যারা মনে করছিলেন বাচ্চার জন্য সবচেয়ে ভালো ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধই কিনছেন তারা এখন বুঝতে পারছেন যে বাচ্চাকে পয়সা দিয়ে বিষ কিনে খাইয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক আগে থেকেই গুঁড়ো দুধের ঘোর বিরোধী, বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। অনেক আগে - তারিখ মনে নেই, হাইস্কুলে পড়ার সময় যখন থেকে গুঁড়ো দুধে তেজস্ক্রিয়তার খবর বেরিয়েছিল তখন - থেকে আমি এর প্রতি বিরক্ত।
তারপর থেকে সবসময়ই আমার মনে হয়েছে তরল দুধকে পাউডার করার যে প্রক্রিয়া তাতে মানুষের জন্য উপকারি দিক ছাড়াও অপকারি দিকই বেশি থাকবে - যদিও বর্তমান সমস্যা তরল দুধকে পাউডার করার প্রক্রিয়া থেকে উদ্ভুত নয়। বিষয়টা ছিল আমার আন্দাজ। কাউকে নিজের মতের গুরুত্ব বোঝাতে গেলে যে ধরনের তথ্যপ্রমাণ দরকার হয় তা আমি হাজির করতে পারিনি বলে কেউ আমার কথায় কান দেননি। বিশেষ করে আমি এসব কথা বলেছি আমার কাছের লোকজন, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশিদের। বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে চীনের কিছু ডেইরি ফার্মে তারা যখন তরল দুধে প্রোটিনের অনুপাত নির্ধারনী পরীক্ষাকে প্রতারিত করতে তাতে ম্যালামাইন মিশ্রণ শুরু করেছে। চীনেই আবার তা প্রথম ধরা পড়েছে, যখন সেখানে কিছু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং মারা যায়। ম্যালামাইন মেশালে দুধে প্রোটিনের পরিমাণ পরীক্ষায় ধরা পড়ে না যে তাতে মিল্ক প্রোটিন কম আছে।
এখন সবাই যে ক্যাটাস্ট্রোফিক অবস্থায় পড়েছে গুঁড়ো দুধ নিয়ে তাতে সরকার জনগণের প্রতি সদয় হয়ে এগুলোর টেস্ট করে রিপোর্ট পেশ করেছে বলা যাবে না। বরং সারা বিশ্বজুড়ে তোলাপাড় হওয়ায় সরকার নিজেকে এই দায়িত্ব থেকে আর আড়াল করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আটটি ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধ বিক্রি নিষিদ্ধও করেনি বরং ক্রেতাদের তা কেনা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে (দৈনিক ইত্তেফাক, ১৭ অক্টোবর, ২০০৮ শুক্রবার)। সরকার যে মেরুদণ্ডহীন, কী করা যাবে? গুঁড়ো দুধ বাজারজাতকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ঘুষ দিয়ে সরকারের এই তৎপরতা বন্ধ করতে চাইছে। দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ডেনমার্ক থেকে সংগ্রহ করার যেসব বিজ্ঞাপন তারা দেয় তার আড়ালে তারা সুযোগ বুঝে সস্তা উৎস থেকে এসব দুধ সংগ্রহ করে প্যাকেট করে বাজারজাত করে থাকে। এতো গেল ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধের কথা। এসব ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধের প্রতিষ্ঠানগুলো আসলে কী করে?
তারা ভারত থেকে বা চীন থেকে যেসব গুঁড়ো দুধ আমদানি করে তা আসে সিমেন্টের ব্যাগের মত ব্যাগে প্যাকেটকৃত অবস্থায় অথবা বড় কন্টেইনারে করে। তারপর তারা এই দুধ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে টিনে পুরে টিনের মুখ সীল করে দেয়। অর্থাৎ টিনের গায়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম থাকলেও আসলে ওসব একই উৎস থেকে সংগৃহীত এটা এখন প্রমাণিত সত্য, যেহেতু পরীক্ষাগারে বেশির ভাগ ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ - ম্যালামাইন - পাওয়া গেছে।
বাঙলাদেশের মত দেশে কোন ইস্যু নিয়ে আগে যা হয়েছে, এই গুঁড়ো দুধের ক্ষেত্রে এবারও তাই হবে। মানুষ এখন কিছুদিন এ নিয়ে তোলপাড় করবে। তারপর একসময় ভুলে যাবে। যেমন মানুষ ভুলে গেছে গাড়ির ব্যবহৃত ইঞ্জিন অয়েল বা পোড়া মবিলকে রিফাইন করে সয়াবিন/রান্নার তেল হিসেবে বিক্রির কথা। আবার সবাই সেই বিষ কিনে খেতে শুরু করবে বা বিষাক্ত গুঁড়োদুধের তৈরি পণ্য কিনবে বা কিনতে বাধ্য হবে। কিংবা দুধে বিষাক্ত কোন রাসায়নিক আছে কিনা তা আগে যেমন সরকারের নিয়ন্ত্রণকারি সংস্থাগুলো কোনদিন যাচাই করে দেখেনি, ভবিষ্যতেও তারা নিস্পৃহ হয়ে পড়বে।
এসব দুধ আর কী কী ভাবে আমরা খেয়ে থাকি? আমরা যেসব কনফেকশনারি পণ্য কিনি, বেকারি পণ্য কিনি, ফাস্ট ফুড পণ্য consume করি এসবের বেশির ভাগ পণ্যেই কোন না কোনভাবে কমবেশি গুঁড়ো দুধ ব্যবহার করে থাকে। বাজারে বড় বড় নামিদামী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারগুলোর মিষ্টি কিনে বুক ফুলিয়ে বাড়ি যাই - আসলে বিষ নিয়ে যাচ্ছি। বড় বড় হোটেল, রেস্টুরেন্টে dessert পরিবেশন করা হচ্ছে - পুডিং, কাস্টার্ড, পায়েস ইত্যাদিতে বিষাক্ত গুঁড়ো দুধ ব্যবহৃত হয়।
এই বিষাক্ত গুঁড়ো দুধের দামের কথা বিবেচনা করুন। বাঙলাদেশে এসব দুধের দাম কোনভাবেই justified না। একটা পণ্যের দামের সাথে সাথে এর উপযোগ থাকতে হবে। গুঁড়ো দুধের বাজার দরের সাথে এর উপযোগিতার সামঞ্জস্যতা নেই বলে আমি মনে করি। অন্যরা কী মনে করছেন তা এখানে জরিপ করে আপাতত দেয়া গেল না। পরে হয়তো অন্যদের মতামত যোগ করতে পারব। কিংবা বন্ধুরা কে কী মনে করেন মন্তব্যে লিখে দিলে বাধিত হব।
ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করেন লাভের জন্য। কিন্তু তারা যদি তা justified level এ সীমিত না রাখেন তাহলে তা হয়ে যায় black money বা কালো টাকা উপার্জন। কালো টাকা মানে কী? কেউ কেউ বলেন এর মানে unearned income. অর্থাৎ তার সেবা বা পণ্য যা deserve করে না তার চেয়ে বেশি দাম হাঁকা। এসব নিয়ে অনেক বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু সাধারণভাবে এটা পরিস্কার যে যখন unearned income এর বিষয়টা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখন সমাজে অর্থনৈতিক দুর্দশা শুরু হয়। যেমন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মুক্তবাজারের নামে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিতে গেমবলিং এর কারণে এখন এতবড় ঝুঁকিতে পড়েছে তাদের অর্থনীতি। এখন তাদের টনক নড়েছে এবং ৭০ হাজার কোটি ডলারের যে উদ্ধার প্রস্তাব (bailout bill) তাদের সংসদে পাশ হয়েছে তাতে যথেষ্ট না হলেও কিছু পরিমাণে এসব unearned income উপার্জনকারিদের রাশ টেনে ধরার চেষ্টা হয়েছে। এটা না করে আর কোন উপায় নেই বলেই কিছু regulation প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে এই বাজার অর্থনীতির ধ্বজাধারীরা।
দেশে তরল দুধের যে চাহিদা তা আমরা দেশীয় উৎস থেকে মেটাতে পারছি না বলেই বিদেশ থেকে গুঁড়ো দুধ আমদানি করতে হচ্ছে। দেশের বাজারে যে তরল দুধের লেনদেন চলে তাতেও নাকি পচন রোধ করতে মধ্যস্বত্তভোগী ব্যবসায়ীরা, ফরিয়ারা নানান রাসায়নিক ব্যবহার করে থাকে। সবকিছু পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক্ষ বিবেচনায় নিলে খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিতে হবে বলে মনে হয়। তারপরও এসব দিক বিবেচনা করা আমাদের অত্যন্ত জরুরি। কারণ জাতির স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এক্ষেত্রে আমাদের দেশ অনেক পিছিয়ে আছে, ফলে আমাদের অর্থনীতিও পিছিয়ে আছে।
তাই খাবার কেনার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সতর্কতা প্রয়োজন যেখানে রাষ্ট্র আমাকে রক্ষা করছে না। ব্যক্তিগতভাবে আমরা নিজেদের রক্ষা করে চলতে পারি। অন্তত চেষ্টা করতে পারি। সেক্ষেত্রে একটু বাছবিচার করে খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারি। নিজের গ্রামে বাপদাদার ভিটে শুন্য পড়ে থাকলে নিজের পন্য নিজে উৎপাদন করার ব্যবস্থা নিতে পারি। এতে একধরনের আনন্দ যেমন পাওয়া যাবে নিজের পণ্য নিজে উৎপাদন করলে সতেজতা ও বিশুদ্ধতার ব্যপারেও সন্তুষ্ট থাকা যাবে। উন্নত বিশ্বে বিশেষ করে ইউরোপের ভোক্তারা নিজেদের দেশীয় পণ্যের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়। খাদ্যদ্রব্যের ব্যাপারে তারা দেশীয় পণ্য বেশি পছন্দ করে। তাই সেখানে তারা নিজেদের কৃষি উৎপাদনে বেশি আগ্রহী। বিশেষ করে ফ্রান্সের লোকেরা তাদের দেশি কৃষি খাদ্যপণ্যের প্রতি বেশি আকৃষ্ট। তাই তাদের সরকারও সেভাবে দেশের কৃষির প্রতি গুরুত্ব দেয়।
একই কারণে ঘুরে ফিরে আমি আবার কৃষি উৎপাদনের - সেটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে হোক বা সামষ্টিক পর্যায়ে হোক - উপর জোর দিচ্ছি। আসলে কৃষির দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করার মাধ্যমেই আমরা আমাদের খাদ্যপণ্য, আমাদের শিশুদের স্বাস্থ্য তথা জাতির স্বাস্থ্য এবং দেশের অর্থনীতিকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যেতে পারব। কৃষি এবং কৃষককে অবহেলা করলে আমাদের আজকের পরিস্থিতি প্রতিদিন মোকাবেলা করতে হবে। এমনকি আরো কঠিন সমস্যা অপেক্ষা করছে আমাদের স্বাস্থ্যখাতে। দেখার জন্য অপেক্ষা করব নাকি এখনই সজাগ হব তা ভাবার সময় আমাদের এখনই ।
মন্তব্য
আমার ধারণা দেশে যতসংখ্যক গরু থাকা দরকার সবাইকে মাংস খাওয়া + দুধ খাবার ব্যবস্থা করতে তত গরু নেই। স্বাভাবিকভাবেই বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। এই অবস্থায় ঠিক কি করলে এই উপায় থেকে বেরোনো সম্ভব তা আমার জানা নেই। হয়ত দেশে কিছু ডেয়ারী ফার্ম খোলা দরকার - কিন্তু ব্যবসার নিয়মে তারা মার খেয়ে যাবে ...
এ অবস্থায় আমদানীকৃত দুধের ওপর কিছু শুল্ক চাপিয়ে তা টেস্ট করে বাজারে আনা যেতে পারে। কিন্তু তার ফলে যে খুব লাভ হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, ঘুষ সর্বত্র বিরাজ করে ...
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
হা হা হা ! রাষ্ট্র রক্ষা করবে ? তাহলে রাষ্ট্রিয় একটি সংস্থার নমূনা দেখুন । এবং দৈনিক সংবাদ ২৪.০৯.২০০৮।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
@দিগন্ত
হ্যাঁ, বুঝতে পারছি সমস্যা আছে। আমি ব্যক্তিগত উৎপাদন এবং ব্যবসায়িকভাবে উৎপাদন উভয় দিকেই আলোকপাত করতে চাই। শহরের ভোক্তাদের পক্ষে হয়তো সম্ভব না কিন্তু গ্রামের অন্তত শতকরা পঞ্চাশভাগ লোকের পক্ষে নিজের দুধটা নিজে উৎপাদন করা সম্ভব বলে মনে করি। ছোট দেশ, সীমিত সবকিছু। তার মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগ এখন বেশি দরকার। দেশের বড় অংশটা তো গ্রামেরই বাসিন্দা।
ধন্যবাদ।
@ রণদীপম
ভাই পড়ে ভীষণ আহত হয়েছি। বিডিআর এর তত্ত্বাবধানে এমন কাজ। যেখানে সরকারের কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ ভাল চাল নষ্ট হয়ে গেছে বলে ফেলে দেয় সেখানে বিডিআর বিষ বিক্রি করছে, তাও দেদারছে। খুবই ভীতিকর। ভয়ঙ্কর...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
ভাল ভাল ব্র্যান্ডের নামে যারা বাজারজাত করছে তাদের ব্যবসায়িক মনোভাবটাও কিন্তু কম ভীতিকর না। তারা সুযোগ বুঝে সস্তা উৎস থেকে যেসব গুঁড়ো দুধ সংগ্রহ করছে সেটা পরিস্কার এবং এতে মানুষের নির্ভরতার জায়গা আর যে নেই সেটা প্রমাণিত হল।
---------------------------------------------------
সহজ করে বলতে মোরে কহ যে, সহজ কথা যায়না বলা সহজে।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
আমার সন্দেহ হচ্ছে আপনি কোনদিন গ্রামে থেকেছেন কিনা।
আমি আজ থেকে দশ বছর আগের হিসাব দিচ্ছি:
একটা গাভীর দাম দশ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। বকনা কিনলে তাকে অন্তত ৩/৪ বছর লালন করতে হয়। গরু কেবল বছরে একবারই সুযোগ পায় পোয়াতি হবার। এবং সেসময় ষাঁড় পাওয়াটা তত সহজ না।
একটা গরু পেলে পোষায় না। অন্তত ৩/৪টি হলে হয়। এদের জন্য বছরে ৪/৫ হাজার টাকা খরচ করে গোয়াল বানাতে হয়। বছরে ২/৩ হাজার টাকার চুক্তিতে একজন মানুষ রাখতে হয়। শীতে তাদের জন্য মশারী, চটের ব্যবস্থা করতে হয়। তার উপর আছে বিষ ও চোরের উপদ্রব।
গাভী খায় কী? দুধের জন্য রাব গুড়, ভুষি আর খৈল। ভুষির কেজি১০/১২ টাকা, রাবের কেজি ২০টাকার মতো। খৈলের কেজি আরো বেশী। প্রতিদিন সবুজ ঘাস না হলে দুধ হয় না। ঘাস কিনতে পাওয়া যায় না, একমাত্র যাদের পতিত জমি আছে, বা সব্জির বাগান আছে তারাই ঘাস জোগাতে পারে। বর্ষা মৌসুমে খড়টাও পাওয়া যায় না। প্রতি বেইল (১ বাই ১ মিটার ধরুন) ৩০০/৪০০ টাকায় কিনতে হয়।
এত খরচ করে দুধের কেজি কত জানেন? একটা গাভী মাসদুয়েক ভাল দুধ দেয়, কিন্তু প্রথম তিন সপ্তাহের দুধ খুব কম মানুষই খেতে চায়। গাভী কিন্তু আবার হাল-চাষে ব্যবহার করা যায় না।
ভাই আপনার লেখাটার উদ্দেশ্য সাধু, কিন্তু হিসাবটা খুব বেশী কাগুজে হয়ে গেছে।
গ্রামে একমাত্র অবস্থাপন্ন সৌখিন, যারা 'নিজের গাইয়ের দুধ খায়', তারা ছাড়া কেউ গাভী পালে না।
আপনার হিসাবটা বুঝলাম কিন্তু নিজেরা উৎপাদন একেবারে বন্ধ করে দিয়ে আমদানি নির্ভর হয়ে পড়লে আমাদের অবস্থাটা কী হবে? তাছাড়া গাভী পালন করার ঝুটঝামেলাতো একটু আছেই। আমার আশা মানুষ আরও একটু উদ্যোগী হোক। যদিও উদ্যোগটা সরকারের নেওয়া উচিত কিন্তু সরকার নিচ্ছে না। দুঃখটা এখানেই। তাই চাইছি ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোগ দেখে শেষে যদি সরকার এগিয়ে আসে। একেবারে হাল ছেড়ে দিলে তো আরও বিপদ।
উন্নত বিশ্বের মত large scale এ খামার ব্যবস্থাপনা আমাদের দেশে সম্ভব নয় জমির অভাবে। তাই ব্যক্তি পর্যায়ে যদি উৎপাদন ব্যবস্থাপনাকে ছড়িয়ে দেয়া যায় সবার মাঝে, তাহলে আমাদের সয়ংসম্পূর্ণতা আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
ঝুটঝামেলা তো সব কিছুতেই আছে। কিন্তু লাভক্ষতির হিসাবেই পোষায় না।
ছাগল পালন অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। কিন্তু ছাগলের দুধ মানুষ পছন্দ করে না।
আচ্ছা, ছাগলের দুধ কি চীজ বা মাখন উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা যায় না? এইখানে দেখি ছাগলের দুধের চীজের ব্যাপক দাম!
হাঁটুপানির জলদস্যু
হওয়ার কথা। এখানে চিজ কেনার সময় খেয়াল করিনি।
তবে দেশে মানুষের বিচিত্র স্বভাব। দুধ নাই, কিন্তু ছাগলের দুধ খাব না। শাল-দুধ (নতুন বাছুর হওয়া গাভীর দুধ) খাব না।
নতুন মন্তব্য করুন