সচল সমাবেশে ক্রিকেট

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৯/২০০৯ - ৪:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তীরুদার সাথে আমার একটা অস্বস্তিকর স্মৃতি আছে। বছর দুয়েক আগের কথা। একটা গেট টুগেদারে ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজকদের একজন হয়ে পাবলিককে যতোদূর সম্ভব হালুয়া টাইটের যোগাড়যন্ত্র করেছি। পূর্বাভিজ্ঞতায় জানি, ইমেইল গ্রুপে যতোই ঠেলাঠুলা দেই, আগ্রহী খেলোয়াড়দের বুক ফাটবে, তবু মুখ ফুটবে না। যে কয়জন খেলতে সম্মত, তাদেরকে দিয়ে ২ টীমই করা যাবে না। তবে এও জানি, খেলার মাঠে অন্যের দেখাদেখি অনেকেরই আগ্রহ জাগবে এবং তখন অনায়াসে ৪ টীম বানানোর মত লোকবল মজুদ থাকবে, আমাকে আবার পারমুটেশন কম্বিনেশন করে নোতুন করে দলগঠন করতে হবে। বিয়াপক ঝামেলা। সুতরাং হার্ডলাইনে যেতে হলো, যারা আগেভাগে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করবে না, তাদেরকে কোনোভাবেই খেলার মাঠে গিয়ে দলে নেয়া হবে না। তীরুদা সম্ভবত ইমেইল গ্রুপে ছিলেন না, এতসব জানতেন না। খেলার সময় দেখা গেলো, উনি খেলতে চাইছেন এবং অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমাকে না বলতে হচ্ছে।

সচল সমাবেশে তখনো তানবীরাপুরা এসে পৌঁছান নি। পুতুল ভাই এসেই তবলায় হাতুড়ি পেটা করে কি যেন একটা যন্ত্র দিয়ে চেক করে দেখছেন তাললয় ঠিক আছে কিনা। আমি সঙ্গীতমূর্খ মানুষ, তবলায় আগ্রহ নেই, চামেচিকনে কম্পিউটারে বসে যাচ্ছি, কারণ সেখানে চলছে নিউজিল্যান্ড-শ্রীলংকার টেস্ট ম্যাচ। তীরুদা এক ঝলক সেটা দেখেই টেস্টের বিস্তারিত জানতে চান। হার্ডকোর ক্রিকেট ফ্যানছাড়া এরকম ডেডম্যাচের খবর নেয়া সম্ভব না। তিনিও আমার সাথে বসে যান ক্রিকেট দেখতে।

কাসেলে ইদানিং ক্রিকেট খেলায় পুরা মন্দা যাচ্ছে। লোকজন কমে গেছে, যা আছে, তারাও ব্যস্ত। হিমুর প্রথম দিকে ব্যাপক উৎসাহ ছিলো। এক ম্যাচে তার এক ওভারে ৩৩ রান নেয়ার পর থেকে উৎসাহ শেষ। কি ভুল যে করেছি, তখন বুঝি নাই। এরপর থেকে হিমু নির্ধারিত সময়ের ২ ঘন্টা পরে যখন মাঠে আসে, তখন আমাদের খেল খতম। এদিকে যতোই দিন যাচ্ছে, তেহারীর হার বাড়তে থাকায় সুমনের ভুঁড়ির সাইজও মাশাল্লা জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলেছে। ফলাফল, ফিটনেসে টান, আধাঘন্টা পরেই 'আর খেলুম না' বলে বায়না ধরা। ভুঁড়ির ক্যাচাল আমারও আছে, সাথে আছে একটু এফোর্ট বল করার পরেই পায়ে টান। শুধু ম্যাগনেশিয়ামে এইটা ঠিক হইবো না; কিন্তু জিমের টাইম নাই, ক্রিকেটও অফ - এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে!

আমি চান্স মিস করতে চাইলাম না। তীরুদাকে বলতেই রাজি হয়ে গেলেন। ব্যাটবল নিয়ে নেমে গেলাম। প্রথমেই তীরুদা ব্যাটিংয়ে, হিমু বোলিং, আমি উইকেট কিপিং। যথারীতি বেধড়ক মার খেয়ে হিমুর চেহারা দেখার মতো হওয়ায় আমি দয়াপরবশ হয়ে বললাম, "থাক, তোমার খিদা লাগছে, মাংস কেমন পুঁড়ছে দেইখা আসো, আমি বোলিংটা দেখতেছি।"

সে হাফ ছেড়ে বাঁচলো। আমি তীরুদাকে দুধভাত মনে করে প্রথমে সুজন চাচার স্পিডে বল করি। কিন্তু হিমুর বোলিং তখন ব্যাটসম্যানকে এমনভাবে সেট করে দিয়ে গেছে যে, প্রথম বলেই ছক্কা। আমারও ইজ্জত-মান নিয়া টানাটানি। অগত্যা বলের স্পিড বাড়াতে হয়, সাথে বলাই স্পেশ্যল ইয়র্কার। তবে তীরুদাকে টলাতে পারি না। পুরা রাহুল দ্রাবিড়ের স্টাইলে ব্লকের পর ব্লক। পারফেক্ট হ্যান্ড-আই কো-অর্ডিনেশন! ভুঁড়িয়াল আমাকে অল্পতেই হাল ছেড়ে দিতে হয়। এরপরে আসেন দুর্দান্ত ভাই; তিনি আবার লেগ স্পিনার, পুরা মুশতাক আহমেদ ফিগার নিয়ে তার ব্যাপক টার্নের বলগুলোয় তীরুদা পরাস্ত হতে লাগলেন। এতক্ষণে পেয়ে গেলাম তার দুর্বলতা কোথায়। একটা হাফ হার্টেড শট খেলতে গিয়ে তিনি মিডঅনে ক্যাচ দিলেন। ফিলডিং এক্সপার্ট ধুসর গোধুলী তার চড়ুই পাখির মত ফিগার নিয়ে ১৫/২০ গজ পিছিয়ে চিলের মত ছোঁ দিয়ে ক্যাচটি লুফে নিলো। তীরুদা আউট হলেন। যদিও তার মুখেচোখে তখন আলেকজান্ডারের বিজয়ী হাসি।

তানবীরাপু এতক্ষণ গ্যালারিতেই বসে ছিলেন। তীরুদার নায়কোচিত পারফর্ম্যান্স দেখে তারও শখ হলো ক্রিকেট খেলবেন। খেলুন। কিন্তু তিনি সরাসরি ব্যাটিং করতে চাইলেন। এদিকে হাসিব কঠোরভাবে আপত্তি তুললো, সরাসরি ব্যাট করা যাবে না, আগে ফিলডিং করে আসতে হবে। তানবীরাপু বললেন, তিনি ফিলডিং করেন না, করান। ঘটনা যখন ক্যাচালে গড়াচ্ছে, তখনই ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন দুলাল ভাই। তানবীরাপুর ফিলডিং তিনিই করে দিবেন। 'যার যার ফিলডিং, তার তার হাতে' বলে একটু গজগজ করলেও পাবলিকের চাপে হাসিবকে নত করা গেলো।

কিন্তু মজা শুরু হলো, একটু পরে। ফিলডিং করে দুলাল ভাই ব্যাটিং ছাড়তে রাজি হলেন না। কষ্ট তিনি করেছেন, সুতরাং কেষ্টও তার। তার এক কথা, বউয়ের আবদার বাসায় খাটবে, খেলার মাঠে খাটবে না। রাগে-দুঃখে তানবীরাপুর চোখ ছলছল করছে, তাই দেখে মেঘলা সানগ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে বললো, "আম্মু, তোমার চোখে রোদ লাগছে।"

ধুসর গোধুলী এতক্ষণ ফিলডিং করেই সন্তুষ্ট ছিলো। দুলাল ভাইকে ব্যাট হাতে দেখে সে বায়না ধরলো বল করবে। সুমন চৌ তাকে যতোই নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে, সে থামবে না। কী আর করা! মানীর মান নিজে না রাখতে চাইলে আল্লায় কী করবে! সে প্রথমে বললো, অফ স্পিন করবে; কিন্তু বল ঘুরে না। চোখের পলকে বাউন্ডারী খায়। এরপরে বলে পেস করবে, তার পেসের স্পিড দেখে আমাগো সৈয়দ রাসেলও লজ্জা পাবে। ধুসর তবুও ছাড়বার পাত্র নয়। এরপরে বিশাল রানআপ নিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে সে এমনভাবে বল করতে লাগলো, যেন বলের সাথে সাথে তার হাতও খুলে চলে যাবে। দুলাল ভাইয়ের আবার এতে সুবিধাই হলো। একটু পেস পেয়ে এফোর্টলেস ছক্কা মারতে লাগলেন।

এদিকে সুমন চৌ বাউন্ডারি লাইনে ফিলডিং করতে করতে বার বার চোরা চোখে গ্রীলের মাংসের দিকে তাকাচ্ছিলো। সে হাঁক দিলো, "আজ থাক, অনেক খেলছি, আগে খাইয়া লই।"

পুরা মিস্টার বীন স্টাইলে ধুসর তখন এমন ভাব করলো যে, বদ্দা কইছে দেইখা, নাইলে আজ ......

তীরুদা স্যুভেনির হিসেবে ক্ষতবিক্ষত টেপটেনিস বলটি বগলদাবা করলেন।


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

এদিকে সুমন চৌ বাউন্ডারি লাইনে ফিলডিং করতে করতে বার বার চোরা চোখে গ্রীলের মাংসের দিকে তাকাচ্ছিলো। সে হাঁক দিলো, "আজ থাক, অনেক খেলছি, আগে খাইয়া লই।"

ম্যান অব দ্যা ম্যাচ

...........................
Every Picture Tells a Story

তানবীরা এর ছবি

তানবীরাপু বললেন, তিনি ফিলডিং করেন না, করান।

হাহাহাহা, ব্যাপক হইছে এই লাইনটা।

ছবিও ব্যাপক দিছেন বলাইদা। একজনের এক হাত অন্যজনের অন্যহাত
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। জোস হইসে বলাই'দা। খুব মজা পাইলাম। হো হো হো
আরো দুই একটা ফোটু দেয়া যায় না? নাকি খেলার ফোটু সেভাবে কেউ তোলে নাই?

তীরন্দাজ এর ছবি

বাংলাদেশ টিমে ডাকছিল, পরে ফিল্ডিং দেইখ্যা নেয় নাই। বাইর কইরা দিছে। তবে ফিল্ডিং এর জন্য ধুগোরে যে কোলে কইরা নিয়া নিব, তাতে কোন সন্দেহ নাই! এই ধুগো এক্কেবারে অতুলনীয়!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

হো হো হো

সমুদ্র এর ছবি

পরের ম্যাচে আমিও খেলতে চাই হাসি

"Life happens while we are busy planning it"

দ্রোহী এর ছবি

কী কপাল কাকা!!!!!!!!!!! ঠাডা পড়বো ঠাডা!!!!!!!!!!!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সবই ঠিকাছে, কিন্তু আমার বোলিংকে এতো পঁচানো হৈলো দেখে মাইনাস। ঐটাতো বললেন না যে পুরা রাহুল দ্রাবির দুলাল ভাইকে বেশ কয়েকটা মাটি কামড়ানো রসগোল্লায় মাঝের স্ট্যাম্প উড়ানোর কথা! খালি স্ট্যাম্প ছিলো না দেইখা!

আর বল ঘুরে না এইটা আমার দোষ? পিচ বিশেষজ্ঞ হিমু তো জানালো যে আমাদের পিচে ঘাস নাই বলে এই অবস্থা। তাছাড়া পিচের ইনগ্রেডিয়েন্টস-এও নাকি কী সমস্যা ছিলো। বাই দ্য ওয়ে, পিচটা ছিলো সিমেন্টের ঢালাই করা। "ঐখানে ঘাস কেনো নাই" এই জন্য অবশ্য আয়োজক কমিটি মি. এণ্ড মিসেস বলাইকে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যেতে পারে।

আমারে মরা মুরগীর ঠ্যাং পোড়ানোর চিফ বানায়া দিয়া তনুপা দুলাল ভাইয়ের সাথে ব্যাট নিয়া যে ঝগড়াটা করলেন, সেইটাও উহ্য থাকলো কেনো, সেইটা জাতি জানতে চায়। এইটা জাতির হক।

আপনাদের কাইজ্যার চোটে তো ব্যাট হাতে নেয়ার সুযোগই পাই নাই। আমি তো তাও দুয়েকটা বল ফেস করার সুযোগ পাইছি। আমরার বদ্দারে সেই সুযোগটাও দেওয়া হয় নাই!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তানবীরাপু বললেন, তিনি ফিলডিং করেন না, করান।
হো হো হো

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

মজা পাইলাম...তয় আপ্নেরা সব দেশে আসেন... :|

---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

হিমুর প্রথম দিকে ব্যাপক উৎসাহ ছিলো। এক ম্যাচে তার এক ওভারে ৩৩ রান নেয়ার পর থেকে উৎসাহ শেষ। কি ভুল যে করেছি, তখন বুঝি নাই।

হেহেহহে
ইশকুলে খেলার সময় এক পোলার এক ওভারে একবার কেডা জানি ৪২রান নিছিলো ( নো বল ছিলো ১টা না ২টা ) এর পর থেইকা ওরে খেলায় পাওয়া যাইতো না খাইছে

---------------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

কুবের [অতিথি] এর ছবি

হিমু ভাইয়ার বয়ান / ভাষ্য আশা করতেছি দেঁতো হাসি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

এই জাতীয় লেখা পড়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিইবা করার আছে পাঠকের? আপনারা সবাই মিলে মজা করবেন, তারপর সেটির কাহিনী তারিয়ে তারিয়ে আমাদেরকে শোনাবেন। কপাল যার মন্দ হয়, তার আর সেই গল্প শোনা ছাড়া উপায় কি? আগে জানলে বদদোয়া দিয়ে বৃষ্টি এনে ক্রিকেট খেলার বারোটা বাজাতাম।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমি ভালো কোচ,আমাকে মডু বানান। দেইখেন - এই বছরই সচল একাদশ আইপিএল জিতবো...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার দেখি আকিকা হয়ে গেছে হাসি

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

বলাইদা জব্বর লিখেছেন ভাই। ধারাভাষ্যকার না হলেও ধারালেখ্যকার হিসেবে ভবিষ্যত মারাত্মক উজ্জল। নগদে পাঁচতারা।

নিবিড় এর ছবি

দারুন মজা পেলাম হাসি ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে উনি তীরুদা নাকি?


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

পুতুল এর ছবি

পুতুল ভাই এসেই তবলায় হাতুড়ি পেটা করে কি যেন একটা যন্ত্র দিয়ে চেক করে দেখছেন তাললয় ঠিক আছে কিনা। আমি সঙ্গীতমূর্খ মানুষ, তবলায় আগ্রহ নেই।

ব্যাপক ভুল হইছে বলাইদা। আমি আম্পায়ার খেলনের লাইগ্যা পিচে স্টেম্প গাঁথছিলাম। আমার কাছে এই পজিশনটা খুব ভাল লাগে। বলার, ফিল্ডার ব্যাটসম্যানরা দৌড়াইয়া মরে। আমি দাঁড়িয়ে মজা দেখি আর কারো খেলা পছন্দ না হইলে আউট কইরা দেই। কেম্নে হিমুরে তীরুদার বলে বোল্ড কইরা দিলাম, মনে নাই? অবশ্য সে জন্য ধূগোর কাছে থেকে একটা মরা মুরগীর পোড়া ঠ্যাং ঘুষ নিয়ে ছিলাম। ষ্টেম্প লাগানোর টুংটাং শব্দ শুইন্যা আপ্নে সেটা তবলা ভাবছিলেন! আর তখনই এল ধূগো, ব্যাস খেইল খতম। দেখলেনতো খেলার ফলাফল। ধূগোর বল স্ট্যাম্পে না লাগলেও আমি একে একে সব বোল্ড করে দিলাম। আম্পায়ার হওয়ার মজাই আলাদা!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

চলুক

ভিডিও -ও চাই...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অতিরিক্ত ভায়োলেন্সের কারণে ভিডিও সেন্সর বোর্ডে জমা পড়ছে, দেখা যাক কবে মুক্তি পায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বলাইদা, গড়াগড়ি দিয়া হাসি পারেনও আপনে, হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা করতেসে এখনও, আর লেখাটা পড়ে মন বেশ উদাস হইল, আপনেরা বিয়াফক মজা করতেছেন, আর আমরা সেটা দেখে আমরা হাহুতাস করতেসি মন খারাপ । লেখায় উত্তম জাঝা!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

কীর্তিনাশা এর ছবি

দেশেও একটা সচল ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করতে হবে।

পোস্ট ব্যাপক মজারু হইছে।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

চলুক

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

স্বপ্নহারা এর ছবি

আহা খেলাটা মিস হইয়া গেল...ইএসপিএন অথবা ক্রিকেট প্লাসে পুনঃপ্রচার করা যায় না...নাইলে রিম্যাচ হইব...অতলান্তিকের ওই পাড় বনাম এই পাড়...

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

মৃত্তিকা এর ছবি

লেখা পড়ে হিংসা হলো!
তবে আরও ছবি দিলে ভালো হতো বলাই'দা! বিশেষ করে ধূগো'দার বোলিং দেঁতো হাসি তানবীরা আপুর ব্যাটিং দেঁতো হাসি আর সব্বাইকে এই সুযোগে দেখে নিতাম!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।