১.
মিজানুর রহমান হাফেজি পড়ে। জায়গীর থাকে কবির মেম্বারের বাড়িতে। তার ছোট দুই ছেলেকে আরবি পড়ায়। কবির মেম্বারের বড় মেয়ে লাইজু ক্লাস নাইনে পড়ে। এক সকালে তাকে আর ডাকাডাকি করে পাওয়া যায় না। ২০ পারা কুরানের হাফেজ মিজানুর রহমানও লাপাত্তা।
২.
আসলাম খুবই শান্তশিষ্ট ছেলে। কেউ একগালে চড় দিলে অন্য গাল পেতে দেয়। ঢাকায় এক আলিয়া মাদ্রাসায় পড়ে। আলিম পরীক্ষা দিয়ে এসেছে। পাশের বাড়ির ছবিরনের স্বামী বিদেশে থাকে। এক ভর দুপুরে ছবিরনের ঘর থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরা আবিষ্কার করে ছবিরনের চাঁদমুখের টানে ভদ্রহুজুর আসলামের ছোট মাথায় হালকা জোয়ারের বেগ আসাই এর কারণ।
৩.
বাবু বুয়েট পাস ইঞ্জিনিয়ার। বুয়েটের হল লাইফের ৫ বছরে বিশেষ করে রোযার মাসে নিয়মিত হল মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েছে, ইফতার করেছে। ছুটিছাটায় সপ্তাহ খানেক করে চিল্লায়ও গিয়েছে অনেকবার। কিন্তু কারেন্ট চলে গেলে আন্তহল গালি প্রতিযোগিতায় বাবুর রেকর্ড অক্ষুণ্ণই রয়ে গেছে।
ওদের একটা ইয়াহু গ্রুপ আছে। বন্ধুদের। একসময়ের ক্লাসমেটদের অনেকেই পরিবর্তিত হয়ে গেছে এখন, অনেকেই রয়ে গেছে আগের মত প্রাণবন্ত, উচ্ছ্বল। একজন আবার ইদানিং ধর্মকর্ম নিয়ে বেশ উঠেপড়ে লেগেছে। গ্রুপে ইমেইলের পরে ইমেইল। বাবু কোরান হাদিস পড়া মানুষ। বাড়াবাড়িটা দেখে প্রথমে হাসে, পরে বিরক্ত হয়, দুয়েকটা বিষয় নিয়ে সত্য কথাটা বলে বসে। অতিধার্মিক একসময়ের সজ্জন বন্ধুটা তাকে কাফির বলে তেড়ে আসে। তার ধবংস কামনা করে। বাবু খুব অবাক হয়ে দেখে তার আরো কিছু বন্ধুও তাতে সায় দিচ্ছে। সে নাকি ধর্মের জন্য ক্ষতিকর। অতএব, তার ধবংস কামনা করাই উচিত!
৪.
আমাদের সমাজে ধর্মান্ধতা; কিংবা ধর্ম বিষয়ে অন্ধত্বের বিস্তার অনেক অনেক বেশি। আমরা যেটা ভাবি, তার চেয়ে এই পঁচনের শিঁকড় অনেক বেশিদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। আমাদের ধারণা, শুধু অশিক্ষিত কিংবা আধা-শিক্ষিত হুজুরেরাই ধর্মান্ধ - ধারণাটি একবারেই সত্য নয়।
হুজুরদের একটি বিরাট অংশ অশিক্ষিত; কিংবা ভুল শিক্ষিত। এদের অধিকাংশই বৃহত্তর সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন। এই বিচ্ছিন্নতার শৃঙ্খলটা একদিন দুইদিনে গড়ে ওঠে না, ধীরে ধীরে বোধের অগোচরে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন তারা আদের আচরণকেই ধর্ম বলে বিশ্বাস করে; প্রকৃত ধর্মে কি আছে তা দেখে না এবং তাদের সাথে সাধারণ মানুষের একটু অমিল দেখলেই শত্রু মনে করা শুরু করে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো, এই কাজটা এরা খুব কনফিডেন্টলি করে। কাজটা যে ভুল; কিংবা প্রকৃত ধর্ম থেকে বিচ্যুতি, তা সামান্য পরিমাণেও বোধে আসে না।
হুজুরদের বাইরে একটা বিরাট অংশ আছে, যারা প্রকৃতপক্ষে নিজের ধান্দাবাজিকে ঢাকতে ধর্মের আবরণকে ইউজ করে। এই শ্রেণীটা যা করে, জেনেশুনেই করে। এই শ্রেণীতে গ্রামের চেয়ারম্যান-মেম্বার থেকে শুরু করে ওয়াজ মাহফিল চিৎকাররত মাওলানা, মসজিদের ফতোয়াবাজ ইমাম; কিংবা ধর্মব্যবসায়ী পীর এবং রাজনীতিবিদ এদের প্রায় সবাই অন্তর্ভূক্ত।
ধর্মের নামে অধর্মের ঢোল ফাটানো সবচেয়ে প্যাথেটিক শ্রেণীটা সম্ভবত উপরের সিনারিওর ৩ নম্বরের অতিধার্মিকেরা। এরা এমনিতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান। একাডেমিক ক্যারিয়ারে তুখোড়, সাকসেসফুল। কিন্তু ক্যারিয়ারে সময় দিতে গিয়ে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একটা পর্যায়ে হঠাৎ তাকিয়ে দেখে আশেপাশে কেউ নেই, পুরা একা! তখন ধর্ম আসে সান্ত্বনা হিসেবে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো, নতুন বাল গজানো কিশোরের মত এরা ধর্মকে কচলাকচলি করতে করতে একেবারেই তিতা বানিয়ে ফেলে। মুখমন্ডল অতি অল্প সময়েই শশ্রুমন্ডিত হয়ে যায়, কথায় কথায় মাশাআল্লাহ, ইনশাআল্লাহ, যাজাকাল্লাহ আসে, নামাজ পড়ে আল্লাহর ধ্যানের চাইতে বেশি গুরুত্ব পায় কপালের ওপর কালো দাগ ফেলে দেওয়াকে। যে মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্যই ধর্মের অধিকাংশ নির্দেশ, সেই মানুষকেই সে শত্রু মনে করে। প্রকৃত ধর্ম যে কোন ফাঁকে গায়েব হয়ে যায়, তার হদিস রাখার সময় কই তার!
৫.
কষ্ট, একরাশ কষ্ট হয় শুধু! ধর্মের নামে অধর্মের ঢোল পেটাতে পেটাতে পুরো গুলে খেয়ে বসে থাকি, মানুষের জন্যই ধর্ম; ধর্মের বলি হওয়ার জন্য মানুষ নয়।
মন্তব্য
অসাধারন পোস্ট। সম্পূর্ণ সহমত।
ইসলাম রক্ষার অজুহাতে তো তারা আসলে নিজেরেই রক্ষা করে... নাইলে যে তাগো অস্তিত্বই বিলীন... পেশাও... তারা কি করবো ?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এইরকমই আসলে।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
একটা সময়,যখন এইসব নিয়ন্ত্রনযোগ্য ছিলো-সেই সময়টাতে এইসবকে খুব হাল্কা করে ভাবা হয়েছে ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হালকা করা হয়নাই... ব্যবহার করা হইছে... এবং এখনও হইতেছে। ভাবছে হাতের পুতুল। কিন্তু এখন যখন এই পুতুলগুলা ফ্রাঙ্কেনস্টাইন হয়া গেলো তখন হায় হুতাশ শুরু হইলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রাজনীতির মানুষেরা এদের ব্যবহার করেছে,কথা ঠিক । তবে এদেরকে প্রতিরোধের শক্তি রাজনীতির বাইরের সংগঠনের ও ছিলো একসময় । কিন্তু অপ্রয়োজনীয় খাতে শক্তি ব্যায় করে সেই সংগঠনগুলো নিজেই বিলুপ্ত প্রায় ।
বেশ আপ্তবাক্য আওড়ানো হতো একসময়-বাংলাদেশে জামাত কোনোদিনই ক্ষমতায় আসবেনা,কারন বাংলাদেশের মানুষ নাকি বেসিকেলী অসাম্প্রদায়িক । সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন ছাড়াই যে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা যায়,টিকে থাকা যায়,নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা যায়-সে তো আজকের বাংলাদেশেই দ্রষ্টব্য ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বিষয়টিকে আমি অন্যভাবে দেখি।
যে বার যারা প্রতিরোধ করতে পারতো তারা শক্তি ক্ষয় করে নাই,এই বাঞ্চোতরাও তাদের শক্তিকে নিজ স্বার্থে ব্যয় করেছে।
আমি বায়তুল মোকাররমের খতিব আর জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী,মুনতাসির মামুন বা এজাতীয় প্রানীদের মাঝে কোন বেসিক পার্থক্য দেখি না।দু্ইজনই মানুষের আবেগরে নিয়া ব্যবসা করে।
হুমায়ুন আজাদের কথা মনে পড়ে।আমরা বাঙালির জাতের মাঝে আসলেই বড়ো মাপের মানুষ বড়ো দূর্লভ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার ১৭টা খাতা ১৭ মাসে দেখা শেষ হয় না,কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ধর্মঘট ডাকে শেখ হাসিনার মুক্তি দাবী করে!
তারপর পাছায় গুতা খেয়ে "সৈনিক সহ সেনাপ্রধানের কাছে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা "করে।
এই হইলো তাদের হ্যাডম।
এই সব মেরুদন্ডহীন মানুষের জন্যেই আমাদের এই দূর্দশা।
কন্ট্রোল আগে যেমন করা যেত,এখনও তেমনি করা যায় ।কিন্তু করবে টা কে?
জাহানারা ইমামের মতো মেরুদন্ড কি একটা ঘাদানিক নেতা'র আছে?
সুধাসদনের উচ্ছিষ্ট ভোগ করা ছাড়া এই হারামজাদাদের আর কোন কাজ নাই।
ভরসা করা যেত বামদের উপর।কমিটেড কর্মী আছে এদের।
এরা আবার "হাঁচ্চো দেয়াটা" বিপ্লবী কাজ না প্রতিবিল্পবী কাজ এই বিতর্ক করে প্রত্যেকেই একটা করে দল তৈরী করে বসে আছে।
শক্তির এই বিভাজনটাই এদের খেয়েছে।
সমস্যা হলো অসাম্প্রদায়িকদের প্রতিও মানুষ হতাশ। ধর্মীয় উন্মাদনা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সমর্থন করার কোনো কারণ নেই, সামষ্টিকভাবে বাঙালি সচেতন না হলে আমরা একের পর এক এতগুলো বিপ্লব ঘটাতে পারতাম না, আজও পরাধীন হয়ে থাকতে হতো। কিন্তু জেবতিক আরিফ ভাইয়ের কথাগুলোও সত্য। মেইন সমস্যা ধান্দাবাজিতে; কেউ ধর্মকে ইউজ করে, কেউ অন্য কোনো সেন্টিমেন্টকে ইউজ করে। পাবলিক কাউকে বিশ্বাস করে না; শুধু চিপায় পড়ে ভুগে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তবে এইসব ধর্ম নিয়ে রাস্তায় নামার পেছনের কারণ ব্যাখ্যায় কার্লমার্কসকেও দরকার।
দেশে যে পরিমাণ প্রাথমিক স্কুল থাকার কথা ছিল তা কখনওই ছিল না। এই শূণ্য জায়গায় দরিদ্র সমাজকে অক্ষরজ্ঞান দিয়েছে মাদ্রাসা-মক্তব। (বাম ও প্রগতিশীল দলগুলো সমাজসেবাকে কখনও জরুরি মনে করে না। এনজিওদেরকে মনে করে পুঁজিবাদের অস্ত্র হিসেবে। সুতরাং বৃহত্ জনগোষ্ঠীর দুর্ভাগ্য নিয়ে তারা রাজনীতি করতে সচ্ষ্টে ছিল। কিন্তু মাদ্রাসা-মক্তব-বা এনজিও স্কুলের মত প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নিয়ে তারা এগিয়ে আসেনি।)
ফলে তৈরি হয়েছে ভিন্ন একটা বিশাল ধর্ম-নির্ভর গোষ্ঠী। যারা সুবিধাবঞ্চিত, মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষ। তাদের অধিকার আদায়ে নিজেদের ঐক্য তাদের প্রয়োজন। ইসলাম, মাদ্রাসা, ইসলামী দল, মসজিদ তাদেরকে এই প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। ইসলামের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা নিজেদের বিকাশই চাইছে, নিজেদের অধিকার, রাষ্ট্রের সম্পদে অংশীদারিত্ব।
মাদ্রাসা সার্টিফিকেটে চাকুরি এই কারণেই যৌক্তিক দাবী।
মসজিদ থেকে বের হওয়া বিশাল মিছিলটা তাই শুধু ধর্মান্ধদের মিছিল নয়। এ অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত মানুষদেরও মিছিল। ধর্ম এখানে তাদের আদর্শিক শক্তি। আর কোনো বিকল্প ব্যানারে বঞ্চিতদের কথা কে বলছে? তারা কোথায় কোন পতাকার নিচে গিয়ে দাঁড়াবে? মহান মতবাদের শ্লোগান দিতে দিতে নিজের ভাতের অধিকারের ক্ষোভ কোথায় ঝাড়ার সুযোগ পাবে?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ভাবনার শিকলের কিছু মিসিং লিংক খুঁজে পেলাম এই মন্তব্যে। আলাদা পোস্ট হিসেবে দিয়ে দিতে পারেন। পরে খুঁজে পেতে সুবিধা হবে। বামপন্থীদের সাথে সাধারন মানুষের দূরত্বের কারণটা অনেক কিছু ব্যাখ্যা করে।
আপনার মন্তব্যের কথাগুলো আমি গুছিয়ে বলতে পারছিলাম না। ইশতিয়াক রউফের সাথে একমত। পোস্টটির পূর্ণতার পথে এ মন্তব্যটি অনেক দরকার ছিলো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
Excellent! I like the last sentance. Religion suppose to make you more human but reading and studying it you become more of an animal. If Prophet was here today, he would have been very upset to see, people go crazy by him but none of the follows the path he lead. We claim we are believer.
ভাই ট্রিপল মোহাম্মদ, অনেক ধন্যবাদ। প্রকৃত বিশ্বাসী 'বাড়াবাড়ি' করে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এত জ্ঞানীজনেরা এখানে মন্তব্য করেছেন, যে বিরদ্ধমত প্রকাশে ভয় হচ্ছে। তবুও বলি, ঠিক মানতে পারলাম না।
৩ নং ছাড়া বাকি উদাহরণগুলো স্বাভাবিক মনে হয় নি, সেগুলোকে বরং ব্যতিক্রম বলা চলে। আপনি তথাকথিত হুজুরদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে বাজে কিছু ব্যতিক্রম তুলে ধরেছেন। এবং সেই ব্যতিক্রমগুলো দিয়ে পুরো হুজুরসমাজকে বিচার করেছেন: যে কারণে বলেছেন "হুজুরদের একটি বিরাট অংশ অশিক্ষিত; কিংবা ভুল শিক্ষিত।" অথবা "হুজুরদের বাইরে একটা বিরাট অংশ আছে, যারা প্রকৃতপক্ষে নিজের ধান্দাবাজিকে ঢাকতে ধর্মের আবরণকে ইউজ করে।"
ধান্দাবাজি ঢাকতে বিরাট সংখ্যক হুজুররা ধর্মের আবরণকে ব্যবহার করে, ঠিক মানতে পারলাম না। হুজুরদের কয়জন ধান্দাবাজ? বেশীর ভাগই তো কোনরকমে দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে জীবন চালায়। পরকালই যাদের চিন্তা, ধান্দাবাজির দরকার টা কোথায় তাদের? আমার তো মনে হয়, ভাল চাকরী পাওয়ার প্রয়োজনে যারা পড়াশোনা করে চলেছে, তাদের মধ্যেই ধান্দাবাজের সংখ্যা অনেক বেশী।
৩ নম্বর দলটাকে আপনি একটা আশার আলো হিসেবে দেখাতে পারতেন (কারণ এরা আপনার মতো আলোকিত মানুষদের কাছাকাছি থাকে)। সেটাকেও শেষ পর্যন্ত পচালেন।
তবে এখানে সহমত: "মানুষের জন্যই ধর্ম; ধর্মের বলি হওয়ার জন্য মানুষ নয়।"
ভাল থাকবেন।
বরফ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্য আমার কিছু ডিসক্লেইমার আছে। আমার লিখায় অনেক ভুল থাকতে পারে; কিন্তু ব্যক্তিগত বিদ্বেষ কাজ করেনি মোটেই। ১ এবং ২ নম্বর উদাহরণও কষ্টকল্পনা নয়; সত্যের খুব কাছাকাছি ঘটনা।
হুজুরদের জীবন কাটে পুরা পরকালের চিন্তায়, আপনার এই কথাটি আমার অভিজ্ঞতাকে কন্ট্রাডিক্ট করে। তবে পরকালের চিন্তায়ই জীবন কাটাতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। প্রকৃতপক্ষে ধর্মও কাউকে বলে না, ইহকালের জীবন ছেড়ে পুরা পরকালে মনোনিবেশ করতে। বরং পরকালের কথা চিন্তা করে ইহকালের দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করাই ধর্মের মোদ্দাকথা। এজন্যই ঘরসংসার ছেড়ে বৈরাগী হওয়া নয়; বরং বিয়ে-শাদী করে সংসারী হওয়াই অন্তত ইসলামের নির্দেশ। সৎভাবে জীবনযাপন করাই মূল উদ্দেশ্য।
অর্থনৈতিক বৈষম্যের কথাটা সত্যি। শোহেইল ভাইও উনার মন্তব্যে এই কথাটি চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। পুরা দোষ হুজুরদের ওপর চাপানো অন্যায়। আসল কথা হলো, ধান্দাবাজি। সেটা হুজুরদের মাঝেও হতে পারে, তার বাইরেও হতে পারে। তারা ধর্ম নিয়া বেশি নাড়াচাড়া করেন বলে, ধর্ম নিয়া ধান্দাবাজির সিংহভাগই তাদের পক্ষে করা সহজতর।
তিন নম্বর দলটা আশার আলো হতে পারতো। কিন্তু ধর্ম নিয়া মাথাব্যথা এদের অনেক কম। ফলে এরা সহজেই বিভ্রান্ত হয়। মন্তব্যের জন্য আবারও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
৩ নম্বর শ্রেণীটাকে খুব কাছ থেকে দেখা। অতি স্বার্থপর ও ভয়ংকর। ধর্মের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় এদের মাধ্যমে।
হুম ! শিক্ষার আলোক-ছটা!!
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ইশতিয়াক ভাই, আপন ভাই, নজরুল ভাই, অয়ন, সুজনদা অশেষ কৃতজ্ঞতা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অবজার্ভেশন! তিন নম্বর দলটাই মৌলবাদের মেরুদণ্ড। এরাই অশিক্ষিত হুজুরদের আধিপত্য সমাজে বজায় রাখে নিজেদের শিক্ষা (?)র বাতাবরণে হুজুরদের ফতোয়াকে জাস্টিফাই করার মাধ্যমে।
..................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
সুমন ভাই, অনেক দিন পরে! দেখা মিলে ভালো লাগলো।
পয়েন্ট নোটেড! পোস্টটাকে আরেকটু পরিপূর্ণ করতে শোহেইল ভাই আর আপনার দেয়া পয়েন্টগুলো যোগ করে দিবো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ঠিকাছে।
এইটারে সিরিজ আকারে সামনে বাড়াও
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
নতুন মন্তব্য করুন