মিতা আপু আমার এক বছরের বড়। কাজিন। ছোটবেলায় একসাথে মানুষ। অন্য সবার সাথে হরদম মারপিট থাকলেও তার সাথে অন্যরকম একটা সখ্যতা ছিলো। চাউল চুরি করে আমাকে আইসক্রিম কিনে খাওয়ানোটাই এই স্পেশাল সখ্যতার একমাত্র কারণ নয়। তার সান্নিধ্যে একটা শান্তি শান্তি ভাব আসতো; একটু লাজুকও হয়ে যেতাম হয় তো।
বেশিদিন আর একসাথে বড় হওয়া হয়ে ওঠেনি। বাবা চাকুরি পালটান। গ্রামের বাড়ি ছাড়তে হয়। তিনি বদলি হন, সাথে সাথে আমাদেরও চলে তাকে ফলো করে করে নতুন স্থানে নতুনভাবে জীবনের গাঁটছড়া বাঁধা। নতুন স্কুল, নতুন বন্ধু-বান্ধব, নতুন মারপিট, নতুন হাসি, নতুন কান্না। গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় দুই ঈদে আর বিশেষ কোন উপলক্ষ্য থাকলে। মিতা আপু আবারো আমাকে আদর করেন; আগের মতোই। কিন্তু সময় যেন কিভাবে ধীরে ধীরে একটি দূরত্ব ঠিকই তৈরি করে ফেলে।
আমি কলেজে পড়ার সময় মিতা আপুর বিয়ে হয়ে যায়। অন্য জেলায়। বিয়েতে যেতে পারি না। সামনে এইচএসসি। এরপরে আর দেখাও হয় না বহুদিন। জীবনের হাত ধরে পিছনে ফিরে তাকানোর বদ-অভ্যেস থেকে মুক্ত আমি; তখন তার প্রয়োজনও নেই কোন।
ইউনিভার্সিটি। সেকেন্ড ইয়ার। সে বছর ঈদে সবাই গ্রামের বাড়িতে। মিতা আপুও এবার আমাদের সাথে ঈদ করবেন। তাকে দেখে খুশি হই। কিন্তু শৈশবের মত সাবলীল হতে পারি না। ঈদের সময়টা দ্রুত কেটে যায় হৈ-হুল্লোড়ে।
ঈদের পরেই সেমিস্টার ফাইনাল। আমাকে ফিরতে হবে। রেডি হই। মিতা আপু ডাকে, শুনে যা।
- বলেন।
- আমাদের ছোটবেলার কথা কি মনে পড়ে তোর?
আমি নিশ্চুপ। উনি তাকিয়ে থাকেন চোখের দিকে। আমি চোখ সরিয়ে নেই। হঠাৎ কি যেন হয়ে যায়। আমার হাতটা ধরে এক জোর কামড় বসিয়ে দেন উনি।
আমি ভ্যাবাচেকা খাই। সম্বিত ফিরে পাওয়ার আগেই তার খিলখিল হাসি।
- তুই তো চিরকালই শক্ত এমন। চলে যা। সব ভুলে যা। শুধু এই কামড়টাই হয়তো মনে থাকবে তোর!
মন্তব্য
হায় আল্লা, কন কী?
দুধ-ভাত ট্রলার। ফোঁসফাঁস করে না, কামড়ায়ও না।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- রঙিলা কামরের লগে আর কিছু যোগ করোন গেলোনা?
হালার আইজকা দিনডাই গেলো নিরামিষে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আর কি কি হৈছে ঠিক্কৈরা কও!
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
চাইলে বলতে পারেন আরো। আমি কিন্তু এখানে নাই। সত্যি!
নতুন নতুন দাঁত গজানোর টাইমে শুনছি বাইচ্চা পুলাপাইনের দাঁত কিরমির করে।
মিতু আপার কি হেই বয়সে নতুন দাঁত গজাইছিল নি?
দৃশা
ভালৈসে
গল্প হুট কইরা শেষ হইলো মনে হয় ! বলাই কি কিছু চাইপা যাইতে চায় ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
- গল্পের মাঝে কিঞ্চিৎ কারচুপির গন্ধ পাইলাম বইলা আপত্তি জানাইলাম।
বিনীত -
আপনেগো ধুসর গোধূলি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাহ! আইজকাইলকার পুলাপাইন সব শর্টকাটে বিশ্বাসী। এত চমৎকার একটা ভাবভালোবাসার গল্পকে বেডরুমে ঢুকাতে চায়।
কেউ একজন দেখি আবার আপত্তি জানাইছে। আমি শ্যাষ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
আমার অবশ্য এদ্দূরেই ভাল্লাগসে। আরেকটু আগাইলে মন-খারাপটা লাগতো না।
বলাইদারে আমার পোস্টে এক খান প্রশ্ন জিগাইসি।
এটা আসলে স্বাস্থ্যপরীক্ষা (আমি সবসময় কামড়ানোর পক্ষে)।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ধুম্মিয়া!!!!
এত কাটছাট করলে গল্পের আর থাকলো কি?
আইচ্ছা, কামড়াইতে কেমন লাগে?
কি মাঝি? ডরাইলা?
তুই তো চিরকালই শক্ত এমন.... কেমন জানি কথাটা।
- অয়ন মিয়া জব্বর একখান রস মাখা রসায়ন বক্তব্য দিছে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এ্যা!
কোন হাতে যেন কামড়টা দিলো...
লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?
মন্তব্যের জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অয়নের মন্তব্যের বদব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য গোধুকে গণ দেওয়া হোক। এই শক্ত, সেই শক্ত না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কামড়া কামড়ি নিয়া এহনও ঝাপটা ঝাপটি চলতাছে?????
সেইরকম ব্যাপার।
দৃশা
শুধু কি হাতেই কামড় দিছিল ?
এতো সেন্সর করা লেখা পড়ে খুব বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায় না
নীলের সঙ্গে পথ চলা,ভুল পথে
অথবা তারপরও ভালো আছি ...
চোরা দেখি কামড়ের ওপর উঠতে পারেন না কখনোই।
বিষয়টা কী?
সেন্সর করি নাই।
কামড়ের ওপর উঠতে গেলে ব্যান খাওয়ার ভয় আছে। কে যেন কামড়েই আপত্তিকর পোস্ট হিসেবে অভিযোগ করেছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অভিযোগ!!!
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
হা হা!
আরো একটু ডিটেইল বলেন, তাহলে বদ্দা তার কিশোর উপন্যাসটা টান দিতে পারে। @ বলাই
সাইড কেটে, গোত্তা খেয়ে, বেরিয়ে গেল আসল গল্পটা।
কৈ, গল্প তো দেখি বাইর ই হইলো না।
বলাইদা খালি পিছলাইয়া যায়।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
নতুন মন্তব্য করুন