"আশরাফুল একটা মা****দ।" অধৈর্য্য সুলতান আহমেদ চৌধুরী নিজের হাঁটুতে চাপড় মেরে প্রায় চিৎকার করে ওঠেন।
আশরাফুলের মাতৃ-যৌনসংসর্গবিষয়ক গালিপ্রাপ্তিসার্থকতার আগাপাশতলা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মাইক্রোস্কোপের নিচে ফেলে বিচার বিবেচনা করার সময় কিংবা স্পৃহা আমার না থাকলেও ১৯ তম ওভারে মাতবরি ফলিয়ে বল করতে আসা আহাম্মকটা যে পুরা ফাউল এ ব্যাপারে সুলতান আংকেলের সাথে আমার দ্বিমতের কোনো অবকাশ নাই। বাংলাদেশ কোচ জেমি সিডন্স তাকে অনেক বারই বল হাতে নিতে নিষেধ করেছে, সে শোনে নাই। এখন দল থেকে কিক খেয়ে পোলাপানের টিমে ক্যাপ্টেন হয়ে আবারও তার সেই বদভ্যাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
"অয় একটা আস্তআবাল, অর কথা আর কইয়েন না আংকেল" আমি গলা মেলাই আর কাঁচামরিচ-পেঁয়াজ-শরিষার তেল মাখা চানাচুর-মুড়ি চিবাই। চোখ টেন স্পোর্টসের দিকে সুপারগ্লু দিয়ে লাগানো।
আমি ক্রিকেট ফ্যান হিসেবে মজনু কিসিমের মানুষ। এমনকি ডেটিংয়ের ডেট ক্রিকেট ম্যাচের সাথে যাতে ওভারল্যাপ না হয়, সে ব্যাপারেও সচেতন থাকি। আজ সুলতান আংকেলের বাসায় ম্যাচ দেখতে বসে গেছি, নিজের বাসায় এই সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও এ কম্ম সম্ভব নয়। সুলতান আংকেল অবসর প্রাপ্ত সামরিক অফিসার, ফ্যানবাজির দিক দিয়ে আমি মাস্টার হলে তিনি পিএইচডি। দীর্ঘ গড়নের মানুষটা বয়সকালে নিজেও ক্রিকেট খেলতেন। যুদ্ধের সময় করাচীতে পোস্টিং ছিলো, যুদ্ধের পরে দেশে এসে আবার জয়েন করেন।
এতসব ইতিহাস ঘাটাঘাটি অবশ্য আমার পছন্দ না, সুলতান আংকেলও ঠিক ইতিহাসের লোক না, তার পছন্দের বিষয় ক্রিকেট, আমার মতো রাজনীতিবিদদেরও ঘৃণা করেন এবং দেশের সমস্ত অশান্তির মূলে যে তারাই এ ব্যাপারে তিনি ক্রিকেট ব্যাট ছুঁয়ে কসম খেতে পারেন, যদিও কসম জিনিসটা ইসলাম ঠিক সমর্থন করে না। পাঁচ ওয়াক্ত মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া লোকটির ক্রিকেট ছাড়া কোনো দুর্বলতা নেই।
১৯ তম ওভারের চতুর্থ বলে অবশ্য আশরাফুলের দুর্বল বোলিংয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে এতক্ষণ মেরেকুটে খেলা আফগান ব্যাটসম্যান শাবির নুরী অবিশ্বাসভরা চোখ নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরে। ৬৬ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে সে আর আসঘার ম্যাচের গতি পালটে দিয়েছিলো। হতভাগা আশরাফুল ওভারের শেষ বলে আরেকটি উইকেট নিয়ে আফগান স্কোরকে স্ক্রু টাইট দিয়ে দেয়। সুলতান আংকেল কথা বলেন না, তার মুখে বিষণ্ণতা। এই ননসেন্স বোলার ৩ রান দিয়ে পার পায় কেমনে, তার তো ৩০ রান দেয়ার কথা! শেষ ওভারে ১৬ রান নিয়ে আফগানরা মোটামুটি সম্মানজনক একটা স্কোর দাঁড় করায়। সুলতান আংকেলের মুখে অবশ্য তাতেও হাসি ফিরে আসে না, ওভারে ৬ রানের টার্গেট টিটুয়েন্টিতে পার্কে হাঁটার মতো ব্যাপার। এখন একমাত্র রশিদ লতিফের কথাই ভরসা![১] [২]
রশিদ লতিফ লোকটাকে অবশ্য আমার কাছে পুরা চীট মনে হয়। তার চোখমুখ দেখলেই মনে হয় কোনো আকামের ধান্দায় আছে। ম্যাচ ফিক্সিং, পিসিবি পলিটিক্স, দলের ভিতরে ৩টা উপদল - তার কেরামতির অভাব নাই। আর এই কেরামতির জন্য সে ওয়াকার-ওয়াসিম-আমির সোহেল থেকে শুরু করে তার সময়ের এমন কোনো পাকিস্তানী খেলোয়াড় নাই, যার গুহ্যদ্বারে অঙুলি প্রবেশ করায় নাই। মুলতান টেস্টে সে ক্যাচ কেলেঙ্কারী না করলে আমরা অনেক আগেই টেস্ট ম্যাচ জিততাম! হালায় একটা আস্ত চোট্টা।
সুলতান আংকেল অবশ্য আমার সাথে এ বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছান না। উনি বলেন, আমার বয়স কম, তাই বিষয়টারে আবেগ দিয়া দেখছি। রশীদ লতিফ যা করেছে, তার দলের জন্যই করেছে। এভরিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার। দোষ কিছু থাকলে আম্পায়ার অশোকা ডি সিলভার আছে। সে যদি ধরতে না পারে, তাহলে রশীদ লতিফের দোষ কি? আমি আংকেলের কথার জোর কোনো পালটা দিতে পারি না, মেনেও নিতে পারি না। তবে এটা নিয়ে উনার সাথে আমি কোনো তিক্ততায় যাই না। একটু-আধটু মতানৈক্য না থাকলে আল্লার দুনিয়ায় নাকি কোনো মজাই থাকতো না।
বড়সড় বিষয়ে একমত থাকাই হলো আসল কথা। আমার ভার্সিটির কিছু ক্রেইজি পোলাপান আছে, যারা পাকিস্তানকে সাপোর্ট করলেই রাজাকার ট্যাগিং করে। আমি এদেরকে এড়িয়ে চলি, এদেরকে যুক্তি দিয়ে কোনো লাভ নেই, খেলাধুলার সাথে এরা রাজনীতিকে না মিশিয়ে থাকতে পারে না। আমি এই নোংরা রাজনীতির ভিতরে নাই। আমি ভালোবাসায় বিশ্বাসী, আমি ক্ষমায় বিশ্বাসী, আমি মানবতায় বিশ্বাসী। সুলতান আংকেল আমার অ্যাটিটিউডের প্রশংসা করেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব নবী (সাঃ )এরও আদর্শ তাই ছিলো। আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
১৭ রানে নাজিমুদ্দিনের উইকেট পড়ার পরে সুলতান আংকেলের আত্মবিশ্বাসও একটু বাড়ে। কিন্তু মিঠুন আলী ছেলেটা খুব মেরেকুটে খেলছে। হিন্দুর নামে নাম, তাও আবার শেষে 'আলী'! বাংলাদেশের অধঃপতনের মূলে রাজনীতিবিদদের পরেই এই হিন্দুয়ানী-মুসলমানিত্ব সংস্কৃতি কিভাবে দায়ী সুলতান আংকেল তা একবার খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছিলেন।
যারা সুলতান আংকেলকে চিনেন না, তারা ভাববেন লোকটা গাদ্দার, বাংলাদেশী হয়ে আফগানিস্তানকে সমর্থন করছে। এই ম্যাচে আমার সমর্থন যদিও বাংলাদেশ, তবুও আমি জানি তিনি আমার চেয়ে কোনো অংশেই বাংলাদেশকে কম ভালোবাসেন না। কিন্তু আফগানিস্তানের জয় চাইছেন মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ক্রিকেট যাতে এগিয়ে যায় সেই মানবতার সমীকরণ থেকে। আজ হারলেও বাংলাদেশের কোনো অপমান নেই। বিশেষ করে যে দল পাকিস্তানের মতো ঐহিত্যবাহী শক্ত দলকে হারিয়েছে, তাদের কাছে হারে হারাবার কিছুই নেই। আমাদের এই না হারানোর বিপরীতে আফগানদের পাবার আছে অনেক কিছু। আজ এই ম্যাচ জিতলে আগামীকাল রশীদ লতিফের কথা সত্য প্রমাণিত হবে, আফগানিস্তানের টেস্ট স্ট্যাটাসপ্রাপ্তির লবিং আরো জোরদার হবে। টেস্ট খেলার মর্যাদা পেলে আইসিসি তাদেরকে যে পরিমাণ টাকা দিবে, তাতে এই প্রতিবেশী মুসলিম দেশটির অবহেলিত, নিপীঁড়িত মানুষের মুখে একটু হাসি ফুটবে। সুলতান আংকেলের এই হিসাব মানবতার হিসাব, এর মধ্যে কোনো রাজনীতির মারপ্যাচ নেই, নেই কোনো দেশপ্রেমের ঘাটতি।
দেশপ্রেমের বিষয়ে আমি অবশ্য একটু গোঁড়া ধরনের। আফগান অন্যের সাথে জিতুক, আমাদের সাথে না। ৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সাথে জয়ে আমি খুশি হয়েছিলাম, যদিও সুলতান আংকেল একটু বিরক্তিভরা মুখে বলেছিলেন, বাংলাদেশের জিতে কি লাভ হলো? কিছুই না। বাংলাদেশ তো আর পরের রাউন্ডে খেলতে পারবে না। মাঝখান থেকে পাকিস্তানের জন্য একটু সমস্যা হয়ে গেলো। অবশ্য গত বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের পর তিনি আমাদেরকে খাসি জবাই দিয়ে খাইয়েছিলেন। ভারত ও পাকিস্তানের হিসাব যে এক না, এটা আমিও বুঝি, এশিয়ান ভ্রাতৃত্ব শুধু ভাওতাভাজি, ফারাক্কা বাঁধের দাদা সৎভাই হতে পারে, ভাই হয় না।
দাদাদের ফাজলামীর নমুনা অবশ্য আমরা এই মুহূর্তেই দেখতে পাচ্ছি। টেনস্পোর্টস কিছুক্ষণ পরপরই ক্রিকেট ফেলে ভারত-থাইল্যান্ড মেয়েদের কাবাডি দেখাচ্ছে। কাবাডি এমনিতেই একটা ফালতু খেলা, তার ওপর মেয়েদের কাবাডি। হাফপ্যান্ট পরা থাই মেয়েদের স্পষ্ট দেহরেখায় খুব সেক্সি লাগছে; কিন্তু মনে মনে শরমে মরে যাচ্ছি, আংকেল বুঝে ফেললে আমার ভালো ছেলে ইমেজ আর আস্ত থাকবে না। আংকেল নিজেও খুব উসখুস করছেন, মাঝে মাঝে টেনস্পোর্টসের প্রতি দুয়েকটা বিরক্তিকর শব্দও উচ্চারণ করছেন। এগিয়ে থাকা ইন্ডিয়ার মমতা পুজারি যখন আক্রমণে না গিয়ে টাইম কিল করছে, আংকেল তখন তার এই অখেলোয়াড়োচিত মনোভাবের খুব নিন্দা করলেন। সমস্ত খেলাধুলায় জয়-পরাজয় নয়; বরং এথিকটাই যে বড় কথা - তিনি মনে করিয়ে দিলেন। আমি মাথা নাড়লাম, যদিও আংকেলের কথায় তেমন মনোযোগ নেই, মনে মনে টেন স্পোর্টসের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করছি ক্রিকেট রেখে এই ফালতু ম্যাচ দেখানোর জন্য।
অবশেষে ক্রিকেট ফিরে এলো। ৪০ রানের মাথায় মিঠুন আউট হলে রানের চাকা থেমে যায়, স্টুপিড আশরাফুল তখন ক্রিজে। তার হিট-অ্যান্ড-মিস দেখে আমি তাকে মনে মনে গালি দেই, আংকেল মুচকি হাসেন। স্টুপিডটা আউট হলে একটা ধ্বস নামে, ৭৫ রানের মাথায় ৫ উইকেট খতম! এই খতমের ক্রেডিট হামিদ হাসানের। আংকেলের মুখচোখে একটা স্বস্তিকর ঔৎসুক্য ফুটে ওঠে, হামিদ হাসানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আমাদের মাশরাফি, শাফি, রুবেলরা এর পা ধুয়ে পানি খেলে যে কতো ভালো বোলার হতে পারতো, আংকেল বলে যান। এমন টিমকে টেস্ট স্ট্যাটাস না দেয়া একটা অপরাধ, ইন্ডিয়া নিয়ন্ত্রিত আইসিসিকে অবশ্য বিশ্বাস নেই, পাকিস্তানের সাথেই যে বিমাতাসুলভ আচরণ তারা শুরু করেছে, আফগানিস্তানকেও সহজে ছেড়ে দিবে না। আংকেলের কথাকে আমার কাছে গ্রহণযোগ্যই মনে হয়, হামিদ হাসানের বাউন্সার, গুড লেংথ, ইয়র্কার সবই পারফেক্ট, আমাদের মাশরাফি নিশ্চিতভাবেই এই ডেথ ওভারে ৩টা ফুলটস দিতো। এ পর্যায়ে এসে জয়-পরাজয়ের ব্যাপারে অবশ্য আমার তেমন জোরালো অনুভূতি হয় না। বাংলাদেশ জিতলে ভালো, আফগান জিতলেও খুব খারাপ কিছু তো হবে না। আমেরিকা-রাশিয়ার রাজনৈতিক অত্যাচারে জর্জরিত মানুষের মুখে হাসি ফুটবে।
১৮ ওভার পর্যন্ত এভাবেই চলে। নাঈম টাইমিং করতে হিমশিম খাচ্ছে, সাব্বির রহমান মূলত বোলার, হামিদ হাসানের বলে সে ব্যাটই লাগাতে পারছে না। দুই ওভারে ১৯ রান সম্ভব নয়, বিশেষ করে হামিদের একটি ওভার তখনো বাকি। ১৯ নং ওভার করতে আসা করিম সাদিক এর আগে তার ২ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়েছে, আংকেলে তার ওপরে ভরসা করেন এবং সেই ভরসা যে অমূলক নয়, লো হয়ে আসা বল অফস্ট্যাম্পের সামনে সাব্বিরের পায়ে আঘাত করলে আংকেল সোফা ছেড়ে উত্তেজিত হয়ে লাফিয়ে উঠে তার প্রমাণ দেন। করিমের ব্যাড লাক, আম্পায়ার এলবিডাব্লিউ দেন না। এরপরে যা ঘটে তা খুবই হৃদয় বিদারক। এক ওভারে দুই দুইটি ছক্কাসহ ১৭ রান করে সাব্বির হামিদ হাসানের জন্য আর ফাইটের কোনো স্কোপ রাখে না।
টিভিস্ক্রিনে রশিদ লতিফের অপাকিস্তানীসুলভ অনাকর্ষণীয় চেহারায় কালবোশেখীর মেঘ ভর করে, আশরাফুলের চোখেমুখে অপ্রস্তুত বিজয়ীর হাসি। আমার ভালোই লাগে, তবে তেমন উচ্ছ্বাস দেখাই না। ভেবেছিলাম আংকেল খুব কড়া সমালোচনা করবেন, বিশেষ করে সাব্বিরকে আউট না দিয়ে আম্পায়ার যে একচোখা আচরণ দেখিয়েছে, তার বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন। সে সবের কিছুই তিনি করেন না। সময় হয়তো তাকে অনেক কিছুই শিখিয়েছে। এই বাংলাদেশে পার করা ৪০ টি বছর তাকে অনেক অধৈর্য্য মুহূর্তে ধৈর্য্যের পাঠ দিয়েছে।
আংকেল দেয়ালের ঘড়ির দিকে তাকান। তার একটু পাশেই ইমরান খানের একটি ছবি রাখা আছে। ছবিটিকে ঘিরে আছে একটি দুভাঁজ করা শুকনা বকুল ফুলের মালা। আংকেল কয়েক মুহূর্ত ছবিটির দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকেন। আমার সন্দেহ হয়, একটি হালকা দীর্ঘশ্বাসের শব্দ শুনতে পাই। ঠিক নিশ্চিত না, নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলাও ঠিক না। পাপ হয়।
আজ শুক্রবার। জুম্মার নামাযের আর বেশি বাকি নেই। ইমরান খানের ছবি থেকে চোখ সরিয়ে আংকেল বলেন, "চলো, নামায পড়তে যাই! এই দুনিয়া কিছুই না, বুঝলা? খেলাধুলা, রাজনীতি, সংসার সবই মায়া, পরকালই আসল ঠিকানা!"
----------------
[১] রশিদ লতিফ: “Bangladesh had Test cricket (from 2001) and after that they greatly improved but I think this Afghanistan side is better than their current team." (Dawn, 24th November)
[২] রশিদ লতিফ: "অবশ্যই আফগানিস্তান টেস্ট ক্রিকেট খেলবে। আমার দলতো বাংলাদেশের চেয়েও ভালো। বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট খেললে আমরা কেন পারবো না।” আফগানিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে ভালো! উত্তরে পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক বলেন,“অবশ্যই ভালো। বাংলাদেশের অনেকেই আমার সঙ্গে একমত হবে।” (বাংলানিউজ২৪.কম, ২৫শে নভেম্বর)
মন্তব্য
মজা লাগলো পড়ে।
---আশফাক আহমেদ
বিশাল পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বিশাল পোস্ট??? বলেন কী ভাইয়া? আমার তো পড়ার সময় মনে হইলো না
যাই, আবার পড়ে আসি গিয়ে
বহুদিন পর বলাইদা ব্যাক্কর্লেন, এবং ছক্কা মার্লেন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আসলে ছক্কা মাইরা উনি ওপেনিং করলেন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমিও ওপেনিং করতে চাইছি, অনেকদিন অবসরে গেলো। দেখি কতদূর কী করা যায়! এই লেখায় অবশ্য অনেক হাত-পা কাঁপাকাপি করতে হয়েছে এবং তার সবটাই আতঙ্কে নয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
দারুণ আংকেল পাইছেন আপনি ! মতিচ্ছন্ন বাঙালগোর উচিত হয় নাই আংকেলের মনে কষ্ট দেয়া ! হা হা হা !
দুর্দান্ত পোস্ট !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
থ্যাঙ্কু, রণদা।
এই পোস্টের 'আমি' অবশ্য আমি না। পোস্টের 'আমি' সুশীল সমাজের প্রতিনিধি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এই লাইগাই আমি বলাই'দার পাংখা !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
পারস্পরিক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমি এইরকম অন্তত দশটা আংকেল চিনি। আগে এইসব নিয়া চরম বাকবিতন্ডা হইত। কোন লাভ হয় না। কিন্তু এরা সবাই আমার বয়সী, যুদ্ধের অনেক পরের প্রজন্ম। এদের কারো কারো সাথে শিবির বা এইরকম ধর্মকেন্দ্রীক গোষ্টির কোন যোগাযোগ নাই বলেই জানি। তারপরও চরম পাকিস্থান প্রীতির কোন কারন খুইজা পাই না। মাঝে মাঝে হতাশই লাগে
-সমুদ্র সন্তান
দারুণ লেখা
এইরকম একটা লেখার দরকার ছিল।
অনন্ত
আপনারা খুব খারাপ লোক। খেলার সাথে রাজনীতি মিশান।
"ম্যারি মি আফ্রিদি"।
কাকস্য পরিবেদনা
লেখাটা পড়ে কালক এই ঘটনাটাই মনে হচ্ছিল। সেই ঘটনাকে খোঁচা দেয়ার জন্যই কিনা জানিনা, লেখায় "রশিদ লতিফের অপাকিস্তানীসুলভ অনাকর্ষণীয় চেহারা"'র কথা এসেছে।
আহারে থাক ৫ টা তারা নেন
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
চমৎকার ঝরঝরে লেখা। পড়ে বেশ ভাল লেগেছে।
অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর@জিমেইল ডট কম
কিছু গিরগিটি যে বাংলাদেশ-এ থেকেও আফগানিস্তান-এর দালালি করে, এটা জানতাম না। এটা কি মুসলিম ভাতৃত্ববোধ? কেন এই ভালোবাসা দেশের চেয়ে বড় হবে?
/স্বাধীন মনন
আহ্ আকাশটা কর্দমাক্ত হয়ে গেলো।
...........................
Every Picture Tells a Story
ক্যান, চোখের পানি কি উপরের দিকে উঠে গেছে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মজা পাইলুম...! গিরগিটিরা সর্বদাই উপভোগ্য প্রাণী!
ভাল লেখা। একটা প্রশ্ন, টেন স্পোর্টস কি ইন্ডিয়ান না পাকিস্তানী চ্যানেল?
কামরুল হাসান রাঙা
চ্যানেলের সম্প্রচার হয় দুবাই থেকে কিন্তু বর্তমান মালিকানা জি টিভির যারা ভারতীয় বহুজাতিক।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ছ ছয়ে ছক্কা!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
জব্বর পোস্ট। ভালো লাগলো।
বাউন্ডারী।
দুই একটা সুলতান আঙ্কেলকে মনে হয় সব প্রজন্মেই দেখা যায়।
অসাধারণ, বলাই'দা!
জাস্ট টুপি খুলে কুর্ণিশ !!!!
_________________________________________
সেরিওজা
সুপার।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
দূরদান্ত । আমিও লেখার সাহস করছি।
দুর্দান্ত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুণ লাগল পড়ে, উপভোগ্য লেখা। তবে সুলতান আঙ্কেলের ভিলেন-গিরি মনে হয় একটু বেশী দূর চলে গেছে। সত্যি কি আফগান সাপোর্টার ছিল কেউ বাংলাদেশে? সামনে হোক বা মনে মনে ...
হামিদ হাসান আমার অন্যতম প্রিয় ক্রিকেটার, সিম্পলি অসাধারণ বোলার। এর জন্ম ভারতে হলে এতদিনে অনেক নিউস-প্রিন্ট খরচা হয়ে যেত একে কভার করেই।
বাংলাদেশ কিন্তু ম্যাচটা জিততে যথেষ্ট ঘাম ঝরিয়েছে, অনভিজ্ঞ আফগানিস্থান অভিজ্ঞ হলে পরে আফগানিস্থানকে হারাতে বেগ পেতে হতে পারে। মাত্র কয়েক বছর ক্রিকেট খেলে যথেষ্ট উন্নতি করেছে। দক্ষিণ এশিয় লবি এর পরে ওদের টেস্ট স্টেটাসের জন্য উঠে পড়ে লাগতে পারে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বাংলাদেশে অনেক কিসিমের সাপোর্টার আছে। বাংলাদেশের সাথে খেলায় এমনকি ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের সাপোর্টারও পাওয়া যায়। অতি উৎসাহী ইসলামীভ্রাতৃত্ববোধের ধ্বজাধারীরা আফগানিস্তানের জন্য শুভকামনার লেভেলটা সবসময় কন্ট্রোলে রাখতে পারেন না।
হামিদ হাসান খুব ভালো বোলার। কিন্তু মাশরাফি, শাফি বা জহির, ঈশান্ত, আপামের চেয়ে তাকে এগিয়ে রাখার মতো কিছু হয় নি।
অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে আফগানিস্তান দল ওই ম্যাচে খেলা বাংলাদেশ দলের চেয়ে এগিয়ে। আফগানিস্তানের এই একই দল গত কয়েকবছর ধরে একসাথে খেলে সাফল্য লাভ করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের দলটা নিতান্তই মেকশিফট দল, যার কাপ্তান আশরাফুলের মতো ফর্মহীন প্লেয়ার। আর অন্যদের কেউ একেবারেই তরুণ আর কেউ জাতীয় দলের জন্য রিজেক্টেড মাল।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কোনোভাবেই আফগানিস্থানের বর্তমান দল বাংলাদেশের প্রথম সারির দলের সমকক্ষ নয় বা হামিদ হাসান মাশরাফি বা জাহিরের সমকক্ষ নয়। আফগানিস্থানকে আমি আগামী দশকের উঠে আসবে এরকম দল হিসাবেই দেখি, মানে, নব্বই দশের শেষে যেমন বাংলাদেশকে দেখা হত অনেকটা সেইরকম।
তাও দেখে নিন, আফগানিস্থান "বড়"দের টুর্নামেন্টে একবারই খেলেছে - ২০-২০ বিশ্বকাপে। সেখানে হামিদ হাসান দুটো ম্যাচে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভালই বল করেছিল। বোলিং ফিগার যথাক্রমে ৮/১(৩ ওভার) ও ২১/৩(৪ ওভার)। পরে ভাল বোলার হয়ে ওঠার গুণাগুণ ভালই আছে হামিদের মধ্যে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এক কথায় অসাধারণ লাগলো। লেখাটা বড় হলেও পড়ার সময় টেরই পাই নি!
হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া
টুইটার
নতুন মন্তব্য করুন