চন্দনকাঠের পালঙ্কে ঘুমন্ত রাজকন্যার নিতম্ব ছুঁয়ে
উঠে আসে করাত বিদ্ধ যুবতী বৃক্ষের যন্ত্রণা-
তার মুখের দিকে তাকিয়ে আমি দেখি
জ্যৈষ্ঠের দুরন্ত ঝড়ে পিতামহের নিজের হাতে লাগানো
বকুল গাছের ডালপাতাফুল দুমরে মুচড়ে ভেঙে যাচ্ছে।
বৃষ্টির প্রার্থনায় আশৈশব চুমোয় চুমোয় রাঙিয়েছি মেঘমালা
আজ বুঝি বালি ঝরানো স্বভাব তার।
সারারাত টুপটাপ শিশিরের শব্দে তন্দ্রাচ্ছন্ন
অরণ্যভূমির ভেতর দিয়ে অসি হাতে হেঁটে যায় যুবরাজ
তার জুতোর নীচে শুকনো পাতার আর্তস্বরে
চুম্বনরত দুটো হলদে পাখির যমজ উষ্ণতা
ভেঙে ভেঙে বয়ে যায় জলাঙ্গীর ঢেউ-এর ধারায়।
বজ্রপাতের শব্দে নড়ে ওঠে কর্কশ দাম্পত্যসমেত
ঘরের যাবতীয় আসবার। আমি কোনোদিন
ওর মতো সুখী হতে পারবো না ভেবে
একদিন একটা টিকটিকি খুন করেছিলাম।
হিরণ্যবাহ রমণীর উৎসমুখে মুখে চেপে শুয়ে আছি
ভীষণ পরাজিত শিশু
হে চিত্রিতযোনি, তোমার গর্ভে আমাকে ফিরিয়ে নাও।
১৯৭৯
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন