বিদেশ মানে টাকা আর টাকা

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: সোম, ০৬/০৯/২০১০ - ১০:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

উইকএন্ড হলেও ঠিক আছে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার তাড়া থাকে না, একটু আলসেমি করা যায়, চাই কি দুয়েকটা বুক ডন দিয়ে, হালকার উপ্রে স্ট্রেচিং করে একটু ফিটফাটও হওয়া যায়; কিন্তু উইক ডে তে অফিসের পরে যখন চোখে ঝাপসা দেখতে থাকি, তখন পানির বোতল আর ল্যাপটপের বোঝা কাঁধে ঝুলিয়ে ক্রিকেটের মাঠে যাওয়ার মোটিভেশনে অনেক সময়ই টানাপোড়েন শুরু হয়। তবে আমার মতো ক্রিকেট অ্যাডিক্টের জন্য আল্লার পা আল্লায় কোনোমতে চালালেই আর পিছু ফিরে তাকানো হয় না। কাজ যতোই জমে থাক, কাঁটায় কাঁটায় ছয়টা বাজলেই কম্পুর শাটডাউন বাটন টিপে জিন্স আর জুতা পালটিয়ে ট্রাউজার এবং কেডস পরে হাঁটা ধরি।

সমস্যা হলো এই হাঁটা শুধু ধরলেই হয় না, অধিকাংশ সময় হাঁটায়ই ধরে ফেলে, কখনো হাঁটু, কখনো হাঁটুর নিচের মাংসপেশী, কখনো এমনকি পায়ের পাতাও ধরা খায়। পায়ের সুঁতা ছেঁড়া বলে একটা কথা আছে, যা চটির তলা ক্ষয়ের সাথে একাকার করে বেকারত্বের ভোগান্তি বুঝাতে ব্যবহৃত হয়; সেই সুঁতা ছেঁড়ার অনুভূতিও কখনো কখনো হাঁড়ে মাংসে উপলব্ধি করা যায়। পাহাড়ি পথে হাঁটা মোটেই সুখকর নয়, তা সে উপরে যাওয়া হোক আর নিচে। আমাদের ক্রিকেটের মাঠ অবশ্য এলিট শ্রেণীর জিনিস; মিটার বা ফুটের হিসেব জানি না, তবে ইউনিভার্সিটি থেকে তার উচ্চতা মোটামুটিভাবে আমার ব্রেকডাউন লিমিটের কাছাকাছি।

প্রায় আধা ঘন্টার কসরতে হাঁপাতে হাঁপাতে সেখানে পৌঁছানোর পরে কেবলই মুসা ইব্রাহীমের কথা মনে হয়, মনে হয় সিমু নাসেরদের কথা। আহা! প্রথমালোতে যদি আমারও একটা বন্ধু-বান্ধব থাকতো! তবে প্রথম বাঙালি হিসেবে এভারেস্টে চড়ার গৌরব বঞ্চিত হওয়ার দুঃখ ভুলতে বেশি সময় লাগে না। ক্রিকেট খেলাটার মধ্যে জোশ আছে, গতির মধ্যে স্পিড আছে, আছে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ ধরার সুখ। মুসা ইব্রাহীম হাজারটা ফ্যাশন হাউজের মডেল হয়েও সে সুখ পাবেন না, নিশ্চিত।

এই সুখের মূল্য অবশ্য ফেরার পথে আবার হাঁটুর ওপর দিয়ে যায়। বিশেষ করে রোযার সময়ে, যখন ২০/২১ ঘন্টার সংযম শেষে ইফতারের বাকি আর মাত্র ১৫ মিনিট, তখন খাঁড়া নেমে আসার গতি সামলাতেই হিমশিম খাই। এ হিমশিম থেকে বাঁচার উপায় অবশ্যই আছে। কিন্তু তার জন্য আমাকে বাস ভাড়া গুণতে হবে মোট ৬০ ক্রোনার (৬৫০ টাকার মতো)। দেশে ৬৫০ টাকায় কি পাওয়া যায়, না যায়, সে হিসাব করি না বহু বছর, তবে ৬০ ক্রোনার আমার জন্যই অনেক টাকা।

২.

ইদানিং ব্লগে লেখা হয় না বললেই চলে, টুকটাক মন্তব্য দেই, কখনো তাও দেই না। কখনো একটা লেখা শুরু করি, দুই-তিন প্যারা লেখার পরে আর উৎসাহ থাকে না। সময় বড়োই পিচ্ছিল জিনিস। কখনো তাতে সুপার গ্লু মাখানো থাকে, কখনো বালুচর, কখনো হিসেবের পাল্লায় লুকোচুরি করে আমার ভান্ড ভরপুর দেখানো হয়; কিন্তু দেখানোই সার। কখনো সময় শুধু ঝিমানোর জন্য, কখনো অসহ্য তন্দ্রা, কখনো অফুরন্ত সময়েও কেবলই মন্দার একঘেয়ে সঙ্গীত।

তাই দোষ পুরোটা সময়ের নয়। দোষ কিংবা গুণ যা-ই থাক, তার অনেকটাই অস্তিত্বের প্রশ্নের। সারাটা জীবন ফাঁকিবাজি করা আমাকে কাজের জন্য খুব বেশি সময় দিতে হয় নি; বরং অকাজের জন্যই সময়টা গেছে অনেক বেশি। অবশ্য আমার কাছে কাজটাই অকাজ এবং ভাইস ভার্সা। এদিকে জীবন হারামজাদা বড়োই নিষ্ঠুর, বড়োই একগুঁয়ে, ক্ষমাহীন। তার কাছে কাজ মানে কাজ এবং কাজের একটু এদিক-ওদিক গরমিল দেখলেই সে গরগর করতে থাকে। তার গরগরকে পাত্তা না দিয়ে অকাজ করেই যাচ্ছিলাম; কিন্তু শেষমেষ সে আমাকে হাসপাতালের বেডে শুইয়ে তবে ক্ষান্ত হয়। অকাজের অনেকটা সময়ই তখন বিশ্রামের জন্য বরাদ্দ করি আর ভাবি, একটু গুছিয়ে উঠি, তারপরে দেখে নেবো তোকে!

সেই দেখাটা অবশ্য এখনো হয় নাই। একটু গুছিয়ে উঠি। আবার শুরু হয় জীবন সংগ্রাম। কম্পুর সামনে বসে কাঁধের মাংসপেশী বোধশক্তিহীন হয়ে যায়, উদরে মেদ জমে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হুড়মুড় করে বেড়ে যায়। ডাক্তার হুশিয়ারী দেয়, এমনি চললে বহুমূত্রে ধরতে আর দেরি নাই। ভেতো বাঙালি হয়েও ফ্রুট সালাদ ধরি, পেট কেবলই ভাত খাই খাই করে, তাকে চৌধুরী সাহেবের মতো কঠোর সাধনায় থাপ্পড় মেরে শান্ত করি। কখনো পারি, কখনো নিয়ম ভেঙ্গে অনিয়মের জয় হয়; তবু এই জয়-পরাজয়ের লুকোচুরি চলতেই থাকে। ক্লান্তিরা কখনো ক্লান্ত হয় না।

৩.
অনেক বছর পরে এক স্কুল বন্ধুর সাথে কথা বললাম। RAB এ আছে। ক্লাস ফোর-এ হেড স্যারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে সে ছিলো প্রথম ব্যক্তি এবং আমি দ্বিতীয়। সে বিদ্রোহে আমরা সফল হয়েছিলাম। তার উচ্ছ্বসিত কথা শুনে বুঝতে পারি, জীবনের সংগ্রামেও সে সফল। এক হিসেবে, আমিও। অন্তত তার মতে, আমি তার দেখা সফলতম ব্যক্তি।

খুব বেশি স্মৃতিচারণের সময় হয় না। উইক ডের অফিস টাইমে দেশে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলা যায় না। আর আমি এমনিতেই খুব বেশিক্ষণ ফোনে কথা চালাতে পারি না। ক্লান্ত লাগে। প্রেমালাপ ভিন্ন আর সব দীর্ঘ আলাপেই আমি ক্লান্ত হই। তবে তার সাথে কথা বলতে ভালো লাগে। অনেক ভালো। আগামীকাল একটা কাজের ডেডলাইন আছে, তবুও তার সাথে কথা বলতে ক্লান্ত হই না। অতীতকে স্পর্শ করার সুখ হয়তো সব ডেডলাইনকেই থোড়াই কেয়ার করে।

কথার এক পর্যায়ে চলে আসে প্রফেশান। প্রফেশানের সাথেই চলে আসে টাকা পয়সার আলাপ। সে কারো কাছে শুনেছে আমি ১৭ লক্ষ টাকা বেতন পাই। কথাটা সত্যি কিনা নিশ্চিত হতে চায়। কয়েক বছর আগে হলে আমি হো হো করে হাসতাম। কিন্তু অভিজ্ঞতায় দেখেছি, হো হো করে হেসে আসলে কিছুই উড়িয়ে দেয়া যায় না। বরং সন্দেহ তীব্রতর হয়। সুতরাং তার সাথে সরকারী বেতন স্কেল ইত্যাদির যৌক্তিক সীমা নিয়ে আলাপ করি। কনভিন্সড হলো কিনা, তা নিয়ে অবশ্য খুব একটা মাথা ঘামাই না। কারণ, মাথায় তখন অন্য চিন্তা।

দুই সপ্তাহ আগেই এক কাজিনের সাথে ফোনে কথা বলছিলাম। তার ছেলে অ্যাক্সিডেন্ট করেছে - ছেলেটাকে আমি পছন্দ করি, পরিশ্রমী এবং সৎ - সে যে কাজ করছিলো, আপাতত তা করা সম্ভব না। আমি চাইলে হয়তো সহজতর কিছু একটা বন্দোবস্ত করে দিতে পারি। আমি সাধ্যের সীমা সম্পর্কে তাকে ব্যাখ্যা দেই। কতোটা কি করতে পারবো এবং কখন, সে সম্পর্কে বলি। কিন্তু সে তাতে কনভিন্সড হয় না। হঠাৎ জিজ্ঞেস করে আমার বেতন যে মাসে ১৫ লাখ টাকা, তা আমি খরচ করি কিভাবে! আমি তাকেও ঠান্ডা মাথায় বুঝাই। কিন্তু এসব বুঝানোতে কাজ হয় বলে মনে হয় না। আমার হলো গিয়ে ঘর পোঁড়া গরুর অভিজ্ঞতা!

তবে এই মুহূর্তে ঘর পোঁড়া বা ঘর গড়া নিয়ে কোনো চিন্তা মাথায় আসছে না। শুধুই চিন্তা করছি, ২ সপ্তাহে আমার বেতন বৃদ্ধি ২ লাখ হলে এ বছর শেষে তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে! গ্রীসে শুনেছি নাকি দ্বীপ বিক্রি হচ্ছে, দুয়েকটা কিনেটিনে ফেলা যেতে পারে। তারপর সেখানে একটা ছিমছাম কটেজ বানাবো, সেই কটেজে বসে ভূমধ্য সাগরের হাওয়া খেতে খেতে আমিও হুমায়ূন হয়ে গান লিখবো,

"লীলা বালি, লীলা বালি, বর অযুবতি সই গো...."


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পড়ে ভালো লাগলো। মন্তব্য করার মত কিছু পেলাম না। এরকম অবস্থায় অনেকেই আছে। বিদেশে থাকলেই মনে করে লাখের হিসেবে টাকা কামানো।

অনেক দিন পরে পরে লিখলে যা হয়, হৃদয়ের গভীর থেকে কিছু কথা বের হয়ে আসে। অতীতকে স্পর্শ করার সুখ হয়তো সব ডেডলাইনকেই থোড়াই কেয়ার করে।--সেরকম একটা দামী কথা।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বিদেশে থাকলেই মনে করে লাখের হিসেবে টাকা কামানো।

এর সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি হলো, পরিশ্রমের কোনো মূল্যায়ন হয় না। কাউকেই সন্তষ্ট করা যায় না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাফি এর ছবি

বস কি এখন অসলোতে?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অসলো তো ভালো যায়গা। এক দৌঁড়ে জার্মানি যাওয়া যায়। আমি উত্তর মেরুর কাছাকাছি, প্রায়ই শ্বেত ভাল্লুকের সাথে কুস্তি হয়। মন খারাপ

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ধুনফুন বুঝাইলে তো চলবে না। ক্রিকেট খেলেন আর ম্যাচ ফিক্সিং করেন না, তা তো না। নিশ্চয়ই করেন, আর করেনই যদি, তাহলে এসব দশ পনের লাখ টাকা তো আপনার হাতের ময়লা।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ওরা জানে না যে আমি ক্রিকেট খেলতে পারি। তাইলে কি আর লাখে কথা কয়? দেঁতো হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হাসিব এর ছবি

আহ, চৌধুরী সাহেব দেঁতো হাসি

বাসভাড়া শুনে একটা জিনিস পরিস্কার। আপনার ওখানে ঘুরতে যাবার চাইতে সবাই চান্দা তুলে আপনার কাছে টিকেট পাঠায় দেয়াটা সস্তা পড়বে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আগে দেশ থেকে শপিং করতাম, এখন সস্তায় শপিংয়ের জন্য জার্মানি। এরা হুদা কামে সবকিছু এক্সপেন্সিভ করে রাখছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অনেক দুঃখ সেটা বুঝলাম কিন্তু বেতন কত তা তো বুঝলাম না

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

লীলেনদা, বেতনের অঙ্কটা নিলামে তোলা হয়েছে, এই পোস্টের মন্তব্যে ৩০ লাখ পর্যন্ত উঠেছে দেখা যায়। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নৈষাদ এর ছবি

কয়েক বছর আগে হলে আমি হো হো করে হাসতাম। কিন্তু অভিজ্ঞতায় দেখেছি, হো হো করে হেসে আসলে কিছুই উড়িয়ে দেয়া যায় না। বরং সন্দেহ তীব্রতর হয়।
- এই লেখাটা পড়ার পরও দেশের আম জনতা হিসাবে 'বিদেশ মানে টাকা আর টাকা' বিশ্বাসটা কেন যেন আরও তীব্রতর হল।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লীলেন ভাই আর নৈষাদের মন্তব্য পড়ে কৌতূহল বেড়ে গেল। মজাও পেলাম। হো হো হো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

লুগ্জন বুঝে না, এত টাকা থাকলে কি আর ৬৫০ টাকা বাঁচাতে ১ ঘন্টা পর্বতারোহন-অবরোহন করি! মন খারাপ

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অদ্রোহ এর ছবি

বলাইদা, আমজনতার সন্দেহটা অপনোদন করার জন্য এই পবিত্র রাতের চেয়ে প্রশস্ত সময় বেশি পাবেননা।

--------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

দেশের তুলনায় একদিন আগে চাঁদ দেখায় বিশাল চান্স মিস করলাম। শবে ক্বদরের ১ রাতের বেতন ৮৪ বছরের বেতনের সমান!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আচ্ছা, গানের কথাটা কী

ভর যুবতী সই গো...."

নাকি ভর স্থলে বড় হবে ?? ...

_________________________________________

সেরিওজা

আব্দুর রহমান এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদ তার কাঠপেন্সিল অথবা বলপয়েন্ট যে কোনো একটি বইয়ে লিখেছেন যে গানের কথাটি হচ্ছে " বর অযুবাতি/ আযুবাতি সই গো"। এর মানে হচ্ছে বর এসে পড়ল প্রায় এরকম কিছু একটা। এখানে বড় যুবতী বা ভর যুবতীর কিছু নেই।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। অডিওটা আবার শুনে দেখলাম। মনে হয়, 'বর অযুবতি'ই বলছে। পোস্টে আপডেট দিলাম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

বলাইদা কৃপণ মানুষ এটা বললে পাপ হবে।কিন্তু যেভাবে তার বেতনের ব্যাপারটা মন খারাপের গল্পে দুধভাত করে দিলেন সেটা হিসেবী দাদুর বাদাম খেতে আট আনা দেবার মতো। ভালো থাকবেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আবার সেই আনার হিসেব মনে করায় দিলেন। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমার ঘরের ৭০% পরিস্কার করা সারা। এটা কতটা গ্রেট লীপ ফরোয়ার্ড এটা পৃথিবীতে বলাই'র থেকে বেশী এই দুনিয়ায় খুব বেশী লোকে জানেনা .....

ক্রিকেটের যন্ত্রপাতি অসহায় পড়ে আছে এখনো আমার গুদামেই।

দুনিয়া ডট কম ....দুনিয়া ডট কম... দুনিয়া ডট কম নম নম: .......

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA



অজ্ঞাতবাস

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কিভাবে সম্ভব!!! হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তিথীডোর এর ছবি

'আমি দিনভিখারি, নেইতো কড়ি, দ্যাখো ঝুলি ঝেড়ে...' মন খারাপ

লেখা ভাল্লাগলো!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এক কাজ করতে পারেন, দ্বীন-ভিখারি হয়ে যান। তারপরে ব্যবসায়ে পুরা লালে লাল। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তুলিরেখা এর ছবি

আহা বুঝতেই তো পারলাম না কত মাহিনা! বলাই খুব চালাক! কানাই এর চেয়েও চালাক। হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মেয়েদের বয়স আর ছেলেদের বেতন .... হা হা হা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তুলিরেখা এর ছবি

তবে সইত্যই যদি দ্বীপ কিনেন বলাই, আমারে দারোয়ানের বা মালির কাজ দিবার আবেদন জানাইয়া রাখলাম। মাইনাপত্র আর নিজমুখে কী কমু, আপনের হজরতের হাত, মাসে মাসে লাখসাতেক কি লাখআটেক কি যদি দিতেই চান লাখদশেক দিলেই হইবে। হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

দিদি, আপনারে দারোয়ান বা মালির পোস্ট দেয়া যাবে না। দারোয়ান হিসেবে মডুরা পারফেক্ট, মালি হিসেবে ইরান থেকে অলরেডি ২টা সিভি পেয়েছি। তবে আপনার জব কনফার্ম, পোস্ট কি দেয়া যায় একটু চিন্তা করে দেখি। আর মাইনের ব্যাপারে ৮ অঙ্কের নিচে কিছু চিন্তা কইরেন না। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

লেখা পইড়া কষ্ট হইলো। কী আর করবেন, বয়স তো সবারই হয়। আপনারও হইছে। বাতের ব্যথা, কোমরে ব্যথা, গিড়ায় গিড়ায় ব্যথা, এগুলা এখন নিত্যসঙ্গী হবে। কয়দিন পর নাতিনাতনী পিঠের উপরে উঠবো লাফ দিয়া আর আপনে ক্যাঁক কইরা উঠবেন ব্যথায়! এক কাজ করেন, ঐখানে বরই গাছ আছে? বরই গাছের ডালা আগুনে পুইড়া সেই আগুনে সেঁক নেন। ভালো উপকার হয় শুনছি। হাসি

আর দ্বীপ-টিপ কিনলে ভালো একটা মাঠ দেইখা কিন্যেন। অফস্পিনে এরম প্যাঁচ দিমু না! এক্কেরে কেরাবেরা লাগাইয়া দিমু। খাড়ান খালি বোলিং কোচটা পাইয়া লই।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হেহে, এইসব অফস্পিনে কাম দিবো না... তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আর দশম ওভারের প্রথম বলে আমার কাছে ছয়তো খাইবেনই দেঁতো হাসি

_________________________________________

সেরিওজা

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ছক্কা হোক আর নো-বল। আমি ক্যাপ্টেন্সি করুম, ৫০% আমার!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমার আগে থেকেই সন্দেহ ছিল, বলাই মালদার। দেঁতো হাসি

------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এবার চক্ষু-কর্ণের বিবাদভঞ্জন হলো। দেঁতো হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

থার্ড আই এর ছবি

এতো মনোযোগ দিয়া পড়লাম, ভাবলাম অর্থনৈতিক মন্দায় আমাদের মতো বুঝি বলাই মহাশয়ও অর্থ কষ্টে আছেন ! কিন্তু লেখা পইড়া মনে হইলো ওনার অনেকদিন ইনক্রিমেন্ট আটকাইয়া ছিলো সেটা সম্প্রতি বাড়ছে, বেতন বৃদ্ধির জন্য অভিনন্দন। কিন্তু মহাশয়যে অতি সুকৌশলে টাকার অংকটা এড়িয়ে গেলেন সেটা হজম করি কিভাবে ? আমরাকি আর সেই অংকে ভাগ বসাতাম? দ্বীপ দেশে বেড়াতে যাবার আমন্ত্রন পেলেই আমরা তৃপ্ত।

------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অর্থনৈতিক মন্দায় দেশত্যাগে বাধ্য হয়ে এখন পর্বতারোহন করি। মন খারাপ

দ্বীপ নিয়া একটা লেখা দেয়ার ইচ্ছা আছে। সচলে মনে হয় দিবো না, অনেক ব্যক্তি-আক্রমণমূলক কথাবার্তা থাকবে। সেই লেখার পরে দেখবেন দ্বীপের মালিক আপনাদেরই পাড়ার ছেলে। চোখ টিপি (গেস করেন তো, কার কথা বলছি)

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কৌস্তুভ এর ছবি

গরীব গ্র্যাড স্টুডেন্টের জীবন আর পোষাচ্ছে না। বলাইদা বাসার ঠিকানা দেন। সিঁধ কাটব। প্লেনের খরচা পুষিয়েও ভাল লাভ থাকবে দেখা যাচ্ছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

গ্রীষ্মকাল থাকতে থাকতে চলে আসেন, সিঁদ কাটার পরিশ্রমও করতে হবে না, জানালা খুলে রেখে ঘুমাই। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফ্রুলিক্স [অতিথি] এর ছবি

মাত্র ১৯ লাখ। আমার হিসেবে তো আরো বেশী পাবার কথা। সত্যি, এতো টাকা কোথায় খরচ করেন?? চোখ টিপি
শালার ৪৩% টেক্স কেটে একাকার। ইনক্রিমেন্টের গুষ্টি-কিলাই। বছর শেষে বেতন বাড়ে ১০ ইউরো। মাঝে মাঝে মনেহয় হার্টস ফিয়া'তে চলে যাই:(

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মাত্র ১৯ লাখ। আমার হিসেবে তো আরো বেশী পাবার কথা।

হে হে, এইখানে মাসের আলাপ হচ্ছে, বছরের না। চোখ টিপি

Firma চেঞ্জ করো, ধাইধাই করে বেতন বাড়বে। মন্দা নাকি কেটে যাচ্ছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফারুক হাসান এর ছবি

মিলিয়ন ডলার ম্যান আমাদের ব্লাই দা!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

লিখবেনই যখন, তখন আর 'ম' এড় মিলিয়ন কেন, বলাইয়ের 'ব' লিখলেই হতো। আপনি বিয়াপক কিপটা মন খারাপ

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

কেম্নে কি!
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

চিন্তার কথা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

আমি তো শুনসিলাম বলাইদা মাসে ৩০ কামায় দেঁতো হাসি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আল্লাই জানে কি কামানোর কথা কইলো। (কনফিউজড ইমো)

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দ্রোহী এর ছবি

লেখায় সুখী সুখী ভাবের স্পষ্ট ছায়া হিসাব করে বোঝা যাচ্ছে বেতন নিদেনপক্ষে ২৫ তো হবেই। হো হো হো

বস, দ্বীপ-ফিপ কেনা লস প্রজেক্ট। আপনি বরং একটা তেল/গ্যাসক্ষেত্র/কয়লা খনি কিনে ফ্যালেন। তারপর আমাকে চিফ জিওলজিস্টের চাকরি দেন। বেশি বেতন দেয়া লাগবে না। ১০ করে দিলেই চলবে। দেঁতো হাসি


কি মাঝি, ডরাইলা?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মেম্বরদের বিশ্বাস নাই। দেখা যাবে দেশের গ্যাস বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

২০/২১ ঘন্টা সংযম!! খাইছে আমারে। নরওয়েতে রোজাদাররা ইফতার এবং সেহরী একসাথেই করে ফেলে নাকি? খাইছে

সত্যান্বেষী

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

প্রায়। আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে এত দীর্ঘ সময় রোযা রেখেও খুব একটা ক্লান্তি আসে না; কিন্তু ইফতার এবং রাতের খাবার খেতে খেতে ১১টার বেশি বাজে। এরপরে আর সেহরীর জন্য ওঠা খুব কঠিন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।