ক্লান্ত দিনের ভারে কেঁদে ওঠে মাটি-
এখুনি আমার সরে পড়া সঙ্গত কিনা সেই উত্তর খুঁজে বেড়ালাম
আজ সারাদিন নম্র বৃক্ষমূলে, মুমুর্ষ বাসরঘরে,
সারাক্ষণ ঠোঁটে আগুন জ্বেলে রাখা জরুরী
আমি তো যাবো ভেতরে নাচঘরে-
নুপুরধ্বনি শুনে কতোকাল আর তুষ্ট থাকবো রাজা ?
শব্দ দৃশ্য পরে স্পর্শ পর্যায়ক্রমিক এই লোভে নুব্জ দেহে
তাও বেঁচে আমি- আমার সব নির্মাণ আজ ভেঙে এসেছি
নিজহাতে
এবার তোমার অট্টালিকার কারুকাজ দেখবো রাজা;
ভেতরে নাচঘর-- এই পিপাসায় চলমান সংসার
শব্দে তুষ্ট সকলে, আমাকে সব দেখতে হবে ছুঁয়ে--
মায়াবী পর্দার সূচিকর্মে যদি বুনেছো রাজ্যশাসন
তবে তোমাতে আমার কোনো তফাৎ নেই রাজা
মাটি জল স্নেহে বাঁচিয়ে রাখো শরীরে, আমাকে নয়
খন্ডিত বসবাস রেখে যাবো ধুলোয় পচনশীল অবয়বে, ধারাজলে;
বিনিদ্র নির্মাণের ধ্বংসস্তুপে বসে সন্ন্যাসী কাঁদে
সব অর্থহীন মায়াবী অর্জন অনিবার্য মৌনব্রতে গোঙায় সারারাত
ক্রমশঃ অগ্রসরমান জলপ্রপাত শব্দে বিচূর্ণ বাসঘর-
তমসার তীরে নগ্ন শরীরে এই অপমান।
১৯৮১
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন