খালেদ মাহমুদ সুজন বেজায় ক্ষিপ্ত। একে মারে তো তাকে ধমকায়, পারলে ড্রেসিংরুমের চেয়ারগুলো আছড়ে ভাঙ্গে। খেলোয়াড়েরা ভয়ে ধারেকাছে কেউই আসছে না; আসবেই বা কোত্থেকে! হোয়াইট ওয়াশের ম্যাচে শেষ ১০ ওভারে ৪৯ রানের বীরত্ব দেখানোর পরে সবাই সোজা কক্সবাজার গিয়া সমুদ্রস্নানের প্ল্যানিংয়ে ব্যস্ত। এরই মধ্যে জেমি সিডন্সের ডাক, "চাচা, একটা মজার জিনিস দেইখা যাও!"
এই ব্যাটার উপরে সুজন এমনিতেই রাইগা কাই হইয়া আছে। সার্টিফিকেটে ২ বছর চুরির পরেও সিডু হারামাজাদা তার থিকা কমসে কম ৫ বছরের সিনিয়র হইবো, পিচ্চি পিচ্চি পোলাপানগো দেখাদেখি সেও যদি তারে চাচা কয়, তাইলে কেমনে কি! অনেকবার মানা করা হইছে, তওবা কাইটা সরি কইছে; কিন্তু বেখাপ্পা সময়ে তারপরও সিডু তারে চাচা ডাইকা মজা লয়। এই বদের বদই বাচ্চাপুলা বাশাররে ওলড ম্যান ডাইকা দল থিকা ভাগাইছে।
সুজন তারপরেও কাছে যায়, গিয়া দেখে সিডু একটা এক্সেল শিটে কিসব নাম্বার বসাইতেছে আর খানিক পরপর একটা চক্রাবক্রা খাঁজকাটা লাইন কম্পুটারের স্ক্রিন জুড়ে শোভা পাচ্ছে। এতোদিনে সুজন জানে, এইটার নাম হলো উন্নতির গ্রাফ। এইসব গ্রাফট্রাফ চাচার দুইচোখের বিষ, তবুও বাঙালি বলে কথা। এই সিরিজের গ্রাফে কে কে থাকবে, সেইটা নিয়া একটু কৌতুহলও জাগে। শেষ ম্যাচে ডাক মারার পরেও তামিম নিশ্চিতভাবেই থাকছে, আশরাফুল আছে কিনা দেখতে হইবো। চাচা অবশ্য একটু পরেই তার ভুল বুঝতে পারে, আশরাফুল তো দলেই নাই, তার আবার গ্রাফ। হে হে!
সিডন্স তারে গ্রাফ দেখাইয়া কয়, "পোস্ট ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে যাইতেছি, এই সিরিজের গ্রাফ বানাইলাম, তুমি তো কম্পুটারের তেমন কিছু বুঝবা না, তারপরেও ভাবলাম তোমারে একটু দেখাইয়া লই।" চাচার মেজাজের পারদ আরো উত্তপ্ত হয়, মনে মনে ভাবে, "আমি কম্পুটার বুঝবো না কি তুই বুঝবি রে মামদো ভুত? এলিফ্যান্ট রোডে আমার দোস্তের কম্পুটারের দোকান আছে!" তবে চাচার পারদ বার্স্ট হয় না, চাচা ইজি থাকে, প্রফেশনালদেরকে সব পরিস্থিতিতে ইজি থাকতে হয়।
সিডু এরপর এক এক করে গ্রাফ বুঝাইতে থাকে। "দেখো, তোমারে কইছিলাম না মুশফিকুর রহিম ছেলেটা একটা জিনিয়াস! এই সিরিজে কেমন ব্যাট করলো দ্যাখছো?" চাচা ব্যাটের খবর জানে; কিন্তু আরো কিছু খবরও উন্নতির গ্রাফে দেখতে চায়। সিডু চাচার নির্বুদ্ধিতায় হো হো করে হাসে, "তুমি দেখতেছি আসলেই গর্দভ। কয়টা ক্যাস মিস করলো, কত বাই রান দিলো আর কয়টা স্ট্যাম্পিং লেজেগোবরে করলো, এইগুলা তো মিয়া ক্রাপইনফোর পরিসংখ্যানেও থাকে না, আর তুমি এই সব কেলেঙ্কারিয়াস জিনিস চাইতাছো 'উন্নতির' গ্রাফে! তোমাদের পলিটিশিয়ানরা তোমারে কিছুই শিখাইতে পারে নাই!"
চাচা মনে মনে ভাবে, "সিডু কথা খারাপ কয় নাই। মক্কার মানুষ হজ্জ্ব পায় না! অস্ট্রেলিয়ান সিডু তারে বাংলাদেশের পলিটিক্সের জ্ঞান দেয়।" তবুও চাচা মিন মিন করে, "কিন্তু ওই যে আফতাবকে রানআউট করাইলো!" সিডু এরপর একটু গলা নিচু করে, "তুমি মিয়া কোচিংয়ের ক ও বুঝো না। আফতাব হইলো গিয়া আইসিএল ফেরত পেলেয়ার। এরা কি খেললো, না খেললো কিছু যায় আসে না। আগের সিরিজে নাফিসকে নিছিলাম, এবার আফতাব আর পরের কোনো সিরিজে অলোককে ২ ম্যাচ খেলাইলেই দায়িত্ব শেষ। আর মুশফিক হইলো গিয়া আমাগো কোর পেলেয়ার!" "কিন্তু ম্যাচ সিচুয়েশন ..." চাচা প্রতিবাদ করে। "ম্যাচ সিচুয়েশন এর কি দেখলা মিয়া? তুমি কি ভাবছিলা তোমরা এই বাঙালিরা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৮৫ রান কইরা ম্যাচ জিতবা? প্র্যাকটিক্যাল হও, বুঝলা, প্র্যাকটিক্যাল হও!"
চাচা প্র্যাকটিক্যাল হওয়ার চিন্তা করতে থাকে; কিন্তু কিছুতেই হিসাব মিলাইতে পারে না। এই যে এক এক সিরিজে কয়েকজন কইরা খেলোয়াড়ের উন্নতির গ্রাফ নিয়া টানা-হেঁচড়া করা হয়, এইটার একমাত্র প্র্যাকটিক্যাল লাভ হইলো চাকুরি বাঁচানো, এই ছাড়া আর কি কামে লাগে? যেমুন, সাকিব্যা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ধুন্দুমার দেখাইয়া এখন সুপার ফ্লপ, আশরাফুল জিম্বাবুয়েরে প্যাঁদাইয়া এখন দলেই নাই, এই রিয়াদ কয়দিন আগেই নিউজিল্যান্ডরে নাঙ্গা বানাইয়া এখন নিজেই ব্যাটিংয়ের সময় সন্ন্যাসী বাবা হইয়া ধ্যানে মগ্ন হয়! এগো অবনতির গ্রাফের হিসাব কে রাখে!
আর দলের গ্রাফ তো মাশাল্লাহ প্রত্যেক সিরিজেই নোতুন করে জিরো থেকে শুরু হয়। একবার টপ অর্ডার ফ্লপ, টেইল এন্ডারদের ব্যাটিং গ্রাফ উর্ধমুখী, আরেকবার দেখা যায় ৭০ রানের ওপেনিং স্ট্যান্ড এরপর ২১৯ রানে অলআউট, তখন আবার তামিম, ইমরুল, জুনায়েদের গ্রাফ আকাশচুম্বী! মাগার দলের গ্রাফ তো যেই, সে-ই। প্রতিপক্ষ যা-ই করুক, আমাগো টার্গেট ২৪০! সমস্যা হলো প্রতিপক্ষ ৩৫০ করলে আমরা টার্গেটে পৌঁছাইয়া যাই, মাগার তারা নিজেরা ২৪০ করলে আবার আমাদেরকে ২০০র নিচে রাখে। সিডু কইছে, দোষ আমাগো না, প্রতিপক্ষই বদ, তাগো মানবতা নাই!
সিডু এর মধ্যেই ল্যাপটপ গুছায়া সংবাদ সম্মেলন কক্ষের দিকে রওনা দিছে, তার গ্রাফের কাম শ্যাষ, এইবার সাংবাদিকদেরকে খেইল দেখানোর পালা। তবে তার আর সাকিবের সিরিয়াল পরে, সাংবাদিকেরা যেন কোত্থেকে আজকের ম্যাচের হটকেক আম্পায়ার এনামুল হক মনিকে ধরে নিয়ে এসেছে। মনিকে বলা হয়েছে তার আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারের উন্নতি নিয়াই লেখা হবে; কিন্তু আসল কাম যে তারে ভিলেন বানানো সাংবাদিকদের চোখ টেপাটেপি থেকেই তা বুঝা যায়। মনি আবার এইসব ভজঘটের ভিতরে আসতে চায় নাই, সারাদিন আম্পায়ারিং করে রীতিমত ক্লান্ত। খেলোয়াড়দেরকে তো আম্পায়াররা চাইলেই মাঠের বাইরে পাঠায়া দিতে পারে; কিন্তু আম্পায়ারদেরকে মাঠের বাইরে পাঠানোর কেউ নাই। তাগো আটটা-পাঁচটা ডিউটিরও তাই কোনো নিস্তার নাই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে হালকা কেশে গলা পরিষ্কার করে মনি শুরু করে, "আমি ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই যে, ..." সামনে দাঁড়ানো আলু সাংবাদিক উৎপাত শুভ্র তাকে থামাইয়া দিয়া কয়, "মনি ভাই, শব্দটা 'ব্যর্থহীন' না 'দ্ব্যর্থহীন'..." সাকিব মনে মনে ভাবে মনির জন্য ব্যর্থ(তা)হীনই সই, কেমনে অব্যর্থভাবে তাকে আউট কইরা দিলো! অন্যদিকে মনি মনে মনে বিরক্ত, দুইদিনের ছোকরা তারে শব্দ শিখাইতে আসে! ইচ্ছা করে, তারেও আঙুল দেখাইয়া সম্মেলন থেকে আউট করে দেয়। তবে সাহস হয় না, এমনিতেই আলুর হলুদ সাংবাদিকতা সম্পর্কে তার ভীতি আছে, দেখা যাবে তর্জনীরে মধ্যমা বানাইয়া রিপোর্ট লিখছে। একটা সফল দিনকে বিফলে যেতে দেয়ার কোনো ইচ্ছাই তার নাই। সে আবার শুরু করে, "আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই যে, এলবিডাব্লিউ বোলারের অধিকার, তার প্রতি করুণা নয়। আমি নিজে খেলার সময়ে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে যেসব এলবিডাব্লিউ বঞ্চিত হয়েছি, আমার উত্তরসূরীদেরকে আমি সে করুণ অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে দিতে চাই না। কারণ, কবি বলেছেন, এ শিশুকে এ পৃথিবীর বাসযোগ্য করে যাব ...."। উৎপাত শুভ্র আবার শিশু আর পৃথিবী নিয়া কিছু একটা বলতে চায়; কিন্তু মনিকে তখন কথার নেশায় পেয়েছে।
সুজন সাংবাদিকদের পিছনে দাঁড়াইয়া এতক্ষণ চুপচাপ শুনতেছিলো, মনির ডায়লগ শুইনা সে আর নিজেরে ঠিক রাখতে পারে না, চিল্লাইয়া কয়, "হালার পুত, একবার রুম থাইকা বাইরা, তোর এলবিডাব্লিউ ... চিপা দিয়া ...."
সাংবাদিকদের মনোযোগ এবার চাচার দিকে ধাবিত হয়, সাকিব মনে মনে খুশী হয়, যাক আইজকা আর মুখস্ত স্ক্রিপ্ট আওড়াইতে হইবো না। তবে সিডন্সের খুব মন খারাপ লাগে। এতো পরিশ্রম কইরা বানানো তার উন্নতির গ্রাফটা ঠিকঠাক বুঝানোর মতো টাইম পাওন যাইবো না। মনে মনে বাঙালির সময়জ্ঞান নিয়া একটা অশ্রাব্য ইংরেজি গালি দিয়া সে চুপচাপ ছুটি কাটাইতে দেশে যাওয়ার প্লেন ফেয়ার নিয়া চিন্তায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
মন্তব্য
চাচারে জাঝা...
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
হা হা হা। হয়েছে দাদা, আপনার বরাবরের মতই। পুরোটাই কোট করতে ইচ্ছা করে।
কৌস্তুভ
সিরাম
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
আজকে আর গত ম্যাচ মিলে মেজাজ যা খারাপ হইসে না......
বাংলাদেশের আগের প্রজন্মের খেলোয়াড়রা আগে খেলতো মদনের মতো...এখন আম্পায়ারিংয়ে এসেও ওনারা তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখসেন......এইগুলার কি দেশে আর করার মতো কিছু নাই? এর সাথে টাকার, সিলভার মতো ভ্যাম্পায়ারগুলাতো আছেই।
প্লেয়ারদের কথা তেমন কিছু বলার নাই। প্রতি ম্যাচে লোপ্পা লোপ্পা ক্যাচ ফেলে আসলে কখনো ম্যাচ জেতা যায় না। আর এমন ঘিলু ছাড়া পেস বোলারও বোধহয় কোন টিমে নাই। এগারো জনের মধ্যে যদি কয়েকজনই এরকম আকাইম্মা থাকে তাইলে আর ক্যাম্নেকি।
দুর্দান্ত! স্যাটায়ার হলেও যথার্থ লিখেছেন।
খুব ভালো লাগলো।
তমিজ উদদীন লোদী
হা হা হা হা!!
চ্রম!!
আরো কয়েকটা পয়েন্ট আমি যোগ করি..
১. ব্যাটসম্যানগুলা বেশিরভাগই সিঙ্গেল নিতে চায় না। কিংবা, সিঙ্গেল হলে সেটাকে ডাবল করতে উৎসাহী না। তাই বেশিরভাগই "ডট" বল হয়, আর চাপ আপনা থেকেই তাদের উপর চড়ে বসতে থাকে।
২. এতদিন বিদেশী আম্পায়ারগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত দিছে। আজ দেখি বাংলাদেশীরাই!!
৩. বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের প্রভুভক্তি হাড়-মজ্জাগত!! নিউজিল্যান্ডে যেখানে বাংলাদেরশের জন্য কোন প্রস্তুতি ম্যাচের সুযোগ ছিল না, সেখানে ইংল্যান্ডের সাথে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ টসে জিতেও ইংল্যান্ডকে ব্যাটিং প্র্যাকটিসের সুযোগ করে দিতে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায়!
আর, এত সহজ ক্যাচগুলা ফেললে তো ম্যাচ মিস হবেই!!
- মুক্ত বয়ান
৩ সম্পর্কে পড়লাম ক্র্যাপইনফোয় যে এই মাঠে নাকি বেশির ভাগ সময় পরে ব্যাট করেই ম্যাচ জেতা হয়েছে। তাই হয়তো এই সিদ্ধান্ত।
কৌস্তুভ
আজকে খেলা শেষে এক ধারাভাষ্যকার বলতেছে দেখলাম, "এই দলটা বেশ তরুণ। তারা শিখছে। কিন্তু, তাদের শিক্ষানবিশ পর্যায়কাল অনেক বেশি হচ্ছে!!"
- মুক্ত বয়ান
১। সিঙ্গেল নেয় না কারণ লোকে হাততালি দেয় না। দুই একটা চার ছয় মারতে পারলে খুব হাততালি পাওয়া যায়, পরের দিন উৎপাত শুভ্র "ছক্কা নাঈম"-জাতীয় টাইটেল দিয়ে বসে থাকে।
২। নরকের গল্পটা শুনছেন না? ওই যে, একজন আরেকজনকে টেনে নামায়...
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
এখন তো উৎপাত সাহেব লেখেন না। উনার নব্য চ্যালা হইছে!! "তারেক মাহমুদ"। উনি আবার এককাঠি বাড়া!!
গতকাল একটা নিউজ করছে দেখলাম তাতে লেখা, আফতাব গত ৩ ম্যাচে করছে ১০, আর আশরাফুল করছে ১১ (বা এইরকম কিছু একটা!!)!! তার প্রশ্ন হইল, কেন আফতাবরে নেওয়া হচ্ছে, আশরাফুলরে আরও কেন নেওয়া হচ্ছে না!!!
নরকের কোন গল্পটা? শুনি নাই মনে হচ্ছে। একটু বলবেন?
- মুক্ত বয়ান
"হালার পুত, একবার রুম থাইকা বাইরা, তোর এলবিডাব্লিউ ... চিপা দিয়া ...."
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
উদ্ধৃতি
সিডু কইছে, দোষ আমাগো না, প্রতিপক্ষই বদ, তাগো মানবতা নাই!
ওরে আমারে কেউ ধর, হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিচ্ছি। নির্মম স্যাটায়ার, আমাদের কিছু করার নেই, এমনই চলবে মনে হয়। তবে উৎপাত শুভ্র আর তার চামুচ তারেক মাহমুদকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ১০ মাইলের মাঝে নিষিদ্ধ করার জোর দাবী জানাই।
অনেক মজা পাইলাম পড়ে। হাসতে হাসতে গড়াগড়ি।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
জটিল একটা লেখা হয়েছে। এত মজা করে লিখেছেন যে হাসতে হাসতে শ্যাষ!
এই অংশটা বেস্ট হয়েছে। ব্যাপক মজা পেলাম।
====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
মনের দুঃখে অনেকখানি হাসলাম।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
এর চেয়ে উত্তম বাঁশ আর হতেই পারে না!
- আমি একবার কলাবাগান মাঠে অনুষ্ঠিত এক টুর্নামেন্টে আম্পায়ার আছিলাম। হেববি মজার চাকরী। লাঞ্চ টাইমে কলাবাগানের (দোকানের নামটা ভুইলা গেছি)-এর তেহারী সাঁটাইছি ইচ্ছামতো। মাঠে নাইমা ইচ্ছামতো হাদুমপাদুম করছি। মুতে ধরলে আঙুল তুইলা খেলোয়াড়রে আউট মাইরা উইকেট ব্রেকে মুততে গেছি। কোনো খেলোয়াড় হুমকি-ধামকি দিলে কইছি, "হালার পো, খেলতে নাম। দেখামুনি মজা!" এইসব কইরা আবার ফাইনালের পরে একটা ক্রেস্টও বাগাইছি।
এনামুল হক মণি'র কাজ কারবারে কেনো জানি সেদিনকার আমারেই মনে পড়তাছিলো বারবার। হায়, স্মৃতি তুমি মণি না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হায়রে, এইডাই বাস্তবতা। হাসতেই আছি, লেখা পুরা উড়াধুরা
- অসামাজিক
মেজাজা খারাপ করতে করতে এখন মাথা ব্যথা ধরে গেছে। সব দোষ দ্রোহীর, সে আমারে আজাইরা একটা লিংক ধরাইয়া দিয়া কয়, চলেন খেলা দেখি। দিল আমার রাত-দিন মাটি কইরা।
খেলা তো খেলাই, তাই না !
মেজাজ গরম হওয়া খেলারই অংশ। তবে রম্যরচনা খেলা না, চমৎকার একটা সৃজনকর্ম। ভালো হয়েছে লেখাটা। মজারু।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সামনে পরীক্ষা- যথারীতি পড়ালেখা না কইরা ভাবতেছিলাম একটু সিনিমা দেখি- অনেকগুলা ডিভিডি পইড়া আছে- সেটাও না কইরা কেন যে এই মরার খেলা দেখা শুরু করছিলাম।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
মজা পাইলাম
চ্রম, চ্রম, চ্রম !!! বন্ধুর বিয়া থাকাতে ১ দিন পুরাই দুনিয়া থিকা আলগা আসিলাম, তাই খেলাটা দেখা হয় নাইক্কা।
তয় লেখাটা সেইরাম হইছে। পুরাই 'কশা+জোশিলা = কশিল্লা' ।
===============================================
রাজাকার ইস্যুতে
'মানবতা' মুছে ফেলো
টয়লেট টিস্যুতে
(আকতার আহমেদ)
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
চরম! সুপার হিট লেখা হইছে!!
চমৎকার লিখেছেন। বাংলাদেশের খেলা দেখা ছেড়ে দিয়েছি। মাঝেমধ্যে ভুল করে দেখে ফেলি এবং পস্তাই।
আমার বদ্ধমূল ধারণা, বাংলাদেশের এর চাইতে উন্নত খেলা জীবদ্দশায় দেখতে পাব না।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
"সাকিব্যা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ধুন্দুমার দেখাইয়া এখন সুপার ফ্লপ"
এখানে আমার একটু আপত্তি আছে। সাকিব কিন্তু নিউজিল্যান্ডের সাথে টেস্টে ২ ইনিংসে ৮৭ আর ১০০ করেছে। এই ৩টা ওয়ানডেতে সে রান পায় নি,কিন্তু যেদিন সে ভাল কিছু করতে পারতো,সে দিন তো মহামান্য আম্পায়ার তাকে কিছু করার সুযোগ দিল না। আমি নিশ্চিত সে ওই দিন একটা বড় ইনিংস খেলত। আর ওর বোলিং তো সব সময় ভালোই হয়।
তবে মুশফিককে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলিয়ে অন্য কাউকে কিপার হিসেবে নেয়া দরকার। একে দিয়ে আর যাই হোক,কিপিং হবে না।
খ্যাক খ্যাক
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নতুন মন্তব্য করুন