পুলিশ, ডাক্তার, সেনা, শিক্ষা ও কিছু টাকা পয়সার হিসাব-কিতাব

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৮/২০১০ - ২:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

পেশার সাথে সম্মান জড়িত বলে যে বিভিন্ন পেশাকে একটা আধ্যাত্মিক রোশনাই দেয়ার চেষ্টা করা হয়, আমি কোনোমতেই তার সাথে একমত না। আল্লাহর দুনিয়ায় সবকিছুই ব্যবসায়, শিক্ষকতাও যা, মন্ত্রীত্বও তাই। সবাইকেই করে-ধরে খেতে হয়। সমস্যা হলো পুলিশ শুধু করে-ধরেই খায় না; বরং মেরে-ধরে খায় এবং এজন্যই পাবলিক তাকে 'ঠোলা' বলে গালি দেয়। ঠোলারা খুব খারাপ, রিক্সাওয়ালার কাছ থেকে দুই টাকা ঘুষ খায়, ইজারাদের কাছ থেকে বখরা নেয়, ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রী পিটায়, এমনকি যায়যায়দিনের ভালোবাসা সংখ্যায় পুলিশ হেফাজতে ধর্ষণকাহিনীও ছাপা হয়। পাবলিক পুলিশকে ঘৃণা করে, পাবলিক পুলিশকে চায় না।

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের সরকার পাবলিকের সরকার, সরকারের নিজস্ব কোনো আকার নাই, পাবলিকের মতামতই সরকারের সকল কাজের মূলনীতি। সরকার তাই পুলিশি খাতে অর্থের অপচয় করতে চায় না। ১৬ কোটি জনসংখ্যার দেশে মোট পুলিশের সংখ্যা ১২৩১৯৭, অর্থাৎ ১০০০ মাথাপিছু ০.৭৭ জন। এদেরকে দৌড়ের ওপরে রেখে দেশের মূল্যবান অর্থের অপচয় করা হয় না, সারদায় ট্রেনিং দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়, তারপরে 'যাও বাবা করে খাও' নীতিতে তারা ঘুষ খায় আর ভুঁড়ি বাড়ায়। ব্রিটিশ আমলের থ্রি নট থ্রি রাইফেল কাঁধে করে নিরীহ জনগণের ওপর মাস্তানি করা ছাড়া আর কোনো কাজ নাই। এই রাইফেলে গুলিটুলি আছে কিনা পুলিশ নিজেও তা জানে না। এমন অকর্মণ্য পুলিশকে চরমপন্থীরাও মাঝেসাজে ধোলাই দেয়

তবে পুলিশের চরিত্রের ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি সবসময় সজাগ, পারলে জমজম কুঁয়ার পানি দিয়ে ধুয়েমুছে পুলিশের চরিত্র ঠিক করে। কিন্তু জমজম কুঁয়ার পানির যা দাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৬০০৫ কোটি টাকার কতো ভাগ সেই খাতে ব্যয় করা সমীচিন হবে সরকার বুঝে উঠতে না পারায় অপেক্ষাকৃত স্বল্পখরচে পুলিশের পোশাক পরিবর্তন করে। সরকারের ধারণা উঠতি বয়সী ছেলেপিলেকে হুমায়ূন আহমেদ কিনে দিলে তারা রসময় পড়া ছেড়ে দিবে!

২.

পেশার ব্যাপারে ডাক্তারি একটা রহস্যময় জিনিস। স্কুললাইফে 'এইম ইন লাইফ' আংরেজি এছে কিংবা 'তোমার জীবনের লক্ষ্য' নামক বাংলা রূপকথা রচনায় শুধু বিজ্ঞানই নয়, অনেক মানবিক এবং কমার্স বিভাগের পোলাপানও ডাক্তারিকে বেছে নেয়। শিক্ষা ব্যবস্থার দোষে মানবিকের কেউ পরে আর ডাক্তারি পড়তে পারে না, ডাক্তারের মধ্যেও তাই মানবতা সৃষ্টির সুযোগ থাকে না। কমার্সের বিষয়টা বিজ্ঞানের ছাত্রেরাও অল্পবিস্তর শিখে ফেলে, শত হোক, টেকা মাটি, মাটি টেকা, পাত্তি না পাইলে কিসের ঠেকা! দুঃখজনকভাবে জনসেবার প্রতিজ্ঞা নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা ডাক্তারের পরিচয় হয় কসাই হিসেবে। ডাক্তারকে কসাই বলার বিপক্ষে অবশ্য আমার অনেক বড়ো যুক্তি আছে। কসাইরা পশুকে জবাই করে মানুষের খাবার ব্যবস্থা করে, অন্যদিকে পশু ডাক্তার ছাড়া বাকিদের কাজ কারবার মানুষকে জবাই করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। জবাইটা অপরাশেন টেবিলে ছুরির নিচেও হতে পারে এবং/অথবা রোগনির্ণায়ক টেস্টিং ল্যাবগুলোর ঠিকানা ধরিয়েও হতে পারে। যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হওয়ার পরে যে মানবতাবাদীরা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন, তারা অবশ্য আমার সাথে একমত হবেন না, তাদের যুক্তি হলো পশুরাও মানুষ, তা সে পশুটা ছাগুই হোক আর শুঁয়োরই হোক।

এই মানবতাবাদীদের সাথে বিতর্কে যাওয়ার টাইম নাই, বরং 'মেনে নিলুম; কিন্তু যায়গামতো আন্ডা ঠিকই দিলুম' নীতি ফলো করাই বেটার। সুখের বিষয় হলো সরকার মহোদয়ও ডাক্তারদের কসাইপনার ব্যাপারে জনগণের সাথে একমত। ডাক্তারের সংখ্যাবৃদ্ধিরোধে সরকারও তৎপর এবং ২০০৬ সালের হিসাব অনুযায়ী প্রতি ১০০০ মাথায় ডাক্তারের সংখ্যা ০.২৬ জন। এই ক্ষুদ্র সংখ্যার পেছনে অন্য আরেকটা কারণও আছে। জনবহুল বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা খাতে এমনিতেই অনেক ব্যয় হয়। ডাক্তারের সংখ্যা বাড়ালে জনসংখ্যা না কমে পরিবার পরিকল্পনা খাতকে আরো বেশি ব্যয়বহুল করে তুলতে পারে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা খাতে এবারের বাজেট ধরা হয়েছে ৪৬৫৬ কোটি টাকা। আশা করা যায়, ডাক্তারের সংখ্যা কমাতে পারলে আগামী অর্থবছরে এই খাতে আরো টাকা সাশ্রয় হবে।

৩.

সরকারের উপরিউক্ত জনগণহিতৈষী নীতির প্রতিফলন ঘটে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বেলায়। বাংলাদেশের একমাত্র দেশপ্রেমিক এই সংগঠনটি আমাদের সুখে-দুঃখে সবার আগে এগিয়ে আসে। ঝড়-জল-বন্যায় ত্রাণ হাতে ছুটে আসে, উন্নতমানের রাস্তাঘাট, দোকানপাট, দীঘিনালাখননজাতীয় সব কাজেই ঠিকাদারী করে, জাতিসংঘ শান্তিমিশনে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সাহায্য করে। তবে সবচেয়ে বড়ো ব্যাপার হলো, আমাদের পঁচা রাজনীতির রাজনীতিবিদেরা যখন বিপথগামী হয়, তখন তারা নিজেরাই যেচে এসে ক্ষমতায় বসে দেশকে ভরাডুবির হাত থেকে রক্ষা করে, জনজীবনে শৃঙ্খলা ফিরে আসে, শান্তি-শান্তি ভাব বিরাজ করে। এমনকি পাড়ার বাইক দাবড়ানো দামড়া ছেলেও শাহরুখ স্টাইলে চুল রাখার দায়ে কান ধরে উঠবস করে। ইহা জনজীবনে ব্যাপক আনন্দের খোরাক হয়, আমাদের বিনোদনের কোনো অভাব থাকে না।

যেহেতু আমাদের রাজনীতিবিদেরা পঁচা, সেহেতু তারা এমনকি এই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, সংবিধান কেটেকুটে সেনাবাহিনীর ক্ষমটা গ্রহণের বিষয়টি চিরকালের জন্য নিষিদ্ধ করার অশুভ পায়তারা করে। তবে এসব পায়তারা করে যে সুবিধা হবে না, ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের স্বপ্নে চোখোজ্জ্বল জামায়াতি পশুপ্রেমী ব্লগারগণ সে বিষয়ে নিশ্চিত। সেনাবাহিনীর দেশপ্রেমের কাছে ওসব সংবিধান-টংবিধান কোথায় উড়ে যাবে!

আশার কথা হলো, অত্যাচারী চিরকালই ভীরু। রাজনৈতিক সরকারও তাই টাকা পয়সার ব্যাপারে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাথে ঘাপলায় যায় না। প্রতিরক্ষা খাতে এবারের বাজেটে প্রায় ৯০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশা করা যায়, গত বছরের ন্যায় এবারও প্রকৃত খরচের পরিমাণ আরো প্রায় হাজার খানেক কোটি বেড়ে ১০০০০ কোটিতে পৌঁছুবে। এই টাকার বাইরেও শিক্ষা-স্বাস্থ্য প্রভৃতি খাত থেকে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে তার প্রাপ্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করা হয় না। প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাইজও মাশাল্লাহ ভালো। ২০০৭ সালের হিসাব অনুযায়ী এ সংখ্যা ৩০৭০০০ (আর্মি অ্যাকটিভ ২৫২০০০, নেভি ২৮০০০, এয়ার ফোর্স ২৭০০০ ধরে); অর্থাৎ প্রতি ১০০০ মাথায় প্রতিরক্ষা বরাদ্দ ২.০৫ জন, যা ডাক্তারের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ এবং পুলিশের তুলনায় তিনগুণ। বাংলার জল-স্থল-আকাশ-নদী-খাল-বিল শত্রুর কবল মুক্ত থাকবে ইনশাআল্লাহ!

৪.

শিক্ষা নিয়ে ইদানিং অনেক ফালাফালি শুরু হয়েছে। এমনিতে দেশের ছাত্রছাত্রী সুবোধ না, তারা কারণে-অকারণে পড়াশুনা বাদ দিয়ে মাইরপিট করে, ভাঙচুর করে, মিছিল-মিটিং করে, কর্তৃপক্ষের চামড়া খুলে নেয়ার হুমকি দেয়। বলি, মানুষের চামড়া খুলে আর কয় টাকা পাবি রে গর্দভের দল? পারলে সুন্দরবন থেকে কুমির শিকার করে নিয়ে আয়। তা পারে না। পারে শুধু ২ টাকা বেতন বাড়লে সেটা নিয়ে হল্লাচিল্লা করতে। সরকার কি দানছত্র খুলে বসেছে? এদের খাই কিছুতেই মিটে না। প্রাথমিক, গণশিক্ষা, সাধারণ শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ মিলে ১৩৩১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে! এরা আরো চায়! সরকারের কি টাকার গাছ আছে যে গাছে ঝাঁকি দিলেই টুপটুপ করে টাকা পড়বে! তাছাড়া পেটে যদি ভাত না থাকে, তাইলে পড়াশুনা করে কি হবে? আমাদের মতো গরীব দেশে শিক্ষা মানে হলো বিলাসিতা।

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে নিশ্চিতভাবেই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেনা কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে ছেড়ে দিতে হবে। তাহলে কেউ মিছিল মিটিংয়ের জন্য মুখই খুলতে পারবে না। এ কাজে সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের ৪০ শতাংশ বরাদ্দ করতে হবে। দরকার হলে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্রের ন্যায় কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে বাজেট কাটছাট করে অর্থের সংস্থান করতে হবে। সবার ওপরে শান্তি, তাহার ওপরে নাই। সবার ওপরে দেশপ্রেম, তাহার ওপরে শুধু সেনাবাহিনীকেই দেখতে পাই।


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

-হে হে হে
অনেকদিন পর ল্যাখলেন! বিষয় নিয়া আলাপ পরে, আগে ল্যাখার সুনাম কইরা লই। চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

গৌধুলী লগ্ন এর ছবি

আমাদের দেশের সেনাবাহিনীর আকার এত বড় না। আপনি একটু ভুল হিসাব দিয়েছেন, শুধরে নিতে পারেন। Wikkipedia তে দেয়া হিসাব মতে Active Force সংখ্যা 252,000 আর Reserve Force সংখ্যা 472,000। রিজার্ভ ফোর্স হচ্ছে তারা যারা ৫৭ বছর বা আরো আগে চাকুরী শেষ করে বাড়ী যায়। সকল রিটায়ার্ড আর্মি প্যারসোনাল হলো বাধ্যতামুলক ভাবে রিজার্ভ ফোর্সের সদস্য। এর জন্য তারা আলাদা কোন বেতন-ভাতা পায়না। যেহেতু তাদের একবার ট্রেনিং করা আছে, সুতরাং যুদ্ধ লাগলে তাদের কেও প্রয়োজন হবে এই হিসাবে তাদের কে রিজার্ভ হিসাবে রাখা হয়। ১৯৭২ সালেও যারা রিটায়্যার্ড তাদের নাম ও এই লিষ্ট এ আছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনার মন্তব্যের জন্য, বিশেষ করে, রিজার্ভ ফোর্সের ব্যাপারটা ব্যাখ্যার জন্য, ধন্যবাদ।

উইকি দেখাচ্ছে আর্মি ৩৩৯৬৭৫+, নেভি ২৮০০০, এয়ার ফোর্স ২৭০০০; অর্থাৎ সর্বমোট ৩,৯৪,৬৭৫+.

পোস্টে দেয়া উইকির লিংকে অ্যাকটিভ আর্মি ২৫২০০০; কিন্তু ওটা ২০০৭ সালের তথ্য। বর্তমান সংখ্যাটা কতো কেউ বলতে পারবেন? পোস্ট আপডেট করে দিবো।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাধন এর ছবি

যদ্দুর জানি, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর আকারের ব্যাপারে ভারত বাংলাদেশ সহযোগিতা চুক্তিতে একটি ক্লজ আছে, যেটা অনুযায়ী বাংলাদেশ তার সেনাবাহিনীর সাইজ ১২৫০০০০ এ সীমিত রাখার ব্যাপারে দ্বায়বদ্ধ। বাংলাদেশ অবশ্য এই ব্যাপারটি কখনো লংঘন করার চেষ্টা করেনি।মাঝেমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার সংগঠন হালনাগাদ করলেও তা উল্লেখিত সংখ্যার মধ্যেই সমন্বয় করে তা করেছে-এখানে কমিয়ে ওখানে বাড়িয়েছে।

সালেহীন [অতিথি] এর ছবি

উদ্ধৃতি-ৃবাংলাদেশ অবশ্য এই ব্যাপারটি কখনো লংঘন করার চেষ্টা করেনি...~~~
এর চাইতে বড় সেনাবাহিনী পোষার সামর্থ্য বাংলাদেশের নেই।সাইজের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জাম। সামরিক প্রশিক্ষণ একটি ব্যয়বহুল ব্যাপার, সরঞ্জাম এর কথা বাদ দিলাম।
বাংলাদেশের সামরিক বাজেট নিয়ে খুব বেশী খুশী হওয়ার কিছু নেই।১০০০০ কোটি টাকার বাজেটে ৯৫% হচ্ছে বেতন ভাতা, উন্নয়নের জন্য বছরে বড়জোর ৫০০ কোটি টাকার বেশী থাকেনা, যা অধুনা বিশ্বে তো বটেই, আমাদের পাশের দেশ মায়ানমারের তুলনায়ও খুবই নগণ্য।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের সেই সহযোগিতা চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৯৯৭ সালে।এটি পরবর্তীতে নবায়ন হয়েছে কিনা জানা নেই।
ধন্যবাদ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

১০০০০ কোটি টাকার বাজেটে ৯৫% হচ্ছে বেতন ভাতা, উন্নয়নের জন্য বছরে বড়জোর ৫০০ কোটি টাকার বেশী থাকেনা,

এটা সত্য হলে সেনারা বেতন কম পায়, সে অপবাদটা থেকে জাতি মুক্তি পাবে নিশ্চয়ই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফাহিম এর ছবি

ধরলাম, সেনা+বিমান+নৌ সব মিলিয়ে ৪ লক্ষ, আর ৯৫০০ কোটি টাকা বেতন ভাতা। তাহলে মাথাপিছু বাৎসরিক গড় বেতন হয় ২,৩৭,৫০০ - মাসে প্রায় ২০,০০০ টাকা।

এটা শুধুই গড়। ভ্যারিয়েন্স নিজ আন্দাজ মতো বসিয়ে নিন, কারণ, সেপাই বেশি ও অফিসার কম। সেপাইয়ের গড় বেতন মাসে ২০,০০০ টাকা হইতেই পারে না। সেই ক্ষেত্রে অফিসারদের গড় বেতন গিয়ে দাঁড়াবে আরও অনেক বেশি।

তার পরেও যদি শুনতে হয় আর্মির বেতন কম, কই যাই!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

আকাশ [অতিথি] এর ছবি

সেনাবাহিনীর জন্য বেতন স্কেল ভিন্ন ?

হাসিব এর ছবি

আপনার তথ্যের সূত্র দিতে পারবেন?

সালেহীন [অতিথি] এর ছবি

সূত্র ? না পারবোনা। তবে সেনাবাহিনীতে কর্মরত বন্ধুদের কাছ থেকে তথ্য টা পাওয়া।বর্তমান সেনাপ্রধান তার দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর একটি অফিসারস দরবারে জুনিয়র অফিসারদের প্রশ্নের জবাবে এটি জানিয়েছিলেন বলে জেনেছি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

যদ্দুর জানি, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর আকারের ব্যাপারে ভারত বাংলাদেশ সহযোগিতা চুক্তিতে একটি ক্লজ আছে, যেটা অনুযায়ী বাংলাদেশ তার সেনাবাহিনীর সাইজ ১২৫০০০০ এ সীমিত রাখার ব্যাপারে দ্বায়বদ্ধ।

১২ লাখ ৫০ হাজার হতে মনে হয় আরো ২/৩ বার সেনাশাসন আসতে হবে। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হাসিব এর ছবি
স্পর্শ এর ছবি

চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অস্থির চিত্ত [অতিথি] এর ছবি

"স্কুললাইফে 'এইম ইন লাইফ' আংরেজি এছে কিংবা 'তোমার জীবনের লক্ষ্য' নামক বাংলা রূপকথা রচনায় শুধু বিজ্ঞানই নয়, অনেক মানবিক এবং কমার্স বিভাগের পোলাপানও ডাক্তারিকে বেছে নেয়।"

'বাংলা রূপকথা'...উপমাটা সেইরকম হয়েছে দেঁতো হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মাথা নষ্ট।

গৌধুলী লগ্ন এর ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সর্বমোট ডিভিশন রয়েছে ৭ টি। প্রতিটি স্টান্ডার্ড ইনফেন্ট্রি ডিভিশন হিসাবে ধরলে ১২০০০ জনবল থাকার কথা। তবে সবগুলোতেই জনবল কমতি আছে বলে আমি জানি। এছাড়া সরকার কখনোই ১০০% জনবল পুরন করতে পারেনা, অর্থনৈতিক কারনে। সে হিসাবে ১০০০০ করে ৭ টা ডিভিশন+ ৩ টি সতন্ত্র ব্রিগেড (প্রতিটিতে ৩০০০)+ জাতিসংঘে প্রেরিত ১০,০০০ মিলিয়ে সেনাবাহিনীতে ৯০,০০০ থেকে সাকূল্যে ১,০০,০০০ বেশি হবার কোন কারন নাই। আর নৌ বাহিনীতে + বিমান বাহিনী খুবই ছোট আর্মির তুলনায়। আপনার কোন Relative বা Friend কেউ Air Force বা Navy তে থাকলে নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন।

হাসিব এর ছবি

ডিভিশন দুই চাইরটা কমায় ফেললেই প্রতি ডিভিশনে লোকবল ঘাটতির কথা যেইটা বললেন সেইটা থাকবে না।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

উইকির এই পেইজ দেখাচ্ছে -
অ্যাকটিভ ২,৫২,০০
রিজার্ভ ৪,৭০,০০০
প্যারামিলিটারী ৬৩,২৫০
সর্বমোট ৭,৮৫,২৫০

আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেলো -

১৯৭৫ এ আর্মির সাইজ ছিলো ৩০,০০০। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে এই সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে ৮২তে ৭০,০০০ এবং ১৯৮৮ তে ৯০,০০০ হয়। (১৯৮৮ তে ৯০,০০০ হলে এখন ২,৫২,০০০ এর ফিগারটাই সঠিক বলে মনে হয়)। নৌ আর বিমান এ তুলনায় আসলেই ছোট ২৮ হাজার ও ২৭ হাজার মাত্র।

তবে সংখ্যা যেটাই হোক না কেন, আর্মির তুলনায় পুলিশের সংখ্যা নগণ্য। বাংলাদেশে এত বিশালসংখ্যক সেনার সামরিক কাজ কি তা বোধগম্য না। দুর্যোগে ত্রাণ দেওয়া বা রাস্তাঘাটের ঠিকাদারী করতে আর্মি দরকার হয় না। অন্যদিকে বিশাল জনগোষ্ঠির শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের প্রয়োজন বেশি হওয়া উচিত। কিন্তু পুলিশ আছে মাত্র ১,২৪,৩৬৬ (একেবারে আপ-টু-ডেট হিসাব)! বাজেটেও স্বরাষ্ট্রের চেয়ে প্রতিরক্ষার বরাদ্দ অনেক বেশি। এমনকি মোট বরাদ্দে শিক্ষাখাতের সমতুল্য এই সামরিক বাজেট। আমাদের তো এতো সামরিক অ্যাকটিভিটি নাই বা দরকার নাই, নিশ্চয়ই কোথাও গরমিল আছে। এই গরমিলের কারণ খুঁজতেই এই মাথানষ্ট পোস্ট।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

উইকির নাম্বার বিষয়ক তথ্যকে আমি নির্ভরযোগ্য (রেফারেন্স হিসেবে) মনে করি না যদি না তার কোনো রেফারেন্স লিন্ক দেয়া থাকে।

"In 2002, Bangladesh had an army of 120,000, a navy of 10,500, and an air force of 6,500. Paramilitary forces of border guards, armed police, and security guards totaled 63,200. Bangladesh is attempting to improve naval command primarily to combat piracy."

এটা http://www.nationsencyclopedia.com/ থেকে নেয়া। ৮ বছরে এটা কিছুতেই তিনগুন হতে পারে না। ২০০২ সালে ৬,৫০০ থেকে এখন ২৭,০০০ এয়ারফোর্স বাহিনী কিছুতেই হতে পারে না। তাই যদি হয়, এত লোক কি করে? বাংলাদেশে ক'টাই বা প্লেন আছে। তবে, শুধু 'এয়ারফোর্স বাহিনী' নয়, এয়ারফোর্সে কাজ করে - কুক, দর্জি, অফিস ওয়ার্কার, ইত্যাদি সব মিলে ২৭,০০০ হবে নিশ্চয়ই।

ডাক্তারদের সংখ্যাটা খুবই কম। মুলত ১৯৯১ এর আগে মাত্র ৫/৬ টা মেডিকেল কলেজ ছিল তাই। এখন বাড়ছে। তবে আরো কলেজ দরকার। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে আপনার ডাক্তারের সংখ্যাটা ভুল। এর সংখ্যা আরো কম। অথবা ডাক্তার বলতে হয়ত, শুধু এমবিবিএস নয়, কম ট্রেনিংদেরধারীকেও ধরা হয়েছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

উইকির নাম্বার বিষয়ক তথ্যকে আমি নির্ভরযোগ্য (রেফারেন্স হিসেবে) মনে করি না যদি না তার কোনো রেফারেন্স লিন্ক দেয়া থাকে।

একমত। তবে ওই তথ্যের রেফারেন্স হিসেবে বিডিমিলিটারি ডট কমের রেফারেন্স দেয়া আছে। ওই সাইটটি আবার আর্মির অফিশিয়াল সাইট না। সুতরাং ওই সাইটের তথ্যকেও ধ্রুব সত্যে ভাবার কারণ নেই। আমি কিছুটা আশ্চর্য হয়েছি বাংলাদেশ আর্মির অফিশিয়াল সাইটে তাদের সংখ্যার তথ্য নেই দেখে। পুলিশের সাইটও আপ-টু-ডেট তথ্য সরবরাহ করে। আর্মির জন্য এটা কি খুব সিকিউরিটি-সেনসিটিভ তথ্য?

...৮ বছরে এটা কিছুতেই তিনগুন হতে পারে না।...

বাংলাদেশে যে কি হতে পারে আর হতে পারে না, সেটা একটা বিস্ময়। ৭৫ এর পরে ১০/১২ বছরে আর্মির সাইজ প্রায় ৩ গুণ হয়েছিলো। বিডিমিলিটারীর তথ্য ২০০৭ এর; অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত বেশি সাম্প্রতিক।

সেনা, নৌ বা এয়ার ফোর্সের হিসেবে যারা সরাসরি আর্মড না বা যুদ্ধ করে না, তারাও এই বাহিনীগুলোর অংশ হিসেবে কাউন্টেড হওয়া উচিত। কারণ, তারাও ওই সিস্টেমের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ডাক্তারের সংখ্যা আরো কম হলে বিষয়টা ভয়াবহতর।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সংহতি

___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

দ্রোহী এর ছবি

পুরাতন চেহারার বলাই'দা!


কি মাঝি, ডরাইলা?

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চলুক

_________________________________________

সেরিওজা

আলমগীর এর ছবি

শুরুটা অসাধারণ, কিন্তু হঠাৎ করে শেষ হয়ে গেলো কেন?
সামরিক বাহিনীর সংখ্যাসহ সব তথ্য পাবেন এ লোকের কাছে (bdmilitary.com)। পুরা কাঁপানি কারবার।

অমিত এর ছবি

উপরের সাইটে দেখলাম Training of DGFI personnel is conducted both within country and abroad in the United States, United Kingdom and Pakistan with the respective intelligence agencies.

পাকি শুওরগুলা থেকে কেন ট্রেনিং নিতে হবে ?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আলমগীর ভাই, তবু ভালো লেখাটা শেষ করতে পেরেছি। খাইছে

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফাহিম এর ছবি

প্রশ্নটা শুনতে নির্বোধের মতো হলেও, প্রশ্নটা করতে চাই -

* স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের আজ পর্যন্ত সমস্ত বাজেট বরাদ্দের সিংহভাগ ঢালা হয়েছে এই সামরিক বাহিনীর পেছনে। বিনিময়ে তাদের অর্জনটা কী? জাতিসংঘ মিশনে গিয়ে নিজেদের ফোলা পকেট আরেকটু ফোলানো ছাড়া আর কয়েকটা ক্যু ছাড়া তারা আজ পর্যন্ত দেশের জন্য কী করেছে? সোজা কথায়, ভবিষ্যতে তাদের পোষার যৌক্তিকতাটা কী?

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই ফাহিম, অত্যন্ত দুঃখ পাইলাম আপনার মন্তব্যে। আমাদের সেনাবাহিনী বর্তমানে যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের দেশকে দিচ্ছে তা যে কোন সময়ের এবং যে কোন বৈদেশিক বানিজ্য হতে বেশি। আর অত্যন্ত খারাপ এবং অশ্লীল লাগলো আপনার এই মন্তব্যটি,'জাতিসংঘ মিশনে গিয়ে নিজেদের ফোলা পকেট আরেকটু ফোলানো ছাড়া আর কয়েকটা ক্যু ছাড়া তারা আজ পর্যন্ত দেশের জন্য কী করেছে?' ভাই আপনি তাদেরকে দেশের জন্য কি করতে বলেন?
কোনদিন দেখেছেন তারা পার্বত্য এলেকাতে কতটা ঝুঁকি নিয়ে আর নিজের জীবনের তোয়ক্কা না করে ঐ জায়গাটুকু ধরে রেখেছে! আর ভাই তাদের পকেট আপনাদের মত লোকেরা কোনদিন ফুলতে দেয় নি এবং শতকরা ৯৯% সেনাসদস্য পকেট ফোলার চিন্তা না করেই কিন্তু এটাকে পেশা হিসাবে নেয়।

_____________***********************************
ভাই না যেনে এধরনের কথা কারে সম্পর্কে বলা উচিত না।

হাসিব এর ছবি

আমাদের সেনাবাহিনী বর্তমানে যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের দেশকে দিচ্ছে তা যে কোন সময়ের এবং যে কোন বৈদেশিক বানিজ্য হতে বেশি।

কয় টাকা আনে তারা? আর কয় টাকা তাদের পিছনে খরচ হয়?

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

এইটুকু মানলাম যে জাতিসংঘ মিশনে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আর্মির নগদ প্রাপ্তি খুব বেশি না ...

তাই বলে আর্মির কমপেনসেশন প্যাকেজ কিন্তু একেবারে তুচ্ছ করার মতও না ... আর্মি অফিসাররা যে কোয়ার্টারে থাকে তার ভাড়া হিসাবে তাঁরা ঠিক কি পরিমাণ টাকা দেন? [কয়েক হাজারের বেশি না] ... সেই একই সাইজের বাসা ভাড়া করে থাকতে গেলে একটা বেসরকারী চাকরিজীবীর কি পরিমাণ খরচ হবে? তার সাথে সাবসিডাইজড ইউটিলিটি; কখনো কারেন্ট যায় না [আগে একদমই যেতো না, এইবার দেখলাম দিনে ঘন্টা দুয়েক লোডশেডিং হয়, মোটামুটি অভূতপূর্ব ঘটনা]; চব্বিশ ঘন্টা বিশুদ্ধ পানির সাপ্লাই, ব্যাপক গ্যাস সংকটের সময়ও গ্যাস নিয়ে চিন্তা করতে হয় না ... ঢাকা শহরের মাঝখানেও আম-কাঁঠালের বাগান নিয়ে থাকা যায়, পোলাপানের স্কুল-কলেজ নিয়া চিন্তা নাই, ফ্রী চিকিৎসা, ফ্রী ওষুধপত্র ... প্রায় ফ্রী রেশন [চালের কেজি কয়েকবছর আগেও পাঁচ টাকা ছিল, এখন কত জিজ্ঞেস করে বলতে হবে] ... এইরকম একটা জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে চাইলে একটা সিভিলিয়ানকে কি পরিমাণ খরচ করতে হবে? এবং ব্যাপক খরচ করেও আজকের বাংলাদেশে এমন একটা লিভিং স্ট্যান্ডার্ড পাওয়া সম্ভব কিনা?

আমি যেগুলি বললাম সেগুলি কিন্তু শোনা কথা না, আমি নিজে এইসব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেড়ে উঠেছি ... বয়স চব্বিশ বছর পার হওয়ার পর যখন সিএমএইচে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেল তখন বাইরে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে টের পেলাম চিকিৎসা কি ভয়াবহ ব্যয়বহুল এবং ভেজাইল্যা একটা জিনিস ...

আর্মির সমালোচনা হলেই খালি তাদের কয় পয়সা বেতন দেয়া হয় সেই প্রশ্ন আসে কিন্তু এই সুবিধাগুলির কথা আসে না কেন?
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

ফাহিম এর ছবি

আপনাকে দুঃখ দেবার জন্য আমি লজ্জিত।

আমাদের সেনাবাহিনী বর্তমানে যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের দেশকে দিচ্ছে তা যে কোন সময়ের এবং যে কোন বৈদেশিক বানিজ্য হতে বেশি।

অত্যন্ত হাস্যকর ও বালখিল্য স্টেটমেন্ট। এক নম্বর কথা, রপ্তানি বাণিজ্যের কথা ধরলে আর্মির কন্ট্রিবিউশন সবথেকে বেশি তো নয়ই, এক থেকে দশের মধ্যেও থাকার কথা না। দয়া করে আপনার স্টেটমেন্টের স্বপক্ষে প্রমাণ হাজির করুন।

দুই নম্বর কথা, আর্মি ইউ.এন থেকে যেই টাকা আনে, তার একটা অংশ ট্যাক্স হিসেবে কাটার পর পুরোটাই তাদের পকেটে চলে যায়। এইটা ইনকাম জেনারেটিং কোন খাত না। অন্যান্য শিল্পের আয় অর্থনীতিতে রোলব্যাক করে। আর্মিরটা করে না। তাই, তাদের অবদান খুবই সামান্য দেশের অর্থনীতিতে।

ভাই আপনি তাদেরকে দেশের জন্য কি করতে বলেন?

আমার বলা না বলা তে কী আসে যায়? ধরে নিন আমি কিছুই জানি না। এবার আপনি আমাকে দয়া করে লিস্ট দিয়ে বলুন তারা কী করে।

কোনদিন দেখেছেন তারা পার্বত্য এলেকাতে কতটা ঝুঁকি নিয়ে আর নিজের জীবনের তোয়ক্কা না করে ঐ জায়গাটুকু ধরে রেখেছে!

মানে কী? আর্মি না থাকলে ঐ জায়গা অন্য কেউ নিয়ে যেত? কে? ইন্ডিয়া? মায়ানমার? ২০১০ সালে এসে ইন্ডিয়া বা মায়ানমার এসে আমাদের জমি দখল করে নিয়ে যাবে, এইসব আজগুবি গল্প চলে না।

আর ঝুকির ব্যাপারটা, এটা কী তারা দয়া করে করছেন? এটা সম্পূর্ণভাবে প্রফেশনাল হ্যাজার্ডের অন্তর্ভূক্ত। গার্মেন্টস শ্রমিকের প্রফেশনাল হ্যাজার্ড যেমন অগ্নিকাণ্ড, ঠিক সেই রকম। যে আর্মিতে যায়, সে জেনেশুনেই যায়। এইটা নিয়ে চেচামেচি করে গলা শুকানোটা হাস্যকর।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমাদের সেনাবাহিনী বর্তমানে যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের দেশকে দিচ্ছে তা যে কোন সময়ের এবং যে কোন বৈদেশিক বানিজ্য হতে বেশি।

ভাই, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য সেনাবাহিনী পোষার দরকার নেই। একজন সেনাকে তৈরি করতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হয়, তার চেয়ে অনেক কম খরচে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করা যায়।

ভাই আপনি তাদেরকে দেশের জন্য কি করতে বলেন?
কোনদিন দেখেছেন তারা পার্বত্য এলেকাতে কতটা ঝুঁকি নিয়ে আর নিজের জীবনের তোয়ক্কা না করে ঐ জায়গাটুকু ধরে রেখেছে!

এই ঝুঁকি নেয়াটা সেনাদের একেবারে মৌলিক দায়িত্ব। এটা দেশের জন্য বাড়তি কিছু করা নয়। চাকুরির দায়িত্ব পালন করলে 'থ্যাঙ্ক ইউ' অ্যান্ড দ্যাট'স অল। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যাপারে সেনাদের প্রকৃত আচরণ কেমন পাহাড়ি আদিবাসীদের উচ্ছেদ ও তাদের ওপর অত্যাচার থেকে কিছুটা আঁচ করা যেতে পারে। এখানে গৌরবের কিছু থাকলে লজ্জিত হওয়ার মতো কিছুও অবশ্যই আছে।

পকেট ফোলাটা আসলে সেনা বলে নয়, বাংলাদেশের প্রত্যেক পেশারই কমন চরিত্র। এজন্য সেনাদেরকে বাড়তি দোষ দেয়ার কিছু নেই। একজন পাড়ার মাস্তান যেমন পেশীশক্তিকে ব্যবহার করে মাস্তানি করে, একজন একই মানসিকতার সেনাও তার সেনা পরিচয়কে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে দুর্নীতি করে। অন্যান্য পেশায় যেমন সবাই এই আকাম করে না বা সুযোগের অভাবে সৎ থাকে, সেনাদের ক্ষেত্রেও তা-ই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মেজর জামিল এর ছবি

~~~...জাতিসংঘ মিশনে গিয়ে নিজেদের ফোলা পকেট আরেকটু ফোলানো ছাড়া আর কয়েকটা ক্যু ছাড়া তারা আজ পর্যন্ত দেশের জন্য কী করেছে...~~~
মিস্টার ফাহিম...সেনাবাহিনীতে চাকুরী করি।গর্বের সাথেই করে যাচ্ছি এখনো।পরিবার পরিজনকে ছেড়ে আফ্রিকার জংগলে গিয়ে অর্থ উ্পার্জন করতে চাইনা।বলতে পারেন, সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত অবস্থায় 'এক্সট্রা টু পাইস' টা আমি কিভাবে আয় করতে পারি ? প্লিজ একটু শিখায়া দেন।
আমরা কোন সিভিল সার্ভিস দেই না, যতক্ষণ না ইন এইড অফ সিভিল পাওয়ার এ কোন কর্তব্য পালনের জন্য ডাকা হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা বন্যা ডিউটতে গেলে ত্রাণের গম চুরি করেছে, টিন চুরি করেছে, এমন কোন উদাহরণ দিতে পারবেন ?
ক্যু এর কথা বলছেন ? চাকুরী করি এখনো...তাই মন্তব্য করলাম না।পরিশেষে, শুধু একটা প্রশ্ন করি, একটা উদাহরণ দিন তো, যেদিন এই সেনাবাহিনীর কোন জেনারেল আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ ছাড়া মাঠে নেমেছে ?
ধন্যবাদ।

হিমু এর ছবি

জেনারেল জিয়াউর রহমান
জেনারেল এরশাদ

আপনি যেদিন জেনারেল হবেন, সেদিন কোনো লোক আপনাকে ক্যু করার জন্যে সাদর আমন্ত্রণ জানালে, দয়া করে রাজি হইয়েন না।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সালেহীন [অতিথি] এর ছবি

জেনারেল জিয়া এসেছিলেন একটি অভ্যুথানের ভেতর দিয়ে।খন্দু মশ্তাকদের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি যা ছিল, আর রাজনীতিবিদরা নেংটি ইঁদুরের মত গর্তে গিয়ে যেভাবে লুকিয়েছিলেন, তাতে তার ক্ষমতা না নিয়ে কোন উপায় ছিলনা। ১৯৭১ নয়, সেই ১৯৬৯ এই পাকিস্তানকে আসসালামু আলাইকুম জানানো মওলানা ভাসানীর মত রাজনীতিবিদ তাকে সমর্থন দিয়েছিলেন।শুধু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নয়,বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবর্তক হিসেবেও তার একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য।পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলেও, জিয়ার এই অবদানটাকে মহামান্য আদালত সম্মান জানিয়েছেন।
জেনারেল এরশাদের আগমন স্বাগতম ধ্বনি পেয়েছিল এই দেশের সবচাইতে বেশী জনসমর্থিত রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে। এটি না জেনেই কি এরশাদ ক্ষমতা নিয়েছিলেন ? আর ইনু ভাই,মেনন ভাইদের কানে কানে জিজ্ঞেস করার মত সখ্যতা যাদের আছে, তারাও জানেন দলের জন্য কম চাঁদা তারা জ়েনারেল এরশাদের কাছ থেকে নেননি।চাঁদার টাকাটা এরশাদ কার পকেট কেটে দিয়েছিলেন, তাও তারা জানতেন।১৯৮৬'র সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে,জেনারেল এরশাদের দূর্নীতির টাকার বস্তার গন্তব্যগুলো নিশ্চয়ই আপনার জানা আছে।
মিলেমিশে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।আমরা সাধারণ জনগণই শুধু বিশুদ্ধতার চর্চা করে গেছি।

হিমু এর ছবি

সব জেনারেলই ক্ষমতায় যাওয়ার পর কিছু "সাদর আমন্ত্রণ জানানেওয়ালা" পেয়ে যায়। ক্ষমতায় গিয়ে বলে, "এ ছাড়া উপায় ছিলো না"।

আপনাকে সাদর আমন্ত্রণ জানাই, চলেন সালেহীন সাহেব, চুরি করতে নামি। আপনি আমার সাথে চুরি করতে নেমে গেলেন, তারপর বলতে লাগলেন, আরে হিমু সাদর আমন্ত্রণ জানাইছে দেইখাই না চুরি করছি, নাইলে নামতাম নাকি এই লাইনে?

কেমন শোনায় না হাসি ?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সালেহীন [অতিথি] এর ছবি

হিমু ভাই
হেভভি একটা এংগেল এ মাইরটা দিলেন।কোমরটা ভাইংগা গেছে।
তবে,ডেকে দেখেন, চলেও আসতে পারি।একই মাটির মানুষ না আমি আর আপনে আর অরা ?
ভালো থাকেন।

ফাহিম এর ছবি

সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত অবস্থায় 'এক্সট্রা টু পাইস' টা আমি কিভাবে আয় করতে পারি ?

আগে বলুন, কেন ভাই আপনাদের 'এক্সট্রা টু পাইস' কামানো দরকার? আপনারা না দেশ সেবার মহান ব্রত নিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন?

নাকি 'এক্সট্রা টু পাইস' কামানোর জন্য যোগ দিয়েছেন?

পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের লোকজন যারা অসৎ, তারা ঘুষ ও অন্যান্য অনৈতিক উপায়ে 'এক্সট্রা টু পাইস' কামিয়ে থাকেন। আপনাদের সেই সুযোগ নেই বলে কি দুঃখ করছেন? অসৎ হতে না পারার দুঃখ?

সেনাবাহিনীর সদস্যরা বন্যা ডিউটতে গেলে ত্রাণের গম চুরি করেছে, টিন চুরি করেছে, এমন কোন উদাহরণ দিতে পারবেন ?

জ্বী না ভাই, দিতে পারছি না, কারণ আমি সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত না। তবে কান কথায় শুনেছি, গত আর্মি শাসনামলে আর্মির বেশ কিছু জুনিয়ার লেভেলের অফিসার আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর একযোগে পদত্যাগ করেছেন - এই সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী? সব গুজব নিশ্চয়ই?? একজন তো শুনলাম বিকাল পর্যন্ত ডিউটি করে রাতে নিজের অফিসে গিয়ে বসে - এটাও নিশ্চয়ই গুজব??

ভাই, আবারও বলি, আমরা কেউই আর্মির বিরুদ্ধে না। তারা দেশের সম্পদ। কিন্তু গত চার দশকে তারা দেশকে যেই পরিমাণ দৌড়ের উপরে রেখেছে, তাতে আস্থা হারানোটাই স্বাভাবিক। পার্সোনালি নিয়েন না।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পরিশেষে, শুধু একটা প্রশ্ন করি, একটা উদাহরণ দিন তো, যেদিন এই সেনাবাহিনীর কোন জেনারেল আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ ছাড়া মাঠে নেমেছে ?

ভাই, সাদর আমন্ত্রণ পেলেই মাঠে নামা জায়েজ হয়ে যায় নাকি? মনে করেন, এখন যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হওয়ায় জামায়াত বিএনপি নেতারা এটাকে মানবতার লঙ্ঘন হিসেবে দেখিয়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে মানবতা রক্ষায় আমন্ত্রণ জানালো। এখন জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে আর্মি শাসনভার গ্রহণ করলে কি সেটা জায়েজ হবে? আর্মির দায়িত্ব কি দেশ শাসন করা?

পারসোনালি কোনো সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে কোনো বিষোদগার বা প্রশংসাবাক্য এই পোস্টে নেই। এর ফোকাস মূলত অর্থনৈতিক। এত বিশাল সাইজের সেনাবাহিনী না পুষে সেই টাকা দিয়ে অন্য অপেক্ষাকৃত প্রয়োজনীয় খাতে বিনিয়োগ করা যেত। একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই। একজন এইট পাস সেনাকে তৈরি করতে যে পরিমাণ টাকা দরকার হয়, তার চেয়ে অনেক কম খরচে তাকে কোনো ফিলডে একজন দক্ষ শ্রমিক হিসেবে তৈরি করা যায়। সেই শ্রমিককে এক্সপোর্ট করে দেশ অনেক বেশি লাভবান হতে পারে। এখানে পারসন ফিক্সড; কিন্তু তাকে কোন পেশায় নিয়োজিত করা হলে দেশের লাভ বেশি, সেটাই বিবেচ্য।

সেনাবাহিনী একটি দেশের জন্য একটি অলাভজনক খাত। জাতিসংঘ মিশন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী যে সব কাজ করে অর্থোপার্জন করে, তাদের দায়িত্ব সেই কাজগুলো করা না। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশের জনগণই সেনাবাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় খরচ প্রোভাইড করবে, সেনারা নিজেরা নিজেদের খরচ আয় করার জন্য বাধ্য না। এজন্যই আমাদের দেশের জন্য ছোট সাইজের সেনাবাহিনী বেটার। বেশি সংখ্যক লোককে দেশের উৎপাদনশীল অর্থনীতির সাথে যুক্ত করতে হবে, সেনাবাহিনীর মতো অতিউচ্চ ব্যয়ের ক্ষেত্রে যতো লোক সম্পৃক্ত করা হবে, ততোই লস।

পৃথিবীর সব যুদ্ধবিগ্রহের মূল কারণটা অর্থনৈতিক। আগে সেজন্য দেশ দখল করা লাগতো, এখনও তেলের জন্য ইরাক দখল করা হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে কেউ দেশ দখল করতে আসবে না, দেশিয় কলকারখানার বারোটা বাজিয়ে এবং বিদেশি পণ্যের অবাধ ইমপোর্ট নিশ্চিত করে যুদ্ধটা আমরা অলরেডি হেরে বসে আছি। সেনাবাহিনীর সাইজ বাড়িয়ে এ যুদ্ধ জেতা যাবে না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাইদ এর ছবি

কেউ কি জানেন ইঞ্জিনিয়ার -এর সংখ্যা?

দুর্দান্ত এর ছবি

চলুক

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

একটু অফ টপিক হতে পারে

বিবিসে বাংলা রেডিওতে একটি ধারাবাহিক প্রতেবেদন চলছে দেশে আর্মীদের একষ্ট্রা কারিকুলার (ব্যবসা বানিজ্য/পাকিস্তানের প্রভাব) একটিভিটিজ নিয়ে।

১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব

অনেক অজানা বিষয় জানা যাচ্ছে, যদিও কোন পদস্হ কর্মকর্তা বিবিসের সাথে কথা বলতে চাইছে না।

হাসিব এর ছবি

এইটা অফটপিক না। এইটাই এখানে টপিক।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমরা কূয়ার ব্যাঙ।

...........................
Every Picture Tells a Story

অতিথি লেখক এর ছবি

বলাই দা, মনোযোগ সহকারে পড়লাম এবং ভালো লাগলো। বাংলাদেশে যে আর্মির দরকার নেই তা এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল টেলিভিশনের টক শোতে অলরেডি বলে দিয়েছেন। তার যুক্তি যে বাংলাদেশ যদি প্রতিবেশি দেশ দ্বারা আক্রান্ত হয় তবে বাংলাদেশের ক্ষমতা নেই সে আক্রমন প্রতিহত করার। সুতরাং নো আর্মি এ্যাট অল। আর যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসছেন তারা বলছেন আর্মিকে আরো শক্তিশালী আর আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন এবং কাজ চলছে। আমি কোনও মন্তব্য করবো না কারন বেয়াদবি হয়ে যাবে উনাদের সাথে।

তবে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশ আর্মির পারফরম্যান্স যে সেরা সে বিষয়টা নিয়ে মানুষ তেমন মাথা ঘামায় না। ২০১০ সালে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষি মিশনে সবথেকে বেশি সৈন্য হবে বাংলাদেশ থেকে, যা আগে ছিলো পাকিস্তানের। সম্প্রতি আমাদের অফিসে কেনিয়ান আর্মির এক ক্যাপ্টেন ভলান্টারি রিটায়ারমেন্ট নিয়ে জয়েন করেছে। ওর বিবেচনায় ইউএন মিশনে বাংলাদেশী আর্মিই সেরা। এটা নিঃসন্দেহে ভালো একটা বিষয় হতে পারে। এমনিতেই আমরা পরিচয়ের দৈন্যতায় ভুগছি। আর দেশে যে রেমিট্যান্স আসছে সেটা অস্বীকার করা সততা হবে না।

আসলে শিক্ষক তার নিজের কাজ করেন এবং আর্মিও তার নিজের কাজ করে। যদি মনে করি যে আর্মি কোনও কাজ না করে বসে বসে বেতন নেয়, তাহলে বলতে হবে বসে থাকাটাও তার কাজ। সরকার তাকে বসে থাকার জন্যে রিক্রুট করেছেন।

বলাইদার শেষ প্যারাটা হতাশা এবং ক্ষোভ থেকে এসেছে। এই হতাশা এবং ক্ষোভ আমাদের প্রায় সবার মধ্যেই কমবেশি আছে। কিন্তু সরকারগুলো কি আমাদের হতাশা বা ক্ষোভকে গোনায় ধরে? সব সরকারেরই একমাত্র লক্ষ্য নিজের নিতম্বরক্ষণ (সেইভিং দ্য এ্যাস)। পাছার উপর বাড়ি খেতে কিন্তু চরম বেকুবও চায় না। বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সাবেক বামে ভর্তি। যে বামেরা একসময় তাদের গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতেন এই বলে যে "শিক্ষা খাতে ব্যায় বাড়াও আর সামরিক খাতে ব্যায় কমাও"। কোথায় গেলো তাদের সেই চিৎকার।

শেষ কথাঃ লেজে জিয়া এবং লেজেহোমো দুজনেই চুড়ান্ত 'পাগোল' ছিলেন তাই ক্যু-কা ইত্যাদি করে আর্মির নাম ডুবিয়ে গেছেন। সেই তুলনায় জেনারেল মউআ কিন্তু অনেক ট্যালেন্টেড। ইয়েসউদ্দিনের কান্ধে বন্দুক রেখে ইচ্ছেমত গুলি করেছেন। আর আগামীদিনের জেনারেলরা কিন্তু হবেন আরও ট্যালেন্টেড!

রাতঃস্মরণীয়

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

জাতিসংঘ মিশনে ভালো পারফর্ম করা অবশ্যই প্রশংসার ব্যাপার; কিন্তু সেটা আর্মির সাইজ বাড়ানোকে জাস্টিফাই করে না।

আসলে শিক্ষক তার নিজের কাজ করেন এবং আর্মিও তার নিজের কাজ করে। যদি মনে করি যে আর্মি কোনও কাজ না করে বসে বসে বেতন নেয়, তাহলে বলতে হবে বসে থাকাটাও তার কাজ। সরকার তাকে বসে থাকার জন্যে রিক্রুট করেছেন।

আর্মি ও শিক্ষকের কাজের মধ্যে বেসিক পার্থক্য হলো, আর্মি ননপ্রোডাক্টিভ খাত, শিক্ষা প্রোডাক্টিভ খাত। একজন শিক্ষক হাজার জন ছাত্রকে শিক্ষিত হওয়ার পেছনে সময় দেন, যে ছাত্ররা দেশের অর্থনীতিতে কনট্রিবিউট করে। অন্যদিকে আর্মি দেশের জনগণের অর্থ ব্যয় করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্বে থাকে।

শেষ কথাঃ লেজে জিয়া এবং লেজেহোমো দুজনেই চুড়ান্ত 'পাগোল' ছিলেন তাই ক্যু-কা ইত্যাদি করে আর্মির নাম ডুবিয়ে গেছেন। সেই তুলনায় জেনারেল মউআ কিন্তু অনেক ট্যালেন্টেড। ইয়েসউদ্দিনের কান্ধে বন্দুক রেখে ইচ্ছেমত গুলি করেছেন। আর আগামীদিনের জেনারেলরা কিন্তু হবেন আরও ট্যালেন্টেড!

জেনারেল মইনের মত ট্যালেন্টেড আর্মিরও দরকার নেই। জিয়া এরশাদের মত সরাসরি মারুক আর মইনের মত ইয়েসউদ্দিনের কাঁধে বন্দুক রেখে মারুক, দেশের জনগণের গোঁয়া মারার জন্য দুই স্টাইলই কার্যকর। আর্মির দায়িত্ব দেশের গোঁয়া রক্ষা করা, সেটা মারা না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

বলাই দা, আজাইরা তর্ক করার মতো কিছু টাইম আমার হাতে আছে কিন্তু অভ্যাসটা নাই। উপরের কমেন্টে আপনি যা বলছেন, যুক্তিসংগত মনে হইছে। সম্পূর্ণ একমত।

রাতঃস্মরণীয়

সাধন এর ছবি

অং বং তং
বাংলাদেশের দুর্নীতির বাজেট কত ?

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

সামরিক বাহিনীর খরচের বিষয়টা নিয়ে ভালভাবে রিসার্চ না করে শুধু সাধারন চিন্তায় কিছু বোঝা যায় না। আমি আর্মির না। শিক্ষার সাথেই জড়িত।

কৌতুহলবশত সব দেশের মিলিটারি বাজেট বিষয়ক (যেটা ওয়েবে পাওয়া যায়) কিছু তুলনামুলক ডাটা পাওয়া যায়। মিলিটারি বাজেট যে বেশি হয়, এটা সারা পথিবীতেই একটা ট্রেন্ড। যে কোনো দেশের বেলায়ই এটা সত্য। শুধু বাংলাদেশের বেলায়ই নয় - ধনী, গরিব রাষ্ট্র বলে কোনো কথা নেই। লিস্টে বরং দেখা যায়, বাংলাদেশের জিডিপি, জনসংখ্যা ইত্যাদি বিবেচনায় বাংলাদেশের ফোর্স সংখ্যা ও বাজেট অনেক অনেক পেছনে। দক্ষিন এশিয়ায় (ভারত, পাকিস্তান তো বটেই) শ্রীলংকার টোটাল মিলিটারি বাজেটও বাংলাদেশের বেশি। এ রকম আরো ৫০টা দেশের নাম বলা যায় যারা জনসংখ্যায় আমাদের চেয়ে কম, কিন্তু বাজেট বেশি।

'জাতি' একটা true সত্ত্বা, 'রাষ্ট্র' কিন্তু নয়। এটা একটা আরটিফিসিয়াল সীমারেখা দিয়ে বানানো যেটা যুগে যুগে পরিবর্তন হয়। এবং সেটা রক্ষা করার জন্য সব দেশকেই পাহারাদার পুষতে হয়। যেটা একটা ভর্তুকি। এই সীমারেখা না থাকলে এটা দরকার নেই। কিন্তু সমস্ত দুনিয়ার ষ্ট্রাটেজিস্টরা বলছে এটা দরকার আছে - আমেরিকা, ইংল্যান্ড বাদই দিলাম, সব সব দেশ এ খরচটা করে 'দেশ'কে টিকিয়ে রাখার জন্য বা পাহারাদার ভাড়া করে মানসিক শান্তিতে ঘুমানোর জন্য, সেটা থ্রেট থাকুক বা নাই থাকুক - অতি শিক্ষিত দেশ হোক বা গরিব দেশ হোক। বাংলাদেশ যদি পথিবীর এই ট্রেন্ডএর বাইরে থাকত, তাহলে আমি অনেক লম্বা কথা বলতাম। আলট্রা লিবারেল ভাবে অনেক কিছু উড়িয়ে দেয়া যায়, এমনকি বলাও যায় যে বাংলাদেশের মিলিটারি দরকার নেই, কিন্তু এর কোনো একাডেমিক/স্ট্রাটেজিক ভিত্তি নেই। মনে রাখতে হবে, এ নিয়ে অনেক পড়ালেখা হয় - আলেকজান্ডার, চেংগিস খান, আর নেপোলিয়ন দের প্রভাব কোনো কালেই উড়িয়ে দেয়া যাবেনা - মানুষের রাগ, মেজাজ, আবেগ, ঝগড়াপ্রিয়তা ইত্যাদি স্বভাবের জন্য। আমেরিকা ইচ্ছা করলেই মেক্সিকো নিয়ে নিতে পারে, কিন্তু এটা এই না যে মেক্সিকোর সামরিক বাহিনী দরকার নেই। এই একই লিবারেল ভাবে এটাও তাহলে বলা যায় যে, 'দেশ' বলে যে সীমারেখা এটারও কোনো দরকার নেই। শান্তির সময়ে আর্মির দরকার নেই, এটা যারা বলে তারা মুলত 'ফ্যান্টাসী'তে বসবাস করে।

সারা দুনিয়া জুড়ে সামরিক বাজেট বেশি হওয়ার প্রধান কারন অস্ত্রের দাম। মেডিকেল বা শিক্ষায় সব দেশে হয়ত একই স্টান্ডার্ড নেই, কিন্তু সামরিক ব্যাপারে চেষ্টা করা হয় কিছুটা স্টান্ডার্ড রাখতে। সব মিলিটারি এসটাবলিশমেন্টই ঝকঝকে তকতকে থাকে, বাংলাদেশ হোক বা অন্য দেশে। নেভির একটা ফ্রিগেটএর দামই আমার ধারনা কয়েকশ কোটি টাকা। আমাদের বা অন্যান্য দেশের মিলিটারি যদি ঢাল তলোয়ার ব্যবহার করে তাহলেই এই বাজেট পাচভাগ বা দশভাগের একভাগে নেমে যাবে, এবং অপচয় থেকে আমরা বেচে যাব।

এত কিছু বলার পরেও এখন দেখতে হবে বাংলাদেশের আর্মিরা এই বাজেটের টাকাটা কি ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতি করে খরচ করছে? বাংলাদেশের যে কোনো সেক্টরের চেয়ে তারা সরকারিভাবে বেশি সুবিধা পায় নিসন্দেহে। আমরা কি পারিনা কিছু কাটছাট করে কিছু টাকা বাচাতে যেটা অন্য খাতে যেমন শিক্ষায় দেয়া যায়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এশিয়ায় (ভারত, পাকিস্তান তো বটেই) শ্রীলংকার টোটাল মিলিটারি বাজেটও বাংলাদেশের বেশি।

এই দেশগুলোর অর্থনীতি বাংলাদেশের তুলনায় শক্তিশালী, শ্রীলঙ্কায় শিক্ষার হার ৯০% এর বেশি। তবে আর্মির সাইজ বড়ো হওয়ার পেছনে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের উত্তেজনা এবং তামিল টাইগাররা একটা বড়ো কারণ। আর পৃথিবীতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি আপেক্ষিক সাইজের সেনাযুক্ত দেশও আছে, কম সাইজেরও আছে। সুতরাং অমুকের বড়ো বলে আমারও বড়ো চাই - এরকম যুক্তি চলে না। বাংলাদেশের আর্মড ফোর্সের সাইজ কেমন হবে, তা নির্ভর করে বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর।

এই সীমারেখা না থাকলে এটা দরকার নেই। কিন্তু সমস্ত দুনিয়ার ষ্ট্রাটেজিস্টরা বলছে এটা দরকার আছে - আমেরিকা, ইংল্যান্ড বাদই দিলাম, সব সব দেশ এ খরচটা করে 'দেশ'কে টিকিয়ে রাখার জন্য বা পাহারাদার ভাড়া করে মানসিক শান্তিতে ঘুমানোর জন্য, সেটা থ্রেট থাকুক বা নাই থাকুক - অতি শিক্ষিত দেশ হোক বা গরিব দেশ হোক।

সেনাবাহিনীর দরকার অবশ্যই আছে। এখানে আকার ও খরচ বিবেচ্য। দুই টাকা পাহারা দিতে পাহারাদারের পেছনে এক টাকা খরচ নীতি সাধারণত অলাভজনক।

সারা দুনিয়া জুড়ে সামরিক বাজেট বেশি হওয়ার প্রধান কারন অস্ত্রের দাম। মেডিকেল বা শিক্ষায় সব দেশে হয়ত একই স্টান্ডার্ড নেই, কিন্তু সামরিক ব্যাপারে চেষ্টা করা হয় কিছুটা স্টান্ডার্ড রাখতে। সব মিলিটারি এসটাবলিশমেন্টই ঝকঝকে তকতকে থাকে, বাংলাদেশ হোক বা অন্য দেশে। নেভির একটা ফ্রিগেটএর দামই আমার ধারনা কয়েকশ কোটি টাকা। আমাদের বা অন্যান্য দেশের মিলিটারি যদি ঢাল তলোয়ার ব্যবহার করে তাহলেই এই বাজেট পাচভাগ বা দশভাগের একভাগে নেমে যাবে, এবং অপচয় থেকে আমরা বেচে যাব।

অস্ত্র অবশ্যই দামি জিনিস। তবে যে কোনো অস্ত্র কেনার পেছনে অবশ্যই তার প্রয়োগ সম্পর্কে যৌক্তিক ধারণা থাকতে হবে। বাংলাদেশ যখন মিগ-২৯ এর মতো খরুচে খাতে টাকা ঢালে, তখন সেটার যৌক্তিকতা কোথায়?

এত কিছু বলার পরেও এখন দেখতে হবে বাংলাদেশের আর্মিরা এই বাজেটের টাকাটা কি ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতি করে খরচ করছে? বাংলাদেশের যে কোনো সেক্টরের চেয়ে তারা সরকারিভাবে বেশি সুবিধা পায় নিসন্দেহে। আমরা কি পারিনা কিছু কাটছাট করে কিছু টাকা বাচাতে যেটা অন্য খাতে যেমন শিক্ষায় দেয়া যায়।

দুর্নীতিতে খরচ করলো কিনা, তার আগে বিবেচ্য এত টাকা প্রতিরক্ষা খাতে খরচের যৌক্তিকতা আছে কিনা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

ফাহিম লিখেছেন:
জাতিসংঘ মিশনে গিয়ে নিজেদের ফোলা পকেট আরেকটু ফোলানো ছাড়া আর কয়েকটা ক্যু ছাড়া তারা আজ পর্যন্ত দেশের জন্য কী করেছে? সোজা কথায়, ভবিষ্যতে তাদের পোষার যৌক্তিকতাটা কী?

ফাহিম ভাই, এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল যখন বলেই দিয়েছেন যে বাংলাদেশে আর্মির প্রয়োজন নেই তখন আমি আশ্চর্য হবো না যদি কেউ তার কথায় অনুপ্রানিত হয়ে প্রতিধ্বনি তোলেন। পারসোনালি নিয়েন না ভাই, আপনি অনুপ্রানিত হয়েছেন এটা বলতে চাচ্ছি না।

তবে আপনার কাছে দু'একটা প্রশ্নঃ

১. ভারতের কিছু সীমান্ত সমস্যা ছাড়া বড় ধরনের কোনও যুদ্ধ-বিগ্রহ নেই। ভারত জাতিসংঘ মিশনে সৈন্য পাঠিয়ে রেমিটেন্স আনে না আর সৈনিকদেরও পকেট ফোলাতে দেয়না। তাহলে ভারত এত বড় আর্মি পোষে কেনো?

২. পাকিস্তানেরও তো ভারতের সাথে সীমান্তে কিছু প্রবলেম ছাড়া আর বিশেষ কোন প্রবলেম নেই। তাহলে ওরা এতবড় আর্মি পোষে কেনো? অবশ্য পাকিস্তান ইউএন মিশনে এখন পর্যন্ত সবথেকে বড় আর্মি সাপ্লাইয়ার।

৩. চিন? ইন্দোনেশিয়া? এইসব বড় দেশ? এদের তো কোনও যুদ্ধ নেই।

৪. নেপালসহ এরকম ছোট দেশগুলো আর্মি পোষে কেনো? ভারত যদি নেপাল আক্রমন করে তবে তো ওরা হেগে দেবে মুহুর্তের মধ্যে।

আসলে মন্তব্য করার আগে একটুখানি ভেবে করলে ভালো হয়। পৃথিবীর সবদেশের পলিসিমেকাররা পাগোল বা ছাগোল না, তাদের বিচক্ষণতা এবং দূরদৃষ্টি আছে। আপনার-আমার মতো মানুষের থেকে তাদের প্রাসংগিক দক্ষতা অনেক বেশি। বলাইদার লেখার থিমটাকে আপনি সম্পূর্ণ অন্যদিকে ডাইভার্ট করার চেষ্টা করলেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যুদ্ধ ছাড়া আর কি কি করে তার কিছু লিষ্ট বলাইদা মূল লেখায় দিয়েছেন। পার্বত্য প্রসঙ্গ আরেক ভাই লিখেছেন। অনেকে যদিও বলেন যে ইনডিয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে আমাদের সাথে খেলা করে। ইনডিয়া চাইলে নাকি শান্তিবাহিনী এক রাতের মধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রামে গ্রাস করতে পারে। ইন্ডিয়া শুধু্ ওদের দিয়ে পুরোটা গ্রাস করাচ্ছেনা খেলা শেষ হয়ে যাবে বলে। ওরা নাকি ক্রাইসিস জিইয়ে রাখতে চায়। এসব বিশ্লেষককে আমি 'পিউবিক হেয়ার' দিয়েও গুনি না।

একটু খেয়াল করেন, আর্মি যখন মাঝে মাঝে একটু হুম-হাম দেয়, তখন কিন্তু আমরা, সাধারন পাবলিক দুএকটা দিন একটু শান্তিতে থাকি। যদিও হুম-হাম করা আর্মির কাজ হওয়া উচিত না।

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের কাছে সবার উর্ধে। যেই আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে কোনও শক্তি হাত দেবে, আমরা চুপ করে মুতে দিতে পারবো না। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে তাকে প্রতিহত করবো। এজন্যেই আমাদের আধুনিক সামরিক বাহিনী প্রয়োজন। আমরা ৩০ লাখ প্রান দিয়ে দেওয়া জাতি, মুতে দেওয়া জাতি না।

রাতঃস্মরণীয়

ফাহিম এর ছবি

শোনেন ভাই, আমি বলি নাই যে একটা দেশের আর্মির দরকার নাই। আর্মির দরকার আছে। আমার প্রশ্ন হলো আমাদের আর্মি নিয়ে। তাদের অতীত থেকে আমরা কী শিক্ষা নিতে পারি?

বলাইদার লেখার থিমটাকে আপনি সম্পূর্ণ অন্যদিকে ডাইভার্ট করার চেষ্টা করলেন।

উদ্দেশ্য সেইটা ছিলো না। দুঃখিত।

ভারত, পাকিস্থান, চিন - প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক রাজনীতির বড় মাপের খেলোয়াড়। এদের মধ্যে একজন সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্য ও আরেকজন সিকিউরিটি কাউন্সিলে ঢোকার জন্য ব্যাপক লবিং করে যাচ্ছে গত দশ বছর যাবৎ। এদের সাথে আপনি বাংলাদেশের তুলনা করলেন? যৌক্তিক হলো কী?

উপরে কে যেন শ্রীলংকার আর্মির কথা বললেন। আরে ভাই, শ্রীলংকা গত তিন দশক ধরে রীতিমত যুদ্ধ করেছে তামিল টাইগারদের সাথে, তাদের আর্মি বড় হবে না? কী অদ্ভূত কথা! বাংলাদেশের পরিস্থিতি কি সেই রকম নাকি?

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের কাছে সবার উর্ধে। যেই আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে কোনও শক্তি হাত দেবে, আমরা চুপ করে মুতে দিতে পারবো না। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে তাকে প্রতিহত করবো। এজন্যেই আমাদের আধুনিক সামরিক বাহিনী প্রয়োজন। আমরা ৩০ লাখ প্রান দিয়ে দেওয়া জাতি, মুতে দেওয়া জাতি না।

এইগুলা খুবই আবেগী কথা ভাই। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের সবার কাছেই উর্ধ্বে। আপনি গলার রগ ফুলিয়ে বললেই তাতে জোর বাড়ে না।

ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে হাত দেবার মত কে আছে? একটু চিন্তা করুন, কোন দুঃখে ভারত বা মায়ানমার আমাদের দখল করতে আসবে? কোন কারনই নাই। আন্তর্জাতিক রাজনীতি অনেক অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বের কোন দেশই এখন অন্ততঃ সার্বভৌমত্ব নিয়ে চিন্তিত নয়। শোষনের অনেক নতুন হাতিয়ার আছে। ভারত বা মায়ানমার বাংলাদেশ খেতে চাইলে অন্য অনেক সিস্টেম আছে। ভারত ইতোমধ্যে খেয়ে যাচ্ছেও। আমরা সেই দিকে নজর না দিয়ে, সেইটা নিয়ে কিছু না করে, বড় গলা করে স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব নিয়ে চেঁচালে কিছুই হবে না। সামনে দিয়ে মাছি চলে গেলে আমরা দৌড়ে ধরতে যাই, পেছন দিয়ে হাতি চলে গেলেও টের পাইনা, আমাদের হয়েছে এই অবস্থা।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

১. ভারতের কিছু সীমান্ত সমস্যা ছাড়া বড় ধরনের কোনও যুদ্ধ-বিগ্রহ নেই। ভারত জাতিসংঘ মিশনে সৈন্য পাঠিয়ে রেমিটেন্স আনে না আর সৈনিকদেরও পকেট ফোলাতে দেয়না। তাহলে ভারত এত বড় আর্মি পোষে কেনো?

২. পাকিস্তানেরও তো ভারতের সাথে সীমান্তে কিছু প্রবলেম ছাড়া আর বিশেষ কোন প্রবলেম নেই। তাহলে ওরা এতবড় আর্মি পোষে কেনো? অবশ্য পাকিস্তান ইউএন মিশনে এখন পর্যন্ত সবথেকে বড় আর্মি সাপ্লাইয়ার।

৩. চিন? ইন্দোনেশিয়া? এইসব বড় দেশ? এদের তো কোনও যুদ্ধ নেই।

৪. নেপালসহ এরকম ছোট দেশগুলো আর্মি পোষে কেনো? ভারত যদি নেপাল আক্রমন করে তবে তো ওরা হেগে দেবে মুহুর্তের মধ্যে।


ভারত-পাকিস্তানের আর্মির সাইজ বড়ো হওয়ার পেছনে তাদের পারস্পরিক সম্পর্কই যথেষ্ট। ভারত পৃথিবীর সুপার পাওয়ার হওয়ার দৌঁড়ে লিপ্ত একটা দেশ আর পাকিস্তান তাদের সাথে সমানে পাল্লা দিতে চাওয়া দেশ। চীন অলরেডি সুপার পাওয়ার দেশ। তাইওয়ান-তিব্বত-ভারত নিয়ে তাদের মাথাব্যথা আছে। জাপানের সাথে সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবেই টানটান। ইন্দোনেশিয়া, নেপালের ইতিহাস-বর্তমান সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। তবে রেজোয়ান ভাইয়ের লেখা অনুসারে ইন্দোনেশিয়া একটা করাপ্টেড দেশ, তাদেরকে আদর্শ মনে করার কিছু নেই। বাংলাদেশের জন্য আমাদের কি পরিমাণ ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন মূল বিবেচ্য এটাই হওয়া উচিত। কোনো সভ্য দেশই অকারণে সেনাবাহিনীর মতো অনুৎপাদনশীল খাতে টাকা ঢালে না।

একটু খেয়াল করেন, আর্মি যখন মাঝে মাঝে একটু হুম-হাম দেয়, তখন কিন্তু আমরা, সাধারন পাবলিক দুএকটা দিন একটু শান্তিতে থাকি। যদিও হুম-হাম করা আর্মির কাজ হওয়া উচিত না।

১৯৭৫ থেকে এ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আর্মিই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে বাংলাদেশকে শাসন করেছে। এটা অবশ্যই আর্মির কাজ না, জনগণের ওপর হুমহাম করার জন্য কেউ আর্মি পোষে না। এই অধিকারবহির্ভূত কাজের ফলাফল কি হয়, তা মনে হয় নোতুন করে বলার কিছু নেই। শান্ত মানেই শান্তি নয়, আর্মির বিরুদ্ধে কথাও বলা যায় না, তাদের দুর্নীতি পত্রিকায় আসে না, তাদের হাতে নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা মিডিয়া কাভার করতে সাহস পায় না। শুধু পলিটিশিয়ানরাই ভিলেন হয়, যদিও তারা ভিলেনই; কিন্তু আর্মির আকাম সামনে আসে না। সামরিক শাসক জিয়া এরশাদের সময়ে যে পরিমাণ অফিসারকে আর্মি নিজেই হত্যা করেছে, তার সঠিক হিসাব কি কেউ জানে?

মোটকথা, যার যেখানে কাজ, তার সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। অন্যক্ষেত্রে অধিকারের বাইরে গিয়ে মাস্তানি করাটা কখনোই সভ্যতার উদাহরণ না।

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের কাছে সবার উর্ধে। যেই আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে কোনও শক্তি হাত দেবে, আমরা চুপ করে মুতে দিতে পারবো না। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে তাকে প্রতিহত করবো। এজন্যেই আমাদের আধুনিক সামরিক বাহিনী প্রয়োজন। আমরা ৩০ লাখ প্রান দিয়ে দেওয়া জাতি, মুতে দেওয়া জাতি না।

যুদ্ধটা সবসময়ই অর্থনৈতিক!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হাসিব এর ছবি

পোস্ট আবারো পড়লাম। অব: সেনাপতিরা তাদের হাটুস্থিত বুদ্ধি দিয়ে বিটিয়ার্ছি ইত্যাদির মাথায় বসে দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করে যে অবদান রাখছেন সেই বিষয়টা বাদ পড়ে গেছে মনে হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মন্তব্য দেখে আর মন্তব্য করার সাহস পেলাম না। চুপ যাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

নজরুল ভাইয়ের মত আমারো কিছু বলার নাই। তবে পোস্ট আর মন্তব্য পড়তে মজা লাগতেছে।

পাগল মন

তারাপ কোয়াস [অতিথি] এর ছবি

বলাইদা লেখাটা দারুণ হইছে।
সামরিক বাহিনীর কথা যখন উঠছেই চামে মামুন ভাইয়ের (আব্দুল্লাহ আল মামুন
) সমরে আমরা, শান্তিতে আমরা, সর্বত্র আমরা দেশের তরে থেইকা কিছু কথা কোট করার লোভ সামলাইতে পারলাম না!

"সমরে আমরা, শান্তিতে আমরা, সর্বত্র আমরা দেশের তরে” স্লোগান তোলা আর্মি সাব রা দেশের কোন কাজে লাগে এইটা আর্মি আর রাজনীতিবিদরা ছারা আর কেও বুঝে বইলা মনে হয় না। খালেদা জিয়া বুঝে কারন জিয়া ছিল আর্মি, তিনি থাকেন কেনটলমেন্টএ, আর্মি না থাকলে তিনি কই থাকবেন। হাসিনা বুঝে আর্মি কি করতে পারে, তাইতো সব হারানর পরও তার মত মুখরা মহিলা ও আর্মির নামে গুনগান গাইতে থাকে। মিগ ফিগ কিনার জন্য অবস্য আর্মি দরকার, এই কারনে কিনা কে জানে।

আমি আর্মি দের সমরে দেখি নাই, সমর যদি হয় কোনদিন বেশীক্ষন দেখার কথাও না। সমর আমরা করবই বা কার সাথে। শান্তি তে আর্মি, শান্তি তে আর্মি কি করব, কোন কাজে লাগব বুঝলামনা। সারা জীবন দেখলাম অশান্তিতে আর্মি। আজকে দেশের এই অবস্থার জন্ন্য সবাই রাজনীতিবিদদের দোষ দেয়, অথচ আর্মি দেশ শাসন করল ১৫ বছর, রাজনীতিক দল গুলা তে ও অনেক এক্স আর্মি অফিসার আছে। এরা সবাই ধোয়া তুলসী পাতা, শান্তির আর্মি। জনগন এর রক্ত চুইসা খাইয়া, জনগন এর টাকা দিয়া বন্দুক কিনা সেই বন্দুক জনগন এর দিকে তাক কইরা কয় ব্লাডি সিভিলিয়ান। এরা নাকি শান্তির আর্মি।

“সর্বত্র আমরা দেশের তরে” কিনা জানি না, তবে যতটুকু দেখলাম, হুমায়ুন আজাদ এর কাথা মত বলতে হয়, “সর্বত্র আর্মি বালের তরে”। দেশের মানুষের চুল এর পেছনে লাইগা থাকা আর গালিগালাজ, মারধর করা ছারা সর্বত্র আর্মি কি করে বুঝলাম না।

অনেকে আছেন যারা আমার সাথে একমত হবেন না, বলবেন আর্মির ভিতরে ও ভালমানুষ আছে, দেশপ্রেমিক আছে। ভাই আমারে বলেন তো- যেই দেশে আর্মি থাকা না থাকা সমান, যেই দেশে আর্মি কোনদিন শান্তি/ উন্নয়ন/গঠনমুলক কোন কাজে আসে নাই, যেই দেশের ৫০% মানুষ দরিদ্র, সেই দেশের মানুষকে পাহারা দেওয়ার নাম কইরা, দেশপ্রেম এর ধুয়া তুইলা, বন্দুক কান্ধে নিয়া দাড়াইয়া থাকার বিনিময়ে বছরের পর বছর বেতন নেয়া, রেশন নেয়া, এই গুলা কি দেশপ্রেম এর নমুনা। নীতি বইলা একটা পদার্থ ছিল না? কই থাকে আপনার ভাল মানুষ? আমি ত দেখি না।


জোহা [অতিথি] এর ছবি

উদ্ধৃতিঃ অতিথি লেখক
......................................................
বলাই দা, মনোযোগ সহকারে পড়লাম এবং ভালো লাগলো। বাংলাদেশে যে আর্মির দরকার নেই তা এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল টেলিভিশনের টক শোতে অলরেডি বলে দিয়েছেন। তার যুক্তি যে বাংলাদেশ যদি প্রতিবেশি দেশ দ্বারা আক্রান্ত হয় তবে বাংলাদেশের ক্ষমতা নেই সে আক্রমন প্রতিহত করার। সুতরাং নো আর্মি এ্যাট অল। আর যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসছেন তারা বলছেন আর্মিকে আরো শক্তিশালী আর আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন এবং কাজ চলছে। আমি কোনও মন্তব্য করবো না কারন বেয়াদবি হয়ে যাবে উনাদের সাথে।
.......................................................
ডঃ সুলতানা কামাল একজন স্বনামধন্য আইন বিশেষজ্ঞ বলেই জানি-কবি সুফিয়া কামাল তনয়াকে সবাই তার বিভিন্ন সামাজিক অবদানের জন্য, মানবাধিকার বিষয়ক আন্দোলনের জন্য শ্রদ্ধা করি।বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট এমন একটি মন্তব্যের পেছনে নিশ্চিত তার কোন মোক্ষম যুক্তি থেকে থাকবে। অতিথি লেখক সুলতানা কামালের মুখ নিঃসৃ্ত মন্তব্যের রেফেরন্স দিয়ে যে যুক্তির অবতারণা করেছেন তা অত্যন্ত হাস্যকর।সুলতানা আপা যদি বলতেন, এই, তোমাদের দুলাভাই প্রতিবেশী দেশের, কাজেই প্রতিবেশী দেশের দ্বারা আমাদের আক্রান্ত হওয়ার কোন আশংকা নেই, কাজেই বাংলাদেশের সেনাবিহিনীর কোন প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে,তা অনেকটা যুক্তিযুক্ত শোনাত।চাই কি, দুলাভাইয়ের সাথে বসে ভারতীয় রাম অথবা হুইস্কীতে গলা ভিজিয়ে বাংলাদেশের আর কি কি জিনিস না থাকলে চলবে তা নিয়ে দাদার মতামত শোনা যেত।বিশদ আলোচনা করা যেত।

শুধু ডঃ সুলতানা কামাল নন, বাংলাদেশের আরও কয়েকজন সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এই একই বক্তব্যের অবতারণা করেছেন।কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, বাংলাদেশের মত গরীব দেশে এই হাতি পোষার বাজেটের যৌক্তিকতা নিয়ে।সেনাবাহিনীর বাজেট হাতি পোষার বাজেট।সত্য কথা।এটি বাংলাদেশের জন্য যেমন সত্য, তেমনি আমেরিকার জন্যও সত্য।ধনী গরীব সব দেশের জন্য এটি প্রযোজ্য।

কথা হচ্ছে, দেশের মালিক হছে জনগণ।জনগণ দেশের রাজা।রাজাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তার হাতি শালে হাতি থাকবে কিনা।যদি রাজা হাতি রাখতে চান, তবে হাতিকে হাতির মতই পুষতে হবে।হাতিকে ঘাস খাইয়ে পোষা যাবেনা।দ্বিতীয়ত রাজাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজার হাতির কাজ কি হবে। হাতিটি কি শুধুমাত্র রাজার শানশওকতের পরিচায়ক হবে নাকি শত্রু দেশের আক্রমণ রুখে দেয়ার কাজে যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে।ব্যাপারটি রাজা আর তার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অমাত্যের হাতেই ছেড়ে দিলাম।

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রতিবেশীর আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতা রখেনা, এই উদ্ভট হীন্মন্যতার কোন যৌক্তিক কারণ নেই।এর সাথে জড়িয়ে আছে অনেক বাস্তবতা।যে বাস্তবতা বলে, ভারতের বাংলাদেশকে আক্রমণ করার সামর্থ্য নেই।এটি শুধু এই দেশের সেনাবাহিনীর ভয়ে নয়, এই দেশের মানুষ মাটি কাদা আর ঋতুর অনন্য বৈশিষ্ট্য এটিকে ‘Defender’s Paradise’ আখ্যা দিয়েছে।পাশাপাশি এদেশের জনগনের কোন ভংচং মাতব্বরী না মানার আর রুখে দাড়ানোর মনোবল অমোচনীয় কালিতে বুকের গহীনে আঁকা।যে কোন বহিঃশ্ত্রু’র আক্রমণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে প্লাটফরমটি গড়ে দিতে পারবে, তাতে ভারত কেন অন্য যে কোন শক্তি’র পক্ষেই এদেশে বনভোজনের খায়েশ হওয়ার কথা নয়।

তবে একটি নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে, এ দেশের অত্যুৎসাহী কিছু ভারত মদিরায় নিমগ্ন মানুষের অর্বাচীন বাচালতা শত্রুকে যুদ্ধ জয়ের পূর্বেই মনস্তাত্তিক এবং কূটনৈতিক বিজয়ের মালা পরিয়ে দিচ্ছে।এরা নিজ দেশের সেনাবাহিনীকে খোঁজা বানিয়ে আলোচনা সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত করছে।কিন্তু সেই আলোচনায় কখনো উঠে আসছেনা যে, মাথা ঠিক তো সব ঠিক। আর মাথায় মাল উঠলে শরীরের অন্যান্য অংগ প্রত্যংগ গুলিও বেসামাল আচরণ করে থাকে।

যুদ্ধবিগ্রহ যে কোন জাতির জন্যই একটি বিপর্যয়।না বলে আসা সুনামির চাইতে এর ক্ষতি সাধনের ক্ষমতা বহুমাত্রিক।কারগিলে পাকিস্তান যুদ্ধ ঘোষণা ছাড়াই সেনাবাহিনী পাঠিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় বসে কাতারে কাতারে ভারতীয় সেনাদের মারলেও,বাজপেয়ী সমগ্র ভারতীয় জনগণের আর ফুঁসতে থাকা সেনাবাহিনীর মতামতকে অগ্রাহ্য করে বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় শান্তি প্রস্তাব মেনে নিয়েছে আর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে দেশে ফিরে যাওয়ার সেফ প্যাসেজ দিয়েছে।মাথা গরম পাকিস্তানীদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে ভারতের উন্নয়নের গতিকে স্তব্ধ করার ঝুঁকি বাজপেয়ী নিতে পারেননি।পাকিস্তান আর গণচীনের সাথে সীমানার সুরক্ষা নিশ্চিত করে বাংলাদেশের সীমান্তে ভারত কতখানি সৈন্য সমাবেশ করতে পারবে, তা নিয়ে বিতর্ক আছে।ভারতীয় তরবারির ক্ষুরধার নয়, নিজ সামর্থ্য নিয়ে হিন্মন্যতা আর ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থের ঋনাত্মক মানসিকতার ভারে আমরা ন্যুব্জ হয়ে পড়ছি।এ থেকে আশু উত্তরণ প্রয়োজন। আর ভারতই আমাদের একমাত্র প্রতিবেশী নয়।নিজ স্বার্থে বিন্দুমাত্র ছাড় না দেয়ার মনোবল সমৃদ্ধ আরেকটি জাতি আমাদের প্রতিবেশী।এরা এখনো আমাদের বন্ধুতায় বাঁধা থাকলেও, তার যুদ্ধ প্রস্তুতি থেমে নেই।সুধীজনেরা নেশা ঢুলু ঢুলু আঁখি মেলে তাকিয়ে দেখবেন আর তারপর সেনাবাহিনীর অপ্রয়োজনীয়তার লিফলেট বিতরণ করবেন, এটুকু আশা হৃদয়ে পুষে রাখলাম।

গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সেনা হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।সেনা শাসনে কোন দেশের উন্নতির মোক্ষ লাভ হয়েছে, উদাহরণ নেই। ঠিক তেমনি, ভারসাম্যপূর্ণ সুষম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া কোন দেশ তার উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে শীর্ষে উত্ত্ররণ করেছে তারও কোন উদাহরণ খুঁজ়ে পেলামনা।

যুদ্ধবাজ চেঙ্গিজ খানের যুদ্ধের দামামা নয়, শান্তির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতায় পুষ্ট হয়ে, ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’র নেশায় মাদকাসক্ত হয়ে আর ‘লাস্ট ম্যান লাস্ট বুলেট’এর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই আমরা দেশবাসীর পাশে আছি।

তদুপরি, এই হাতিটাকে আমরা পুষবো কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেবার ভার আমাদের রাজার হস্তে ন্যস্ত থাকলো।

বলাইদাকে সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কথা হচ্ছে, দেশের মালিক হছে জনগণ।জনগণ দেশের রাজা।রাজাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তার হাতি শালে হাতি থাকবে কিনা।যদি রাজা হাতি রাখতে চান, তবে হাতিকে হাতির মতই পুষতে হবে।হাতিকে ঘাস খাইয়ে পোষা যাবেনা।দ্বিতীয়ত রাজাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজার হাতির কাজ কি হবে। হাতিটি কি শুধুমাত্র রাজার শানশওকতের পরিচায়ক হবে নাকি শত্রু দেশের আক্রমণ রুখে দেয়ার কাজে যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে।

এটা একেবারে টু দ্য পয়েন্ট কথা। সেনারা অবশ্যই সেনাদের প্রাপ্য সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তাদের রেশন কাট বা বেতন ভাতা কমানো কোনো কাজের কথা না। এজন্যই সেনাবাহিনীর সাইজ নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি। কারণ, আমার যদি ১টা হাতি পোষার মুরোদ থাকে, তাহলে ১টা হাতিই পোষা উচিত, সেখানে ১০টা হাতি পুষে সর্বশান্ত লাভ নেই।

যুদ্ধের ব্যাপারে আপনার বিশ্লেষণও প্রশংসার্হ। ভারতের জন্য বাংলাদেশ তেমন কোনো মাথাব্যথার বিষয় না, বাংলাদেশকে নিজেদের পণ্যের বাজার তৈরিতেই তাদের লাভ। সেটা তারা খুব ভালোভাবেই করছে। আর যুদ্ধে জয়-পরাজয়ের ব্যাপারটা সবসময় ট্যাঙ্কের সংখ্যা দিয়ে নির্ধারিত হয় না। ভারত কোন দুঃখে বাংলাদেশকে দখল করে তাদের অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও পাকিস্তানকে সুবিধাজনক স্থানে যেতে সাহায্য করবে? ৭১ এ মাথামোটা পাকিরা যে সুযোগ ভারতকে দিয়েছে, ভারত সে ধরনের কোনো সুযোগই অন্যকে দিবে না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

জোহা [অতিথি] এর ছবি

আরে বলাই দা
আপনি আমার উদ্ধৃতি নিয়ে মন্তব্য করার সময় পাইলেন।পুলিশকে নিয়েও কিছু আলোচনা হওয়া উচিত ছিল।সবাই কেবল একটা ভেড়ার লোম দিয়ে কম্বল বানানোর চেষ্টা করছে,পক্ষবিপক্ষদুইপক্ষের কথাই বলছি।
ধন্যবাদ।

ফ্রুলিক্স [অতিথি] এর ছবি

আকাশ-বাতাস, জল-স্হল সবই দুষিত। কেউ না কেউ তো মু্ক্ত করতেই হবে হাসি

এখানে আর্মির বাজেট কেটে বিলিয়ন ইউরো সেইভ করতেছে। আমরা বাড়াইতেছে। ওদের ব্যবসার সুযোগ দিচ্ছি, রেশন দিচ্ছি। আর শালার ম্যাঙ্গো পাবলিক অভুক্ত থাকে।

হার্টস ফিয়া (বেকার ভাতা) প্রায় সেলারির সমান হয়ে যাচ্ছে। ভাবছি চাকরী ছেড়ে বেকারত্ত বরন করবো। আপনিও আইসা পড়েন।

ফাহিম এর ছবি

জার্মানীর ৯টা দেশের সাথে বর্ডার। ওরা যদি আমাদের মত মাথামোটা হইতো, তাইলে খালি বর্ডার পাহারা দিতে আর "স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব" রক্ষা করতেই ওগোর ট্রিলিয়ন ইউরো খরচ করা লাগতো। কিন্তু ওরা সেইটা না কইরা, ইউনিভার্সিটিগুলার পিছনে ট্রিলিয়ন ইউরো খরচ করে।

ওরা মনে হয় আমাগোর মত এত দেশপ্রেমিক না!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

জোহা [অতিথি] এর ছবি

জার্মানী।ইউরোপ।ইউরোপ শতবর্ষ ধরে নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করেছে।প্রথম বিশ্বযুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইউরোপীয় স্বার্থের দ্বন্দ্বের অগ্নিস্ফুলিংগ যা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়েছে। যুদ্ধে যুদ্ধে ক্লান্ত ইউরোপ ।পুড়ে পুড়ে খাঁটি সোনা ইউরোপ।ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী পৃথিবীর টিকে থাকার এক মৌচাক, যেখানে যোগ দেয়ার জন্য তুরস্ক আগুনে আত্মাহুতি দিতে প্রস্তুত।তেমন প্রস্তুত অন্য অনেক পূর্ব ইউরোপীয় দেশ। অভিন্ন মুদ্রা, ইউরোপিয় নাগরিকদের ইউরোপের ভেতরে অবাধ যাতায়াতের জ়ন্য ভিসা ব্যবস্থার সরলীকরণের পাশাপাশি ইউরোপিয় ইউনিয়নের সবচাইতে বড় সাফল্য হল, এই সংস্থাটি যুদ্ধটাকে ইউরোপের বাইরে নিয়ে গেছে।ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশ সমূহের মধ্যে সীমানা নিয়ে বিরোধের গল্প শুনতে পাইনা।যার যার সীমানায় যার যার মত করে খাচ্ছে, আবার একই সাথে সারা পৃথিবীতে একটা কমন প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে আমেরিকার সাথে কমন স্বার্থের জন্য দেনদরবারযুদ্ধ করে যাচ্ছে।

ইউরোপিয় ইউনিয়ন যদি হয় মুদ্রার এপিঠ, সার্ক হলো মুদ্রার অপর পিঠ।সীমানা থেকে শুরু করে এহেন কোন বিষয় নেই যা নিয়ে আমাদের বিরোধ নেই।পারস্পরিক অবিশ্বাসের মাত্রাটা এত বেশী যে তাতে আগুন না থাকলেও তার ‘তাতে’ ই আমাদের চামড়া পুড়ে যায়।

গরীব এশিয়ার অনগ্রসর দরিদ্রতম দক্ষিন অঞ্চলে থাকি।ইউরোপিয়ানদের মত থাকার স্বপ্ন দেখা অন্যায় নয় নিশ্চিত, তবে আরও বহুপথ পাড়ি দিতে হবে, অনেক পরীক্ষা এখনো বাকি।
আমাদের সবচাইতে বিশ্বস্ত পরীক্ষিত বন্ধু দেশটির সাথে আমাদের এখনো সীমানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।প্রতিদিনই এক বিঘা দুই বিঘা জমি দখল করে চাষাবাদ করে যাচ্ছে ওপারের কৃ্ষক।পাখির মত গুলি করে মারছে এদেশের মানুষকে।বেরুবাড়ি দিয়েছি সেই বাহাত্তরে, দহগ্রাম আংগরপোতায় এখনো ভারতীয় পতাকা ওড়ে।আপাত শান্ত পাহাড়ি জনপদের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনকারী পাহাড়ী নেতারা মাঝেমাঝেই হতাশার প্রকাশ ঘটান আবার অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে।মায়ানমার গত ২০০৮ এর নভেম্বরে বাংলাদেশের জল সীমানায় দক্ষিণ কোরিয়ান রিগ পাঠিয়েছিল।দুই দেশে্র নৌবাহিনী মুখোমুখি মহড়া দিয়েছে।মায়ানমার তার রিগ আর নৌবাহিনী সরিয়ে নিলেও, আজ প্রায় দেড় বছর যাবত দুই দেশের সেনাবাহিনী সীমান্তে মুখোমুখি বসে আছে, বাংকারে বাংকারে কাটছে সেনাদের জীবন।এর কোনটাই রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য নয়, সেই সময়ের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক খবর ছিল এটি।তারপরও যদি বলেন,

ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে হাত দেবার মত কে আছে? একটু চিন্তা করুন, কোন দুঃখে ভারত বা মায়ানমার আমাদের দখল করতে আসবে? কোন কারনই নাই। আন্তর্জাতিক রাজনীতি অনেক অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বের কোন দেশই এখন অন্ততঃ সার্বভৌমত্ব নিয়ে চিন্তিত নয়।…।

তাহলে ভেবে নিচ্ছি সার্ক রাষ্ট্রসমূহের নেতৃত্বের বৈপ্লবিক কোন পরিবর্তনের কোন দৈব পূর্বাভাস আপনার জানা আছে, যেটি আমদের আপনি এখনো জানাননি।

জার্মানীর কথায় যদি আবার আসি, দেশটির দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত এখনো শুকোয়নি।জানেন কিনা জানিনা, জার্মানীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আজ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ষাট বৎসর পরেও আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে, হিটলারের হিটলারী’র আমলনামা বয়ে বেড়াচ্ছে নীল রক্তের দাবিদার জর্মনরা আজও।জার্মানীর বুকে আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি, কোন পারস্পরিক সহযোগিতার নিদর্শন নয়, পরাজিতের মেনে নেয়া শর্তের বরাতেই।এমনিতেই সীমানা নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে কোন বিরোধ নেই, তারপর যার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বর্তমান দুনিয়ার দাদার হাতে, তার আর সীমানা পাহারা দেয়ার দরকার কি।

আবোলতাবোল উদাহরণ খোঁজার দরকার নেই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনি কোন একটা অজানা ক্ষোভে ক্ষতবিক্ষত।সর্দি লেগে থাকলে, এলাট্রল খেয়ে নিতে পারেন, নাক ঝাড়া বন্ধের পাশাপাশি এটি ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

ফাহিম এর ছবি

আমাদের সবচাইতে বিশ্বস্ত পরীক্ষিত বন্ধু দেশটির সাথে আমাদের এখনো সীমানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।প্রতিদিনই এক বিঘা দুই বিঘা জমি দখল করে চাষাবাদ করে যাচ্ছে ওপারের কৃ্ষক।

তার মানে দাঁড়ালো আগামী বছর দশেকের মধ্যে ভারত মোটামুটি অর্ধেক বাংলাদেশ দখল করে ফেলছে। তাই তো? ধরেন উত্তরবংগ, সিলেট আর খুলনা, যশোর দিয়ে ভারত আর চট্টগ্রাম দিয়ে মায়ানমার বাংলাদেশের দখল নেবে। বাংলাদেশ সংকুচিত হতে হতে ঢাকায় এসে ঠেকবে, তাই তো?

আমি অত্যন্ত দুঃখিত, আপনার এই দুঃস্বপ্নের সাথে তাল মেলাতে পারছি না। আমার কাছে আপনার এই জুজুবুড়ির ভয় গ্রহনযোগ্য নয়।

আবোলতাবোল উদাহরণ খোঁজার দরকার নেই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনি কোন একটা অজানা ক্ষোভে ক্ষতবিক্ষত।সর্দি লেগে থাকলে, এলাট্রল খেয়ে নিতে পারেন, নাক ঝাড়া বন্ধের পাশাপাশি এটি ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করবে।

ভদ্রতার সীমা অতিক্রম করাটা ভালো কথা নয়। দয়া করে মনে রাখবেন।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ফ্রিলিংক, এই দেশে ভিসা ঠিক থাকলে বেকারত্ব একটা ভালো ব্যবসায়। চোখ টিপি
এই জানুআরিতেই এসে যেতে পারি।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফ্রুলিক্স [অতিথি] এর ছবি

সামান্য রেমিটেন্সের জন্য মিলিয়ন ডলার খরচ করে আর্মি পালতে হবে??

যেসব মানুষ মরুভুমিতে কামলা খেটে বিলিয়ন ডলার পাঠায় ওদের কোন চুদিরভাই সরকার এসে সামান্যতম সুবিধাটুকু দিয়েছে?? বিমানবন্দর থেকে ওদের বঞ্চনা শুরু হয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত অমানসিক অত্যাচার।

ফাহিম এর ছবি

দেয়া হতো, যদি ওদের হাতে বন্দুক থাকত আর মাসকাবারী এসে ব্লাডি সিভিলিয়ানদের পশ্চাদ্দেশে লাথি দিয়ে যেত। আফসোস তারা সেইটা করে না। এজন্যই তাদের জন্য বরাদ্দ প্রবাসে হারামজাদা আরবগুলার লাঠির বাড়ি আর দেশে ফিরলে ইমিগ্রেশনের দৌড়ানী।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

বাউলিয়ানা এর ছবি

উরিবাপ্‌স! কী একটা বিষয় সামনে নিয়ে এসেছেন বলাইদা।

দারুন এ্যানালাইসিস!

চলুক

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

রাসেল ভাইয়ের মন্তব্য (২১) এ অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টা আসায় পুলিশের ক্ষেত্রে বিষয়টা কেমন তা ভাবার সুযোগ হলো। বাংলাদেশে আধুনিক অস্ত্র কারো দরকার হলে সে তালিকায় প্রথমেই পুলিশ আসবে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের দমন বিষয়টা আমাদের প্রতিটা দিনই প্রয়োজন এবং যুগোপযোগী অস্ত্র পুলিশের জন্য কাজটা সহজ করে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রণদীপম বসু এর ছবি

খাইছে রে ! এইটা তো দেখি ককটেল-মার্কা পোস্ট ! আমি ডরাইছি গো দাদা, মন্তব্য করুম না !

অফটকঃ আমার ল্যাপির সমস্যা কিনা কে জানে, ডান দিকে যে বলাইদার ইতিহাস ফকফকা সাদা ! এইটার কারণ কী ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ভুই পাইসি।
অফটপিকে একটা আইডিয়া দেই ।

বেসরকারী খাতে প্যারামিলিটারি ফোর্স বানাইলে কেমন হয় ? এরা শান্তি মিশনে গিয়া বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করব। হাসি
বিদেশী বিনিয়োগ, দেশী বিনিয়োগ অনেক হওয়ার কথা। হাসি

জোহা [অতিথি] এর ছবি

সত্যি সত্যি বাংলাদেশ সরকার এটা নিয়ে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করতে পারে।ইউএন এ সামরিক বাহিনী(সেনা/নৌ/বিমান)র পাশাপাশি বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচুর দরকার পড়ে।তবে সেটি ইউএন কোন দেশকে দেয়না, বেসরকারী সিকিউরিটি কোম্পানীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়।বাংলাদেশে এখন অনেক সিকিউরিটি কোম্পানী গড়ে উঠছে।সীমিত হলেও সুযোগটা আমরা নিতে পারি।

সালেহীন [অতিথি] এর ছবি

উদ্ধৃতি
"সমস্যা হলো পুলিশ শুধু করে-ধরেই খায় না; বরং মেরে-ধরে খায় এবং এজন্যই পাবলিক তাকে 'ঠোলা' বলে গালি দেয়। ঠোলারা খুব খারাপ, রিক্সাওয়ালার কাছ থেকে দুই টাকা ঘুষ খায়, ইজারাদের কাছ থেকে বখরা নেয়, ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রী পিটায়, এমনকি যায়যায়দিনের ভালোবাসা সংখ্যায় পুলিশ হেফাজতে ধর্ষণকাহিনীও ছাপা হয়। পাবলিক পুলিশকে ঘৃণা করে, পাবলিক পুলিশকে চায় না।"

বাংলাদেশ পুলিশে চাকুরি না করা কোন বাংলাদেশি বুঝবেনা, পুলিশে চাকুরি করে ক্রাইম না করা কত বড় ক্রাইম।এই সরকারী চাকুরিটির অন্যতম প্রধান শর্তই হচ্ছে আপনাকে ক্রাইম করতে হবে।বিস্তারিত বলব ?

ধন্যবাদ বাজেটটার দিকে নজর দেয়ায়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বিস্তারিত বলেন। পুলিশবাহিনীর ক্রাইম কমানোর জন্য এদেরকে শক্তিশালী করা দরকার। দুর্বল বাহিনী অনেক সময় ইজি অপশন হিসেবে সন্ত্রাসীদের সাথে হাত মিলায়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

করপোরাল শিহাব এর ছবি

আমার সকল ভাই বেরাদর রা,
আমি স্বল্পমেধার মানুষ। কোন কলেজ, ভারসিটি তে ভরতি হইতে পারিনি দেইখা সেনাবাহিনীতে আইসি। যা বেতন পাই তাতে ভাইবোনদের মানুষ করসি, বাবা মার চিকিতসা করসি আর কোনরকমে পরিবার চালাইতিসি।
আপনাগো কথা শুইনা বুড়া বয়সে খুব লজ্জায় আছি। আমি কি এদ্দিন হারাম খাইসি?

আমার একটা চাকরীর ব্যাবস্থা কইরা দেন। বাকী জীবন টা আপনাদের মত মাথা উচু করে বাচতে চাই।

করপোরাল শিহাব

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

শিহাব ভাই, এখানে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো 'বিষোদগার' নাই। হাসি
আপনি কাজ করেছেন, বেতন পেয়েছেন, কেস ডিসমিস। তার বাইরে পরিবার-পরিজনকে যেভাবে সাহায্য করেছেন, তার জন্য শ্রদ্ধা।

কর্মসংস্থান হিসেবে সেনাবাহিনীও একটা খাত; কিন্তু এই খাতে বাংলাদেশের কতোটা বিনিয়োগ করা উচিত, প্রশ্ন সেটাই। আপনাকে একজন ভালো সেনা হিসেবে তৈরি করতে দেশের যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে, তার চেয়ে কম খরচে প্রোডাক্টিভ কোনো খাতের জন্য আপনাকে তৈরি করতে পারতো। দেশকে শত্রুমুক্ত রাখতে যে পরিমাণ সেনা দরকার হয়, কর্মসংস্থানের অজুহাতে তারচেয়ে বেশি সেনা রাখলে সমস্যা। কারণ, এই খাতটা আসলে খরচের খাত, এটা প্রোডাক্টিভ খাত হওয়ার কথা না।

জমি পাহারা দিতে বেড়ার দরকার হয়; কিন্তু বেড়ার সাইজ বেশি হলে জমিকেই গ্রাস করে ফেলে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

ডঃ সুলতানা কামাল একজন স্বনামধন্য আইন বিশেষজ্ঞ বলেই জানি-কবি সুফিয়া কামাল তনয়াকে সবাই তার বিভিন্ন সামাজিক অবদানের জন্য, মানবাধিকার বিষয়ক আন্দোলনের জন্য শ্রদ্ধা করি।বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট এমন একটি মন্তব্যের পেছনে নিশ্চিত তার কোন মোক্ষম যুক্তি থেকে থাকবে। অতিথি লেখক সুলতানা কামালের মুখ নিঃসৃ্ত মন্তব্যের রেফেরন্স দিয়ে যে যুক্তির অবতারণা করেছেন তা অত্যন্ত হাস্যকর।সুলতানা আপা যদি বলতেন, এই, তোমাদের দুলাভাই প্রতিবেশী দেশের, কাজেই প্রতিবেশী দেশের দ্বারা আমাদের আক্রান্ত হওয়ার কোন আশংকা নেই, কাজেই বাংলাদেশের সেনাবিহিনীর কোন প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে,তা অনেকটা যুক্তিযুক্ত শোনাত।চাই কি, দুলাভাইয়ের সাথে বসে ভারতীয় রাম অথবা হুইস্কীতে গলা ভিজিয়ে বাংলাদেশের আর কি কি জিনিস না থাকলে চলবে তা নিয়ে দাদার মতামত শোনা যেত।বিশদ আলোচনা করা যেত।

জোহা ভাই, আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য পড়লাম। আপনি ভালোই বলেছেন। তবে আপনি আমার মন্তব্য কোট করেছেন পুরোটা না পড়েই, ব্যাস্ত ছিলেন মনে হয়। আমার ধারনা পুরো একটা জিনিস পড়ে বোঝার মতো দক্ষতা আপনার অবশ্যই আছে। আমি সুলতানা কামালের মন্তব্য যেমন বলেছি বাংলাদেশে আর্মির প্রয়োজন নেই বলে তেমনই উল্লেখ করেছি "আর যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসছেন তারা বলছেন আর্মিকে আরো শক্তিশালী আর আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন এবং কাজ চলছে।" এবং সবশেষে লিখেছি, "আমি কোনও মন্তব্য করবো না কারন বেয়াদবি হয়ে যাবে উনাদের সাথে।" সুতরাং, আমি এই বিতর্কে নিরব থাকা শ্রেয় মনে করেছি এবং আমার বক্তব্য আমার মতো করে লিখেছি। তাই অনুরোধ করছি আগে কোনওকিছু ভালো করে পড়েন তারপর মন্তব্য করেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকেন।

রাতঃস্মরণীয়

জোহা [অতিথি] এর ছবি

দুঃখিত।
আপনার মন্তব্যের সুরটি ধরতে পারলেও,কেমন করে যেন ভুলটা হয়ে গেছে।আপনি কিংবা সুলতানা আপা নন,'বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই' উক্তির এই অংশ ও নয়,'প্রতিবেশী দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, কাজেই..." যুক্তিটিকে ঘিরেই আমার মন্তব্য লিখতে বসেছিলাম মজা করে।পেশাদার না হওয়ায় ট্রেনটা লাইনচ্যুত হয়ে গেছে। সে যাই হোক, 'যে যুক্তির অবতারণা করেছেন' এই অংশটুকুন সংশোধন করার সুযোগ থাকলে অবশ্যই করতাম।খুব দুঃখিত।

বন্ধুবান্ধবদের আড্ডায় মাঝেমধ্যে 'এই হারাম খাইতেছিস' বলে এক ক্যাডার/পেশার বন্ধু আরেক ক্যাডার/পেশার বন্ধুকে খোঁচা দেয়া দেয়ি হলে,খামচাখামচি হলে,আর টার্ন মোতাবেক আমার পাঞ্জাবীর খুঁটায় টান পড়লে,আপনার তৃ্তীয় প্যারায় দেয়া কথাটাই বলি।আসলে ঘুরেফিরে আমরা সবাই এক গন্তব্যেই পৌছতে চাই।

সত্যি বলছি,সন্ন্যাসি ভাই,আপনার উপর আমার কোন রাগ নাই। আশা রাখি,আমার উপর আপনার রাগটা...ঘ্যাচাং...!!!

ভাল থাকবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

বিস্তারিত বলেন। পুলিশবাহিনীর ক্রাইম কমানোর জন্য এদেরকে শক্তিশালী করা দরকার। দুর্বল বাহিনী অনেক সময় ইজি অপশন হিসেবে সন্ত্রাসীদের সাথে হাত মিলায়।

পুলিশ রিফর্ম প্রোগ্রাম (পিআরপি) নামে একটা প্রোগ্রাম ইউএনডিপি বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করছে বেশ কয় বছর ধরে। এখন সম্ভবতঃ তার ফেজ ৩ চলছে। কি তাদের আউটপুট কেউ কি বলতে পারবেন? আউটপুট তো অবশ্যই আছে তা না হলে একের পর এক ফেজ এ্যাপ্রুভাল পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই আউটপুটসংক্রান্ত তথ্য বা এর সুফল পাবলিকের কাছে কিন্তু অজানা থেকে যাচ্ছে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে বছরখানেক ইউএনডিপির একটা জায়ান্ট প্রজেক্টের ফিল্ড অপারেশন টিম লিডার ছিলাম বাংলাদেশে থাকতে, তখন দেখতাম আইডিবি ভবনে পুলিশের লোকজন আসা যাওয়া করছে ইউএনডিপির আইডিকার্ড ঝুলিয়ে।

আমার মনে হয় পিআরপিকে অধিক শক্তিশালী করতে হলে এর ব্যবস্থাপনায় পুলিশের আধিক্য কমাতে হবে। এটা ঠিক যে পুলিশের ভিতরকার খবর পুলিশই সবথেকে ভালো জানবে, তার পরও তারা এর মিটিগেশনে কতটুকু তৎপর বা সৎ তা প্রশ্নবিদ্ধ। পিআরপির পিডি হন অতিরিক্ত আইজিপি, ঠিক আছে। কিন্তু টেকনিক্যাল পোষ্টগুলোতে অ-পুলিশ বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করা সমিচীন।

রাতঃস্মরণীয়

অতিথি লেখক এর ছবি
৮০ | লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৮/২০১০ - ৫:২৯অপরাহ্ন)

জোহা অতিথি লিখেছেন:
আশা রাখি,আমার উপর আপনার রাগটা...ঘ্যাচাং...!!!

এভাবে বললে দুঃখ পাই। আপনার উপর আমার কোনও রাগ ছিলোনা, এবং এখনও নেই। বরং আপনার আমি ঔদার্যে মুগ্ধ যে আপনি বললেন

জোহা অতিথি লিখেছেন:
এই অংশটুকুন সংশোধন করার সুযোগ থাকলে অবশ্যই করতাম।খুব দুঃখিত।

বেশিরভাগ লোক সংহতির থেকে প্যাঁচাল বেশি পছন্দ করেন। ভাই পার্সোনালি আমি আপনাকে চিনিনা আর আপনিও আমাকে চেনেন না, সচলায়তনে লিখতে এসে দেখা। ঔদার্য মানুষকে বড় করে, আপনি আরও বড় হবেন।

রাতঃস্মরণীয়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।