সমৃদ্ধ হও তোরণ শেষরাতে- নীমিলিত পুবাকাশে
চুম্বনে অধীর মাটি ও গৃহমূল ফেটে বাঁশি বাজে তেপান্তরে
অবোধ্য বিবমিষা ও প্রলাপে অনন্তকাল জেগে আছে দেশ
অনাহারী বাতাসে শীতার্ত সন্ধ্যার উপকূলেঃ
চিত্রিত মুখের আভাস শেষরাতে ধুয়ে মুছে জলধারায়
তুমূল বৃষ্টি হলো পরদিন অপরাহ্ন তটে- এবার যাত্রার শুরু,
সমৃদ্ধ হও তোরণ শেষরাতে, সোজাসুজি পশ্চিমে যাবো
যেখানে প্রতিদিন সূর্য ভেসে যায় প্রাচীন আঁধারে
তারও ওপারে মন্দিরে প্রত্যহ পূজোর ঘন্টা বাজে
আমি শুধু বাহ্যিক কারুকাজ দেখে ফিরে আসবো
যে যাবার যাক ভিতরে-একটি আল্পনা ছোঁয়ায় সমৃদ্ধ অবয়ব
ঝুলে আছে অশরীরী উদ্বন্ধন ও কোলাহলে, নিথর কপোলে রেখে
হাত
সারারাত নিশ্চুপ শুনে যাবো কলঘরে অতিষ্ঠ জলপ্রপাত
এভাবে পাপমোচন মিশে থেকে নদী ও নীলিমার উপরিভাগে
মাতাল ঠোঁটের উপকুল ঝরায় রাত্রিদিন নিরক্ত বিবমিষা-
পিতৃহীন টলোমলো পথঘাটে একসময় নামে ঘুম
মধ্যরাত পেরিয়ে যাবার পর নিথর পানশালায়
সমৃদ্ধ হও তোরণ সুনাব্য হাওয়ায়, পশ্চিমে সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে থাকা
ক্রুদ্ধ জন্মের ঋণ-দুর্বাদলে শিশির এদেশে কামোন্মত্ত
হাহাকারে কাঁদে, রোগাক্রান্ত পার্থিব দুয়ার স্পর্শমাত্র
খুলে যায় আধার নৈঋতে, ধুলোর সংসার আজ বৃষ্টি হবে।
১৯৮১
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন