ ধর্মী পোস্টের জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই।
ধন্যবাদ, মামুন ভাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদা পোষ্টটা বোধ হয সংরক্ষিত (রেস্ট্রেকটেড) না হলেও চলতো।
আমার মন হয় উন্নত দেশগুলো খুব ভরসা পেয়েছিল ইউনুসের সিঁকি-আধলী ঋণ প্রকল্পের সাফল্য দেখে। আজকের সব উন্নত দেশ কোন না কোন ভাবে গরীব দেশগুলো শোষণ এবং চোষন করেই ধনী হয়েছে। আর নিজেরা এত ভাল থাকলে গরীবদের খারাপ অবস্থা দেখে একটু বিব্রত তো লাগেই। আবার নিজেদের কোন সুবিধা ছেড়ে দিতেও ইচ্ছে করেনা। কিন্তু কোন কিছু ত্যাগ না করে, এ ভাবে গরীবদের অবস্থার উন্নতি সম্ভব হলেতো কথাই নেই। সীমিত সম্পদ সুসম বন্টন না হলে কোন সমাজের উন্নতি বলতে গেলে অসম্ভব। ইউনুস বিপ্লব করেছেন অথচ কোন ভাগাভাগির দন্ধ নেই। অনেকটা স্বপ্নের মতই মনে হয়।
কাজেই তাদের সমর্থন থাকবেই।
তবে ইউনুস দেখিয়েছেন-
যাদের আসলে শোষণ করার মত কোন কিছু নেই, তাদেরকেও শোষণ করা সম্ভব। তিনি একেবারে দিন এনে দিন খায় এমন সব মানুষদের শ্রমে ঘামে কর্পোরেট বানিজ্যের অভিষেক দেখিয়েছেন। সেটা সেলিব্রেট করতেই হয়।
রাজনীতি কোন কর্পোরেট বানিজ্য নয়। এখানে দাবী আদায় করতে হলে মিটিং, মিছিল মায় হরতালের মত অলাভজনক অশান্তির কাজও করতে হয়। প্রতি পক্ষের কটাক্ষ, জেল, জুলুম হুলিয়া এমন কি পিটোনিও ক্ষেতে হয়।
এমন কঠোর সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয়। দেশের এতো লুপপাটের রাজনীতি, রাজাকারদের দৈরাত্ব সব নীরবে দেখে গেছেন। কখনো সরব হতে শোনা যায়নি। অন্তত আমি প্রফেসর ইউনুসকে কোন রাজনৈতিক কথা বলতে শোনিনি যা ক্ষমতাশীনদের বিপক্ষে গেছে। কিন্তু আপনার আমার মত আম ব্লগার এই সব নৈরাজ্য দেখে পোষ্ট না দিলেও একটা মন্তব্য দেই কোন পোস্টে।
নিজের ক্যারিয়ারের ক্ষতি হতে পারে এমন কোন কথা তাঁরা বলেন না।
ব্যক্তি ইউনুস খুব সফল মানুষ। তাঁকে অভিনন্দন জানাতে আমি কুন্ঠিত নই। কিন্তু দারিদ্রতা দূরীকরণ প্রকল্পে তিনি একজন প্রজাপীড়ক জমিদারের মতই। সেই সব কথা বাদ দিলে প্রফেসর ইউনুসকে ধন্যবাদ দিতে হয়। কারণ নোবেল পুরস্কার আর মার্কিন পদকের বদৌলতে পৃথিবীর অনেক মানুষ আমাদের দেশের নাম শুনেছে। এটাই বা কম কি। একজন বাঙ্গালী হিসাবে আমার গর্বই হয় প্রফেসর ইউনুসকে নিয়ে।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
পুতুল ভাই,
আমি অবশ্য ভন্ডের মাধ্যমে দেশের নাম রওশন করাকে নিয়ে গর্বিত হই না।
ইউনুসের তৃতীয় চিঠিতে বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় দেশ বলতে গিয়ে যখন কয়লা ও গ্যাসের বিশাল মজুদ হিসেবে বাংলাদেশকে বর্ণনা করা হয়, তখন বরং তার বিষয়ে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন বোধ করি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমার বোঝার ভুল কিনা জানিনা। তবে মনে হইল খুব পছন্দের মানুষ সম্পর্কে অভিমান হইলে যেভাবে নালিশ করে মানুষ, আপনার লেখাটা সেই রকম হইসে। আপনার বেশিরভাগ পর্যবেক্ষন আমার সাথে মিলে যাচ্ছে। কেবল ব্যখ্যার ব্যপারে যেই আবেগ আপনার দেখলাম সেইটা তাঁর রাজনীতি ছাড়ার কয়েকদিন পর পর্যন্ত বলবত ছিল আমারও (আসলে অনেক কিছু মনেই পড়ত না আপনার পোস্ট না পড়লে)। আমি নিজেই বন্ধু বান্ধবদেরকে এমেইল দিসিলাম ইউনুসকে সমর্থন জানানোর জন্য। আবার সেই সময়ে কিছুটা সন্দেহও কিন্তু জাগছিল তার সাফল্যের ব্যপারে। তবে তার সদিচ্ছার ব্যপারে সন্দেহ জাগেনি কখনও।
এরপরে ব্যপারটারে বাস্তব ফলাফল হিসাবে মেনে নিসি। তার কাছ থেকে আপনার আশা বোধকরি আর দশজনের চেয়ে (অন্তত আমার চেয়ে ত বটেই) বেশিই ছিল। একটু অন্যায় রকমের বেশি। তিনি যে রাজনীতির রাস্তার সাথে পরিচিত ছিলেন না সেটা বোধগম্য এবং এইজন্য এই না দেখা যায়গাতে ঢুকে নাজেহাল হবার ব্যপারটাও আমার কাছে স্বাভাবিকই মনে হয়েছে। তাই ব্যপারটাকে আমি সহজে মেনে নিতে পেরেছি।
---------
আরেকটা কথা লেখা কিন্তু ভাল হইসে। মজাও পাইসি বিস্তর। বিশেষ করে আমার কিছু সময়ের অনুভুতির সাথে কিছুটা মিলে যাওয়াতে আবেগের ওঠানামা বুঝতে আমার তেমন অসুবিধা হয়নি।
আমি গ্রে এরিয়ার লোক। ইউনুস দল করলেই যে পুরোপুরি সততার সাথে দেশের জন্য জানপ্রাণ দিয়ে লড়বে, এজন্যই এটা ধরে নেইনি। আপনার সন্দেহ জেগেছিলো তার সাফল্য নিয়ে, আমার সন্দেহ জেগেছিলো তাকে নিয়েই। সে রাজনীতিতে এলে একটা অপশন বাড়তো। এই অপশন বৃদ্ধিটাকে স্বাগত জানিয়েছি। ইউনুসকে তখন আমার পছন্দও না, অপছন্দও না। কারণ, তার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না। এখনো অবশ্য তেমন জানি না। যেমন, তার সুদের কারবারের আলোচনায় আমি সাধারণত জড়াই না।
তবে ইউনুস সন্দেহের অবস্থানে ছিলো প্রথম থেকেই। ইন জেনারেল, সার্টিফিকেট থাকলে আকামে সুবিধা হয় আর সুশীলদের ব্যাপারে একটু বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। মোটকথা, ইউনুস আমার পছন্দের মানুষ হয়ে উঠতে পারে নি, এই পোস্টে যা লেখা তাতে অভিমানের কিছু নাই, তার ভন্ডামিই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি মাত্র।
এখন অন্তত এই বিষয়ে তার সম্পর্কে আর সন্দেহের অবকাশ নেই। সে নিশ্চিতভাবেই ভন্ড।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে যতটুকু বুঝেছি তার চিঠিগুলোকে পরপর সাজানোর পর তাকে ভন্ড দাবি করতে হলে যে যৌক্তিকতার দরকার আপনার লেখার ধারায় সেটা আমার দুর্বল চোখে ধরা পরেনি। প্রচুর আবেগ আর সন্দেহবাদের প্রয়োগ করেছেন। আমরা তো আসলে ঘর পোরা গরুই। সে দিক থেকে আপনার এই পোস্টের উপর কোন রকম বাক চাতুর্য প্রয়োগ না করে বরং আরেকটু আশাবাদি হবার অনুরোধ করব। আমাদের মনে সন্দেহ জাগার কারন অগন্য। আমরা আসলে সহজেই সন্দেহে উপনীত হই এবং কিছুটা বোধগম্য কারনেই। ছোট দেশ, সীমিত সম্পদ, আরো অনেক কারন। কিন্তু চিন্তা চেতনার এই যে গ্রে এরিয়া এর দ্বারা খুব বেশি দূরে যাওয়া যায়না হয়ত। যেই ইউনুসকে নিয়ে এত কথা সেই কি গ্রে এরিয়ার ঘোরটোপ থেকে মুক্ত? যারা তাকে সমর্থন জানিয়েছিল তারা কিন্তু আসলেই দ্বিধাগ্রস্তই হয়েছিল এক পর্যায়ে। যদি ইউনুস দাড়াতে না পারে? তখন তার পেছনে নাচার দায়ে ...... কি থেকে কি হয়? বাংলাদেশের রাজানীতির পথ কেবল কন্টকাকীর্ণ নয় ভীষন পংকিলও বটে সেটাও ভেবে দেখা দরকার।
পলিটিক্সে জয়েন করার জন্য তিনি মানুষের কাছ থেকে উৎসাহের আশায় বসে আছেন, এমনটা প্রথম চিঠিতে পাওয়া যায় না
I am ready to take the risk if you think me joining politics will help in ushering of a new political climate.
এখানে মনে হয় আছে। তাছাড়া চিঠিটি যেদিন পত্রিকায় ছাপা হয় সেই দিন একটা রিপোর্টও ছাপা হয়েছিল ডেইলি স্টারে সেখান থেকে উদ্ধৃতিঃ
"If they say 'go ahead', I'll join politics...form a party," he told reporters.......... " লিঙ্ক
কাজেই আপনি যে বলছেন তিনি মিথ্যাবাদি সেটা কিন্তু ঠিক নয়।
আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করুন। প্রথম চিঠিতে তিনি বলছেনঃ
We will not be able to reach our goal with feeble support.
আপনার মত সাবধানি চোখে এই বক্তব্যটি এড়িয়ে গেল কি করে? নাকি বাক্যটির অর্থ বুঝতে আমার কোন অসুবিধা হচ্ছে? সেটা তার রাজনীতি থেকে পরবর্তিতে পেছনে ফিরে আসার সাথে কি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়? তাঁকে সবাই কতটা গ্রহন করছে সেটা তিনি যাচাই করতে চেয়েছেন। তিনি হাসিনা খালেদার মত বলেননি সবাই তার দিকে তীর্থের কাকের মত তাকিয়ে আছে। মানি রাজনীতি এভাবে হয়না। আর হয়ওনি। কিন্তু এর দরুন তিনি ভন্ডে পরিনত হন না।
তিনিযে রাজনীতির ব্যপারে বকলম সে ব্যপারে দ্বিমতের কোন সুযোগ নেই। তা না হলে তিনি হয়ত আশা করতেন না যে এই দেশে রাজনীতিতে সাফল্য এত সহজে আসতে পারে। গনতন্ত্রে রাজনীতির ধারা তিনি যে ধরতে পারেননি এটা তার একটা ভ্রান্ত অনুমান প্রসুত। কিন্তু তাকে ভন্ড মনে করার কোন কারন দেখিনি। তৃতীয় চিঠি থেকে আরেকটা উদ্ধৃতি দেয়া দরকার মনে করছিঃ
"I am extremely sorry to stand aside politics after giving you the hope. I have taken this decision early so that your further disappointment does not increase from my delay."
যারা সত্যিই কাজ করেছিলেন তাদের উদ্দেশ্যে তিনি খুবই আন্তরিক ভাষায় ক্ষমা চেয়েছেন। যাই হোক যারা তার জন্য কাজ করেছেন তাদেরকে আশাহত করার ব্রত নিয়ে তিনি হয়ত মাঠে নামেননি।
প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন দলে-উপদলে কর্মী-নেতা ও সমর্থক তৈরির যে প্রক্রিয়া তিনি বাতলে দিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে খুব মজার। এতে তার নিজের পকেট থেকে একটাকাও খরচ হবে না।
রাজনীতিকে ব্যবসা হিসাবে ভাবলে তো আসলে বিনিয়োগ করাই উচিত ছিল। প্রচলিত রাজনীতিতে কিন্তু প্রচুর বিনিয়োগ হয় নেতাদের পকেট থেকে সেখানে আবার হোয়াইট কলার চাঁদাবাজিও প্রচলিত আছে। বিনিয়োগের পর যখন এমপি বা মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ মেলে তখন সুদে আসলে....।সেই কালচারই যদি আমাদের মনে ধরে বসে থাকে তাহলে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যপারে আর মায়াকান্না কেন করি আমরা। যা আছে তাতেই বরং খুশি থাকি।
হ্যাঁ, এ বিষয়ে আপনি কারেক্ট। আমারই ভুল। বিজনেস ওয়ার্লডের কথাবার্তা এমনভাবে সাজানো থাকে যে, চোখের সামনে সত্য থাকলেও কথার মারপ্যাঁচে সেটা প্রমাণ করা টাফ। যেমন ইউনুসের ১১ দিনের মধ্যেই দল গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে বলা সম্ভব না যে, তিনি প্রথম চিঠি লেখার সময়ই দল গঠনের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন, সেটা যতো সত্যই হোক না কেন, আর ১১ দিন এরকম একটা সিদ্ধান্তের জন্য যতো অল্প সময়ই হোক না কেন। পলিটিক্যালি আপনি কারেক্ট।
এ বিষয়ে আমার বক্তব্য কারেক্ট। কারণ, এখানে 'হালকা সমর্থনে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না' কথাটি দ্বিতীয় চিঠিতে না, প্রথম চিঠিতেই ছিলো। এবং প্রথম চিঠির এই বক্তব্যের ফিডব্যাক পেয়েই তিনি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেন। সুতরাং হালকা না ভারী সমর্থন তার বিচার সেখানেই হয়ে যায়। সেটা পরবর্তিতে কোনো অনির্দিষ্ট সময়ে তার জন্য এসকেপ রুট সৃষ্টি করে না।
হালকা বা ভারী সমর্থন বলতে তিনি কি বুঝিয়েছেন? ২ মাসের মধ্যে তিনি কতো কোটি লোককে দলের কর্মী হিসেবে পেলে খুশি হতেন? আমি আশেপাশে যা দেখেছি, তাতে তিনি অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছেন। তার রাজনীতিতে আসার বিরোধিতা হার্ডকোর দলীয় লোক বা ইউনুসের অন্ধ শুভাকাঙ্ক্ষী ছাড়া কাউকে করতে দেখি নি।
আসলে ক্ষমা জিনিসটা সবক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় না। সরি বললেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যায় না। রাজনীতিও এমন একটা বিষয়, যাতে ভুলের কোনো ক্ষমা নেই। এতগুলা লোক তার জন্য এত এফোর্ট দিলো, আর সে সরি বললেই (যতো আণ্তরিকভাবে হোক) খেল খতম?
রাজনীতিটা নিশ্চিতভাবেই এক ধরনের ব্যবসায়, একটি দাতব্য বিষয় নয়। সুতরাং দল করতে হলে টাকা খরচ করতে হবে, পরের টাকার ওপরে নির্ভর করে রাজনীতি করে সফল এরকম একটা উদাহরণ দেখাতে পারেন? এখন এই টাকার যোগান আসবে কোথা থেকে, সেটা একটা প্রশ্ন। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই 'বৈধ' ইনকাম সোর্স থাকার দরকার আছে। বাংলাদেশে যেটা হয়, তা হলো দুর্ণীতি। কিন্তু এই দুর্ণীতি রুখতে রাজনৈতিক দল করতে অর্থের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় না। সমস্যা ব্যবসায়ে নয়, সমস্যা অবৈধ ব্যবসায়ে এবং দুর্ণীতিতে।
প্রফেসর ইউনুসও বেসিক্যালি যে ফর্মূলা দিয়েছেন, তার মাধ্যমে ব্যবসায়ই করেছেন। একে বলে পরের ধনে পোদ্দারি বিজনেস। পাবলিক নিজের টাকা খরচ করে দল বানাবে আর তিনি এসে সে দলের দায়িত্ব নিয়ে সবাইকে ধন্য করবেন। এখানে তার পুরাটাই লাভ, লসের কোনো চান্স নাই। মূলত রাজনীতি থেকে হঠাৎ করে সরে আসাটাও এতে সহজ হয়। তার নিজের যদি সেরকম ইনভেস্টমেন্ট থাকতো, তিনি এত সহজে পাবলিককে কাঁচকলা দেখাতে পারতেন না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তিনি ক্ষমা চেয়ে তো এক অর্থে নিজের ভুলি স্বিকারই করলেন। কাজেই তারে ফেরেস্তা দাবি যদি করি তাইলে সেইটা কোন মতেই ঠিক হয় না। কাজেই আমার আর আপনার দ্বিমতের মূল যায়গা হইল এই খানে যে আমি তারে মনে করতেসি অপরিনামদর্শী আর আপনি মনে করতেসেন ভন্ড।
আপনি বা আপনার আশে পাশে অনেকে হয়ত অনেকদূর চেষ্টা করার ফলে তার পেছনে চলে যাওয়াতে বেশি আহত হয়েছেন। আমি যেহেতু কয়েকটা ইমেইলের বেশি কিছু করিনাই আমার তাই গায়ে কম লাগসে। এইটা অবস্থানগত পার্থক্য। এইটারে আপনি আমি কেউ হয়ত কাটাইতে পারমুনা। তারপরও আমার মন্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেছেন সেই জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমি তাকে ভন্ড মনে করছি; কারণ, তিনি এত অপরিণামদর্শী হলে যে অবস্থানে এসেছেন, সে অবস্থানে আসতে পারতেন না। এত অপরিণামদর্শী হওয়ার মতো রামবলদ তিনি নন।
আমার কাছে তাকে বরং সুযোগ-সন্ধানী মনে হয়েছে। তখনকার পরিস্থিতিতে পাবলিক সব রাজনৈতিক দলের ওপরে বিরক্ত। তিনি সদ্য নোবেল পেয়েছেন। তত্ত্ব সরকার তাকে ছাড়পত্র দিয়েছে। এই চান্সে যদি শর্টকাট মারা যায়। আমি তার পেছনেও যাই নি, তাকে নিরুৎসাহিতও করি নি। তিনি প্রথম চিঠিতে যা বলেছেন, তা যদি মিন করে থাকতেন, তাহলে দল গঠন করে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতেন। নির্বাচনে তার দল এই টার্মে ক্ষমতায় না গেলেও দলটির রাজনৈতিক শক্তি কম হতো না এবং সময়ের সাথে সেটা বাড়তেই থাকতো। তার রাজনীতি না করার সিদ্ধান্তে আমার মনে হয়েছে, তিনি এই মুহূর্তেই ক্ষমতায় যেতে পারছেন না ভেবে রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছেন। জীবনে আর নতুন করে চাওয়ার কিছু নেই - তার এই বক্তব্যটি তিনি নিশ্চিতভাবেই মিন করেন নি।
আমি সব মন্তব্যকেই গুরুত্ব দেই। এখন সময়ের চিপায় পড়ে ঠিকমতো হয়তো অনেক মন্তব্যের উত্তরই যেভাবে দেয়া প্রয়োজন, সেভাবে দিতে পারি না, তবে প্রত্যেকটা মন্তব্যই একটা ফিডব্যাক, যা নিজের ভাবনাকে অন্যের সাথে মিলিয়ে নিয়ে ভাবনার ভুলত্রুটি সংশোধনে সাহায্য করে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তৃতীয় চিঠিটা পেয়েছি। ডেইলি স্টারের রিপোর্টের তলায় লিঙ্ক পাওয়া গেল।
আপনার তো দেখি ম্যালা সাহস !
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনার পোস্টটা হাস্যকর রকমের ছেলেমানুষীতে পূর্ণ। যে সমস্ত কোট করেছেন সেগুলোর বেশীরভাগেরই সমালোচনার কোন মানে নাই। আরেক জায়গায় বলেছেন:
কই আমার কাছে তো তেমন কিছু মনে হয়নি!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
দলের নাম নির্বাচনের বিষয়ে তো বেনিফিট অফ ডাউট পোস্টেই দিয়েছি।
আর কোথায় কোথায় হাস্যকর লেগেছে? সমস্যা হলো, অনেক কিছুই বেনিফিট অফ ডাউট দিয়ে ইগনোর করা যায়। কিন্তু এই ডাউটের জিনিসগুলোর যোগফল অনেক বড়ো হয়।
বাড়তি চর্বি ঝরিয়ে ফেললে এই পোস্টের বক্তব্য এমন হয়:
"
ইউনুস
----------
১। (জরুরী অবস্থায়, যখন রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ)আমি একজন অত্যন্ত সফল ব্যক্তি, কোনো সাফল্য পেতেই আমার আর বাকি নাই। জীবনের কাছে নোতুন করে চাওয়ার কিছু নেই। তাই আমি দেশের অসুস্থ রাজনীতি থেকে মুক্তি দিতে একটি রাজনৈতিক দল গড়ে আপনাদের নেতৃত্ব দিবো। আপনারা কিভাবে অবদান রাখতে পারবেন বলুন।
২। (১১ দিনের মধ্যেই) আপনাদের সাড়া পেয়ে আমি আনন্দে উদ্বেলিত। এবার কাজ শুরু করুন। এভাবে এভাবে করবেন। প্রত্যেকে নিজের টাকা ও সময় ইনভেস্ট করে কাজ করতে থাকুন।
৩। (মাত্র ২ মাস ৮ দিন পরেই) আপনাদের কাজে আমি সন্তুষ্ট না। আপনাদের যারা কথা দিয়েছিলেন, তারা অনেকেই রাজনীতিতে আসবেন না। যারা এই দুইমাস ধরে কাজ করেছেন, তাদের কাজের জন্য ধন্যবাদ, তবে এতে আমি কনভিন্সড না। অনেক রাজনৈতিক দল থেকেও নেতা ভাগিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছি। সুতরাং রাজনীতি করুম না। অন্য কেউ যদি করতে পারেন, করেন। তিনি সফল হলে তখন আমরা দেখবো।
লেখকের সিদ্ধান্ত
----------
মিথ্যা কথা বলতে লোকটার বাধে না। পাবলিককে দিয়ে পাবলিকের খরচে (টাকা, সময়, মেধা) গ্রুপ ও সমর্থকগোষ্ঠী বানিয়ে ব্যাটা এখন কেটে পড়ছে। রাজনীতিতে আসা মানে রিস্ক, এটা যেহেতু সে আগেই জানতো, সেহেতু এখন কেটে পড়া মানে পাবলিকের সাথে জোচ্চুরী করা। সে নিশ্চিতভাবেই ভন্ড।
"
এই বক্তব্যে ভুলটা কোথায়?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাই দা, মাত্র তিনটা চিঠির কিছু অংশ উদ্ধৃত ও নিজস্ব বিশ্লেষণ করে যেভাবে ড. ইউনূসের মতো একজন ব্যক্তিত্বকে নিশ্চিতভাবে ভণ্ড প্রমাণ করে দেয়ার অভূতপূর্ব সৃজনশীলতা দেখালেন, আগামী দিনের গবেষকদের জন্য তা পাথেয় হয়ে থাকতে পারে হা হা হা ! অনেক কষ্ট কমিয়ে দিলেন তাঁদের !
আর আগে লিঙ্কগুলোর ব্যাপারে বলছিলাম এজন্য যে, একটা সময়ে গিয়ে পত্রিকাগুলোর আর্কাইভ গায়েব হয়ে যেতে দেখা যায়। তাই সংশ্লিষ্ট কারণেই (সম্ভাব্য আশঙ্কায়) বলছিলাম তা পোস্টে কপি করা থাকলে এর সংরক্ষণযোগ্যতা দীর্ঘায়িত হতো।
তবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আমার দ্বিমত থাকলেও (পরবর্তী কোন সময়ে তা পর্যালোচনা করার আশা রইলো) বিষয়গুলোকে আলোচনার পর্যায়ে আনার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হা হা হা। রণদা, আমি সাধারণত চেষ্টা করি ব্যক্তির পারসোনালিটি বা সুনাম যেন তার কাজের আলোচনায় একটা বাধা সৃষ্টি না করে। তবে বিশ্লেষণ হিসেবে এ পোস্টের গুরুত্ব খুবই কম। অনেক তাড়াহুড়ায় অনেক বিষয়ই চোখ এড়িয়ে গেছে। উপরে রিয়াজ ভাইও একটা ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। এটা মূলত তার বাকচাতুর্যে মজা পাওয়া থেকে লেখা।
দেখি, চিঠিগুলো বাংলায় পেলে তা সহ পুরোটা পোস্টে/মন্তব্যে জুড়ে দেবো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হেহহে মজা পাইলাম!
ওনার দলের নাম প্রথমে রাখা হৈছিলো "সর্বদলীয় নাগরিক শক্তি" যার সংক্ষেপ হয় "সর্বনাশ"।
[স্বভাবতই ডঃ ইউনুস সমর্থক গোষ্ঠীর মুখে তখন রসগোল্লা আর করোল্লা ভাজির স্বাদে পার্থক্য নাই। গ্রে এরিয়ায় যারা ছিলো, যারা একটা দীর্ঘশ্বাস ছাইড়া ভাবলো, "দূর বেটা, ভন্ড!"]
এইটাও মজার !!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
সর্বনাশটা আরো হিট হইতো!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মজারু
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
থ্যাংক্স, কীর্তিদা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
চট্টগ্রামের সব চেয়ে ধনী স্বর্ণকার ও এক কালে মহিলাদের গয়না বন্ধক রেখে উচ্চ সুদে ঋণদাতা দুলা মিয়া সওদাগরের পুত্র অযৌক্তিক উচ্চসুদের দুষ্ট চক্রে মহিলাদের সম্পূর্ণ জীবনকেই কোল্যাটেরাল ধরে যে ঋণ পদ্ধতি প্রচার করেছেন তার মধ্যে একটি মাত্র রাজনীতিই বর্তমান, যে-কোন বুদ্ধিমান মানুষ তা দেখতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে তাকে আবার নতুনভাবে এই উচ্চ সম্মান প্রদর্শনে আমি চিন্তিত ও ভীত। মনে হয় তারা নতুন করে একটি অগণতান্ত্রিক সরকার আমাদের ওপরে চাপিয়ে দেবার পরিকল্পনায় আছে এবং আবার এই মানুষটিকেই ব্যবহার করতে চায় শ্রীবর্ধিত সিভি প্রদানে আরো আপাত-মহিমান্বিত করে।
ইউনুস কখনো বাংলাদেশের কোন রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না, মুক্তি যুদ্ধেও তাঁর কোন অবদান নেই, এমন কি সে সম্বন্ধে কোন অনুভূতিও তিনি কখনো প্রকাশ করেন নি। আর আমাদের সেই দুঃসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা আমরা সবাই জানি। তবে এরশাদকে তুষ্ট করে তাঁর প্রকল্প দ্রুত বিস্তার করেন। তাঁর পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মানুষকে ম্যানিপুলেট করার ক্ষমতা অসাধারণ। আমি কাছ থেকে দেখেছি। তিনি অর্থলোভী নন, ক্ষমতালোভী। যে ক্ষমতা স্বাভাবিক ভাবে পাওয়ার অধিকার বা যোগ্যতা তাঁর নেই, সেটার বিকল্প পন্থায় ব্যবস্থা করতে হয়তো পেছনে অনেক কর্মকাণ্ড ঘটমান। দেখা যাচ্ছে এই ট্যাক্টিক্স কিছুটা সফল হয়েছে, এবং একটা সত্যি অন্ধ ফ্যান ক্লাব তৈরী হয়েছে।
@ সুধীর
চূড়ান্তভাবে কোন সিদ্ধান্ত আরোপের আগে মাওলা ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত ড. ইউনূসের 'গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন' বইটি একটু উল্টেপাল্টে দেখে আপনার কাছ থেকে আরেকটা সম্পূরক মন্তব্য আশা করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
তাৎপর্য পূর্ণ কথা, খুব খেয়াল কইরা!
উইকিপিডিয়ার এই বক্তব্যগুলান দেখা দরকার মনে হয়ঃ
During the Liberation War of Bangladesh in 1971, Yunus founded a citizen's committee and ran the Bangladesh Information Center, with other Bangladeshis living in the United States, to raise support for liberation.[6] He also published the Bangladesh Newsletter from his home in Nashville.
লিঙ্ক
খিয়াল কইরা?
হা হা হা হা হা হা !
এই পোস্টটি সত্যিই আনন্দের খোরাক।
উইকির এই বাক্যটির রেফারেন্স হলো মতিউর রহমানকে দেয়া ইউনুস সাহেবের স্বকথন। সেটাও উইকির লিংকে গিয়ে পেলাম না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নিকৃষ্ট উপাচার্যটি পকেটে সব সময় একটা রিসিট নিয়ে ঘুরতেন। মুক্তিযুদ্ধ কালে তিনি কানাডায় পাঠরত অবস্থায় কয়েক ডলার নাকি দান করেছিলেন, তার প্রমাণ। সবাই অবাক হয়ে বলেছিলঃ এ সব তো আমরা কবেই ফেলে দিয়েছি , আপনি দেখছি সযত্নে রেখে দিয়েছেন।
ইউনুস পরিবারকে আমি এত ভালো চিনি, আমার উইকি দেখার দরকার নেই।
আপনি তাহলে উইকিতে আপত্তি জানান। সবাই একটা ভুল তথ্য জানবে সেটাত ঠিক নয়। আর সঠিক তথ্যটি তুলে ধরেন রেফারেন্স/প্রমান সহ। রাগীব বোধ করি এই ব্যপারে সাহায্য করতে পারবে। না হয় একটা পোস্টই দিন। বিষয়টা যেমন গুরুত্বপূর্ন সেক্ষেত্রে একটা পোস্ট দেয়াটা খুবই যুক্তি যুক্ত।
এখানে কেবল আপনার বা আমার জানাটাইত যথেষ্ট নয়। বাকিদেরও অনেক জানার আছে। সেই ক্ষেত্রে আপনার দায়িত্ব আছে ভুল সংশোধন করে দেবার কারন আপনি সত্যটা জানেন। যতক্ষন পর্যন্ত সেটা না হচ্ছে সংগত কারনেই ইউকি একটা তুলনা মূলক ভাবে বেশি নির্ভরযোগ্য উৎস্য। আমরা সাধারন মানুষ - আম জনতা আমরা ইউনুসের পরিবারের সাথে পরিচিত নই। তাই বই খাতা, সংবাদপত্র এসব দেখে বিশ্বাস করতে হয়।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
তার ইতিহাস কি কখনো লেখা হবে এই পোঁড়ার দেশে?
উত্তর চাই উত্তর চাই উত্তর চাই
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ভালো বলেছেন। একটা বিস্তারিত বই লিখে ওয়েব-এ পিডিএফ ফরম্যাট-এ ছাড়ব, প্রমাণপঞ্জী সুদ্ধ, মাস দু'এক পরে। বেলুন ফু্টো করা যতই মজার কাজ হোক, সেটা বিনোদন, কাজের অগ্রাধিকার অন্য জায়গায় রয়েছে।
তবে অনেক বিদেশী আজকাল মুদ্রার অন্য পিঠটা দেখতে এদেশে আসছেন। একজনকে ঘাড় ধরে গ্রামীনের সদর দফতর থেকে বার করে দেয়া হয়েছে, কাগজে খবরটা বেরিয়েছে।
উইকিতে বাংলাদেশীদের জীবনী প্রায় সবগুলিই অগ্রহণযোগ্য, সূত্রহীণ তথ্যসম্বলিত।
সূত্র আছে তো। যে লোকের জীবনী, তার সাক্ষাৎকারের কথাই শিরোধার্য! আপনার বইয়ের অপেক্ষায় আছি। দেখা যাক, ডঃ ইউনুস কোন ভার্সন বের হয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ইউনুচ ডাক্তার নিয়ে আরেকখান সংবাদ, সূত্র আমাদের সময়, সেপ্টেম্বর ৬, ২০০৯
আমাদের সময় (সেপ্ট ০৬, ২০০৯)
শামছুদ্দীন আহমেদ:
এরশাদ সরকারের সময়ের বিভিন্ন ভূমিকা ও সুবিধা আদায়, নোবেল জয়ের পর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দেয়া বক্তব্য, ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী ভূমিকা এবং সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মইন উ আহমেদের জবানবন্দি গভীরভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করলে প্রতীয়মান হয় যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা ও বিএনপিকে তুলনামূলকভাবে বেশি পছন্দ করেন।
কিছু সুনির্দিষ্ট পরামর্শ ও প্রস্তাবের ভিত্তিতে ড. ইউনূস বিএনপির পক্ষে কাজ করবেন, এই ধরনের খবরে বিস্ময় প্রকাশ না করে রাজনীতি পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সক্রিয় রাজনীতি করার এবং রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রবল আকাক্সক্ষা তার দীর্ঘদিনের। দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর এবং ঘরোয়া রাজনীতি নিষিদ্ধের মধ্যেও নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস লালিত সেই সুপ্ত বাসনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।
নোবেল অর্জন, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা এবং ‘অবৈধ অর্থ উপার্জনের উদ্দেশেই রাজনীতিকরা রাজনীতি করেন’ ড. ইউনূসের এই ধরনের মন্তব্যের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাকে ‘সুদখোর মহাজন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলসহ দলটির আরো অনেকেও তার কড়া সমালোচনা করেন।
পক্ষান্তরে বিএনপির অনেকেই শুভেচ্ছা জানান ড. ইউনূসকে। খালেদা জিয়াও এখন পর্যন্ত তার সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেননি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া পুরস্কার পাওয়ার পর সম্প্রতি বিএনপি প্রতিনিধি দল তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। তার কাছে পৌঁছে দেয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছাপত্র। আওয়ামী লীগ-বিএনপির ধারাবাহিক আচরণ ও প্রতিক্রিয়া তুলনা করলে বোঝা যায়, বিএনপির প্রতি ড. ইউনূসের এবং তার প্রতি বিএনপির পারস্পরিক দুর্বলতা রয়েছে।
ড. ইউনূস যে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা বেশি পছন্দ করেন এর প্রমাণ পাওয়া যায় অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের একটি বক্তব্য থেকে। ড. ইউনূস যখন নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে তৎপর তখন অধ্যাপক মোজাফফর এই প্রতিবেদককে বলেছিলেন, নৈকট্য রয়েছে এমন প্রায় সবার কাছেই ড. ইউনূস তার এই পছন্দের কথা ব্যক্ত করেছেন। বিভিন্ন কর্মকান্ডেও তিনি তার এই পছন্দের মূল্যায়ন করেছেন।
সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদও তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন, ১/১১ সৃষ্টির সময় প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হলে ড. ইউনূস বলেছিলেন, এত অল্প সময়ের জন্য তিনি দায়িত্ব নিতে চান না। নির্বাহি ক্ষমতাসহ দীর্ঘমেয়াদের হলে দায়িত্ব নিতে আপত্তি নেই বলেও তখন জানিয়েছিলেন ড. ইউনূস। এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষ্যনীয়, ড. ফখরুদ্দীন আহমদের সরকারে যারা উপদেষ্টা হয়েছিলেন তাদের সিংহভাগই ছিলেন জাতীয়তাবাদী ঘরানার। আর সেরকম একটি সরকারেরই প্রধান হওয়ার জন্য ড. ইউনূসকে প্রস্তাব দেন ১/১১’র কথিত নায়করা।
শান্তিতে নোবেল জয়ের পর ২০০৬ সালের ৫ নভেম্বর বঙ্গভবনে ড. ইউনূসকে সংবর্ধনা দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। ড. ইউনূসের সেদিনের বক্তব্যও নির্দিষ্ট ঘরানা ইঙ্গিত করে। ইয়াজউদ্দিনকে লক্ষ্য করে সেদিন ড. ইউনূস বলেছিলেন, আপনি যত শক্ত হবেন দেশ তত ভালো চলবে। দেশের মানুষ চায় আপনি শক্ত হাতে দেশ চালান। কারো জন্য শক্ত, কারো জন্য নরম হবেন না। যদি তা না হন তাহলে দেশের ভাগ্যে অপেক্ষা করছে অন্ধকার।
ইয়াজউদ্দিনকে অনুরোধ জানিয়ে সেদিন ড. ইউনূস বলেছিলেন, আপনি সবার কথা শুনবেন, আবার কারো কথাই শুনবেন না। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে, এক তালে এবং একযোগে চলবেন। ছোটখাটো কাজের ঝামেলায় আটকে যাবেন না। কেউ সমালোচনা করলে রাগ করবেন না। সমালোচকদের কাছেই আপনি প্রমাণ করুন তাদের সমালোচনা ঠিক নয়।
বঙ্গভবনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস আরো বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের সবাই যোগ্য ও নিষ্ঠাবান। রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে তিনি বলেন, ৯০ দিন পর এমন সরকার ক্ষমতায় আসবে যারা এদেশের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেবে।
একই বছরের ২৯ নভেম্বর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ড. ইউনূসকে সংবর্ধনা দেয় ঢাকা সিটি করপোরেশন। তখন প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে ড. ইয়াজউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার ১৪ দল। অথচ ড. ইউনূস সেদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ১৪ দলের উদ্দেশে বলেছিলেন, দেশের মঙ্গলের কথা মাথায় রেখে, দেশের ভবিষ্যতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আপনারা আগামী অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করুন। অবরোধ দিয়ে যে প্রক্রিয়া শুরু হবে সেটি ভয়ংকর পথের দিকে আমাদের নিয়ে যাবে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার ইচ্ছা থাকলেও পথ খুঁজে পাবেন না।
আন্দোলনরত ১৪ দলকে তিনি আরো বলেছিলেন, দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখুন। অর্থনীতি ধসে গেলে এটাকে আবার সুস্থ করতে আমাদের বহু বছর পার হয়ে যাবে। যত গুরুত্বপূর্ণ কারণই থাক না কেন অর্থনীতি ধ্বংস করবেন না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অচল করে দেশের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না।
সেদিনের অনুষ্ঠানে সংঘাত ও সংঘর্ষের পথ পরিহার করে চার দল ও ১৪ দলকে শান্তিচুক্তি করার আহ্বান জানান ড. ইউনূস। এক থেকে দুই বছরের জন্য সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়ে সাত দফা শান্তিচুক্তির খসড়াও প্রকাশ করেন তিনি।
একই অনুষ্ঠানে সর্বদলীয় সরকারের রূপরেখা দিয়ে ড. ইউনূস বলেছিলেন, নির্বাচনে যে জোট বেশি সংখ্যক আসন পাবে তাদের থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া জোট থেকে উপ-প্রধানমন্ত্রী হবেন। মন্ত্রিসভার এক তৃতীয়াংশ পদ থাকবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া জোট থেকে। আর কে রাষ্ট্রপতি হবেন তা আগে থেকেই নির্ধারণ করে শান্তিচুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত রাখার প্রস্তাব দেন তিনি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
নতুন মন্তব্য করুন