অনঙ্গ কন্ঠস্বরে জেগে ওঠে ছবি, চেয়ে দ্যাখো পটচিত্র রাত্রির-
দিনরাত্রি পরিবর্তনহীন, বিকলাঙ্গ অনড় সময় আমার কাছেই
দয়াভিক্ষা চায়
শীতের শেষ এবারে কুহকী বসন্ত মুখশ্রী ও শারীরিক লাবণ্যে
ভুলিয়ে আমাদের নিয়ে যাবে এক সর্বব্যাপী যৌনতায়-
ফণাকীর্ণ আন্দোলনে সুপ্ত ঝড় তার চরিত্র বুঝে
বাঁধো ঘর শ্যামছায়া নদীতীরে,
বড়ো প্রয়োজনহীন আমার হাত, শিল্পসুষমা
মায়ের বুকে খাদ্য ফুরিয়ে যাবার পর মাটি খোঁড়াখুড়িতে মত্ত
হয়ে আছি
এ দেশে গ্রীষ্মের পর দীর্ঘায়িত শাদা মেঘের ভেলায় ভাসা শরৎ
এই নিরুদ্ধ অনুভবে মৃত্যুজরা যাবতীয় নিয়মহীন
অধিকার করে আছে ব্যক্তিগত সামান্য আকাশ-
সাত সমুদ্রে সাত বছর ডুব দিয়ে থাকলে ও ধুয়ে যাবে না আমার
অপরাধ
আত্মঘাতী রক্তে জলকেলী শেষে দ্যাখো মর্ত্যে বাতাসে
খ্যামটা নাচে মত্ত শারদলক্ষ্মী
তবু নিস্ফল মাটি খোঁড়াখুড়ি চতুর্ধারে- মানুষের হাতে
সত্যশিল্প নেই
তাই সাধের শৈশব শেষে তার জন্য আর কোথাও নেই মাতৃস্তন
এ দেশের শ্যামলী মাটির বুকে কোথাও জেগেছে ফাটল-
পোড়ে জীবিকা যৌবন, রাধার নীলবসন, আগরবাতি-শৈশব,
জ্যৈষ্ঠজীবনে বহুকাল পরবাসী হিমানী হাওয়ায় মাংস ছুঁয়ে
দেখেছি
জাগে না ঈশ্বর, ফুল ফোটে না-
আমি তো জল, শুধু জল, পরাধীন, চাঁদের বন্দী।
১৯৮০
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন