কবিতা-৩৮

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: বুধ, ০৩/১০/২০০৭ - ৬:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চুপচাপ শুয়ে ছিলো এতকাল আজ তাকে ডেকে আনি
তাকে ডাকার অধিকার অর্জনে সমর্থ কতিপয় মানুষ
সামান্য ইন্দ্রিয়বোধের অনুভব- অতিরিক্ত ব্যক্তিত্বে প্রতিবাদহীন
নৈসর্গিক বিদ্রোহে ওলটপালট আঙিনায়
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
অভিমানী সে, নির্বিরোধ ব্যপ্ত করে আছে সৃষ্টি- চরাচর
আজ তাকে দেবো কিছুটা নশ্বর রূপ, ধরাছোঁয়ায়
বোধগম্য ও বন্দী,
সলাজ রাঙা বউ এর ঘোমটা টানা মুখ, গার্হস্থ্য স্বভাব
তার যোগ্য বাসঘর খুঁজে নেবার আজ যোগ্য দিন
আজ হৃদয়হরণ বাতাস, বৃষ্টিধারায় মেঘে-মেঘে আলোছায়ায়
নিবার্ক স্থবির আবরণ খুলে দিয়ে নিঃস্ব বংশবৃদ্ধি
বসবাসের সমস্যা বিষয়ে গম্ভীর আলাপে মেতেছে গাছেরা
একটু পরে হাসি ঠাট্টা, গান বাজনা, এসবও হবে।
শ্বাসকষ্টে ফুলে ওঠে ঘর্মাক্ত মিলন-রাত্রি, একটু পরে ফেটে যাবে
তারপর প্রতিটি প্রাণীর দেহাবরণ ঘিরে সুবর্ণরেখা,
নিথর জলে ইচ্ছাধীন অলস নৌকো, মিঠে জল, মৃন্ময়ী মেয়ের
সায়া ও ঘুঙুর। সে পৃথিবীতে এসেছিলো একবার
তামাটে মাটির বর্শা-বিকিরণে তার ডানা ছিঁড়ে গেছে
চিবুকে বিষাক্ত ক্ষতচিহ্ন জোড়া দিতে সে লুকিয়ে এতকাল
নীলিমায়-মেঘে ও শুভ্রতায় ধুচ্ছে মুখ।
তাকে দেবো সামান্য মৃন্ময়ী ভালোবাসা, মাটির ঘর, ভরা শাওনে
প্রতি বছর পার্থিব সীমানাবৃদ্ধি, আঙিনায় সজনের ডাল,
ডাগর ঘাসফুল, জলধারায় সুগন্ধি মাছের ডুব সাঁতার-
মেঘে-মেঘে বেলা কাটে, নিথর দ্বিপ্রহরে কলমিশাক তুলতে
খোলাবুক জলে নামে কিশোরী, কলমিলতা ছিঁড়ে নেয় তার হাত,
হরিদ্রাভ আলো, জলে নর্তকীর কোমরভঙ্গি,
ক্রমশঃ বিস্তৃত সীমানা, মহাসাগর
পূণ্য বলিদানে খিলখিল হেসে ওঠে স্তব্ধ মহাকাশ
সওদাগর নৌকো ভাসাও, মধুমালার দেশে যাবো।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।