যাবার পথে শরীর বিছিয়ে তুমি সারাদিন ডাকছো আমাকে
তোমার কথার ময়ুরসিংহাসন আসে একটি পদভারও সয় না আমার
আগুন ছাড়া কিছুতেই ভারহীন হয় না শরীর
আমার জন্য নির্ধারিত অমৃত ওতো পান করা যায় এক চুমুকে
মৃত্যু পর্যন্ত যাবো অনাহারে, আজ সবকিছুতে অনিয়ম-
অপরাহ্ন-ছায়ায় ঝংকৃত খেয়াঘাট পেরিয়ে স্বেচ্ছায়
সর্বদুঃখাক্রান্ত এদিক ওদিক সামান্য পরিবর্তন- নেশায়
নির্বিকার অঞ্জলি পেতে নিই দাম্পত্যবিষ, জন্ম-সংলগ্ন সন্তান-মালা,
কর্কশ বাহ্যিক রীতিনীতি কার্তিকের নীলাভ পূর্ণিমায়
ঢেকে আছে মধুরাতে, জন্মভূমি ঠুকরে খেয়ে এই শেষাবধি
আত্মভূক আনন্দ দাঁড়িয়ে আছি আলোছায়া নগ্নিকা নৃত্যপ্রবাহে
অপরাধহীন নিতে হবে ললাটে পুনর্বার সিফিলিস- জন্ম-
ভিক্ষুক-প্রভুর ছদ্মবেশে আমার সর্বস্ব নিয়ে নাও নৃত্যাভ করতলে,
হয়তো তাই তবু সশরীরে যুদ্ধ দেখি নি বলে
বলতে পারি না আমি আজন্ম বাসিন্দা যুদ্ধাহত ঘাসের
এমনি মায়াবী ধোয়ায় আচ্ছন্ন করে রাখে সারাক্ষন
ওই রোগাক্রান্ত রুপসী নিশ্চিত ছুঁয়ে দেবে আমাকে
নিদ্রাহীন জর্জর প্রবাহে আমি সহজেই পবিত্র হতে পারি
জন্মনদীর উদ্ধার-চুম্বনে, কিছুটা নৃত্যমায়ায় বেঁধে গেলে
ভারাক্রান্ত মালা
শিথিল-বলিষ্ঠ যুগল আলিঙ্গন- বিদ্রোহে-
তোমার চিবুক অমোচনীয় আদ্র রেখা
তেমন নদীতীর পায় নি মানুষ যার প্রলেপে দ্বিধাহীন শুদ্ধ
হবি তুই,
মাটি খুঁড়ে এতোদিন মাটি হবার পর ‘আঘাত’ শব্দের
যথার্থ প্রতিরূপে খুঁজে পাই পাপ ও প্রদাহে- যুদ্ধ দেখি নি
হয়তো তাই তবু বলতে পারি না আমি বোমারু-আক্রান্ত মানুষ।
১৯৮০
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন