মৌনব্রতে বৃদ্ধের মতো স্তব্ধ হয়ে আছে পর্বতমালা
পাথুরে নির্ভরতায় অমোচনীয় মুখভঙ্গী অমরতা চায় উর্দ্ধপানে-
সুন্দরী অন্তর্গত উজ্জ্বলতায় মিশিয়ে নেয় হিম চরাচর
উচ্ছিষ্ট পড়ে আছি একটি মানুষ চৌচির মাটির ভূড়ি উচুঁ হয়
কিসের নিয়মে, পাপি...
মৌনব্রতে বৃদ্ধের মতো স্তব্ধ হয়ে আছে পর্বতমালা
পাথুরে নির্ভরতায় অমোচনীয় মুখভঙ্গী অমরতা চায় উর্দ্ধপানে-
সুন্দরী অন্তর্গত উজ্জ্বলতায় মিশিয়ে নেয় হিম চরাচর
উচ্ছিষ্ট পড়ে আছি একটি মানুষ চৌচির মাটির ভূড়ি উচুঁ হয়
কিসের নিয়মে, পাপিষ্ঠ প্রবাহে- অঙ্কুরিত আত্মজের ভয়ে
আত্মহত্যা করে একজন তার ব্যর্থতা ঝরে চন্দ্রালোকে
বাঁচিয়ে রেখেছে বৃক্ষ, মানুষ নয়; ভুলে যেতে হবে এই ক্লিষ্ট
পরবাস
সুন্দরী অন্তর্গত উজ্জ্বলতায় মিশিয়ে নেয় জল, আমি তো মানুষ
ছোঁব না
বৃক্ষ ছোঁব- এই করুণায় ছায়া-বসবাস জলে স্থলে;
নদীর ওপারে অন্যদেশ ওই আমার জন্মভূমি একদিন যাবো
ততদিনে তৈরী হোক ময়ুরপঙ্খী একদিন নিশ্চিত চিঠি আসবে
রাজার
নদী তীরে যাওয়া আসা দৃশ্য দেখা ওপারের, ডিঙি নৌকোয়
পারাপার
ছিলো একদিন আজ পঁচিশ বছর পাঁচশ জন্মের ভার
ওই যে দেখা যায় আকাশের গায় মন্দিরচূড়ো ওই আমার শৈশব
কী মন্ত্র পাঠ করো পুরোহিত সুর্যোদয়ে
শৈশব ঘোঁচে তার স্বপ্ন ঘোঁচে না-
অপরাধহীন এই পাপ মোচন জন্মাবধি
আদেশমাত্র পালন করি দাসখত প্রতিবার
শরীর বাজী রেখে বলেছি আমি কতোটুকু কবি
এবার ছুটি চাই ঈশ্বর।
১৯৮১
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন