মধ্যদুপুরে ঘর্মাক্ত ধুলো ও বাতাসে ক্ষীয়মাণ চিলের হাহাকারে
সকল পথে ও পান্থশালায় বৈশাখী ঝড়োবৃষ্টি
কাঁপায় আলোকময়ী মাংসজ প্রতীমা, মিনারে মিনারে মেঘ,
স্বয়ম্ভূ আলোর শরীরে ব্যপ্ত মধ্য দুপুর-স্নানরতা হাতের আভাস
আশেপাশে শুয়োরের পবিত্র অধিবাস
আনন্তিক মহাকাশে দীপ্ত পঙ্খীরাজে ক্ষীয়মাণ চিলের হাহাকার
কেউ কাছে ছিলো একদিন তার কেশভার
সামুদ্রিক হাওয়ায় ও হাস্যরোলে ভাসে সান্ধ্য পূবাকাশে
কেউ কাছে ছিলো একদিন তার স্মৃতি চোলাই-এর গন্ধে মিলেমিশে
ভারাক্রান্ত নিঃশ্বাসে কাঁপে রক্তাভ চোখের কিনারে-
এভাবে নিত্যদিন যাওয়া আসা, নিবুনিবু টেমির আলোয়
ভৌতিক ছায়া-প্রচ্ছায়া মাতাল হাতের ইশরায় ছোটে দিগ্বিদিক
পিতৃপরিচয়হীন স্মৃতিচিহ্ন-মলিন নীলাভ দিগ্বলয়,
প্রতিবার শব্দ ও সংঘাতে খুঁজে ফেরা চেনা পথঘাট
পরিত্যক্ত ভিটের মায়ায় যাবতীয় পথ ও পথপাশে ক্লিষ্ট অনাহার
শেষ হয়না কখনো, জন্মবধি জেগে থাকে ক্ষুধার শরীর,
প্রত্যহ শবানুগমনে সিদ্ধ পদপাত একদা মিশে যায়
সন্বৃত আকাশে মেঘের ওপার পবিত্র আলোছায়ায়
পূর্ণ চাঁদের মায়ায় প্রথম পরশ রাত্রি, হঠাৎ নির্বাপিত তারায় হিমস্রোত
ঝরে রাত্রিদিন শ্যামাঙ্গী খেলাঘরে, পুষ্প ও প্রবাহে
উন্মথিত হাস্যরোল উড়ন্ত ধুলোর কাছাকাছি এসে প্রতিবার
বিঁধে থাকে মানবিক স্পর্শের অতীত বাসন্তী চিত্রপটে-
কেউ কাছে ছিলো একদিন, মধ্যদুপুরে ধুলো ঘাম গলিত শরীর।
১৯৮১
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন