দিগন্তে সূর্য ক্ষয়ে গেলে পরে একদিন কেঁদেছি
এটুকুই সৃষ্টি ভালোবাসা- পশ্চিমে এতোটা ক্রন্দন মিশে ছিলো
এতোকাল
ক্ষীয়মাণ ধুপবাতি-সংসার জেনেছে সবটুকু তার
সীমাবদ্ধ মূর্ত অবয়ব দেয় না কিছুই কখনো
কামার্ত রাত্রির ভার সঞ্চারিত দিবসে-
প্রিয় ঋতু পরিবর্তনের দুঃখে গুমোট সান্ধ্য অসীমে বাসন্তী চিত্রপট
সাজিয়ে ভঙ্গুর দৃশ্যমায়া ভাসায় জগত-সংসার
যুগপৎ খরা ও প্লাবনে, সর্বত্র মরীচিকা-ছাওয়া গুহামূল-
সূদূর পাখি জন্মেও কভু পৌঁছোনো যাবে না ঝংকৃত নীলিমাতীরে
নীলজলে নীলাভ নৌকো, রূপালী আগুন ঝরে অবিরত হিম
বেলাভূমে
সুর্যোদয় ও সূর্যাস্ত এই অপার্থিব দৃশ্যপটে ভেসে যায় পৃথিবী
ক্ষনকাল
সুন্দরীর উপচানো লাবণ্য মিশে আছে সংগীতে সবটুকু
গোলকধারায় কম্পমান যুগল সিন্দুর টিপ সুরে সুরে ঝরে
স্তব্ধ চরাচরে- পরিপূর্ণ মিশে যেতে এই শরীরধারণ ও মৃত্যুনিয়ম;
বৃক্ষ ও বাসঘরে এতো পাথুরে ক্রন্দন গোঙায় সারারাত
সেই জর্জর ধমনীমূলে ব্যর্থ মানুষ বসে আছে ক্লিষ্ট তথাগত
নীরঞ্জনা-তীরে
তার অধিকারে সত্যশুদ্ধ সাগরসীমা;
সকল আত্মীয়বন্ধন ছিন্ন মৃত্তিকা-আসনে
একজন্ম নির্বাক বসে থাকা উর্দ্ধপানে- এমনি গতরে নিবদ্ধ সংসার
ছায়াতরুমূলে দুলে ওঠে সাধের জন্মভূমি
আত্মহত্যার উপযোগী ডালে ডালে প্রসারিত স্বপ্নমায়া ফেরে
বৃষ্টিজলে
চিরল পাতা ও ছোট ছোট ফলে তার স্পর্শ লেগে আছে।
১৯৮১
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন