যুদ্ধাপরাধীর বিচার: আপীলের রায় রিভিউর সুযোগ আছে কি?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/১১/২০১৪ - ৩:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

না, নেই।

এই বিষয়টা নিয়ে অহেতুক জল ঘোলা করা হচ্ছে। ট্রাইবুনাল, আইনমন্ত্রী, প্রসিকিউশন, অ্যাটর্নী জেনারেল, আইনজীবি আর এ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন এনটিটি কেউই বিষয়টি স্পষ্টকথায় পরিস্কার করছে না। আলু-মিজানরা এটা নিয়ে জল ঘোলা করছে। অথচ একটু পড়াশুনা করলেই বিষয়টা পুরোপুরি পরিস্কার হওয়ার কথা।

রিভিউ তখনই করা যাবে, যদি সংশ্লিষ্ট আইনে থাকে

সুপ্রীম কোর্টের আপীল রিভিউর কথা বলা হয় সংবিধানের ১০৫ নম্বর ধারার বরাত দিয়ে। দেখা যাক, ১০৫ নম্বর ধারায় কি আছে:

আপীল বিভাগ কর্তৃক রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা
১০৫। সংসদের যে কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে এবং আপীল বিভাগ কর্তৃক প্রণীত যে কোন বিধি-সাপেক্ষে আপীল বিভাগের কোন ঘোষিত রায় বা প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা উক্ত বিভাগের থাকিবে।

105. The Appellate Division shall have power, subject to the provisions of any Act of Parliament and of any rules made by that division to review any judgment pronounced or order made by it.

এখানে স্পষ্টভাবেই বলা আছে আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে আপীল বিভাগের ঘোষিত রায় পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা থাকবে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে কোনো আইন যদি আপীলের রায় রিভিউ করার কথা বলে, তাহলে সেটা রিভিউ করা যাবে। সংবিধানের এই ধারা বলে না যে, সর্ব বিষয়ে (অন্যান্য আইন যা-ই বলুক না কেন) আপীলের রায় অবশ্যই রিভিউ করা হবে, বা রিভিউ করা যাবে। রিভিউর প্রশ্নই আসে, যদি সেটা কোনো আইনে থাকে, তাহলে।

এখন দেখা যাক, যুদ্ধাপরাধীর বিচার যে আইনে (THE INTERNATIONAL CRIMES (TRIBUNALS) ACT, 1973) হচ্ছে, সেটা কি বলে:

Right of Appeal
21. (1) A person convicted of any crime specified in section 3 and sentenced by a Tribunal may appeal, as of right, to the Appellate Division of the Supreme Court of Bangladesh against such conviction and sentence.

(2) The Government or the complainant or the informant, as the case may be, may appeal, as of right, to the Appellate Division of the Supreme Court of Bangladesh against an order of acquittal or an order of sentence.

(3) An appeal under sub-section (1) or (2) shall be preferred within 30 (thirty) days from the date of conviction and sentence, or acquittal or any sentence, and no appeal shall lie after the expiry of the aforesaid period.

(4) The appeal shall be disposed of within 60 (sixty) days from the date of its filing.

(5) At the time of filing the appeal, the appellant shall submit all documents as may be relied upon by him.

এখানে ট্রাইবুনালের রায়ের বিষয়ে সুপ্রীম কোর্টে আপীল করার অপশন রাখা হয়েছে। কিভাবে আপীল করা যাবে, কতদিনের মধ্যে আপীল করতে হবে এসব বলা আছে। কিন্তু আপীলের রায় রিভিউ করার কোনো অপশন নাই। রিভিউর ইনিশিয়েটর হতে হবে আইনকে, সংবিধানের ১০৫ নম্বর ধারা কোনো অ্যাক্ট, বিধান বা আইনকে রিভিউ করতে বাধ্য করতে পারবে না।

সংবিধানই কি শেষকথা?
সাধারণত ধারণা করা হয় যে, সববিষয়ে সংবিধানই শেষ কথা। ধারণাটি সঠিক নয়। সংবিধান মোতাবেক নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে তদসংশ্লিষ্ট আইনকে সংবিধানের ওপরে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টা দেখা যায় সংবিধানের ৪৭ ও ৪৭(ক) ধারা সমূহে। এখানে যুদ্ধাপরাধীর বিচার সংশ্লিষ্ট অংশ দেয়া হলো:

সংবিধানের কতিপয় বিধানের অপ্রযোজ্যতা
৪৭ক (২) এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় বর্ণিত কোন আইন প্রযোজ্য হয়, এই সংবিধানের অধীন কোন প্রতিকারের জন্য সুপ্রীম কোর্টে আবেদন করিবার কোন অধিকার সেই ব্যক্তির থাকিবে না।

কি আছে ৪৭(৩) এ?

কতিপয় আইনের হেফাজত
৪৭(৩) এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য কোন সশস্ত্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সহায়ক বাহিনীর সদস্য বা অন্য কোন ব্যক্তি, ব্যক্তি সমষ্টি বা সংগঠন কিংবা যুদ্ধবন্দীকে আটক, ফৌজদারীতে সোপর্দ কিংবা দন্ডদান করিবার বিধান-সংবলিত কোন আইন বা আইনের বিধান এই সংবিধানের কোন বিধানের সহিত অসমঞ্জস্য বা তাহার পরিপন্থী, এই কারণে বাতিল বা বেআইনী বলিয়া গণ্য হইবে না কিংবা কখনও বাতিল বা বেআইনী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না।

স্পষ্টতই সংবিধান যুদ্ধাপরাধসংশ্লিষ্ট আইনের হেফাযত করে। অর্থাৎ, তদসংশ্লিষ্ট আইন যদি সংবিধানের কোনো ধারার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বা এমনকি সংবিধান পরিপন্থিও হয়, তাহলেও সেই আইন/বিধান/অ্যাক্ট বাতিল হবে না। সেটা কার্যকরের অধিকার সংবিধানই আইনকে দেয়।

যুদ্ধাপরাধীর বিচারে শেষ কথা কার?

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইবুনাল) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ এরকমই (সংবিধান ৪৭(৩)) একটি আইন/বিধান/অ্যাক্ট যেটা মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের বিচার করছে। এটা শুধুমাত্র সশস্ত্রবাহিনীই নয়, সহায়ক ব্যক্তি, ব্যক্তিসমষ্টি বা সংগঠনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সুতরাং এক্ষেত্রে বটমলাইন হলো, ট্রাইবুনালের বিধান যদি এমনকি সংবিধানের অন্য কোনো বিধানের সাথে সাংঘর্ষিকও হয়, তাইলে ট্রাইবুনালের বিধানই ফাইনাল। ট্রাইবুনালের আইন অনুযায়ীই বিচার হবে। সংবিধানই ট্রাইবুনালের আইনকে সে অধিকার দিয়েছে। এ অবস্থায় যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ক্ষেত্রে ট্রাইবুনাল অ্যাক্টে পুরোপুরি ফোকাস করা যায়।

ট্রাইবুনালের আইনে ট্রাইবুনালের রায়ের ব্যাপারে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে আপীল করা সুযোগ রাখা হয়েছে। কিন্তু আপীল রিভিউ করার সুযোগ রাখা হয় নাই। সোজাসাপটা কথা। এটা নিয়ে ত্যানা প্যাচানোর কোনো স্কোপ নাই।

অন্যান্য আইনের সাথে যদি সাংঘর্ষিক হয়?
সংবিধানে ব্যাপারটা বুঝা গেলো। কিন্তু যদি ট্রাইবুনালের আইন অন্য কোনো আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হয়, তখন প্রায়োরিটি কি হবে? এ প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া যায় ট্রাইবুনাল অ্যাক্টে:

Provisions of the Act over-riding all other laws
26. The provisions of this Act shall have effect notwithstanding anything inconsistent therewith contained in any other law for the time being in force.

জ্বি, হ্যাঁ, ট্রাইবুনাল অ্যাক্ট অন্য কোনো আইনের সাথে না মিললেও এই বিচারের ক্ষেত্রে ট্রাইবুনালের আইনে কি আছে, সেটাই ফাইনাল। কোন ফৌজদারী আইনে অন্য কি বলা আছে, কোন মানবাধিকারবারীর আইনে অন্য কি ধারা আছে, সেগুলো যুদ্ধাপরাধীর বিচারে প্রযোজ্য না। যুদ্ধাপরাধীর বিচার, তাদের অধিকার, শাস্তি সবকিছুই হবে এই অ্যাক্টের মাধ্যমে।

সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়টা একদম সোজাসাপটা ক্লিয়ার করে বলা উচিত। এবং যেসব হলুদ মিডিয়া এই বিষয়টা নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া উচিত।


মন্তব্য

ইয়ামেন এর ছবি

"সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়টা একদম সোজাসাপটা ক্লিয়ার করে বলা উচিত। এবং যেসব হলুদ মিডিয়া এই বিষয়টা নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া উচিত।"

ক্লিয়ার করে বলবে কিভাবে? আইনমন্ত্রী এবং এটর্নি জেনারেল সাহেব নিজেরাই তো মনে হয় এই বিষয়ে ক্লিয়ার না। উনাদের কথা শুনে ক্লিয়ার না হয়ে আরও কনফিউজড হবার কাম। রেগে টং

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আহ, এই পোস্টটা আরও আগে আসা দরকার ছিল। বরাহ-শাবকদের অত্যাচারে বিষয়টা নিয়ে বড় বড় রথী-মহারথীদের সাথে অনেক আলোচনা করেছি। কেউ এত সুন্দর করে ব্যাখ্যা করা তো দূরের কথা, চিন্তা-ভাবনা কে আরও জটিল করে দিয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

গ্যাঞ্জাম লাগছে ধূর্ত ব্যারিস্টার রাজ্জাকের করা রাজাকার কাদের মোল্লার আপিল রিভিউয়ের আবেদন নিয়া। সে জানে যে এই আদেশের কোনো পরিবর্তন হবে না আর ১০৫ ধারায় সে কিছু করতেও পারবে না, তাই ঝামেলা বাধানোর জন্যে এই হারামীটা রিভিউ আবেদন করছে ১০৪ ধারায়, যেখানে বলা আছে -

১০৪। কোন ব্যক্তির হাজিরা কিংবা কোন দলিলপত্র উদ্ঘাটন বা দাখিল করিবার আদেশসহ আপীল বিভাগের নিকট বিচারাধীন যে কোন মামলা বা বিষয়ে সম্পূর্ণ ন্যায়বিচারের জন্য যেরূপ প্রয়োজনীয় হইতে পারে, উক্ত বিভাগ সেইরূপ নির্দেশ, আদেশ, ডিক্রী বা রীট জারী করিতে পারিবেন।

আর প্যাজগিডা লাগছে এইখানেই। সরকার বা রাজাকারদের বিচারের পক্ষ-সংশ্লিস্ট কোনো ব্যাক্তিই আজ পর্যন্ত এইটা বলে নাই যে কেনো এইসব জামাতি গেলমান উকিলগুলা তাগো ভাতারগো বাচাইতে এত্তো হৈ-হৈ করতেছে, তারা আছে কেবল ১০৫ ধারা নিয়া। আরে বাবা, রাজ্জাক উকিলে তো ১০৪-এর প্যাজগি দিয়া গেছে, এইটা নিয়া তারা কিছু কয় না ক্যারে???

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সংবিধান খুইলা দেখলাম। সাদা চোখে আমি যেটা বুঝতেছি ১০৪ ধারা রিভিউ নিয়ে কথা বলে নাই, বলছে "বিচারাধীন যে কোন মামলা" নিয়া। যেই মামলা শেষ সেইটা "বিচারাধীন যে কোন মামলা" হয় ক্যাম্নে আমি বুঝি নাই। আর ১০৫ ধারা থেকে বুঝতেছি রিভিউ জিনিসটাই মামলা শেষ হওয়ার পরের বিষয়।

এইখানে আমি তো কোনও প্যাজগি দেখি না। কেউ দেখাইলে (উদাহরণঃ নাইনজীবি* মিজানুর) তার আদালত অবমাননা ইত্যাদি কেসে ফেঁসে যাওয়া উচিৎ। চাল্লু

অর্থাৎ, কোনওভাবেই পোস্টের প্রথম দুটি শব্দের সাথে একমত না হওয়ার সুযোগ দেখছিনা। হাসি

*নতুন শব্দঃ নাইনজীবি= না+আইনজীবি (নঞর্থক বিশেষ্য)
অর্থঃ যে আইন প্রযোজ্য নয় সেটা নিয়ে মাটি থাপড়ে কান্নাকাটি করা ব্যাক্তি।
উদাহরণঃ জামাতের নাইনজীবি রাজ্জক উকিলরে কেউ কিছু কয়না ক্যারে? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

উত্তম জাঝা!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

১০৪ "বিচারাধীন" বিষয়ের জন্য। বিচার চলাকালে দলিলপত্র উদ্ঘাটন, দাখিল এগুলা নিয়া আপীল বিভাগ চাইলে ডিক্রি জারি করতে পারে।

তবে ১০৪ এক্ষেত্রে প্রযোজ্য না, ঠিক যে কারণে ১০৫ও প্রযোজ্য না। অর্থাৎ ৪৭(৩) অনুসারে ট্রাইবুনালের আইনই যুদ্ধাপরাধীর বিচারে ফাইনাল, সংবিধানের কোন ধারার সাথে কনফ্লিক্টিং হলেও ট্রাইবুনালের আইনের প্রায়োরিটি বেশি।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বলাইদা,
মামলা শেষ হওয়ার পর ১০৪ ধারার কোনও খাওয়া নাই, সাফ কথা, তার ওপর আছে ট্রাইবুনালের "প্রায়োরিটি"। এর পরেও এইটা নিয়ে এত পেঁচাপেঁচির কারন কি কালক্ষেপণ? বিভ্রান্তি আরোপণ? বোধহয় দুটিই। এই পোস্টটি অন্তর্জালিক জগতের বাইরের মানুষের হাতে কোনভাবে পৌঁছানো যায় কি? সংবাদপত্র বা যেভাবেই হোক। আলু পড়ে সবার মাথায় আলুর দোষ হয়ে গেলে তো বিপদ। এন্টিভাইরাস বয়ামে রেখে লাভ নাই, ছড়িয়ে দিতে হবে।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

প্যাচাপেচির মূল কারণ "সুশীলদের" ভবিষ্যত রাজনৈতিক কামব্যাকের অপশন খোলা রাখা। জামায়াত আর সুশীলরা বেসিক্যালি একে অন্যের রক্ষিতা। জামায়াত টাকা দিয়া সুশীল পোষে, অন্যদিকে সুশীলরা জামায়াতের কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির ফিকির খোঁজে।

এক্ষেত্রে এরা চেষ্টা করছে এমন একটা "পারসেপশন" সৃষ্টি করতে, যাতে ভবিষ্যতে কখনো আওয়ামী লীগ কাঁদায় পড়লে লাথি দেয়ার পক্ষে "বিশ্ব জনমত" পাওয়া সহজ হয়। কালক্ষেপণটা কাদের মোল্লা কেসে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে তত্ত্ব সরকার একবার আনতে পারলে কাদের মোল্লা বেঁচে যেতো। তাছাড়া আমেরিকা, জাতিসংঘের ফোন আসতেও একটু সময়ের দরকার ছিলো। কামারুজ্জামান কেসে কালক্ষেপণের জন্য এরা খুব বেশি ডেডিকেশন দেখাবে না। কামারুর আজ ফাঁসি হইলেও যা, ১ মাস পরে ফাঁসি হইলেও প্রায় তাই-ই।

অন্তর্জালিক জগতের বাইরের মানুষের কাছে পাঠানোর জন্য এখনো আকাশ মিডিয়া বা প্রিন্ট মিডিয়া ডমিনেট করে। স্পষ্টতই ক্লিয়ার কাট মেসেজ তাদের টেকাটুকা বা বাণিজ্যের জন্য লাভজনক নয়। সরকারের উচিত এই বিষয়টা ফোর্স করা। সম্প্রচার নীতিমালা আইন হিসেবে কবে বাস্তবায়িত হবে, দেখার বিষয়। গলি-ঘুঁপচির চিপায় চুপায় অন্ধকার! অন্ধকারেরা মিথ্যা বলার অধিকারকে স্বাধীনতা হিসেবে প্রচার করে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

এমনেই সরকার নাকি বাকশালি-ফ্যাসিবাদী-নাস্তিক! ইয়ে, মানে...
আপনে আবার "ফোর্স করার" জন্য উস্কানি দিতাছেন? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

বিডি নিউজের আজকের এই সংবাদ দেখে তো কনফিউজড হয়ে গেলাম। আসলে ব্যাপারটা কি? আর এখন কি তাহলে আমরা সাইদীর রায়ের ব্যাপারে রিভিউ করে ফাঁসি চাইতে পারব?
- ঘুমকুমার

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

রিভিউ আপিলের সমকক্ষ নয় উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, “এটা এখন মীমাংসিত বিষয় যে, রিভিউ আবেদনকারীর একটি অধিকার হিসাবে বিবেচিত হবে না।”

এর পর আশা করা যায় ত্যানা প্যাচাপেচির দিন শেষ!

আমরা সাইদীর রায়ের ব্যাপারে রিভিউ করে ফাঁসি চাইতে পারব?

আপিল বিভাগ বলছে, “পূর্ববর্তী আদেশের নির্ভরযোগ্যতায় খাদ পাওয়া গেলে বা বিচার-বিভ্রাটের ফল সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে বলে সন্তুষ্ট করতে না পারলে পুনর্বিবেচনা অনুমোদনযোগ্য হবে না।”

রায়ে বলা হয়, “কোনো মামলায় রায়ের রিভিউ একটি গুরুতর পদক্ষেপ। চোখে পড়ার মতো কোনো কিছু বাদ গেলে বা সুস্পষ্ট বা বড় কোনো ভুল না হলে আদালত তার এই ক্ষমতা ব্যবহার করতে অনিচ্ছুক।”

হ্যাঁ এই অংশ দেখে তো তাই মনে হয়, সন্তুষ্ট করার প্রস্তুতি আছে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।