প্রহরী জেগে আছি, সারারাত শব্দ শুনি রাত্রির-
এতো নির্লজ্জ করুণ মায়ায় ছেয়ে আছে চারিধার
যাবার আগে পেছনে তাকিয়ে এই অনন্ত অশ্রুপাত জেনো এ শুধুই
নিয়মরক্ষা, একাকী যাবার পথ নির্দয় নখরে চিরদিন প্রশস্ত রেখেছি-
রাজ সকালে দৃশ্যমান সকল আকাশ তীব্র রোষে ফেটে পড়লো
লোকালয়ে
যেন আমি এখুনি মুন্ডুপাত করেছি সুন্দরীর-
মানবিক অহংকারে মুহূর্তকালও বেঁচে যেতে চাই ধ্যানভঙ্গ
নির্মোহ ঋষির
কী নামে জাগাবো তাকে,তেমন মেনকা কই,এতো পরিশ্রমে
সাধনায়,
চিরকাল ক্রন্দনে জেগে আছে মাটি তার মঙ্গলঘটে শঙ্খসুরে
অপ্সরীজন্ম দিতে পারে না কুটিল রমণীর-
জন্মে যথেচ্ছ বৃষ্টিধারা, ওঘরে প্রহরে প্রহরে কঁকিয়ে ওঠে কেউ
ওই গোঙানি জন্ম ও চিৎকারে একদিন পাপিষ্ঠ শৃঙ্খল পরেছি
আমিও
এতেই শুরু ও শেষ সকল দায়িত্ববোধ-
এই ঘরে কৃষ্ণাভ বসবাস আমার, অবিরত মাংস খুড়ে-খুড়ে দেখি
কোথাও জ্বলছে কিনা তারাস্রোত নাকি শুধুই জড়তা
ইটপাথরে ঋদ্ধ পিপাসায় ও তীক্ষ্ম জলধারে কর্তিত বিনাশে
বেঁচে আছি অনড় নিয়মবদ্ধ আবর্তনে-
পথ ও পান্থশালায় কোনো তফাৎ নেই একথা বলতেই
চলে গেল পঁচিশ বছর আজ প্রান্তিক মাটি ও জড়তার শেষ সীমা
প্রহরী জেগে আছি শ্রবণে ক্রন্দনে স্বনির্মিত মাটির সংগীতে
রাত্রিদিন সাজাই ধুপবাতি মঙ্গলঘট-
জন্ম বসবাস পার্থিব সমস্ত কিছুতে হাহাকার করে ওঠে
ব্যর্থ অভিমান।
১৯৮০
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন