(মুসার এভারেস্ট ক্যাচালে যোগ দেয়া এই পোস্টের উদ্দেশ্য না; বরং ক্যাচালের তৃতীয় পক্ষ - বাকি দুই পক্ষ কারা সে হিসেবে গেলাম না - হিসেবে একটা পোস্ট কাউন্ট বাড়ানো)
দেখে আসুন:
আরিফ ভাইয়ের পোস্টে দেয়া মুসার ছবি যেখানে বুদ্ধমূর্তির ঢাকনা চিহ্নিত করা হয়েছে, সে ছবির কথিত ভার্জিন ভার্সন এবং মুস্তাফিজ ভাইয়ের করা ঐ ছবির JPEGsnoop অ্যানালাইসিস ডেটা (ঐ পোস্টের মন্তব্য ১৭.১)।
যে সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে:
JPEGsnoop, দাম দিয়ে কিনতে হয় না।
কি করলাম:
শুরু। প্রথমে একটা ভার্জিন ছবি নিলাম। ছবিটার চেহারাপাতি মাশাল্লাহ খারাপ না। দেখতে এইরকম:
০। JPEGsnoop দিয়ে ছবিটার নাড়িনক্ষত্র বের করার চেষ্টা করি। এরকম দেখায়:
ভাগ্যক্রমে ছবিটার ক্যামেরা JPEGsnoop এর পরিচিত, Canon Powershot S3 IS এবং JPEGsnoop বলছে ছবিটা অরিজিন্যাল হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
১-১। এরপর ছবিটাকে কপি করে Microsoft Office Picture Manager এ এডিট করে চেহারা পালটায়া দেই। পালটানো চেহারার ছবিটা সেইভ করে JPEGsnoop এর হাতে ছেড়ে দিলে তিনি রিপোর্ট দেন:
অর্থাৎ স্নুপার চাচ্চুর ডেটাবেইজে ইনার ক্যামেরা সম্পর্কে ইনফর্মেশন নাই। তাই ছবি অরিজিন্যাল কিনা তা বলা যাচ্ছে না।
১-২। পরাজয়ে ডরে না বীর! অতএব স্নুপার চাচ্চুর কথামতো ক্যামেরা ডেটাবেইজ যোগ করেই (যেটা মাত্র ২/৩ ক্লিকের কাজ) দেখা গেলো:
অর্থাৎ সফটওয়্যার চাচ্চু এখন খুশি। তিনি ছবিটিকে অরিজিন্যাল বলে সার্টিফিকেট দিচ্ছেন, যদিও পিকচার ম্যানেজার ছবির চেহারা ভচকাইয়া দিছে।
২। এরপরে ছবির চেহারা আরো ভচকানোর জন্য ওটাকে এমএসপেইন্টে ওপেন করে দুই রঙে 'কাগু' লেখা হলো, যাতে সফটওয়্যার চা্চ্চু এবার সার্টিফিকেট আটকাইয়া দিতে পারেন। চাচ্চু সার্টিফিকেট আটকালেনও; কিন্তু আগেরবারের মতোই ডেটাবেইজে ক্যামেরার নাম যোগ করার ঘুষে কাজ হলো, চাচ্চু তার নাম লেখা ছবিকেও অরিজিন্যাল বলে ছাড়পত্র দিলেন:
অতিরিক্ত -১। এই পর্যন্ত এসে মনে হলো, কিছু একটা বাদ থেকে যাচ্ছে। কি হতে পারে সেটা? সফটও্য্যার চাচ্চুর হাতে অন্য একটা ক্যামেরায় তোলা আরেকখান অরিজিন্যাল ছবি ছেড়ে দিলাম। ও বাপ! চা্চ্চু কয়, এই টার বিষয়ে তার ডেটাবেইজে ইনফর্মেশন নাই। (আনলাইক উপরের কেইস ০):
অতিরিক্ত -২। চাচ্চুকে আবার ঘুষ দেওয়া হলো বা ক্যামেরার ডেটাবেইজের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো: চা্চু খুশি মনে রিপোর্ট দিলেন:
আলোচনা:
এবার দেখা যাক, এত পরিশ্রম করে আমরা কি পেলাম।
অ) সফটওয়্যার যদি প্রথমেই ছবি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত না দিতে পারে, অর্থাৎ ক্যামেরার মডেল ডেটাবেইজে যোগ করতে হয়, তাহলে চাচুর রিপোর্টে ক্যামেরার নামের আগে একটা তারকা (*) যোগ হয়।
আ) ছবি যদি অরিজিন্যাল হয় (ক্যামেরার মডেল চিনিয়ে দিতে হোক বা না হোক), তাহলে ক্যামেরার মডেল লিস্টে এক ধরনের ক্যামেরার বিভিন্ন মডেলের নামই দেখায়; কিন্তু যদি এডিট করা হয়, তাহলে একটা (ডিফল্ট?) লিস্ট অটোমেটিক্যালি চলে আসে, যেখানে নিকন, স্যামসাঙ, সিকো, সনির বিভিন্ন মডেল আছে।
ই) এডিট করা ছবির এই ডিফল্ট মডেলগুলোয় লেখা FINE শব্দটা বড় হাতের অক্ষর, যেখানে অরিজিন্যাল ছবির ক্ষেত্রে শিশু হাতের অক্ষর দেখা যায়।
ঈ) এডিট করা ছবিগুলোয় একটা সফটওয়্যার লিস্ট যোগ হয়, যা ছবির সিগনেচার ম্যাচ করে এমন কয়েকটি পিকচার এডিটরের সম্ভাব্য ডিফল্ট লিস্ট।
এবার মুস্তাফিজ ভাইয়ের করা মুসার কথিত অরিজিন্যাল ছবির চাচু অ্যানালাইসিসে চোখ দেই:
এটা উপরের অ-আ-ই-ঈ প্রত্যেকটা লক্ষণেই এডিট করা ছবির সাথে খাপে খাপ মিলে যাচ্ছে।
বাড়তি আরেকটা লাইন আছে: Note that EXIF Software field is set (typically contains fireware version). এটার মাজেজা দেখার জন্য অ্যানালাইসিস লগের একটু ওপরে দিকে দেখা যাবে (my prediction) "EXIF Software: OK [Digital Camera FinePix J30 J32 J38 Ver1.01]" সেট করা আছে, আমার ছবিগুলোর ক্ষেত্রে এই ফিলডের ভ্যালু NONE। EXIF এডিট করেও এটা যোগ করা যেতে পারে, আবার কোনো ক্যামেরায়ও বাই ডিফল্ট থাকতে পারে। আমি ৫/৬টা ক্যামেরার ছবি পরীক্ষা করেছি, কোনোটায়ই নেই।
সিদ্ধান্ত:
পাবলিকের হাতে।
------
ইতংবিতং: EXIF নিয়ে তেমন কোনো কাজ করি নাই। শুধু এতোটুকু দেখেছি, Exif ডেটা xml ফর্ম্যাটে এক্সপোর্ট করা যায়, যা ইভেন নোটপ্যাডেও এডিট করা সম্ভব এবং সেই xml অন্য কোনো ছবিতে মেটাডেটা হিসেবে ইমপোর্ট করা যায়।
সংযোজন:
JPEGsnoop এর উপরিউক্ত পদ্ধতিতে ম্যাচিং অনুসারে, সচল আরিফ জেবতিকের কাছ থেকে প্রাপ্ত মুসার ছবিগুলোকে তিনটি ক্যাটেগরীতে ভাগ করা যায়:
ক্যাটেগরী ১: নিশ্চিতভাবেই এডিট করা হয়েছে।
ক্যাটেগরী ২: এডিট না করা প্যাটার্নের সাথে মেলে
ক্যাটেগরী ৩: এডিট করা ছবির প্যাটার্নের সাথে মেলে
এভাবে ছবিগুলোর ইভ্যালুয়েশন নিম্নরূপ:
DSCF0464: ৩
DSCF0465: ২
DSCF0466: ১
DSCF0467: ১
DSCF0468: ২
DSCF0469: ৩
DSCF0470: ২
DSCF0471: ৩
DSCF0472: ৩
DSCF0473: ৩
DSCF0474: ২
DSCF0481: ৩
DSCF0482: ৩
DSCF0483: ৩
DSCF0484: ৩
DSCF0485: ৩
ফুটনোট: ৪৬৬ ও ৪৬৭ ছবি দু'টি Exifer দিয়ে পরীক্ষা করে meta-data পরিবর্তন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ৪৬৬ এর আরেকটি ভার্সন (মুস্তাফিজ ভাইয়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত) পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তা উপরের ক্যাটেগরী ৩ এর অন্তর্ভুক্ত।
মন্তব্য
হুম, গ্যালারি আসলে খেলারই অংশ। আবার বইলাম গ্যালারিতে, উইথ প্পপন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
কেউ হাতে-কলমে করতে চাইলে, আমার পরীক্ষায় ব্যবহৃত ছবিগুলোও ইমেইল করতে পারি, আপনার নিজের তোলা ছবি দিয়েও পরীক্ষা করতে পারেন।
এখানে দেয়া স্ক্রিনশটগুলো অস্পষ্ট হলে ফ্লিকার থেকে দেখতে পারেন।
সম্ভবত সফটওয়্যারের ফিচার/বাগ: ক্যামেরার মডেল ডেটাবেইজে যোগ করার সাথে সাথেই আপডেটেড লগ দেখা যায় না। তার জন্য আরেকটা ছবি ঘুরে আসতে হয়। অর্থাৎ আপনি যদি ছবি-১ এর ক্যামেরা ডেটাবেইজে যোগ করেন, তাহলে সেই আপডেট দেখার জন্য অন্য একটা ছবি (র লগ) ওপেন করুন এরপর আবার ছবি-১ লোড করে লগ দেখুন। এই ঝামেলা এড়াতে 'Reprocess File' এ ক্লিকাতে হবে।
আর কেউ যদি ডেমো দেখতে চান, আমাকে ইমেইল করতে পারেন। সময় বের করার চেষ্টা করবো। chormiaঅ্যাটgmail.com
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মেটাব্লগিং?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পোস্টের সময় ভাবতেছিলাম। মন্তব্যাকারেও দেওয়া যেত। কিন্তু এতে ফোকাস শুধু একটা ছবি না, অনেকটা জেনেরিক ব্যাপার। তাছাড়া ওই পোস্ট এমনিতেই মন্তব্যভারে জর্জরিত। আমার দৃষ্টিতে এটা পোস্ট হিসেবে ফোকাস পাওয়ার যোগ্য, শুরুতে ব্রাকেটের মধ্যে যা লেখা, ওটা বিনয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি পোস্টের চেয়ে মন্তব্য দিতেই ভালোবাসি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বিষয় গুরুত্বের কারণে এই পোস্ট মেটাব্লগিং অভিযোগ বহির্ভূত হবার দাবি রাখে।
এইটা আমার মত।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন জিনিশ শিখলাম। জ্ঞান বৃদ্ধি হইলো। এই জ্ঞান খুব খারাপ জিনিশ। বিশ্বাস নষ্ট কইরা দেয়! এ জন্য আদম জ্ঞান বৃক্ষের ফল খাইয়া স্বর্গ থেকে বিতারিত হয়।
তয় আপনারে ধন্যবাদ। পোস্ট প্রিয়তে রাখলাম কাজে লাগতে পারে
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
বাপরে, ভাবছিলাম সচলায়তনে জারিজুরি মেরে পার পেয়ে যাবো, এখন দেখছি কোন উপায় নেই, নাকি আছে?
রোমেল চৌধুরী
হা হা হা 'জারিজুরি'র জন্য আরো আরো কত 'বড় ব্লগ(?)' আছে না! খালি পেইজ ওপেন করবেন, দেখবেন 'জারিজুরি'র বন্যায় ভাসতেছেন আর ভাসতেছেন।
সচলরা একে অপরের ফাঁক ফোকর গুলা ধরাইয়া দেন বইলাই সচল থাকতে পারেন।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
এই লিঙ্কটি দেখা যেতে পারে।
http://en.wikipedia.org/wiki/Exchangeable_image_file_format#Viewing_and_editing_Exif_data
'কাগু' লিখতে গেলেন ক্যান!!!
আপনার বুদ্দির তারিফ করতে হয়। ইউ আর অরিজিন্যাল!!
সাহাদাত উদরাজী
আরেকটি লিঙ্ক পেলাম। এটা নাকি ইমেজের এরর লেভেল (যদি ছবি এডিট করা হয়) ডিটেক্ট করতে পারে।
http://errorlevelanalysis.com/
সুস্পষ্ট মেটা ব্লগিং।
আপনি ইতিমধ্যে তৃতীয় ধারা হিসেবে ঘোষনা দেওয়ায়, আমি চতুর্থ পক্ষ হিসেবে এই পোস্টের আপত্তি জানাচ্ছি।
এই সফটওয়্যার দিয়ে পরীক্ষা কিন্তু মুস্তাফিজ ভাই করেন নি, করেছেন কাজী মামুন।
কাজী মামুনের কথার প্রেক্ষিতে মুস্তাফিজ ভাই এই সফটওয়্যার দিয়েও পরীক্ষা করে একটা স্ক্রিনশট দেখিয়েছেন। কাজী মামুন ত্রুটিপূর্ণ সফটওয়্যার দিয়ে পরীক্ষা করলে, সেটি কিভাবে আলাদা পোস্টের উদ্ভব করে, সেটা বুঝতে পারি নি।
কাজী মামুন অনেক মন্তব্যই করেছেন যেগুলো খাপছাড়া। সেগুলোকে বেইজ করে আলাদা আলাদা পোস্টের উদ্ভব হলে সেটি মূল আলোচনাকে ব্যহত করবে।
আপনি হয়তো সৎ উদ্দেশ্যে করেছেন, কিন্তু আরেকজন যে কথাঘুরানো ও মূল আলোচনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার সুক্ষ চেষ্টা থেকে আরেকটা পোস্ট দিয়ে বসবেন না, সেটা নিশ্চিত হতে পারছি না।
আরিফ ভাই, মেটাব্লগিংয়ের ব্যাপারটা মডুরা দেখুক। প্রশ্ন তোলায় মুর্শেদকে যা বলেছি, আপনার ক্ষেত্রেও আকই কথা। মডুরা মেটাব্লগিং মনে করলে তাদেরকে অফিশিয়াল বক্তব্য দেব।
এই সফটওয়্যার কাজি মামুনের আবিষ্কার না। কাজি মামুন যে এটা ব্যবহার করেছেন, আমি তা জেনেছি মুস্তাফিজ ভাইয়ের সাথে কথা বলার সময়। সফটওয়্যার ত্রুটিপূর্ণ কিনা, সেটা সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন। আমি যতোদূর জানি, আপনি এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ না। তবে মুস্তাফিজ ভাইয়ের সাথে কথা বলেই আমি পোস্ট দিয়েছি। তিনি কোন লেভেলে পরীক্ষা করে দেখেছেন, তা ও জানি। উনি Exifer দিয়ে চেক করেছেন, যেটাকে শুধু EXIF ফাইল এডিট করেই ধোঁকা দেয়া সম্ভব। অথচ উনাকে অ্যালিবাই বানিয়ে অনেকটা উনি যা মিন করছেন না, সেটাকেই ছবির অরিজিন্যালিটির পক্ষে সিদ্ধান্তের দিকে ঠেকে দেয়া হয়েছে।
এখানে আলোচনাকে মোটেই ভিন্নখাতে ঘুরানো হচ্ছে না। আপনার পোস্টে আপনি একটি ছবি দিয়েছেন, যেখানে বুদ্ধমূর্তির কোণা দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। আমজনতার অনেকেই ওটাকে 'কনক্লুসিভ' প্রমাণ হিসেবে ধরে নিচ্ছে। অথচ এই পোস্টের পরীক্ষা অনুসারে ছবিটা এডিটেড হওয়ার দিকেই পাল্লা ভারী দেখা যায়। সম্ভাব্য এডিটেড ছবি দিয়ে যে কনক্লুসিভ প্রমাণ পাওয়া যায় না, এই পোস্ট সেটাই দেখায়। এটা একই খাতের ব্যাপার, ভিন্ন খাতের ব্যাপার না। পোস্টের টেস্টও ওপেন, যে কেউই নিজে চেক করে সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন। আর আপনি তো সত্য উদ্ঘাটনে 'নিরপেক্ষ' লোক, সফটওয়্যারকে ত্রুটিপূর্ণ বলার আগে আপনিও চেক করে দেখতে পারেন।
যাহোক, আপনার কাছে মুসার ছবি চেয়ে গতকাল ইমেইল দিয়েছি। মুসার কয়েকটি ছবি পেলে আমার পরীক্ষার ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
EXIF ডাটা ম্যানিপুলেট করা যায়। আপনি সম্ভবত উপরের লিঙ্কগুলো দেখেননি। "Manipulate EXIF data" লিখে সার্চ দিলে তো গুগল হাজার খানেক লিঙ্ক এনে দেখায়, তার মানে এটা দিয়ে ছবির অথেনটিসিটি প্রমান করা যায় না
১টি সফটওয়্যার ইউজ না করে, সেটার সোর্সকোড না জেনে, কিভাবে ইমজের মেটা ডাটা ম্যানিপুলেট করা হয় সেটা না জেনে সফটওয়্যার টিকে ত্রুটিপুর্ন বলা আর এভারেষ্ট, মাউন্টেইনিং সম্পর্কে না জেনে মুসা ইব্রাহিম এভারেস্ট জয় করেননি এটা বলা একরকম হয়ে গেল না???
"কাজী মামুনের কথার প্রেক্ষিতে মুস্তাফিজ ভাই এই সফটওয়্যার দিয়েও পরীক্ষা করে একটা স্ক্রিনশট দেখিয়েছেন। কাজী মামুন ত্রুটিপূর্ণ সফটওয়্যার দিয়ে পরীক্ষা করলে, সেটি কিভাবে আলাদা পোস্টের উদ্ভব করে, সেটা বুঝতে পারি নি।
কাজী মামুন অনেক মন্তব্যই করেছেন যেগুলো খাপছাড়া। সেগুলোকে বেইজ করে আলাদা আলাদা পোস্টের উদ্ভব হলে সেটি মূল আলোচনাকে ব্যহত করবে"
এই পোস্টকে গুরত্ব বিবেচনায় মেটা-ব্লগিং এর আওতায় না আনলেও হবে। এ হিসেব করলে মেটা-ব্লগিং আপনারটাও হবে, এই হিসেব করলে হিমু ভাই যেহেতু এই বিষয় নিয়ে প্রথম লিখেছে, আপনি পোস্ট না দিয়ে নতুন করে মন্তব্য করতে পারতেন।
আমি জানি না সচলায়তনে কথা বলার ক্ষেত্রে মডারেশন পার হওয়া ছাড়া একজন অতিথি সচল আর একজন সচলের অধিকারগত আর কোনো পার্থক্য আছে কিনা!
হিমু ভাই যখন নেভারেস্ট নিয়ে লিখছিল তাঁর আগে থেকেই সঙ্গতি অসঙ্গতি নিয়ে আমি ফেসবুকে লিখেছি, আমার ফেসবুক বন্ধু হিসেবে আপনার হয়তো সেগুলো দেখার কথা। সবাই যখন চাইছিল মুসা ইব্রাহিম ছবি দিতে পারুক না পারুক হিমু ভাইয়ের সাথে একটা সাক্ষাতকার দিক, তখন মাঝখান থেকে আপনি আগ বাড়িয়ে আসলেন সাক্ষাতকার নিবেন বলে। আমরা তখন প্রশ্ন করিনি আপনার কি যোগ্যতা আছে সাক্ষাতকার নেয়ার। এটুকু প্রমান অন্ততঃ আমি আপনার সামনে হাজির করতে পারবো যে পর্বতারোহন এর ক্ষেত্রে আপনার চাইতে আমার অভিজ্ঞতা বেশি। আপনি পড়ে বা শুনে জেনেছেন, আর আমি পর্বতারোহন করে জেনেছি। পর্বতারোহী হিসেবে আমার দৌড় খুব বেশি না। মাত্র পাঁচ হাজার ফুট উচ্চতার সরাক পর্বত গত শীতেও সোবেইক মাউন্টেইন সামিট করে এসেছি। সার্টিফিকেট নেই তবে ছবি আছে। সোবেইক এর উচ্চতাও খুব বেশি না হলেও ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে আর শীতের -১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার কারণে ৮ কিমি পথ উঠতে নামতে পুরো দিন পার হয়ে যায়। বরফের উপর দিয়ে লাঠি হাতে নিয়ে, কেডসের নিচে কাটা লাগিয়ে পিচ্চিল পথে হাটতে উল্টিয়ে পালটিয়ে 'আছার' খেয়ে পড়তে কেমন লাগে তা আমার জানা আছে। সোবেইক এর উইন্টার এর ড্রেসকোড হিমালয়ের মতোই। ঐ ড্রেস, আর মাস্ক নিয়ে কতক্ষন কিভাবে থাকা যায় সেটাও আমি জানি। না পর্বতারোহী হওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই, যে টুকু করেছি নিছক ভ্রমন আনন্দ থেকে করেছি। তবে এটুকু বুঝতে পেরেছি পর্বতারোহন কি। আপনার মতো একেবারেই অন্যের পোস্ট পড়েই ঝাপিয়ে পড়ছি না।
"ছবি পেয়েছি" বলে গলা ফাটিয়ে আপনি পোস্ট দিলেন। দিলেন পুরোনো কিছু ছবি। সাড়ে চার মাস পরে পাওয়া ঐ ছবি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। নানা ভাবে নানা সফটওয়ার দিয়ে লোকজন পরীক্ষা করে দেখতে পারে। আপনি বললে সফটওয়ার সম্পর্কে না জেনেই আমি ভিডিও বানিয়ে ফেললাম। আপনি সফটওয়ার বিশেষজ্ঞ আপনি ক্যামেরা সংযুক্ত করে দিয়ে কি করে সফটওয়ার ব্যবহার করতে হয় আমাদের শেখালেন, আমরা শিখলাম, কি শিখলাম এবং ওটা কি করে মিস-ইউজ করতে হয় এটা বলাই দা দেখিয়ে দিলেন।
বিরুদ্ধ মত কে গ্রহন করতে শিখুন, এতে কোনো ক্ষতি নেই।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
বক্তব্যের ঔদ্ধত্য বেশি চোখে পড়লো। এরকম ঝাঁজালো কথা স্পিরিট নষ্ট করে দেয়।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
তাহলে আপনিও পর্বত আরোহী।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ব্লগ-ইতিহাস অনুযায়ী মেটাব্লগিং কখনো কোনো ভালো ফল বয়ে আনেনি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লোকজন মেটাব্লগিং নিয়ে লাগলো ক্যান? ভাই, পোস্টে ভুল থাকলে বলেন, মেটাব্লগিংটা মডুরা দেখুক। তারা চাইলে ব্যাখ্যা দাবি করুক, ব্যাখ্যা না করতে পারলে পোস্ট বড়জোর প্রথম পাতা থেকে সরে যাবে, পোস্টের বক্তব্য পালটাবে না।
আরিফ ভাইয়ের পোস্টে যে বিশাল পরিশ্রম করলেন, এখানে তার ৫% দিলেও আমার পোস্ট ভুল কিনা বা মুসার ছবি এডিটেড কিনা, সে সম্পর্কে ভালো ধারণা পেতে পারবেন। আর যদি মেটাব্লগিং বলে আমার পোস্ট ভুয়া বলে পাশকাটানো স্টান্টবাজির কারো ইচ্ছা থাকে, তাহলে মেটাব্লগিং জিকির তোলা পর্যন্তই থেমে থাকা হবে, কাজের কিছু হবে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বড় কমেন্ট করেছিলাম। সেটা কোনো ইরর হওয়ায়পোস্ট হয়নি। আবার চেষ্টা করি।
আর এতে প্রমাণ হলো ছবি কাটাকুটি করা সম্ভব (আমরা জানি ভিডিও'ও সম্ভব)। কিন্তু এতে কি প্রমাণ হলো যে আরিফ ভাইয়ের কাছে থাকা ছবিগুলো সব 'কাটাকুটি করা' ? আর ছবি এডিট করা হয়েছে কিনা সেটা ছবির বিটম্যাপ/জেপেক থেকেও অনেক সময় বলা সম্ভব। কারণ ডিসকন্টিনিউইটি এসে যায়। কিন্তু সেই কাটিং এজ ইমেজ প্রসেসিং কে করবে?
আর এই যদি হবে অবস্থা। তাহলে হিমালয়ের উপরে যে মূসা উঠেছেনই (বা ওঠেননি)। সেটা প্রমাণ হবে কী করে?
আর আমরা যদি প্রমাণ করতে পারি যে 'প্রমাণ করার কোনো রিলায়েবল উপায় নেই' তাহলে আর এই তর্ক নিরশনের আর কোনো যৌক্তিক উপায় থাকে না।
আরিফ ভাইয়ের পোস্টে একটা গাণিতিক সমস্যা এসেছিলো। আমি মনেকরেছি সেটা সমাধান করা সম্ভব। এবং করেছি। ঐ ছায়ার ছবিটা যদি মুসার নিজ হাতে তার নিজ ক্যামেরায় তোলা হয়ে থাকে তাহলে ওটা তানভীর ভাইয়ের দেওয়া ছবিটার চেয়ে বেশি উচ্চতা থেকে তোলা হওয়ায় বলতে হবে মুসা ঐ উচ্চতা ছিলেন।
ওটা মুসার তোলা ছবি কিনা সে নিয়ে তর্ক করা যেতেই পারে। কিন্তু ঐ ছবিটা উচু থেকেই তোলা হয়েছে। ব্যাস। গণিতের উপর যাদের ভরসা আছে, তাদের জন্য আমার দেখানো প্রমাণটা যথেষ্ট। আর একটা অবজেক্ট ছবিতে এনে বসিয়ে দেওয়া যায় ঠিকই। তাই বলে ওরকম একটা ছবি (কোণাকার ছায়ওয়ালা) কম্পলিট থ্রিডি রেন্ডারিং (মাউন্টেইন টেরাইনে যেটা অসম্ভব) ছাড়া তৈরি(বা ফেক) করা যায় না।
আর মেটাব্লগিং সঙ্ক্রান্ত আমার মন্তব্যটা একারণেই করা- দেখুন আপনার রিপ্লাইএর ভাষাটা কেমন অপ্রীতিকর হয়ে গেছে। এটা ঘটে। এবং মন্তব্য চলার সাথে সাথে বাড়তে থাকে। এবং থাকবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
না, আমি মুসার ছবি পাই নি, কিভাবে বুঝবো কাটাকুটি করা?
এতে প্রমাণ হয়, আমি কাটাকুটি করার পরে যে ধরনের রেজাল্ট আসছে, তার সাথে মুসার ছবির রেজাল্টের মিল আছে, অরিজিন্যাল ছবির রেজাল্টের সাথে মিল নেই।
মুস্তাফিজ ভাইয়ের কথাকে এক্সট্রাপোলেট করে ভিন্নখাতে ঘুরানো হয়েছে, পোস্ট থেকে সেটাও পাওয়া যায়। মুস্তাফিজ ভাই বলেছেন, ছবিগুলো মুসার ক্যামেরায়ই তোলা। আমার পরীক্ষাও সেদিকেই ইঙ্গিত দেয়। এবং ওই ক্যামেরায় তোলা ছবিকে এডিট করলেও ক্যামেরার ইনফো থাকে, সেটাও আমার পোস্টে দেখা যায়।
মুসা এখন পর্যন্ত কোনো ভিডিও দেখান নি, দেখাবেন বলেও মনে হয় না। এভারেস্টের চুড়ায় তার স্পষ্ট কোনো ডিটেল ছবিও দেখানো হয় নি। একটা ছবিতে একটা হলুদ দাগকে বুদ্ধমূর্তির কোণা বলা হচ্ছে - এই পর্যন্তই সো ফার প্রমাণ! এর ওপর ভিত্তি করে 'প্রমাণ দিয়ে লাভ কি' সিদ্ধান্তে আসা যায় না।
-------
আমার রিপ্লাইয়ের ভাষায় দুঃখ পেলে সরি। কিন্তু আমি পোস্টে পোস্টসংক্রান্ত মন্তব্য আশা করি, মেটাব্লগিং কিনা সেই সিদ্ধান্তের জন্য কমেন্ট খরচ করতে আমার অনীহা আছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মেটাব্লগিং মনে হচ্ছে না তো! বরং, ওপরে বলাই ১৩ নং মন্তব্যে যা বললেন, সেটাই মূল ব্যাপার মনে করছি।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
১. ঠিক আছে, মেটা ব্লগিং এর জন্য আমরা মডারেটরদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকলাম। মডারেটরদের কাছে যদি এটি মেটা ব্লগিং মনে না হয়, তাহলে আমি সে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বিভিন্ন কমেন্ট থেকে উদ্বৃতি নিয়ে কিছু আলাদা পোস্ট দিয়ে আলোচনাকে বহুমুখী করব। এ পর্যন্ত এ নিয়ে আর আলাপ নাই।
২.
আপনি লিখেছেন,
তাহলে আমার ধারণা আমরা মুস্তাফিজ ভাইয়ের স্ট্যান্ডার্ডটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারি, এখানে কাজী মামুন উথাপিত সফটওয়্যার নিয়ে নয়।
এই সফটওয়্যার যা দিয়ে কাজী মামুন পরীক্ষা করেছেন এবং তার পরীক্ষার পরে উনি ভিডিও বানিয়ে আপলোড করার পর মুস্তাফিজ ভাইও ঐ একই সফটওয়্যার দিয়ে পরীক্ষা করে যা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে ঐ সফটওয়্যারে তার কাছে থাকা আদি ছবিতে অন্য রিডিং আসে।
এখন আপনার পোস্ট থেকে প্রাপ্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে,
JPEGsnoop সফটওয়্যারটি ভূয়া।
এই সফটওয়্যারটি ভূয়া কি না সেটা বোধহয় আমাদের আলোচ্য না।
৩.
আমাদের আলোচ্য বোধহয় হওয়া উচিত :
মুস্তাফিজ ভাইয়ের নিজস্ব পরীক্ষায় যদি কোনো ত্রুটি থাকে, সেগুলোকে চিহ্নিত করে বলা, এবং একটি স্ট্যান্ডার্ড পরীক্ষা পদ্ধতি নিশ্চিত করা। সেই নিশ্চিত পদ্ধতিতে আমার সংগৃহিত ছবিগুলো পরীক্ষা করে দেখা, যে ছবিগুলো ফেব্রিকেটেড কি না।
এফিক্স ডাটা নিয়ে আমি এখন চিন্তিত না, ইতিমধ্যে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি যে এটি টেম্পার করা সম্ভব। ( করা হয়েছে কি না, সেটা ভিন্ন কথা)
আমি দেখতে এবং জানতে আগ্রহী যে ছবিগুলোতে ( ডাটায় নয়, ছবিতে) হাত দেয়া হয়েছে কি না। অর্থাৎ ঐখানে ঐ পাহাড়টা বা স্তুপটা বা মুসার মুখটা কি বসিয়ে নতুন ছবি তৈরী করা হয়েছে নাকি?
এই পরীক্ষা পদ্ধতির ব্যাপারে একটি স্ট্যান্ডার্ড স্কেল তৈরী করতে পারলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব।
২. সফটওয়্যারটি নিজেই probability শব্দটি উল্লেখ করে।
এজন্যই আমার পোস্টে আমি কোনো কনক্লুশন টানি নাই। আমি শুধু দেখাতে চেয়েছি, এই সফটওয়্যার অনুসারে (যেটাকে ব্যবহার করে মুস্তাফিজ ভাই একটি স্ক্রীনশট দিয়েছিলেন) মুসার ছবির তথ্য ডক্টরড ছবির তথ্যের সাথে মেলে, অরিজিন্যাল ছবির সাথে মেলে না।
৩. মুস্তাফিজ ভাই কি পরীক্ষা করেছেন, সেটা বিশদে জানলে ভালো হয়। উনার কথার ওপর ভিত্তি করে অনেকেই মুসার ছবিকে 'ফাইনাল' মনে করছেন। ফিউশন ফাইভ গ্রুপের ছবি ম্যানিপুলেটিংয়ে পারদর্শিতার কথা জানা না থাকলে আমিও এই বিষয়টা নিয়ে ঘাটতাম না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমার লেখায় আমি লিখেছি,
অথচ আপনি গুরুতর অভিযোগ তুলে বলছেন যে,
মুস্তাফিজ ভাই যদি যা মিন করেননি সেরকম কিছু আমি লিখে থাকি, তাহলে এ ব্যাপারে মুস্তাফিজ ভাই গত ২৪ ঘন্টায় কোনো আপত্তি করেছেন বলে আমি দেখি নি। আপত্তি করলে আমি অবশ্যই শুধরে নেব। নিশ্চিত করতে পারি, আমার কোনো ইনটেনশন নাই। আমি মুসা পক্ষ না, মুসা বিপক্ষও না।
কিন্তু আপনি মুস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করার রেফারেন্স টেনে যে কথাটি লিখেছেন, তাতে মনে হচ্ছে আমি মুস্তাফিজ ভাইয়ের কথাকে বিকৃত করেছি !!!
আরিফ ভাই, আপনি তো কোনো পক্ষ না। আপনি কোনো কনক্লুশনও টানেন নি, মুস্তাফিজ ভাইয়ের কথাকে রেফারেন্স ধরে অনেকেই 'কনক্লুসিভ' প্রমাণ 'পেয়ে গেছেন', আমার পোস্ট তাদের কাজে লাগবে।
আমি আপনাকে একটা অনুরোধ করি, আপনি নিজে একটু আমার পোস্টের জিনিসটা টেস্ট করে দেখেন, মাত্র ১০ মিনিট লাগবে।
আর আপনার-আমার অভিযোগ-পালটা অভিযোগ, ভুল বোঝা যদি কিছু থাকে, সেগুলো আমরা অফলাইনেই মিটিয়ে নিতে পারি মনে হয়, সেদিকে ক্যাচাল নিয়ে পোস্টটাকে কাগুর পোস্টের মতো নষ্ট করার মানে হয় না।
আর সময় করতে পারলে ইমেইলে আমাকে মুসার কিছু ছবি দিয়েন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
১. আমার টেস্ট করার দরকার নেই, আমি আপনার উপর আস্থা রাখছি। আপনি যখন প্রমান করে দেখিয়েছেন যে এই সফটওয়্যারটি সঠিক রিডিং দিতে পারে না, আমিও মেনে নিলাম যে এই সফটওয়্যারটি ভূয়া। একই সফটওয়্যার নতুন করে পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে না।
২. কিন্তু সফটওয়্যার ভূয়া হলে আমাদের খূঁজতে হবে ভালো সফটওয়্যার এবং ভিজ্যুয়াল এক্সপার্ট, এর আগে ছবি টেম্পারিং এর বিষয়টি বলা যাচ্ছে না।
৩. আমি আপনাকে ছবিগুলো আজ রাতে পাঠাচ্ছি। ফিউশন ফাইভ গোষ্ঠির দক্ষতা নিয়ে আমারও কোনো সন্দেহ নাই, তবে এতগুলো ছবিকে আলাদা আলাদা ভাবে টেম্পার করে একই খাপে নিয়ে আসাটা সম্ভব কি না আমার সন্দেহ আছে। আপনি হয়তো আলো ফেলতে পারবেন।
সমস্যা হলো সফটওয়্যার ভুয়া - এটা বলা যাচ্ছে না। সফটওয়্যার ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। বিশেষ করে আমি যতগুলো ছবি টেস্ট করেছি, তার সবকটিই সফটওয়্যারের সিদ্ধান্তের সাথে যায়; অর্থাৎ অরিজিন্যাল ছবি হলে এক প্যাটার্ন, এডিটেড ছবি হলে অন্য আরেক প্যাটার্ন।
সফটওয়্যারের ডেটাবেইজে ক্যামেরার ইনফো না থাকলে সে সেটাও ডিটেক্ট করে। এখন ইউজার যখন একটা প্যাটার্নকে অরিজিন্যাল বলে রায় দেয়, তখন ইউজারের সেই সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করে সফটওয়্যার বলে '(তোমার চিনিয়ে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে) এটা অরিজিন্যাল ছবি'। কিন্তু সফটওয়্যার সাথে এও যোগ করে যে কিছু সফটওয়্যার (টাইপ) দিয়ে এডিট করলেও একইরকম প্যাটার্ন দেখা যায়।
আমার অভিজ্ঞতামতে (ছবি না হলেও কম্পুটারই আমার রুটি-রুজি) পরীক্ষা এই সফটওয়্যার সঠিক হওয়ার পক্ষেই যায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
গুড। তাহলে আমরা বেশ এগিয়েছি মনে হচ্ছে।
আমরা এখন এভাবে ছবি নিয়ে কাজ করতে পারি।
১. ছবি এডিটেড নাকি অরিজিনাল। কম্পু বিশেষজ্ঞদের মতামত। ( অন্য উন্নত সফটওয়্যারের খোঁজ পাওয়ার আগ পর্যন্ত আপনার ব্যবহৃত সফটওয়্যারেই না হয় এখন একটা পরীক্ষা হোক।)
২. ছবি এডিটেড নাকি অরিজিনাল। ইমেজ বিশেষজ্ঞদের মতামত।
২. ছবি যদি অরিজিনাল হয়ে থাকে, তাহলে ছবিগুলো এভারেস্টের চূড়ায় নাকি নিচে ( এ বিষয়ে হিমু জানিয়েছেন যে নিচে থেকে ছবি তোলারও সম্ভাবনা আছে, আবার একজন অতিথি বলেছেন যে ঐ পর্যায়ে চোমো লোনজোর একই ভিউ পাওয়া সম্ভব না। দুজনেরই বিস্তারিত মন্তব্যের অপেক্ষা করা যেতে পারে)
-
আমি আপনাকে আপাতত আমার মেইলে এটাচ থাকা কয়েকটি ছবি পাঠাচ্ছি। গতকাল রাতে স্লো নেটে সবগুলো এটাচ করতে পারি নি, সেগুলো রাতে পাঠাব আশা করি।
একই ছবি আমি জ্বিনের বাদশাকেও পাঠাচ্ছি।
আরিফ ভাই
ছবির জন্য সোমবার থেকে অপেক্ষা করছি। অন্তত তিনটা ছবি: মূসা ভি দেখাচ্ছে, মূসা ডেলি স্টার ধরে আছে, এভারেস্টের ছায়া। কোন ধরনের এডিটং ছাড়া, ছবির মূল ফাইল। ফ্লিকার বা কোন ইমেজ হোস্টে না, জিপ করে মিডিয়া ফায়ার বা সে ধরনের কোন ফাইল হোস্টে তুলে দিন প্লিজ। ছবি পাওয়ার আগ পর্যন্ত কোন ধরনের পর্যবেক্ষণ/মন্তব্য করব না।
তিনটার পর, বাকী ছবিগুলোও চাই। কীভাবে সংগ্রহ করতে হবে বলে দিন।
এটা যদি মেটা ব্লগিং হয় আমার মতে এভারেস্ট সম্পর্কিত আরিফ ভাইয়ের দুটো পোস্টও মেটা ব্লগিং। কারণ হিমু ভাইয়ের পোস্ট এর আলোচনা এখনো শেষ হয় নি।
"ইতিমধ্যে প্রকাশিত কোন ব্লগের প্রতিক্রিয়ায় এমন কোন পোস্ট, যার কন্টেন্ট বা বক্তব্য মূল পোস্টের মন্তব্য আকারেই আসতে পারে"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
আমার মনে হয় এই সফটওয়ার যারা বানাইছে তাদেরকে ব্যাপারটা রিপোর্ট করা উচিত। মজার ব্যাপার হলো, সফটওয়ার ধরতে পারছেনা এডিটেড ফটো, অথচ তার রেজাল্টের প্যাটার্ণ দেখে ইউজার ধরতে পারছে এডিটেড ফটো -- এইটা যদি ঠিক হয় তাইলে তো সফটওয়ার যে বানাইছে তার কাছ থেকে পয়সা নেওয়া উচিত।
একটা জিনিস বুঝলাম, FINE আর superfine এর ব্যাপারটা, ক্যামেরা মডেল ডেটাবেজে এ্যাড করার সময় কোয়ালিটির ঘরে যা লিখবেন সেইটাই আসবে, ওটার সাথে এডিটেড/অরিজিনালের মনে হয় সম্পর্ক নাই।
আমার একটা প্রশ্ন, ব্যাপারটা বোঝা যাচ্ছেনা:
দেখা গেল ক্যামেরা এ্যাড করতে হইলে সফটওয়ারের আগে ঐ ক্যামেরা মডেলকে ডিটেক্ট করতে পারা লাগে, না পারলে মডেলের ঘরে "???" এরকম টেক্সট থাকে। তাই, অরিজিনাল/এডিটেড দুই ধরনের ছবির বেলায়ই নিশ্চয়ই সফটওয়ার আপনার ক্যাননের ক্যামেরা মডেল ডিটেক্ট করতে পেরেছে, ঠিক?
তো প্রশ্ন হলো, অরিজিনাল ছবির সময় ক্যামেরার মডেল ডেটাবেজে আছে, অথচ এডিটেড ছবির সময় নাই কেন?
আরেকটা প্রশ্ন: মুসার ছবিটার বেলায় দেখা যাচ্ছে সব মডেলের জন্যই subsamp match এর ঘরে yes আসতেছে, অথচ এডিটেড ছবির বেলায় শুধু যে ক্যামেরাটা এ্যাড করা হয়েছে সেটার বেলায় yes আসতেছে। এটারই বা কারণ কি?
মোট কথা এই সফটওয়ারের উপর কোনরকম ভরসা করা ঠিক বইলা মনে হচ্ছে না।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সফটওয়্যারের ওপরে ভরসার ব্যাপারে আমার অভিজ্ঞতা সফটওয়্যারের পক্ষেই ভোট যায়। সফটওয়্যার অনিশ্চয়তা দেখালে ইউজার যদি বলে দেয় যে, না, এই প্যাটার্ন অরিজিন্যাল, তাহলে সফটওয়্যার সেটাকে অরিজিন্যালই দেখাবে। উপরে মন্তব্য ১৩.১.১.১ দেখুন।
আমি যতোটুকু বুঝলাম, ক্যামেরার মডেল এক্সিফ ডেটা থেকে নেয়। কিন্তু মডেলের নামের সাথে আরো কিছু প্রোপার্টিজও মিলিয়ে দেখে। সেগুলো না মিললে সার্টিফিকেট দেয় না ইউজার ফিডব্যাক ছাড়া। এজন্য কোনো ক্যামেরায় তোলা অরিজিন্যাল ছবিকে প্রথমবারেই সার্টিফিকেট দিলেও ওই ছবি এডিট করলে অনিশ্চয়তা দেখায়; কিন্তু মডেল নাম যোগ করার সময় এক্সিফ থেকে নেয়া সঠিক মডেলই যোগ করে।
Yes/No টা সম্ভবত এক্সিফ ডেটা ম্যানিপুলেট করে ঠিক করা যেতে পারে। এডিটেড ছবিতে এক্সিফ ডেটার অন্তত কিছু কিছু জিনিস চেঞ্জ হয়। আমার এডিট গুলো একেবারে কাঁচাহাতের raw এডিট। এক্সিফে হাত দেই নাই।
তবে ছবি এডিট হলেই ম্যাচিং সফটওয়্যারের ওই লিস্টটা আসে, অরিজিন্যাল হলে ক্যামেরা অ্যাড করা হোক আর এমনিতে ডিটেক্ট করুক, কখনোই এর অন্যথা দেখি নাই। পোস্টের (ঘ) নম্বর অরজার্ভেশন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাই দা,
এই সফটওয়ারের পারফরম্যান্সে আমি বিভ্রান্ত।
মনে হচ্ছে মেকার টু মেকার এর লগ ভিন্নরকম আসে
যেমন আমার Sony DSC-T20 এর ছবিগুলোর বেলায় মুস্তাফিজ ভাইয়ের রেজাল্টের মতোই রেজাল্ট আসছে। ক্যামেরার লিস্টও কাছাকাছি
ছবিগুলো দেখুন:
DSC-T20(১ম ছবির অংশসহ)
http://www.flickr.com/photos/54833925@N06/5077640629/
DSC-T20(১ম ছবির শুধু লগ)
http://www.flickr.com/photos/54833925@N06/5078235752/
DSC-T20(২য় ছবির অংশসহ)
http://www.flickr.com/photos/54833925@N06/5078236102/
DSC-T20(২য় ছবির শুধু লগ)
http://www.flickr.com/photos/54833925@N06/5077641531/
আবার Sony HDR-UX1 (এটা হ্যান্ডিক্যাম) এর বেলায়ও একই রকম রেজাল্ট আসছে, এবং একই সাথে ছবিগুলোকে এডিটেড বলে ঘোষনা দিচ্ছে
মডেল ডেটাবেজে যোগ করার আগে
http://www.flickr.com/photos/54833925@N06/5078235166/
মডেল ডেটাবেজে যোগ করার পরে (স্টিল এডিটেড!!!! হাউ কাম!!!)
http://www.flickr.com/photos/54833925@N06/5078235238/
আবার Canon 20D এর বেলা আপনার এখানকার মতো রেজাল্ট, যদিও ক্যাননের একগাদা ক্যামেরার লিস্ট লগ এ দেখাচ্ছেনা।
http://www.flickr.com/photos/54833925@N06/5078236692/
আমার মনে হয়না এই সফটের লগ থেকে কোন ডিসিশনে আসা যায়।
ক্যামেরাভেদে লগ-এর এরকম ভিন্ন আচরণের কারণ সফটওয়ার ভেন্ডরকে জিজ্ঞেস করা বেটার। এটা আমার অভিমত।
ভালো থাকবেন।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জ্বিনের বাদশা ভাই,
আপনি মুসার ছবিগুলোও পরীক্ষা করেন। আমি মুসার কিছু ছবি পেয়েছি (আরিফভাইকে ধন্যবাদ), যার অন্তত ২টা কনফার্ম এডিটেড, আরো কিছু ছবি পেলে আশা করি পর্যাপ্ত স্যাম্পল পেয়ে যাবো। এরপরে কার্যকারণ বিশ্লেষণে আরো নিঁখুত হওয়া যাবে।
Yes/No এর ব্যাপারে, আমি একটা ছবি ACDSee তে এডিট করে দেখলাম Yes থাকে। ডিটেলস পরে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সফটওয়ারকে দোষারোপ করার আগে জানা দরকার সফটওয়ারটা কীভাবে কাজ করে। যে ছবিকে পরীক্ষা করা হবে, সেটাকে প্রসেস করে ক্যামেরা নাম ডেটাবেসে ঢুকালে সেটা একাডেমিক মেরিটে সঠিক পদ্ধতি না। একই ডেটা ট্রেনিং + টেস্টিং এ ব্যবহার করা হলে সব সময় ট্রু পজিটিভ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সঠিক পদ্ধতি হলো মূসার যে ক্যামেরা সে মডেলের ক্যামেরা যোগাড় করতে হবে, সেটা দিয়ে ছবি তুলে জেপেগস্নুপে দিতে হবে, ক্যামেরা না চিনলে চিনাতে হবে। তারপর, মূসার ছবি পরীক্ষা করতে হবে।
সঠিক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রিয় অছ্যুৎ বলাই,
অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে সচলায়তনে মেটাব্লগিং কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। যে কারনে এই পোস্টটিকে মেটাব্লগিংয়ের আওতাভুক্ত করা যায় সেগুলো নিম্নরূপ:
১। সংজ্ঞা: "ইতিমধ্যে প্রকাশিত কোনো ব্লগের প্রতিক্রিয়ায় এমন কোনো পোস্ট, যার বক্তব্য মূল পোস্টের মন্তব্য আকারেই আসতে পারে"।
২। কনটেক্সট: ব্লগটি কনটেন্ট বুঝতে হলে আরিফ জেবতিকের পোস্টটি পড়া বাঞ্চনীয়। অর্থাৎ এই পোস্টটি স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়।
৩। উদ্দেশ্য: লেখার শুরুতে আপনি বলেছেন: "মুসার এভারেস্ট ক্যাচালে যোগ দেয়া এই পোস্টের উদ্দেশ্য না; বরং ক্যাচালের তৃতীয় পক্ষ - বাকি দুই পক্ষ কারা সে হিসেবে গেলাম না - হিসেবে একটা পোস্ট কাউন্ট বাড়ানো"। উদ্দেশ্যটি একই বিষয়ে নতুন ব্লগ লেখার জন্য উপযুক্ত নয়।
এমতাবস্থায় মেটাব্লগিংয়ের কারণে আপনার একাউন্টটি মডারেশনের আওতায় কেন নেয়া হবে না সেটা জানাতে অনুরোধ করা হল। আপনি এই মন্তব্যের উত্তরে অথবা contact এট সচলায়তন বরাবর আপনার উত্তর পাঠাতে পারেন। আপনার সহযোগীতার জন্য আগাম ধন্যবাদ রইল।
প্রিয় কালো-মডু,
১। সংজ্ঞা: এই পোস্ট শুধুমাত্র একটি ছবি নিয়ে নয়। আরিফ ভাইয়ের পোস্টের ছবিটি আসল, না নকল, তার গাণিতিক প্রমাণ করাও এই পোস্টের মটো না। এই পোস্টে বিভিন্ন ক্যামেরায় তোলা ভিন্ন ভিন্ন ছবি দিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর বাইরে মুসার সমস্ত ছবি বিশ্লেষণ করেও এই পোস্টে ও এর মন্তব্যে যোগ করা হচ্ছে এবং হবে। সুতরাং এই পোস্টের কিছু অংশ আরিফ ভাইয়ের পোস্টে মন্তব্যাকারে আসার উপযুক্ত হলেও এর ব্যপ্তি তার চেয়ে অনেক বেশি।
২। কনটেক্সট: পোস্টটি অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ। সায়েন্টিফিক পাবলিকেশনে অন্য কোনো পেপারের উদ্ধৃতি যোগ করলেই পেপারটি অস্বয়ংসম্পূর্ণ হয় না। এক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। আমার জানামতে আরিফ ভাইয়ের পোস্ট থেকে মাত্র দুটি জিনিস রেফার করা হয়েছে: মুসার একটি ছবি এবং একটি মন্তব্যে দেয়া স্ক্রিনশট।
৩। উদ্দেশ্য: 'হিসেবে একটা পোস্ট কাউন্ট' বাড়ানো স্রেফ রসিকতার ছলে বিনয়। আপনি পোস্ট পড়ে থাকলে দেখবেন, অনেক সময়ই সফটওয়্যারকে চা্চু বা চাচ্চু বলা হয়েছে। পুরো পোস্টই রসিকতার ভঙ্গিতে সিরিয়াস বিষয়ের উপস্থাপনা। এটা আমার দৃষ্টিতে আমার নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য, যা আমার লেখাকে প্রাণ দেয়। সচলে এরকম এক্সপ্রেশন নিষিদ্ধ হলে বলবেন, বিকল্প বাক্যবিন্যাসের চেষ্টা করবো।
উল্লেখ্য যে, মেটাব্লগিংয়ের যে উদাহরণগুলো চোখের সামনে ভাসে, তার সবগুলোই মূলত ঢেকেঢুকে ব্যক্তি-আক্রমণ। এই পোস্টে সেরকম কোনো নিশানাও দেখা যায় না।
উপরিউক্ত ব্যাখ্যার প্রেক্ষিতে আমার বিবেচনামতে পোস্টটি একক পোস্ট হিসেবে সচলের স্ট্যান্ডার্ডকে কোনোমতেই ক্ষুণ্ণ করে না। বাকিটা আপনাদের বিবেচনা। ধন্যবাদ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
যৌক্তিক ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ। যেহেতু পোস্টটি ব্যক্তি আক্রমনসুলভ নয় তাই এ ব্যাপারে আপাতত কোন ব্যবস্থা নেয়া হল না। অনুগ্রহ করে ভবিষ্যতে আরও যত্নবান থাকবেন।
অতিথি সচলের অভিযোগ করার অধিকার আছে কিনা আমার জানা নেই। যদি থাকে এমার এ মন্তব্যকে অভিযোগ হিসেবেও বিবেচনা করতে পারেন।
একজন অতিথি সচল হিসেবে আমি একটু মেটাব্লগিংটা বুঝে নিতে চাই। আমি জানি না আমার প্রশ্ন করার অধিকার আছে কিনা, তবুও করছি কারণ সচল হওয়ার আগে আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখে নিতেই হবে-
"ইতিমধ্যে প্রকাশিত কোনো ব্লগের প্রতিক্রিয়ায় এমন কোনো পোস্ট, যার বক্তব্য মূল পোস্টের মন্তব্য আকারেই আসতে পারে"
হিমু ভাইয়ের নেভারেস্ট ও প্রায়নেভারেস্ট পোস্টের আলোচনা শেষ না হওয়ার আগেই নিন্মোক্ত পোস্টগুলো কেন মেটাব্লগিং এর আওতায় আনা হবে না?
১- মুসা ইব্রাহিমের বক্তব্য-০
২- নেভারেস্ট এবং একজন ব্রেনডন ও'ম্যাহনি
৩-মুসা ইব্রাহিমের ছবিগুলো
৪- বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি !
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
কোন ধরা বাঁধা নিয়ম তো নেই। সমস্ত সমালোচনাকেই মেটাব্লগিং বলে ফেলা যায়। তবে নীচের প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করতে হবে পোস্ট সর্ম্পকে।
১। প্রতিক্রিয়া পোস্টটি মূল পোস্টের মন্তব্য থেকেই উঠে এসেছে কি? (মন্তব্যের পোস্ট হয়ে ওঠা)
২। প্রতিক্রিয়া পোস্টটি মূল পোস্টের কতখানি পরে প্রকাশিত হয়েছে?
৩। প্রতিক্রিয়া পোস্টটি মূল পোস্ট থেকে কতখানি স্বতন্ত্র?
৪। প্রতিক্রিয়া পোস্টটি কি মূল পোস্ট কে দীর্ঘায়িত করে, নাকি মুল পোস্টকে একটি ইস্যু ধরে নিয়ে একটি জেনারেলাইজড বিষয় বিশ্লেষণ করে?
৫। প্রতিক্রিয়া পোস্টের উদ্দেশ্য কী?
আপনার উল্লিখিত প্রতিটি পোস্টের উদ্দেশ্য মূল বিষয়টির জটিলতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়নি, মূল পোস্ট থেকে যথেষ্ট সময় পরে প্রকাশিত, মূল পোস্টের মন্তব্য থেকে উঠে আসেনি এবং মূল পোস্ট থেকে যথেষ্ট স্বতন্ত্র।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমি জানি না আমার আগে এই পয়েন্টটা কেউ বলেছে কি না, সেটা হল ছবি এডিটেড হলেই কি বলা সম্ভব কি ধরণের কাজ করা হয়েছে ? আমি নিজে ফ্লিকার বা অন্য কোথাও ছবি দেয়ার আগে একটু ঘষামাজা করে নেই ফটোশপে। সেই ছবিও তো এডিটেড। মুসা ইব্রাহিমের ছবির উপরও তো সেই ধরণের কাজ হতে পারে। তবে তার বক্তব্য যদি হয় যে এই ছবিকে কোনও ভাবেই এডিট করা হয় নি, তাহলে অবশ্য অন্য ব্যাপার।
আমি জানি না আমার আগে এই পয়েন্টটা কেউ বলেছে কি না, সেটা হল ছবি এডিটেড হলেই কি বলা সম্ভব কি ধরণের কাজ করা হয়েছে ?
----
অমিত, প্রশ্নটা আসছে কেন?
বিষয়টা প্রমাণের। একটা পতাকাঢাকা জিনিস থেকে সামান্য সত্য থাকলে সেটা বের করা হচ্ছে, পাহাড়ের এঙ্গেল দেখা হচ্ছে। অরিজিনাল ছবিই ছাড়া অন্যগুলো গ্রহণযোগ্য হবে কেন? আপনার সখের ফটোশপ এডিটেড ছবির সঙ্গে এর উদ্দেশ্য তো মেলে না।
আমি এডিটেড বলেছি, ডক্টরড বলিনি। ছবি মুসা থেকে ভায়া মিডিয়া হয়ে এসেছে। সেখানে সফটওয়্যারের টাচ লাগাটা খুবই স্বাভাবিক। এখন এই সফটওয়্যার দিয়ে যদি দেখা যায় যে ছবিগুলা এডিটেড, তাহলেই কি এই স্বিদ্ধান্তে আসা সম্ভব যে ছবিগুলা নকল ?
খুব যদি ভাল কাজ হয়ে থাকে, ছবিগুলার ফরেনসিক অ্যানালাইসিস না করে সেগুলার অথেনটিসিটি বিচার করা সম্ভব না মনে হয়।
" ছবি মুসা থেকে ভায়া মিডিয়া হয়ে এসেছে।"
তাই কি? মিডিয়ার হাতে কখন ছবি গিয়েছে এটা এখনো নিশ্চিত নয়। এক রিফাত ফারজানা(আদৌ সাংবাদিক কিনা কে জানে!) ছাড়া আর কোনো সাংবাদিক বা পত্রিকাকে বলতে দেখিনি যে আমরা ছবি পেয়েছি।
আরিফ ভাই বলেছেন- " এখানে আমরা সচলে এক অতিথির কমেন্টে জেনেছিলাম যে প্রচুর ছবি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়েছে, এবং সাংবাদিকরা মেমরি স্টিকে সেই ছবি নিয়ে গেছেন।
সেই আলোচিত ছবিগুলো আমি সংগ্রহ করেছি।"
তিনি কিভাবে কোথা থেকে এই ছবিগুলো পেয়েছেন এটা আমরা এখনো জানি না।
তিনি যদি এটা স্পষ্ট করেন, তাহলে মনে হয় আরও কিছু হিসেব সহজ হয়ে যাবে।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
অমিত, মুসা নিজে তো কোথাও আপলোডাচ্ছে না, ভায়া মিডিয়া না হয়ে অন্য উপায় দেখতেছি না। এনিওয়ে, আরিফ ভাই আমাকে ও জ্বিনের বাদশা ভাইকে যে ছবিগুলো পাঠিয়েছেন, সেগুলোর সোর্সকে অথেনটিক বলে নিশ্চিত করেছেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
খুব বেসিক একটা পয়েন্ট ধরেছেন। বিশেষ করে অনেক সময়ই দেখা যায় লম্বালম্বি তোলার জন্য ক্যামেরা রোটেট করে তোলা ছবিকে পরে রোটেট করতে হয়।
তবে খুব নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও ছবির ডক্টরড অংশ ডিটেক্ট করার কিছু উপায় আছে। উপরে একজন একটা লিংক দিয়েছেন (যদিও ওটা কাজ করছেনা ঠিকমতো)। আপাতত খোঁজে আছি।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জ্বিনের বাদশা ভাই, আরিফ ভাইয়ের কাছ থেকে আপনার ও আমার পাওয়া মুসার ১১টা ছবি পরীক্ষা করে কি দেখা যায়, তা (সম্ভব হলে, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বাদে শুধু অবজার্ভেশন) একটা মন্তব্যে দেন।
আমি পোস্টে মুসার ছবির তথ্যগুলো যোগ করবো। আপাতত সবগুলো ছবির জন্য অপেক্ষা করছি। এই ফাঁকে আপনার দেখাটা দেখি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদা, ধন্যবাদ। এখানে দিচ্ছি।
আমার কিছু মতামতও দিয়ে দিচ্ছি সাথে।
মোট ১১টা ছবি নিয়ে আমি চেক করে দেখলাম।
১। ছবি নং 466,467 এর বেলায় edited/ACDSee রেজাল্ট আসে। এই দুটো ছবি পোর্ট্রেট টাইপ। একটা ব্যাপার হতে পারে, ACDSee সফটে ওপেন করে ছবিগুলোকে রোটেট করে সেভ করা হতে পারে।
(বলাইদা, এখানে আমার একটা প্রশ্ন আছে, পরে করব।)
অন্যান্যগুলোর বেলায় দুই প্যাটার্নের লগরেজাল্ট আসে।
২। এক ধরনের লগপ্যাটার্নে ক্যামেরা লিস্টে সনির তিনটা মডেলের নামের পর ফুজিফিল্মের মুসার ক্যামেরার নাম আসে, তবে এরপর কোন সফটওয়ারের লিস্ট নেই। এটা ঘটছে 465, 468, 470, 474 ছবিগুলোর ক্ষেত্রে।
৩। বাকী লগপ্যাটার্নটা মুস্তাফিজ ভাইয়ের দেয়া রেজাল্টের মতো। ওটা আসে বাকী ৫টা ছবি অর্থাৎ 464,471,472,473,474নং ছবির বেলায়। উল্লেখ্য আমার DSC-T20 (Sonyর মডেল) দিয়ে তোলা অরিজিনাল ছবিতেও অবিকল একই রকম লগপ্যাটার্ন আসে।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
থ্যাঙ্কু, বস। আমি পোস্টে আপডেট দিলাম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভাই, আপনি মনে হয় বার্ডেন অফ প্রুফ বিষয়টা বুঝতে পারছেন না। যে দাবী করবে তাকে নিখুঁত প্রমাণ দিতে হবে।ধরেন রইসউদ্দিন জনসমক্ষে দাবী করে সে মেট্রিক পাশ। তাহলে রইসউদ্দিনকে অরিজিনাল সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। সার্টিফিকেটে সামান্য খুঁত পেলে পাবলিক সন্দেহ করে জাল বলবে। পাবলিকের কি দায় ফরেনসিক এনালাইসিস করে রইসউদ্দীনকে প্রমান করতে? যদি এডিটেড কে প্রশ্রয় দেয়া হয় মইজুদ্দীনেরা ধুমায়ে ডক্টর করবে আর দাবী করবে এডিটেড।
পোস্টের সংযোজন অংশটা চোখে পড়ে নাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন